অন্ধপ্রেম পর্ব -১১+১২

#অন্ধপ্রেম
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_11
.
তোমাকে বিয়ে করেছি বলে বউয়ের মর্যাদা দেয়নি যে তুমি অধিকার খাটাবে আমার উপর ।
নিজের সীমায় থাকো …
রাজ চলে গেলো নিজের মতো হন হন করে .
শীতল কিছুটা মন খারাপ করলো কথাগুলো শুনে ..
রাজ তাকে এক সময় ভালোবাসতো বাট এখন বাসেনা .
শুধু ঘৃনা করে শীতলকে ।
শীতল তো কোনো দোষ করেনি তবে তাকে কেনো কষ্ট দিচ্ছে রাজ ।
.
.
.
পুরো বাড়ি খালি ..
সবাই ময়মনসিংহে গিয়েছে বেড়াতে ..
কবে আসবে কে জানে …
টিভিতে একটা চ্যানেলে খুব সুন্দর একটা সিনেমা হচ্ছে …
নায়ক ভিষন ভালোবাসে নায়িকাকে …
হিরোটা দেখতে অনেকটা রাজের মতো মনে হলো …
আর হিরোইনকে শীতল সে ভেবে ফেললো …
কলেজ চুরি করে হিরোর সাথে দেখা করা ..
হাত ধরে খালি রাস্তা দিয়ে হাটা ..
চটপটি ,ফুসকা আর বাদাম খাওয়া …
হিরোটা অনেক রোমান্টিক আর দেখতেও রাজের মতো ডেসিং স্মার্ট ..
.
.
.
সিনেমার শেষে হিরো আর হিরোইন এর বিয়ে হয় …
তারা সুখের সংসারে ভাসতে থাকে …
শীতল সিনেমাতে রাজ আর নিজেকে কল্পনা করছিলো ..
যদি রাজও হিরোর মতো তাকে ভালোবাসতো তাহলে তার জিবনটাও হিরোইনের মতো সুখের হতো …
.
.
শীতল কখনো কাউকে ভালোবাসে নি ..
সে তার স্বামির জন্য সব ভালোবাসা রেখে দিয়েছিলো …
প্রতিটা মেয়েই মনে মনে একটা সুখের সংসার কল্পনা করে …
যার স্বামি অনেক ভালোবাসবে তাকে .
শীতলও দেখেছিলো এমন সপ্ন বাট সে সব শুধুই সপ্ন .
রাজ তাকে কখনোই স্ত্রির মর্যাদা দেবেনা ..
তাকে শুধু ব্যাবহার করবে আর সারাজিবন তিলে তিলে কষ্ট দেবে তাকে …
এদিকে শীতলের মা বলেছেন রাজকে নিয়ে সারাজিবন সংসার করতে ..
শীতল কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা ..
মায়ের দেওয়া কথা রাখবে কিভাবে …
রাজ তো সব সময় শীতলকে দেখলে রোজার কথা মনে করে …
আর শীতল কে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে মনের জ্বালা মেটায় …রাজ ওকে কখনো মেনে নেবে না ..
যা করার শীতলকেই করতে হবে …
রাজের মতো লোককে যেভাবেই হোক আগের রুপে আনতে হবে ….
.
.
.
সবকিছুই সম্ভব হবে শীতলের ভালোবাসা দিয়ে রাজের যত রাগ ,অভিমান ,দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারলে ..
.
.
.
বিকালে রাজ বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খাচ্ছে ..
রেস্তোরার নয় শীতলের হাতের খাবার …
রাজ প্রথমে অবাক হয়েছিলো কিছুটা …
শীতল ডাইরি থেকে রাজের পছন্দের খাবারের কথা জেনে রান্না করেছে ..
শীতলের হাতের রান্না বেশ ভালো ..
সবাই তার রান্না খেয়ে সারাজিবন মনে রাখবে এমন রান্না করে ও .
.
.
শীতল জানে মানুষকে ইমপ্রেস করতে হলে রান্না হলো সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ..
.
রাজ চুপচাপ খাবার গুলো খেলো ..
শীতল খেয়েছে কিনা তা একবারও জিজ্ঞাস করেনি ..
রাজ যখন খাবার খাচ্ছিলো তখন রাজকে একদম ইনোসেন্ট এর মতো লাগছিলো ..
শীতলের অনেক মায়া হচ্ছে রাজের জন্য ..
যে বোনকে সে এতো ভালোবাসতে সে বোন অকালে চলে গেলো ..
