#আমার_সংসার
.
.
Part:33 last part.
.
.
Writer:Mollika Moly
.
.
ফাহিম রিক্সা ডেকে নিয়ে এলো।অতঃপর দুজনেই রিক্সায় উঠে বসলো।রিক্সা ছুটে চলেছে আপন গতিতে তার গন্তব্যে। একই রিক্সায় বসা সত্বেও ফাহিম মাঝখানে অনেক টা ফাঁক রেখেছে।সাইরির কাছে ঘেসে বসেনি সে।কেমন একটা ইতস্তত বোধ হচ্ছে তার।ফাহিমের খুব ইচ্ছে করছে সাইরির কাছ ঘেসে বসে হাতের ওপর হাত রাখতে কিন্তু সে পারছে না।কোনো এক দ্বীধায় পড়েছে সে। সাইরিরো ইচ্ছে করছে ফাহিমের কাছাকাছি বসতে কিন্তু তা সে পারছে না।মনে মনে হাজার টা বকা দিতে লাগলো ফাহিম কে।সাইরি রাগ করে অন্য দিকে মুখ করে বসে আছে।রিক্সা চলছে হঠাৎই রিক্সা হোচট খাওয়া ধাক্কা লেগে সাইরি প্রায় ফাহিমের ওপর এসে পড়লো।ফাহিম ওকে ধরে ফেললো। শক্ত করে সাইরি ফাহিমের হাত ধরে আছে ওপর হয়ে।সাইরির চুলগুলো থেকে সুঘ্রান ফাহিমের নেশার ঘোর লাগাচ্ছে। তার ইচ্ছে করছে সাইরির চুলে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নিতে।সাইরি উঠে ঠিক হয়ে বসলো।এবার ফাহিম সাইরির হাত ধরে ছিলো এখন আরো শক্ত করে ধরলো।সাইরি অবাক চোখে তাকালো ফাহিমের দিকে।দুজনের খানিকক্ষণ চোখাচোখি হয়ে ফাহিম বলে উঠলো “যদি আবারো হোচট লেগে পড়ে যান তাই হাত টা ধরে রাখলাম।সাইরি প্রতি উত্তরে কিছু বললো না।ওপাশে মুখ টিপে হাসতে লাগলো।মুখের তার খুশির রেখা।ফাহিমও খুশিতে সাইরির হাত ধরে আছে।
.
শপিং করতে করতে তাদের বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেলো তবুও শপিং শেষ হলো না।লাল টুকটুকে শাড়ী কিনলো।এক জোড়া শাড়ী একজোড়া শেরওয়ানি। সবকিছুই তারা জোড়ায় জোড়ায় কিনলো।শপিং শেষ বেশ ভালোই রাত হয়েছে।ড্রাইভার কে কল করে তাদের শপিংয়ের সব জিনিষ পাঠিয়ে দিয়ে সাইরি কে নিয়ে কোথাও যাচ্ছে। সাইরি প্রশ্ন করেছিলো কোথায় যাচ্ছে প্রতি উত্তরে ফাহিম শুধু বলেছে চুপচাপ যেতে।সাইরি বুঝতে পারছে না ফাহিম তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
.
ফাহিম সাইরির চোখ ধরে ফেললো পিছন থেকে।
-“আরে করছেন কি ছারুন, চোখ ধরলে হাটবো কি ভাবে অন্ধাকারে কিছু দেখতে পারবো না তো?
– “এটুকু পথ না হয় আমার দৃষ্টিতে চলো?
কথাটির আগা মাথা কিছু বুঝলো না সাইরি।ফাহিম তাকে ধরে নিয়ে গেলো।চোখ থেকে হাত সড়াতেই সাইরি অবাক চোখে তাকালো।চারপাশ টা জোনাকি দিয়ে ভরপুর।নদীর পাড়ে নিয়ে এসেছে ফাহিম তাকে।ছোট্ট একটা ডিঙি নৌকা বাধা পাড়ে।আকাশে চাঁদ উঠেছে।নদীর পানিতে চাঁদের ছায়া পড়েছে।চারপাশ টা চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে।সাইরি খুশিতে আত্মহারা। জোনাকি পোকা গুলো সে ছুয়ে দিচ্ছে। লাফিয়ে জোনাকি ধরা চেষ্টা করছে।ফাহিম মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখছে সাইরি কে।কতো খুশি সে।ফাহিমও অনেক খুশি সাইরির খুশিতে।আসলে ভালবাসার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে পৃথিবীর সব সুখ নিজের মনে হয়।সাইরি যখন খুশিতে লাফালাফি করছিলো ঠিক সেই মুহুর্তে ফাহিম সাইরির সামনে গিয়ে হাটুগেরে বসে পড়লো।সাইরির হাতের আঙুল কাছে টেনে নিলো।সাইরি থ হয়ে দাড়িয়ে দেখছে।
.
