গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৭
মুনের তো রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে
মুন : কে এই মেয়ে টা?
রোদ : ঠিক চিনতে পারলাম না
মেয়েটা: আরে আমাকে চিনতে পারছ না এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে ?
রোদ : মনে রাখার হলে তো রাখতাম কিন্ত আমি সত্যি চিনতে পারছি না
আরুশি : আরে আমি তো তানিয়ার কাজিন
এবার চিনতে পারছ
মুন : ওই তানিয়া সাকচুন্নির ফ্যামিলি সব রোদের পিছনে (মনে মনে)
রোদ : ওহ আচ্ছা কোনো কি দরকার আসলে আমরা এক জায়গায় যাচ্ছি তো
আরুশী: না তেমন দরকার না আমার বোনের জন্য আমি সরি । ইঞ্জোয় your লাইফ
বলে রোদকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তার আগেই মুন জড়িয়ে ধরে
মুন : সরি বলতে হবে না ওমন একটু হবেই nice to meet u (জড়িয়ে ধরে)
আরুশি: আচ্ছা তাহলে আমি যাই কেমন
আরুশি চলে গেলো মুন রোদের দিকে তাকিয়ে বলল
মুন : খুব ভালো আগে তাই না (রেগে)
রোদ : কি ?(ভ্রু কুঁচকে)
মুন : আমি কোনো ছেলের সাথে কথা বললে আমার বারোটা বাজান আর আপনি সব মেয়েদের সাথে ক্লোজ ভাবে মিসবেন তাতে কিছু না
রোদ : আমি তো
মুন : কি আপনি তো কি এতো মেয়ের সাথে আপনার কি ও আপনার গলা জড়িয়ে ধরলো কেনো আমি কি একটু হাত মিলিয়েছিলাম বলে আমার হাতের কি অবস্থা করেছিলেন এখন তাহলে আপনার গলার কি অবস্থা করবো
রোদ : কি করবে শুনি
মুন নিজের উর্না দিয়ে রোদের গলা জোরে জোরে ডলতে থাকে
রোদ : কি করছো কি লাগছে টো তো?
মুন : এতেই লাগছে তাহলে আমার কেমন লেগেছিল যখন আপনি আপনার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ধুয়ে লাল করে দিয়েছিলেন (চোখ লাল করে )
রোর : তুমি কি প্রতিশোধ নিচ্ছো
মুন : প্রতিশোধ তাই না wait
বলে মুন রোদের হাত ধরে যেতে লাগলো
রানী : এই তোরা কোথায় যাচ্ছিস ?
মুন : আসছি
এতক্ষণ রোদ আর মুনের কথা কেউ শুনতে পাইনি কারণ ওরা আস্তে আস্তে কথা বলছিল ।
মুন রোদের হাত ধরে টানতে টানতে ওয়াশ্রুমে নিয়ে যায়
রোদ : কি ব্যাপার এখানে আনলে কেনো ?
মুন কিছু না বলে রোদের শার্ট খুলতে লাগলো
রোদ : আরে শার্ট খুলছো কেনো ?
মুন : কোনো কথা না আপনি বলেছিলেন আমার সব কিছু আপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তাহলে এখন চুপ করে শুধু দেখুন
রোদ আর কিছু বলল না । মুন শার্ট খুলে রোদের গায়ে তোয়ালে দিয়ে গলায় সাবান দিতে লাগলো ।
রোদ শুধু তার মায়াপরি কে দেখছে এতো দিন রোদ শুধু মুনকে হারানোর ভয় পেত কিন্ত এখন মুনের চোখে ও রোদকে হারানোর ভঁয় দেখছে
মুন সাবান দিতে দিতে দেখে রোদের গলা লাল হয়ে আছে । মুন ধুয়ে দিয় তোয়ালে দিয়ে মুছে দিলো ।
ফর্সা শরীরে হালকা টুকা পরলে লাল হয়ে যায় রোদের ও ব্যতিক্রম হলো না
রোদ : এবার শান্তি
মুন কিছু না বলে রোদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে
রোদ : আরে আরে কাদছ কেনো দেখো এটা ওয়াশরুম কেউ এসে পড়লে সমস্যা হবে
