ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2 পর্ব ১৮+১৯

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৮_পর্ব
.
এই কোথায় যাও??(মাবিয়া)

মাহি বই খাতা নিয়ে মেহরাব এর রুমের দিকে যাচ্ছিলো তখনি পিছন থেকে মাবিয়া বলে উঠলো,,

আরে তোকে তো বলা হয়নি মাহির কাল থেকে পরিক্ষা তাই মেহরাব বলেছে ওকে পড়াবে এই জন্যই আসছে(রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলল রুপালী)

তাই বলে এই সন্ধ্যার সময়??(মাবিয়া)

তাতে কি যা মাহি তুই মেহরাব এর রুমে গিয়ে বস ও একটু পরেই চলে আসবে (এই বলে রুপালী চলে গেলো)

মাহির সাথে মনির এর আসার কথা ছিলো কিন্তু মনির এর জ্বর আসাই ও আসতে পারিনি, তাই মাহি আগে ভাগেই চলে আসছে নয়ত আবার অন্ধকার হয়ে গেলে একা কীভাবে আসত,, আব্বুও নেই যে আগাই দিয়ে যাবে আব্বু তো অফিসে।

তা ভালোই তো কবজা করে নিয়েছো আমার বোনটাকে সেতো তোমার বিরুদ্ধে কোনো কথাই শুনতে চাই না, কি কালো যাদু করেছো আমার বোন আর তার পরিবারের সবার উপর হুমম(মাবিয়া)

মানে??(মাহি মাবিয়ার কথা বুঝতে না পেরে বলল)

মানে বোঝো না কচি খুকি নাকি, তুমি জানো না আমার মেয়ে মেহরাব কে কত ভালোবাসে ওদের বিয়ের কথাও হচ্ছিলো কিন্তু মাঝখানে তুমি এসে সব গন্ডগোল করে দিলে।

তাতে কি হয়েছে মেহরাব ভাই তো আর বাসে না তাতেই হবে, আমি যায় আমার আবার পরিক্ষা পরতে বসতে হবে (এই বলে মাহি চলে গেলো)

কত্ত বড় বেয়াদব বড়দের সম্মান করতে জানে না অসভ্য মেয়ে (মাবিয়া)

বাবা এটা ছেলেদের ঘর নাকি মেয়েদের ঘর? এতো সুন্দর আর পরিপাটি করে সব কিছু গোছানো আমার ঘর তো সব সময় আফ্রিকার জঙ্গলের মতো হয়ে থাকে ইয়ে মানে আমি অনেক অগোছালো তো তাই আর কি 😁।
মেহরাব ভাই এর রুমের দেওয়ালে তার একটা বড় ছবি টাঙানো কি স্টাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,, কালো প্যান্ট আর কালো কোর্ট গায়ে কোর্টের সব গুলা বোতাম খোলা ভিতরে কালো শার্ট ইন করে পড়া, ফর্সা গায়ে কালো রং টা বেশ মানিয়েছে, পিছনে দেওয়ালের সাথে এক পা ঠেকানো মানে ভাজ করে রাখা আর আরেক পা সোজা করে মাটিতে রাখা, চোখে কালো চশমা অন্যদিকে তাকিয়ে চশমাটার এক কোণা আবার হাত দিয়ে ধরে রেখেছে কী ভাব হুম,,
লম্বার উপর খাম্বা একটা।

কি বললি তুই?? (পিছন থেকে বলল মেহরাব)

মাহি চমকে পিছনে তাকিয়ে দেখলো মেহরাব ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে গলার টাই ঢিলে হয়ে গেছে গায়ের শার্টটা ঘামে ভিজে আছে চুল গুলা কপালের সাথে লেপ্টে আছে,, অনেক ক্লান্ত লাগছে ওনাকে।

কিরে ওভাবে ড্যাব করে তাকিয়ে কি দেখিস??(ভিতরে আসতে আসতে বলল মেহরাব)

ক,,কই কিছু না আপনাকে অনেক ক্লান্ত লাগছে আমি না হয় চলে যায় একা একাই পড়ে নেবো আপনি রেস্ট করুন আমি নাহয় কালকে আসবো।

তোর এতো না ভাবলেও চলবে কালকে কি পরিক্ষা??

