গল্পঃ#Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৮
মুন তাকিয়ে দেখে যেখানে চাবি রাখছিল সেখানে চাবি
মুন: চাবি কোথায় গেলো আমি তো এখানে রেখেছিলাম চাবি
মুন চারিদিক পাগল এর মত খুঁজছে কিন্ত কিছুতেই পাচ্ছে না । কাবার্ড এর সব কিছু বের করলো কিন্ত টা ও পেলো না
প্রায় অনেকক্ষণ খুজাখুজি করার পর ও মুন পেলো না
মুন: তার মানে কি এটা রোদ সরিয়েছে কিন্ত ও চাবি টা দেখলো কি করে উফফ আর কিছু ভাবতে পারছি না ওকে নো প্রবলেম একবার যখন চাবি হারিয়েছে আমি আবার বানাবো কোনো ব্যাপার না কি ভেবেছেন #মিস্টার_ডেভিল হাসব্যান্ড আমি দমে যাবো না আপনি #ডেভিল হলে আমি ও মিসেস #ডেভিল
মুন সব কিছু আগের মত গুছিয়ে রুমা কে ফোন দিল
মুন: ওই শুন চাবি মনে হয় রোদের কাছে এখন আবার চাবি বানাতে হবে আর এখন ত চাবি রোদ কোন জায়গায় রাখছে আমি জানিনা তুই যেই জায়গায় চাবি বানাতে দিছিলো সেই জায়গায় একটু দেখ ত কিছু করতে পারিস কি না
রুমা: আচ্ছা আমি দেখছি তোর দুলাভাই ২দিন পর বাইরে যাবে তখন আমি কাজ টা করে দিবেন এই ২দিন আমি খুব বেস্ত থাকবো রে
মুন: ২দিন আচ্ছা ঠিক আছে তুই দেখ পারিস কি না চাবি কিন্ত আমার চাই যে কোনো মূল্যে
রুমা: ওকে আমি দেখছি ব্যাপারটা বাই পরে কথা বলছি
মুন: আচ্ছা বাই
মুন ফোনটা রেখে দিয়ে মুন খারাপ করে বসে আছে
মুন: ধুর আমার এর একটু সাবধানে করা উচিত ছিল রোদ যে এত সহজে আমায় চাবি পেতে দেবে সেটাই আমার ভুল কিন্ত রোদ চাবি পেলো কি করে
এসব ভাবতে ভাবতে মুন ঘুমিয়ে পড়ে
।
।
।
অফিসে
ম্যানেজার: স্যার এই ডিল টা যদি আমরা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের কোম্পানি ২বছর বন্ধ থাকলে ও কোনো লস হবে না তাই আমাদের এখন যেকোনো মূল্যে এই ডিল পেতে হবে
রোদ: রোদ আহমেদ চৌধুরী কখনো হারতে শিখেনি এই ডিল আপনারাই পাবো মিটিং কবে
ম্যানেজার: স্যার আরো কিছু দিন পর উনি দেশের বাইরে থাকেন তো
রোদ: ওকে আজ কোথায় মিটিং আছে ?
ম্যানেজার: স্যার রয়েল রেস্টুরেন্টে
রোদ: ওকে বেবস্থা করো
ম্যানেজার: জী স্যার
রোদ লেপটপে কাজ করে
রোদ: মুনের কি খবর খেয়েছে তো একবার ফোন করে দেখি (ফোন টা হাতে নিয়ে)
একবার ফোন করলো কিন্ত রিং হয়ে কেটে গেলো আবার ফোন করলো
রোদ: উফফ এই মেয়েটা এতো টেনশন দেয় ফোন ধরছে না কেনো
বলতে বলতে মুন ফোন রিসিভ করে
রোদ কিছু বলতে যাবে তার আগে
মুন: আরে কোন হনুমান এর পেটের সমস্যা যে আমার কাঁচা ঘুমটা নষ্ট করে দিল ভাই তোদের জন্য কি আমি ফোন কিনছি এতো ফোন দেওয়ার কি আছে পচা আলু , শুটকি মাছ আমার কতো সুন্দর ঘুম টা নষ্ট করে দিলি তোকে তো সামনে পেলে কুচি কুচি করে
আর কিছু বলার আগেই
রোদ: just shut up কি আবোল তাবোল বলছো মাথা গেছে স্টুপিড আর এখন কিসের ঘুম রাতে তো আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে সকাল পযন্ত ঘুমালে এখন আবার ঘুম তাই তো বলি রাতে ঘুমায় না কেনো এখন উঠ রাতে তোমাকে দেখছি ( ধমক দিয়ে)
মুন: আআআআআ
রোদ: কিহলো আবার কাদছ কেনো আবার কি হলো ?
