#অন্তরালে_ভালবাসা
৯
#প্রজ্ঞা_জামান_হঠাৎ_বৃষ্টি
আরিশা অহিনকে বলে আরিশা লঞ্চে করে যেতে চায় কুয়াকাটা। আর লঞ্চ ছাড়ে ঢাকার সদর ঘাট থেকে রাত আট টায়, আরিশা কখনও লঞ্চে করে কোথাও যায় নি।তাই লঞ্চে যেতে চায়।
অহিন আরিশার কথামত লঞ্চে করে যাওয়ার জন্য ঢাকা সদর ঘাটে চলে আসে আর আট টায়।
ঢাকা থেকে বরিশালের লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে ছাড়ে। এর মধ্যে সুন্দরবন, সুরভী, পারাবর, কীর্তনখোলা লঞ্চগুলো ভাল। লঞ্চগুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে।
বরিশাল থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সরাসরি কুয়াকাটা পৌঁছানো যায়।
সেইক্ষেত্রে আরিশাকে নিয়ে অহিন বরিশালের লঞ্চে উঠে। বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যাবে।আজ আরিশাকে অনেকটা হাসি খুশী দেখা যাচ্ছে। আরিশার সবসময় কোথাও বেড়াতে যাওয়ার কথা শুনেই খুব খুশী হয়।আরিশার প্রকৃতি খুব পছন্দ। কারণ প্রকৃতিতে সে শান্তি খুজে পায়!প্রকৃতি অদ্ভুতভাবে আরিশাকে টানে।আরিশা হচ্ছে এডভেঞ্চার প্রিয় মেয়ে!যার কাছে পাহাড় হোক বা সমুদ্র সব ভালো লাগে!
আরিশা তুমুল উৎসাহে পুরো লঞ্চ ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো,অহিন ও আরিশার পাশে পাশে হাটছে। লঞ্চের প্রথম এবং দ্বিতীয়তলা হলো সাধারণ যাত্রীদের জন্য। এখানে হৈ চৈ লেগেই আছে। টিভিতে খুব সাধারণ মানের সিনেমা চালিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে নাচ-গান হচ্ছে। দাঁড়ানো কষ্টকর। এই বিষয়টা খারাপ লাগল। এমন নদীপথের যাত্রা, যেকোন সময়ই ঘটে যেতে ভয়াবহ দূর্ঘটনা, যাত্রীদের উচিৎ আল্লাহর নাম মুখে নিয়ে চলা, সেখানে এমন নাচ-গান চালিয়ে রাখাটা কেমন অশোভনীয় লাগে।
তৃতীয় তলায় কেবিন। এবং জায়গাটা অন্ধকার করে রাখা। সম্ভবত যাত্রীদের ঘুমের সুবিধার্থেই।
আরিশাকে খুশী দেখে অহিনের মনে কিছুটা শান্তি এলো।
অহিন লঞ্চে ভি আই পি ডুপ্লেক্স কেবিন বাড়া করে।অহিন হাতে সুটকেস নিয়ে কেবিনের দিকে এগিয়ে আসে।আরিশা তার পেছন পেছন আসে।
আরিশা বলে লঞ্চ গুলো একদম বাড়ির মত হয় জানতাম নাতো!
অহিন বলে তুই কি বা জানিস যে এটা জানবি!আরিশা ঠোঁট বাঁকা করে ভেংচি কাটে অহিনের দিকে তাকিয়ে।অহিন তা দেখে মুচকি হাসে।তিন তলায় তাদের
কেবিনে প্রবেশ করতেই আরিশার মনে হলো এটা কোন লঞ্চ নয় এটা একটা বিলাস বহুল বাড়ি। লঞ্চের ভেতরটায় এতো সুন্দর হয় জানা ছিলো না।একটা সুন্দর খাজ কাটা কাঠের দরজা ভেদ করে তারা কেবিনে ঢুকে।আরিশা যেনো আরও মুগ্ধ হলো।এতো সুন্দর হয়!