বাংলা ১ম পএ।

বাংলা বই নিয়ে বস আমি ফ্রেস হয়ে আসছি (এই বলে ওনি বাথরুম চলে গেলো)

কি আজব বাংলা নাকি আবার পরানো লাগে আরে আমি কি মূর্খ নাকি যে বাংলাও পরতে হবে পারবো না হুম ঢং একটু বেশি বেশি (এই বলে আমি বই বার করে পরতে লাগলাম)

,,,,,এমন টা করা কি ঠিক হবে যদি হিতে বিপরীত হয়ে যায় তাহলে (ফোনে বলল মেঘলা)

আরে বাদ দাও তো এমন টা না করলে ওরা কখনোই শুধরাবে না বুঝেছো,,, দেখই না কি হয় (মেঘ)

আমার না খুব ভয় করছে কি যে হবে।

আরে রাখো তো, কিচ্ছু হবে না,, আর আমি সব ব্যবস্হা করে রাখছি,, আর তাছাড়া মাহি তো সব জানেই।

হুম ও এক পাগল আপনি আরেক পাগল,,

আরে বাদ দাও তো ওদের কথা চলো আমরা আমাদের কথা বলি।

আমাদের আবার কীসের কথা??

কেনো ভালোবাসার কথা।

হুট বদ ছেলে।

,,,,,
মেহরাব একটা টাওজার আর একটা গেঞ্জি পরে টাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসলো।

কিরে পরা কতদূর?? (আয়নার সামনে দাড়িয়ে বলল)

আপনি এমন ভাবে বলছেন যেনো আমি রোবট মুভির চিট্টি যে একটা বই হাতে নেবো আর এপিট ওপিট ঘুরাই ফিরাই দেখবো আর সব পড়া হয়ে যাবে, আজব।

এতো বেশি বকবক না করে পড়া শুরু কর।

এরপর মেহরাব এসে মাহিকে পড়ানো শুরু করলো পড়াতে পড়াতে রাত প্রায় ১০ টা বেজে গেছে বাবা গো সেই ৭ টা থেকে এক টানা পরাচ্ছে কোনো বিরতি নেই, মাঝে অবশ্য মামি খাওয়ার জন্য ডেকেছিলো কিন্তু ওনি বললেন খেয়ে পরতে বসলে নাকি ঘুম পাবে তারচেয়ে ক্ষুধা পেটে নিয়ে পরলে পড়া ভালো হবে,,,আর ঘুম ও আসবে না কেননা পেটে ক্ষুধা আছে তো।
সাড়ে দশটার দিকে ওনি আমায় ছাড়লেন আমি শেষ তারপর নিচে নেমে আমরা খেয়ে নিলাম,, আমাকে নেওয়ার জন্য আব্বুর আসার কথা ছিলো কিন্তু মেহরাব ভাই আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন কেননা আব্বুর আবার অফিস শেষ হয় সাড়ে সাতটার দিকে আসতে আসতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে যায় তারপর ফ্রেস হয়ে খেয়ে আর আসতে মন চাই না তখন মনে হয়ে একটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো আর আব্বুর ও বয়স হয়েছে এই জন্য আব্বুকে আসতে নিষেধ করেছেন মেহরাব ভাই।

গভীর রাত,, কেবল ১১ টা বাজে শহরের মানুষের জন্য এটা তেমন কোনো বিষয় না তবে আমার জন্য অনেক রাত কেননা আমি নয়টার আগেই খেয়ে ঘুমাই যায় সেখানে ১১ টা তো অনেক রাত,, যাই হোক আমি আর মেহরাব ভাই পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছি ওনি একমনে পকেটে হাত দিয়ে হেঁটে চলেছে এদিকে আমার ভয়ে কাম সাড়া,, তখনি পিছন থেকে একটা কুকুর ডেকে উঠল আমি ভয় পেয়ে মেহরাব ভাই এর হাত জরিয়ে ধরলাম।

কিরে কি হলো ভয় পেয়েছিস??

