#নিয়তি
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা..
#পর্ব—৭
____________________°°°°
নিরবতা ভেংগে নন্দিনি কিছু বলবে তার আগেই তুর্জ বলে উঠলো দেখো আমার কোন দুষ নেই,
তোমার মাথার যন্ত্রনায় কষ্ট পাচ্ছিলে তাই রাতেই তোমাকে…..
কথাটা শেষ করতে না করতেই দরজায় আওয়াজ পরল সপ্না তুর্জকে ডাকছে,
তুর্জ আর নন্দিনির মুখের দিকে তাকালোনা সোজা উঠে গেলো, কারন এই মূহুর্তে ওর দিকে তাকানোর সাহস নেই,
দরজা খুলতেই সপ্না হাজির, কি গো ঘুম হল তাহলে তুলি উঠেনি!!!
না ভাবি গুমুচ্ছে,!!! নন্দিনির উওর পেয়ে সপ্না নন্দিনির কাছে এসে বসে বললো এখন কেমন লাগছে তোমার?
জ্বী ভালো ভাবি”’
নন্দিনির কথা শেষে সপ্না আরো কিছু খেয়াল করলো,তুলি এক পাশে??
সপ্না নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছেনা এটা কি করে সম্ভব,
বোকার মত তুর্জের দিকে চাইতেই তুর্জ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো,আর মনে মনে বির বির করতে লাগলো একটা পশ্ন শেষ হতে না হতেই আরেকটা হাজির,
সপ্না আর কথা বললোনা উঠে চলে গেলো,
তুর্জ আবার নন্দিনির কাছে এসে বললো সব পরে বলছি এখন উঠো দাতঁ ব্রাশ করবে তার পর নাস্তা খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে আমি কোর্টে জাবো,
নন্দিনি অবাক এই লোকটা কি রে হ্যাে এত কেয়ারিং কবে থেকে হল।
তুর্জ আবার নন্দিনিকে ডাক দিয়ে বললো কি হল চলো?
নন্দিনি তুর্জের দিকে চেয়ে বললো তো আবার কোলে নিন না কালকের মত,বলেই আবার জিব্বায় কামর দিয়ে চোখ বুজে নিলো, এটা কি বলে ফেললাম ইস কি ভাববে আমায়!!!
চোখ বন্ধ থাকায় তুর্জের মন খুলা হাসিটা আর দেখতে পেলোনা নন্দিনি,
তুর্জ আর কথা না বলে নন্দিনিকে সুন্দর করে কোলে তুলে ওয়াসরুমে নিয়ে গেলো,
নন্দিনিও সুন্দর করে তুর্জের গলা জরিয়ে ধরেছে।
নন্দিনিকে নামিয়ে তার দাঁত ব্রাশ করিয়ে দিচ্ছে,
আর সাথে বললো তা এক হাতে ব্যাথা পেয়েছো বা হাতেও তো ব্রাশটা করতেই পারো??
নন্দিনি মুখে পানি নিয়ে কুলকুচি করতে করতে বললো পারবোনা।
তুর্জ হাসি দিয়ে আবার ওর মুখে পানি ছিটিয়ে বললো তা ব্যাথা মনে হয় শুধু হাতে নয় মাথায় বেশি পেয়েছো তাই মাথার নাট ঢিলা হয়ে গেছে,
তুর্জ ভেবেছিলো নন্দিনি রাগ হয়ে কেয়ামত ঘটাবে কিন্তু না এমনটা হয় নি, তুর্জের কথায় হো হো করে হেসে দিয়েছে, সেই সাথে তুর্জও তাল মিলিয়েছে,
তুর্জ হাসির বেগ কিছুটা কমিয়ে নন্দিনিকে আবার কোলে নিয়ে রুমে চলে এলে,
এসেই দেখে তুলি উঠে গেছে নন্দিনি কোল থেকে নেমে তুলির কাছে গিয়ো বসে পরেছে,
তুলি আর নন্দিনি কথা বলছে আম্মু চলো তোমার বাবাই কে বলো তোমার মুখ ধুয়ে দিতে,
দাঁত তো দুটো এদুটো ব্রাশও করে এসো হুম মাম্মার হাতে ব্যাথা তাই তোমায় আজ বাবাই ব্রাশ করাবে,
নন্দিনির কথা হয়তো তুলি বুঝে নি তার পর দুদাতঁ বের করে হাসছে,
তুর্জ ওদের কাছে বসে বললো হ্যা আমিতো চাকরি পেয়েছি তদের দুজনকে ফ্রেস করানোর
তোর মাকে মাএ নিয়ে এলাম এবার তর পালা আয় মা আয় তরটাও করে দিই,
নন্দিনি শুধু মুখ টিপে হাসছে,
তুর্জ তুলিকে কোলে নিয়ে দুকদম চলে আবার ফিরে বললো আচ্ছা আমিতো বুড়ো মানুষ তা আমি তো কদিন পর হাটা চলা করতে পারবোনা তখন কি আমায় এমন করে সেবা টা করবে!!
