“আকাশী”
পর্ব ২১.
জয় আলোর সামনে এসে বলল, ‘যাই ইচ্ছে হয় করছি। তাতে তোর কী?’
‘আমার কী মানে? আমাদের বাড়ির ইম্পর্টেন্ট পার্সনের সাথে যাকে-তাকে কথা বলতে দেওয়া যাবে নাকি? বাড়ির লোক হিসেবে ওকে প্রটেক্ট করা আমার একান্ত কর্তব্য।’
জয়ের রাগ চওড়া হতেই সে বলল, ‘এমনি তো এই বাড়িতে আসতে চাস না। মাঝে মাঝে এসে এভাবে কর্তৃত্ব দেখানো তোকে শোভা পায় না।’
‘পাক না পাক, আমি দেখাবই। তাছাড়া আমার লেখাপড়া শেষ হয়ে আসছে। তুই জানিস, চাকরিতে জয়েন করতে হবে। আমি ওখানেই স্যাটল হয়ে যাব। তখন এই বাড়িতে কর্তৃত্ব দেখাতে আসব না। তদ্দিন পর্যন্ত দেখাবই।’
জয় নিরুত্তর হয়ে পড়ে বলল, ‘আকাশী, চল। চলে যাই।’
আকাশী বলল, ‘না, এই সময়ে একবার এখানে এলে আমার আর যেতে ইচ্ছে হয় না। আমি কিছুক্ষণ থেকে চলে যাব। আপনি চলে যান।’
অপূর্ব জয়কে শুনিয়ে বলল, ‘এখানে তো তোমার অনেক বন্ধু আছে, যাদের সাথে দেখা করতে হবে। তাই না আকাশী?’
আকাশী ঠোঁট টিপে হাসল। এতক্ষণ তাদের মাঝের দ্বন্দ্ব বুঝে উঠতে পারছিল না। এখন সে পেরেছে। জয় রাগ সংবরণ করতে না পেরে কিছু না বলে চলে যায়।
আকাশী বলল, ‘আপনি উনাকে এভাবে টিজ কেন করেছেন?’
‘ওসব আমাদের মাঝে চলতে থাকে। আর কথা হলো, তুমি যেরূপ, তোমার সঙ্গীরও সেরূপ হওয়া উচিত। জয়ের কথা বলো না। ও ওর লাইফে যতগুলো মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়েছে, সবগুলোকে একসাথে করলে তোমার মনে হবে তুমি এতগুলো মেয়ে একসাথে কখনও দেখনি।’
দু’জনই হেসে ফেলল।
আকাশী বলল, ‘আমি কীরূপ বুঝাতে চান?’
‘তোমার সম্বন্ধে যতটুকু জানি, ওর মতো বেশি ডেট করনি। সে সাপেক্ষে বললাম।’
‘যদি করে থাকি?’
‘করে থাকলেও এখন জয়ের সাথে করছিলে না এটা নিশ্চিত ছিলাম। হোয়াটএভার, আমি বাজারে যাব।’
‘সিগারেট?’
‘তাতে তোমার কী?’
অপূর্ব বাইক স্টার্ট দিতে যেতেই আকাশী বাধা দিলো, ‘আমাকে নিয়ে একটা রাইড দিতে হবে। নইলে কথাটি ডাইরেক্ট আঙ্কেলের কানে যাবে।’
‘তুমি কিছুক্ষণ চাচা কিছুক্ষণ আঙ্কেল বলো কেন?’
‘আমার ইচ্ছা। তাছাড়া উনাকে তেমন সম্বোধন করতে হয় না বলেই মুখ দিয়ে যথার্থ করে একটা বেরিয়ে আসে না। ওসব থাক না, আমাকে শুধু স্কুল প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ঘুরিয়ে আনবেন।’
‘তুমি কি আর কাউকে পাও না? আমাকেই কেন বিরক্ত কর?’
