#গল্পঃ_চুক্তির_বউ_যখন_প্রেগন্যান্ট_পর্ব_০৪
অজানা ভালোবাসার গল্প।
লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহ জালাল।
মেঘ এবার আর কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে গেলো।
একটি বারের জন্য পিছনে পিরে তাকায়নি। একরকম দৌড় দিয়ে হসপিটালের ভিতর চলে যায়।আকাশ গাড়ি স্টার্ড দিয়ে অফিসে চলে গেলো। মেঘ সারাদিন তার মায়ের সেবা যত্ন করেছে।। মায়ের সাথে অনেক আড্ডা দিলো। এক সময় মেঘের মা বলে উঠলো……
আম্মুঃ-মেঘ একটা কথা বলবো…?
মেঘঃ-হ্যা মা বলো কি বলবে…?
আম্মুঃ-তুই আকাশের সাথে ভালো আছিস তো…?
মেঘঃ-মা এটা কেমন প্রশ্ন। ভালো না থাকলে কি আজ আকাশ নিজে এখানে নামিয়ে দিয়ে যেতো…?
আম্মুঃ-মি জানতাম আকাশ তোকে বুঝবে…?
মেঘঃ-হুমমম..?
আকাশ অফিসে চলে যায়,যাওয়ার পর অফিসের নতুন কর্মচারীকে কাজ বুঝিয়ে দেয়। তারপর হসপিটাল চলে আসে। এসে সোজা কেবিনে চলে যায়। গিয়ে বললো….
আকাশঃ-এটা কি হলো মা..?
আম্মুঃ-কেনো বাবা কি হয়েছে…?
আকাশঃ-মেয়েকে কাছে পেয়ে ছেলেকে ভুলে গেছেন।
এটা কিন্তু ঠিক হলো না…?
আম্মুঃ-শোনো ছেলের কথা, এদিকে আসো তো…?
আকাশ একটা চেয়ার টেনে ওনার পাশে বসলো?? মেঘ বারবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছে আর ভাবতেছে…. ছেলেটা মায়ের কাছে আসলেই কেমন জেনো হয়ে যায়।
আর বাসায় সব সময় গোমড়া মুখ নিয়ে বসে থাকে।
_______
চুপিচুপি গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট না করে কেটে পড়বেন না।কষ্ট করে গল্প লিখি আপনাদের জন্য আর আপনারা
সামান্য একটা লাইক কমেন্ট করতে পারবেন না আমার জন্য। আপনাদের লাইক কমেন্ট দেখলে গল্প প্রতিদিন পোস্ট করবো। আপনাদের লাইক কমেন্ট কিংবা আগ্রহ পাই না যার জন্য ইচ্ছে থাকলেও গল্প পোস্ট করি না।
এই পর্বে লাইক কমেন্ট রিসপেন্স ভালো ফেলে আগামী কালকে নেক্সট পর্ব পাবেন।
গল্পের মাঝে বিরক্ত করার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত🙏🙏_____ইতিঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। ধন্যবাদ সবাইকে………
কি আছে ওনার মনে। কেনো এমন অভিনয় করছেন।
নিজে তো কষ্ট পাচ্ছে সাথে আমাকেও একটা চুক্তির মাঝে বন্ধি করে রেখেছেন। ওনি আসলে চায় টা কি।
মেঘ এসব কথা ভাবতেছে। হটাৎ করে মেঘের মা বলে উঠলো…….
আম্মুঃ-বাবা একটা কথা বলবো…?
আকাশঃ-হ্যা মা বলুন…?
আম্মুঃ-আমার না এখানে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,,আর পারছি না এখানে থাকতে…?
মেঘঃ-কি বলছো মা তুমি ঠিক আছো তো ডাক্তারকে ডাকবো…?
আম্মুঃ-না রে মা আমি ঠিক আছি। আমার না বাড়ি যেতে খুব ইচ্ছে করছে আমাকে নিয়ে চল এখান থেকে.?
মেঘ একবার আকাশের দিকে তাকায় তারপর আবার মায়ের দিকে তাকায়। আকাশ হয়তো বুঝতে পারছে
মেঘের চোখের ভাষা। তাই নিজেই মুখ খুললো…….
