#অবুজ_পাখি
#নাম_না_জানা_পথিক
পাট:১২
বৃষ্টির জন্য রিফাতের বাসায় ফিরতে একটু দেড়ি হয়ে যায়। রিফাত বাসায় এসে সোজা পরির রুমে যায় দেখে পরি রুমে নেই। ওয়াসরুম ব্যালকোনি রান্নাঘর সব জায়গায় খুঁজে কিন্তু কোথাও পরিকে খুঁজে পায় না। শেষে রুকুর রুমে যায়।
রিফাত: রুকু পরি কোথায় ওকে কোথাও পাইতাছি না।
রুকু: না মানে ভাইয়া পরি
রিফাত: কি মানে মানে করতাছোস পরি কোথায়?
রুকু: ভাইয়া তুমি রাগ করো না পরি ছাদে গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে।
রিফাত: কিহহহহহ তুই তো ঢামেক এ পড়ছ তুই জানোস না এই সিজনটা কত খারাপ বৃষ্টিতে ভিজলে যদি ঠান্ডা লাগে। তুই ওকে আটকাবি তো।
রুকু: আমি অনেকবার বলছি আমার একটা কথাও শুনে না। জোর করে ছাদে চলে গেছে।
রিফাত: এই মেয়েটাকে নিয়ে আমি আর পারিনা। তুই থাক আমি গিয়ে দেখি এই মেয়েটাকে কি করা যায় বলেই রিফাত ছাদের দিকে পা বাড়ালো। ছাদের গিয়ে রিফাতের সব রাগ বৃষ্টির পানির সাথে ধুয়ে যায়। পরি দুহাত দুই দিকে ছড়িয়ে বাচ্চাদের মত লাফালাফি করতেছে আর বৃষ্টির পানি নিয়ে খেলতেছি। বৃষ্টির পানিতে ভিজে পরির লাল রঙের জামাটা পরির শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। পরিকে এখন রক্ত জবার মতো লাগতেছে। পরিকে এভাবে দেখে রিফাতের শরীরে একটা শীতল অনুভূতি হয়।রিফাত পরিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।
পরি: কে হটাৎ পিছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরায় ভয়ে চিল্লানি দিয়ে উঠে।
রিফাত: আরে আমি রিফাত চিল্লাও কেনো।
পরি: দাভাই তুমি জানো আমি কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। দেখো আমার বুকের ভিতর কেমন জোরে জোরে শব্দ হচ্ছে।
রিফাত: কই দেখিতো বলে পরির বুকে মাথা দিয়ে হাটবিট শুনতে লাগলো।
বৃষ্টির পানিতে পরি আর রিফাত দুজনেই ভিজে একাকার হয়ে গেছে। রিফাত পরির বুক থেকে মাথা উঠিয়ে পরির ঠৌঁটগুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিল। বৃষ্টির পানিতে পরির ঠৌঁট ভিজে যাচ্ছিল রিফাত পরির ঠৌঁট থেকে বৃষ্টির পানিগুলো চুষে খাচ্ছে। রিফাত পরির ঠৌঁট ছেড়ে পরির গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। পরির গলায় অসংখ্য কিস করতে লাগলো।
পরি: দাভাই ছাড়া কেউ এসে পড়বে। পরি জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে পরির পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। পরি রিফাতের এত গভীর স্পশ সহ্য করতে পারতেছে না।
পরির কথা মনে হয় রিফাতের কান পযন্ত পৌঁছায় না রিফাত পরিকে ঘুড়িয়ে পরিকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে এক হাত দিয়ে পরির জামার ভিতর দিয়ে পরির পেটে স্লাইড করতে লাগলো।
পরি: আর সহ্য করতে না পারে রিফাতের হাত খামচে ধরে। দাভাই আমার কেমন জানি লাগতেছে কাপা কাপা গলায় বললো।
রিফাত: কেমন লাগতেছে?