তুমিতো খুব ইয়াং তাই না,
কি হল বলো করবেতো আমার সেবা যত্ন,
কয়দিনই করতে হবে বেশিনা পরে তো মরেই জাবো তাই না, কারন বুড়ো মানুষ বলে কথা।
আর তুলিকে কিন্তু ছেরে যেওনা প্লিজ ওরে অন্তত্ব আগলে রেখো.
নন্দিনির একটুও ভালো লাগলোনা তুর্জের কথাটা কে বললো উনি বুড়ো, আর মরার কথা বললো কেন!!
তুর্জ আর কিছু বলবে তার আগেই নন্দিনির ঝাঝালো কন্ঠের আওয়াজ এই বার বার নিজেকে বুড়ো বলেন কেন! আর মরবেন কেন?
মরুক আপনার দুশমন, বলেই রুম ছেরে বেরিয়ে গেলো,
তবে নন্দিনির রাগের কারন টা তুর্জ বুঝলোনা,
তু্লিকে নিয়ে একটু পর তুর্জ রুম ছেরে বেরিয়ে এলো,
সবাই নাস্তার টেবিলে শুধু সোহান ছারা, তার ট্রাবেল এজেন্সিতে কাজ পরেছে,
সোহাম খুব ভালো চাকরি করত তবে চাকরিটা ছেরে দিয়ে এখন নিজেই ব্যাবসা দার করেছে ট্রাবেল এজেন্সির।
তুর্জ তুলিকে একটা চেয়ারে বসিয়ে নিজের আরেকটা চেয়ারে বসেছে,
তবে সবাই হা হয়ে নন্দিনিকেই দেখছে সে বা হাতে চামচ দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে তবে ব্যার্থ হচ্ছে তা মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে,
তুর্জ খাবার হাতে নিয়ে নন্দিনির মুখের সামনে খাবার ধরে বললো নাও হা করো,
নন্দিনি হাত দিয়ে তুর্জের হাতটা ছিটকে সরিয়ে দিয়ে বললো লাগবেনা আপনি মরে গেলে তখন যদি আবার হাতে ব্যাথা পাই তখন তো আমায় চামচ দিয়ে খেতে হবে তাই না, তাই এখন থেকেই অভ্যাস করছি।
বলেই ভেজা চোখ নিয়ে না খেয়েই উঠে চলে গেলো নন্দিনি,
উপস্থিত সবাই বোকার মত চেয়ে রয়েছে তাদের দুজনের মধ্যে কি চলছে কে জনে,
শিলা বেগম একবার তুর্জের দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার সপ্নার দিকে।
তুলিকে হালকা খাইয়ে দিলো, তুর্জের ও খাওয়া হল না , তবে নন্দিনির রাগের কারনটা বেশ বুঝতে পেরেছে এবার,
তবে নন্দিনির রাগের কারনটা তুর্জের মনটা বেশ হালকা লাগছে,
কেউতো তার মরনে কাদঁবে,
তুলিকে শিলা বেগমের কোলে দিয়ে এক প্লেটে খাবার ভর্তি করে নিজের রুমের দিকে পা চালাচ্ছে,
শিলা বেগম সপ্নাকে ডাক দিয়ে বললো কি চলছে বড় বৌমা ওদের মাঝে?
