#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৬_পর্ব
.
,,,,,,ক্রমশ এ গল্পে আরো পাতা জুড়ে নিচ্ছি,,
,,,,,দু মুঠো বিকেল যদি চাও ছুঁড়ে দিচ্ছি,
,,,,আরো কিছুক্ষণ যোগাযোগ ধরে রাখছি,
,,,,,আঙুলে আঙুল যেনো ভুল করে ডাকছি,,
,,,এ ছেলে মানুষি তুলি দিয়ে আঁকছি।
পরন্ত বিকেলে ছাদে বসে ফোনে এই গানটা শুনছি আসোলে মনের ভিতর কেমন যেনো প্রেম প্রেম অনুভূতি হচ্ছে,,, ভালো তো আমি আগেই বেসে ফেলেছি মেহরাব ভাই কে তবে আজকে সকালে সেটা আবার নতুন করে অনুভব করলাম,,, এখন আমি শিওর সেদিন ওই সব সত্যি ছিলো,, ইস ভাবতেই কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছে,, তার মানে মেহরাব ভাই ও আমাকে ভালোবাসে তাহলে ওনি বলছে না কেনো?? তাহলে কি ওনি চাইছে যে আমি আগে বলি,, কিন্তু কীভাবে ওনি কি জানেন না মেয়েরা আগে বলে না,, ইস কবে যে বুঝবে হায়!(ছাঁদে বসে বসে কথাগুলি ভাবছিলো মাহি তখনি পিছন থেকে কেউ বলল)
কিরে প্রেমে টেমে পরেছিস নাকি?? এতো ভালোবাসাময় গান শুনছিস (মেহরাব)
পিছনে তাকিয়ে দেখি মেহরাব ভাই দাঁড়িয়ে আছে,, বিকেলে লাল সূর্যের শেষ আলোটা ওনার মুখের উপর পরেছে কতটা পবিত্র লাগছে ওনাকে, একদম সদ্য ফোঁটা তাজা গোলাপের মতো,, হায়! এগুলি তো ছেলেরা মেয়েদের ক্ষেত্রে বলে আর আমি কি না ওনাকে নিয়ে এসব ভাবছি। আমাকে ওনার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল।
কিরে ওভাবে হ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছিস কেনো?? আমার কি রূপ বেরিয়েছে??
ওনার কথা শুনে আমি তারাতারি করে চোখ সরিয়ে ফেললাম, হঠাৎ করেই আমার ভীষণ লজ্জা লজ্জা লাগছে সকালের কথা মনে পড়ে কিন্তু ওনাকে দাখো কোনো হেলদুল নেই যেনো কিছুই হয়নি এমন ভাব।
কিরে ওমন চুপ করে আছিস কেনো?? বোবা হয়ে গেলি নাকি আবার?? তোর বাপ কি জানে?? তাহলে তো আবার হার্টফেল করবে। (আমার পাশে বসতে বসতে বলল)
মানে??(আমি না বুঝে বললাম)
মানে আবার কি প্রথমে হাত ভাঙ্গলি এখন যদি আবার বোবা হয়ে যাস তাহলে তোকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে,, আবার কত টাকা খরচ করতে হবে, আহারে আমার শশুর মশাই।(আফসোস এর সুরে বলল)
আপনি কি বলতে চাইছেন আমার বাবা কিপ্টে??
তা আর বলতে,, নয়ত কেউ বিয়ে এতো পিছিয়ে দেয়,, বিয়েতে খরচ করতে হবে বলেই তো এতো পিছিয়ে দিয়েছে।
মোটেও না আমি এখনো ছোট তাই।
কিহ তুই ছোট?? (আমার মাথা থেকে পা অবধি দেখে) নাহ ঠিকি বলেছিস তুই সত্যি ছোট।
সেটা এভাবে আমায় দেখে বলার কি আছে,
না দেখে নিলাম এখনো তোর অনেক কিছুই ছোট।
মমমানে কি বলতে চাইছেন কি(উড়না জামা ঠিক করতে করতে বললাম)
কি আর বলব এই যেমন তোর হাইট আবার তোর বয়স ও কম এখনো ১৮ তে পরলোনা। পরলোনা বললে ভুল হবে ১৮ছুই ছুই এমন,,, কেনো তুই কি ভাবছিলি হুম??
