সাইকো লাভার পর্বঃ১২
#সাদিয়া সিদ্দিক মিম(লেখিকা)
গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে,,,,আমি গাল ফুলিয়ে বসে আছি গাড়িতে,,,,,আমার খিদে পেয়েছে তবুও বজ্জাতটা গাড়ি থামাচ্ছে না,,,এই কলার কাদির জন্য আজ আমি ব্রেকফাস্ট করে আসতে পারলাম না।চাচ্চুর সাথে আসলেই ভালো হত,,,,,কিন্তু চাচ্চুর সাথে আসতাম কীভাবে এই বজ্জাতটা ত চাচ্চুর গাড়ির ১৩ টা বাজাইয়া দিছে।শয়তান পোলা তুই বুড়া হইবি তাড়াতাড়ি।মনে মনে এসব বিড়বিড় করছি তখনি আদি বলল,,,,
আদিঃ এই যে মেম,,,,হা করুন।(মুখের সামনে খাবার দিয়ে)।
আদির কথায় ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে দেখি আদি আমার মুখের সামনে বিরিয়ানি ধরে আছে,,,,কিন্তু বজ্জাতটা খাবার পেলো কোথা থেকে,,,,আর এই জায়গাটাও ত নিরিবিলি,,,কোন দোকানই ত নেই,,,,তবে খাবার আনল কোথা থেকে।
আদিঃ এই যে এত ভাবতে হবে না,,,,খাবার গুলো আম্মু পাঠিয়েছে তোমার জন্য,,,,আসার সময় দিয়ে দিয়েছে,,,তুমি ত বিরিয়ানি খুব পছন্দ করো,,,,ত এসব ভাবনা বাদ দিয়ে হা করো।
দিয়াঃ আমি বিরিয়ানি খাই না,,,,খাব না আমি।(অন্য দিকে মুখ নিয়ে)
আদিঃ আচ্ছা আপনার খেতেও হবে না,,,আমিই খাচ্ছি।(প্লেটটা হাতে নিয়ে)
“বলেই খাওয়া শুরু করে দিল,,,,চামচটা একবার আমার মুখের সামনে এনে নিজের মুখে পুরে নিচ্ছে,,,,,ইস্ বজ্জাতটা কী খারাপ,,,,জানে আমার খিদে পেয়েছে,,,আমি বিরিয়ানি পছন্দ করি,,,তারপরও কীভাবে গপাগপ খাচ্ছে,,,একবার না করছি বলে কী আর জিজ্ঞেস করবে না,,,,একটু জোড় করে খাওয়াতেও ত পারত,,,,তা না নিজেই সাবাড় করে দিচ্ছে সবটা,,,,মুখ দিয়ে আওয়াজও করছে।
না আর নিজেকে আটকাতে পারব না,,,আদি প্লেট থেকে বিরিয়ানি তুলে মুখে দিবে তখন আদির হাত ধরে আমি খেয়ে নিলাম,,,,হি হি হি।
আদিঃ এটা কী হল,,,,তুমি ত বললে খাবে না,,,ত এখন খেলে কেন?