সপ্না ঠোট বাকিয়ে বললো আমিওতো তাই ভাবছি মা, দুজনেই নিরাশ চোখে তাকিয়ে আছে তুলির দিকে,
তুর্জ খাবার নিয়ে রুমে ঢুকেছে কখন নন্দিনি একবার ও মুখ তুলে তাকায় নি,
তুর্জ খাবারটা নিয়ে নন্দিনির পাশে বসে ডাক দেয় নন্দিনি নাও খেয়ে নাও ঔষধ খেতে হবে নয়তো ঘা শুকোবেনা,
নন্দিনির কোন উওর নেই তাই ওর মাথাটা নিজেই ওর দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে মুখের সামনে খাবার ধরলো,
নন্দিনি তাও চোখ অন্যদিক ঘুরিয়ে আছে,
তুর্জের এমনিতে অনেক লেট হয়ে গেছে তাই নন্দিনির মুখটা চেপে ধরে হা করিয়ে মুখে খাবার গুজে দিয়েছে,
নন্দিনি মুখে খাবার নিয়ে সেই আগের ন্যায় বসে রয়েছে,
তুর্জ এবার ধমক দিয়ে বললো খেয়ে নাও আমার লেট হচ্ছে, যদি আরো লেট করাও তাহলে আজ কোর্টেই জাবোনা আর সারা দিন এভাবে মুখে খাবার গুজতে থাকবো বলে দিলাম।
নন্দিনি এবার একটু ভয় পেয়ে খাবার খেতে থাকে,
তুর্জ হালকা হাসি দিয়ে খাওয়াচ্ছে নন্দিনির মুখে আবার খবার দিতে গেলে নন্দিনি বললো আপনিও খাননি খেয়েনিন,
তুর্জ এবার নিজের মুখেও খাবার নিচ্ছে আর নন্দিনিকে খাওয়াচ্ছে,
খাওয়া শেষে এটো প্লেটটা কাজের মেয়েকে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে,
নন্দিনির মুখে কোন কথা নেই চুপ চাপ আধশোয়া হয়ে মোবাইল টিপছে,
তুর্জ উঠে দরজার কাছে চলে এসে আবার নন্দিনির দিকে ফিরে তাকিয়ে বললো নন্দিনি আমার ফিরতে হয়তো ১২ টা বেজে জাবে কিছু লাগলে কল করতে পারো,
দেখো আমার নাম দিয়ে দেয়া আছে,
আর কোন কিছু প্রয়োজন হলে মা বা ভাবিকে ডাকতে সংকোচ করো না কেমন, কথাটা বলেই তুর্জ আর দেরি করলোনা সোজা বের হয়ে গেলো,
নন্দিনি নিজেই নিজের কাছে পশ্ন করছে, আচ্ছা উনি মরার কথা বলাতে আমার খারাপ লাগলো কেন?
আমার তো খারাপ লাগার কথা নয়,
হুম হয়তো আমার সাদা শাড়ি পরতে হবে তাই,
নিজেই নিজেকে বলে মোবাইলে তুর্জের নাম্বার টা দেখে নিলো,
বা বাহ তুর্জ দিয়েছে নাম বুইড়া টা, দারা বুইড়া তর নাম্বার তো বুইড়া দিয়েই সেট করব হুম,
বলেই তুর্জ নামটা কেটে ★বুড়ো বেটা * দিয়ে সেট করলো,
আবার একটু পর কি ভেবে নাম টা কেটে তুলির আব্বু দিয়ে দিলো,
তার পর আবার বির বির করে বললো আচ্ছা যদি একা কোথাও যাই আর আমার সমস্যা হয় তাহলে তো যে কেও মোবাইলটা হাতে নিয়ে মা / বাবা দেয়া সেট করা নাম্বারেই কল দিবে,
আর ওরা টেনশন নিবে বুইড়া বা তুলির আব্বু থাকলে তো আর চিনবে না কি করি কি করি,
অনেক ভেবে My Husband দিয়ে নামটা সেট করে নিলো,
যাক বাবা এখন যত ঝমেলা হক উনার কাছে কল আসবে বাবা মা টেনশন নেবা না বলেই এক গাল হাসি দিয়ে বসে রইলো,
তবে খুব বুর লাগছে তুলিটাকে নিয়ে খেলতেও পারছেনা ছাদেও জেতে পারবেনা কেও দেখলে বকে দেবে এই শরিল নিয়ে কেন ছাদে গেলাম!!!
তাই ফেসবুকে নিজের আইডিতে লগ ইন করলো,
“””””অরি রহমান নন্দিতা””””
ওর বাবা এই নমে ডাকে, নন্দিতা বলে, আর অন্যকেও ডাকলেই চটে জায় কারন যাকে ভালোলাগে তাকেই এই নামে ডাকার অধিকার দেয় বাকি কাওকে নয়,
আর বেশির ভাগই কেও জানেনা ওর নাম নন্দিতা ওওও।
নিজের প্রফাইলে ঢুকে নিজের চোখ সাত আসমানের উপর চলে গেছে,
একি এগুলো কে করলো?
রিলেশন সিপ ম্যারেড দেয়া তাও “””তিয়াস আহমেদ তুর্জের সাথে “”
তবে ছবিটা দেখে বুঝতে বাকি রইলোনা এটা কার আইডি এই বুইড়াটা এগুলা করলো কেন???
ছাগল পাঠা কোথাকার, বকতে বকতে আরো কিছু নজরে গেলো,৷ তুর্জ কিছু ছবি পোষ্ট দিয়েছে তাও নন্দিনিকে ট্যাগ করে,,
তাদের ২ টা বিয়ের ছবি একটা যখন দুজনকে পাশাপাশি বসিয়ে মিস্টি মুখ করানো হচ্ছিলো আর আরেকটা ওর হাতে যখন বাবা তুলে দিচ্ছিলো,
উনি আমার মোবাইল নিয়ে এত কিছু করেও শান্ত হয় নি তাও আবার ছবি পোষ্ট দিয়েছে আমায় ট্যাগ করে আসুক আজ আমার মোবাইলে হাত দেয়ার অনুমতি উনাকে কে দিয়েছে, কোন সাহসে করেছে এসব।
আরো চোখ বুলিয়ে দেখতে পেলো 2 k like… 1.5 k coment….
