#গল্পঃস্বামী
#পর্বঃ২
#লেখকঃপারভেজ_ইসলাম
আস্তে আস্তে করে নিচের চোঁখজোড়া খুললাম।খুলতেই মাথায় সর্বপ্রথম খেয়াল আসলো আমার বাচ্চা।উঠে বসে নিজের পেটে হাত রাখলাম।ও ঠিক আছে তো?ওর জন্যই এখন বাঁচতে হবে আমাকে।হুম ঠিক আছে।কিছু টা অবাক হলাম এই ভেবে আমি একদম সুস্থ আছি!কিন্তু মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর কি ঘটেছিল আমার সাথে?আর এখন কোথাই আমি?নিজের চারিদিকে চোঁখ বোলাতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সুবিশাল এক কক্ষে।কক্ষটা সাদা রঙে রাঙানো।জালনা গুলোতেই সাদা রঙের পর্দায় দোল খাচ্ছে।দেয়ালে খুব সুন্দর কারুকার্য করা।আমার ডানহাতেই রয়েছে দেয়াল জুড়ে বিশাল বড় এক আলমারি।আমি যে খাটে শুয়ে বেশ সুন্দর। কিন্তু এইখানে কিভাবে পৌঁছালাম?এতো বড় বাড়িতে কেই বা ঠাই দিলো আমায়?এরই মধ্যে রুমে প্রবেশ করলেন মধ্যবয়সী একজন নারী।তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি এই বাড়ির মুরব্বি।খুব সুন্দর ঘিয়ে রংএর শাড়ি তার পড়নে।গলায় সাধারণ ডিজাইনের চেইন।কানে দুটো রিং।আর হাতে সোনার চুরি।উনি বেশ হাসিখুশি আর পরিপাটি।উনি এসে আমার মাথায় খুব সুন্দর করে হাত বুলিয়ে দিলেন।
মুরব্বিঃএখন শরীর কেমন আছে?এই অবস্থায় কেউ এতো ভাড়ী ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় বের হয়?
আমিঃআপনি কিভাবে বুঝলেন যে আমি অন্তসত্ত্বা?(কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।কারণ আমি সপ্তাহ খানেক আগেই জেনেছি।তাই দেখে বুঝতে পারার কোনো উপায় নেই)
মুরব্বিঃডাক্তারে বলছে।আর শুনো এই সময় বাসায় থাকতে হয়।
আমিঃযার মাথা লুকানোর কোনো জায়গা নেই তাকে রাস্তাকেই বাড়ি ভেবে আকাশের নিচে মাথা লুকাতে হয়।(মাথা নিচু করেই বললাম)
মুরব্বিঃকে বলেছে মাথা লুকানোর জায়গা নেই।এই যে এতো বড় রুম।
বুঝতে বাকি রইল না যে উনি আমাকে অসহায় ভেবে থাকার জায়গা দিতে চাচ্ছেন।
আমিঃমাফ করবেন কিন্তু আমার পক্ষে এইখানে থাকা সম্ভব নই।আমি জানি না আপনি কে,,কিভাবে পৌছেসি এইখানে,,কিন্তু আমি অসহায় হলেও অবলা নাহ।নিজের জন্য কোনো না কোনো ব্যবস্থা ঠিকিই করে নেব।
কথাগুলো বলতে বলতে গায়ে দেওয়া পাতলা চাদরটা সরিয়ে উঠে দাড়ালাম।কিন্তু আবার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে ফলে জলদি করে বিছনায় বসে পড়ি।মুরব্বি আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে আমাকে ধরেন।
মুরব্বিঃআরে এই অবস্থাই এতো তাড়াহুড়ো করতে নেই।ডক্টর বলেছে তোমার শরীর অতিরিক্ত দুর্বল আর তুমি কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তায় আছো।কিছু ঔষধ দিয়ে গিয়েছেন।এসব যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে খাবার খাও।ঔষধ খাও।
আমি মাথা চেপে ধরে উনাকে বললামঃকিন্তু আমি এইখানে পৌছালাম কিভাবে?আমি তো…
মুরব্বিঃতুমি রাস্তায় হাটতে হাটতে বেঁহুশ হয়ে যাও।আমার দাদুভাই তোমাকে পেয়ে নিয়ে এসেছে।কপাল আছে তোমার যে আমার দাদুভাই সময় থাকতে তোমাকে দেখে নিয়ে এসেছে।নইলে এমন চাঁদের মতো মাইয়ারে লোকে পাইলি রাইখা যাইতো নাকি?আর তোমার স্বামী কই থাকে?
