Mr Devil part 39+End part

গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৩৯

আরিয়ান মাটিতে পড়ে আছে। মুন পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে।

নাহিদ রহমান আরিয়ানকে তুলতে যায়। মুন দৌড়ে রোদকে জড়িয়ে ধরে।

মুন : আমি জানতাম আপনার কিছু হবে না চলুন এখান থেকে পালিয়ে যায় নাহলে ওরা আমাদের মেরে ফেলবে (কাদতে কাদতে)
রোদ : তোমার কি নিজের বরের উপর এই টুকু বিশ্বাস নেই খেলা শেষ না করে কি তোমার বর যেতে পারে বলো(ডেভিল স্মাইল দিয়ে)
মুন : মানে
রোদ : সব কিছুর আনসার পাবে

মুন ওরনা দিয়ে রোদের রক্ত মুছে দিচ্ছে। নাহিদ আরিয়ানকে উঠিয়ে রোদের দিকে ক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে

নাহিদ : তোমার সাহস কি করে হয় আমার ছেলের গায়ে হাত দেওয়ার
রোদ : আপনার সাহস কি করে হয় আমার জিবন নিয়ে খেলার । আমার কাছ থেকে আমার ছোটো বেলা কেরে নিচ্ছেন আমার সব খুশি কেরে নিচ্ছেন আমার বাবার সব কিছু কেরে নিয়ে আমাকে অনাথ বানিয়ে দিয়েছেন । জানেন কত কষ্ট করে আমি এই জায়গায় আসছি মানুষ এর বাসায় কাজ করে করে নিজের পড়াশুনার খরচ চালিয়েছি। এমন ও দিন গেছে আমি না খেয়ে কাটিয়েছি কোনো idea আছে আপনার । আপনার জন্য শুধু মাত্র আপনার প্রতিশোধের জন্য আমার জিবন থেকে সব চলে গেছে এখন আবার আমার থেকে আমার বাচার ইচ্ছা কেরে নিতে চান এতো ঘৃনা কেনো (চিৎকার করে)
নাহিদ : আমি তোমার সাথে কিছু করতে চাইনি কিন্ত আমি নিজের প্রতিশোধ নিতে চাইছিলাম আর আমি জানতাম না তুমি নাহিল ভাইয়ার ছেলে । আরিয়ান যখন আমাকে সব বলে তখন তোমার বাবার নাম ও বলে । আমি মনে করেছিলাম তুমি তোমার বাবার মতো । আর আরিয়ান আমার খুব আদরের সন্তান ওর সব আবদার আমি পূরণ করি।
রোদ : হা তাই তো অন্যের বউকে ও ছাড়লেন না । মুন শুধু আমার বউ না আমার ভালোবাসা আমার সব কিছু ওকে না পেলে আমি কবেই মারা যেতাম । আপনার খেলা শেষ

নাহিদ আর আরিয়ান জোরে হেসে উঠে । আরিয়ান হাসি থামিয়ে বলে

আরিয়ান : এতো সহজে তুই আমার আব্বুর খেলা শেষ করবি এতই সহজ তোর কিছু করার নেই boy’s come on

আরিয়ানের কথা অনুযায়ী কিছু লোক রোদকে ঘিরে ফেলে আর ওর মাথায় বন্দুক তাক করে।

নাহিদ : কি কেমন দিলাম ?
আরিয়ান : মুন তুমি চলে এসো ওর সাথে থেকে নিজের জিবন নষ্ট করো না

মুন ধির পায়ে আরিয়ানের কাছে যায়। আরিয়ান তো সেই খুশি

আরিয়ান : দেখ রোদ আজ তুই হেরে গেলি তোর ভলোবাসা ও আমার কাছে ধরা দিল।

মুন আরিয়ানের সামনে গিয়ে আরিয়ানকে চর মারে।

মুন : তোদের মত মানুষ কে দেখলে আমার লজ্জা করে যে তোদের মত জানোয়ারকে আমাদের মত মেয়েরা পৃথিবীতে এনেছে ছি । লজ্জা করে না নিজের সব থেকে কাছের বন্ধুর সাথে এমন করতে আরে তুই তো ওর শত্রুর যোগ্য না । আমি গর্ব বোধ করি যে রোদ আমার স্বামী আর নাহিল চৌধরী আমার শশুর ।