‘ঠিক আছে। নিতে হবে না। আমি গিয়ে আমাকে একবার কাদায় ফেলার কথা আঙ্কেলকে বলে দেই।’
আকাশী যেতে উদ্যত হতেই অপূর্ব তার হাত ধরে ফোঁস করে ওঠল, ‘বসো।’
আকাশী হেসে বাইকে ওঠে পড়ে। অপূর্ব বাইক চালাতে শুরু করলে তাদের মাঝে আর কোনো কথা হয় না। আকাশী কেবল এই মুহূর্তকে উপভোগ করছে। নিস্তব্ধ ঘন কালো এবং শান্তির এই পরিবেশে চাঁদের আলো গায়ে মেখে তুমুল বেগে বাতাসের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা। আকাশী সাহস করে হাত দুটো মেলিয়ে ধরল। তাকে নিশ্চুপ দেখে অপূর্ব আয়না উঁচিয়ে দেখল, আকাশী চোখ বন্ধ করে দুই হাত মেলে ধরে এই বাতাসকে উপভোগ করছে। আর তার মাথার ওড়নাটা পড়ে যাওয়ায় তার চুল উড়ছে। তাকে অপরূপ দেখাচ্ছে। তাদের ক্যাম্পাসে অনেক মেয়েই জিন্সের সাথে টপস পরে থাকে কিংবা ফিটিং সেলোয়ার-কামিজ পরে। তাদের প্রতি কেন যেন আকর্ষণ বোধ হয় না। আজ এই মেয়ের কেবল মুখে ভেসে উঠা প্রশান্তি দেখে বোধ হচ্ছে। অপূর্বের চিড়চিড়ে রাগটা মনের কোনো এক জায়গায় গিয়ে মিইয়ে গেল। তার অজ্ঞাত একটা কারণে কিঞ্চিৎ ভয় হতে শুরু করল। যা-ই হোক, সে এতদিন যেভাবে আত্মসংবরণ করে এসেছে, সেভাবেই করে যেতে হবে। নিজেকে গলতে দেওয়া যাবে না। স্কুলের প্রাঙ্গণে আসার আগেই অপূর্ব হঠাৎ বাইক থামিয়ে দিলো। আচমকা বাইক থামায় আকাশী অপূর্বের পিঠে ঝুঁকে পড়ল।
‘কী হলো? এভাবে বাইক কেন থামিয়েছেন?’
‘নামো বাইক থেকে।’
আকাশী কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে চুল ঠিক করে নেমে পড়ে মাথায় পুনরায় কাপড় দিলো।
‘আমাকে তো ঘুরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল।’
‘নিচ্ছি না। আমার কাছে মেয়েদের ভালো লাগে না। তোমাকে এতটুকু এনেছি এই অনেক।’
আকাশী আঙুল উঁচিয়ে বলল, ‘আমি আপনার বাবাকে… ‘
‘বলে দাওগে।’ আকাশীকে পূর্ণ উপেক্ষা করে অপূর্ব চলে গেল।
আকাশী হতবুদ্ধির মতো সেখানেই দাঁড়িয়ে রইল। হঠাৎ কী হলো উনার? আঙ্কেলকে অভিযোগ করার কথায় তিনি ভয় পেলেন না কেন। আকাশী ভেবে না পেয়ে খামারের দিকে পা বাড়ায়।
.
মুঠো ভরতি করে বালি নিয়ে মুঠো খুললে বালি যেভাবে অবিরাম গড়িয়ে পড়ে, সময়ও জীবনের অধ্যায় খুলে দিলে অবিরাম হাত পিছলে পড়তে থাকে। আকাশী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাড়ির গেইট তৈরি হয়ে যায়। গেইটের ওপরের টাইলসে বড় অক্ষরে আবদ্ধ হলো, ‘আকাশী বাড়ি’। গেইটের উদ্বোধনী উপলক্ষে মাহমুদ শহর থেকে চলে আসেন। বড় একটা আয়োজন করে বাড়ির লোকদের আবারও দাওয়াত খাওয়ানো হলো। বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্য আলাদা করে আয়োজন করা হয়। অপূর্ব অনিকের বাসায় ফারুককে ডাকতে এলো। তিনি বিছানায় শুয়ে ছিলেন। অপূর্বকে আসতে দেখে তিনি উঠার চেষ্টা করলেন। অপূর্ব তাঁকে উঠতে দিলো না। সকালের দিকে তিনি সুস্থই থাকেন। রাত হতেই হাঁপানি বেড়ে যায়, তা অপূর্বের জানা ছিল না। হয়তো সুস্থ থাকতে পারেন ভেবে চলে এসেছিল। অপূর্বের সামনে ফারুকের পাশে একটি মেয়ে বসেছিল। অপূর্বের তাকে চিনতে কিছুটা বিলম্ব হয়। কিন্তু বোধ হচ্ছে, সে এই মেয়েটির চেহারা কোথাও দেখেছে। অনিক বলল, ‘ভাইয়া ও সালমা। আমার বোন।’
অপূর্ব চিনতে পেরে বলল, ‘ও আচ্ছা। আমি তো ভাবছি, চেনা কেন লাগছে। আচ্ছা শুনো, বাবা বলেছিলেন, চাচা যেতে না পারলে তোমাকে যেতে বলতে। যাওয়ার সময় সালমাকেও নিয়ে যেও। বাবা খুশি হবেন।’
অপূর্ব বেরিয়ে পড়ল। তখন পেছন থেকে কে যেন তাকে ডাকল। পেছনে ফিরে সে সালমাকে দেখতে পায়।
সালমা এগিয়ে এসে বলল, ‘আমি আপনাকে চিনলাম না। কোথাও দেখেছি মনে হচ্ছে।’
‘আমি অপূর্ব। ওই যে, নতুন চেয়ারম্যান মাহমুদের ছেলে।’
‘ওহ্, চিনতে ভুল করেছি। আপনাকে ছোটবেলায় সম্ভবত দেখেছি।’
‘ভুল করাটাই স্বাভাবিক। তুমি আমি এতদিন যে এই বাড়িতে ছিলাম না।’
‘থাকেন কোথায়?’