ক,,কিছু না (ফাযিল লোক একটা)
,,,,,,,
কি হলো এমন করছেন কেনো কি করেছি আমি এতো রেগে আছেন কেনো??সকালেও দেখা না করে চলে গেলেন আবার আমার ফোনও ধরছেন না কেনো??( জোরে বলল মেঘলা)
মেঘলা এটা থানা আস্তে কথা বলো দেখছো এখানে কত মানুষ আমার একটা মান সম্মান আছে,, এভাবে সিনক্রিয়েট করো না (মেঘ)
ওহ আমি সিনক্রিয়েট করছি?? ওকে ঠিক আছে ভালো আপনার কাছে তো আমার কোনো মূল্য নেই একটা মেয়ে এই বিকেলে ও এখন তো বিকেল ও বলা যায় না ভর সন্ধেবেলা এতোটা পথ ছুটে এসেছে তার কোনো মূল্য নেই আপনার কাছে,,, ওকে আমার জন্য যেহেতু আপনার মান সম্মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তো ঠিক আছে চলে যাচ্ছি আমি, আর সরি এখানে এসে সিনক্রিয়েট করার জন্য (এই বলে মেঘলা কান্না করতে করতে চলে গেলো)
মেঘ টেবিলে জোরে একটা বাড়ি মেরে নেহালকে কল দিলো।
হা ভাইয়া বল এসময় কল দিলি কেনো কোনো দরকার??
কোনো প্রশ্ন করবি না যা জিগাস করবো সোজা উত্তর দিবি,, সকালে যে মেয়েটার সাথে হেসে কথা বলছিলি মেয়েটা কে(মেঘ)
কোন মেয়েটা?? ওহ সকালে?? কেনো বলত আর তুই দেখলি কখন??
বলছিনা কোনো প্রশ্ন নয় যা বলছি তার উত্তর দে।
আরে ওই মেয়েটা হলো (তারপর নেহাল মেঘকে সব বলল কাঁদা পানি লাগা থেকে আজকের দেখা হওয়ার সব কিছু)
সব শুনে মেঘ ওহ শিট, এটা বলে ফোন কেটে দিয়ে তরিঘরি করে বেড়িয়ে গেলো,, কেননা সে বড় রকমের একটা ভুল করে ফেলেছে,, তার মেঘ পরিকে একটু বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেলেছে,, এখন নিশ্চিত তার মেঘপরির মুখে ঘন কালো মেঘ জমে বর্ষণ শুরু হয়ে গেছে।
আপনি এখনো এখানে কেনো?? বাড়ি যাবেন না সন্ধ্যে হয়ে গেলো তো (মাহি)
যেতে বলছিস কেনো আর একটু থাকি না, প্রিয় মানুষের সাথে পড়ন্ত গোধূলির বিকেল দেখতে বেশ ভালোই লাগছে (আনমনেই বলল মেহরাব)
কিহ আমি আপনার প্রিয় মানুষ?? কই আগে তো বলেননি।
ক,,কে তুই?? তুই কারো প্রিয় মানুষ হতে পারিস নাকি?? তুই তো শুধু বকবক করতে পারিস,, এই বলে মেহরাব উঠে চলে গেলো তারপর আবার ফিরে এসে মাহির হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বলল।
এটা কিন্তু আমার একদম অপছন্দের ভালো লাগছিলো না তাই নিয়ে আসলাম তারপর ভাবলাম কি করবো তারপর তোর কথা মনে হলো কেননা যেগুলা আমার পছন্দ হয় না সেগুলি তোর ভালোলাগে তাই নিয়ে আসলাম রেখে দে (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