মুন :আআআআআ
রোদ : আচ্ছা ঠিক আছে এবার থেকে আর কেউ আমাকে ছুঁতে পারবে না এখন চলো। নাহলে দেরি হয়ে যাবে
মুন রোদকে ছেরে মুখ মুছে বেরিয়ে আসে ।
রোর ও শার্ট পরে বেরিয়ে যায়
রানী : কীরে মুন রোদ কই
মুন : আসছে
রোদ : খাওয়া শেষ এবার চলো আমি বিলটা মিটিয়ে দি
রাজ : আচ্ছা আমরা গাড়িতে যাচ্ছি
মুন ও ওদের সাথে যেতে গেলে রোদ হাত ধরে টান দেয়।
রোদ মুনের হাত ধরে বিল মিটিয়ে গাড়িতে উঠে বসে ।
কিছুক্ষণ পর ওরা চলে আসে । সবাই ভিসা দিয়ে বিমানে বসে । মুন এই প্রথম উঠলো । জানলা দিয়ে বাইরে দেখছে ।
একটু পর ছেরে দিলো মুন বাইরে দেখছে
(আমি কখনো উঠিনি তাই বেশি বলতে পারবো না )
১০ঘন্টা পর ওরা পৌঁছে গেলো
রোদ মুনের হাত ধরে এয়ারপোর্ট একটা গাড়ি ঠিক করে হোটেলের দিকে যায় ।
মুন : ওয়াঊ আমার সপ্নের ল্যান্ড চলে এসেছে
রানী : আমাদের এখানে এখন মনে হয় রাত হবে আর এখানে সকাল
মুন : হুম দেখো বাইরে কি সুন্দর লাগছে
রানী : হা রে আমি কখনো আসিনি
মুন : আমি তো ডেইলি আসি তাই না
রানী : চুপ থাক
২জন কথা বলতে বলতে রিসোর্ট চলে আসলো।
মুন আর রানি রিসোর্ট দেখছে রোদ আর রাজ চাবি আনতে গেছে ।
রানী : রিসোর্ট টা কিন্ত খুব সুন্দর করে সাজানো
মুন : হা
রোদ : চলো চাবি পেয়ে গেছি
রোদ ব্যাগ নিয়ে মুনের হাত ধরে রুমে গেলো।
মুন রুমে ঢুকে বিছানায় ধপাস । রোদ দরজা দিয়ে মুনের কাছে শুয়ে পড়ে
মুন হা করে রোদকে দেখছে
রোদ : রেস্টুরেন্টে কি করেছিলে তার শাস্তি নেবে না
মুন : না
রোদ : শাস্তি তো তোমাকে পেতে হবে জান আমার গলা এখন ও জ্বলছে
মুন : আমি তো
আর কিছু বলতে পারলো রোদ মুনের মুখ চুপ করিয়ে দেয়
বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ মুনকে ছেরে দেয়
মুন হাঁপাতে হাঁপাতে বলে
মুন : আপনি মানুষ
রোদ : আমি কি সেটা দেখাচ্ছি
মুন রোদকে ধাক্কা দিয়ে নিজের উপর থেকে সরিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাড়ায়
মুন : আমি দেখতে চাই না
রোদ : দেখতে তো তোমাকে হবেই
বলে রোদ মুনের দিকে এগিয়ে আসতে গেলে মুন দৌড়
রোদ ও মুনের পিছনে দৌড়াচ্ছে
রোদ : মুন দাড়াও
মুন : না
রোদ : আমি যদি একবার ধরতে পারি তাহলে তোমার খবর আছে
মুন : ধরতে পারলে তো
দৌড়াতে দৌড়াতে এক পর্যায়ে রোদ মুনকে ধরে ফেলে
রোদ : এবার কি হবে
মুন : ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন
রোদ মুনকে কোলে নিয়ে ওয়াস্রুমে যায় ।
মুন : এই একদম না শাওয়ার অন করবেন না
কে শুনে কার কথা রোদ অন করে মুনকে নিয়ে দাড়িয়ে পড়লো
মুন : আপনি একটা শয়তান
রোদ : কেনো আমি কি করলাম ?
মুন : নামান আমাকে
রোদ : উহু
মুন : উফফ ঠান্ডা লাগছে
রোদ : একটু তো লাগবেই
বেশ কিছুক্ষণ পর ২ জনে গোসল করে রুমে আসলো ।
মুন হেয়ার ড্রায় দিয়ে চুল শুকাছে। রোদ বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে ।
মুন : আমরা কি এখন ঘুরতে যাব ?