আকাশঃ-মা আমি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দেখছি রিলিজ দেয় কি না….?
মেঘঃ-কিন্তু মাকে নিয়ে যাবো কোথায়..?
আকাশঃ-কেনো আমার বাড়ি আছে কি জন্য…?
মেঘঃ ওখানে নেওয়াটা ঠিক হবে না…?
আকাশঃ-আমি তোমার কোনো কথা শুনছি না।। আজ মা আমাদের ওখানেই যাবে। আর এখন থেকে ওখানে থাকবে এটা আমার ডিসিশন। তুমি কোনো কথা বলবে না এটাই ফাইনাল।আমি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দেখছি কি বলে..??
এরপর আকাশ ডাক্তারের রুমে চলে যায়। গিয়ে ডাক্তারকে বললো…….
আকাশঃ-ডাক্তার আসবো….?
ডাক্তারঃ-হ্যা আকাশ আসো.. কিছু বলবে…?
আকাশঃ আসলে আমি চেয়েছিলাম মাকে আজকে বাসায় নিয়ে যেতে। এখানে থাকতে হয়তো ওনার অসুবিধা হচ্ছে…??
ডাক্তারঃ-সেটা ঠিক আছে আকাশ ওনার ঠিক মত যত্ন নিতে হবে। যদিও ওনার হাতে সময় খুব কম যতদিন বাঁচে ততদিন তোমাদের একটু কষ্ট করতে হবে…??
আকাশঃ-এটা কোনো ব্যাপার না ডাক্তার।আমি আর মেঘ সব সামলে নিবো। ওনার যত্নের কোনো ক্রুটি
আমি রাখবো না….??
ডাক্তারঃ-সেটা আমি জানি আকাশ..? তোমাকে তো আমি আজ থেকে জানিনা,,তোমার মায়ের দিকটাই দেখো না!! আজ দু বছর ধরে ওনার এই অবস্থা।
অথচ তুমি তাকে সব রকম ভাবে সাহায্য করছো.?
আকাশঃ-মামনির এই অবস্থার জন্য তো আমি দায়ী ডাক্তার। যদি একটু সেবা করে আমার পাপের
বুঝা টা একটু হাল্কা করতে পারি সেটাই বা কম কিসের।। আর তাছাড়া সন্তান হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য..??
ডাক্তারঃ-দেখো আমি এভাবে বলিনি…?? তুমি আমার কথায় কষ্ট পেলে আমি দুঃখিত। আকাশ আসলে এই পর্যন্ত তোমার মায়ের চিকিৎসা এই হসপিটাল থেকে নেওয়া হয়েছে আর সেটা আমিই হ্যান্ডেল করেছি সবই তো জানি তাই বলেছি…I am sorry akash….??
আকাশঃ-It’s okay doctor…..আমি কি এখন মাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারি…??
ডাক্তারঃ-তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে। দাঁড়াও
আমি তোমাকে সব ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি তুমি ওনাকে আজকেই নিয়ে যাও…??
আকাশঃ-Thank you doctor…Thank you so much
ডাক্তারঃ-এটা আমার দায়িত্ব আকাশ। আমি জানি ওনার কোনো অযত্ন হবে না…??
আকাশঃ-আসি তাহলে..??
ডাক্তারঃ-তুমি যাও আমি ওনার রিলিজের সব কাগজ পত্র ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি….??
