গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব ১৮

#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_১৮
.
.
🦋
স্মরণ টাইম দেখে দশ টা অলরেডি বেজে গেছে তাই স্মরণ দেরি না করে কাবার্ড খুলে একটা পাজ্ঞাবি বের করে ৷সাদা পাঞ্জাবি তার উপর সোনালি সুতোর কাজ করা ৷ স্মরণ পাজ্ঞাবি পড়ে চুল গুলো সেট করে নেয়৷ হাতে ঘড়ি পড়ে চোখে জিরো পাওয়ারের চশমাটা খুলে সানগ্লাস টা পড়ে নিয়ে ফোনটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷

স্মরণ নাস্তা না করে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের গাড়িতে উঠতে যাবে তখনি পেছন থেকে স্মরণের মুখ টা রুমাল দিয়ে চেপে ধরে সাথে সাথে স্মরণ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷

জ্ঞান ফিরতে চোখ মেলে তাকায় স্মরণ ৷ মাথায় হাত দিয়ে চারিদিকে তাকিয়ে দেখে একটা রুমে তাকে চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে৷ রুমটায় বসার জন্য দুটো ব্যান্চ আর টেবিল চেয়ার রয়েছে৷ স্মরণ চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করল অজ্ঞান হওয়ার আগে কি হয়েছিলো৷ সব টা মনে পড়তেই রাগে স্মরণের কপালের রগ ফুলে উঠলো৷ চেয়ার ছেড়ে উঠতে রুমের ভিতর ঐশী স্মিতা সাফা ঢুকতে ঢুকতে বলতে লাগলো, ” ভাইয়া আপনার জ্ঞান ফিরেছে তাহলে? আমরা কতোক্ষণ ওয়েট করছিলাম আপনার জ্ঞান ফেরার৷ “(স্মিতা)

” কিন্তু আমি এখানে কি করে এলাম স্মিতা? আর সেন্সলেস বা কি করে হলাম?” তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো স্মরণ ৷

” তার উওর তো অন্য কেউ দিবে দোস্ত” রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললো আকাশ৷ আর আকাশে পেছনে নিলয় আর সাগর ঢুকলো৷ সবাইকে এক সাথে দেখে স্মরণ অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, ” তোরা এখানে?”

” আরে আমরা থাকবো না তো কে থাকবে বল? এতো কষ্ট করে তোকে অজ্ঞান করলাম এখানে তুলে আনলাম ৷ এখন বল আমরা থাকবো না তো কে থাকবে?”

” ওয়াট দ্যা হেল ইজ দিস ৷ আমাকে কেন এভাবে নিয়ে এসেছিস তোরা ? তোদের কি বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই? ”

” বাঁচার ইচ্ছে আছে বিধায় তোকে এভাবে নিয়ে আসতে হলো৷”(সাগর)

” কার হুকুমে আমাকে তুলে আনলি সাগর নিলয় আকাশ ৷ আন্সার মি ড্যাম ইট?”

আকাশ নিলয় সাগর কিছু বলার পূর্বে কেউ বলে উঠলো ,” আমার হুকুমে তোমার বন্ধুরা তোমাকে এভাবে তুলে এনেছে মিস্টার ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ ৷” কথা টা বলতে বলতে এক হাত দিয়ে লেহেঙ্গা ধরে অন্য হাতে বন্দুক ঘুরাতে ঘুরাতে স্মরণের দিকে এগিয়ে বলতে লাগলো প্রাণো ৷

স্মরণ অবাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে আছে প্রাণোর দিকে, গাঢ় লাল টকটকে লেহেঙ্গা পড়ে বধু সাজে প্রাণোকে দেখে স্মরণ এর যেন হৃদস্পন্দন যেন থেমে গেল৷ চোখের সামনে এ যেন এক অন্য প্রাণো ৷ স্মরণকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে প্রাণো স্মরণ কে চোখ মেরে বলে, ” মাই কিউট হাসবেন্ট এভাবে হা করে তাকিয়ে থেকো না সোনা মুখে যে মাছি ঢুকে যাবে৷”

প্রাণোর কথা শুনে বাকিরা মুখ টিপে হাসতে লাগলো৷ প্রাণো তার স্টাইলে স্মরণের সামনে দাড়িয়ে বন্দুক টা টেবিলের উপর রেখে নিজের কান ধরে বলে , ” গতকাল তোমাকে না জানিয়ে চলে যাওয়ার জন্য স্যরি ৷ বাট ট্রাস্ট মি এ ছাড়া আর আমার কোন ওয়ে ছিলো না ৷ আমাকে যেতেই হতো৷ ”

প্রাণোর কথা শুনে স্মরণের ধ্যান ভাঙে গতকাল রাতের কথা মনে পড়তে স্মরণের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে৷ প্রাণোর দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলতে লাগলো,” তুমি এই সাজে কেন? আর আমাকে এভাবে তুলে আনার প্রয়োজন কি ছিলো? আমি আসছিলাম তোমার কাছে?”