আজব তো ওনার যদি পছন্দই না হয় তাহলে শুধু শুধু টাকা খরচ করার কি দরকার সত্যি ওনি খুবি পেঁচালো একটুও বুঝি না ওনাকে।
তারপর হাতে থাকা প্যাকেট টা খুলে দেখলাম সেখানে একটা লাল পাড় সাদা একটা সুতি শাড়ি যাকে বলে টকটকে লাল,, বাহ ওনার পছন্দ আছে না এটা বলা ঠিক হবে না বলতে হবে ওনার অপছন্দ আছে কিন্তু এটা নিয়ে আমি কি করবো?? আমি তো শাড়ি পড়তেই পারি না, তাতে কি চেষ্টা করতে ক্ষতি কি।
মীরার ফোনটা সেই কখন থেকে বেজেই চলেছে কিন্তু মীরা ইচ্ছে করেই ফোন ধরছে না,, কেননা ফোনটা ঝামেলা দিয়েছে আই মিন নেহাল দিয়েছে,, কিন্তু ফোনের ওপাশের মানুষ টা বড্ড ধেতলা টাইপের ফোন দিয়েই যাচ্ছে তাই বাধ্য হয়েই ফোনটা ধরল মীরা।
কি হলো ফোন ধরছো না কেনো??
আমার ইচ্ছে,, কেনো ফোন দেয়েছেন বলুন।
কেনো এতো তাড়া কিসের আর হ্যাঁ তোমার সাথে কথার বলার সময় আমাও নেই আমি ফোন দিয়েছিলাম তোমাকে এটা বলার জন্য,, তোমাকে যেই কাজটা দেওয়া হয়েছে সেটা করেছো তো??
করবো না দেখি আপনি কি করতে পারেন।
ওকে সেটা কালকে ভার্সীটিতে আসলেই বুঝবে, (এই বলে নেহাল ফোন কেটে দিলো)
ঝামেলা একটা মন টাই চাই এরে মেরে গুম করে দিই,,, কোন কালে যে আমি এর পাকা ধানে মই দিছিলাম আল্লাহ জানে তার প্রতিশোধ এখন নিচ্ছে,, জীবন টা তেজপাতা করে দিলো এই একটা ছেলে,,, (রেগে বলল মীরা)
চলবে,,,,,,??#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৭_পর্ব
.
মেঘলা একহাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে হেঁটে যাচ্ছে,, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে যাকে এতোটা ভালোবাসি শেষে কি না সেই আমাকে বুঝলো না, অবিশ্বাস করল?? (এসব ভেবে কাঁদতে কাঁদতে যাচ্ছিলো তখনি পিছন থেকে কেউ ওর হাত ধরে টেনে ওকে থামিয়ে দিলো।)
আম সরি, তখন তোমাকে অন্য ছেলে সাথে দেখে মাথা ঠিক ছিলো না প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দাও (মেঘলার মুখ নিজের দু’হাতের মাঝে রেখে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল মেঘ)
মেঘলা কোনো কথা বলছে না শুধু এক ভাবে কান্না করেই যাচ্ছে।
এই মেঘপরি প্লিজ কেঁদো না, আমি সরি বলছি তো,, তবে তুমি যদি বলো তাহলে এই মাঝ রাস্তায় কানে ধরে একপায়ে দাঁড়িয়ে ও থাকবো, তবুও প্লিজ কান্না করো না, তোমার চোখ থেকে পানি ঝড়লে আমার অনেক কষ্ট হয় তুমি বোঝো না??