মুন: আআআআআ
রোদ: আরে বলবে ত ( ধমক দিয়ে)
মুন: আপনি খুব খারাপ সব সময় শুধু আমাকে বকেন একটু ও ভালোবাসেন না আপনি খুব খুব খুব খারাপ
রোদ: বকার কাজ কেনো করো হুম?
মুন: আমি কিছু করিনা আপনি খারাপ আপনি শুধু শুধু আমায় বকেন শাস্তি দেন আমি একদিন অনেক দূরে চলে যাব তখন আমাকে হাজার ডাকলে ও আসবো না হ্ন
রোদ: একটা চর দেবো গালের একটা দাত ওর থাকবে না আমায় ছেড়ে কোথায় যাবে ঠেঙ ভেঙ্গে রেখে দেবো খুব সাহস বেড়েছে তাই না বাড়ি এসেনি তোমার হচ্ছে আজকে(রেগে)
মুন: আবার বকছেন আমি থাকবো না এখানে আমাকে বাবার বাসায় রেখে আসুন ( নেকা কান্না)
রোদ: মুন আমার কিন্ত খুব রাগ হচ্ছে আমার যদি এখন আসতে হয় মার কিন্ত একটা ও মাটিতে পড়বে না ( দাতে দাত চেপে)
মুন: আমার খুব খুদা লাগছে সেই কখন খেয়েছি আমি খাবো ( ভয়ে ভয়ে)
রোদ: এখন ও খাওনি কেনো ৪টা বাজে আর তুমি এখন ও খাওনি যাও আগে খেয়ে নাও
মুন: হ্ন ডেভিল
বলে মুন ফোন রেখে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
রোদ: যা খুশি বল সব তোমারই কিন্ত আমামর থেকে দূরে যাওয়ার কথা ভাবলে আমানত থেকে খারাপ কেউ হবে না
একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে রোদ মিটিং এর জন্য বেরিয়ে যায়
।
।
।
সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের মুনের ঘুম ভাঙ্গলো
মুন: আমি আজ কতক্ষন ঘুমাইছি সন্ধ্যা হয়ে গেছে খুদা ও লাগছে যাই আগে কিছু খেয়ে নিই
মুন উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ছাদে গেলো
আর আজকের কথা ভাবতে লাগলো
মুন: আমি চাবিটা যেই জায়গায় রেখেছিলাম রোদ তো কখনো হাত দেয় না আর সিসিটিভি ও তো লাগানো নেই ঘরে তাহলে রোদ ওটা নেবে কি করে নাকি আমার ভুলে কোথাও পরে গেছে সেটাই হবে থাক আবার চাবি বানাতে দিছি তো ২দিনের মধ্যে পেয়ে যাবো সমস্যা নেই একটু ধর্য ধরি নিশ্চয় ফল ভালো কিছু পাবো হ্ন । এবার থেকে সাবধানে চলতে হবে আমি একটু বেশি ক্যারেলেস
মুন ছাদে ফুল গাছ গুলোই পানি দিচ্ছে আর রোদকে বকে যাচ্ছে
মুন: নিজেকে কি ভেবেছে কি সব সময় শুধু বকবে নিজে তো সারাদিন বাইরে থাকে আর আমাকে এই জেলখানায় বন্দী করে রাখছে থাকবো না এই জেলখানায় । আচ্ছা উনি কি আমায় সত্যি ভালোবাসে যদি বাসে তাহলে এত কষ্ট দেয় কেনো। কেনো সব সময় বলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না আর উনার পরিবারে কি কেউ নেই আমি তো কখনো দেখিনি উনাকে কিছু বললে রাগ দেখায় বুঝি না কি আছে । আজ আসুক যদি আমাকে ঘুরতে নিয়ে না যায় তাহলে আব্বুর বাসায় চলে যাবো । সত্যি তো আব্বুকে কতদিন দেখি না বাসার সবাই কেমন আছেন কে জানে এই ডেভিল টা
একটা ফোন করে তাড়াতাড়ি আসতে বলি
মুন ফোন বের করে রোদকে ফোন দেয় কিন্ত রোদ ধরে নে বেশ কিছুক্ষণ পর একটা মেয়ে ধরে
মুন: হেলো
মেয়েটা: জী কে বলছেন ?