কেবিনে প্রবেশ করতেই দেখলো একটি সুন্দর ডাবল বেড সাদা বিছানার চাদরে আবৃত করা হয়েছে।বিছানার উপর একটি কোল বালিশ রাখা আছে মেহেরুন রঙের কাভারে আবৃত।সাদা বিছানায় কোল বালিশটির রঙ যেনো আরও বেশী সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
বেডের সামনে পেছনে সাদার মাঝে নিল রঙের বল পিন্টের কাজ করা নেটের পর্দা লাগানো।
বেডের সামনের দিকে একটি সেগুন কাঠের সোফা দেয়া।সোফার সামনে কাঁচের একটা সেন্টার টেবিল।
দেখতে বেশ আভিজাত্যের চাপ আছে এখানকার প্রতিটি ফার্নিচারে।যা মুগ্ধ করে আরিশাকে।বেডের একপাশে একটা মাঝারি সাইজের কাঠের আলমারি।অন্যপাশে দুটি সাইড টেবিল।
সামনে দেয়ালে টানানো একটা এল ই ডি সেন্টার টেবিলের উপর রিমোট রাখা আছে।
উপরেরে দিকে তাকালে বুঝা যায় একটা ফ্যান দেয়া আছে।তাছাড়া তারা এসি কেবিন বুক করায়। তাদের ফ্যানের প্রয়োজন হয় না।
কয়েকটি প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটো ফ্রেমে বন্দী করে টানিয়ে রাখা হয়েছে দেয়ালে।সব কিছুই নজর কাড়ার মত!
ফ্লোরে খুব সুন্দর একটা শতরঞ্জি বিছানো।যা রুমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে শত গুনে।ভেতরে একটা এটাচ বাথরুম রয়েছে।সব মিলিয়ে কোন বিলাস বহুল বাড়ি থেকে কম নয়।
আরিশা অহিনকে জিজ্ঞেস করে এতো সুন্দর করে সব সাজানো এটার ভাড়া কত?
অহিন বলে সাত হাজার। এক রাতের জন্য।
আরিশা হা করে থাকে এতো টাকা!আরিশা মধ্যভিত্ত ঘরের মেয়ে তাই টাকার মুল্য তার কাছে বরাবরই বেশি।
অহিন হেসে বলে হা বন্ধ কর পরে সমুদ্ররের তিমি এসে তোর হা করা মুখে ঢুকে যাবে।
কত বড় হা করে আছিস!
আরিশা হাত দিয়ে মুখ বন্ধ করে বলে তুই সবসময় আমাকে ইনসাল্ট করিস। তোর সমস্যা কি হ্যাঁ?
অহিন বলে আমি তোকে একদম সহ্য করতে পারি না।তাই এমন করি এখন যা ভাগ আমি একটু হাত পা ছড়িয়ে রেস্ট নিবো।আর আয় তো আমার পা টা একটু টিপে দেয় ব্যাথা করছে খুব।
আরিশা ভেঙচি কেটে বলে আমার বয়েই গেছে তোর ঠ্যাং টিপতে।
অহিন বলে,তুই আমার পা রে ঠ্যাং বললি কেনো?
কেনো তুই যে সবসময় বলিস!যখনই তোর পায়ের সাথে আমার পা লেগে যেতো তুই বলতি,এই আরু তোর ঠ্যাং আমার পায়ের সাথে লাগছে কেনো রে?
সবসময় তোরটা ষোল দু গুনে ছত্রিশ আনা!আর মানুষেরটা এক আনা ও না!বলেই আবার ভেংচি কাটে আরিশা।
অহিন হাসতে হাসতে বিছানায় বসে যায়।অনেকদিন পর সেই হাসি যেই হাসিতে চোখ হাসে,যেই হাসিতে ঠোঁট হাসে!স্নিগ্ধ সেই হাসি!মাতাল করা সেই হাসি!
যেকোন মেয়ে একবার দেখলেই পাগল হয়ে যাবে সেই হাসি!
অথচ আরিশা কেনো সেভাবে কখনও দেখলো না এই হাসিটা।নাকি দেখার সুযোগ পায় নি!
কি জানি!
আরিশার ভালো লাগছে অহিনের হাসিটা।কিন্তু মুখে রাগ ধরে রেখে বলে,এই অহিন্না হাসোছ কেন?আমারে কি তোর সার্কাসের জোকার লাগে?
অহিন আবারও হাসে। আরিশার একদম কাছে গিয়ে বলে,তোরে পেত্নী লাগে! হরর মুভিতে যেমন থাকে ঠিক তেমন!
আরিশা অহিনকে অবাক করে দিয়ে জড়িয়ে ধরে অহিনকে।অহিনের বুকে কামড় বসিয়ে দেয়।অহিন হাসে এক প্রশান্তির হাসি।যে হাসিতে স্পষ্ট সুখের চাপ!আরিশার দেয়া ব্যাথাই তার জন্য সুখ!
আরিশা অবাক হয় অহিন টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি!আরিশা অহিনকে ছেড়ে দিয়ে বলে কি কেমন লাগে?
অহিন মৃদু হাসে। সুখের হাসি!
