#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-16
-;বিবস্ত্র অবস্থা পড়ে আছে এলিজা গ্লোবাল। ঘরের সব কিছু লণ্ডভণ্ড। দেখলে মনে হবে এখানে ছোট খাটো ঘূনিঝড় বয়ে গেছে।
দুধে আলতা গায়ে রং, চুল গুলো লাল।চোখের মনি বাদামি খয়েরি।বাঙালি নয় সে বিদেশিনী।
আই নিড ইউ।আই লাভ ইউ আরাভ। আই এম রেয়েলি লাভ ইউ।আই লাভ ইউ সো মাচ।
সাউন্ড বক্রে গানটা বাজছে ফুল ভলিউমে।মদ খেয়ে মাতলামি করছে এলিজা গ্লোবাল। যখন থেকে জানতে পেরেছে আরাভ বিয়ে করেছে তখন থেকেই এসব পাগলামি।
আরাভ সামনেই গান পয়েন্ট রয়েছে তারই লোকগুলো।কারণ অফিসের মধ্যে কাগজে তো গড়মিল করেছে।তার সাথে আরাভ বিয়েটা লিক করেছে এলিজা গ্লোবাল কাছে।এই মেয়ে বড্ড অভদ্র। আরাভ যখন সিঙ্গাপুর কাজে জন্য গিয়েছিল।তখন থেকেই আরাভ সাথে গভীরতম হওয়ার চেষ্টা করেছে।আরাভ কে পাওয়ার জন্য এই মেয়ে কতটা ডেস্পারেট হতে পারে তা শুধু আরাভ জানে।এই এলিজা গ্লোবাল খুব ডেঞ্জারাস একটা মেয়ে শীতল ক্ষতি যে-কোন মূহুর্তে করে দিতে পারে।আরাভকে সাবধানে থাকতে হবে।এলিজা গ্লোবাল বাংলাদেশে এসেছে।নিশ্চিত কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।আর সেটা যে আরাভ কে নিয়ে তা খুব ভালো করে জানে।
-;”তোমরা মুখ খুলবে নাকি আমি খুঁজে বের করবো।আমি যদি খুঁজে বের করে জানতে পারি।এটা তোমাদের মধ্যে কেউ করেছে।তাহলে তার কোনো কথা শুনবো না সোজা শুট করবো।এখন সময় আছে সত্যিটা স্বীকার করো”।
-;”আমরা আপনার নুন খেয়েছি এতদিন স্যার। আপনার সাথে বেইমানি কেনো করবো।স্যার বিশ্বাস করুন আমরা জানি না এসব অফিসে কাজে গড়মিল কে করলো?আর আপনার বিয়ে কথা লিক এত তাড়াতাড়ি বাহিরে রাষ্ট্র পৌছাল কে?”
আরাভ ভাবতে ব্যাস্ত তার লোকেরা বিয়ে কথা লিক না করলে কে করেছে?দেখতে হচ্ছে ব্যাপরটা।
-;ওকে এখন তোমরা আসতে পারো।আমি এই বিষয় পড়ে কথা বলবো তোমাদের সাথে।
সবাই এক এক করে চলে গেলোও। আরাভ নিজের কাজ ঠিকঠাক করে।অফিস থেকে বের হতে নিলে
কিছু কথা শুনে দাঁড়িয়ে যায়।মুহূর্তে মধ্যে কপাল চুলগুলো পিছনে ঠেলে রহস্যময় হাসি দেয়।যার মানে পাখি ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।
***
আরাভ পায়ের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আশরাফ নামের ছেলেটা।
কিছুক্ষণ আগের কথা।
আরাভ যখন ওদের সাথে কথা বলছিলো। তখন এই ছেলেটা বারবার চোখের নজর সরিয়ে নিচ্ছিলো।আরাভ সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেনি।আরাভ ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছে। তাই তো নিজের কেবিন থেকে সবাইকে চলে যেতে বলে। সাথে ছেলেটা চলে যায়।এবং বের হয়ে কাউকে ফোন লাগিয়ে কথা বলে। তখনই আরাভ উপস্থিত হয় সেখানে এবং হাতে নাতে প্রমানসহ ধরে।
-;মেরাজজ
-;জি বস।
-;আশরাফ কে আমাদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়। বাকিদের মতো ওর চাপটারা ক্লোজ করো।
-;আরাভ চলে আসতে নিলেই ছেলেটা আরাভ পা চেপে ধরে।
-;ছাড় প্লিজ আমাকে মারবেন না।বিশ্বাস করুন আমি এইসব ইচ্ছে করে করিনি।আমি নিরুপায় ছিলাম।নিজের মাকে বাঁচাতে আমি এসব করেছি।আমার মায়ের চিকিৎসা জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন ছিলো।তাই আমি ওদের কথা রাজি হয়ে আপনার দলে মাঝে ভিড়ি। আপনি কখন কোথায় যান?কার সাথে কথা বলেন সব খবর এনে দেওয়া আমার কাজ ছিলো?
-;নাম বল!কে সে?