মুন: আপনি কে আর রোদ কোথায় ?
মেয়েটা: স্যার তো মিটিং করছে আপনি কে ?
মুন: কেউনা আপনার স্যার আসলে বলেন আমি ফোন করছি
বলে ফোন কেটে দেয়
মুন: কে ছিল ? রোদ কি আমায় ধোঁকা দিচ্ছে আরে না আমি ভুল ভাবছি রোদ ওমন না কিন্ত আআআআআ আব্ববুর কোথায় তুমি আমি থাকবো না এই ডেভিল এর কাছে
মুন ঘরে গিয়ে নেকা কান্না জুড়ে দেয়
।
।
।
রোদ মিটিং করে বেরিয়ে আসে
নেহা: স্যার আপনার ফোনে আসছিল?
রোদ: কে ফোন করছিলো?
নেহা: স্যার জানিনা বললো আপনি বের হলে আপনাকে দিতে
রোদ ফোনটা দেখে নেহার দিকে রাগী চোখে তাকায়
রোদ: তুমি কি পরতে পারো না? না কি তোমার চোখ নেই লেখা আছে মিষ্টি বউ আর ছবি ও তো দেওয়া আছে স্টুপিড তখন আমায় বললে না কেনো ?
নেহা: স্যার আমি আসলে
রোদ: get out( চিৎকার করে)
নেহা চলে যায়
রোদ: মুন ফোন দিল কেনো কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো রাত হয়ে গেছে তো ভয় পাচ্ছে না তো ফোন না করে কাজ শেষ বাড়ি যাই দেখি
রোদ তাড়াতাড়ি করে বাড়ির দিকে যায়
মুন বেলকলিনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছে
মুন: এখন ও ফোন দেইনি টা দেবে কেনো আমি উনার কে তাইতো হ্ন আসলে আর কথা বলবো না একটু ও না অনেক রাগ করছি সব সময় উনি রাগ করে আজ আমি করছি
একটু পর
মুন: এখন ও ফোন দেইনি নিশ্চয় ওই মেয়ের সাথে কিছু আছে কি থাকবে সারাদিন রাত তো আমার কাছে থাকে যাই হক ফোন দিলে কথা বলবো না হ্ন
মুন গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে তখনই রোদ ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
রোদ: সরি my love আমার একটু দেরি হয়ে গেল আজকে অনেক কাজ ছিল মেসেজ তো বলেছিলাম
মুন….
রোদ: কি হলো কথা বলছো না কেনো এখন ও রেগে আছো
রোদ মুন কে নিজের দিকে ফিরিয়ে দেখে চোখ মুখ ফুলে গেছে
রোদ: মুন তুমি কাদছিলে ?
মুন কিছু বলছে না
রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরে
রোদ: এই মুন তুমি কাদছ কেনো এই পাগলী আমি তো আছি কি ভয় করছে বলো আমায় কি হইছে এভাবে কেদো না প্লিজ
মুন: আপনি আমায় একটু ও ভালোবাসেন না সব সময় শুধু আমায় কষ্ট দেন ( কাদতে কাদতে)
রোদ: i am sorry jan আমি আর কখনও কষ্ট দেব না তুমি কেনো আমায় রাগাও বলো তো না রাগালে তো আর কষ্ট দি না
মুন: আমি রাগাই তাই না ওই মেয়ে কে ও কেনো আপনার ফোন ধরেছে আমার ফোন যদি অন্য কেউ ধরত তখন
রোদ: ওহ এবার বুঝছি কেনো ম্যাডাম এর কেনো এতো অভিমান ( গালে হাত দিয়ে)
মুন: হ্ন কেডা ও কেনো আপনার ফোন ধরছে আমায় তো আপনার ফোন ধরতে দেন না ও কেনো ধরলো কিসের সম্পর্ক ওর সাথে সত্যি কথা বলেন ( রোদের কলার ধরে)
রোদ: আরে ও আমার এসিস্ট্যান্ট জরুরি মিটিং ছিল তাই ওর কাছে ফোন ছিল এর বেশি আর কিছু না ( কোমর জড়িয়ে)
মুন: এসিস্ট্যান্ট ছেলে রাখা যায়না ?