আরিশার ভালবাসা নাই বা পেলো এই যে ব্যাথা সেটা তো পাচ্ছে।
এই পৃথিবীতে সবাইতো ভালবাসা চায়,কিন্তু কষ্ট কেউই চায় না।অহিন না হয় একটু ব্যাতিক্রম হলো।ভালবাসার পরিবর্তে কষ্টই আপন করে নিলো।
আরিশা বলে কিরে কি ভাবছিস?
কই কিছু নাতো! অহিন জবাব দেয়।
কিছু খাবি আরু?
না এখন ক্ষুধা লাগেনি।বাসার থেকে আসার সময় আন্টি অনেক খাইয়ে দিয়েছেন।অহিন চল আমরা লঞ্চের পেছন দিকটায় যাই।সেখানে সমুদ্রের ঢেউ, আর উত্তাল গর্জন শুনবো।
অহিন বলে চল তাহলে,দুজনে লঞ্চের পেছনে একেবারে পাশ ঘেষে দাঁড়ায়।
আরিশার পরনে নীল রঙের শাড়ি।চোখে হালকা কাজল।দেয়া।পাখির ন্যায় ঠোঁট দুটিতে হালকা লিপিস্টিক দেয়া।কোমর অবধি চুলগুলো ছেড়ে দেয়া।দেখতে কোন অপ্সরার চেয়ে কম লাগছেনা। তার সাথে ঠোঁটে লেগে আছে মন কাড়া হাসি।
সাগরের দিকে দৃষ্টি রেখে আরিশা চোখ বন্ধ করে হিম শীতল বাতাসকে মন প্রান দিয়ে অনুভব করে।রাতের বেলায় সমুদ্রে ভ্রমণ খুবই রোমাঞ্চকর মনে হলো আরিশার।
আকাশ মেঘলা। দুই একবার বিজলিও চমকাল। বৃষ্টি হতে পারে, কিংবা ঝড়ও।একজন বৃদ্ধা বলল, বৃষ্টি দুয়েকফোটা হলেও ঝড় হবে না। কারণ বাতাস আছে বেশ, মেঘ উড়িয়ে নিয়ে যাবে। ভদ্রমহিলার কথায় ভরসা পেয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে যাত্রা শুরু হলো। বরিশালগামী দৈত্যের মত বিশাল লঞ্চ গল্পের অজগরের মত শরীর নাড়িয়ে আস্তে আস্তে সদরঘাটের জেটি ছেড়ে বের হয়ে গেল।
একটু একটু করে এই যান্ত্রিক রাজধানী শহরটি দূরে সরে যাচ্ছে, এই দৃশ্যগুলি অহিন আরিশার বেশ ভালো লাগতে থাকে।আরিশা হুট করে বলে আমাকে ছাদে নিয়ে যাবি? আজ সমুদ্রে জ্যোৎস্না স্নান করবো আমরা! আকাশের বুকে সেই থালার মত গোল চাঁদটিকে দেখবো খুব কাছ থেকে।আর চাঁদের বুড়ির সাথে সই পাতাবো।তাকে আমার সব কষ্টগুলো বলবো।
একবার চিন্তা কর বিষয়টা কতটা রোমাঞ্চকর হবে!
আমার তো ভাবতেই কেমন ভালো লাগছে!চল চল আমারা ছাদে যাই।
অহিন বলে,না আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো না।তাই এখানে থাকাই ভালো হবে মনে হচ্ছে।ছাদে রিস্ক বেশী হয়ে যায়।আরিশা বলে তুই না চাইলে, যাস না, কিন্তু আমি যাচ্ছি এটা কনফার্ম!
আরিশার জেদের কাছে অহিনকে হার মানতে হয়।অগত্যা তাকে যেতে হয়।
আরিশার খোলা চুল বাতাসে উড়ছে, আরিশা এক হাত দিয়ে সেই অবাধ্য চুলকে নিজের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে।অহিনের সেই দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগছে।অহিনের খুব ইচ্ছে করছে সে যদি আরিশার চুল হতো। তবে কতইনা ভালো হতো। সারাক্ষণ আরিশাকে জড়িয়ে রাখতো। উড়ে উড়ে বিরক্ত করতো।কখনও বা আলতো করে ছুঁয়ে দিতো।
অহিনের বুকের ভেতরটায় আরিশা, আরিশা,বলে চাপা কান্না করতে লাগলো!
কি অদ্ভুত নিয়তি এই সুন্দর রাতটা আরও অনেক বেশী সুন্দর হতে পারতো যদি আরিশা অহিনকে ভালবাসতো।
আরিশা এতো কাছে থেকেও অহিনের তার উপর কোন অধিকার নেই।অথচ রাফিন দূরে থেকেও আরিশার সবচেয়ে কাছে!