“স্বামী”শব্দটা শুনতেও এখন ঘৃণা করে।শব্দটার প্রতিশব্দ হিসেবে বেইমান,বিশ্বাসঘাতক এই শব্দগুলোকে জায়গা দিতে পারতাম।রাইহান আমার লুকের জন্য আমার সাথে এতোবড় বেইমানিটা করল।
মুরব্বিঃকি হলো স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে এসেছিলে নাকি বাড়ি থেকে।
আমি কাঁদতে কাঁদতে উনাকে জড়িয়ে ধরি।
মুরব্বিঃআরে আরে তুমি কাদো কেনো?কি হয়েছে?আমাকে বলো।এত্তো বড় মাইয়া এইভাবে কাদলে লোকে কি বলবে?
আমিঃআমার সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে।আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে অন্য মেয়ের সাথে ঘর বেঁধেছে।আমি দেখতে ভালো না বলে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে।বলেছে আমার সাথে বাহিরে বেরোলে তার নাকি নাক কাটা যাই।(কানতে কানতে হেঁচকি তুলতে তুলতে কথাগুলো বললাম)
মুরব্বিঃযে ঘরে বউ থাকতে বাইরের মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে তুমি তার জন্য এইভাবে কাঁদছো?আর যে তোমায় অসুন্দর বলেছে সে তো সৌন্দর্যের অর্থই বোঝে না।কি সুন্দর চাঁদের মতো তুমি।চোঁখ মুছো।নাম কি তোমার?
আমিঃজান্নাত।(চোঁখ মুছতে মুছতে)
মুরব্বিঃবাহ বেশ মিল যে সুরত আর নামের।তুমি আমাই দাদি বলে ডেকো।
আমিঃযিনি আমাকে এইখানে এনেছেন উনার সাথে কি একবার দেখা করার সুযোগ হবে দাদি?
দাদিঃদাদুভাই এখন অফিসে।আসার বহুত দেরি।তুমি বরং ঔষধ খাওয়ার জন্য কিছু খাও।আর তুমি ওই ছেলের জন্য আর এক ফোটাও চোঁখের জল ফেলাবে না।দাদুভাই আসুক বউকে রেখে বাইরে ফুর্তি করা।দাদুভাইকে নালিশ দিও।তুমি কি খাবে আমাকে বল।ছোটো দাদুভাই এর তো মনে হয় খিদে পেয়েছে।
আমিঃ(আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করছে নাহ
কিন্তু বাবুই এর জন্য কিছু খেতে হবে)আপনি বাসায় যে খাবারি আছে তাই দেন।
দাদিঃআরে এইভাবে বললে হয় নাকি?তুমি স্যুপ খাবে আমি স্যুপ নিয়ে আসছি বসো।
আমিঃজ্বি।
🥀
অধির আগ্রহ নিয়ে সেই ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করছি যিনি আমাকে আজকে সাহায্য করেছেন।যার জন্য এখন একদম সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে এই চার দেয়ালের মাঝে খাটের উপর বসে আছি।দুপুর থেকেই অপেক্ষা করছি,,এখন রাত ১০ টা,,রাতের খাবার খাওয়াও শেষ,, কিন্তু তার আসার নামে খোঁজ নেই।তিনি আসলে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বুঝিয়ে বলে কালকে চাঁদপুর চলে যাবো আমার মামাতো বোনের কাছে।দাদি এই কয়েক ঘণ্টার পরিচয়ে আমাকে যেন এই বাড়িরই সদস্য ভাবতে শুরু করেছেন।তাকে হাজারবার বুঝিয়েও লাভ যে হবে না তা আমার জানা আছে।এম এ পাস যেহেতু ওই খানে গিয়ে বোনকে বললেই কোনো চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যাবো।বাবুইকে আমি একাই মানুষ করব।লাগবে না কোনো বেইমানকে।ওকেও একদিন বুঝিয়ে দেব কি হারিয়েছে।খুব আম্মু আব্বুর কথা মনে পড়ছে।আব্বু আম্মুর কথা মতো সেইদিন বিয়ে করলে আজকে পরিস্থিতিটা অন্যরকম হতো।মা-বাবাকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি পাচ্ছি।এরই মধ্যে শুনতে পেলাম গাড়ির শব্দ।আমি আস্তে আস্তে রুমের থেকে বেরোলাম।এই প্রথম জ্ঞান ফেরার পর রুম থেকে বের হলাম আমি।বাসাটা যতটুকু না ভেবেছিলাম তার থেকেও অনেক বেশি সুন্দর।ডুপ্লেক্স বাসা।মুভি গুলোর মতো।মাঝখান দিয়ে সিড়ি।নিচে নেমেই ডাইনিং।