শীতলের বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে রাজকে একটু শান্তনা দিতে বাট তার সাহস নেই শান্তনা দেওয়ার …
.
.
.
রাজ খেয়ে একবার শীতলের দিকে তাকালো .শীতল ভাবলো তার প্রসংশা করবে বাট কিছুই করলোনা ..
চুপচাপ উঠে রুমে চলে গেলো …
শীতল কিছুটা কষ্ট পেলো ..
সারা দুপুর এতো কষ্ট করে রান্না করলো আর রাজ একটা ধন্যবাদও দিলোনা ..
.
.
.
শীতল রুমে গিয়ে দেখলো রাজ উপর হয়ে শুয়ে আছে ..
_আমার রান্না কেমন হয়েছে ??
রাজ শীতলের দিকে ভ্র কুচকে তাকালো ..
_রান্না কি ভালো লেগেছে আপনার ??
_ভালো লেগেছে ,,,
শীতল খুশি হয়ে বললো ,,
শুধু ভালো লেগেছে ,,,
_বলেছি ভালো হয়েছে তার মানে ভালোই হয়েছে ..
_তাহলে আমার গিফ্ট ..
_কিসের গিফ্ট ..??
_বাররে,,, আমি নতুন বউ হয়ে প্রথম রান্না করলাম ..
নতুন বউ রান্না করলে তাকে গিফ্ট দিতে হয় ..
শীতল কথাগুলো নিচে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে বললো,,,
.
.
.
রাজ বিরক্ত হয়ে কত গুলো টাকা ছূরে মারলো শীতলের গায়ে ,,,
_রেস্তোরায় বাবুর্চির রান্না ভালো হলে তাকে টিপস দেওয়া হয় ,,,
যেটা আমি সব সময় দিয়ে থাকি …
.
.
.
শীতল টাকা গুলো তুলে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো ..
বুকটা তার ফেটে যাচ্ছে ..
তাকে বাবুর্চির সাথে তুলনা করলো রাজ ..
একটু ধন্যবাদ দিলে কি এমন হতো রাজের ..
নিজের বোনের প্রতিশোধ নিচ্ছে রাজ ..
ওর জায়গায় ও তো ঠিক কাজ করছে ..
.
.
.
শীতল রাজের পাশে ঘুমিয়ে পড়লো ….
.
মাঝরাতে শীতলকে ঢেকে তুলে বললো,,,
পা ব্যাথা করছে একটু টিপে দিতে ..
শীতলের সেইরকম রাগ হলো .
মাঝরাতে কেউ এরকম করে ..
শীতল বাধ্য হয়ে রাজের পা টিপছে ..
_হাতে কি জোর নেই আরো জোরে টিপতে থাকো .
.
শীতল পা টিপতে টিপতে রাজের পায়ের কাছেই ঘুমিয়ে পড়লো .
.
.
.

সকালে উঠেই রাজ শীতলের কপালে কিস করলো ,,
তখনই মাম্মা মাম্মা বলে শীতলকে জড়িয়ে ধরলো দুটো মেয়ে ..
রাজকে পাপা বলে তার কোলেও একটা মেয়ে বসে পড়লো ,,,,
সম্ভবত মেয়ে দুটো রাজ আর শীতলের মেয়ে ..
.
.
.
তাদের দেখে মনে হচ্ছে সবচেয়ে সুখি পরিবার ..
শীতল রান্না ঘরে রান্না করছে আর রাজ পেছন থেকে তার কোমর জড়িয়ে ধরে চুলের আর গায়ের সুভাস নিচ্ছে ,,
মাঝে মাঝে শীতলের গালে নিজের গাল ঘষছে আর কানে কানে বলছে ,,,
I love you bow shitol ..❤❤❤❤❤❤❤
শীতল মন ভরে রাজের ভালোবাসা অনুভব করছে আর রান্না করছে ….
.
.
.
শীতলের বাবা মা ভাইয়া ড্রয়িং রুমে বসে তাদের মেয়েদের সাথে গল্প করছে .
সুখ যেনো উপছে পড়ছে শীতলের সংসারে ।
.
.#অন্ধপ্রেম
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_12
(#রাজের কঠোর শাস্তি হবে তাই সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে হবে )
শীতল ঘুমের মধ্যেই তার সুখের সাগরে ভাসছে আর মুচকি মুচকি হাসছে …
রাজের ধমকে শীতলের ঘুম ভেঙে চুরমার হলো বাট তার ঘোর এখনো কাটেনি ,,,
শীতল রাজকে জড়িয়ে ধরে বললো I love you too ❤❤❤
.