” তুমি আমার দেখা প্রথম সুশ্রী নারী।আমি জন্মের পর আমার মা কে দেখিনাই,যদি মা কে দেখতাম তবে মা প্রথম আর তুমি আমার দেখা দ্বিতীয় সুশ্রী নারীতে স্থান পেতে।তোমার রুপের উপমা আমি কি দিয়ে সাজিয়ে তোমার সামনে উপস্থাপন করবো তা আমার জানা নাই।কিছু কিছু বস্তু মানুষের এতো বেশি ভালো লাগে যে, মানুষ তাহার প্রশংসা করার সঠিক শব্দ খুজে পায় না,মুগ্ধ হয়ে ভাষ্যহীন হয়ে যায়।আমার বেলাতেও তার ব্যতিক্রম হয় নাই।আমি তোমার ঐ দীঘির ন্যায় চোখের অতলে ডুবেছি।তোমার হাঁসির ধ্বনিতে হাজারো চুড়ির ঝংকার বেঁজেছে আমার কানে।তোমার ঐ বাঁকা দাঁতের হাসি আমি মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছি।তোমার ঐ ঘন কালো কেশ মেঘদের হার মানিয়েছে।ভিরু দুটি ঠোঁটে অসংখ্য তিল আর কথার ধরনে মোহিত আমি। আমি তোমায় ভালোবেসেছি,প্রেমে পড়েছি।ভালবাসবে কি আমায়?
.
কথাগুলো বলে ফাহিম সাইরির হাতে হিরের রিং পড়িয়ে দিলো।রাতের আঁধারে রিং তার আলো ছড়াচ্ছে চারদিকে।সাইরি হা করে তাকিয়ে আছে।ফাহিম তাকে এতো টা ভালবাসে সে জানে না।ভেবেছে চোখের দেখায় পছন্দ হয়েছে তাই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু না সাইরির ধারনা ভুল।সাইরি কে সে ভালবেসে বিয়ে করছে।সাইরির চোখে জল চলে এলো।এটা কষ্টের না সুখের জল।ফাহিম সাইরির চোখের জল মুছে দিলো।
– “কাঁদছো কেনো,ভালবাসবে আমায়,একটু খানি ভালবাসা দিবে,আমি ভালবাসার কাঙাল। কখনো ভালবাসা পাইনি,জন্মের সময় মা মারা গেছে।তার কয়েকবছর পর বাবা।ভাই বোনও নাই ভালবাসা কেমন হয় জানতেই পারিনি।বাসবে আমায় ভালো,দিবে আমায় ভালবাসা একটুখানি দিলেই হবে।
এবার সাইরি ফাহিম কে জরিয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
– “একটুখানি না আমি আমার সবটুকু ভালবাসা শুধু তোমাকেই দিবো।সাইরি ফাহিম কে জরিয়ে কথাগুলো বললো কেঁদে কেঁদে।ফাহিমও সাইরি কে বুকের সাথে মিশে নিলো।ডিনার নদীর পাড়েই সেড়ে নিলো।আগে থেকে ফাহিম ওখানে ডিনারের ব্যবস্থা করে রেখেছিলো।
.
অতঃপর তারা নদীর পাড় দিয়ে হাটছে।চাঁদের আলোয় একে অপরের হাত ধরে হাটছে আঙুলো আঙুল ডুবিয়ে।নদীর পাড় ছেড়ে রাস্তায় এসে পৌছলো তারা।পুবেল হাওয়া বইছে।হালকা শীত শীত লাগছে।সাইরি আঁচল টা ভালোভাবে জড়িয়ে নিলো।ফাহিম দেখলো সাইরি শীতে কুকড়ে যাচ্ছে। তাই সে তার কোট টা খুলে সাইরির গায়ে জড়িয়ে দিলো।সাইরি প্রথমে না করলেও ফাহিমের কথায় আরো ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নিলো কোটটা।সাইরি কে বাড়ি নামিয়ে দিয়ে ফাহিম নিজের বাড়ি ফিরলো।
.
সাইরি ফাহিমের কোট জরিয়ে শুয়ে আছে। ফাহিমের কোট থেকে একটা স্মেল আসছে।অনেক ভালো লাগছে সাইরির তাই সে কোট টা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
.