হুম ওই দাখেন কুকুর, (আমি ভয়ে ভয়ে বললাম)

আরে কুকুর এ আবার ভয় কিসের ,, তারপর ওনি আমায় একহাতে জরিয়ে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন আমিও ছোট্ট বিড়াল ছানার মতো ওনার বুকের সাথে লেগে ওনার হাত ধরে হাঁটতে লাগলাম।

,,,,,সকালে,,,,

সকালে সব কিছু আবার একবার দেখে খেয়ে বেরিয়ে পরলাম কেননা মেহরাব ভাই আবার আমার জন্য অপেক্ষা করছে,,,, তারপর ওনার সাথে কলেজে চলে আসলাম।ওনি আমায় কলেজে নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেলো

কিরে প্রিয়া ওই ছেলেটা কে?? আগে তো কখনো দেখেনি (আমি আমার সিটে বসে দেখলাম একটা ছেলে আমাদের রুমে আমাদের পরিক্ষার খাতা গুলা নিয়ে দেখছে,, বেল পড়লেই খাতা দেওয়া হবে,, তাই আমি ফিসফিস করে প্রিয়া (বান্ধবী) কে বললাম)

আরে ওনাকে চিনলি না ওনি আমাদের আজাদ স্যার এর ছেলে।

তা ওনি এখানে কি করছে??

আরে কালকে নাকি আজাদ স্যার হঠাৎ করেই স্টক করেছেন অনেক অসুস্থ ওনি তাই ওনার বদলে স্যারের ছেলে আসছে,, অনেক হ্যান্ডসাম বল??(প্রিয়া)

হুম তা ঠিকি বলেছিস, তবে এখন স্যার কেমন আছে??

একটু ভালো তবে ওনি এখনো হাসপাতালে আছে।

ওহ আচ্ছা।

এই মেয়ে এতো কথা কিসের হুম চুপচাপ পরিক্ষা দাও (শুভ আজাদ স্যার এর ছেলে)

আমরা কথা বলছিলাম তখনি দেখি ওই স্যারের ছেলেটা খাতা হাতে আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে,, তারপর ওনি খাতা দিয়ে চলে গেলো,, আমরাও যথারীতি খাতা নিয়ে খাতায় দাগ কাটতে লাগলাম, পড়ে বেল বাজলে প্রশ্ন প্রশ্ন পএ দিয়ে গেলো।
আমিও খুব ভালো ভাবেই লেখা শুরু করলাম, কিন্তু ১যন্টা নাই যেতে পরলাম বিপাকে তারাতাড়ি আসতে গিয়ে ভুল করে ১ টা কলম আনছি আর সেই কলম টার ও কালি শেষ,, প্রিয়া আমার থেকে একটু দূরে বসেছে,, পুরো ক্লাস রুম নীরব আমি যদি এখন ফিসফিস করেও ওকে ডাকি তবুও স্যার শুনে ফেলবে তাই চুপ করে বসে উসখুস করতে লাগলাম, তখনি কেউ পিছন থেকে বলল।

কি হয়েছে কোনো সম্যসা??(শুভ)