রোদ : না খাওয়া শেষ করে
মুন : তাহলে চলুন খেয়ে আসি
রোদ : হুম যাবো
মুন : এখানে এসে ও কাজ। ওতো যখন কাজ আমায় বিয়ে করার কি দরকার ছিল (মনে মনে)
মুন রুম থেকে বের হতে গেলে
রোদ : কোথায় যাচ্ছ ?
মুন : আপুদের রুমে
রোদ : আমি ছাড়া রুম থেকে এক পা ও দিবে না বুঝেছ এটা তোমার bd না ওকে
মুন : হুম ।
মুন গাল ফুলিয়ে বিছানায় বসলো
মুন : আপনার ফোন টা দিবেন ?
রোদ : কি করবে ?
মুন : গেম খেলবো 😕
রোদ :😒
মুন : একটু দিন না
রোদ মুনের হাত ফোন দিয়ে দিল ।
মুন ফোন নিয়ে রানীকে মেসেজ করলো তাড়াতাড়ি আসার জন্য
রোদ: মেসেজ পাঠানো শেষ ?(ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে )
মুন: আপনার কে বললো?
রোদ : আমি তো তোমাকে চিনি সুইইটহার্ট
একটু পর রানীর আসলো রোদ মুন রানি রাজ ঘুরতে বের হলো ।
রোদ মুন আর রাজ রানী হাতে হাত ধরে ঘুরতে ।
মুন এদিক সেদিক দেখছে কিন্ত ওর জানি কেমন একটা মনে হচ্ছে ।মুন সেসব পাত্তা না দিয়ে নিজের মত ইনজয় করার চেষ্টা করছে
(আমি কখনো যাইনি নেটে সার্চ দিয়ে ও কিছু বুঝলাম প্লিজ কেউ বর্ণনা দিতে বলবেন না পিলিগ)
অনেকক্ষণ ঘুরে ওরা় রুমে ফিরে আসলো মুন ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো ।
রাত
রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে মুনের চোখে ঘুম নেই
মুন রোদের ফোন নিয়ে নেট চালাচ্ছে তখনই রোদের ফোনে একটা মেসেজ আছে মুন ওপেন করে
লেখা
শেষ বারের মত একবার দেখা করতে চাই আমি জানি তুমি আসবে । রিসোর্ট এর ছাদে এসে । তোমার অপেক্ষায় আছি
মুন মেসেজ পড়ে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না । মুন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না পরে ঠিক করলো ও ছাদে যাবে ।
মুন রোদকে ছড়িয়ে দরজা খুলে সিড়ি দিয়ে ছাদে যাচ্ছে।
ছাদে গিয়ে এদিক সেদিক তাকাতে থাকতে তখনই কেউ ওকে পিছনে থেকে
#Mr_Devil
(A psycho love story)
#লেখিকা:নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২৮
মুন এর কাধে কেউ হাত রাখলো মুন ভয়ে পিছন ফিরে চিৎকার দেয়।
রোদ: আরে চিল্লাচ্ছ কেনো ? আর এতো রাতে তুমি এখানে কি করছো?(ভ্রু কুচকে)
মুন পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে মুন একটা সস্থীর নিশ্বাস ফেলে।
রোদ: কি হলো বলো তুমি এখানে কি করছ?
মুন : উনাকে কি সব বলে দেবো দেওয়া উচিত(মনে মনে)
রোদ : কি এতো ভাবছো আমাকে বলো তো এখানে কি করছো (ধমক দিয়ে )
মুন : আসলে আমি
রোদ : তুমি কি
মুন রোদকে সব বলে দেয়। রোদ ভ্রু কুচকে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে।
মুন যখন রোদকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে উঠে আসছিল তখন রোদ নড়েচড়ে উঠে ।রোদ পাশে হাত দিয়ে দেখে মুন নেই রোদ উঠে দেখে দরজা খুলা। রোদের মনে ভয় হতে লাগে রোদ বাইরে এসে দেখে মুন কোথায় যাচ্ছে রোদ ও পিছন নেয়।
মুনের কোথায় রোদ হেসে দেয়
মুন : আপনি পাগলের মত হাসছেন কেনো আজব
রোদ : হাসবো না তো কি করবো তুমি আমাকে গল্প শুনবে আর আমি বিশ্বাস করে নেবো ।
মুন : আমি গল্প বলছি না আচ্ছা আপনি চলুন আমি আপনাকে মেসেজ দেখাচ্ছি
মুন রোদের হাত ধরে রুমে নিয়ে গেল। মুন ফোন চেক করে অবাক ফোন কোনো মেসেজ নেই ।
রোদ : কিহলো ?