আর ফাহিম শুয়ে ভাবছে দুদিন যে কখন শেষ হবে।কখন যে আমার মায়াপরী কে বউ বানিয়ে ঘরে নিয়ে আসবো।
.
সাইরির পাশের রুমে সিনহা স্বপ্ন কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে সেলিংএর দিকে।কতোদিন পর সিফাতের সাথে তার মান অভিমানের পালা শেষ হয়েছে।কিন্তু এখনো সে সিফাতের বাড়ি যেতে পারেনি।সাইরি বলেছে সাইরির বিয়ে না হয় যতদিন ততদিন ওর সাথে থাকতে।আর সিফাতের মা বেকে বসেছে।সিনহা কে বাড়ির বউ হিসেবে মানবে না বলে।তাই সিফাত আর সিনহা আজো আলাদা বাড়িতে।সিনহা নিজের ফ্ল্যাটেই থাকতো।কিন্তু সাইরির জোরাজুরিতে সাইরির কাছে থেকে গেলো।
.
সিফাত এপাশ ওপাশ করছে ঘুম আসছে না। এতোদিন পর সিনহা ফিরে এসেছে তবুও ওকে আপন করে পাচ্ছে না।দুরেই আছে।দুজন দুজনকে খুব করে চাইছে কিন্তু সিফাতের মা মানছে না।মা কেনো এমন করছে। পুরোনো ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে আপন করে নিলেই তো হয়।
.
বিয়ের দিন
.
দুদিন কোন দিক দিয়ে ফুরিয়ে গেলো কেউ টেরও পেলো না কিন্তু সাইরি আর ফাহিমের মনে হয়েছে দুদিন না যেনো দুবছর কেটে গেলো।দিন যেতেই চাচ্ছিলো না।অবশেষ প্রতিক্ষার পর সেই শুভক্ষন সামনে এসে উপস্থিত হলো।অবাক কান্ড হলো সাইরি আর সিনহা একসাথে বধু সাজে বসে আছে।সিফাত ও ফাহিমও অপর পাশে বর সেজে বসে আছে।জান্নাত সিনহার কোলে বসে আছে।আর স্বপ্ন সিফাতের পাশে।বাবার মতো সেও শেরওয়ানি পড়েছে।সিনহার শাশুড়ি মুখে মানবো না বললেও মনে মনে ঠিকই সিনহা কে চাইতো।সে একটুখানি শাস্তি দেওয়ার জন্য দুজনকে দুরে রেখেছে।কেননা সিনহা সিফাতের ভুলের জন্য অনেকে কস্ট পেয়েছে।কতগুলো বছর সিনহা কে ছাড়া থেকেছে ওর শাশুড়ি।এইসব কারনে তিনি অভিমানে এমন টা করেছে।আবার সাইরির সাথে প্লান করেই সিনহা আর সিফাতের আবারো বিয়ে দিচ্ছে।
.
বিয়ে শেষে বিদায় নিয়ে চলে গেলো সিনহা সিফাতের বাড়ি আর সাইরি ফাহিমের বাড়ি।
.
সাইরি বাসর ঘরে বসে ফাহিমের জন্য অপেক্ষা করছে মাথায় ঘোমটা টেনে।ফাহিম রুমে এসে ঘোমটা তুলেই সাইরির রুপে মুগ্ধ হয়ে গেলো।
-“সাইরি আজকের রাত টা আমাদের বিশেষ একটা রাত,জানো?
– ‘হুম লজ্জা কন্ঠে উত্তর দিলো সাইরি।
– “আমরা এই রাত টা অন্যরকম ভাবে কাটাবো,কাটাবে?
– ” হুম তুমি যেমন চাও তেমনটাই হবে?
– “তাহলে এসো আমার সাথে?
সাইরি আর কোনো কিছু না বলে ফাহিমের পিছু হাটতে লাগলো।ফাহিম বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলো।সাইরি অবাক হলেও কিছু বললো না সেও চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসলো।গাড়ি টা গিয়ে থামলো একটা গ্রামে ।গাড়ির আলো ছোট্র একটা ঘরে দিকে পড়েছে।ভেতর থেকে প্রায় বৃদ্ধ একটা মহিলা কাঁপা হাতে হারিকেন উচু করে বাহিরে এলো।
– “তুই এসেছিস বাবা?
– ” হ্যা মা এসেছি।
– “সাথে কে বৌমা কে নিয়ে এসেছিস?