,জি,,স্যার আমার কলমে কালি শেষ হয়ে গেছে।

ওহ এই বেপার এই নাও এটা দিয়ে লিখো।

স্যার নিজের পকেট থেকে ওনার কলম বার করে দিলো আমি কলমটা নিয়ে দেখলাম কলমের উপর সুতা দিয়ে খুব সুন্দর করে শুভ লিখা,, আমি ওতো কিছু না ভেবে লিখতে শুরু করলাম। #ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৯_পর্ব
.
পরিক্ষার শেষে প্রিয়ার সাথে বেরিয়ে আসলাম,, ওরা সবাই বলছে স্যার কে দেখতে যাবে তাই ভাবলাম আমিও যায়,, মেহরাব ভাই আজকে নিতে আসবেনা ওনার নাকি অফিসে কাজ আছে তাই ভাবলাম একটু দেখেই আসি,,

তুই কি যাবি আমাদের সাথে??(প্রিয়া)

হুম যাবো,, আমি তো চিনি না কোন হসপিটালে তো তুই যাওয়ার সময় আমায় নিয়ে যাস (মাহি)

হুম সবাই বের হলেই যাবো সবাই অবশ্য যাবে না আমরা কয়েক জন যাবো,,,।

আচ্ছা,, আরে আমার তো মনেই নেই আমি স্যার এর কলম নিয়েই চলে আসছি, তুই দাঁড়া আমি কলম টা দিয়েই চলে আসছি, যাবি না কিন্তু (মাহি)

আচ্ছা ঠিক আছে।

তারপর মাহি ক্লাসে গিয়ে দেখলো শুভ খাতা সবগুলা একসাথে গুছিয়ে রাখছে, মাহি গিয়ে কলম টা দিয়ে বাইরে এসে দেখলো প্রিয়া নেই।

ওমা গেলো কোথায়, চলে গেলো নাকি আবার (মাহি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলো)

কিছুক্ষণ পর শুভ বাইক নিয়ে গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখলো মাহি দাঁড়িয়ে আছে।

আরে তুমি এখনো যাওনি?? সবাই তো চলে গেছে (পিছন থেকে বলল শুভ)

আসলে আজকে আমরা ভাবছিলাম সবাই মিলে স্যার কে দেখতে যাবো,,কিন্তু ওরা মনে হয় আমাকে রেখেই চলে গেছে (মাহি)

ওহ আচ্ছা ওদের মনে হয় খেয়াল নেই,, আচ্ছা আমিও হাসপাতালে যাচ্ছি তুমি চাইলে আমার সাথে যেতে পারো,, তারপর আসার সময় না হয় তোমার বন্ধুদের সাথে চলে এসো (শুভ)

আপনার সাথে?? (মাহি কিছুক্ষণ ভেবে) আচ্ছা ঠিক আছে চলেন।

তারপর মাহি শুভর বাইকের পিছনে বসে পড়ল আর দুজনের মাঝে মাহির কলেজ ব্যাগটা রাখল,, মাহির এহেন কান্ডে শুভ মুচকি হেসে বাইক চালানো শুরু করলো।

এতোক্ষণে নিশ্চয়ই মাহির পরিক্ষা শেষ হয়ে গেছে, ওকে বলেছিলাম নিতে যাবো না কিন্তু হঠাৎ করে গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দেবো, এই ভেবে মেহরাব গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল,,, রাস্তায় অনেক জ্যাম তাই শুভ বাইক থামিয়ে জ্যাম ছাড়ার অপেক্ষা করছে ঠিক তার অপর পাশে মেহরাব এর গাড়ি মেহরাব গাড়ির মধ্যে থেকে ঘার ফিরানোর সময়,

আরে মনে হলো মাহিকে দেখলাম এই বলে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখলো মাহি একটা ছেলের বাইকে বসে আছে,, আর ছেলেটার মাথায় হেলমেট থাকায় তার মুখ দেখতে পারলো না,, মেহরাব গাড়ির ভিতর থেকেই মাহিকে ডাকলো কিন্তু ততক্ষণে শুভ বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেছে। মেহরাব রেগে গাড়িতে একটা ঘুষি মারল তারপর গাড়ি নিয়ে আবার অফিসে ব্যাক করল।