‘সুগন্ধায়। নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে বাবার।’
‘সুগন্ধায়? আমিও ওখানেই খালার বাসায় থাকি। কত নাম্বারে থাকেন আপনি?’
‘১৭৮। তুমি?’
‘২১৩ তে।’
‘তাহলে তো বেশি দূরে নয়।’
‘হাহা। কোইন্সিডেন্সলি একই বাড়ির লোক একই শহরে একই জায়গায় থাকি। অথচ চিনতামই না।’
‘হুঁ, আচ্ছা অনিকের সাথে এসো। পরে দেখা হবে।’
‘কাল তো ভাইয়া এখানে মেলা হবে। আপনি কি থাকছেন?’
‘হ্যাঁ, আছি।’
‘তাহলে দেখা হবে।’
অপূর্ব পকেটে হাত রেখে চলে গেল। সালমা তার চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে রইল।
প্রতি বছরের শুরুতে প্রাইমারি স্কুলের সামনের মাঠে ওরশের পর মেলার আয়োজন হয়। নানা বাড়ির লোক এখানে রাতের বেলায় জড় হয়। অপূর্বের যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। সালমা জোর করায় সে অসম্মতি দিতে পারল না। জয়েরা আগেই মেলায় গিয়েছে। অপূর্ব ইচ্ছাকৃতভাবেই দেরি করছিল। সে বাইক নিয়ে তালগাছের পাশে আসতেই পুকুরের দিকে কী একটা নড়তে দেখে থেমে যায়। সে তালগাছের সারি পেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর নিচু পুকুরের পাড়ে আকাশীকে দেখল। রাস্তা থেকে কেবল তার মাথাই দেখাচ্ছিল বিধায় অপূর্ব বুঝতে পারেনি। আকাশীকে দেখে চমকানোর কথা না হলেও চমকালো। কারণ দু’চার বাড়ির লোকেরা মেলায় ভিড় জমিয়েছে। আর আকাশী কিনা এখানে! অপূর্ব কাছে গেলে আকাশী চোখ মুছল। সে চোখ কিছুটা তুলে দেখল, একটি ছেলে গেঞ্জির ওপর শার্ট পরে আছে। শার্টের বোতাম খোলা। আকাশী চেহারা না দেখেই বুঝতে পারল, অপূর্ব এসেছে। এটাই যে অপূর্ব ভাইয়ের পরিধানের স্টাইল। আকাশী হেসে বলল, ‘আমাকে রাস্তা থেকে দেখা যাচ্ছিল নাকি?’
‘সামান্য। তা দেখে যে-কেউ বুঝত না এখানে কেউ বসে আছে।’ অপূর্ব হাঁটু গেড়ে বসে বলল, ‘এখানে কী করছ? মেলায় যাচ্ছ না?’
‘গিয়েছিলাম। আর যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।’
‘কেন?’
‘ওখানে মেয়েদের অনেক কসমেটিক এনেছে বলে।’
‘কেন? তাতে সমস্যা কী? কসমেটিক তো আনবেই।’
‘নূপুরও এনেছে। আমার কাছে নূপুর অনেক পছন্দের। কিন্তু কখনও কেনা হয় না। ওখানে দেখে লোভ সামলাতে না পেরে চলে এসেছি। আর…’
‘আর কী?’
‘লোকজন কিছু কিছু কেবল আমার দিকেই তাকাচ্ছিল।’
‘ওহ্। তা নূপুর কিনলে না কেন?’
আকাশী চুপ হয়ে রইল। অভাবের কথা আরেকজনের কাছে বলতে সঙ্কোচ হয়। কিন্তু যেখানে বৈধ, সেখানে বলাই যায়। আর কথা লুকানো আকাশীর স্বভাবে নেই, তা যা নিয়েই হোক না কেন।
‘টাকা ছিল না।’
‘কেন?’