জীবন আসলেই অদ্ভুত!
তারপর অহিন নিজেকে বুঝ দিলো। আরিশার ভালো থাকা মানেই তো তার ভালো থাকা।তাই আরিশা যাতে খুশী হয় অহিন শুধু সেটাই করবে।গভীর সমুদ্রে তীব্র গর্জন শুরু হয়।ঢেউ খেলে যাচ্ছে সাগরের প্রতি জলের ফোঁটা! নিসন্দেহে এটা মুগ্ধ করার মতই কোন এক রাত।
ছাদের রেলিং ধরে চুপচাপ বসে আছে তারা।আরিশা গুনগুন করে গান গেয়ে ওঠে,
পাগলা হাওয়ায় বাদল দিনে,
পাগল আমার মন জেগে উঠে!
হঠাৎ ঝড়ের আভাস দেখা গেল। আকাশ থেকে তারাগুলি মুছে যেতে থাকল। বিজলীও চমকাল ঘন ঘন। তাদের মনে ভয় ঢুকে গেল। যদি সত্যি সত্যি ঝড় হয়! বাতাসে লঞ্চ উলটে যায়!
একটু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হল। মুহুর্তেই ছাদ খালি হয়ে গেল। অহিন আরিশারাও দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চেষ্টা করলাম। নিচতলায় এসে দেখে যারা কাথাবালিশ বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তারা কাঁথাবালিশ তুলে ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে আছেন। লঞ্চ ঢেউয়ে ঢেউয়ে কাঁত হয়ে যাচ্ছে বারবার। তারা আসন্ন বিপদমুক্তির জন্য দুয়া ইউনুস পড়তে লাগলাম। নদীর ঢেউ এত বেড়ে গেল যে, এক ধাক্কায় লঞ্চের ডেকে অনেকগুলি পানি উঠে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে গেল। এবার তারা আতংকে জমে গেলাম। তবে যারা নিয়মিত যাত্রী কাঁথাবালিশ তুলে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তারা সেভাবেই দাড়িয়েই থাকলেন। কেউ কেউ আলস্যে হাই তুললেন। যেন মাঝরাতে নদী উত্তাল হবে, লঞ্চের ডেকে পানি ঢুকে যাবে এটাই নিয়ম।
আরিশা ভয়ে ততটা সময় অহিনকে জড়িয়ে ধরে আছে।অহিনের বুকে নিজের মুখ লুকিয়ে ভয় কাটানোর চেষ্টা করে।অহিনও তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আরিশাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। আরিশা যেকোন বিপদেই অহিনের বুকে নিরাপদ বলে মনে করে।কিন্তু কেনো!তা সে নিজেই জানেনা।
অবশেষে ঝড় থামল। ত্রিশ মিনিটের মত স্থায়ী হয়েছিল। তারপর সব ঠান্ডা হয়ে গেল।অহিন আরিশা আবার ছাদে এসে ভেজা রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে রইলো। অবশিষ্ট পথ যেতে যেতে একটা ভাবনা মাথায় এলো অহিনের, আমরা কখনই কোন বিপর্যয় কিংবা খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চাই না। কিন্তু ভাগ্য আমাদের জীবন নানা অভিজ্ঞতায় জিইয়ে রাখেন। আজকের ঘটনাটার কথা ধরা যাক, যতক্ষণ ঝড় হচ্ছিল, নদী জুড়ে উত্তাল ঢেউ ছিল ততক্ষণ একদৃষ্টে নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলো তারা। লঞ্চের ডেকে পানি ঢুকে যাওয়ার সময়ও চোখ ফেরাতে পারেনি। অহিন ভাবে আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর অষ্টশ্চার্যের মুখোমুখি হয়েও আমি এক দৃষ্টে এতক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারব না। এই বিস্ময়, এই মুগ্ধতা কিসের? সৃষ্টিকর্তার অপার শক্তি ও সৌন্দর্যের!
আরিশা অহিনকে অবাক করে দিয়ে বলে,দোস্ত আমার কেমন ঘোর ঘোর লাগছে! কেমন প্রেম প্রেম পাচ্ছে!
“উইল ইউ কিস মি”
হঠাৎ অহিনের বুকের ভেতর এই সমুদ্রের মত উত্তাল ঝড় বয়ে যায়।সেভাবে জীবনের আরেক নাম আরিশা!পুড়িয়ে ছাই করে দেয়ার আরেক নাম আরিশা!
চলবে,,,,
নোটঃ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে লিখেছি ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।