” কেন তুমি একাই আমাকে চমকে দিতে পারো ? আমি পারি না? এটা তো যাস্ট তোমাকে চমকে দেওয়ার জন্য৷ আর এই বধু সাজে থাকার কারণ হলো আমি আজ বিয়ে করছি ৷ আর তুমি হবে আমার সাক্ষী৷”

প্রাণোর কথা শুনে স্মরণ প্রচন্ড রেগে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রাণোর হাত চেপে ধরে বলে,” কি বললি তুই অন্য কাউকে বিয়ে করবি আর আমি তোর বিয়ে সাক্ষী হবো? তোর খুব শখ না বিয়ে করার হাহ্ !”

” বাচ্চাদের মতো করবে না স্মরণ ৷ বিয়ে করার শখ না হলে কাজি অফিসে কি কুতকুত খেলতে আসে মানুষ?” প্রাণোর তেরা উওর শুনে স্মরণ আরো ক্ষেপে গেল৷

প্রাণো ফিক করে হেসে দিয়ে সবার সামনে স্মরণের গলা জড়িয়ে ধরে মিষ্টি করে হেসে বললো,” এই যে বোকারাম তুমি এতোটা বুদ্ধ এটা তো আমি আগে জানতাম না৷ তখন আমি ঢুকতে তোমাকে কি বলেছিলাম বলোতো?”

স্মরণ একটু ভেবে তখনকার প্রাণোর বলা মাই কিউট হাসবেন্ট কথাটা মনে পড়তে অবাক চোখে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে বলে,” তুমি যে এতো টা দুষ্টু চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে এটা তো আগে জানা ছিলো না প্রাণ!”

” আরো অনেক কিছুই জানো না তুমি ৷ ধিরে ধিরে সব জানতে পারবে৷ ”

” তা নয় পারবো কিন্তু আমি তো তোমাকে আজ বিয়ে করতে পারবো না প্রাণ৷”

” তাই নাকি?” প্রাণো টেবিলের উপর থেকে বন্দুক টা হাতে নিয়ে স্মরণের কপালে তাক করে বলে,” তুমি যদি এখন এই মুহূর্তে আমাকে বিয়ে না করো তাহলে এই যে বন্দুক দেখছো এটা কিন্তু আমি চালিয়ে দিবো৷ তার চেয়ে বড় কথা তোমার গাধা মার্কা বন্ধু গুলো আমার হাত থেকে ছাড় পাবে না ৷”

প্রাণোর কথা শুনে সাগর নিলয় আকাশ ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে সকালের কথা মনে করতে লাগলো….

ফ্লাসব্যাক……

” তো ভাইয়ারা আপনারা কি ঠিক করলেন? আমাকে হেল্প করবেন নাকি নিজেদের হাত পা ভাঙাবেন?”

” প্রাণো ইয়ে মানে ভাবি স্মরণকে তুলে আমরা আনবো? স্মরণ যদি একবার বুঝতে পারে আমরা আপনার প্লানে যুক্ত তাহলে আমাদের ছাড়বে না মেরে দিবে৷”

” আপনাদের কি মনে হয়? আমি আপনাদের ছেড়ে দিবো? প্রথমে স্মিতা সাফা ঐশীর সাথে আপনাদের ব্রেকয়াপ করাবো৷ কি ভাবছেন আপনাদের রিলেশনের কথা আমি জানি না? হাউ ফানি আপনাদের শুরু থেকে সব টা জানি ৷ এখন আপনারা আমার কথা না শুনলে প্রথমে ব্রেকয়াপ করাবো দেন আপনাদের প্রত্যেকের হাত পা ভেঙে পুলিশে দিবো আমাকে ডাকাত বলে৷ ”

সাগর নিলয় আকাশ প্রাণোর পেছনে তাকিয়ে দেখে অনেক গুলো লোক দাড়ানো যারা হাতে মোটা লাঠি ৷ ভয়ে শুকনো ঢোক গিয়ে তিন মূর্তিমান রাজি হয়ে যায়৷

বর্তমানে…..

” দোস্ত রাজি হয়ে যা না , তুই তো আগে ভাবিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলি এখন করবি না কেন?”(নিলয়)

” চুপ থাক তোরা একটা কথাও বলবি না ৷ যদি বলিস তোদের একটাও হাড়গোড় আস্তো থাকবে না৷”

স্মরণের কথা শুনে ভয়ে ওখানে চুপ হয়ে গেল নিলয়৷ ডাঙ্গায় বাঘ আর জলে কুমির এমন অবস্থা এখন নিলয় আকাশ সাগরের…. সাফা ঐশী স্মিতা মুখ টিপে হাসছে তাদের বয়ফ্রেন্ডের নাজুক অবস্থা দেখে৷

” নিলয় ভাইয়া কাজী সাহেব কোথায়?”

