আধারের মায়াবী ডাক পর্ব -০৮

#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_৮

তারিন নাদিয়া আয়েশা গ্রামে ফিরে আসে। তামিম তাদের ভেতরে নিয়ে আসে।
তামিম বাঘ আর প্রানী গুলোর প্রভাব আর সংখ্যা বাড়ার কথা বলে তাদের।
সব শুনে আয়েশা বেরিয়ে যায়। সে কিছু চেনে না তাও এমন ভাবে যে সে সব চেনে।

কিছুক্ষন পর আয়েশা ফিরে আসে।

তাকে দেখেই সবাই ছিটকে দূরে সরে যায়। কারন পেছনে কাব্য!।

:বসো(আয়েশা)

কাব্য চুপ করে বসে।

:আসলে এইসব শুরু হয়েছে….

:জানি!(কাব্য) তারিনের চাচাকে আমিই মেরেছি

সবাই চমকে উঠে।

:কিহ?(তামিম)

:হুম!

:কেন?

:যার যা প্রাপ্য।

:এর জন্য আইন আছে

:আমার জন্য নেই!

:কাব্য কিন্তু তুমি ত…

:আমি তুষারকে ফলো করে এখানে এসছি।

:ওহ

:আমাদের বাচান। (গ্রাম প্রধান)

:পারবো না। এটা তোমাদের করতে হবে

:কিভাবে?

:তোমাদের আমি কিছু শক্তি দেই তোমরা লড়াই করো

:হ্যাঁ আমরা রাজি! (সবাই)

কাব্য হেসে উঠে।

:একটা শর্তে(কাব্য)

:কি?(নাদিয়া)

:গ্রাম প্রধানের মেয়েকে আমার এক রাতের জন্য চাই আর সবার বউ দের সাথে মিস্টি আলাপ করতে চাই।

সবাই ক্ষেপে যায়। গায়ে লাগার মতো কথা। সবাই লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে।কাব্য নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।সবাই আঘাত করবে তখনই কাব্য চোখ তোলে। একটা বাতাসের ধাক্কা সবাই কে সরিয়ে দেয়।

কাব্য গিয়ে গ্রাম প্রধানেত গলা চেপে ধরে।

:এখন খুব সাহস তাই না। এই সাহস টা তখন কোথায় ছিলো যখন ১৭ টা মেয়ে কে রেপ করা হয় এই গ্রামে? এই সাহস তখন কোথায় ছিলো যখন এই গ্রামে পরকিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১টা বাচ্চা ২ টা লোক খুন হয়। এসব হয় তোদের চোখের সামনে, কিন্তু তোরা তো নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। তাই না তাহলে এই সাহস এখন কে দিলো। একটা ক্ষমতাশালী লোকের ভয়ে চুপসে যাওয়া মানুষ এখন জ্বিনদের সাথে লড়াই এ প্রস্তুত। এই সাহস টা আগে এলে এই বিপদ আসতোই না। এই প্রানীর থেকে ভয়ানক হচ্ছিস তোরা। এই প্রাণি একেবারে মারে আর তোরা জীবন্ত লাশ বানিয়ে দিস!

কাব্য গ্রাম প্রধান কে ছুড়ে মারে।

তারপর আবার বসে পড়ে।
সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।

:কাব্য! (আয়েশা)

:আমি কোনো সাহায্য করতে পারবো না তুমি জানো আমার এখন কোন শক্তি নেই।

:কিন্তু কোনো উপায় তো আছে?

:এই প্রানী রোজ রাতে কারো হ্রদপিন্ড খায়৷ না খেলে এটি বাচতে পারে না।

তখনই তামিম চমকে উঠে বলে

:হ্যাঁ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এ বলা হয়েছে কারো হ্রদপিন্ড ছিলো না।

:হুম,সবাই কে রাতে বের হতে দিওনা। এটাই শেষ উপায়। চলি!

বলেই কাব্য বেরিয়ে যায়

:ও কি চলে গেলো?(তারিন)

:হুম! তবে ও আছে খুব কাছে(হেসে বলে আয়েশা)

সবাই কাজে লেগে পড়ে। সব ঘরের বাইরে বেড়া দেয়া হয়। রাতে ঘর থেকে বের হওয়া মানা।

বিকেলে

মাঠের এক কোণায় আয়েশা আর তারিন বসে আছে

:আপু ওরা বলল প্রানী গুলোর সংখ্যা বাড়ছে এর কারন কি?(তারিন)

:হয়তো যাদের ও মারছে তাদের কারিন কেও এতে যোগ করিয়ে নিচ্ছে (আয়েশা)

:তুষার কি ফিরবে?

:কাব্য

:ওই তুষার আহমেদ কাব্য একই

:হিহি আচ্ছা এই গ্রামে এতো অন্যায় কেন?

:অনেক আগে থেকেই এমন। জমিদার রা এমন। কি করবো

:এখন সাদেক বেচে আছে?

:না। উনি ১০ বছর আগেই মারা গেছেন

:হুম।

:কি করছো তোমরা? (তামিম এসে)

:এই গল্প!

:আয়েশা বাঘ টার ব্যাপারে কিছু জানতে পারলে?

:আমিও সেটাই ভাবছি।কাব্য ও কিছু বলতে পারেনা।বাঘ টা এলো কিভাবে?

:ওহ

তামিম চুপ করে বসে।

:আচ্ছা আয়েশা আপু তুমি কাব্য কে রাজি করালে কিভাবে?

:হিহি বুঝতে হবে

:তুমি ওর জিএফ?

:না তো

:বউ?

:না

:তাহলে?

:বন্ধু

:কিভাবে রাজি করালে?

:বলবো না হিহি

রাত ১০ টা।

সবাই নিজ নিজ ঘরে। ভয়ে আছে সবাই। আজ কেউ বাইরে নেই।

সবাই জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।কুয়াশার চাদরে চারদিক ঢেকে আছে।

রাত ১১ টা

সবাই শুয়ে পড়ে…
নিস্তব্ধতা চারদিকে।

রাত ১২।

হঠাৎ…

” আমার রক্ত চাই! আমার রক্ত চাই! কেউ আমাকে রক্ত দাও! রক্ত দাও! আমার রক্ত চাই!!”

একটা মায়াবী কন্ঠে বাইরে থেকে কথা গুলো ভেসে আসছিলো।

সবার ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যায়।

জানালা বন্ধ করে সবাই চুপ হয়ে থাকে।

বাইরে থেকে সেই জিনিস টা সবার ঘরের সামনে গিয়ে ঘরের সবার নাম ধরে ঢাকতে শুরু করে। এতো মায়াবী ডাক। নিজেকে আটকে রাখা কস্টকর।

তাও নিজেদের শক্ত করে রাখে।

কিন্তু

হারুন নামে একজন ডাক টা সহ্য করতে না পেরে দরজা খোলে। সাথে সাথে টান দিয়ে তাকে নিয়ে কুয়াশার আড়ালে নিয়ে যায়…..

সবাই চুপ হয়ে থাকে

কিছুক্ষন পর একটা হাসির শব্দ ভেসে আসে বাইরে থেকে তারপর সব শান্ত….

এক এক করে কি সবাই কে প্রান দিতে হবে? এই মায়াবী ডাক টা কার?

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here