আরিয়ান মুনের হাত ধরে। মুন আর একটা চর মারতে হাত উঠতে গেলে নাহিদ মুনের গলা চেপে ধরে।

নাহিদ : অনেক কথা বলেছিস অনেক ক্ষণ ধর
আরিয়ান : আব্বু ওকে ছেড়ে দাও ওর কোনো দোষ না সব এই রোদের দোষ। রোদ আমার মুনকে ভুল বুঝিয়েছে ।
নাহিদ : ঠিক বলেছিস আগে এর খেলা শেষ করতে হবে

নাহিদ ওর লোকদের বলে রোদের উপর অ্যাটাক করতে।

রোদ একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে বলে

রোদ : খেলা ঘুরে গেছে boy’s attack them

রোদের কথা মত নাহিদ এর সব লোক নাহিদ আর আরিয়ানকে ধরে ফেলে।

নাহিদ : এসব এর মানে কি (অবাক হয়ে)
রোদ : মানেটা আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি

রোদ নিজের মুখ রুমাল দিয়ে মুছে মুনের কাছে যায়।

রোদ : তুমি ঠিক আছো ?

মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে।
রোদ : ভয় নেই কিছু হবে না আমি আছি তো

রোদ নাহিদ আর আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে টেডি স্মাইল দেয়।

রোদ : বলেছিলাম না শেষ আমি করবো তুমি যদি আমার লোকদের কিনে নিতে পারো তাহলে আমি কেনো তোমার ভাইয়ের ছেলে হয়ে বেশি টাকা দিয়ে কিনতে পারব না। আমি আগে থেকেই সব জেনে গিয়েছিলাম কিন্ত এর পিছনে কি কারণ ছিল সেটা জানার জন্য তোমাদের এতো মার খেয়েছি । তোমরা কি ভাবো এতই বোকা আমি যে আরিয়ানকে কোনো গার্ড ছাড়া রেখে দেবো আমি জানতাম ওর সাথী আসবে ওকে নিতে তাইতো তেমন কোনো গার্ড দেইনি যাতে তুমি ওকে নিয়ে যেতে পারো আর আমি তোমার ধরতে পারি। তুমি যখন আমার মাথায় বন্দুক ধরেছো তখনই আমি মুনকে বলি তোমাদের কথার জালে রাখতে মুন তাই করলো আর আমি তোমার লোকদের দ্বিগুণ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। এখন কি করবে
নাহিদ : you
রোদ : রেগে লাভ নেই তোমার খেলা শেষ ।

রাজ : আমরা এসে গেছি

রোদ তাকিয়ে দেখে রাজ পুলিশ কে নিয়ে এসেছে।

রোদ : অফিসার এই নিন সব প্রমাণ (পকেট থেকে ফোন বের করে দিয়ে)
ভেবেছিলাম তোমার শাস্তি আমি দেবো কিন্ত আমার আব্বু এই শিক্ষা দেইনি যে বড়দের অসম্মান করবো তাই তোমার শাস্তি পুলিশ দেবে ।
অফিসার: কনস্টেবল এদের ধরো।

আরিয়ান ছুটে মুনের কাছে যায়।

আরিয়ান : মুন আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না বিশ্বাস করো তুমি প্লিজ আমার আছে চলে এসো তুমি যা বলবে আমি তাই করবো তোমাকে ছাড়া আমার এই জিবন বিথা(করুন কণ্ঠে) আমি যা করেছি সব তোমাকে পাওয়ার জন্য বিশ্বাস করো

মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে।

মুন : আমি শুধু রোদকে ভালোবাসি ।

আরিয়ান চিৎকার করে কেঁদে উঠে।

সত্যি ভালোবাসার জন্য মানুষ কি না করতে পারে কেউ ভালোবাসার জন্য জিবন দেয় আবার কেউ জিবন নেয়। আরিয়ানের ভালোবাসা মিথ্যে ছিল না । আরিয়ানের জায়গায় যে কেউ থাকলে তাই করতো আরিয়ান ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাই সে ভুল সঠিক দেখতে পারেনি।