” উনি এখুনি এসে পড়বে ভাবি৷” বলতে বলতে কাজী সাহেব এসে পড়ে বিয়ে পড়ানো শুরু করে দেয়৷ স্মরণ মুখ গোমড়া করে বসে আছে৷ কাজী সাহেব বার বার স্মরণকে সাইন করতে বললেও স্মরণ সাইন করে না৷ এটা দেখে প্রাণো প্রচন্ড রেগে যায় ৷ হুট করে বন্দুক সাগরের মাথা তাক করে স্মরণ কে বলে , ” সাইন করবে কিনা স্মরণ ?”

” না করবো না ৷”

” তাহলে তোমার বন্ধু আজ মরবে স্মরণ”

” বাজে কথা বলো না ৷ আমি খুব ভালো করেই জানি তুমি রক্ত ভয় পাও ৷ আর শুট করার মতো সাহস তোমার নে….” কথা শেষ করার আগেই প্রাণো শুট করে দেয় তবে সাগরের শরীরে নয় ৷ কিন্তু স্মরণ সহ বাকিরা সত্যি খুব ঘাবড়ে যায়৷

” মাই কিউট হাসবেন্ট দেখলে তো আমার সাহস আছে কি না? এখন তুমি যদি সাইন না করো তাহলে আমি সত্যি সাগর ভাইকে শুট করে দিবো৷”

স্মরণ আর কিছু বললো না চুপচাপ সাইন করে দিলো৷ দু’জনে সাইন করা শেষে সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে৷

বিয়ে শেষ হতে সাদমান প্রাণোর সামনে এসে দাড়ায় ৷ সাদমান কে দেখে আকাশ নিলয় সাগর স্মরণ হতবিহ্বল হয়ে দাড়িয়ে রইল৷

” তু,, তুই এখানে?”(সাগর)

” বোনের বিয়েতে ভাই থাকবে না তো কে থাকবে সাগর?”

” বোন মানে! ভাবি তোর বোন?”(নিলয়)

” জ্বি আমার কলিজার টুকরা আমার বোন প্রাণো আর আজ থেকে স্মরণ এর বউ তোদের ভাবি ৷”

স্মরণ কোন রিয়েক্ট করলো না৷ প্রাণো স্মরণের রিয়েকশন দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলো কিন্তু কোন রিয়েকশন না দেখে খানিকটা অবাক হয়৷ কিন্তু তার দাভাই আর স্মরণের বন্ধুদের কথোপকথন শুনে বুঝতে পারে তার দাভাই এর বন্ধু এরা৷

” দাভাই এরা তোমার বন্ধু তাই না?” তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো প্রাণো সাদমান কে….

” ইয়ে মানে হ্যাঁ বনু ”

” তোমাকে বাড়িতে গিয়ে দেখে নিবো দাভাই ৷ এখন এখানকার কাজ মিটিয়ে নেও তাড়াতাড়ি আমার খুব খিদে পেয়েছে৷”

গম্ভির মুখে কথা গুলো বলে বেড়িয়ে যেতে নিলে স্মরণ হুট করে প্রাণোকে কোলে তুলে নিয়ে বলে, ” তোমরা অন্য গাড়িতে এসো আমি প্রাণ কে নিয়ে যাচ্ছি ৷”

সাদমান মুচকি হেসে কাজী সাহেব কে তার ফিস দিয়ে বাকিদের নিয়ে অন্য গাড়িতে উঠে ৷

স্মরণ প্রাণোর দিকে না তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে৷ প্রাণো আড়চোখে কয়েকবার স্মরণের দিকে তাকালো ৷ স্মরণ কোন রেসপন্স করলো না৷

স্মরণ একটা হোটেলের সামনে গাড়ি থামিয়ে প্রাণোকে কোলে তুলে নিয়ে হোটেলের ভিতর ঢুকে রিসিপশন এর সামনে দাড়াতে ম্যানেজার স্মরণ কে দেখে সালাম দিয়ে স্টাফ কে বলে স্পেশাল হানিমুন সুইটে নিয়ে যেতে৷ প্রাণো হতবাক হয়ে দেখছে ৷ স্মরণের মুখে না আছে হাসি না আছে কোন রাগ ৷ স্বাভাবিক রয়েছে স্মরণ৷ স্মরণ প্রাণোকে কোলে নিয়ে লিফ্টে উঠে থার্ড ফ্লোরে গিয়ে ৩০৭ নম্বর রুমে ঢুকে প্রাণো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে৷ এতো সুন্দর করে রুম টা সাজানো যে প্রাণো চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেছে৷ স্মরণ প্রাণোকে বেডের উপর বসিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ প্রাণো রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগে ৷ প্রাণো সামনে এগিয়ে থাইগ্লাস সরিয়ে দেখে ছোট্ট একটা ট্যারেস সেখানে ছোট্ট একলা সুইমিংপুল ৷ প্রাণো সে দিকে যেতে নিলে হুট করে পেছন থেকে স্মরণ প্রাণোকে জড়িয়ে ধরে ৷ প্রাণো চমকে ওঠে নিজেকে স্মরণের থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও অসফল হয়ে হাল ছেড়ে দেয়৷

