তোকে অনেক ভালোবাসি পর্ব -১৭ ও শেষ পর্ব

#সত্যি_তোকে_অনেক_ভালোবাসি
#Last_Part
#ইসরাত_জাহান_প্রভা

…….
নিলয়ের রুমে,,,

নিলয় পড়া পড়ছে আরে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনছে।।

নিলয়: এ জাতীয় নিউক্লিওফিলিক প্রতিস্থাপন দুই ধাপে ঘটে।।বিক্রিয়াটি প্রথম ক্রম বিক্রিয়।।(ও মালিহা ও মালিহা আই লাবু,আই লাবু)

মালিহা নিলয়ের রুমে ঢুকে নিলয়ের কথা শুনে নিলয়কে জড়িয়ে ধরতেই নিলয় “ও মাগো,ও আপু গো ভূত আমারে জড়ায় ধরছে গো।।ও মালিহা বাঁচাও আমারে” বলে চোখ বন্ধ করে দৌড় দিয়ে রুমের দরজার সামনে থেকে ঘুরে আবার ভেতরে আসতে থাকে।।মালিহা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়লো প্রায়।।নিলয় দৌড়ে মালিহাকে না দেখে মালিহাকে নিয়ে ধাক্কায় বিছানার ওপর পরে যায়।।মালিহা তো ভয়ে নিলয়ের বুকে মাথা গুজে দিয়েছে।।নিলয় ভয়ে চোখ বন্ধ করে মালিহাকে জড়িয়ে ধরেছে নিজের অজান্তেই।

পায়েল নিলয়ের চিৎকার শুনে রুমে এসে নিলয় আর মালিহার কান্ড দেখে হাত তালি দিতে থাকে।চমকে উঠে নিলয় চোখ খুলে মালিহাকে কাছে দেখে আ আ আ করে চিৎকার দিয়ে দূরে সরে যায়।।মালিহা নিলয়ের চিৎকার শুনে হাত দিয়ে কান চেপে ধরে।।

মালিহা: নিলয়ের বাচ্চা কানের পোকা সব বের করে ফেললি।।থাম একটু থাম।।

নিলয়: এই তুমি কখন এলে??জানো আমাকে না ভূত জড়িয়ে ধরেছে মালিহা।।আমিও ধীরে ধীরে বোধ হয় ভূত হয়ে যাবো মালিহা।।আমাকে বাঁচাও।।(মালিহাকে ধরে মায়াকান্নায়)

পায়েল: কী রে আপু!!ভাইয়া এসব কী বলে?

মালিহা: আরে বাবু কাঁদছো কেনো??আমি আছি তো।।আমি থাকতে আবার ভূত লাগে?আমি তোকে মেরে ভূত বানায় দিবো।।বেয়াদপ।।তোরে জড়ায় ধরছি আমি।।কোনো ভূত না।।(নিলয়ের কলার টেনে নিলয়কে ঝাঁকি দিতে দিতে)

নিলয়: সরি মালিহা।।ভুল হয়ে গেছে।।ছেড়ে দাও একটু।।আর হবে না।।(ঝাঁকি খেতে খেতে)

মালিহা নিলয়কে ছেড়ে দিয়ে বললো,এই তোমার সমস্যা কী?এত ভয় পাও কেনো?(রাগে বিরক্ত নিয়ে)

নিলয়: ওভাবে পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরলে ভয় তো পাবোই।।

মালিহ: তাহলে কাছে আয়।।তোকে সামনে থেকে জড়িয়ে ধরি।।আয়।।(হাসি নিয়ে)

নিলয়: নাহ।।আ..আজ না।।আরে..আ..আরেক দিন।।(তোতলিয়ে)

মালিহা: তাহলে বাবু কাছে এসো একটা কিসি দেই।।

মালিহা নিলয়ের কাছে এসে ঠোঁটে ঠোঁট বসানোর আগেই নিলয় এক দৌড়ে পালিয়ে চলে গেলো।

মালিহা:যাহ!আজকেও পালালো?(হতাশায়)

পায়েল:আপুরে ভাগ্য করে একটা জামাই পেতে চলেছিস।।(হাসতে হাসতে)

মালিহা: হুম।।আমার জামাই বেষ্ট।।(কিউটি হাসি দিয়ে)

….

গত ৩ দিনে নিলয় আর মালিহা চুটিয়ে প্রেম করেছে।।নিলয় মোটামুটি প্রেম শিখে গেছে।।
লাবিব কে শুভর মা,বাবা খুব পছন্দ করেছে।।আজ মালিহা,নিলয় ও লাবিব পায়েলের বিয়ে।।সকাল থেকেই সকলে মিলে কাজ শুরু করে দিয়েছে।।স্বল্প পরিসরে কিছু মানুষ উপস্থিত থেকে বিয়েটা সম্পন্ন হলো।।
……
লাবিব,পায়েলের বাসর ঘরে,

ঘোমটা পরে বসে আছে পায়েল।।লাবিব এসে মাথা নিচু করে বসে পড়লো।।অনেক্ষন চুপ থেকে পায়েল বললো,আজকে থেকে তুমি মাথা উঁচু করে আমাকে দেখবে।।মনে থাকবে তো?

