গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ১৩+১৪
লেখাঃ #Mst_Liza
,
মিরা আর রাইশা দুজনে রুমে বসে গল্প গুজব করছে।হঠাৎ রাইশার ঘড়ের জানালায় কেউ একজন ঢিল ছুড়ে দিয়ে চলে যায়।রাইশা এগিয়ে গিয়ে দেখে ঢিলের সাথে একটি কাগজ মোড়ানো।যাতে লেখা আছে, “আমি যানি তোমার সন্তান কোথায় আছে।যদি তোমার সন্তানকে পেতে চাও এক্ষুনি রূপসা ব্রীজের নিচে চলে এসো।” রাইশা ব্যাপারটা মিরাকে গিয়ে যানায়।মিরা রাইশাকে একা যেতে দিতে চাইনা।তাই দু’জনে মিলেই রইনা হয়।
।
ওদিকে,
সোহাগ মির্জাঃ মোনাআআআ! কোথায় তুমি মোনাআআ?
চিৎকার করে ডাকতে থাকে সোহাগ মোনাকে।
মোনার মেজো বোন জুলি সোহাগের চিৎকার শুনে বেড়িয়ে আসে।
জুলিঃ একি সোহাগ মির্জা।এখানে কি মনে করে আসলেন?
সোহাগ মির্জাঃ তোমার বোন কোথায় জুলি?
জুলিঃ আমার বোন? হাহাহা! কোন বোনের কথা বলছেন আপনি?
সোহাগ মির্জাঃ প্লিজ জুলি বল তোমার আপু কোথায়?
জুলিঃ আমার আপু? তা হঠাৎ আমার আপুকে আপনার কি দরকার পরল?
সোহাগ মির্জাঃ সেটা তোমাকে আমি পরে বলব! এখন তোমার আপুকে একটু ডেকে দাও।তার সাথে আমার কিছু কথা বলার আছে।
জুলিঃ সরি! আমার আপু এখন বাসায় নেই আর যদিও থাকত আপনার সাথে কখনোই কথা বলতে চাইতো না।
সোহাগ মির্জাঃ কেন?
জুলেঃ কেন সেটা আবার যানতে চাইছেন?
ভুলে যাবেন না সোহাগ মির্জা আপনার জন্য আমরা আমাদের বাবাকে হারিয়েছি।ছোট বোন দিনাকে হারিয়েছি!
সোহাগ মির্জাঃ তোমরা ভুল বুঝছো আমাকে!
জুলিঃ আমরা ভুল বুঝছি? যেটা নিজের চোখে দেখেছি সেটাও কি ভুল?
সোহাগ মির্জাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ ভুল।তোমরা ভুল বুঝছো আমাকে।সেদিন আমি দিনাকে অতন্ত্য সুন্দরভাবে বুঝিয়েছিলাম।আমি যখন চলে যায় তখন স্যান্ডি তোমাদের বাড়িতে ঢোকে।আমার পুরো বিশ্বাস সেই রাতের ঘটনার জন্য স্যান্ডিই দায়ী।
জুলিঃ মিথ্যা বলবেন না সোহাগ মির্জা। দিনা নিজে আমাদেরকে ফোন করে বলেছিল আপনি ওকে ভালোবাসেন, বিয়ে করতে চান।সেদিন আপনিই আমাদের বাড়িতে ছিলেন।আর ওর সাথে..
সোহাগ মির্জাঃ আমি এমনটা কিছুই করি নি।আমি তো জানতামই না দিনা আমাকে ভালোবাসে।আমি তো শুধু ওকে বোঝাতে চেয়েছিলাম আমি মিরাকে ভালোবাসি আর মিরাকে বিয়ে করতে চাই।
জুলিঃ আমি বিশ্বাস করি না।
সোহাগ মির্জাঃ তুমি বিশ্বাস না করলেও এটাই সত্যি! ভেবেছিলাম তুমি অন্তত আমাকে বিশ্বাস করবে কিন্তু না তুমিও মোনার মতোই আমাকে ভুল বুঝলে।আরে ওতো আমার ফ্রেন্ড ছিল।স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি একসাথে আমরা পার করেছি।ও আমাকে বুঝলো না।তুমি কিভাবে বুঝবে?