মুন : আমি সত্যি বলছি মেসেজ ছিল বিশ্বাস করুন
রোদ: মেসেজ ছিল তাই কোথায় গেলো ভূতে নিয়ে গেছে
মুন : আমি মিথ্যে বলছি না সত্যি কেউ মেসেজ দিয়েছিল।
রোদ : হয়েছে এবার আর কথা না বাড়িয়ে ঘুম পরো একটা কথা ও না । আর next time আমাকে ছাড়া বাইরে গেলে ফল ভালো হবে না বলে দিলাম
শেষের কথায় যে রোদ হুমকি দেছে টা মুন খুব ভালো করে বুঝতে পারছে ।মুন আর কোনো কথা না বাড়িয়ে শুয়ে পরে।
কিন্ত রোদ মুনের কথা ফেলে দিতে পারছে না।
রোদ : মুন যে মিথ্যে বলেনা সেটা আমি খুব ভালো করে জানি আর মুনের চোখে আমি মিথ্যে দেখতে পেলাম না তাহলে কি সত্যি কোনো বিপদ আসতে চলেছে ।(মনে মনে)
রোদ ফোনটা ভালো করে চেক করে আরো অবাক হয়।
মুন : আপনি ঘুমাবেন না
মুনের ডাকে রোদের ভাবনার ছেদ ঘটে ।
রোদ : হুম
রোদ আর কোনো কথা না বলে মুনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে
মুন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে বসে কালকের কথা ভাবছে ।
মুন : কাল কি সত্যি সব আমার মুনের ভুল ছিল এটা কি করে সম্ভব । কিছু তো একটা আছেই ।
মুন এসব আকাশ পাতাল ভাবছিল তখনই রোদ মুনকে হেঁচকা টানে দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
রোদ: কি এতো ভাবছো তোমাকে না বলেছি তোমার সব কিছু আমাকে নিয়ে আবদ্ধ
মুন : আমি আসলে
রোদ : কোনো কথা না
রোদ মুনের গালে স্লাইড করছে । আস্তে আস্তে মুনের ঠোঁটের দিকে এগুতে গেলে মুন থামিয়ে দেয়।
মুন : রোদ আমি বলছি কি
রোদ : হুশ কোনো কথা না চুপ করে থাক
মুন : আমার কথাটা একটু শুনুন
রোদ মুনকে চুপ করিয়ে দেয়।
ডুব দেয় মুনের ভালোবাসায়।
বেশকিছুক্ষণ পর মুন গোসল করে আয়নায় চুল মুছছে তখনই রানী আসলো।
রানী : কিরে তোদের হলো?
মুন : হুম আপু
রানী : এতো সকালে গোসল করলি কেনো ?আর তোর গলায় ওটা কিসের দাগ হাম হাম (দুষ্টুমি করে)
মুন: আপু তুমি ও না
রানী : থাক আর লজ্জা পেতে হবে না তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে নিচে আয়
মুন : হুম তুমি যাও আমরা আসছি
রানী চলে গেলো মুন গুছিয়ে বসে আছে । রোদ এখন ও বের হয়নি।
মুন কালকের কথা ভাবছে সত্যি কি কাল ভুল দেখেছিল। মুন আবার ও ফোন নেয়।
ফোন কোনো মেসেজ নেই।মুন নিজের মুনের ভুল ভাবছে ।
একটু পর রোদ তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে আসলো।
মুন : আপনি তাড়াতাড়ি রেডী হন আপু একবার ডেকে গেছে
রোদ : হুম
রোদ আয়নায় দাড়িয়ে চুল ঠিক করছে। মুন ড্রেস বের করে রোদের কাছে দিলো। রোদ রেডী হয়ে মুনকে সাথে নিয়ে খাবার খেতে যায়।
রাজ আর রানি আগে থেকেই সেখানে বসে ছিল রোদ আর মুন তাদের কাছে গিয়ে বসলো
রাজ : কীরে এতো সময় লাগে ? ঘরে যদি থাকবি তাহলে কেনো এখানে আসলি
রোদ : ফালতু কথা বাদ দে চল খাবার অর্ডার দিয়ে আসি
রোদ ইশারা করে রাজকে কিছু বললো রাজ বুঝছে পেরে হা জবাব দিলো
রাজ : তোমরা বসো আমরা আসছি
রোদ : এখানে থাকবে এক পা ও নড়লে তোমার খবর আছে
মুন মাথা নাড়ালো
রাজ আর রোদ খাবার অর্ডার করতে গেলো
রানী : মুন আজকে আমরা অনেক ছবি তুলবো
রানী: এতো ছবি তুলে কি হবে?