আপনি খুব খারাপ শুধু কষ্ট দেন আমায় পঁচা লোক একটা(কাঁদতে কাঁদতে বলল মেঘলা)
কি করবো বলো তবুও তোমায় এই পঁচা লোকটার সাথেই থাকতে হবে যে (মেঘলাকে বুকে জরিয়ে বলল)
,,,সকালে,,,,
আহ এই সকাল সকাল হাঁটতে বেরোনোর মজাই আলাদা,,, কি বিশুদ্ধ বাতাস,, দুদিকে হাত ছড়িয়ে দিয়ে জোরে একটা শ্বাস নিলো মাহি,,, আম্মুকে এখন মন চাইছে একটা থ্যাংন্স দিতে,,,
আজকে সকালে আম্মু ঘুম থেকে উঠিয়ে দিয়েছে, প্রতিদিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠি আর কলেজে যেতে দেরি হয়ে যায় তাই আজকে সকাল সকাল উঠিয়ে দিয়েছে,, তাই আমিও উঠে বাইরে চলে আসছি,, আমাদের বাড়ির পিছনে একটু দূরে একটা স্কুল আছে সেই স্কুল মাঠটা অনেক বড় আর স্কুল মাঠের চারপাশে ইট দিয়ে গেথে একেবারে শান করে দিছে যাতে মানুষ সকালে ওখান দিয়ে হাঁটতে পারে,,
বিশেষ করে এটা বয়স্কদের জন্য করা হয়েছে,,যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের জন্য যাতে তারা কোনো রাস্তায় হাঁটতে না যায়,,, এখানে এসে ২,,৩ টা রাউন্ড দিলেই হয়ে যাবে,,, আমি স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে সবাইকে দেখছিলাম তখনি দূরে দেখলাম মেহরাব ভাই দৌড়ে এদিকে আসছে,।
কিরে আজ সূর্য কোন দিকে উঠেছে,,তুই এতো সকালে এখানে??(দৌড়ে এসে বলল মেহরাব)
সূর্য যেদিক দিয়ে ওঠার সেদিক দিয়েই উঠেছে,, তার আগে আপনি আমায় একটা কথা বলুন, আপনার যে ডায়বেটিস আছে সেটা তো জানতাম না,,
তোর মাথায় যে গোবর এ ভর্তি সেটা তুই আজ আবার প্রমাণ করে দিলি.
মানে??
মানে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাই শুধু সকালে হাঁটবে তোকে কে বলেছে?? সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি সবাই কি তোর মতো ঘুম কাতুরে নাকি??
আমি বললাম এক কথা এ শুনিয়ে দিলো একশো কথা (মনে মনে বলল মাহি)
তা আপনি কি প্রতিদিনই এখানে আসেন??
না হঠাৎ হঠাৎ আসি তবে আজকে আসতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম আর এসেই আমার চোখ সার্থক হয়ে গেলো (শেষের কতাটা আস্তে বলল)
ওহ আচ্ছা। চলেন তাহলে সামনে যায়
হুম চল,,,এরপর দুজন হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলো।
,,,,,,ভার্সিটিতে,,,,,
,,,আপনি কি পাগল নাকি আপনার মাথা খারাপ আমি শিওর আপনি অনেক দিন যাবত পাবনায় ছিলেন। ( রেগে বলল মীরা)
বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখনি ওই মেয়েটা এসে কথাগুলো বলল আমায়।
মানে??(নেহাল)
মানে আপনার মাথা,, আপনার কোনো কান্ড ঙ্গান নেই?? আপনি কোন জ্ঞানে আপনার এসাইনমেন্ট আমায় করতে দেন বলেন তো।
কেনো সমস্যা কোথায়??
আরে আপনি কিসে পড়েন আর আমি কিসে পড়ি,,আপনার এসাইনমেন্ট আমার পক্ষে করা সম্ভব?? আর যদি কষ্টে মষ্টে করতেও যায় তাহলে তো সারা রাত লেগে যাবে আমার পড়া করবো কখন??
সেটা তোমার সম্যসা,, তা কই দেখি করেছো এসাইনমেন্ট??