দিনাকে আমি শুধুই ছোট বোনের মতো দেখতাম।দিনার সাথে এমন কিছু আমি কল্পনায়ও ভাবতে পারি না।আমি জানতামই না দিনাকে রেপ করে খুন করা হয়েছিল! তোমাদের অসুস্থ বাবাকে খুন করা হয়েছিল।কারণ নিউজটা আমি দেরিতে পায়। আর পাওয়া মাত্রই ছুটে এসেছিলাম কিন্তু তোমাদেকে পায় নি।তোমাদের বাড়িতে আদালত কতৃক সিল পরে গিয়েছিল।ব্যবসায় ডুবে গিয়েছিল তোমার বাবার।সবার ঋণ আমি পরিশোধ করি।তোমাদের বাড়িটা আমি নিলামীর হাত থেকে বাচাঁয়।আর তোমরা কিনা!
জুলিঃ এর সবই আপনার নাটক! আমাদের কাছ থেকে আপন জনদের কেড়ে নিয়ে আবার দয়া দেখাতে কে বলেছিল আপনাকে?
সোহাগ মির্জাঃ সবই কি দয়া? আচ্ছা তোমাদের দয়া দেখিয়ে আমার কি লাভ ? আমি যদি এতোই খারাপ হবো তাহলে কেন তোমাদের জন্য ভাববো?
জুলি ভেবে দেখে সত্যিই তো এটা তো ভেবে দেখি নি।সোহাগ মির্জার কি লাভ ছিল আমাদের উপকার করার! তাছাড়াও উনি তো আমার দিকে কখনও খারাপ নজরে তাকায় নি! সোহাগ ঘুরে চলে যাচ্ছে জুলি সোহাগকে ডাক দেই।
জুলিঃ সোহাগ ভাইয়া?
সোহাগ পিছনে জুলির দিকে ঘুরে তাকায়।
জুলিঃ ভাইয়া আমি আপনাকে বিশ্বাস করছি।এখন খুব দেরি হয়ে গেছে।মোনা আপু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মিরা আপু আর রাইশাকে কৌশলে রূপসা ব্রীজ নিয়ে গেছে।
সোহাগ মির্জাঃ কি বলছ কি তুমি?
জুলিঃ হ্যাঁ ভাইয়া। আপু ওদেরকে মেরে ফেলবে।
সোহাগ মির্জাঃ তোমার আপুকে আটকাও জুলি!
জুলি মোনাকে ফোন করে কিন্তু ফোনটা বন্ধ পায়।
জুলিঃ মোনা আপুর ফোনটা বন্ধ ভাইয়া।আমাদেরকে ওখানে যেতে হবে।
।
।
মিরাঃ কে আপনি? আমাদের এভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন?
মোনা মিরার চুলের মুঠি টেনে ধরে।
মোনাঃ আমি কে সেটা জানতে চাস? তোর জম আমি!
মিরার মাথায় হাতের বন্দুকটা দিয়ে অনবরত আঘাত করতে থাকে মোনা।
রাইশাঃ প্লিজ মোনা আপু আমার ভাবিকে তুমি ছেড়ে দাও।মারতে হয় আমাকে মারো।
মোনাঃ মরবার এত্তো সক তোর? ঠিক আছে আগে তোকেই মারবো।
মিরাঃ নাআআআ আমাকে মারো ওকে ছেড়ে দাও!
রাইশাঃ না আমাকে!