পুলিশ আরিয়ানকে নিয়ে যায়।

রাজ পুলিশের সাথে কথা বলছে। মুন রোদের মুখ মুছে দিচ্ছে।

মুন : রোদ এখন ও একটা কাজ বাকি আছে
রোদ : কি (ভ্রু কুচকে )
মুন : আসলে

তখনই নাহিদ চিৎকার করে বলে
নাহিদ : রোদ আমি তোকে ছাড়বো না তোর জন্যে আমার ছেলে কষ্ট পাইছে এই মেয়েকে আমি মেরে ফেলবো ।

নাহিদ গান বের করে মুনের দিকে বন্দুক তাক করে।

রোদ মুনকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। নাহিদ গুলি করে।

মুন : রদ্দ্ড্ডড্ড্ড (চিৎকার করে)

মুনের চিৎকারে সবাই মুনর দিকে তাকায় রাজ ছুটে রোদের কাছে যায়। মুনের যেনো পুরু পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেছে । মুনের চোখে রোদ ঘুরছে।

মুন : রোদ

চলবে
গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা :নুসরাত জাহান অংকুর
অন্তিম পার্ট

রোদের সামনে একজনের নিথর দেহ পড়ে আছে । মুন দেহ তাকে ধরে কাদচে ।

মুন : রোদ এনি আপনার আম্মু চিনতে পারছেন না। নাহিদ আংকেল আপনার আম্মুকে নিজের কাছে রেখেছিলেন এতো বছর ।

রোদের কানে যেনো কোনো কথা যাচ্ছে না রোদ পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছে।

একটু আগে নাহিদ যখন গুলি করে রোদের সামনে নীলিমা এসে দাড়ায় নাহিদ পর পর গুলি করায় নীলিমা মারা যায় শেষে একটা কথা বলে আপনাকে মাপ করে দিস বাবা।

নাহিদ কে পুলিশ ওখানে গুলি করে নাহিদ মারা যায় । নাহিদ এর বডি পুলিশ নিয়ে যায় ।

মুন নীলিমাকে ধরে করছে রোদ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না । যে মা কে ও এতো বছর ঘৃনা করে আসছে আজ এতদিন পর ওর সেই মা ওর সামনে এসে দাড়ালো তাও এভাবে ।

রাজ রোদের কাধে হাত রেখে বলে
রাজ : কি ভাবছিস রোদ যা শেষ বার তোর আম্মুকে জড়িয়ে ধর যা।

রোদ চুপ করে দাড়িয়ে আছে কোনো কথা তার কানে যাচ্ছে না ।

মুন : রোদ একবার মামনির কাছে আসুন সব কিছু ভুলে যান এখন আর রাগ করে ও কি হবে মামনি তো আর নেই প্লিজ আসুন (কাদতে কাদতে)
রাজ : রোদ যা

রোদ মাটিতে বসে পড়ে । আজ ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কিসের জন্য যে মাকে ও ঘৃনা করতো তার জন্য নাকি অন্য কিছু । রোদ জানে না । রোদ ওর মায়ের মাথা নিজের কোলে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে । রোদ যে সখে পাথর হয়ে গেছে সেটা মুন বুঝতে পারছে। রোদ ওর আম্মুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে কাদচে

সেদিন আরিয়ানের বাসায় মুনের সেন্স ফেরার পর মুনের সব মনে পড়ে যায়। আরিয়ানের আম্মুকে দেখে মুন চিনতে পারে কারণ রোদের ডাইরিতে রোদের আম্মুর ছবি ছিল। মুন নীলিমাকে সব বলে । তাই নীলিমা ছুটে আসে রোদকে দেখতে নিজের ভুল শোধরাতে । রোদকে এই অবস্থায় দেখে নীলিমা নিজের জিবন দিয়ে রোদকে রক্ষা করে ।

৬মাস পর
রোদ : মুন তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে নাও
মুন : একটু wait করেন আমি রেডী হচ্ছি
রোদ : তাড়াতাড়ি আমাকে যদি আসতে হয় তাহলে তোমর কপালে দুঃখ আছে
মুন : উফফ এই খাটাস টা কখনই ভালো হবে না (বিড়বিড় করে )
রোদ : কি বললে
মুন : কই কিছু না তো (ভয় পেয়ে)
রোদ : হুম তাড়াতাড়ি বের হও

কিছুক্ষণ পর মুন বের হলো
রোদ আয়নায় চুল ঠিক করছিলো মুনকে দেখে চোখ সরাতে পারছে না । আজ আবার মুন সারী পরছে কিন্ত রোদের এনে দেওয়া শাড়ি সেদিন এর পর থেকে মুন এর আর সাহস নেই ।