আমি সিড়ির র্যালিং ধরে ধীরে সুস্থে নিচে নামলাম।ড্রয়ংরুমে দাঁড়িয়ে আছি।কিচ্ছুপর সেই ব্যক্তি দরজার কাছে আসলেন।কিন্তু পিছনে মুখ ঘুরিয়ে কারো সাথে কথা বলার জন্য তার চেহারা দেখা যাচ্ছে না।উনার পরনে কালো কোর্ট,কালো প্যন্ট,ভিতরে সাদা শার্ট উনি বেশ লন্বা।আমি কিছুটা এগিয়ে গেলাম।কি কি বলব উনাকে মনে মনে ঠিক করে রেখেছি।কিন্তু সেই বক্তি আমার দিকে তাকাতেই যেন আমার পায়ের তলা থেকে আস্তে আস্তে মাটি সড়ে গেল।নিজের চোঁখকে বিশ্বাস করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে আমার জন্য।মন যেন মানতে নারাজ যে ইনি সেই ব্যক্তিই ৩ বছর আগে মা-বাবার সাথে যাকে কষ্ট দিয়েছিলাম।যাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবো না বলে বিয়ের আগের দিন রাতে রাইহানের হাত ধরে পালিয়েছিলাম।উনাকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছি আর সেই তিনিই আজকে আমার জন্য মসীহা হয়ে এসেছেন।এই বিপদে আমাকে উদ্ধার করেছেন।কোন মুখে দাঁড়িয়ে থাকবো তার বাড়িতে,,তার সামনে।তাড়াতাড়ি চোঁখ নামিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম।আমার মনে হয় উনি হয়তবা আমাকে চিন্তে পারেননি।নইলে সেইদিন উনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অপরাধে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতেন।কিন্তু এসব ভাবার মুহুর্তেই আদৃত আমায় অবাক করে দিয়ে বললেন,
আদৃতঃজান্নাত আপনি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে নিচে নেমে এসেছেন কেন?
আমি আমার চোঁখ জোড়া বড় বড় করে মাথা উচু করে তার দিকে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,
আমিঃআপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন তার মানে?
আদৃতঃনিজেকে ভুলে গেলেও আপনাকে ভুলে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নই।
উনার এই এক বাক্যের যে গভীর অর্থ রয়েছে তা আমি সামান্য হলেও বুঝতে পেরেছি।লোকটা একসময় অনেক ভালোবাসতেন আমাকে।নইলে আমাদের ব্যাপারে কিছু না জেনে না শুনে আমাকে বিয়ে করে বাবা-মার সকল দায়িত্ব নিজের কাধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন না।উনি আবার বললেন,
আদৃতঃআপনি কি রাতের খাবার খেয়েছেন?খাবার খাওয়া না হলে খেয়ে নিন।
আমিঃজ্বি খাবার খেয়ে নিয়েছি।আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিল আমার।
আদৃতঃআপনি আপনার রুমে গিয়ে একটু অপেক্ষা করেন।আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছি।
আমি কিছু না বলেই সিড়ি দিয়ে উঠতে লাগলাম।আদৃত হঠাৎ করে এসে আমার সাথে উপরের দিকে যেতে লাগলেন।
আদৃতঃএই অবস্থায় আপনাকে একা উপরে যেতে দেওয়া ঠিক হবে না।আমার রুমো উপরে আপনি যে রুমে থাকেন তার পাশের রুম।
আমিঃজ্বি। ধন্যবাদ উপকার করার জন্য।
আদৃত কিছু না বলেই আমাকে সামনের দিকে এগোতে ইশারা করলেন।
🥀
রুমে চুপচাপ বসে আছি।আগে প্রতি ঘণ্টায় রায়হান আমার গলার স্বর শুনতে না পেলে নাকি তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতো।তখন শুনতে খুব ভালো লাগলেও এখন ভাবতেও হাসি পাচ্ছে।খুব মন চাচ্ছে রায়হান ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি”আমার কণ্ঠস্বর এতোক্ষণ না শুনার পরও তুমি বেঁচে আসো কিভাবে রায়হান?”ভাবতে ভাবতে দরজায় কেউ নক করল।সামনে তাকিয়ে দেখি আদৃত।
আদৃতঃভিতরে আসতে পারি?