মিরাঃ না আমাকে।
মোনা রেগে যায় বাআআআআচ।অনেক হয়েছে।আজ তোরা দুজনই মরবি।তোদের মৃত্যু এতোটা যন্ত্রণা দায়ক হবে যে দাফন করার জন্য শরীরের একটা হারও খুঁজে পাওয়া যাবে না।মোনা মিরার দিকে তাকায়, আগে তোকেই মারি।বন্দুকটা নিয়ে মিরার সামনে ধরে।তারপর এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনে ঘ্যাচাং করে মিরার বুকে একটা গুলি বসিয়ে দেয়।তারপর মোনা তার গুন্ডাগুলোকে ডেকে মিরাকে জাহাজে উঠিয়ে দেয়।আর গুন্ডাগুলোকে বলে যাও গিয়ে মাঝ নদীতে ফেলে এসো একে।গুন্ডাগুলো মাঝ নদীতে মিরাকে গিয়ে ফেলে দিয়ে মোনাকে ফিরে এসে জানায়।মোনা তখন একটা বিজয়ীর হাসি দিয়ে চিৎকার করে বলে, সোহাগ মির্জাআআআ আমার বোনের সাথে যা করেছিস আমি তার প্রতিশোধ নিতে পেরেছি।রূপসা নদীর মাছগুলো তোর বউকে ছিড়ে ছিড়ে খাবে।
তারপর রাইশার দিকে বন্দুকটা ধরে……
চলবে……
গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ১৪
লেখাঃ #Mst_Liza
,
জুলি এসে বন্দুকটা ধরে উপরের দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
মোনাঃ জুলি তুই এখানে।
জুলিঃ এ তুমি কি করছিলে আপু?
মোনাঃ প্রতিশোধ নিচ্ছিলাম।
জুলিঃ কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃস্টি হচ্ছে আপু।
মোনাঃ কি বলতে চাস তুই?
জুলিঃ আপু আমার মনে হয় সোহাগ ভাইয়া নির্দোষ।
মোনা ঠাসসসস করে জুলির গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
মোনাঃ তুই কি বলছিস যানিস?
জুলিঃ হ্যাঁ, আপু আমি যা বলছি ভেবেই বলছি।
সোহাগ এসে রাইশার বাঁধনটা খুলে দিয়ে রাইশাকে জড়িয়ে ধরে।
সোহাগ মির্জাঃ তুই ঠিক আছিস তো বোন?
রাইশাঃ ভাইয়া…
রাইশা কাঁদতে থাকে।
সোহাগ মির্জাঃ কাঁদছিস কেন পাগলি? আমি চলে এসেছি না? সোহাগ এদিকে ওদিকে তাকিয়ে, মিরা কোথায়?
রাইশাঃ ভাইয়া… ভাবি…
সোহাগ মির্জাঃ কি?
রাইশাঃ ভাবিকে মোনা আপু
সোহাগ মির্জাঃ হুমম।তারপর?
রাইশাঃ মোনা আপু ভাবিকে
সোহাগ মির্জাঃ আমার এবার খুব ভয় করছে কিন্তু ছুটকি, তারাতাড়ি বল? কি করেছে মোনা আমার মিরার সাথে?
রাইশাঃ তুমি শান্ত হও ভাইয়া আমি বলছি
সোহাগ মির্জাঃ কি করেছে মোনা ওর সাথে?
রাইশাঃ মেরে ফেলেছে। মোনা আপু ভাবিকে মেরে রূপসা নদীতে ফেলে দিয়েছে।
সোহাগ মির্জাঃ নাআআআআ।
সোহাগ চিৎকার করে বসে পরে।খুব জোড়ে কাদঁতে থাকে সোহাগ।এমন সময়ে হঠাৎ কেউ এসে তার রক্তে ভেজা নরম হাতটি দিয়ে সোহাগের কাঁধ স্পর্শ করে।সোহাগ ঘুরে দাড়িয়ে দেখে মিরা রক্তাক্ত অবস্থায় দুলছে।সোহাগ মিরাকে ধরতেই মিরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
সোহাগ মির্জাঃ এই মিরা কথা বল? কথা বল বলছি? কি হয়েছে তোমার মিরা?
রাইশাঃ ভাইয়া ভাবির গুলি লেগেছে।এক্ষুণি ভাবিকে নিয়ে আমাদের হসপিটালে যেতে হবে আর দেরি করও না।
সোহাগ মিরাকে কোলে তুলে নিয়ে হসপিটালে যাবে মোনা এসে সোহাগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
মোনাঃ ভেবেছিলাম তোর বউকে মারব!বোনকে মারব! কিন্তু না তোর বউ বেঁচে ফিরে আসলো।তবে এখন যখন তুই এসেই গিয়েছিস।আজ নিজের হাতে তোদের সবাইকে খুন করবো।
সোহাগ মির্জাঃ দেখ মোনা তোর রাগ আমার উপর আমার মিরাকে তুই বাঁচতে দে।
মোনাঃ বাঁচতে দেব? হাহাহা! তুই বাঁচতে দিয়েছিলি আমার বাবা, বোনকে?