তাও এগুলো কাল রাতে পোষ্ট করেছে,
কমেন্ট গুলো বেসির ভাগ উনার চেনা লোক মনে হচ্ছে, সব গুলাই কমেন্ট সুন্দর তবে সোহামের কমেন্ট টা হাসির বটে,
লিখেছে আমার “”পেয়ারি নতুন মেহমান আমি কেন ছবিতে নাই, আমিইতো কোলে করে গাড়ি থেকে নামিয়েছিলাম।🤥🤥
এর মধ্যে সপ্নের ছোয়া আইডি থেকে সপ্না ভাবি রিপ্লাইও করেছে তোমার ছবি আছে তোমার বৌ এর সাথে তাই আরো দরকার থাকলে বাসায় এসো ভালো করে তুলবো” ছবি “”
নন্দিনি হাসতে হাসতে শেষ এরা পারেও বটে সো রোমান্টিক কাপেল।
তবে আরেকটা কমেন্ট চোখে পড়লো ” লিখা ছিলো
‘ভালোই বৌ কে নিয়ে সুখি হও দোয়া করি, দেখতে মাসআল্লাহ,
নামটা খুব অদভূত,
ভোরের আলো,
তাই নন্দিনি বুঝতে পারলেনা মেয়ের আইডি নাকি ছেলের, খুব বুর লাগছে, তাই একটু বেরিয়ে সপ্নার কাছে গিয়ে বসলো আর আড্ডা জমালে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
একটু পরই তুর্জ বাসায় চলে এলো, শিলা বেগম জলদি আসার কারন জানতে চাইলে বললো, নন্দিনির শরিল ভালোনা তো তাই আর কি।
শিলা বেগম অবাক হওয়ার সাথে খুশিও বটে। তুর্জ গুন গুন করতে করতে গাড়ির চাবিটা ঘুরাতে ঘুরাতে রুমের দিকে এগুচ্ছে, তবে তার জানা নেই আজ কোন শনির দশা তার হবে,কারন নন্দিনি রেগে আগুন হয়ে আছে,
রুমে ঢুকতেই ফুলদানি দিয়ে আক্রমন তুর্জ কিছু বুঝে উঠার আগেই তার কপালটায় লেগে হালকা কেটে গেছে,
তবে নন্দিনির রাগ এবার পানি কারন তুর্জের কপালটা হালকা কেটেছে আর একটু রক্তও পরছে।
তু্র্জ কপালে হাত দিয়ে নন্দিনির দিকে চেয়ে রয়েছে,ঝগরাটে জানতাম জ্বীনের আছরও আছে তা আজ জানা হল।
নন্দিনি দৌড়ে তুর্জের কাছে গিয়ে ওর হাত টা সরিয়ে দেখছে খুব ভালো করে তুর্জ নন্দিনির থেকে একটু লম্বা হওয়ায় পা টা উচু করে কপালটা দেখছে,
পা উচু করাতে নন্দিনির হাত তুর্জের কাছ থেকে সরতেই সে নিজের ব্যালেন্স হারিয়ে তুর্জের উপরই গিয়ে পরে,
তুর্জ হালকা হাসি দিয়ে বললো, একেই তো পুচকি মেয়ে তাও বুটো একটা, তার উপরে জ্বীনের আছর তা আর কি কি গুন আছে জানতে পারিকি???
নন্দিনির তুর্জের কাছ থেকে সরে এসে বললো এক দম বাজে বকবেন না,
আমি ইচ্ছা করেই ফুলদানিটা ছুরে মেরেছি, কারন আপনি আমার মোবাইলটা নিয়ে কি করেছেন??
নন্দিনি মোবাইলটা এনে তুর্জের সামনে ধরে বললো এগুলা কি হুম,
তুর্জের ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে আল্লাহ জানে কপালে আর কি আছে আর কপালতো ফাটলে আর কি কি ফাটবে কে জানে,
ভাবতে ভাবতেই নন্দিনি বা হাতে তুর্জের শার্টের কলার চেপে ধরেছে চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে তা তুর্জ নন্দিনির চোখ দেখেই বুজতে পারছে।
চলবে?
★💓 আপনার গল্প প্রেমি বন্ধুদের পেজে ইনভাইট করুন প্লিজ💓💓