দিয়াঃ আমার শ্বাশুড়ি আম্মু আমার জন্য খাবার পাঠায়ছে আপনার খেতে লজ্জা করল না।(বলেই আদির থেকে প্লেটটা নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম)
আদি মনে মনেঃ পাগলি একটা।
খাওয়া শেষ করে ৩০ মিনিট পর আমরা কলেজে এসে পৌঁছালাম।আদি গাড়ি থামিয়ে আমার সিটবেল্ট খুলে দিতে দিতে বলল,,,,”সোজা ক্লাসে যাবে,,,,কোন ছেলের সাথে কথা বলবে না,,,কলেজ ছুটির পর চাচ্চুর কেবিনে গিয়ে বসবে আমি ফোন দিলে আমার সাথে বাড়িতে ফিরে যাবে,,,,ঠিক আছে”।
দিয়াঃ ঠিক আছে।
বলে আসতে নিব তখন আদি আমার হাত টেনে কাছে নিয়ে কপালে একটা চুমু একে দিল,,,,” কথাগুলো মাথায় রেখো জান”।
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা বুঝিয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেলাম,,,মুখে যাই বলি না কেন?ভিতরে ভিতরে শয়তানি বুদ্ধি করে রাখছি,,,হি হি হি।
🍁কলেজের ভিতরে এসে আমার শয়তান বান্ধরনীদের খুঁজতাছি,,,,তারপর কলেজের বকুল তলার দিকে গেলাম খুঁজতে আর সেখানে গিয়ে দেখি আমার এক বান্ধরনী সিমা তেনার বয়ফ্রেন্ড রিয়াজের সাথে বসে আছে।
সিমারা এখনও আমাকে দেখে নি,,,তাই আমি পা টিপে টিপে সিমার কাছে গিয়ে সিমার মাথায় একটা চাটি মেরে বসে পড়লাম নিচে,,,,সিমা মাথায় হাত দিয়ে রাগি দৃষ্টিতে রিয়াজ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,,,রিয়াজ ভাইয়া বেচারা কিছু বুঝতে না পেরে ভ্যাবলার মত তাকিয়ে আছে,,,,আমার খুব হাসি পাচ্ছে ওদের এভাবে দেখে।সিমা রাগি ফেস করে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিল,,,আর রিয়াজ ভাইয়াও স্বাভাবিক হয়ে ফোন টিপতে লাগল।
আমি একটুপরে আবারও একই কাজ করি,,,,এবার সীমা খুব রেগে যায়।সীমা রেগে দাড়িয়ে যায় আর পিছনে তাকিয়ে দেখে আমি,,,,আমার দিকে চোখ কটমট করে তাকিয়ে আছে,,,,এইরে আমাকে ত দেখে ফেলল,,,,ভাগ দিয়া ভাগ,,,আমি বসা থেকে উঠেই দিলাম এক দৌড় আর আমার পিছন পিছন সীমা হাতে রিয়াজ ভাইয়ার একটা ব্যাট নিয়ে এগিয়ে আসছে।
সীমাঃ দাঁড়া পঁচা ডিম,,,আজ তোরে আমি কিলাইয়া ভূত যদি না করছি,,,,দাঁড়া কইতাছি।(আমার পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে বলল)
দিয়াঃ আমাকে মেরে ভূত করলে রাতে শান্তিতে প্রেম করতে পারবি না কিন্তু,,,,প্রতি রাতে তোর কাছে এসে তকে বিরক্ত করব।(বকুল গাছের চারদিকে দৌড়াতে দৌড়াতে হেঁসে)
এভাবে দুজনেই দৌড়াদৌড়ি করছি হঠাৎ করে কারো সাথে ধাক্কা লাগে আমার আর আমি ব্যালেন্স রাখতে না পেরে বকুল গাছের সাথে বারি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।
সামনে থাকা ব্যাক্তিটি দিয়ার কাছে গিয়ে দিয়ার মাথাটা কোলে নিয়ে উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করল,,,,,”মিম এই মিম,,,কী হয়েছে তোমার,,,চোখ খুলো মিম”।
সীমাঃ রায়ান ভাইয়া,,,,মিমেরর মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে,,,,মিমকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।
রায়ানঃ হহহে,,,,,আআআমি মমিমের কিছু হতে দিব না,,,,আআমি তোমার কিছু হতে দিব না।(বলেই দিয়াকে কোলে নিয়ে কাঁপা কাঁপা পায়ে দৌড়ে চলে যায়)
সীমাঃ রিয়াজ তুমি রায়ান ভাইয়ার সাথে যাও,,,আমি প্রিন্সিপাল স্যারকে নিয়ে আসছি।(বলে সীমাও চলে যায় দিয়ার চাচ্চুর কাছে)।
#চলবে….
(বিদ্রঃ অনেকেই জানতে চাইছেন যে দিয়া আর দিয়ার চাচ্চু আদিকে শয্য কেন করতে পারে না,,,,তাদের উদ্দেশ্য বলছি,,,,আপনারা একটু ধৈর্য নিয়ে পড়ুন,,,ধীরে ধীরে সবটা ক্লিয়ার করে দিব।)
(আজকের পার্টটা ছোট হওয়ার জন্য সরি😔)