” পারবে না প্রাণ আমার ভালোবাসার বাধন থেকে তুমি চাইলেও আর কোন দিন মুক্তি পাবে না৷ আমার ভালোবাসার মায়াজালে তোমাকে সারা জীবন এভাবে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে রাখবো৷”

প্রাণো আবেশে চোখ বন্ধ করে স্মরণের কথার প্রত্যুত্তরে বলে উঠলো,” আমিও চাইনা এই ভালোবাসার মায়াজাল থেকে মুক্তি পেতে স্মরণ৷ আমি সারা জীবন তোমার বাহু ডোরে কাটাতে চাই স্মরণ৷”

” আমি তোমাকে চাই কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তুমি?”

” যদি বলি ভালোবাসি ”

স্মরণ আর কিছু বললো না প্রাণো কে কোলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিয়ে নিজের বক্ষঃস্থলে জড়িয়ে নিলো প্রাণো কে ৷ স্মরণের প্রত্যেকটা স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠছে প্রাণো৷ দুটো মানুষ আজ এতোটা কাছাকাছি যে একে অন্যের নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে ৷ হৃদস্পন্দন প্রত্যেকটা শব্দ তারা দুজনে শুনছে৷ এতো বছরের ভালোবাসা পূর্ণতার রুপ পেলো আজ৷

________

” ভাইয়া তিন ঘন্টা হয়ে গেল জিজু আর প্রাণো তো এখনো এলো না?” হাই তুলতে তুলতে প্রশ্ন করলো স্মিতা৷ স্মিতার কথা শুনে সাগর ফিস ফিস করে স্মিতার কানে কানে বলতে লাগলো,” জানু তুমি ভুলে যাচ্ছো আমার বন্ধু আর তোমার বান্ধবী এখন বিবাহিত ৷ তারা যখন এখানে আসেনি তারমানে তারা রোমান্সে বিজি এতো টুকু বুঝতে পারছো না গাধী৷”

সাগরের কথা শুনে মুখ গোমড়া করে বসে রইল স্মিতা৷ সাদমান কিছুক্ষণ পর বলে উঠলো , ” সাগর নিলয় আকাশ আমাকে এখন উঠতে হবে বিকেল হয়ে গেল৷ বাসায় গিয়ে ব্যাপার টা ম্যানেজ করতে হবে৷ ”

” ওকে তাহলে তুই বাড়ি যা আর আমরা ওদের বাড়িতে ড্রপ করে দিয়ে আসি৷”

” ওকে আমি আসছি তাহলে…”

সাদমান চলে যেতে আকাশ ঐশী সাগর স্মিতা নিলয় সাফা কে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে রেস্টুরেন্ট থেকে,

_________

” JM আজ আর্জেন্ট মিটিং এর কারন কী?”

” জেন্টেলমান আপনারা খুব ভালো করে জানেন গতকাল কি হয়েছিলো৷ সাথে আমার কোটি কোটি টাকার মাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷”

” JM আমাদের খুব তাড়াতাড়ি একটা ব্যবস্থা নিতে হবে নাহলে কাল আপনাকে এট্যাক করেছে পরে আমাদের করবে তার আগে আমাদের কিছু একটা করতে হবে৷”

” আমার ও তাই মনে হয় ৷ কিন্তু সমস্যা হলো আমার ওই দলটার সম্পর্কে কিছুই জানি না ৷ আমাদের আগে ওদের বিষয়ে ইনফরমেশন কালেক্ট করতে হবে তারপর শুরু হবে রক্তের খেলা৷”

” JM ঠিক বলছে ৷ আমাদের দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে ৷ ”

” হুম তাহলে কিছুদিন আমাদের দুই নম্বর কাজ বন্ধ রাখবো ৷”

” ঠিক আছে JM আপনি যে সির্ধান্ত নিবেন আমরা ততাতেই সহমত ৷ আপনি শুধু আমাদের বাঁচান৷

” আপনাদের তো বাঁচাতে হবে আমাকে নাহলে যে আমার বিজনেস ডুবে যাবে৷”
.
.
.
#চলবে………
[ স্মরণ প্রাণোর তো বিয়ে দিয়ে দিলাম৷ এবার নিশ্চয়ই খুশি সবাই? ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here