রানী: যখন আমরা থাকবো না আমাদের স্মৃতি থাকবে
মুন আর রানি কথা বলছে । কেউ যে ওদের ফলো করছে তা ওরা কেউ জানে না
রাজ: কীরে কি বলবি
রোদ রাজকে কিছু বললো
রাজ: আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখছি ব্যাপারটা
রোদ: যা করবি তাড়াতাড়ি যেনো দেরি না হয়
রাজ: হুম চল খাবার নিয়ে যাই
রোদ: তুই যা আমি একটা ফোন করে আসছি
রাজ খাবার নিয়ে গেলো।
রোদ : বুঝতে পারছো তো কি করতে হবে
…..
রোদ: হুম কাজটা যেনো হয়ে যায়
রোদ ফোনটা রেখে একটা রহস্য জনিত হাসি দিয়ে বলে
রোদ: আমার কলিজায় হাত দেওয়ার সাহস কিভাবে হয়। just একবার জানতে পারি তারপর তার এমন অবস্থা করবো
কথা বলে রোদ মুনের কাছে যায়
মুন : কোথায় ছিলেন ?
রোদ : এই তো একটু ঐদিকে
সবাই খাওয়া শেষে ঘুরতে গেলো।
রানী তো ছবি তুলে ফায়ার করে দিচ্ছে । মুন রোদের হাত ধরে চারিদিক দেখছে ।
রোদ পকেট থেকে ফোন বের করে মুনের সাথে অনেকগুলো ছবি তুললো ।
রানী: মুন এই দিকে আয়
মুন রানীর কাছে গিয়ে রানীর সাথে ছবি তুললো।
রানী আর মুন চারিদিক দেখছে আর রোদ মুনের ছবি তুলছে।
অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরির পর রোদ রাজের সাথে কথা বলছে । মুন আর রানি রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে ।
রানী চকোলেট আনতে গেছে তখনই একটা গাড়ি ফুল স্প্রিডে মুনের দিকে আসছে ।
রোদ সেটা দেখে ছুটে এসে মুনকে ধাক্কা মারে মুন ছিটকে দূরে চলে যায়
রাজ গাড়িটাকে ধরতে গেলে গাড়িটা চলে যায়।
রোদ মুনের কাছে গিয়ে মুনকে বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে।
রানী: রোদ তোমরা ঠিক আছো?
রোদ মুনকে বুকের সাথে চেপে ধরে মুন সেন্সলেস হয়ে যায়।
রোদ : এই মুন কথা বলো এই ত আমি তোমার সাথেই আছি
রানী : মুন কথা বল
রাজ: ওকে নিয়ে হোটেলে চল
রোদ মুনকে কোলে নিয়ে হোটেলে যায় ।
ডক্টর মুনকে দেখছে মুনের এক হাত ধরে আছে রোদ ।
রাজ রানী বেডের পাশে দাড়িয়ে আছে ।
ডক্টর : উনার বেশি কিছু হয়নি just অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার কারণে সেন্সলেস হয়ে পড়েছে উনাকে একটু টেনশন মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন ।
ডক্টর চলে গেলো রোদ মুনের হাত ধরে বসে আছে ।
রাজ: রোদ
রোদ রাজের কথা বুঝতে পারে ।
রোদ মুনের কপালে চুমু খেয়ে বলে
রোদ : রানী একটু মুনের পাশে বসো আমি আসছি
রানী রোদের কথা মত মুনের পাশে বসে মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
রাজ রোদকে নিয়ে বাইরে যায়
রোদ : কোনো খোঁজ পেলি?