-;এলিজা গ্লোবাল আর জগৎ রায় বন্ধু আর.কে।
-;কে এই আর.কে?
-;আমি কোনোদিন তাকে দেখিনি।শুধু নামটা তাদের দুজনের মুখ থেকে শুনেছি।
-;হুম!ওকে আমি তোকে ছেড়ে দিবো।শুধু তাই নয় তোর অসুস্থ মায়ের সব দায়িত্ব আমি নিবো।কিন্তু তার বিনিময়ে আমাকে সাহায্য করতে হবে।এই আর.কে ঠিকানা বের করতে সাহায্য করবি।কে সে আমি দেখতে চাই?
আরাভ কথাগুলো বলে চলে যেতে নিলে আশরাফ বলে উঠলোও।
-;স্যার ম্যাম কে বাচানঁ।ম্যাম এর সাথে খারাপ কিছু হতে চলেছে।ম্যাম এর খুব বড় বিপদ।
-;চিন্তা করো না তোমাদের স্যার যতদিন বেঁচে আছে।ততদিনে তোমাদের ম্যাম এর কিছু হতে দিবে না।
—–
কলিংবেল বাজতেই সোফা থেকে উঠে দাঁড়ায় শীতল।আঁচল টাকে ঠিক করে দরজার দিকে পা বাড়ায় শীতল।শীতল দড়জা খুলে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আরাভ দিকে।আরাভ,শীতলকে কিছু না বলে পাস করে ভিতরে ঢুকে সিড়ির বেয়ে রুমে চলে যায়।শীতল একগ্লাস লেবুর শরবত নিয়ে আরাভ পিছু পিছু রুমে চলে আসে।আরাভ শার্টের বোতাম খুলছে আর শীতল দিকে একনজর তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।লেবুর শরবত মুখে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।ওয়াশরুমের ঢুকে ফ্রেশ হচ্ছে আরাভ আর ভাবছে কি করার উচিত এখন?কে এই নতুন শএু যার নাম আর, কে।শএু সামনসামনি থাকলে প্রতিরোধ করা সহজ কিন্তু লুকিয়ে থাকলে তাকে ধরা সহজ না হলে ও কঠিন নয়।কিছুখন পর বের হয়ে আসে।এসে দেখে শীতল খাটে পা ঝুলিয়ে বসে আছে।
আরাভ একটি শার্ট গায়ে জড়িয়ে নিলো।শীতল মাথা নিচু করে বসে আছে।পিছনে ফিরে শীতলকে দেখে নিলো আরাভ।তারপর ওর দিকে এগিয়ে এসে তুড়ি বাজালো।তুড়ির শব্দে মাথা উঁচু করে তাকলো শীতল।
-;কি ব্যাপার মুখটা এমন বাংলার পাঁচের মতো করে রাখছ কেনো?আজ সকালে যার রনচন্ডী ভাব ছিলো তার মুখটা এমন গোমরা কেনো?
-;এলিজা গ্লোবাল কে মিস্টার আরাভ?
শীতল কথা শুনে আরাভ চমকে উঠলোও। এলিজা গ্লোবাল নাম জানলো কি করে?(লাস্ট কথাটা বিরবির করে আরাভ বলো)
-;এলিজা গ্লোবাল কে?সেটা জেনে তুমি কি করবে?
-;আমি কিছুই করবো না।আপনার নামে পার্সেল এসেছে।
শীতল পার্সেলটা আরাভ হাতে দিয়ে গড়গড় করে নিচে চলে গেলোও।
—–
হাসপাতালে বাহিরে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে আরহাম।কি হওয়ার ছিলো?আর কি হয়ে গেলো?
নীলিমা আইসিইউতে ভর্তি।
“কয়েকঘন্টা আগের কথা।আরহাম হাজার চেষ্টা করে ও নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি।নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে বধূসাজে দেখার যে বড্ড লোভ ছিল। তাই তো একটাবার নিজের চোখের দেখা দেখতে চলে আসে।হয়ত আর দেখতে পাবে না নিজের ভালোবাসা মানুষটাকে।তাই তো আজকে দেখতে আশা এটা যে শেষ দেখা হতো।কিন্তু যে তোমার পাঁজরে হাড় দিয়ে তৈরি তাকে তুমি দূরে রাখবে কি করে”?