তারপর আকাশ কেবিনে চলে যায়..গিয়ে মেঘের মায়ের সাথে গল্প করতে লাগলো। ডাক্তার ডিসচর্জ পেপারে সই করতে বলে মেঘের মাকে হসপিটাল থেকে রিলিজ করে দেয়। এরপর সবাই বাসায় চলে আসলো।
বাসায় আসার পর মেঘকে সব দিকটা সামলাতে হচ্ছে।
এক দিকে মায়ের সেবা অন্য দিকে শ্বাশুড়ি মায়ের যত্ন সব মিলিয়ে মেঘ একটু চাপে থাকলেও কাউকে কোনো প্রকার কষ্টে ফেলতে চায় না। নিজের হাতেই সব কিছু সামলে নেয়.।
আকাশও যতটা সময় বাসায় থাকে মেঘের কাজে হেল্প করে। এভাবেই তাদেন দিন কাটতে থাকে। দেখতে দেখতে আকাশ আর মেঘের বিয়ের ৪ মাস কেটে যায়।
মেঘ অনেক বার চেষ্টা করেছে আকাশ এর ব্যাপারে সব কিছু জানতে? কিন্তু বরাবরই মেঘকে হার মানতে হচ্ছে।
একটা সময় ছিলো মেঘ শুধু মাত্র আকাশের একজন স্টাফ ছিলো। কিন্তু আজ সে আকাশের বিবাহিত বউ।
যদিও বিয়ে টা একটা চুক্তির মাঝে সীমিত ছিলো তবুও এই কয়েক টা মাসে আকাশের প্রতি মেঘের একটা টান
জন্মাতে শুরু করে। মেঘ নিজেও জানেনা সে নিজেকে
আকাশের মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে নিচ্ছে। অথচ এই সম্পর্ক টা আর পাঁচটা সম্পর্কের মত স্বাভাবিক নয়….
মেঘ বারবার আকাশের অতীত সম্পর্কে জানতে চায়..।
কিন্তু আজও তার জানা হয়ে উঠেনি…..।এই ৪ টা মাস ভালো কাটলেও বিপত্তি ঘটে ৫ মাসের মাথায়। মেঘের জীবন থেকে হাড়িয়ে যায় তার সব চাইতে কাছের মানুষ
বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
হ্যা সে আর কেউ নয় মেঘের মা।। আজ সকালের ঘটনা
আকাশ অফিসে যাবার পর মেঘ,মেঘের মা আর মেঘের শ্বাশুড়ি সবাই মিলে বসে গল্প করতেছে। হটাৎ করেই মেঘের মা বুকের ব্যাথায় চটপট করতে থাকে….
মেঘ দ্রুত ডাক্তার কে কল করে একটা এম্বুলেন্স এ করে তার মাকে হসপিটালে নিয়ে যায়। আকাশের মাকে
বাসায় রেখে গেলো।। এরপর মেঘ কল করে আকাশকে
হসপিটাল আসতে বলে। আকাশ অফিস থেকে দ্রুত হসপিটাল এসে মেঘের মায়ের হাতে হাত রেখে বলে…..
আকাশঃ-মা প্লিজ শান্ত হন কিছুই হবে না আপনার এক্ষুনি ঠিক হয়ে যাবেন আমি ডাক্তারকে ডাকছি?
মেঘঃ-মা ও মা কথা বলো না প্লিজ কথা বলো। এভাবে
একা করে দিওনা মা। মা আমি কি ভাবে থাকবো তোমাকে ছাড়া। ও মা কথা বলো না প্লিজ চুপ করে থেকো না। ও মা ওকটু তাকাও না আমার দিকে..??
মেঘের কান্না দেখে আকাশ থমকে গেলো। ডাক্তারকে ডাক দিলে উনি এসেই পালস চেক করে উনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে মেঘ আজ পর্যন্ত একটা কথাও বলেনি। কেমন জেনো হয়ে গেছে মেয়েটা। কারো সাথে কথা বলে না।। আকাশ জানাজা শেষ করে ওনাকে দাফন করে বাসায় চলে আসলো।
হসপিটাল থেকে আসার পর মেঘ এখন পর্যন্ত নিজ ঘর থেকে বের হয়নি। আকাশ তার মায়ের সাথে কথা বলে
নিজের রুমে চলে গেলো। মেঘ কেমন যেনো ধুম মেরে
বসে আছে কোনো দিকে তাকাচ্ছে। আকাশ এসে মেঘের পাশে বসলো। মেঘের হাতে হাত রেখে আলতো স্বরে বললো…….
আকাশঃ-মেঘ কিছু খেয়ে নিবে আসো…??