পরি: বূকের ভিতরটা কেমন জানি লাগতেছে।
রিফাত: আমার পাখিটা কিছুই জানেনা দাঁড়াও তোমায় জানাচ্ছি বলে যেই পরির ঠৌঁটে নিজের ঠৌঁটে ছোয়াতে যাবে। ঠিক সেই সময়ে রুকু ছাদে এসে পড়ে।
রুকু: সরি সরি আমি কিছু দেখিনি।
পরি: তাড়াতাড়ি করে রিফাতের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে রিফাতকে আস্তে করে বলে আমি আগেই বলছিলাম কেউ এসে পাড়বো।
রিফাত: আসার আর সময় পাইলি না।
রুকু: আমি কি জানতাম নাকি যে তোমরা এখানে রোমান্স করতেছে। আমি তো ভাবছি এই বিকাল বেলা পরি ভিজতেছে তুমি পরিকে থাপ্পড় না দিয়ে বসো তাই তো আসলাম কিন্তু এখান এসে দেখি সব উল্টা।
রিফাত: হইছে তোর আর পাকনামি করতে হবে না। পরি অনেক ভিজছো পরে ঠান্ডা লাগবে এখন রুমে গিয়ে ড্রেস চেন্জ করে নেও।
পরি: হাহাহাহাহাচ্চু যাচ্ছি।
রিফাত: রিফাত বলতে না বলতে ঠান্ডা হাহাহাচ্চু।
রুকু: জামাই বউ আরও বৃষ্টিতে ভিজে রোমান্স করো।
রিফাত: দাড়া তোর মুখ বেশি চলে তোর বিয়ের ব্যবস্থা করতেছি।
রুকু: আমি বিয়ে করুম না হু বলে রিফাতে ভেংচি কেটে চলে গেল।
রিফাত: পরি তুমি এখনো দাড়িয়ে আছো তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে ড্রেস চেন্জ করো।
পরি: হুম তুমিও ড্রেস চেন্জ করে নেও।
রিফাত আর পরি যে যার রুমে চলে গেলো।
রাতে ডিনারের সময় পরি খেতে আসে না তার নাকি মাথা ব্যথা।
আব্বু: রিফাত দেখো তোমাদের বিয়েটা তো আর অস্বিকার করা যায় না। কিন্তু যথদিন না সামাজিক ভাবে তোমাদের আবার বিয়ে হচ্ছে তোমরা আলাদা রুমে থাকবার এখন যে ভাবে আছো।
রিফাত: ঠিক আছে।
খাওয়া শেষে যে যার রুমে চলে গেল। রিফাত প্রতিদিনের মতো আজকেও পরির রুমে রায়। গিয়ে দেখে পরি একটা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে।
রিফাত: পরি এই গরমে তুমি কম্বল মুড়ি দিয়ে আছো কেনো?
পরি: খুব ঠান্ডা লাগতেছে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বলল।
রিফাত: পরির কাছে গিয়ে পরির কপালে হাত দিয়ে দেখে পরির অনেক জ্বর আসছে। রিফাত একটা বাটিতে করে পানি নিয়ে এসে পরির কপালে জ্বর পট্টি দিতে লাগলো। কিন্তু পরি ঠান্ডায় ক্রমাগত কেপেই যাচ্ছে। রিফাত কি করবে কিছুই বুঝতেছে। এই রাত বেলা কাউকে বাক দেওয়া ঠিক হবে। রিফাত ঠিক করলো পরির শরীর মুছে দিবে। তাহলে জ্বরটা একটু কমতে পারে। ওয়াসরুম থেকে টাওয়াল ভিজিয়ে পরির কাপড় খুলে পরির সমস্ত শরীর মুছে দিল। এখন এই অবস্থায় পরিকে কাপড় পড়ানো খুব কঠিন। তাই পরিকে একটি টাওয়াল কোনো মত পেঁচিয়ে পরিকে শুয়ে দিল। কিন্তু এতে পরির জ্বর হালকা কমলেও শরীর খুব কাপতেছে। পরির অবস্থা বেগতিক দেখে রিফাত রুকুকে ফোন দিয়ে পরির রুমে আসতে বলে।
রুকু: কি হইছে এত রাতে আমারে পরির রুমে আসতে বললা কেনো??
রিফাত: পরির খুব জ্বর আসছে কি করবো কিছুই বুঝতেছি না।
রুকু: কই আমাকে দেখতে দাও আগে। রুকু পরির কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বর কিছুটা কম কিন্তু ঠান্ডায় শরীর খুব কাপতেছে।
রুকু: ভাইয়া পরির জ্বর তো কমই কিন্তু শরীর খুব কাপতেছে।
রিফাত: আমি ওর কপালে জ্বর পট্টি দিছি। পরে একটা টাওয়েল ভিজিয়ে ওর পুরো শরির মুছে দিছি। তাই হয়তো জ্বর টা কমছে।
রুকু: কিহহহহ তুমি ওর শরীর মুছে দিছ??
রিফাত: আমার বউ আমি তো দিমু।
রুকু: ইশশশ কবে যে আমার এরকম কেয়ারিং জামাই পামু।
রিফাত: কেন তোর জামাই আছে না র…. পুরো নাম বলবো।
রুকু: কুত্তা তোর লগে কথা কমু না। বলে রুকু রুম থেকে যেতে লাগলো।
রিফাত: কই যাস পরির কাঁপা কিভাবে কমাবো বলে যা।
রুকু: আমি কি জানি।
রিফাত: যদি না জানোস তাহলে ডাক্তারি পড়তেছো কেনো
রুকু: ডাক্তারি ভাষায় পরির এখন জামাই এর আদর মানে জামাই এর উষ্ণতা পেলেই কাঁপা কমে যাবে বলেই রুকু রুম থেকে দৌড়।
রিফাত দরজা লাগিয়ে নিজের শার্ট খুলে পরির পাশে শুয়ে পরিকে বুকে টেনে নিল।
পরি রিফাতের বুকের উষ্ণতা অনুভব করতেছে। রিফাতকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। রিফাতের বুকে কিস করে। রিফাত পরি কে বুকের ভিতর আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। পরি সম্পূর্ণ রিফাতের উঠে পুরো শরীরে কিস করতে লাগে। রিফাত ও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। দুজন পুরোপুরি একে অপরের মধ্যে ডুব দেয়। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে যায়।
চলবে……….