আমি তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে বললামঃবাড়িটাতো আপনার।অবশ্যই আসতে পারেন।
আদৃতঃআমি আপনার অফিসের বস নয় যে আমাকে দেখে উঠে দাঁড়াতে হবে।
আমি খাটে বসলাম।উনি খাটের সামনে থাকা সোফাটায় বসলেন।
আমিঃআসলে আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ছিলো আর কিছু বলার ছিলো।
আদৃতঃতার আগে আমার আপনার থেকে কিছু জানার ছিলো।কিছু প্রশ্ন ছিলো আমার।
আমিঃজ্বি বলেন।
আদৃতঃআপনার সাথে কি আপনার হাসবেন্ডের কোনো ঝামেলা হয়েছে?
উনার কথা শুনে তাড়াতাড়ি চোঁখ সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র তাকালাম।কি উত্তর দেব তাকে?যার জন্য তার,বাবা-মার সম্মানের পরোয়া না করে বেরিয়ে এসেছিলাম সে আমার কোনো পরোয়া না করে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়ের সাথে ফুর্তি করছে।
আদৃতঃএটা সম্পূর্ণ আপনাদের পার্সোনাল ম্যাটার কিন্তু বউ এতোরাত পর্যন্ত বাড়ির বাহিরে স্বামীর নিশ্চয়ই চিন্তা হবে।আপনি আপনার স্বামীকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেন।রাগের বশে এতো বছরের ভালোবাসার মানুষটাকে এইভাবে শাস্তি দিয়েন না জান্নাত।
আমি চুপ করে তার কথাগুলো শুনছি।ভালোবাসার মানুষটাই আজ আমার কাছে সব থেকে নিকৃষ্ট একজন প্রাণী।কিন্তু আমি আদৃতকে কিভাবে সত্যিটা বলব?তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তার ফোনটা আমার সামনে বিছানার উপর রাখলেন।
আদৃতঃআপনি আপনার স্বামীকে ফোন দিয়ে বলেন আপনি আপনার বন্ধুর বাসায় আছেন।যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারেন।কিন্তু স্বামীকে জানিয়ে রেখেন।
আদৃত এইটুকু বলেই রুম থেকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালেন।
আমিঃআপনি এখোনো বিয়ে করেননি আদৃত?
আদৃত আমার কথা শোনা মাত্রই সেইখানেই দাঁড়িয়ে যান।উনি আমার দিকে আর ঘুরে তাকালেন না।
আদৃতঃনা।
আমিঃকেন?
আদৃতঃকাউকে মিথ্যা ভালোবাসার মায়ায় জড়াতে চাইনা তাই।
বলেই স্থির পায়ে হেটে বেরিয়ে গেলেন।আর আমি অপরাধী দৃষ্টিতে তার চাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।লোকটা কিতার মানে আমার জন্যই জীবনে এগোতে পারেননি।আজও কি তার হৃদয়ে আমি বলতে একজন আছি।নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।নজর পড়ল একহাত সামনে থাকা ফোনটার উপর।ফোনটা হাতে নিতেই মন আর মস্তিষ্কের দন্দে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি।।মন বলছে রায়হানকে ফোন দিয়ে অন্তত একবার জিজ্ঞেস করতে যে সত্যিই কি আমি এখন আর তার মনের অধিকারীণি নই।কিন্তু মস্তিষ্কের কাজ সর্বদা মনের বিপরীতে চলা।মস্তিষ্ক বলে যে তোর ভালোবাসার মর্যাদা দেয়নি,তুই কেমন আছিস জানার প্রয়োজনবোধ করিনি তুই কেন তার খোঁজ নিবি?কেন ফোন দিবি তাকে?এই দন্দে ভুগতে ভুগতেই কেউ এসে ফোনটা নিয়ে নিল আমার হাত থেকে।তাকিয়ে দেখি…..
চলবে…………
(গল্পটা কেমন লেগেছে আপনাদের জানাবেন।ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)