,,,সন্ধ্যার সময়,,,,

মাহি মেহরাব এর রুমে বসে ওর জন্য অপেক্ষা করছে, আর মনে মনে আজ সারাদিন হয়ে যাওয়া সব কিছু মনে করছে, শুভ স্যারের সাথে হসপিটালের যাওয়া তারপর ওনার সাথে কথা বলা সত্যি অনেক ভালো লাগল,, শুভ স্যার অনেক ভালো ওনার কথা মনে হতেই মনের ভিতর কেমন অজানা ভালোলাগার বাতাস বয়ে গেলো,, তারপর ভাবল না না আমি এ কী ভাবছি এটা ভুল আমি তো মেহরাব ভাইয়াকে ভালোবাসি ওনার সাথে আমার বিয়েও হয়ে গেছে তারপরেও অন্য কাউকে নিয়ে ভাবা ঠিক না,,
মাহি যখন এসব ভাবছিলো তখনি কেউ ঝড়ের গতিতে এসে ওকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলল।

ছেলেটা কে?? খুব ভালো লাগে অন্য ছেলের বাইকে চড়ে ঘুরতে??(রেগে বলল মেহরাব)

মাহি দেখলো মেহরাব দাঁড়িয়ে আছে ওনাকে দেখে কেমন অগুছালো লাগছে কি হয়েছে ওনার,,

কি হলো চুপ করে আছিস কেনো বল ছেলেটা কে??(মাহিকে দেওয়ালের সাথে আরো জোরে চেপে ধরে বলল মেহরাব)

আহ কি করছেন কি মেহরাব ভাই আমি বেথ্যা পাচ্ছি তো (কাঁদো কাঁদো সুরে বলল মাহি)

লাগুক বেথ্যা তোর লজ্জা করে না অন্য একটা ছেলের বাইকে চড়ে ঘুরতে।

এসব বলছেন কি আপনি,, পুরো ঘটনা না শুনে আপনি আমাকে এভাবে বলতে পারেন না,, আজকে পরিক্ষার শেষে (তারপর মাহি মেহরাব কে সব বলল)

ওহ আগে বলবি তো আমি আরো ভাবলাম কি না কি (এই বলে মেহরাব মাহির মুখে হাত দিয়ে একটু হেসে ফ্রেস হতে চলে গেলো)

এই বিশ্বাস করেন আপনি আমায়?? আজ সামান্য অন্য একজনের সাথে দেখে সত্যি মিথ্যা যাচাই না করেই আমায় আঘাত দিলেন?? আর অন্যদিকে শুভ স্যার যে কিনা আমি একটু চুপ থাকলে কথা না বললে আমাকে কথা বলাতে আর হাসাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, আজকে একদিনে শুভ স্যারকে কত চেনা লাগছে আর আপনাকে কত অচেনা লাগছে মেহরাব ভাই (মনে মনে বলল মাহি)

পরদিন আজকে পরিক্ষা নেই আবার আগামীকাল তাই মাহি একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠল,, তারপর ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে দেখলো মনির সোফায় বসে টিভি দেখছে।

কিরে পুচকে এখন কেমন লাগছে জ্বর কমছে??

আপু আমাকে একদম পুচকে বলবি না আমি মোটেও পুচকে নই,,

ওলে বাবা তাহলে কি তুই আমার বুড়ো দাদু??(হেসে বলল মাহি)

আপু আমি কিন্তু আম্মুকে বলে দেবো,, আচ্ছা শোননা না আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে ওই মড়ের ওখানে না একটা ফুচকার দোকান বসছে যাবি??

সত্যি?? চল তাহলে আর দেরি কিসের??