– ” হ্যাঁ মা, তোমার না খুব ইচ্ছে তোমার ছেলে বউ বিয়ের রাত টা তোমার কাছে তেমার বাড়িতে কাটাবে,নিয়ে এসেছি মা দেখো আমার বউ এটা।
– “মাশাল্লাহ অনেক রুপবতী আমার বউ মা।বলে সাইরির মুখে হাত দিয়ে চুৃুমু খেলো বৃদ্ধ মহিলা।সাইরি অবাক হওয়ার পালা যেনো শেষ হচ্ছে না।
সিনহা বাসর ঘরের খাটের মাঝে প্রথম দিনের মতো বসে আছে।বরের জন্য অপেক্ষা করছে।ফাহিমের তো বাবা মা কেউ নেই,তাহলে এনি কে।ফাহিম লক্ষ্য করলো সিনহার বিষ্ময় হয়ে থাকা।
– “সিনহা এটা আমার মা।হয়তো গর্ভে ধরেনি তবুও আমার মায়ের থেকে কোনো অংশে কম নয়।সে এক ছেলে হারা দুঃখীনি মা।আর আমি মা হারা দুখিনী ছেলে তাই আমরা দুঃখীনি মিলে এক হয়ে গেছি।মা ছেলে আমরা।এক আত্মা এক প্রান।জানো মা কে কতো বলেছি আমার সাথে গিয়ে থাকতে কিন্তু মা যেতে চায় না বলেছে যেদিন বিয়ে করবি সেই রাত আমার বাড়ি এসে থেকে পরের দিন আমায় সাথে তোর বাড়ি নিয়ে যাবি তার আগে না।তার সাথে পরিচয়ের সব কথা বললো ফাহিম।
– ” আচ্ছা বাবা,যা বৌমা কে নিয়ে ঘুৃমো অনেক রাত হয়ে গেছে।সারাদিনে অনেক ধক্কল গেছে বৌমার ওপর।নিয়ে যা ঘরে।
অতঃপর সাইরি কে নিয়ে ফাহিম ঘরের ভিতর গিয়ে হা হয়ে গেলো।ঘরে বাসর ঘর সাজানো হয়েছে।বেলীফুল দিয়ে।পুরো ঘর বেলীফুলের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে আছে।দক্ষিনের জানালা খোলা।সাইরি একটু একটু করে জানালায় এগিয়ে গেলো।একদম কাছাকাছি গিয়ে চাঁদ দেখতে লাগলো।পুকুরের পানিতে শাপলা ফুটে আছে।চাদের আলোয় পুকুর টা ঝলমল করছে।চাঁদ কে পুকুরে পানিতে দেখে মনে হচ্ছে চাঁদ পুকুরেই শাপলার সাথে ফুটেছে।ফাহিম প্রায় নেশার ঘোরে আছে।ফুলের সুবাস নিতে তার চোখ গেলো সাইরির দিকে।সাইরির কাছে গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো সে।কাধে নিজের থুতনি রাখলো।ফাহিমের স্পর্শে কেঁপে উঠলো সাইরি।
– “কি দেখো?
– ” চাঁদ।
– “ওভাবে দেখো না,?
– ” কেনো?
– “লজ্জা পাবে তো।
– ” কে লজ্জা পাবে?
– “চাঁদ।
– ” কেনো?
– “বাঃ রে চাঁদের দিকে তাকালেই চাঁদ লজ্জা পায় নাকি?
– ” হুম পায়।
– “কেনো?
– “চাঁদের থেকে বেশি সুন্দর কেউ চাঁদের দিকে তাকালে চাঁদ লজ্জায় মেঘের আড়ালে মুখ লুকোয়।
– ” আমি কি চাঁদের চেয়ে সুন্দর?
– “একদম।
– ” দুরর কি যে বলো না?
– “হ্যা সত্যই বলি।তুমি চাঁদের থেকে বেশি সুন্দর।
– “কিভাবে?
– ” এইতো এভাবে বলে সাইরি কে এক টানে সামনে দিকে নিয়ে এলো।চোখে চোখ রাখলো।তারপর কপালে কপাল,নাকে নাক ঠেকিয়ে হাতের আঙুলে আঙুল ডুবালো ফাহিম।ফাহিম এতো কাছে আসাই সাইরির নিঃশ্বাস দ্রুত প্রশ্বাস করছে।ফাহিম সাইরির কপালে, চোখে চুমু দিয়ে ঠোঁটে হালকা চুমু দিলো।তারপর গলায় নাক ঘষতে লাগলো।সাইরির নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। ফাহিম সাইরি গলায় নাক ডুবিয়ে নাক ঘষছে সাইরি উন্মাদের মতো ফাহিম কে শক্ত করে জড়িয়ে বুকের কোটরে প্রবেশ করছে।সাইরি কে কোলে তুলে নিয়ে বেলী ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় দুজনে ডুব দিলো এক ভালবাসা ময় মিলনের হাতছানিতে।
.