রোদ মুনের কাছে গিয়ে মুনের কোমর জড়িয়ে ধরে।

রোদ : আমাকে তো তুমি মেরে ফেলবে এতো সুন্দর হয়ে কেউ আসে। এতো কিউট কেনো হাম
মুন : ছাড়ুন আপু চলে আসবে
রোদ : উহু কেউ আসবে না

বলতে বলতে রানী কাশি দিল। রোদ মুন দুজনেই সরে গেলো।

রানী : আজ থেকে তোমরা যত খুশি রোমান্স করো আমি বাধা দিব না বুঝছো

মুন তো লজ্জায় লাল নীল সব রং হচ্ছে।
রানী : হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না তাড়াতাড়ি চলো।
মুন : হুম

মুন রানীর সাথে বেরিয়ে যায় রোদ ও পিছন পিছন আসে।

গাড়িতে রোদ আর রাজ সামনে বসছে আর মুন রানী পিছনে গল্প করছে ।

মুন : খুব মিস করবো তোমাকে (রানীকে জড়িয়ে ধরে)
রানী : আমিও যদি ওর কাজ ইম্পর্ট্যান্ট না হতো তাহলে যেতাম না তবে চিন্তা করিস না তোর জন্য অনেক কিছু আনবো।
মুন : আমার কিছু লাগবে না তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো
রানী : আসবো আমার বোনকে ছাড়া কি আমি একা থাকতে পারি ।

ওদের গল্পের মাঝে এয়ারপোর্ট চলে আসছে।
যাওয়ার আগে রানী মুনকে জড়িয়ে ধরে মুন তো রানীকে জড়িয়ে ধরে কান্না ।

সত্যি বলতে সম্পর্ক রক্তের না হলেও মাঝে মাঝে রক্তের চেয়ে আপন হয়ে যায়।

রানী আর রাজ চলে গেলো। মুন গাড়িতে বসে বাইরে দেখছে রোদ টিসু মুনের দিকে এগিয়ে দিল।

রোদ : এতো কান্নার কি আছে কিছু দিন পর তো চলে আসবে
মুন : হুহ
রোদ : এখন কান্না থামাও নাহলে কিন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেবো
মুন : কি খাটাস রে বাবা কই সান্তনা দেবে টা না ধমকাচ্ছে (মনে মনে)

একটু পর রোদ গাড়ি ব্রেক করে ।
রোদ : তুমি বসো আমি আসছি
মুন : না আমি যাবো।
রোদ : আচ্ছা চলো

রোদ মুনের হাত ধরে কিছু চকোলেট আর আইসক্রিম কিনলো। মুন তো সেই খুশি । বাড়িতে চকোলেট আছে কিন্ত মুনের আছে বেশি দিন টেকে না ।

রোদ মুনের হাত ধরে আসছিল তখন একটা মেয়ে রোদকে জড়িয়ে ধরে। মুনের তো ইচ্ছা করছে মেয়ে টাকে খুন করতে ।

রোদ নিজেকে ছাড়িয়ে দেখে তানিয়া ।

(এই ছেরি আবার আইছে বুঝছি জুন আন্টির মতো স্রিময়ির হাতে মার খাওয়ার খুব সখ । টেনশন নোট আমি আছি তো)

রোদ : তুই এখানে (অবাক হয়ে)
তানিয়া : হা এখান থেকে যাচ্ছিলাম তোমাকে দেখে দাড়িয়ে গেলাম। কেমন আছো?
রোদ : ভালো তোর কি অবস্থা ?

মুন রোদের হাতে চিমটি কাটে। রোদ বুঝতে পারে।
তানিয়া : আল্লাহ যেমন রাখছে
মুন : বাবা এ তো ভূতের মুখে আল্লাহ নাম ভাবা যায় (মনে মনে)
তানিয়া : আরে মুন কেমন আছো এখন ও রোদের সাথে ?
মুন : কেনো আপনি কি মাসে মাসে হাসব্যান্ড চেঞ্জ করেন
তানিয়া : এটা কেমন প্রশ্ন আমার তো বিয়ে হয়নী
মুন : না আপনি বললেন তো যে এখন ও রোদের সাথে তাও ভাবলাম আপনি মনে হয় মাসে মাসে change করেন তাই আমাকে বলছে।
তানিয়া : আরে আমি বলছি যে এই সময় রোদের সাথে কি করছো।
মুন : বিয়ে করেন বুঝতে পারবেন
তানিয়া : আর বিয়ে যাকে ভালোবাসলাম সে বুঝল না দেখি তার কাউকে পাই কি না
মুন : আচ্ছা আপনি খুঁজেন আমরা যাই কেমন
তানিয়া : আচ্ছা ঠিক আছে বাই রোদ