রাজ শীতলকে এক ধাক্কা দিয়ে বেড থেকে উঠে পড়লো ,,,
_What nonsense .What the hell with you bloody full .
শীতলের ঘোর ভাঙলো ..
সে বুঝতে পেরেছে কি করেছে রাজের সাথে ..
শীতল লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ..
_কি হলো কথা বলছো না কেনো ??
ঘুমের মধ্যে তো আমার সাথে ….
আর এখন এতো লজ্জার কি হলো ??
যত্তসব ঢং …
রাজ শাওয়ার নিতে চলে গেলো …
.
.
.
শীতল এখনো লজ্জা পাচ্ছে …
_উনি কি বললেন ?? ঘুমের মধ্যে আমি কি করেছি .
ছিঃ ছিঃ উনি কি ভাবছেন আমার সমন্ধে .
ধ্যাত মাথাটা গেছে পুরোপুরি ভাবে বোধয়..
.
.
রাজ রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলো ..
রাজ আর শীতলের তেমন কথা হয়না ঠিক মতো ..
এই কয়দিনে শীতল রাজকে অবজার্ভ করেছে …
রাজের লাইফ স্টাইল একেবারে বাধিয়ে রাখার মতো ..
সে সব সময় সময় মেইন্টেইন করে চলে ..
শীতলের মতো ঢ্যারস অলস নয় সে ..
রাজের কথা বলার ধরণ জাস্ট অসাধারন যদিও শীতলের হার্টবিট ধক ধক করে রাজ যখন কথা বলে ..
শীতল সব সময় এমন ধরনের একটা রাজকুমারের ওয়েটে ছিলো বাট শীতলের কপালে রাজকুমার নামক একটা রাক্ষস এসে জুটেছে ..
.
.
.
শীতল নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছে তাই সে রাজের সাথে মানিয়ে চলতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ..
বাট রাজের মতো সিংহকে নিজের বসে এনে সংসার করা এক রকম সোজা কাজ নয় ..
শীতল অনেকবার চেষ্টা করেছে রাজকে বোঝাতে সে রাজের সাথে থাকতে চায় ,তার সাথে সংসার করে সারাজিবন কাটিয়ে দিতে চায় ..সবকিছু ভুলে সুখের সমুদ্রে ভাসতে চায় শীতল .
বিকোজ বিয়ে তো একবারই হয় .উপরওয়ালার ইচ্ছে হয়েছে বলেই রাজের সাথে তার বিয়ে হয়েছে …
শীতল রাজকে নানা ভাবে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে ..
এই তো সেদিন সব ভুলে কিচেনে গিয়েছিলো রান্না করতে রাজের পছন্দ মতো ..
কিচেনে গিয়ে দেখে দুটো সেফ রান্না করছে ..
রাজ দুটো সেফ এনেছে রান্না করতে সেটা শীতলকে বলার প্রয়োজনও মনে করলো না ..
.
.
.
রাজ সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে ..
_একটা কথা বলবো ??
_আমি কথা না বলতে বললে কি কথা বলবেনা ??
_আসলে বলতে চাচ্ছিলাম আপনি সেফ কেনো এনেছেন ??
আমাকে একবারও বললেননা যে .
_আমি কি করবো না করবো সেটা তোমাকে বলে করতে হবে নাকি ??
_আপনি কথাটা অন্যভাবে নিচ্ছেন .
আমি মিন করতে চাচ্ছি ,আমি তো আছি তাহলে সেফ কেনো আনতে হবে ??
.
.
.
রাজ ল্যাপটপ অফ করে শীতলের সামনে এসে দাড়ালো ..
শীতল মাথা নিচু করে শাড়ির আচল শক্ত করে ধরে রেখেছে ..
_কেনো তুমি কি সেফ ??
যার কাজ যেটা তাকে সেটাই করতে হয় .
তোমার কাজ হলো শুধু মাত্র বেডে .
এখন তোমার কাজ কি অন্যজনকে করতে দেওয়া উচিৎ ??
তুমি বললে তোমার কাজ অন্য একজনকে করতে দেওয়া উচিৎ .
.
.
.
শীতল নিজের কানকে বিশ্বাস করছে না ..
রাজ তার কথা কে এভাবে ধরে তুলনা করবে ..
সেদিন শীতল অনেক কেদে ছিলো ..
.
.
শীতল নিজে নিজেই বললো ..
_অনেক হয়েছে আর থাকবো না রাজের সাথে ..
একটা অমানুষকে আমি মানুষ বানাতে চেয়ে ছিলাম.