রোদ: আরে বাবা ও আমার বোনের মত আর তোমার নিজের স্বামীর প্রতি এই বিশ্বাস তুমি যানো না আমি কেমন
মুন: আমার আপনার প্রতি বিশ্বাস আছে বলে কিছু বলিনি কিন্ত আপনি আমায় পরে ফোন করলেন না কেনো ওটাই আমার কষ্ট
রোদ: ওকে
বলে রোদ মুনের থেকে একটু দূরে গিয়ে কান ধরে বসে পরলো
রোদ: সরি my love আর কখনো এমন হবে না এবার থেকে তোমার ফোন আগে ধরবো
মুন: ঠিক আছে কিন্ত আমাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে ( রোদের হাত ধরে উঠিয়ে)
রোদ:আচ্ছা নিয়ে যাবো কিন্ত এখন না কিছুদিন পর
মুন: ওকে এবার যান ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার দিচ্ছি
রোদ: ওকে
বলে মুনের গালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে যায়
।
।
।
খাওয়া শেষে রোদ অফিসের কাজ করছে আর মুন রোদের ড্রেস গুছিয়ে আলমারিতে রাখতে গিয়ে একটা ওরনা নিচে যায় মুন ওটা তুলতে গিয়ে দেখে ওরনা পুটির কাজে চাবি আটকে আছে
মুন: পেয়ে গেছি ( জোরে চিল্লিয়ে)
রোদ লেপটপে রেখে মুনের দিকে তাকিয়ে বলে
রোদ: কি পেয়েছ? ( ভ্রু কুচকে)
মুন: এই রে ধরা পড়ে যাবো তো ( মনে মনে)
রোদ মুনের কাছে গিয়ে মুনের কাধে হাত রাখে
রোদ: কি হলো কি পেয়েছ ?
মুন: আসলে এই ওরনা টা হারিয়ে গিয়েছিল আর আমার খুব পছন্দের তাই আজ পেলাম আপনার কাপড়ের সাথে ছিল
রোদ: ওহ এই ব্যাপার পাগলী একটা ওরনা তো
মুন: এটা আমার কাছে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট আপনি যান আমি এটা রেখে আসছি
রোদ বিছানায় বসে লেপটপে কাজ করছে
মুন চাবিটা ওর গহনার ভিতর রেখে বিছানায় যায়
মুন: তাহলে ওটা কাল তাড়াতাড়ি রেখে দিয়েছিলাম আর আজ যখন সব উলোট পালোট করছিলাম তখনই ওরনা কানির সাথে আটকে গিয়েছিলো ওকে কালই আমি রোদ নামক রহস্যের সমাধান করবো (মনে মনে)
রোদ: কিহলো কি ভাবছো শুয়ে পরো ?
