#সত্যি_তোকে_অনেক_ভালোবাসি
#Part: 14
#ইসরাত_জাহান_প্রভা
…..
কলিংবেল বাজতেই আছে তো বাজতেই আছে।।প্রচন্ড রাগ আর বিরক্ত নিয়ে দরজা খুলে দিলো মালিহা আর ছেলেটাকে দেখে সাথে সাথে বকবকানি শুরু করে দিলো।।
মালিহা: মাথা খারাপ নাকি আপনার??এত বেল বাজায় কেউ??পাবনা থেকে কবে ছাড়া পেছেয়েন শুনি??
ছেলেটা হা করে মালিহার দিকে তাকিয়ে আছে আর মনের তৃপ্তিতে মালিহার কথা শুনছে।।
অনু দৌড়ে এসে মালিহাকে বললো,আরে মালিহা ও আমার মামাতো ভাই লাবিব।।
মালিহা সাথে সাথে চুপ মেরে গেলো।।
মালিহা:সরি ভাইয়া আসলে বার বার বেলের শব্দ কানে এত লাগছিলো যে মাথা ঘুরে গিয়েছি তাই রাগে যাতা বলে ফেলেছি।।মাফ করে দিয়েন।।
লাবিব: আরে কোনো সমস্যা নেই।।তোমার মতো এত্ত সুন্দর মেয়ে যে এত্ত সুন্দর ভাবে বকতে পারে আমার জানা ছিলো না।।এত্ত গুণ কোথায় পেয়েছো??(আশ্চয হয়ে)
মালিহা: (এ ব্যাটা টাংকি মারতাছে নাকি??)জ্বী..আসলে
অনু: আরে মালিহা ওর কথা শুনিও না ও ঢপ মারতে ওস্তাদ।।(হাসতে হাসতে)
মালিহা একটু হেসে দিলো।।
লাবিব: O my GOD!! এত সুন্দর হাসি!!আমি তো মরেই যাবো।।আপু আমার হাটে ব্যাথা করতেছে আপু।।(নাটক করে)
মালিহা: (তাহলে মর ব্যাটা)
অনু: ভাই আর ঢপ মারিস না তো।।আয় ভেতরে আয়।।
লাবিব: Ok bye beautiful girl..আবার পরে কথা হবে।।(ভেতরে যেতে যেতে)
মালিহা: (ওহ মরন!!আবার কথা হবে!!বেয়াদপ ছ্যাচড়া কোথাকার।।এক পাগলের জ্বালায় বাঁচি না আরেকটা এসে হাজির হলো।।ধুত ভালো লাগে না।)
……
মিরার ঘরে,,
নিলয় মিরাকে সব খুলে বললো।।
মিরা: ভাই রে ভাই তোকে এত কথা কে বলতে বলেছে??(কপালে হাত চাপড়িয়ে)
নিলয়: আপু যখনি বলতে গেছি তখনি রাগে ধমক দিয়ে চলে গেছে।।
মিরা: তুমি যেসব বলা শুরু করেছিলে তাতে যে তোমাকে থাপ্পর মাড়ে নি তাই ভালো।।(রাগে)
নিলয়: এখন কী করবো?কিছু উপায় শেখায় দে না।।(অসহায়)
মিরা: (একটু ভেবে) একটা কাজ করতে পারবি??
নিলয়: কী কাজ?
মিরা: কবিতা লিখবি আর সেখানে তোর মনের কথা লিখবি।।কিন্তু খবরদার ভুল ভাল কিছু লিখবি না আর কোনো কবিতা নকল করবি না।।নিজে নিজে লিখে শেষে লিখবি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মালিহা।।পারবি তো??
নিলয়: কয়েকটা লাইন বলে দে তাহলে।।
মিরা: আচ্ছা শোন তাহলে।।
প্রিয় মালিহা,
যেদিন হতে দেখেছি তোমাকে হৃদয়ে লেগেছে দোলা,
তুমি অনেক চালাক বটে কিন্তু আমিতো আলা ভোলা।।
তোমার হাসিতে পাগল হয়ে ঘুরছি আমি এদিক সেদিক,
আমি যে তোমার তুমি যে আমার এই বাণীটাযে নয় বেঠিক।।
চুলের মাঝে রূপের ছোঁয়া আলোয় দেখি যে মুখ,
যদি তুমি হয়ে যাও আমার এনে দিবো আমি পৃথিবীর সুখ।।
খোলা চুলে লাগে যে বেশ,মিষ্টি তোমার ঐ হাসি,
শুনছো মালিহা!আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি।।
এভাবে লিখবি বুঝেছিস।।
নিলয়: মোটামুটি।।আচ্ছা যাই আপু গিয়ে কবিতাটা লিখেই ফেলি।।
মিরা: আচ্ছা।।ভালো করে লেখিস ভাই।
নিলয়:আচ্ছা আপু।(যেতে যেতে)
টেবিলে বসে কী সব ভাবতে ভাবতে নিলয় অনেক কষ্ট করে নিলয় চিঠিটা লিখলো।তারপর মিরাকে দিয়ে বললো,আপু মালিহাকে দিস।
(হাসি নিয়ে)
মিরা: ঠিকঠাক লিখেছিস তো?(ভ্রু কুঁচকে)
নিলয়: হুম আপু।।(হাসি দিয়ে)
….
মালিহার রুমে,
মিরা: আসতে পারি??(দরজায় নক করে)
মালিহা: আরে ভাবি।।এসো এসো।।পারমিশন নিতে হয় নাকি??
মিরা: হয় গো।।(মালিহার পাশে বসে)
মালিহা: নাহ।।তুমি আর পারমিশন নেবে না।।ঠিক আছে??
মিরা: আচ্ছা বোন ঠিক আছে।।(হেসে)এই নাও নিলয় কী জানি একটা চিঠি লিখছে তোমাকে দিতে বলেছে।।(মালিহার হাতে চিঠি দিয়ে)
মালিহা: আমাকে লিখেছে?(আশ্চয হয়ে)
মিরা: হুম।।আচ্ছা থাকো কাজ আছে অনেক আমি যাই তাহলে।।
মালিহা: আচ্ছা ভাবি।।
মিরা চলে গেলে মালিহা চিঠিটা পড়া শুরু করলো।।
চিঠিতে এই লেখা ছিলো যে,
প্রিয় মালিহা,
রূপের যাদুর আণবিক ভর বলতে হয়তো কিছুই নেই,
ভর এসে মিলে খোলা চুলে পিএইস মানের হাসিতেই।।
উত্তপ্ত করলে চুনাপাথর বিয়োজন ঘটে ঘটুক না,
হয়তো কালো কালো চোখে চাষ হয়ে যায় পুদিনা।।
আলোর রেশ কাটতেই চায়না জারন বিজারনের খেলার মাঝে,
ভালোবাসাটুকু খুঁজে নেই আমি সকল বিক্রিয়ার কাজে কাজে।।
ফুল গুলোতে আলো এসে পড়ে বেগুনী রশ্নী তো পড়ে না,
হালকা মায়া, মিষ্টি হাসি, ভালোবাসা ছাড়া তো আর চলে না।।
ভালোবাসা পেতে জীবন মরন বিক্রিয়ায় আমি মারিয়া,
সত্যি তোমায় অনেক ভালোবাসি আমার প্রানের প্রিয় ডালিয়া।।
মালিহা: চিঠি দিলো আমাকে ভালোবাসলো ও ডালিয়াকে?কে এই ডালিয়া??নিলয় আজ তোরে খাইছি আমি।।আসতেছি আমি।।(রাগের মাথায় বের হতে হতে)
চলবে,,,,,,,,