আমাকে বিন্দু মাত্র সম্মান করেনা ..
কেনো থাকবো এখানে ..
কাল সকালে রাজ অফিসে চলে গেলে আমিও চলে যাবো অনেক দূরে তখন উনি বুঝবেন আমার মূল্য .
.
.
.
মাঝ রাত রাজ ঘুমিয়ে আছে আর শীতল জেগে আছে ..
জেগে জেগে রাজকে দেখছে ..
কাল সে চলে যাবে ..রাজকে আর কখনো দেখতে পাবেনা সে ..
হাজার হোক রাজ তার স্বামি ..
রাজের জন্য তার ভুষন কষ্ট হচ্ছে …
সকালে রাজ অফিসে চলে গেলো ..
শীতল ও ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিচে নামলো ..
_বইরানি কেমন আছো ??
শীতল চমকে গেলো খালাকে দেখে ..
ময়মনসিংহ থেকে খালার আরো কয়েকদিন পর আসার কথা ছিলো বাট এখনি চলে এসেছেন ..
.
.
.
_তুমি এতো সকালে ??
_কি করবো আর তোমাদের কথা মনে হচ্ছি তাই চলে এলাম .
_আচ্ছা ..বাড়িতে সবাই কেমন আছে ??
_ভালো সবাই ..
তুমি কি কোথাও যাচ্ছো ??
শীতল চমকে গেলো ..
সত্যি টা বলে দিলে খালা রাজকে ফোন করে বলে দেবে তারপর রাজ তাকে কখনোই যেতে দেবেনা উল্টো শিকল পড়িয়ে বেধে রাখবে ..
_না কোথাও না .বারান্দায় তোমাকে দেখতে পেয়ে ছিলাম তো তাই নিচে এলাম তোমাকে রিসিভ করতে ..
.
.
.
খালা হাসতে হাসতে ব্যাগ থেকে কিছু বয়াম বের করলো ..
সবগুলো আচারের বয়াম .
ময়মনসিংহ থেকে এনেছেন.খালা বয়াম গুলো রুমে সেলফে এনে রেখে দিলেন .
অনেক ধরনের আচার ছিলো ..
জলপাই ,চাইল্তা,রসুনের আচার ইত্যাদি .
আচার গুলোতে প্রচুর তেল দেওয়া ছিলো .
আচার গুলোতর ঘি দেওয়া ছিলো .
আর রসে যেনো থৈ থৈ করছে আচারগুলো ..
শীতলের নিমিষেই মন ভালো হয়ে গেলো বাট মাথায় বাড়ি থেকে পালানোর কথা এখনো মনে আছে ..

.
.
.
বিকালে খালা টিভি দেখছে ..
শীতলও খালার পাশে ফ্লোরে বসে টিভি দেখছে ..
সিনেমাতে একটা বউ ছিলো যে তার স্বামিকে ভিষন ভালোবাসতো বাট তার স্বামি তাকে একটুও ভালোবাসতো না .
বউটা খুব ধার্মিক ছিলো তাই সে তার স্বামিকে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য প্রচুর চেষ্টা করতে থাকে .
কোনো ভাবেই সে হাল ছাড়েনি .
শত শত অপমানের পরও বউটা তার স্বামিকে ছেড়ে যায়নি বরং আরো তিন গুন ভালোবাসা নিয়ে স্বামিকে ঠিক পথে আনার চেষ্টা করতেই থাকে ..
বউটা শুধু একটা ডাইলগ বলে সব সময় ,,,
একবার না পারলে দেখো শতবার .
.
.
.
বউটা সববসময় তার ভালোবাসা নানা ভাবে প্রকাশ করে .
স্বামি যত অপমান করে বউটা ততই ভালোবাসে তার স্বামিকে ..
স্বামিটা বউয়ের এমন ভালোবাসা দেখে বুঝতে পারে তার ভুল গুলো একসময় .
আর তখন তার বউয়ের কাছে মাফ চেয়ে সুখের সংসারে ভাসতে থাকে দুজন .
তাদের দুটো ছেলে মেয়ে হয় যারা তাদেে ভালোবাসার ফলস্বরুপ .
শীতল সিনেমাটা দেখে অনেক কিছু বুঝতে পারলো ..
উপরওয়ালা তাকে কিছু ইশারা দিয়েছে সিনেমাটার মাধ্যমে ..
শীতলও ঐ বউটার থেকে কম যায়না .
ঐ বউটা যদি তার স্বামিকে ঠিক করতে পারে তবে শীতল কেনো পারবেনা .