লাবিব মাথা উঁচূ করে বললো,হ্যাঁ থাকবে।।

লাবিব পায়েলের ঘোমটা তুলে দিয়ে পায়েলকে বুকে টেনে নিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে হারিয়ে গেলো এক ভালোবাসার শহরে।।
…..
মালিহা আর নিলয়ের রাসরঘরে,
ঘোমটা দিয়ে বসে আছে মালিহা।।নিলয় রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মালিহাকে হাই বলে সোজা পড়ার টেবিলে গিয়ে পড়তে শুরু করলো।।মালিহা অবাক হয়ে নিলয়ের কান্ড দেখতে লাগলো।।

মালিহা: এই নিলয় এক্ষনি এখানে এসো।।(প্রচন্ড রাগে)

নিলয়: দুই দিন তো পড়ি নি আজ সব মেকাপ দিয়ে তারপর ঘুমাবো।।তুমি ঘুমিয়ে পড়ো মালিহা।।

মালিহা প্রচন্ড রাগে নিলয়ের কাছে গিয়ে নিলয়কে টেনে তুলি নিলয়ের ঠোঁট ঠোঁট মেলাতে মেলাতে বিছানায় ফেলে দিলো।।।নিয়ল ধপ করে উঠে দরজার কাছে গিয়ে বলে,এ কী করছো মালিহা??এগুলো তো পাপ।।

মালিহা: আরে এখন তো আমাদের বিয়ে হয়েছে এখন পাপ কেনো??(হতাশায় বসে পড়ে)

নিলয়া মালিহার কাছে এসে মালিহার হাতে হাত রেখে মালিহার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।।মালিহা অবাক হয়ে নিলয়ের সাথে তাল মেলাতে লাগলো।।নিলয় মালিহার পেটের চারপাশে হাত বুলাতে বুলাতে মালিহার শাড়ি খুলে দূরে ফেলে দিলো।।মালিহার যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না নিলয়ের কান্ড দেখে।।নিলয় মালিহার ব্লাউজের হুক খুলে ফেলে দিলো বিছানায়।।মালিহার বুকে মাথা গুজে মালিহার উত্তেজনা বাড়াতে লাগলো।।ধীরে ধীরে নিলয় তার সেরোয়ানি খুলে মালিহার পেডোকোট খুলতে গিয়েই মালিহা নিজেকে সামলে নিলয়কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।।

নিলয়: কী হলো মালিহা?(আশ্চায হয়ে)

মালিহা: তুমি তাহলে এতদিন বলদের নাটক করেছো??

নিলয়: তোমাকে দেখে সত্যিই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।।তাই তোমার কাছে বেশি আকষনীয় হতে এমনটা করেছি।।

মালিহার রাগ যেনো বেড়েই চলেছে।।কিন্তু নিলয়ের ভালোবাসা তাকে আবার টেনে এনেছে নিলয়ের কাছে।।মালিহা ধীরে ধীরে নিলয়ের কাছে এসে বললো,আমার কাছে তুমি ঐ বলদা নিলয়টাই থেকো প্লিজ!!

নিলয়: থাকবো মালিহা।।

মালিহাকে বুকে টেনে নিয়ে নিলয় তাকে নিয়ে হারিয়ে গেলো ভালোবাসার শহরে।।
….
ছাদে,,

শুভর কোলে শুয়ে আকাশের চাঁদ দেখছে মিরা।।

শুভ: আজ অনেক ভালো লাগছে।।

মিরা: আমারও শুভ।।

শুভ মিরার কপালে চুমু এঁকে বললো,চলো সোনা ভেতরে যাই।।

মিরা: চলো।।

শুভ আর মিরা নিচে যেতে লাগলো হঠাৎ মিরার মনে হলো তাকে কেউ পেছন থেকে ডাকছে।।কিন্তু পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না সে।।

শুভ: কী হয়েছে মিরা??

মিরা: কে যেনো পেছন থেকে আমায় ডেকে বললো, “কেউ আসছে।।”

শুভ: ভুল শুনেছো মিরা।।চলো।।

শুভ আর মিরা যেতে লাগলো।।কিন্তু মিরার মন বলছে সামনে তাদের বিপদ আসছে।।সত্যি কী সামনে তাদের বিপদ আসবে???
(না আর কোন বিপদ আসবে না কারণ শুভ মিরা একে অপরকে আগলে রাখবে যতবড় বিপদই আসুক না কেন দুজনে একসাথে মোকাবেলা করবে)
(Mysteries)

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here