সিনহা সেই প্রথম দিনের ন্যায় বধু সাজে বসে অপেক্ষা করছে সিফাতের জন্য।আজকেও সিফাত দেরী করে আসছে।হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ পেলো সিনহা।সিফাত এসেছে ঘোমটা একটু খানি আড়াল করে দেখলো সিনহা।সিফাত ঢুলছে।সিফাত কে ঢুলতে দেখে মুহুর্তে সিনহার মুখ কালো হয়ে গেলো।সে ভাবতে লাগলো সিফাত কি প্রথম দিনের মতো মদ খেয়ে এসেছে। কিন্তু কেনো।
– “তুমি মদ খেয়েছো?
– ” হ্যাঁ মদ খেয়েছি আমি।
– “কেনো?.
– ” কেনো মানে কি রে,আমি মদ খেয়েছি আরো খাবো।মাতলামো করে বললো কথাগুলো।
– “তুমি মদ খাবে কেনো?.
– ” বউয়ের অধিকার দেখাতে এসেছিস?
– “ছিহ তুমি যেমন তেমনই আছো কোনোদিন শুধরাবে না।।কথাটি শেষ না হতেই সিফাত ছুটে গিয়ে সিনহার ঠোঁটে ঠোট মিলিয়ে দিলো।সিনহার ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেকক্ষন পর সিনহা কে ছেড়ে দিলো সিফাত।সিনহার চোখে জল চলে এসেছে।
– ” প্রথম দিন রাগে জেদে ঠোট মিলিয়ে ছিলাম আর আজ ভালবেসে।সিফাত বললো।
– “এটা তোমার ভালবাসা।ছিঃ
– ” জান ছিঃ বলো কেনো আমি না তোমার স্বামী, আমাকে না তুমি ভালোবাসো।
– “এই নোংরা মানুষিকতার মাতাল লোকটাকে আমি ভালবাসি না।
– ” তাহলে কাকে ভালবাসো।
– “আমি ভিতরের সিফাত টাকে ভালবাসি বাহিরে তোমার এই রুপ টাকে না।
– ” একই হলো ঘুরে ফিরে আমাকেই ভালবাসো।
– ‘নাহ আমি তোমাকে ভালবাসি না।
– “বাসো।
– ” না।
– “বাসো
– বললাম তো বাসি না ঐ মাতাল টাকে।বলে কেঁদে ফেললো সিনহা।
– ” জানিতো।তুমি আমাকে ভালবাসো, আমার পাগলী টা আমাকে অনেক ভালোবাসে।কথাগুলো স্বাভাবিক ভাবে বললো সিফাত।মুচকি হাসি দিয়ে।সিনহা তাকালো তাকে এখন মোটেও মাতাল লাগছে না।
– “তুৃমি মদ খাওনি?
– ” পাগলী মদ খেলে কি গন্ধ পেতে না।তোমায় রাগানোর জন্য এতোক্ষন অভিনয় করলাম
– “হারামী।কুত্তা, তোমায় আমি গলা টিপে মেরে ফেলবো বলে সিফাতের বুকে সিনহা কিল ঘুসি দিতে লাগলো।হঠাৎই সিফাত হাত টা ধরে টেনে কাছে নিয়ে এলো।দুজনের চোখাচোখি হলো।সিনহা লজ্জায় সিফাতের বুকে মুখ লুকালো।সিফাত জড়িয়ে নিলো পরম ভালবাসায়।তারপর কি করলো সেগুলো লিখতে পারবো না।আপনাদের কি ধারনা নেই তারপর কি হবে।তারপর ক্লাস চলবে😂😂😝😝😜😜😜
ভালো থাকুক আমার সিনহা তার স্বামী সংসার নিয়ে।মাঝে মাঝে আবার ভুল বোঝাবুঝি হোক।দুরে চলে যাক।পাঁচ বছর তো ভুক বুঝেই দুরে থাকলো এবার না হয় ১০ বছর থাকুক আবার দুরে গিয়ে।😂
চমৎকার সব গল্প পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন গল্পের ঠিকানায়
Hum..api..ar porar bar 10 kano 20 bosor pora asuk😉😉😉😉😄😄😄