সোহাগ মির্জাঃ তুই ভুল করছিস মোনা!
মোনাঃ আমি ভুল করছি? আজ আমি আমার বাবা, বোনের প্রতিশোধ নিচ্ছি।এখন যখন সুযোগ পেয়েই গেছি নিজের হাতে তোকে আর তোর পরিবারকে খুন করে প্রতিশোধ পূর্ণ করব।
মোনা সোহাগের দিকে বন্দুকটা ধরে।যেই গুলি ছুড়তে যাবে তখনই পুলিশ এসে মোনার হাতে ঘ্যাচাং করে একটা গুলি বসিয়ে দেয়।মোনার হাত থেকে বন্দুকটা ছিটকে দূরে গিয়ে পরে।তারপর পুলিশ মোনাকে এ্যারেস্ট করে নিয়ে যায়।যাওয়ার সময় মোনা সোহাগকে বলে যায় আমি আবার ফিরে আসবো সোহাগ মির্জা।তোর প্রতি প্রতিশোধ নিতে, তোকে শাস্তি দিতে, কথাটা মনে রাখিস!
।
সোহাগ মিরাকে হসপিটালে নিয়ে যায়।মিরার শরীরে গুলি ছুয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার কারণে মিরা এখন বিপদ মুক্ত।মিরাকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে। রাইশা আর সোহাগ মিরার পাশে বসে রয়েছে।
রাইশাঃ আচ্ছা ভাবি তোমাকে না নদীতে ফেলে দিয়েছিল?
মিরাঃ পালিয়ে ছিলাম।
রাইশাঃ মানে?
মিরাঃ আমাকে জাহাজে উঠিয়ে গুন্ডাগুলো গল্প করছিল।আমি সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালায়।তারপর গুন্ডাগুলোর মধ্যে একজন আমাকে চিনতে পেরে পালাতে সাহায্য করেছে। আর তার সাথীদের বলে আমাকে সে নদীতে ফেলে দিয়েছে।
রাইশাঃ কিভাবে চিনলো ঐ গুন্ডাটা তোমাকে?
মিরাঃ রাইসূলের ডাক্তারি পরার টাকার জন্য একদিন তার স্ত্রীকে আমি কিডনি ডোনেট করেছিলাম।
রাইশাঃ ওহহ।
সোহাগ মির্জাঃ এসব কথা এখন বাদ দাও! আগে সুস্থ হও তারপর বলবে!
,,,,
,,,
,
।
,
,,,
,,,,
২০ বছর পর,
মায়াঃ হাহাহা
রুসাঃ হাসছিস কেন মায়া?
মায়াঃ কি করব বল?
তোর এই গল্পটা শুনে আমার মুভি মুভি লাগছে!
রুসাঃ সেই তো! তোর বিশ্বাস হলো না? এইজন্যই বলতে চাচ্ছিলাম না।
মায়াঃ না না বল তারপর কি হলো?
রুসাঃ আমি আর কিচ্ছু বলব না! তোর বিশ্বাস হলো নাতো যা ভাগ!
মায়াঃ ওই সালি একটা গল্প শেষ না করে বাহানা শুরু করেছিস? আগে বল তারপর কি হলো?
রুসাঃ এটা গল্প না মায়া এটা আমার মামা মামির…
মায়াঃ কি??
রুসাঃ মা আমাকে এই গল্পটা ছোটবেলা থেকেই শোনাতো। আমার মামা মামি এখন আর একসাথে থাকে না।
মায়াঃ মানে?
রুসাঃ বাদ দে ওসব কথা।এখন জলদি চল তো অফ টাইম শেষ! দেরি করলে ডাক্তার মাহির এসে তোর ব্যন্ড বাজাবে।
মায়াঃ ওই এক যন্ত্রণা! লোকটার কাছে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ ভালো শুধু আমি ছাড়া! যখন তখন শুধু আমাকে জ্ঞান দেয়!
রুসাঃ কারণ তোর কাজগুলো এমন যে তোকে জ্ঞান না দিলে হয় না!
মায়াঃ জ্ঞান কি মা কম দেয়? তবুও কি ভেবে যে মেডিকেলে পড়তে পাঠালো! আমি তো এ্যাডমিশন টেস্টেও ফেল করার কত চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু কি করতাম ওই মাহির বজ্জাতটা এসে যেহারে খাতার উপর হুমরি খেয়ে পরেছিল।বজ্জাতটাকে দেখাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছি।কপাল আমার সেই ডাক্তারি পড়তে আসা লাগলো।
রুসাঃ ওভাবে বলিস না মায়া! স্যার কত্ত ভালো।আমাদের বকে তো ভালোর জন্য!
মায়াঃ থামবি তুই? ওই বজ্জাতটার হয়ে আর সাফায় গায়তে আসবি না!
,
,
মাহিরঃ কে বজ্জাত মায়া?
হঠাৎ মাহিরের কন্ঠস্বর শুনে মায়া তাকিয়ে দেখে মাহির সামনে দাড়ানো।মাহিরের চোখ দুটো রাগে গজগজ করছে। ভয়ে মায়ার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
মাহিরঃ রুসা ক্লাসে যাও।
রুসাঃ ওকে স্যার।
মাহিরঃ দাড়াও মায়া! তুমি কোথায় যাচ্ছো?
মায়াঃ আপনি বললেন তো ক্লাসে যেতে।
মাহিরঃ কানে কি সমস্যা আছে তোমার?
মায়াঃ কেন স্যার?
মাহিরঃ আবার বলছো কেন?
মায়াঃ সরি স্যার!
মাহিরঃ সরি? কিসের জন্য?
মায়াঃ আর কখনও আপনাকে কিচ্ছু বলব না!
মাহিরঃ তোমার মধ্যে শিক্ষা দিক্ষার খুব অভাব।শিক্ষকদের কিভাবে সম্মান দিতে হয় সেটাও যানো না।
মায়াঃ স্যার আমি আসলে
মাহিরঃ কি??? শোনও মেয়ে এটা লাস্ট। নেক্সট টাইম যেন এভাবে কোনও শিক্ষকদের নিয়ে বলতে না শুনি। মনে থাকবে?
মায়া মাথা কাত করে হ্যাঁ বলে।
মাহির ধমক দিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করে, মুখে বল মনে থাকবে?
মায়াঃ জ্বী স্যার।
মাহিরঃ হুমম।এবার ক্লাসে যাও।
,
,
,
,
,
,
আজ সোহাগের জন্মদিন।মিরা বাড়িতে অনেক ভালো ভালো রান্না করছে। যা যা খেতে সোহাগ পছন্দ করে তার সব।রান্নার শেষে মিরা খাবারগুলো নিয়ে বাইরে আসে।কিছু সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু বসে আছে খাবারের অপেক্ষায়। তাদেরকে পাত পেরে খেতে দিয়ে শাড়ির আঁচলে চোখের পানি মুছছে মিরা।খাওয়ানোর শেষে যখন শিশু গুলো চলে যায় মিরা দৌড়ে গিয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা সুটকেসটা বের করে।সোহাগের ছবিটা হাতে নিয়ে কাঁদে।অনেক অসম্মান, অবহেলা আর অপমান নিয়ে মিরা সোহাগের বাড়ি থেকে সেদিন রাতে বেরিয়ে এসেছিল।তারপর আর নিজের আপনজন কারও সাথে যোগাযোগ রাখে নি!
মিরা সোহাগের ছবিতে হাত বুলাছে আর কাঁদছে।মিরার চোখের পানি গড়িয়ে সোহাগের ছবির ফ্রেমে পড়ছে,,
মিরাঃ আপনি আমাকে ভুল বুঝলেন? এতো বড় অপবাদ দিলেন আমাকে আপনি? মায়া! ওতো আমার আর আপনার সন্তান। কিন্তু আপনি ভাববেন না! আমি কক্ষনো মায়াকে যানতে দেব না ওর পিতৃ পরিচয়। ওর মাও আমি আর বাবাও আমি। ও কক্ষণো আপনার কাছে নিজের পরিচয় নিয়ে যাবে না।আপনি ভালো থাকুন! খুব ভালো থাকুন!
চলবে….