আধারের মায়াবী ডাক পর্ব -০৯

#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_৯( মহাসূচনা)

মায়াবী ডাক টা থেমে যাবার পর সবাই বাইরে তাকিয়ে দেখে সব শান্ত।কিন্তু সবদিক্ব রক্ত ছিটিয়ে আছে।

।।


অন্যদিকে
গ্রামের এক কোণায় দাড়িয়ে আছে কাব্য! হঠাৎ তার মনে হচ্ছে কেউ যেন আসছে

ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখলো কুয়াশা ভেদ করে একটা মেয়ে আসছে।চুল দিয়ে মুখ ঢাকা। একটা মায়াবী সুরে গান গাইছে। কাব্য অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটির পেছনে আসছে শত শত ওই রকম প্রানী।

মেয়েটি কাব্যের দিকে ঘুরে একটা হাসি দেয়। যা কাব্যের বিরক্তিকর লাগে। মেয়েটির পেছন থেকে একটা প্রানী দ্রুত এসে কাব্যের উপর আক্রমণ করবে তখনই কাব্য তার মুখ চেপে ধরে মাটি থেকে তুলে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে চাপ দিয়ে প্রাণিটির মাথা ভেঙে ফেলে।

মেয়েটি আবার হাসে। কাব্যের প্রচন্ড রাগ হয়। দৌড়ে মেয়েটির দিকে এগিয়ে যায় আর সব শক্তি দিয়ে একটা ঘুষি মারে

কিন্তু মেয়েটি এক হাত দিয়ে কাব্যের হাত ধরে ফেলে। এই সংঘর্ষ এর জোর এতোই ছিলো যে চারদিকের গাছপালা ভেঙে পড়ে। কাব্য ঘাবড়ে যায়। আজ প্রথম বার সে এতোটা ঘাবড়ে যায়। কাব্য হাত ছাড়িয়ে আরো আঘাত করতে থাকে।কিন্তু মেয়েটির কিছুই হচ্ছে না।

মেয়েটি হাসছেই।

কাব্য এবার আবার ঘষি মারবে তখনই মেয়েটির কাব্য কে তুলে ছুড়ে মারে ইশারায়। কাব্য উঠতে পারছে না৷ সামনে শতশত প্রানী নিয়ে মেয়েটি দাঁড়িয়ে।
ʷʳⁱᵗᵗᵉⁿ ᵇʸ ᵗᵘˢʰᵃʳ ᵃʰᵐᵉᵈ ᵏᵃᵇᵇᵒ
হঠাৎ কানে আসে পি পি শব্দ। কাব্য জ্ঞান হারায়

সকাল বেলা গ্রামবাসী কাব্য কে পায় মাঠের মাঝে গাছে। উল্টো করে ঝুলিয়ে দিয়েছে কেউ।

কাব্যকে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সবাই ভয় পায়।কারন কে কাব্যের মত কাউকে এভাবে আঘাত করতে পারে।

তামিম চিন্তায় পড়ে যায়। তারিন কাব্যের সেবা করছে।আয়েশা আর নাদিয়া চুপ করে বসে আছে।

হঠাৎ কাব্য উঠে বসে।

:কাব্য তুমি ঠিক আছো?(নাদিয়া)

:ও কোথায়?(কাব্য)

:কোন মেয়ে

কাব্য সব কিছু খুলে বলে।সবাই চুপসে যায়।একটা প্রানীর দাপটে এতোদিন সবাই ভীত ছিলো।এখন নাকি শতশত। আর মেয়েটা? মায়াবী ডাক!

:এবার কি হবে!(তারিন)

:তামিম তুই, আয়েশা নাদিয়া তারিন আশেপাশের সব গ্রামে খোজ নে। রেপ হওয়ার পর কোন মেয়ে সুইসাইড করেছে,আর মেয়েটা ভালো গান গাইতে পারে। (কাব্য)

:আর তুই?(তামিম)

:আমি লড়বো।

:পারবিনা

:যতক্ষন পারি

:কিন্তু

:যা তোরা।

তামিম আর বাকিরা বেরিয়ে যায়।

আশেপাশের অনেক গ্রাম খোজে ওই মেয়ের সন্ধানে। খুজতে খুজতে তারা পৌঁছে যায় একটা বাসায়। মেয়েটর মা কে পায়। মেয়েটার নাম অনুরাধা। মেয়েটা রাতে গান গাইতে পছন্দ করতো।কিন্তু এক রাতে কিছু লোক ওকে তুলে নিয়ে রেপ করে আর এই জন্য অনু আত্নহত্যা করে। কিন্তু আজব ব্যাপার ওর লাশ চুরি হয়ে যায়।

এটা শুনে তামিম কিছুটা বুঝতে পারলো কি হচ্ছে এসব। তামিম সোজা শ্মশান এ চলে যায়। ভালো করে চারদিক খেয়াল করে। হঠাৎ চোখ পড়ে দক্ষিন দিকে। সেদিকে একটা ছোট বনের মতো। তামিম ভেতরে যায়। কিছুদুর যেতেই দেখল একটা স্থান।দেখে মনে হচ্ছে রোজ এখানে আগুন জ্বালানো হয়।

তামিম বুঝতে পারে এবার তাকে কি করতে হবে। এবার এইসব থামাতে হবে।

অন্যদিকে সন্ধ্যা ৭ টা বাজে।কাব্য তলোয়ার হাতে নিয়ে গ্রামের মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। একটা বড় লড়াই হতে যাচ্ছে। কাব্য পারবে? নাকি মারা পড়বে?

কিছুক্ষন পর হঠাৎ চারদিক থেকে অনেকরকম শব্দ আসতে থাকে। কাব্য চুপ করে দাড়িয়ে থাকে। হঠাত ঝোপ থেকে একটা প্রানী বের হয়ে কাব্যের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ১০সেকেন্ড সময় লাগেনি

প্রানীটার মাথা আলাদা হয়ে যায়। কাব্য তলোয়ার রেখে এবার বসে পড়ে।

এবার ২টো প্রানী বের হয়। কাব্য বসেই তলোয়ার দিয়ে মেরে ফেলে তাদের।

এবার কাব্য বিরক্ত হয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখে ২০-৩০ টা প্রানী কুয়াশা ভেদ করে আসছে।

কাব্য উঠে দাঁড়ায়। নিজেই এগিয়ে যায়। এবার এইসব থামাতে হবে..

অন্যদিকে.. শ্মশান এর সামনে হাতে মশাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তামিম। এবার আসল খেলা শুর

একদিকে কাব্য প্রানীদের সাথে লড়াই শুরু করে আর অন্যদিকে তামিম শ্মশানের বনে প্রবেশ করে…

কি হবে এবার? এটা তো সময়ই বলে দেবে….
চলবে…
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here