“আরহাম তাকিয়ে আছে নীলিমা দিকে বধুঁ সাজে কি সুন্দর লাগছে নীলিমা কে। আরহাম যেমন টা মনে মনে চেয়ে ছিলো।তার থেকোও বেশি সুন্দর লাগছে নববধূ সাজে।তবে এই সাজ আজ আরহাম জন্য সাজে নিই।সেজে তার জন্য যাকে নিয়ে ঘর বাঁধ চলেছে নীলিমা।আরহাম নীলিমা কে নিয়ে যত স্বপ্ন, কল্পনা, জ্বল্পনা ছিলো সব এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো।আজ নীলিমা চিরদিনের মতো অন্য কারো হতে চলেছে।আরহাম এসব ভেবে যখন চোখের কোনে পানি মুছে বের হতে নেয়। ঠিক তখনই নীলিমা আরহাম কে দেখে ফেলে। আর সেই মুহূর্তে কোনো কিছু না ভেবে আরহাম কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে মাঝ পথে নিলীমা ঢলে পড়ে। আরহাম ভয় পেয়ে যায়।নীলিমা একটা ডাক যথেষ্ট ছিলো ভিতরটা কেঁপে উঠার জন্য।আরহাম ভিতরটা কেমন যেনো করে উঠে শরীর ঘামতে থাকে হাত,পা কাঁপতে থাকে। আরহাম ভুলে যায় সব কিছু।তার বাবা দেওয়া চারদিকে যে দেয়াল করে দিয়েছে তা ভুলে গিয়ে জড়িয়ে নেয় নীলিমা কে নিজের বুকের মাঝে”।
“যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল তার পাশেই হাসপাতাল ছিলো বিধায় এই যাএা বেচেঁ গেছে নীলিমা”।
আরহাম জন্য আজ নীলিমা মরতে বসেছিলো। আরহাম ঠিকই টাইমে না পৌঁছালে কি হতে পারত ভাবতেই গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।
হঠ্যাৎ আইসিইউ লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার বাস্তবে ফিরে এলো আরহাম।
-;-; Mr. Arham Mirza CE is all right. After a while he will be given in the cabin you can meet if you want.(মিষ্টার আরহাম মির্জা সিই ইজ অল রাইট।কিছুক্ষণ পর তাকে কেবিনে দেওয়া হবে আপনি চাইলে দেখা করতে পারেন।)
-;আরহাম মাথা নাড়ালো।নীলিমা কে কেবিনে দেওয়া হয়েছে।নীলিমা অজ্ঞান এখন জ্ঞান ফিরে নিই। নীলিমা হাত ধরে চোখের পানি ফেলছে আরহাম।
প্লিজ নিলীমা প্লিজ কাম ব্যাক।আমি তোমাকে ছুয়ে কথা দিচ্ছি। আর কখনো তোমার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করবো না।তুমি যা বলবে তাই হবে।আমি তোমাকে যে বড্ড ভালোবাসি।লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া। তোমার কিছু হলে আমি নিজেকে কখনো মাফ করতে পারবো না।তোমাকে হারানো ভয়ে তো দূরে রাখতে চেয়ে ছিলাম।আমার ভুলে কারনে আমি যে আমার আরো একজন কাছের ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে ফেলতাম।
কিন্তু এখন আর নয়।যদি বাঁচতে হয় তোমাকে নিয়ে বাঁচব আর মরতে হলেও তোমাকে নিয়ে মরবো।তোমার আরহাম তোমারই ছিলো তোমারিই আছে।আর যতদিন পৃথিবীর বুকে তোমার আরহাম আছে ততদিন তোমার হয়ে থাকবে।
ভালোবাসি বড় ভালোবাসি তোমায়।আই লাভ ইউ নীলিমা। আই রেয়েলি লাভ ইউ।
ভালোবাসা এক অদ্ভুত অনুভূতি।
যখন ছেলেটি বুঝে,
তখন মেয়েটি বুঝে না।
যখন মেয়েটি বুঝে
তখন ছেলেটি বুঝে না।
আর যখন উভয়ই বুঝে
তখন দুনিয়া বোঝে না ।
এটাই চলছে দুনিয়ায়। আরহাম আর নীলিমা ভালোবাসা বুঝবে কি দুনিয়ায়। কি হবে তখন যখন জানতে পারবে আরমান মির্জা।নাকি এখানে শেষ হবে দুইটি ভালোবাসার মানুষ।
চলবে……
সরি লেট হয়ে গেছে।অনেক জানেন কালকে গল্পটা ডিলিট হয়ে যাওয়া আর দেওয়া হয়নি।আজ দুটো পাঠ লিখতে চেয়ে ছিলাম।সন্ধ্যা থেকে গুজিয়ে লিখতে গিয়ে এটুকু লিখতে পারলাম বাকিটা আল্লাহ বাচালে কালকে দিবো। আজকে একটু জামেলা ছিলো তার ওপর অ্যাসামেন্ট প্যারা ছিল।আজকে একটা দিয়েছি কেউ রাগ করো না প্লিজ।আর সত্যি কথা বলতে আমি রাইটার ব্লক পড়ে গেছি যার জন্য একটা পাঠ ও ঠিক মতো সাজাতে পারছি না। তাই ভাবছি গল্প ইতি তাড়াতাড়ি টেনে দিবো।২০পর্ব মতো হবে। তারপরে আমার ছুটি।রাইটার ব্লক থেকে উঠতে পারলেই এটা ২য় খন্ড নিয়ে হাজির হবো।
King_in_the_city_of_Mafia হঠাৎ একদিনে লিখে পোস্ট করে ছিলাম কোনো পূর্ব প্রস্তুতি আমার ছিলো না।কি দিয়ে কি করেছি তাই জানি না।তবে ২য় খন্ড লিখার সময় কিছুটা প্রস্তুতি রেখেই শুরু করবো।
ভুলক্রটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ।