ক্রাশ পর্ব -০৬

#ক্রাশ
#পর্ব_০৬
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
সামিরা সবার সামনে থেকে সাগরকে হাত ধরে টেনে বাহিরে আনলো।
আর বললো, ভাইয়া?
আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না।
তুই কি আমাকে ক্লিয়ার করে একটু বলবি?
এখানে হচ্ছে টা কি?
আমার মাথায় কিন্তু কিছুই ঢুকছে না।

সাগর তখন সামিরার হাত সরে দিয়ে বললো তুই এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তোকে যে কাজ টা করতে বলেছি সেটা কর।
বিয়ে টা ক্যান্সেল করার কোন উপাই বের কর।
তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিলি মনে আছে সে কথা?

সামিরা তো সে কথা শুনে অবাক!!!
সাগর মোহনাকে দেখেও বিয়ে তে রাজি হচ্ছে না।
আর এদিকে তো সামিরা অন্য কিছু ভেবে বসে আছে।
সে ভেবেছিলো হয় তো তার ভাই অভিনয় করছে।
সে মোহনাকে না চেনার ভান করছে।

সাগর আর দেরী না করে আবার রুমে চলে গেলো।

সামিরা পিছন দিক দিয়ে তাকে ডাকতে লাগলো।
ভাইয়া যাস না?
আমি কি করে বিয়ে টা এখন ভাংবো?
অচেনা কোন মেয়ে হলে একটা দূর্নাম বের করে বিয়েটা ক্যান্সেল করতে পারতাম।
কিন্তু এই মেয়ের সাথে তো আমার এখন বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।
সামিরা কিছুই বুঝতে পারলো না।
সে কি করবে এখন?

এদিকে সাগরের বাবা, মা,দাদী,দাদু সবাই মোহনাকে পছন্দ করেছে।
তারা মোহনার বাবার কাছে বিয়ের ফাইনাল খবর চাচ্ছে।

তখন মোহনার বোন নীলিমা বললো আপনারা এতো তাড়াহুড়ো করছেন কেনো?
আমাদের কেও তো খোঁজখবর নিতে হবে।
এতো তাড়াতাড়ি করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় নাকি?
তখন মোহনার বাবা বললো নীলিমা তুই চুপ কর।
আমি ওদের ব্যাপারে অনেক আগেই খোঁজখবর নিয়েছি।
আমার কোন আপত্তি নাই।
যদি আমাদের মেয়েকে আপনাদের পছন্দ হয় তাহলে আপনারা যেদিন বলবেন সেইদিনই বিয়ে হবে।

সেই কথা শুনে নিলীমা তার বাবাকে বললো বাবা এই দিকে একটু এসো।
তোমার সাথে আমার কথা আছে।
এই বলে নিলীমা তার বাবাকে নিয়ে রুমে চলে গেলো।
আর বললো,
বাবা তুমি মোহনার থেকে পারমিশন না নিয়েই বিয়ে তে রাজি হয়ে যাচ্ছো?
মোহনা আমাকে বলেছে সে এখনি বিয়ে করবে না।
যদি জোর করে আমরা ওকে বিয়ে দেই তাহলে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।
ও আগে ওর পড়াশোনা কম্পিলিট করবে তারপর বিয়ে করবে।
তুমি ওনাদের কে না করে দাও।
তা না হলে মোহনা খারাপ কিছু করে বসবে।
এভাবে ওকে জোর করে বিয়ে দাও না।

সেই কথা শুনে মোহনার বাবা বললো সেটা আগে বলবি না?
মোহনা যদি তোকে এসব বলে থাকে আমি অবশ্যই বিয়ে টা ক্যান্সেল করে দেবো।
আমি কখনোই মোহনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেবো না।
এই বলে মোহনার বাবা আবার ওদের কাছে গেলো,

আর বললো,
আমাকে মাফ করে দিবেন প্লিজ।
আমি না বুঝে আগেই একা একা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
কিন্তু এখন আমি আমার সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করলাম।
তাছাড়া আমাকে একটু ভাবার সময় দিন।
এতো তাড়াতাড়ি আমি ফাইনাল ডিসিশন দিতে পারছি না।

সেই কথা শুনে সামিরা সাগরের কানে কানে বললো ভাইয়া কাজ হয়ে গেছে।
আমাকে আর বিয়ে ভাংগার জন্য কিছু করতে হবে না।
মোহনার বাবা মনে হয় এ বিয়েতে রাজি নয়।
সাগর সেকথা শুনে বললো আমিও তো এটাই চাইছিলাম।
এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম।
সামিরা সে কথা শুনে বললো কিন্তু ভাইয়া আমার খুব আফসোস হচ্ছে তোর জন্য।
এতো ভালো একটা মেয়ে হাতছাড়া করে খুব ভুল করলি।
মেয়েটা কিন্তু সবদিক দিয়ে পারফেক্ট ছিলো।
আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
তুই তোর সিদ্ধান্ত টা একটু চেঞ্জ করা না?

সাগর তখন বললো বেশি কথা না বলে চুপচাপ তোর কাজ কর।
আর এখন একটু ফিসফিস করা বাদ দে।
বড়রা কথা বলছে দেখছিস না?
সামিরা সে কথা শুনে চুপ হয়ে গেলো।

এদিকে মোহনা এই ভয় টাই পাচ্ছিলো যে হয় তো তার বোন বিয়েতে রাজি না হওয়ার জন্য তার বাবাকে ঘরে ডেকে নিয়ে গেলো।
এখন কি করবে মোহনা?
নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলো সে?
যে ছেলেকে নিয়ে সে এখনো রাতে দিনে স্বপ্ন দেখে তাকে পেয়েও হারালো?
সবার সামনে তো চিৎকার করে বলতেও পারছে না যে এই ছেলের জন্যই সে বিয়ে টা করতে চায় নি।
সে কি আর জানতো তার স্কুল জীবনের সেই ক্রাশই তাকে দেখতে এসেছে?
আগে জানলে কত সুন্দর করে সেজে আসতো।
ইসঃ কি আফসোস টাই তার হচ্ছে!
কেঁদে একেবারে চোখ ফুলে তুলেছে।
তারপরও সাগরের ফ্যামিলি তাকে পছন্দ করেছে।

মোহনা হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে তার রুমে চলে গেলো।

মোহনাকে চলে যাওয়া দেখে সাগর সামিরা কে একটা চিমটি দিয়ে বললো এই সুযোগে তুই আবোল তাবোল কিছু বল।
যাদে আমাদের পরিবারের আর কেউ এই মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিতে রাজি না হয়।
এমনকি দাদু অনেক বেশি রাগ করে।
ওনার মেজাজ একবার খারাপ হলে কেউ আর ওনাকে থামাতে পারবে না।

সামিরা সাগরের কথা শুনে বললো দাদু?
আমার মনে হচ্ছে মেয়েটা বিয়ে তে রাজি নয়।
দেখলে না কিভাবে সবার সামনে থেকে চলে গেলো?
ওর মনে হয় অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে।
তাছাড়া মোহনার বাবাও রাজি নয়।
দেখলেই তো সময় চাচ্ছেন উনি?
তাহলে আমরা আর কেনো এখনো দাঁড়িয়ে আছি?
চলো বাসায় যাই।
এটা কিন্তু অনেক বড় অপমান আমাদের জন্য।
এই পরিবারে কিছুতেই সাগর ভাই এর বিয়ে হতে পারে না।
সেই কথা শুনে সাগরের বাবা বললো সামিরা ঠিকই বলেছে।
বাবা আমরা তাহলে এখন চলেই যাই।
এভাবে জোর করে কারো সাথে আত্নীয়তা করতে চাই না আমরা।

ঠিক তখনি সাগর জোরে জোরে বললো,
দাদু এইভাবে জোর করে তুমি যার তার সাথে আমাকে বিয়ে দিতে পারো না।
অন্ততপক্ষে মেয়েটাকে তোমার জিজ্ঞেস করা উচিত ছিলো যে সে আমাকে বিয়ে করবে কিনা?
তাছাড়া এখনকার মেয়েদের দুই চারটা বয়ফ্রেন্ড এমনিতেই থাকে।
সবাই কি আর আমাদের মতো কড়া শাসনের মধ্যে বড় হয়?
আর তুমি মেয়েটাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই তার বাবার থেকে বিয়ের ডেট চাচ্ছো?
এটা তোমার উচিত হয় নি।
তুমি আমার জীবন টা এভাবে নষ্ট করতে পারো না।
তোমাদের কথা মেনে চলি দেখে তোমরা যার তার গলায় আমাকে ঝুলে দেবে নাকি?

সাগরের কথা শুনে মোহনার বাবা বললো,
আমার মেয়েও গ্যারান্টি আলা।
আমিও সেই ভাবেই মেয়েকে তৈরি করেছি।
আমার মেয়ে কখনোই এমন কাজ করবে না যাতে তার পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়।
আর তোমাদের ধারনা সম্পূর্ন ভুল।
ওর কোন ছেলের সাথে রিলেশন নাই।

মোহনার বাবার কথা শুনে সাগরের দাদু বললো আপনার মেয়েকে আরেকবার ডাকুন তো?
আমি নিজের মুখে শুনতে চাই।
মোহনা বিয়ে করবে কি না?
সেই কথা শুনে মোহনার মা মোহনাকে ডেকে আনলো।
তখন মোহনার দাদু বললো,

মোহনা তুমি কি অন্য কোন ছেলেকে পছন্দ করো?
মোহনা সাগরের দিকে তাকিয়ে বললো না।
তখন মোহনার দাদু বললো,
আমার নাতীকে তোমার পছন্দ হয়েছে?
মোহনা সে কথা শুনে হ্যাঁ বা না কিছুই বললো না।
সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলো।
যদি সে হ্যাঁ বলে তাহলে সবাই তাকে নির্লজ্জ ভাববে।
আর যদি না বলে তখন বিয়ে টা ভেংগে যাবে।

ঠিক তখনি মোহনার বোন বললো,
মোহনা তুই বিয়ে করবি কি করবি না সেটা ক্লিয়ার করে সবাই কে বল।
তাছাড়া বাবা তোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনদিন ই বিয়ে দেবে না।
তাই এই সুযোগে সত্যি কথা টা বলে দে মোহনা।

মোহনা তখন বললো আমার নিজের কোন পছন্দ বা অপছন্দ নাই।
আমার বাবা যাকে পছন্দ করবে আমারও তাকেই পছন্দ।
যদি বাবা মনে করেন আমার জন্য এই ফ্যামিলিই পারফেক্ট তাহলে আমিও সেই পরিবারেরই বউ হতে চাই।
আমার কোন আপত্তি নাই।
কারন আমি জানি আমার বাবা কখনোই আমার খারাপ চাইবেন না।
আমার জন্য সবসময় তিনি পারফেক্ট টাই খুঁজে আনবেন।

মোহনার বোন নিলীমা মোহনার কথা শুনে তাজ্জব লেগে গেলো।
এই কিছুক্ষন আগে বিয়ে করবো না করবো না বলে কান্নাকাটি শুরু করে দিলো আর এখন এসব কি বলছে?
সবার সামনে বলে দিলো তার কোন আপত্তি নাই।

সাগরের দাদু মোহনার কথা শুনে খুবই খুশি হলো।
একদম উপযুক্ত একটা মেয়েকে তারা ঘরের বউ করে নিতে এসেছে।
তাই তিনি মোহনার বাবাকে বললেন,
আপনার মেয়ে তো সব ডিসিশন আপনার উপর ছেড়ে দিলো।
এখন আপনার কি মতামত?

সেই কথা শুনে মোহনার বাবা বললো, মা কি করবো এখন?
এনাদের কে কি কথা দিবো?
তোর কোন প্রবলেম নাই তো?
থাকলে বল?
মোহনা সেই কথা শুনে চুপ করে থাকলো।
তার বাবা সবার সামনে এসব কি প্রশ্ন করছে।
কিভাবে এখন সে বলে যে এই ছেলেই তার স্বপ্নের রাজকুমার।
মোহনা লজ্জা শরম ত্যাগ করে বললো বাবা তোমার যেটা ভালো মনে হয়।
আমাকে বার বার এতো জিজ্ঞেস করতে হবে না।
এই বলে মোহনা রুমে চলে গেলো।

তখন মোহনার মা বললো নিজের মুখে কোন মেয়ে কি বিয়ের কথা বলে নাকি?
ও মনে হয় রাজি আছে।
কারন আমার মেয়েকে আমি চিনি।
রাজি না থাকলে ডাইরেক্ট বলে দিতো।
ও যেহেতু তোমার উপর দায়িত্ব দিয়েছে তার মানে ওর কোন আপত্তি নাই।

মোহনার বাবা তখন বললো, একটা ভালো দিন দেখে তাহলে বিয়ের ডেট ফাইনাল করেন।
যেহেতু সবাই রাজি আছে তাহলে আর কেনো দেরী করবো আমরা?

সামিরার মাথার উপর দিয়ে গেলো সব।
বিয়ে টা তো প্রায় ভেংগে যেতেই ধরছিলো।
হঠাৎ সেটা আবার জোরা লাগলো কি করে?
সাগর তখন সামিরাকে বললো তুই তো কিছুই করতে পারলি না আমার জন্য।
বিয়েটা তো ঠিক হয়ে গেলো।
এখন কি হবে আমার?

সামিরা তখন বললো ভাই,মাফ চাই আমি।
আমি না কিছুই বুঝতে পারলাম না।
নষ্ট হওয়া বিয়ে জোড়া লাগলো কি করে?

সাগর তখন বললো তুই আমাকে কথা দিয়ে কথা টা রাখতে পারলি না।
তোর কথা শুনেই আজ আমি মেয়ে দেখতে আসলাম।
তা না হলে কি আসতাম?
সামিরা তখন বললো আমার কি দোষ?
তুই তো নিজেই ক্যান্সেল হওয়া বিয়ে আবার ঠিক করলি?
তোকে কে বলতে বললো যে মেয়ে রাজি আছে কিনা তাকে জিজ্ঞেস করতে?

সাগর তখন বললো,
আমি তো ভাবলাম মেয়ে টা সরাসরি মুখের উপর না করে দেবে।
কারন এরকম মেয়েদের এমনিতেই দুই চার টা বয়ফ্রেন্ড থাকে।
সে কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে চাইবে না।
তখন দাদু আর জীবনেও এ বাড়ির দিকে তাকাবে না।
কিন্তু হলো তো তার উলটো।
মেয়ে তো ডাইরেক্ট হ্যাঁ বলে দিলো।

সামিরা তখন বললো ভাইয়া তুই কি সত্যি বিয়ে টা করতে চাস না?
আমার কেমন জানি সন্দেহ লাগছে।
আমি কি বিয়ে টা ভাংগার জন্য আরেকবার চেষ্টা করবো?

সাগর তখন বললো Of Course.
শুধু একবার না একশবার চেষ্টা করবি।
তুই যদি বিয়ে টা ভাংতে পারিস যা চাবি তাই পাবি।

সামিরা সেই কথা শুনে খুশিতে লাফ দিয়ে উঠলো।
তাকে এবার জটিল কিছু করতে হবে।
এভাবে ছোটখাটো বুদ্ধি দিয়ে হবে না।
সবার আগে মোহনার মাথা টা নষ্ট করতে হবে।
তাকে ভাই এর নামে আজেবাজে কথা বলতে হবে।
তাহলে মোহনা নিজের মুখে বলবে সে এই বিয়ে টা করতে রাজি নয়।

সামিরা তখন সবার চোখের আড়ালে মোহনার রুমে গেলো।
গিয়ে দেখে মোহনা ডায়রিতে কি যেনো লেখছে।
সামিরাকে দেখে মোহনা ডায়রি টা লুকিয়ে রাখলো।
সামিরা তা দেখে বললো কি লুকায়লে ওটা?
মোহনা বললো আমার ডায়রি এটা।

সামিরা তখন বললো,
মোহনা তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
তুমি কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনো।
আমার ভাই কিন্তু খুবই আনরোমান্টিক।
ও কিন্তু প্রেম ভালোবাসার কিছুই বোঝে না।
আর খুবই রাগী সে।
মনে হয় না তোমাকে ও জীবনে মেনে নিবে?
তোমাদের দুইজনের শুধু নামের বিয়ে হবে।
ও কিন্তু তোমার স্বামী হওয়ার যোগ্য নয়
তুমি এর থেকে ভালো কোন ছেলেকে বিয়ে করো।

মোহনা তখন বললো,
আমি তোমার ভাই কে তোমার থেকেও বেশি চিনি।
উনি যে আনরোমান্টিক সেটা আর আমাকে বলতে হবে না।
ওনার সাথে আমার বিয়ে হলেই হবে।
ওনাকে আমাকে ভালোবাসতে হবে না।

তখন সামিরা বললো,আমি তোমার ভালোর জন্যই বলছি।
তাছাড়া ভালো না বাসলে তাকে বিয়ে করে কি লাভ তোমার?
তোমার মাথাটা নষ্ট করে দিবে একদম।
তুমি দুইদিনেই পাগল হয়ে যাবে।
কারন সারারাত ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখে ও।
আর সারারাত পড়াশোনা করে।

মোহনা তখন হাসতে হাসতে বললো, শোপিচ এর মতো শোকেসে তুলে রাখবো।
এতেই আমার চলবে।
ওনার যা মন চায় করবে আমি বাধা দিবো না।

সামিরা দেখলো এসবে কাজ হচ্ছে না।
তাই সে বললো ওর কিন্তু অন্য মেয়ের সাথে রিলেশন আছে।
দাদু কিন্তু ভাইকে জোর করে বিয়ে তে রাজি করায়ছে।
বিয়ের পর কিন্তু শুধু কষ্টই পাবে।

মোহনা তখন বললো, আমার ভাগ্যে যদি কষ্ট লেখা থাকে তাহলে সেটা কেউই আটকাতে পারবে না।
তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না সামিরা।
তোমার ভাই কে আমি একদম চেঞ্জ করে দিবো।
তাছাড়া আমার মনে হয় না উনি কাউকে ভালোবাসতে পারেন।
কারন ওনাকে আমি কখনো কোন মেয়ের দিকে তাকাতে দেখি নি।
তাছাড়া আমি জানি তুমি এসব নিজের মন
থেকে বলছো না।
নিশ্চয় তোমার ভাই তোমাকে শিখিয়ে দিয়েছে।
তোমার ভাই কে গিয়ে বলো যত চেষ্টাই সে করে না কেনো এ বিয়ে তাকে করতেই হবে।
উনি আমাকে নাকি চেনে না।
আমাকে নাকি কখনো দেখেই নি।
এর উচিত জবাব আমি ওনাকে দেবোই দেবো।
কারন উনি বার বার মিথ্যা বলছেন।
কেনো এমন করছেন এসব আমাকে জানতেই হবে।

চলবে,,,,,,,
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে অবশ্যয় লাইক কমেন্ট করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here