রাজ: না কালকে যে নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছিল সেটা প্রাইভেট নাম্বার দেখাচ্ছে
রোদ : তার মানে মুন সত্যি বলছিল সন্দেহ তো আমার তখন হয় যখন ফোনে সব মেসেজ ডিলিট দেখি ।
রাজ: যেই গাড়িটা মুনকে ধাক্কা দিতে চেয়েছিলো ওটার নাম্বার ভুল আমাদের বোকা বানানোর জন্য ওই নাম্বার দিয়েছে
রোদ : এতেই বুঝা যায় যে করছে সে সব কিছু ভেবে চিনতে যাতে কোনো ভাবে আমরা তার কাছে যেতে না পারি কিন্ত মুনের সাথে ওর কিসের শত্রুতা
রাজ : সেটা আমি ও ভাবছি
কিছুক্ষণ পর মুন পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে রানী ওর মাথার কাছে বসে আছে
মুন : আপু পানি খাবো
রানী তাড়াতাড়ি পানি দেয়। মুন পানি খেয়ে বলে
মুন : আপু রোদ কোথায় ? উনি ঠিক আছে তো ?উনকে দেখছি না কেনো?
রানী: মুন তুই একটু শান্ত হো রোদ এই পাশেই আছে দারা আমি ডাকছি
রানী উঠে রোদকে ডাকতে গেলো।
রাজ আর রোদ কথা বলছিল। তখনই রানী আসে
রানী: রোদ মুনের সেন্স ফিরেছে তোমাকে ডাকছে।
রোদ দৌড়ে রুমে যায়। মুনের কাছে গিয়ে মুনের কপালে গেলে মুখে চুমুতে ভরিয়ে দেয়।
রাজ রানীকে নিয়ে ওদের রুমে যায়।
মুন : কি করছেন কি ?(লজ্জা পেয়ে)
রোদ : চুপ কোনো কথা বলবে না বলেছিলাম না আমার হাত ছাড়বে না কেনো আমার হাত ছেরে গেলে যদি তুমি আমার হাত না ছেরে যেতে তাহলে তো এমন কিছু হতো না তাই না
মুন : আচ্ছা ঠিক আছে আর কখনো যাবো না এখন অনেক একটু উঠতে দিন তো
রোদ: না কোথাও যাবে না
মুন : আরে ওষুধ লাগাতে হবে তো
রোদ : কোথায় লেগেছে তোমার দেখি (মুনের সারা শরীরে হাত বুলিয়ে)
মুন : আমার না আপনার লেগেছে
রোদ : মানে
মুন রোদকে বসিয়ে ওষুধ এনে রোদের হাতে লাগাতে লাগলো
মুন: আমার চিন্তা করতে করতে আপনার যে এত খানি কেটে গেছে সে খেয়াল আছে আপনার কত খানি কেটে গেছে
রোদ : তুমি কি করে জানলে।
মুন : যখন আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে ছিলে তখন দেখেছিলাম কিন্ত কিছু বলার আগেই সেন্সলেস হয়ে যাই। খুব লেগেছে তাই না ঠিক হয়ে যাবে
মুন ধীরে ধীরে রোদের হাতে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছে যেনো ব্যাথা মুন পাচ্ছে । রোদ মুগ্ধ হয়ে দেখছে তার মায়াপরিকে ।
ওষুধ লাগানো শেষে রোদ বলে
রোদ : তুমি বসো আমি খাবার অর্ডার করছি। রাত হতে গেলো
মুন : আচ্ছা
রোদ ফোন করে খাবার পাঠিয়ে দিতে বললো।
একটু পর খাবার আসলো
রোদ মুন খেয়ে নিলো।
রোদ মুনকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো
মাঝরাতে হটাৎ রোদ চিল্লিয়ে উঠলো
চলবেগল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৯
মুন লাফিয়ে উঠলো
মুন: কিহলো রোদ আপনি হটাৎ এভাবে চিৎকার করলেন কেনো কি হয়েছে?(চিন্তিত হয়ে)
রোদ কোনো কথা না বলে মুনকে জড়িয়ে ধরলো। মুন স্তব্ধ
মুন : রোদ কি হয়েছে আমায় বলুন খারাপ সপ্ন দেখেছেন নাকি বলেন?