রোদ কিছু বললো না মুনের রোদের দিকে একটা রাগী লুক নিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলো ।

রোদ গাড়ি চালাচ্ছে আর আড়চোখে মুনের দিকে তাকাচ্ছে।

রোদ : এতো গরম কেনো উফফ (মুনকে খোচা দিয়ে)
মুন : লজ্জা করে না বউ কে পাশে রেখে অন্য মেয়ে কে জড়িয়ে ধরতে
রোদ : আরে আমি কি ধরছি নাকি ও তো হুট করে
মুন : বুঝি বুঝি সব বুঝি
রোদ : আচ্ছা আর বুঝতে হবে না তুমি বাসায় যাও আমি একটু পর আসছি
মুন : আবার কার সাথে লুচি গিরি করতে যাবেন
রোদ : ছি কি সব ভাষা আমার কাজ আছে ।

মুন ভেংচি কেটে গাড়ি থেকে নামলো। রোদ মুচকি হেসে গাড়ি অন্য দিকে ঘোরালো।

মুন বাসায় এসে বক বক করে যাচ্ছে । আলমারি গুছাতে গিয়ে হটাৎ রোদের ডাইরি চোখে পরলো।

মুনের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো । সেদিন রোদ একদম পাথর হয়ে গিয়েছিল মুখ দিয়ে কোনো কথা বের করেনি যাকে এতো ঘৃনা করে তার মৃত্যু সহ্য করে পারেনি ।

নীলিমা চৌধুরীর সব কাজ রোদ নিজের হাতে করে এমন কি কবরে ও নিজে হাতে শুয়ে দেয়। সব কাজে যেনো রোদ চুপ করে ছিল।

নীলিমার মারা যাওয়ার ১সপ্তাহ পর্যন্ত রোদ চুপ ছিল মুন হাজার চেষ্টা করে ও রোদকে স্বাভাবিক করতে পারেনি । আপন মানুষের চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারে না । আস্তে আস্তে রোদ স্বাভাবিক হয়। একদিন তো মুনকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেদেছিল। সেদিন মুন আর আটকায় নি ।

আমরা কাছের মানুষের উপর যতই রাগ করি না কেনো সে সামনে আসলে আমাদের মন নরম হয়ে যায়।

সেইসব কথা মনে পরতেই মুনের চোখ ভিজে আসলো।

মুন : এই ডাইরিটা এখন আর রেখে লাভ নেই ।

মুন ডাইরিটা সেই বস্কের ভিতর রেখে আসে।

মুন বারান্দায় দাড়িয়ে আছে বাইরের প্রকৃতি দেখছে। হটাৎ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।

মুন : এতো তাড়াতাড়ি আসলেন যে ?
রোদ : বউকে ছাড়া কি থাকতে পারি

রোদ মুনের সামনে একটা খাম ধরে
মুন : কি এটা?
রোদ : খুলে দেখো

মুন খুলে দেখে ওর চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসে। মুন রোদের দিকে তাকিয়ে আছে।

রোদ : ইয়েস মিসেস রোদ চৌধূরী । আমাদের প্রিন্সেস বা প্রিন্স আসছে ।

মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে সাথে রোদ ও।

রোদ : আজ আমি অনেক খুশি অনেক। তুমি আমার লাইফে না আসলে ভালোবাসা কি সেটা বুঝতাম না । ভালোবাসার আসল মানে বুঝতাম না তুমি আমার জিবনে জান্নাতি নুর হয়ে আসছো। খুব ভালোবাসি খুব ভালোবাসি
মুন : আমি ও আমার #ডেভিল_হাসব্যান্ড কে ভালোবাসি
রোদ : আমি আমার সন্তান কে আমার মত কষ্ট পেতে দেবো না কিছুতেই না । ওকে আমি পৃথিবীর সব সুখ দেবো ।