‘আমার মতো এতো বড় মেয়ের কাছে শ’খানেক টাকা না থাকাটা হাস্যকর লাগতেই পারে। আমি যেসব টিউশনির টাকা পাই, সবই মা’কে দিয়ে দিতে হয়। গাড়ি ভাড়া ব্যতীত আর কিছুই থাকে না।’ আকাশী দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাঁজ করা হাঁটুদ্বয়ের মাঝখানে চিবুক রাখল।
‘তাহলে এসো। আমি কিনে দেই।’
‘আমার কাছে অন্যের টাকায় কিছু কিনতে ভালো লাগে না।’
‘আরে ভেবে রাখ, আমি উপহার দিচ্ছি। গ্রামের অনেক মানুষই তো তোমাকে ভালোবাসা হিসেবে নানা কিছু দেয়। আমিও না হয় একজোড়া নূপুর দিলাম।’
আকাশী মাথা নেড়ে চুপ হয়ে রইল। অপূর্ব বুঝতে পেল, নূপুর কিনতে যেতে তার কোনো দ্বিধা নেই। দ্বিধা তার কাছে নেই-ই। হয়তো আজ তার হাত শূন্য থাকায় তার মনটা এতো উদাসীন দেখাচ্ছে। আকাশীর জন্য তার মনে হঠাৎ অজ্ঞাত এক মায়া জন্মাল। কিছু বলতে যাওয়ার আগে নিজেকে সে থামিয়ে পাড় থেকে উঠে মেলায় চলে যায়। মেলায় অনেকের সাথে তার দেখা হয়। কিছু বাল্যবন্ধুও তাকে থাকতে জোর করছে। তার মনটা কেন যেন উড়ুউড়ু করছে। কিছু একটা যেন তাকে টানছে। সেসবকিছু ব্যতিরেকে অপূর্ব বন্ধুদের সাথে ঘুরতে লাগল। মাঝে সালমার সাথে দেখা হয়ে যায়। সালমা তাকে একটি ক্যাপ দিয়ে বলল, ‘এটা আপনার জন্য।’ বন্ধুদের সামনে তার বিবেকে বাধছিল। তবু সঙ্কোচ কাটিয়ে পরিবেশকে স্বাভাবিক করতে সে ক্যাপটা মাথায় পরে মুচকি হাসে। আজ আশেপাশে কেউ না থাকলে এই ক্যাপ সে নির্ঘাত নিতই না। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে তার চোখ একজোড়া নূপুরের দিকে যায়। সে বন্ধুদের কথার উপেক্ষা করে ওইজোড়া নূপুর কিনে নেয়। তার মনে কী চলছে নিজেই সে জানে না। কেবল জানে, আজ এই নূপুর কেনে কেউ একজনকে দিতে না পারলে সে শান্তি পাবে না। অপূর্ব এগারোটার আগে তড়িঘড়ি করে মেলা থেকে বেরিয়ে পড়ল। এরপর সম্ভবত আকাশী আর বাইরে থাকে না। অপূর্ব বাইক তালগাছের পাশে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে পুকুর পাড়ের দিকে গিয়ে আশাহত হলো। এখানে আকাশী নেই। তার মনের কোনো এক কোণে যেন সে মুচড় খেল। অপূর্বের মাঝে হঠাৎ কেমন এক অস্থিরতা বেড়েই চলেছে, যে অস্থিরতার শুরু হয়েছে আজ থেকে কিছু মাস আগে। আজ এই নূপুরগুলো তার মালিককে দিতে না পারলে সে কোনোভাবেই শান্তি পাবে না। এমন কেন হচ্ছে? কিছু মাস আগে সে আকাশীর সাথে বাইকে একসাথে কিছুক্ষণ ঘুরেছিল। সেই কিছুক্ষণের সময়টা এখনও তার মনকে ধাক্কায়। এই কিছুমাস মনে কেবল একটাই ভাবনা এসেছে, কেন সে আরও কিছুক্ষণ আকাশীকে বাইকে বসিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণ ঘুরিয়ে আনেনি? কেন সে ভুলে গিয়েছিল, সুযোগের একটি বিশেষ সময় পেরিয়ে গেলে তা আর পাওয়া যায় না। অপূর্ব তাকে নিয়ে কালই বাইকে রাইড দেবার প্রস্তাব রাখবে।
ভেবে সে অস্থির মন নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ল। বুঝার চেষ্টা করল আকাশীর নীরব ভাষাটা, যা দিয়ে সে এই পরিবেশের সাথে কথা বলে। সে কোনোভাবেই সফল হতে পারছে না। কীভাবে কথা বলে সে এই পরিবেশের সাথে? নাকি এই পরিবেশই আকাশীর সাথে ব্যতীত অন্য কারো সাথে কথা বলে না। অপূর্ব ওই জায়গায় বসে ভাবতে লাগল, আকাশী কী কারণে এই জায়গাকে ভালোবাসে। কিছুক্ষণ ভেবে সে বিড়বিড় করে বলল, মিত্রতা। জায়গাটকে ছাড়া কাউকেই সে মনের কথা বলতে পারে না। পেয়ে গেছে সে। অপূর্বের বুকের ভেতরের অস্থিরতা খানিকটা কমে এলো। সে প্রসন্ন মুখে উঠে পড়ে বাইক নিয়ে চলে গেল।
(চলবে..)
লেখা: ফারিয়া কাউছার