মুন: হুম
মুন শুয়ে পড়ে সাথে রোদ ও
বেশকিছুক্ষণ
পর মুনের তো ঘুম আসছে না সারাদিন মরার মত যা ঘুমিয়েছে
মুন এপাশ ওপাশ করছে
মুন: ধুর বাবা ঘুম আসছে না রোদকে ডাকবো ডাকি
মুন রোদকে ডাকছে কিন্ত রোদ উঠছে না
মুন: রোদ উঠুন না আমার ঘুম আসছে না প্লিজ উঠুন
(লেখিকা:আরে ভাই তোর ঘুম আসছে না তো রোদ কি এখন ড্যান্স করবে সারাদিন মরার মত ঘুমাতে কে বলেছিল ঢং দেখে বাচি না এমনিতেই ধারাবাহিক নাটক শুরু হইছে তুই আবাব নাটক করলে গল্প থেকে বের করে দেবো)
রোদ: মুন প্লিজ ঘুমাতে দাও আজ অনেক কাজ ছিল অফিসে একটু ঘুমাতে দাও
মুন মন খারাপ করে শুয়ে আছে
রোদ উঠে মুনের হাতে ফোন দেয়
রোদ: এই নাও নেট আছে স্টোরি পরো গান শুন যা খুশি করো আপনাকে ঘুমাতে দাও কাল থেকে তোমার সাথে জাগবো কেমন
মুন রোদের গালে একটা চুমু দিয়ে ফোন টিপতে থাকে
রোদ মুচকি হেসে মুনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে
( বিয়ের পর আমি ও আমার ঘুম না আসলে জামাইকে নিয়ে গল্প করবো হি হি )
মুন স্টোরি পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে
।
।
।
সকালে
মুন উঠে দেখে রোদ এখন ও ঘুমাচ্ছে মুন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে রান্না করতে যায়
মুন: এই কইদিন উনাকে বাইরের খাবার খেতে হইছে আমি থাকতে আর না শরীর খারাপ করলে আজ আগে উঠছি রান্না করে উনাকে ডাকতে হবে
মুন রান্না শেষ করে রোদকে ডাকতে যায়
মুন: রোদ উঠুন আপনার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে
রোদ পিটপিট করে মুনের দিকে তাকিয়ে একটা ভুবন ভুলানো হাসি দেয় এই হাসিতে হাজার মেয়ে পাগল যেমন আমার পাঠক
রোদ উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়ে
মুন বাড়ির সব কাজ করে
আলমারি থেকে চাবি বের করে যেই সামনে তাকায় মুনের আত্মা কেপে উঠে
গল্পঃ#Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৯
মুন সামনে তাকিয়ে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে মুনের তো জান যায় যায়
রোদ আস্তে করে মুনের দিকে এগিয়ে আসতে মুন তত পিছিয়ে যাচ্ছে
রোদ মুনের একদম কাছে এসে মুনের কপাল থেকে পরে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দেয়
রোদ: কি ব্যাপার তোমাকে এমন লাগছে কেনো কি হয়েছে ?
মুন: কই কিছু না হটাৎ আপনাকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আপনি এই সময় ( তুটলিয়ে)
মুন কথা বলতে বলতে চাবিটা কোমরে গুজে নেয়
রোদ: তাই আমার তো তাই মনে হচ্ছে তোমার মুখ তো অন্য কিছু বলছে ( ভ্রু কুচকে)
মুন: আমার মুখের ভাষা যদি বুঝতেন তাহলে এভাবে একা রেখে অফিসে যেতেন না ( গাল ফুলিয়ে)
রোদ: আচ্ছা তাহলে আজকে ম্যাডামের জন্য আমি অফিস যাবো না সারাদিন বাসায় থাকবো কেমন ?
মুন: এই রে উনি বাসায় থাকলে তো হবে না ( মনে মনে) থাক আর অফিস বন্ধ দিতে হবে না আপনি যান কিন্ত তাড়াতাড়ি আসবেন ( মেকি হাসি দিয়ে)
রোদ: না আজ আমি আমার বউকে ছেরে যাবো না
মুন: কি করি এখন নিজের জালে নিজে ফেঁসে গেলেন ( মনে মনে)
রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে মুনকে কোলে নেয়