রোদ : তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না কথা দাও
মুন: আমি আপনাকে ছেরে কোথায় যাবো। আপনি এসব কেনো বলছেন
রোদ : তোমাকে আমি কোথাও যেতে দেবো না আমার শেষ নিশ্বাস থাকা পযন্ত
মুন রোদকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বলে
মুন : রোদ আপনি স্বপ্ন দেখেছেন আর সপ্ন কখনো সত্যি হয়না আপনি মন থেকে ওগুলো মুছে ফেলেন আমি আপনার সাথে সব সময় আছি কোথাও যাচ্ছি না
মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো । রোদ মুনকে এতো শক্ত করে ধরেছে যেনো ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে ।
সকালে
রোদ ঘুম থেকে উঠে দেখে মুন ওর বুকে চুপটি করে শুয়ে আছে। রোদ হালকা হেসে মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়।
রোদ : ভালোবাসি খুব ভালোবাসি
মুন হালকা নোরে উঠে । রোদ উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে মুন বিছানায় বসে আছে ।
রোদ : ঘুম হলো
মুন : হুম আচ্ছা আজ আমরা কোথায় ঘুরতে যাব
রোদ : আজ আমরা কোথাও যাচ্ছি না
মুন : মানে কি
রোদ : মানে সিম্পল আজ কোথাও যাবো না আজ ঘরে থাকবো
মুন : না
রোদ : কোনো কথা না খাবার আসবে একটু পর
মুন গাল ফুলিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। মুন বেরিয়ে আসলে রোদ মুনের হাত ধরে খাবার খাইয়ে দেয়।
মুন গাল ফুলিয়ে বসে আছে কিন্ত রোদের তাতে কিছু না ও চুপ করে ল্যাপটপে কাজ করছে ।
মুন তো কানের কাছে বক বক করে যাচ্ছে
মুন : এভাবে ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে যদি ঘরে রাখবেন তাহলে নিয়ে আসছেন কেনো ?
রোদ….
মুন : আমি কিছু বলছি
রোদ…
মুন তো বকবক করে যাচ্ছে কিন্ত রোদের কানে যাচ্ছে না অনেকক্ষণ পর মুন উঠে রোদের আছে গিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে
মুন : আমি কি বলছি আপনি শুনছেন
রোদ নিজের কলার ঝেড়ে কান থেকে তুলো বের করে ।
রোদ : এবার বলো কি বলছিলে (মুচকি হেসে)
মুন : এটা কি আপনি আমার কথা কিছু শুনেনি (অবাক হয়ে)
রোদ : না এবার বলো
মুন ল্যাপটপ দিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল।
রোদ উঠে মুনের কাছে যায়
রোদ : কিহলো ?
মুন….
রোদ : ম্যাডাম এর বুঝি রাগ হয়েছে
মুন….
রোদ : কথা বলো?
মুন…
রোদ : ঘুরতে যাবে না
মুন এক লাফে উঠে রোদের গলা জড়িয়ে ধরে
মুন: সত্যি
রোদ: তুমি না ঘুম পড়েছিলে?
মুন : ওসব বাদ কোথায় যাবো?
রোদ : হুম (একটু ভেবে ) এখানে একটা সুন্দর পাহাড় আছে অনেক উচু যাবে ?
মুন : হুম আমি রেডী হয়ে নি
রোদ : যাও
একটু পর
মুন রেডী হয়ে আসলো
রোদ : এতো তাড়াতাড়ি ?
মুন : হি হি হি
রোদ মুন রানী রাজ বেরিয়ে পড়লো।
মুন রোদের হাত ধরে আছে কিন্ত অনেকক্ষণ ধরে দেখছে কিছু কাল পোশাক পড়া লোক ওদের সাথে যাচ্ছে। মুন রোদের কানে কানে বলে
মুন : এই লোকগুলো দেখেন কেমন ?
রোদ : ওগুলো আমার লোক আমাদের সাথে যাবে
মুন : কিন্ত কেনো?