আচ্ছা তাহলে চল।

তুই একটু বস আমি রেডি হয়ে টাকা নিয়ে আসছি,, এই বলে মাহি নিজের রুমে চলে গেলো গিয়ে দেখলো ওর ফোন বাজছে মেহরাব ফোন দিয়েছে কেনো যেনো ফোনটা ধরতে মন চাইলো না কালকের ব্যবহারটা এখনো মনের মধ্যে গেঁথে আছে তাই ফোনটা না ধরে রেডি হতে লাগল,, জিন্স আর লং কামিজ পরে ওরনাটা মাথায় দিয়ে তারপর বেরিয়ে টাকা নিয়ে মনির এর সাথে চলে গেলো। ফোনটাও নিলো না,।

এই মেয়েটাও না বড্ড বেখালি এতোবার করে ফোন করছি কিন্তু ফোন ধরার নামগন্ধ নাই,, মেহরাব রেডি হয়ে অফিস যাওয়ার পথে মাহিদের বাসায় নেমে মাহিকে ডাকলো।

মাহি তো নেই রে মনিরকে সাথে নিয়ে বলল কোথায় নাকি ফুচকার দোকান বসছে সেখানে গেলো(মাহির মা)

ওর ফোন কই ফোনটা তো নিয়ে যেতে পারে যত্তসব,, (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)

,মাহি আর মনির পাল্লা দিয়ে ফুচকা খাচ্ছে তখনি পিছন থেকে কেউ বলল।

আরে মাহি তুমি এখানে??(শুভ)

মাহি কেবলি ফুচকা মুখে দিয়েছে তখনি শুভ কথা বলায় মাহি কথা না বলে চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকিয়ে আছে।

আরে কথা বলার প্রয়োজন নেই মুখেরটা শেষ করো তারপর কথা বলো (হেসে বলল শুভ)

ওদিকে মনির এর কোনো হুস নেই ওতো নিজের মতো করে ফুচকা খেয়েই যাচ্ছে। মাহি মুখেরটা শেষ করে বলল।

আরে স্যার আপনি??

হুম আমি একটা কাজে এসেছিলাম তা তুমি এখানে তোমার বাড়ি কি এখানে নাকি??

জি স্যার ওইতো একটু সামনে,, চলুন না আমাদের বাড়ি।

নাহ আজকে নাহ,, অন্য একদিন যাবো।

মাহি আর শুভ হেসে কথা বলছে ওদিকে অন্য একজন রেগে ফুসছে,, কাল তাহলে মাহি আমায় মিথ্যা বলেছে,, ও যদি এই ছেলেকে নাই চিনবে এই ছেলে যদি ওর স্যারই হবে তাহলে এই ছেলে এখানে কি করছে,, (মেহরাব গাড়িতে বসে রেগে কথাগুলো বলল,,তারপর রেগে চলে গেলো)

,,,সন্ধ্যায় মেহরাব মাহিকে চুপচাপ পড়িয়ে দিলো কোনো কথা জিগাস করলো না মাহিকে আসোলে মেহরাব ও দেখতে চাই যে মাহি কতদূর পযন্ত যেতে পারে,,, পরদিন সকালে মাহি মেহরাব এর সাথে কলেজে চলে গেলো মেহরাব ও মাহিকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো,,,
মাহি পরিক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর, যখন মেহরাব এর জন্য অপেক্ষা করছিলো তখনি শুভ এসে বলল।

আরে তুমি এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো??(শুভ)

আসোলে ভাইয়া নিতে আসবে তো তাই।

শুভ ভাবলো যে মাহির ভাই মনে হয় ওকে নিতে আসবে,, তাই বলল, আচ্ছা তোমার ভাই যখন আসছে না তখন চলো আমার সাথে।

কোথায়??

আরে আমি একটা ঘড়ি কিনবো তুমি শুধু পছন্দ করে দিবা, আর ততক্ষণে তোমার ভাইও চলে আসবে,, (শুভ)

ওকে চলুন তাহলে,, তারপর মাহি আর শুভ পাশের একটা দোকানে চলে গেলো।

চলবে,,,,,,,,??

চলবে,,,,,,?

(গল্পে নতুন একজনের এন্ট্রি, শুভ,,অ!)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here