আধারের মায়াবী ডাক পর্ব -০১

আপন ভাতিজি কে ধর্ষন করে ব্যাপার টা ধামাচাপা দিয়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয় কবির! বেশ হালকা লাগছে! অনেক দিন ধরে মেয়েটার উপর নজর ছিলো। বেশ আকর্ষনীয় দেহ মেয়েটার! যাক আজ শেষ হলো অপেক্ষা!

ভাবতে ভাবতে ঘুম চলে আসছে তার! বাইরে তুমুল ঝড়!

বাইরে

ঝড়ের মধ্যেই হাতে দড়ি নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছে তারিন! পরিবারের আপন মানুষ দের সামনে চাচার কাছে আজ তার ইজ্জত হারিয়েছে সে। মা দেখেছে,মামা, মামি কেউ বাধা দেয়নি! কেন?

কাদতে কাদতে পাগলের মতো ছুটছে! পেছন থেকে কাদতে কাদতে বুড়ো নানী আসছে

:তারিন থাম! ওরে পাগলামি করিস না!(নানি)

তারিন থামছে না! মাঠের মাঝের গাছ টার কাছে গিয়ে চিৎকার দেয় তারিন! পেছন থেকে আসা নানি কাছে এসে তিনিও চিৎকার দেয়! একটা ছেলে উলটো ভাবে ঝুলছে! ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না

তখনই বাজ পড়ার শব্দ হয় আর চারদিক বাজের আলো ছড়িয়ে পড়ে! সেই আলোতে তারিন দেখে সে ছেলেটা ঠিক তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে!।
তারিন ভয়ে পালানোর চেস্টা করে কিন্তু তার পা মাটিতে জমে যায়! তারিন আর নানি এক জায়গায় দাড়িয়ে কাদতে থাকে!বাজের আলো চলে যেতেই তারিন খেয়াল করে সেখানে কেউ নেই!

তারিন ভাবলো তার মনের ভুল!

তখনই পেছন থেকে…

:এখানে এতো রাতে কি?

শুনেই তারিন আর নানি পেছনে তাকায়! সেই ছেলেটা ঠিক তাদের পেছনে! দেখেই তারিন আর তার নানি জ্ঞান হারায়!



যখন তারিনের জ্ঞান ফিরে তখনই দেখতে পায় তারা একটা বাসায় আছে! সামনে আগুন জ্বলছে আর পাশে ছেলেটা বসে আছে

:উঠেছেন তাহলে?(ছেলেটা)

:কে আপনি? আমাকে এখানে কেন এনেছেন? (তারিন)

:আমি গ্রামে একটা কাজে এসেছি! আপনি জ্ঞান হারিয়েছেন তাই নিয়ে এলাম

:নানি?

:তিনি অন্য রুমে ঘুমাচ্ছেন! তিনি আগেই জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন

:ওহ

:বললেন না কেন রাতে দড়ি নিয়ে

:আমার জীবন রেখে লাভ কি!

:কেন?

:অনেক আগে থেকেই আমার উপর চাচার নজর ছিলো! আমার মা মামি চাচা খালা চাচা এরা অবৈধ সম্পর্ক ছিলো! চাচা আমাকে চেয়েছিলেন!যখন আমি এসব জানতে পারি তখন আমাকে তারা ঘরে আটকে…

আর বলতে পারে না তারিন!

ছেলেটার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায়

:অপরাধ কি আপনি করেছেন?(ছেলেটা)

:না!(তারিন)

:তাহলে আপনি কেন মরবেন?

:ওদের ক্ষতি কে করবে?

:যান ঘুমিয়ে পড়ুন!অনেক।রাত হয়েছে।

তারিন কিছু না বলে শুয়ে পড়ে! তার ভয় ও করছে না!কারন হারাবার মতো তার কিছু নেই!

তারিন ঘুমিয়ে পড়তেই ছেলেটা একটা লম্বা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়!

অন্যদিকে

ঘুম ভেঙে যায় কবিরের। প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হবে! বাসা থেকে বের হতেই খেয়াল করে উত্তর দিকে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে

:এই কে ওখানে?(কবির)

:কবির?(অন্ধকার থেকে)

কবির উত্তর দেয় না

:কবির!!!!(আবার ডাক)

কবির তাড়াতাড়ি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে বের হয়

:কবির?????(আবার ডাক)

:আরে কি হইসে?

:চাচা এদিকে এসো(তারিনের কন্ঠে)

:তুই বাইরে? ওহ মজা পেয়েছিস! এখন আবার তাই তো

:হুম!!

কবির হাসতে হাসতে অন্ধকারে হারিয়ে যায়।

পরেরদিন সকালে
মাঠের মাঝে সেই গাছের প্রতি ডালে ডালে কবিরের দেহ ভাগ ভাগ করে কেউ ঝুলিয়ে দিয়েছে! এতো ভয়ানক কাজ কে করতে পারে!।
গ্রামের মাঝে একটা ভয় তৈরি হয়

কে করলো কাজ টা….
সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা
চলবে…

#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here