রোদ: মুন আমার প্রশ্ন করা ভালো লাগে না
মুন একটা ভেংচি কাটে।
সবাই পাহাড়ে উঠে পরলো। পাহাড়ের উপর থেকে দেখতে কত সুন্দর লাগছে এখনও শীতের আমেজ যাইনি চারিদিক কুয়াশা।
মুন তো মুগ্ধ হয়ে দেখছে ।
মুন : আপু এই দেখো এইদিক টা কত সুন্দর লাগছে
কে শোনে কার কথা রানী ত সেলফি তুলতে বেস্ত ।
মুন চারিদিক দেখছে হটাৎ রোদের ফোনে কল আসে রোদ মুচকি হেসে কল ধরে
রোদ কথা বলছে আর মুন দেখছে হটাৎ একটা খরগোশ দেখলো মুন । মুন খরগোশ কে ধরতে রোদের হাত ছেরে খরগোসের পিছন পিছন যায় ।
একসময় মুন পাহাড়ের উপর রাখা ইটের সাথে বেঁধে গড়াতে গড়াতে পাহাড়ের কোনায় পড়ে যায়।
রানী: মুন্নননননন (চিৎকার করে)
রানীর চিৎকারে সবাই সেদিকে তাকায়। রোদ পাশে তাকিয়ে দেখে মুন নেই । চিৎকারের আওয়াজ অনুযায়ী তাকিয়ে দেখে পাহাড়ে কোনায় মুনের হাত দেখা যাচ্ছে ।
রোদ ছুটে গিয়ে মুনের হাত ধরে ।
রোদ : মুন চিন্তা করো না কিছু হবে না
মুন : রোদ আমার খুব ভয় করছে
রোদের বডিগার্ড রা রোদকে হেল্প করে
রোদ মুনের হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনে।
মুনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে । মুনের গালে মুখে অসংখ্য চুমু দেয়।
রোদ : কেনো ওখানে গিয়েছিলে কেনো আমি বারন করেছিলাম না
রাজ রানী মুনের কাছে আসতে থাকে
মুন কিছু বলতে যাবে তখন মুন বুঝতে পারে যে ওর পায়ের দিকে মাটি ভেঙ্গে নিচে পরে যাচ্ছে ।
মুন একবার রোদের দিকে তাকিয়ে রোদকে জোরে ধাক্কা মারে ।
রোদ ২কদম পিছিয়ে যায় কিন্ত মুনের হাত ছারে নি হটাৎ মাটি সহ মুন নিচে পড়ে যায় রোদের হাতে মুনের চুরি থেকে যায় ।
রোদ : মূনননননন (চিৎকার করে)
রোদ পাহাড় থেকে লাফ দিতে গেলে রোদের লোকেরা রোদকে আটকায়।
রোদকে ৫,৬জন মিলে ও আটকে রাখতে পারছে না
রোদ: তোমরা ছেরে দাও আমাকে আমার কলিজা নিচে পড়ে যাচ্ছে আমাকে যেতে হবে
রানী তো সেন্সলেস হয়।
রাজ: রোদ একটু শান্ত হো আমরা সবাই মিলে মুনকে খুজবো মুনের কিছু হবে না
রোদ : রাজ আমার মুন ওর খুব লাগছে আমাকে যেতে হবে
রোদ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে
রোদ : মুনননননব
রোদের চিৎকারে পাহাড় কেপে উঠে ।
কিছু কিছু সম্পর্ক বিচ্ছেদের মাধ্যমে নতুন সম্পর্কের শুরু হয়।
১বছর পর
In London
একটা মেয়ে বাস্কেট বল হাতে নিয়ে সিড়ি দিয়ে নামছে।
নীলিমা: পরি এই পরি কোথায় যাও মামনি ।
মেয়েটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে
পরি: মামনি আমি বাস্কেট বল খেলা শিখবো
নীলিমা: হটাৎ এই সখ জাগলো কেনো ?
জয় : কেনো জাগবে না যার হাসব্যান্ড বাস্কেট বল চ্যাম্পিয়ান সে কেনো খেলবে না
ভিতরে আসতে আসতে
নীলিমা: তুই আর মেয়ে টাকে মাথায় তুলিশ না
জয় : কেনো তুলবো না মাথা টা তো ওর জন্য। চলো আজ আমি আমার পরীমনি কে বাস্কেট বল শিখাবো।
পরি : সত্যি
জয়: আমি কি আমার কলিজার কাছে মিথ্যে বলতে পারি।
পরি নাচতে নাচতে জয়ের সাথে গেলো।
নীলিমা : যেমন ছেলে তার তেমন বউ
IN BD
একটা লোক একটা বড়ো ছবির সামনে দাড়িয়ে আছে। ঘর ভর্তি তার ছবি।
লোকটা ছবিটার সামনে দাড়িয়ে বির বির করছে ।
চলবে
(গল্পে ভিলেন না থাকলে মজা হয়না এতদিন আমি ভিলেন আনিনি কিন্ত এখন আনছি । আর আমায় গালি না দিয়ে একটু ধর্য ধরেন । শরীর খুব খারাপ জ্বর আসছে তাই ছোটো করে দিলাম । তাছাড়া মামা বাড়ি মাফিল সেখানে যেতে হবে সো বুঝতে তো পারছেন )
চলবে