#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_৭
গ্রামে একের পর এক খুন। কিছু তেই কিছু হচ্ছে না।
।
।
।
অন্যদিকে….
:ধন্যবাদ তুমি আমাদের কথা যেতে রাজি হয়ে গেলে(নাদিয়া)
চা নিয়ে এসে বসে আয়েশা।
:নাদিয়া। এটা আমার দায়িত্ব। রাতে ঘুম কেমন হলো?(আয়েশা)
:ভালোই।
:আপু একটা কথা ছিলো?(তারিন)
:হুম বলো?(আয়েশা)
:কাব্য কে?
একটা লম্বা শ্বাস ছাড়ে আয়েশা।তারপর হেসে তাকায়
:কাব্য! শোনো তবে…
কাব্য হচ্ছে জ্বিনদের একটা রাজ্যের প্রিন্স,মানে রাজকুমার। জন্মের পর তার শক্তি এতো কম ছিলো যে সবাই হাসাহাসি করতো। কাব্যের বাবা এ নিয়ে হতাশ ছিলেন। তিনি ভাবলেন এই ছেলে এই জ্বিন সমাজের জন্য কলংক। তাই তিনি কাব্যকে সব সময় দূরে রাখতেন। কাব্য রাজ্য থেকে একটু বাইরে গুহায় থাকতো। কাব্যের খেয়াল রাখার মতো শুধু এজন সেনা থাকতো। কাব্য আর তার মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক।
কাব্যের বয়স তখন ৫।এক দিন অন্য রাজ্য থেকে একদম খারাপ জ্বিন তাদের এলাকায় ঢুকে যায়। তারা বেশ শক্তিশালী। এই রাজ্য থেকে অনেক চেস্টা করেও তাদের আটকাতে পারেনি।
হঠাৎ একটা জ্বিন সেই গুহার দিকে আসে৷ কাব্যকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় কিন্তু সে পেরে উঠে না আর মারা যায়৷ কাব্য প্রচন্ড ধাক্কা খায়। ছোট কাব্য সেই সেনা জ্বিনের কাছে এসে তাকে ডাকতে থাকে।তখন সেই খারাপ জ্বিন টা বলে উঠে এবার তুই ও মরার জন্য তৈরি হ!৷ কথাটা কাব্যের গায়ে লাগে। প্রচন্ড রেগে একটা চিৎকার দেয়। কাব্যের শরীর থেকে বেগুনি রঙের আলোর আভা বের হতে থাকে। চোখ বদলে যায়। পিঠ থেকে বেরিয়ে আসে দুটো বিশাল ডানা। কাব্য এবার চুপ করে সেই জ্বিনের দিকে তাকায় আর কাছে একটা হাত দিয়ে হালকা ভাবে একটা আঘাত করে, সাথে সাথে জ্বিন ভাগভাগ হয়ে শেষ হয়ে যায়।
কাব্য এবার রাজ্যের দিকে হাটা শুরু করে। কাব্যের কাছে কেউ আসতে পারছে না।বেগুনি আভার কাছে আসতেই সব ছাই হয়ে যাচ্ছে।
কাব্য আসতে দেখে কাব্যের বাবা খুশি হন কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করেন যে কাব্য যেখান দিয়ে আসছে সব ছাই হয়ে যাচ্ছে। কাব্য ঠিক তার দাদার মতোই শক্তিশালী। এটা দেখে সবাই কে আদেশ দেন কাব্যকে ঠেকাতে ঠিক তখনই….. ”
:কি আপু!(তারিন)
:কাব্য নিজের শক্তি দিয়ে সব শেষ করে দেয়।সব।
:তার পরিবার
:সব
:তারপর?
:তার দাদা রাজ্যে এসে কাব্যের শক্তি নিয়ে নেন।কাব্য কে জ্বিন দের দুনিয়া থেকে এখানে পাঠিয়ে দেয় যেখানে সে তুষার কে পায়ম, যে ঠিক তার মতো দেখতে। কাব্য তুষার এর দেহে প্রবেশ হলেই কিছু শক্তি পায়।
:কাব্য খারাপ না ভালো?
:জানিনা।
:নিধি কে? আর কাব্য তুষারের থেকে আলাদা হলো কেন?
বলতেই আয়েশার চোখে ভেসে সেই রাতের দৃশ্য। সামনে অনেক লাশ।কাব্য তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
:আচ্ছা চলো বের হতে হবে(নাদিয়া)
আয়েশা চুপ থেকে রুমে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়।
অন্যদিকে গ্রামে
সেই বনের চারদিকে ইলেকট্রনিক ওয়ার লাগিয়ে দেয়া হয়। গ্রামের সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে ওঝা কবিরাজ নিয়ে আসে
সবাই নিজ নিজ উপায়ে সেই প্রানীটাকে আটকে চেস্টা করে। একজন ওঝা সবার হাতে একটা ধাগা বেধে দেন আর বলেন যে আর কিছু হবে না।
এসময় টায় তামিম ছিলো না।।
রাত ৮টা
বাজারের এক কোণে করিম মিয়ার দোকান।
রোজ এই সময়টায় মানুষ দোকানে থাকে।কিন্তু আজ নেই।
হঠাৎ দূর থেকে ঘন্টার শব্দ আসে।
:সবাই দোকান বন্ধ করে বাজারের মুখে আসেন।
ঘোষণা হয়। রোজ এভাবেই সবাই বাড়িতে ফেরে ভয়ে। কিন্তু করিম মিয়ার আজ ভয় নেই। হাতে তো ধাগা আছেই
দোকানের কাজ করতে থাকে।
১০মিনিট পর বাজার পুরো ফাকা। করিম মিয়া নিজের নিশ্বাস এর শব্দ শুনতে পারছে।
শরীর কেপে উঠে। দ্রুত কাজ শেষ করে দোকান বন্ধ করে বের হয়। বাজার একদম ফাকা।
ধীরে ধীরে হাটা ধরে করিম মিয়া। বাজার থেকে বেরিয়ে কাচা রাস্তা দিয়ে হাটতে শুরু করে। বুকের ধড়ফড় বেড়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ কানে আসে পি পি পি।
চমকে পেছনে ঘুরতেই দেখে সেই প্রানী..
একটা না,৩টে। একটার মুখ অনেকটা কবিরের মতো আর আরেকটা শফিকের মতো।করিম ভয় পেয়ে ছুটতে থাকে। পেছন থেকে পি পি পি শব্দ আসছে।কিন্তু পিছু নিচ্ছে না…
গ্রামে গিয়ে জানতে পারে সেই বাজার থেকে ফেরা দলের একজন কে টেনে নিয়ে মেরে ফেলেছে প্রানীটা।
সবাই কে বলে যে সে ৩ টা প্রানী দেখেছে।
সবার দম বন্ধ হয়ে আসে। প্রানী গুলো সংখ্যায় বাড়ছে কিভাবে???
চলবে…
(