না করিনি আর করবোও না,, শুনুন আমি এখানে পড়তে এসেছি খবরদার এর পর থেকে আর কখনো আমার পিছনে লাগতে আসবেন না ওকে??(এই বলে মীরা চলে গেলো)
পিছনে লাগবো কি লাগবো না সেটা তো পরের ব্যাপার।
,,,,,,,,,,১ মাস পর,,,,,,
মাহির ইয়ার চেঞ্জ শুরু হয়ে যাচ্ছে ,, তাই মাহি এখন খুব ব্যাস্ত পড়াশুনা নিয়ে কি এটাই ভাবছেন তো?? মোটেও এমন নয় যায় কাল থেকে পরিক্ষা সে এখন সোফার উপর দুপা তুলে দিয়ে মনের আনন্দে টিভি দেখছে।
এই তুই এখনো এখানে বসে বসে টিভি দেখছিস কেনো হুম?? তোর না কাল থেকে পরিক্ষা যা পড়তে বস (মাহির মা)
আম্মু তুমি এমন ভাবে বলছো যেনো আমার বোর্ড পরিক্ষা,,, আরে চাপ নিও না দেখবে আমি ঠিক সেকেন্ড ইয়ারে উঠে যাবো সো নো টেনশন (টিভি দেখতে দেখতে বলল মাহি)
পরিক্ষা পরিক্ষাই সে যে পরিক্ষাই হোক না কেনো,, শোন আজকে আসরের আযান এর পর তুই ও বাড়ি যাবি মনির কে নিয়ে আজ থেকে পরিক্ষার এ
কদিন তুই মেহরাব এর কাছেই পড়বি (মাহির মা)
কিহ??(এইরে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়,, ওই লম্বার উপর খাম্বার কাছে পড়তে গেলে তো ওনি আমার অবস্থা কেরোসিন করে দেবে,, না কিছু একটা ব্যাবস্হা করতেই হবে)
আরে শোনো না আম্মু দাখো মেহরাব ভাই সারাদিন অফিস করে তারপর আবার ক্লান্তু হয়ে বাসায় এসে আমাকে পরাবে ওনার কষ্ট হবে তো তাই না??
হুম ঠিক বলেছিস তো তুই আমি তো এভাবে ভেবেই দেখেনি (চিন্তিত হয়ে বলল মাহির মা)
এই তো প্লানটা কাজে দিয়েছে ইয়া হু খাজা খা,, কি মজা এবার আর ওই খবিশটার কাছে পড়তে হবে না (মনে মনে বলল মাহি)
তাহলে কি করা যায়(মা)
তুমি এক কাজ করো ওনাকে নিষেধ করে দাও কেমন.
হুম তাই করি বরং।
না ফুপি আমার কোনো সম্যসা নেই তুমি সন্ধ্যায় মাহি কে চলে যেতে বলবা,, আমি পড়িয়ে দেবো (ভিতরে আসতে আসতে বলল মেহরাব)
আরে তুই আয় বস।
না ফুপি বসবো না আমি অফিস যাচ্ছি,, তুমি কালকে মাহিকে পড়ানোর কথা বলছিলে না?? সেটাই বলতে আসলাম,, আমি ওকে পড়াবো আমার কোনো সম্যসা হবে না,, তুমি ওকে পাঠিয়ে দিও (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
হয়ে গেলো,,, আব তেরা কিয়া হোগা মাহি (মনে মনে বলল মাহি)
এইনে আপু সেই কখন থেকে তোর ফোনটা বাজছে (মনির)
এখন আবার কে ফোন করল(মা)
আমিও বুজতেছি না, দেখি কে ফোন করেছে,, (এই বলে মনির এর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে দেখলো মেঘলা ফোন করেছে)
আরে এটা তো মেঘলা আপু কল করেছে।
তারপর মাহি ফোনটা নিয়ে রুমে চলে গেলো আর মেঘলা কে কল দিলো।
হা মেঘলা আপু বলো।
শোন মেঘ নাকি তোর সাথে কি কথা বলবে,, দাঁড়া আমি কল কনফারেন্স করছি।
আচ্ছা ঠিক আছে।
এরপর মেঘলা মেঘকে কল কনফারেন্স করে দিলো, তারপর শুরু হলো তিন জনের গোপন মিটিং।
চলবে,,,,,,,??