আকাশের ছোঁয়া পেয়ে মেঘের জেনো হুঁশ ফিরে এলো।
ঝাপটে ধরে আকাশকে। সারাদিন ধরে কান্না করেছে
তবুও যেনো কান্না থামার নাম নিচ্ছে না। আকাশকে
জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো মেঘ। মেঘের কান্না দেখে আকাশ বললো……..
আকাশঃ-মেঘ প্লিজ শান্ত হও..এটা তো হওয়ারই ছিলো তাইনা। কেউ তো সারাজীবন বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসেনি। আজ অথবা কাল আমাদেরকে ও এক সময় চলে যেতে হবে।। পৃথিবীতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী না..??
মেঘ কোনো কথা না বলে বরাবরই কান্না করতেছে। আকাশ আবার বলতে লাগলো…..
আকাশঃ-আমাদের জন্য পর কাল বলেও একটা জীবন আছে। ইহকাল ছেড়ে আমাদের সবাইকে একদিন পরপারে আশ্রয় নিতে হবে। প্লিজ মেঘ একবার বুঝার চেষ্টা করো তুমি তো জানোই তোমার মায়ের কত বড় রোগ ছিলো..??
|||||
হার্টের পুটো অপারেশন করেও রোগী বাঁচানো যায় না।
অথচ তুমি মাকে পাঁচ মাস তোমার নিজের কাছে পেয়েছো। এই রকম রোগী তো অপারেশন থ্রিয়েটারে
মারা যায়। আল্লাহ কত মহান যে তোমার মাকে কিছু দিন বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছেন..??
মেঘঃ-😭😭😭???[কান্না করেই যাচ্ছে ]
আকাশঃ-প্লিজ মেঘ একটু শান্ত হও..??
মেঘঃ-ডাক্তার মিথ্যা বললো কেনো। উনি তো ৬ মাস সময় দিয়েছিলেন তাহলে কেনো আজ মা আমাকে একা করে চলে গেলো,,কেনো এমন হলো…??
আকাশঃ-তুমি তো জানো মেঘ মায়ের কন্ডিশন কেমন ছিলো। তবুও বোকার মত কথা বলছো কেনো। আর ডাক্তার কি মানুষের জীবন মরনের খবর জানে নাকি।
ওনারা শুধু নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে সামান্য কিছু বুঝার চেষ্টা করে,আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে উনি ৬ মাস সময় বলেছিলেন…???
আকাশ মেঘকে কোনো রকম বুঝিয়ে খাবার টেবিলে নিয়ে বসায়। মেঘ এক মনে খাবার টেবিলের দিকে তাকিয়ে আছে। খেতে ইচ্ছে করছে না, খাবার গলা দিয়ে নামছেই না।। কিন্তু খাবার না খেলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
মেঘ খাবার খাচ্ছে না দেখে আকাশ নিজেই তার মুখের সামনে খাবার তুলে ধরে। আকাশ খাবার তুলে দিতেই
মেঘ নিজ থেকে হা করে খাবার টা খেয়ে নেয়।। হয়তো
আকাশ বকা দিবে এই ভেবে মেঘ খাবার খেয়ে নেয়।
তারপর আকাশ মেঘকে খাইয়ে দিয়ে মুখ মুছে দেয়।
দুজন খাবার শেষ করে রুমে চলে যায়।রুমে নিয়ে মেঘ কে বিছানায় বসিয়ে ঘুমাতে বললো। কিন্তু মেঘ আবার কান্না জড়িত কন্ঠে বলতে লাগে……..
মেঘঃ-কেনো এমন হলো😭😭😭
মেঘ আবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।আকাশ ওর পাশে বসে মাথাটা বালিশে রেখে মাথায় হাত বুলাতে থাকে আর বলতে থাকে……..
আকাশঃ-প্লিজ মেঘ আর কান্না করে নিজেতে কষ্ট দিও না। এতে তুমি নিজেই অসুস্থ হয়ে যাবে…??
মেঘঃ 😭😭😭[মেঘ কান্না করেই যাচ্ছে ]
আকাশঃ-বললাম না ঘুমিয়ে পড়তে তুমি কেনো বুঝো না। মেঘ তোমার কিছু হলে আমি….???