শীতল কেনো ছেড়ে যাবে রাজকে তাদের বিয়ে তো খোদা তায়ালার ইচ্ছে অনুযায়ি হয়েছে .
শীতল কখনো হার মানেনি .তাই সে এতো সহজে ধমে যাওয়ার মেয়ে নয় …
রাজকে সে যেভাবেই হোক তার ভালোবাসা দিয়ে সঠিক পথে আনবেই .
তাকে বুঝিয়ে দেবে ভালোবাসার থেকে প্রতিশোধ বড় নয় .
.
.
.
রাতে রাজ ঘুমিয়ে আছে .
শীতলের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এলো বউটার মতো ..
সে রাজের পাশে শুয়ে ধীরে ধীরে রাজকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরলো ..
শীতলের বেশ ভালো লাগছে রাজকে এভাবে জড়িয়র ধরে থাকতে …
হঠাৎ রাজ শীতলকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটু দূরে সরে গেলো .
শীতলের ভিষন রাগ হলো সে অভিমান করে অন্যপাশে মুখ নিয়ে শুয়ে থাকলো .
পরক্ষনেই বুঝতে পারলো সে কার উপর রাগ করছে ..
যার উপর রাগ করছে সে তো জানেনা তার উপর কেউ রাগ করে আছে .
রাজ তো শীতলের অভিমান ,রাগ ভাঙাবেনা যা করার তা শীতলকে ই করতে হবে ..
.
.
শীতল আবারও রাজকে জড়িয়ে ধরলো ..
রাজ বিরক্ত হয়ে শীতলের দিকে তাকালো ..
রাজ ভেবেছে শীতল ঘুমের ঘোরে এমন করছে ..
সে আবারএ একটু দূরে সরে গেলো ..
শীতল আবারএ তাকে জড়িয়ে ধরলো ..
রাজ এবার সরে আসতেই ফ্লোরে পড়ে গেলো ..
শীতল ঘুমের মধ্যেই হাসছে রাজের আড়ালে ..
রাজ এদিক সেদিক তাকিয়ে নিজেই কিছুটা লজ্জা পেলো তারপর শীতলের পাশে শুয়ে পড়লো ..
শীতল আবারও তাকে জরিয়ে ধরলো ..
রাজ আর তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলোনা ..
.
.
.
শীতল মনে মনে বলছে এখন তো বুকে জায়গা করে নিলাম ধীরে ধীরে মনেও জায়গা করে নেবো বিকোজ একবার না পারলে দেখো শতবার .
.
.
.
সকালে শীতল ঘুম থেকে উঠে দেখে রাজ নেই .
কাল রাতে রাজকে জব্দ করতে পেরে শীতল বেশ খুশি ..
হঠাৎ রাজ রুমে এসে বললো ,,,
_জামা কাপড় গুছিয়ে নাও .
_কেনো ??শীতল কিছুটা অবাক হয়ে বললো ,,
_কক্সবাজারে যাবো ।
শীতল খুশি হয়ে বললো ,,
আমারা কি ঘুরতে যাবো ??
_হানিমুনে যাবো ।
_মানে আমারা হানিমুনে যাবো সত্যি সত্যি ??
রাজ রেগে বললো ,,,
_এতো কথা বলো কেনো ??
রেডি হতে বলেছি রেডি হও ..
শীতল খুব সুন্দর করে সেজেগুজে রাজের সাথে এয়ারপোর্টে গেলো ..
বাট লেট হওয়ার জন্য প্ল্যান মিস করলো তারা ।
.
.
.
শীতলকে নিয়ে রাজ রেলস্টেশনে গেলো .
তারপর টিকিট কেটে একটা কামরায় বসলো তারা .
তারাহুরোর জন্য কোনো খালি কামরা পায়নি রাজ .
শেয়ারে যেতে হচ্ছে তাদের .
শীতল এতো সুন্দরি লাগছে যে আশেপাশে সবাই তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে শুধু রাজ তাকাচ্ছেনা একবারও .
.
.
.কিছুক্ষন পর একটা স্টেশনে তাদের ট্রেনটা থামলো …

হঠাৎ একটা ছেলে শীতলের ন্যাকলেস বাহির থেকে ধরে টান দিলো ,,
শীতলের গলা কেটে ব্লিডিং হচ্ছে ..
শীতল রাজকে ডাকার চেষ্টা করছে বাট রাজ কানে হেডফোন গুজে আছে সেজন্য শীতলের কথা সে শুনতে পারছেনা .
.
.
.

চলবে,,,,
.

চলবে,,, , ,

.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here