রোদ: আমি জানি তুমি চাবি খুঁজছো কিন্ত তুমি ওটা কখনো পাবে না আমি কোনো মূল্যে তোমাকে জানতে দেবো না ( মনে মনে)
মুন: উনি এখন না গেলে কি করে হবে উনি যদি আমার কাছে আসতে গিয়ে চাবি দেখে ফেলে তখন না না কিছু একটা করতে হবে ( মনে মনে)
রোদ আস্তে আস্তে মুনের ঠোঁটের দিকে যেতে গেলে তখনই রোদের ফোন বেজে উঠে
রোদ: উফফ এই ফোনটা ( বিরক্তি নিয়ে)
রোদ ফোনটা নিয়ে বেলকনিতে চলে যায়
মুন তাড়াতাড়ি চাবিটা অন্য জায়গায় রাখে
একটু পর রোদ এসে মুনকে বলে
রোদ: মুন আমাকে যেতে হবে অফিসে একটা ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে আসতে একটু দেরি হবে তুমি একটু সাবধানে থেকো ভয় করলে আমাকে ফোন দিও কেমন আমি যাচ্ছি
রোদ তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে গেলো
মুন উঠে দাড়ায় তখন আবার রোদ এসে মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে
রোদ: সাবধানে থেকো আর আমি যা যা বারন করি সেসব করতে যেও না ফল ভালো হবে না আসছি
মুন খুব ভালো করে বুঝতে পারছে রোদ কি বলতে চাইছে
মুন: আমি তো জেনেই ছাড়বো আপনি যদি আমায় মেরে ফেলেন তাহলে ও ভুত হয়ে সব দেখবো
মুন বাড়ির মেইন দরজার কাছে গিয়ে সার্ভমেন্ট দের বলে যেনো সে ছাড়া আর কেউ এই দরজা না খুলে।
মুন ঘরে গিয়ে চাবি নিয়ে study রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়
মুন: এখানে ৩টা আলমারি বুঝি না এতো কি কাজে লাগে আচ্ছা এক এক করে চাবি দিয়ে দেখি
মুন প্রথম টাই দিয়ে দেখলো খুললো না পরের টাই ও একই অবস্থা শেষে এই তাই
মুন: আল্লাহ প্লিজ এটা যেনো খুলে প্লিজ
মুন দোয়া দুরুদ পরে চাবি দিয়ে খুলার চেষ্টা করলো কিন্ত খুললো না
মুন: এটাই ও হলো না তাহলে আর তো দেখছি না ধুর ভালো লাগে না
মুন চারিদিক খুঁজতে লাগলো কিন্ত কোথাও কিছু পেলো না মুন ফিরে আসতে গেলে হটাৎ ওর চোখ একটা কুনায় যায় । মুন কি আছে দেখার জন্য সামনে যায়
আর গিয়ে দেখে একটা বড়ো বাস্ক টাইপের কিছু কাছে থেকে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না
বাস্কটা এমন ভাবে সাজানো মনে হবে এখানে কিছুই নেই
মুন কি মনে করে
মুন চাবিটা টা দিয়ে বাস্ক টা খুলার চেষ্টা করলো সাথে সাথে খুলে গেলো। দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক পুরনো
মুন বাস্ক টা ভালো করে দেখে ওখানে ছোটো বাচ্চার জামা কাপড় আর কিছু ছবি
মুন ছবিটা হাতে নিয়ে দেখে এটা তো রোদের মত লাগছে নিল চোখ আর পাশে একটা মহিলা আর একজন লোক
মুন: এটা কি রোদের ছোটবেলার ছবি আর এনারা কি রোদের আব্বু আম্মু
মুন আরো চেক করছে হটাৎ মুনের চোখে একটা ডায়েরি পরলো
মুন: এটা কিসের ডাইরি আমার সব প্রশ্নের উত্তর এখানে থাকতে পারে কিন্ত এটা তো পাসওয়ার্ড দেওয়া এখন এর পাসওয়ার্ড কই পাবো ।
মুন কিছুক্ষণ ডায়েরি টা দেখে বস্কটা ভালো করে দেখতে লাগলো । ওখানে শুধু একটা বাচ্চা ছেলের জামা কিছু ছবি আর এই ডায়েরি টা
মুন ডায়েরি টা নিয়ে বস্ক টা আবার আগের জায়গায় রেখে দিল
।
।
।
মুন ডায়েরি টা নারা চারা করছে যদি কোনো ক্লু পাওয়া যায়
শেষে মুন হতাশ হয়ে ডায়েরি টা একটা safe জায়গায় রেখে বিছানায় শুয়ে পরলো
মুন: ধুর কি করবো কি করে এই ডায়েরির password বের করবো এতো যখন আসতে পেরেছি তখন এটার পাসওয়ার্ড ও ঠিক পাবো