মেঘ কথাটা শুনে চোখ বড় বড় করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাক মেঘের ওমন তাকানো দেখে বলে উঠলো…..
আকাশঃ- এই ভাবে তাকাবে না ঘুমাও বলছি….??
মেঘ সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললো। কিছুক্ষণ পর
মেঘ ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলো। আকাশ উঠে মায়ের রুমে যাবে ঠিক তখনই টান খেয়ে পড়ে যায়।
আকাশ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে না পারায় মেঘের উপরে গিয়ে পড়লো। এদিকে মেঘ ঘুমের দেশে হারিয়ে গেছে।
মেঘের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আকাশ।
আজ যেনো মেঘকে নতুন রুপে দেখছে।
আকাশ মেঘের অনেকটা কাছে চলে গেলো..।। মেঘের প্রতিটা শব্দ এসে আকাশের বুকে লাগছে। এক অদ্ভুত ভালো লাগা আকাশকে ছুয়ে যাচ্ছে।
হটাৎ করে আকাশের চুক্তির কথা মনে পড়ে যায়। যার জন্য উঠতে গেলে আবার বিছানায় পড়ে যায়।
আকাশ ভাবতেছে মেঘ তো ঘুমিয়ে পড়লো। তাহলে টান লাগলো কোথায়। তখনই ওর চোখ পড়ে নিজের
হাতে থাকা গড়ির দিকে। আকাশের হাতে থাকা ঘড়ি মেঘের শাড়ির আঁচলের সাথে আটকে গেছে।
এই জন্যই আকাশ যখন উঠতে গিয়েছিলো শাড়ির টান লেগে পড়ে যার। ঘড়ি থেকে আঁচল টা সরিয়ে মেঘের থেকে দূরে সরে যায়। আর মনে মনে বলে……
তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি মেঘ। কি করবো বলো আমি
যে নিরুপায়। যদি আমাদের মাজে চুক্তি টা না আসতো
তাহলে এভাবে তোমাকে কষ্ট দিতাম না।
|||
জানিনা তোমাকে সত্যিটা কখনো বলতে পারবো কিনা।
শুধু এতটুকু বলতে পারি এই চুক্তির মাধ্যমে তোমাকে ১ বছরের জন্য হলেও নিজের বউ হিসেবে পেয়েছি এটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।
|||
এই চুক্তি টা না থাকলে তুমি আজ আমার থাকতে না।
১ বছর মেঘ মাত্র ১ বছর কিন্তু এই ১ টা বছর আমার কাছে অনেক কিছু।
কথা গুলো বলার সময় আকাশের দুই চোখে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। চোখের জল আড়াল করতে রুম থেকে
বের হয়ে পাশের রুমের বেলকুনিতে চলে গেলো।
পর্ব০৫ এর লিংক👇👇
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=135277518351962&id=111134014099646
এভাবেই কয়েকটা দিন কেটে গেলো। আকাশ মেঘকে অনেকটা সময় দেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও অফিসের কাজ সামলে খুব একটা সময় পায় না তবুও চেষ্টার কোনো ক্রুটি রাখে না।
সকাল বেলায় আকাশ নাস্তা করে অফিসে চলে যায়..।।
মেঘ আর ওর শ্বাশুড়ি সোফায় বসে গল্প করছে। এমন সময় মেঘের ফোনে একটা কল আসে।মেঘ ওর শ্বাশুড়ি মাকে বলে যে বাহিরে একটা কাজ আছে যেতে হবে।
মেঘের শ্বাশুড়ি খুব ভালো মনের একজন মানুষ।। উনি কোনো রকম বাধা দেয়নি। মেঘ মিলিকে মায়ের খেয়াল রাখতে বলে বাসা থেকে বের হয়ে একটা টেক্সি করে রেস্টুরেন্টে চলে গেলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে
দেখে আগে থেকেই তার বান্ধবী অরিন ওর জন্য অপেক্ষা করছে। এরপর মেঘ চেয়ারে বসে আর কফি অর্ডার করে। এরপর মেঘ তানহকে বলে উঠলো……..
চলবে কি….??