মুনের পেটে চুমু খেয়ে।
মুন লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে ।

রোদ : চলো খেয়ে নিবে অনেক বেলা হইছে
মুন : হুম
রোদ : এখন থেকে আমি যা বলব তাই করতে হবে বুঝছো।
মুন : আস্ত খাটাস সব কথা শুনি আবার বলছে এখন থেকে শুনতে (মনে মনে)
রোদ : ওতো বকে লাভ নেই আমি সেই আগের ডেভিল আছি তোমার #মিস্টার_ডেভিল

৪বছর পর

রোদ ঘুমিয়ে আছে । আর রোদের দাড়ি কেউ টেনে দিচ্ছে।

রোদ : আহা মুন ঘুমাতে দাও তো (বিরক্তি নিয়ে)

কিছুক্ষণ পর আবার রোদের দাড়ি আর চুল ধরে টানছে ।

রোদ বিরক্তি নিয়ে চোখ খুলে দেখে একটা ৩বছরের মেয়ে।

রোদ : আম্মু তুমি এখানে পাপাই কে distrub করছ কেনো? (মেয়ে টাকে কলে নিয়ে)
তোহা: পাপা আমি কিছু করিনি মাম্মা আমাকে উঠাতে বলেছে

বলতে বলতে মুন রুমে আসে।

মুন : কি হলো ?
রোদ : তুমি ওকে আমার চুল আর দাড়ি ধরে টানতে বলেছ (রাগী ভাব নিয়ে)
মুন : আমি কখন বললাম (অবাক হয়ে)
রোদ : তুমি নয়ত কে
মুন : আমি ওকে বলেছিলাম আপনাকে ডেকে দিতে
তোহা: পাপা মাম্মা ঠিক বলছে তোমাকে ডাকতে বলেছিলো কিন্ত আমি কিভাবে ডাকবো তাই তোমার দাড়ি আর চুল ধরে টানছিলেন এটাই আমার কাছে বেষ্ট মনে হইছে তোমাকে ঘুমের মধ্যে খুব কিউট লাগে আচ্ছা আমি যাই রানী মামনির কাছে যাই

এই বলে গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে গেলো।
মুন : সাবধানে মামনি
রোদ : আম্মু সাবধানে যাও
মুন : দেখছেন তো আমি কিছু করিনি
রোদ : তোমার মত হইছে
মুন : হুম

রোদ উঠে মুনকে জড়িয়ে ধরে
রোদ : ভাবছি কি তোহা এর জন্য একটা খেয়ার সাথী আনবো
মুন : কেনো সাফিন তো আছে

(সাফিন রানী আর রাজের ছেলে। আর তোহা রোদ আর মুনের রাজকন্যা)

রোদ : হুম কিন্ত আর একটা ভাই বা বোন হলে ক্ষতি কি

মুন বুঝতে পারে রোদ কি বলছে

মুন : আপনি ও না
রোদ : আমি কি?

তোহা : পাপা মাম্মা তোমরা কি করছো।

মুন রোদকে ছেরে দূরে দাড়ায়।রোদ তোহা কে কোলে তুলে নেয়।

রোদ : তোমার কথা ভাবছি মামনি
তোহা : আমার কি কথা? (গালে হাত দিয়ে)
রোদ : ভাবছি তোমার একটা ভাই বা বোন আনবো কিন্ত তোমার মাম্মাম রাজি হচ্ছে না ।
তোহা : কেনো মাম্মা আমার একটা খেলার সাথী চাই
সাফিন : আমি আছি তো

পিছন থেকে সাফিন বলে উঠে
তোহা : না তুই ভালো না শুধু আমি বকিস
সাফিন : আর বকবো না আয় cocolate দিবনে
তোহা : সত্যি (রোদের কোল থেকে নেমে )

তোহা সাফিন এর সাথে গেলো। মুন চলে আসতে গেলে রোদ পিছনে থেকে হাত ধরে। মুন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। রোদ মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে

রোদ : ভালোবাসি
মুন : আমি ও আমার #মিস্টার_ডেভিল কে খুব খুব ভালোবাসি

এভাবে বেচে থাকুক হাজারো প্রকৃত ভালোবাসার। সবাই রোদ আর মুনের জন্য দোআ করবেন।

সমাপ্ত

()

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here