মুন এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে
রোদ অফিসে বসে বসে মুনের কথা ভাবছে
রোদ: কোনো দিন যদি মুন সব জানতে পেরে যায় তখন আমি কি করবো ও যদি আমায় ছেড়ে চলে যায় না না আমি এসব কি ভাবছি আমার মুন অনেক ছেরে কোথাও যাবে না আমি যেতে দেবো না
এসব কথা ভাবতে ভাবতে নেহা আসে
( আমার পাঠক দের ধর্য নেই বুঝতে পারছি রোদকে অনেকের পছন্দ হচ্ছে না কিন্ত রোদ যা করছে ঠিক করছে আপনার লাইফ এমন কিছু হলে বুঝতেন যেদিন রোদের অতীত জানতে পারবেন সেদিন এই কথা গুলো বলবেন না । রোদের অতীত বের করব খুব তাড়াতাড়ি ওর অতীত লিখতে গেলে একটু টাইম লাগবে )
নেহা ওর কাজ করে চলে যায় । আর রোদ লেপটপে কাজ করছে
মুন ঘুম থেকে এক লাফে উঠে দেখে রোদ ওর দিকে তাকিয়ে আছে হা করে
মুন: আপনি কখন এলেন ?(চোখ ডলতে ডলতে)
রোদ: যখন তুমি গভীর ঘুমে ছিলে তাই তো বলি কেনো রাতে ঘুম আসে না নিজে তো দুপুর ঘুমিয়ে আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দাও
মুন: যেদিন আমি অনেক দূরে চলে যাবো তখন বুঝবেন ( আনমনে )
মুহুর্তেই রোদের চোখ মুখ লাল হয়ে যায়
মুন তো রোদের দিকে তাকিয়ে একটা শুকনো ঢক গিলে রোদকে জড়িয়ে ধরে
মুন: আপনি রেগে যাচ্ছেন কেনো আমি তো এমনি বললাম আপনি তো বলেছিলেন আমার সব কিছু আপনার মধ্যে যেনো সীমাবদ্ধ থাকে তাই তো আমি আপনার সাথে মজা করছিলাম ( আমতা আমতা করে)
রোদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে
রোদ: আমি এক কথা বার বার বলতে পছন্দ করি না এমন কিছু করো না যাতে আমাকে তোমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে হয় আমার হিংস্র তাকে বাইরে এনো না( দাতে দাত চেপে)
কথাটা বলে রোদ উঠে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায় যাওয়ার আগে আবার বলে।
রোদ: রেডী হয়ে নাও আমার ফ্রেন্ড দের রিসিপশন আজকে রাতে ওখানে থেকে কাল চলে আসবো
মুন : এই রে অনেক রেগে গেছে কেনো যে বার বার রাগিয়ে দি এমনিতেই আমার বর টা ভালো কিন্ত রাগলে ওকে রাগ ভাঙ্গিয়ে দেবো
রোদ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে মুন ঘরের অবস্থা বেহাল করে রাখছে
রোদ: এসব কি সব জামা কাপর এভাবে ফেলে রাখছো কেনো ?
মুন : আরে আপনি আসছেন দেখেন না আমি বুঝতে পারছি না কি পড়বো আপনি একটু হেল্প করেন না প্লিজ ( কিউট ফেস করে)
রোদ একবার মুনের দিকে তাকিয়ে ড্রেস দেখতে থাকে
কিছুক্ষণ দেখার পর রোদ একটা মিষ্টি কালার এর গাউন মুনের হাতে দিয়ে বলে
রোদ: এটা পরো এটাই তোমায় খুব সুন্দর লাগবে
মুন ও খুশি মনে রোদের হাত থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে যায়
একটু পর বেরিয়ে দেখে রোদ ও রেডী
।
।
।
২জন রেডী হয়ে বেরিয়ে পড়লো
গাড়ি চলছে আপন গতিতে কারোর মুখে কোনো কথা নেই
বেশ কিছু দুর যাওয়ার পর
মুন হটাৎ চিৎকার করে
মুন: গাড়ি থামান ( চিৎকার করে)
মুনের চিৎকারে রোদ তাড়াতাড়ি গাড়ি ব্রেক করে
চলবে
চলবে
( আজকের পার্ট অনেক খারাপ হইছে জানি আর আবহাওয়া খুব খারাপ আমার story টা ও। প্রাইভেট এর একটু চাপ ছিল বানান ভুল হলে মাফ করবেন তাড়াতাড়ি লিখি তো তাই)