#i_m_mafia_lover
#part_15
#sabiha_kh
ইসমা- বন্ধু পার্ক আর কতো দুর??? (একটু বিরক্তি নিয়ে)
ইসান- এই তো কাছাকাছি চলে এসেছি।৷
ইমা- ইসমা এতো ব্যাস্ত হওয়ার কি আছে।। চুপচাপ বসে থাকো। (একটু রেগে)
ইসান-থাক ওকে কিছু বলো না।।। ( ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে মুচকি হেসে বললো)
ইসান ইসমার সাথে হাসাহাসি করছে সেটা ইমা অপলক দৃষ্টিতে দেখে।। ইসান হাসতে হাসতে ইমার দিকে তাকালে ইমা তারাতারি চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকায়।।।
কিছুখন পর,,,,,
ইসান- ওই তো পার্ক চলে এসেছি।।
ইসমা খুব এক্সাইটেড।। সে অবাক হয়ে দেখছিলো।।।
ইসমা- কি সুন্দর বন্ধু। ।।
ড্রাইভার গাড়ি থামালে দুইজন লোক এসে গাড়ির দরজা খুলে দেয়।৷ ইসান ইসমা কে নিয়ে বের হয় গাড়ি থেকে। ইমাও বের হয়।।
– ওয়েলকাম স্যার Amusement Park এ।।।
ইসান- thank you… ইসমা চলো ভিতরে যাই।।। (হেসে)
ইসমা- চলো।।।
এমন সময় পিছনে তাদের আরেকটা গাড়ি এসে থামলো।। গাড়ির দরজা খুলতেই জোরে জোরে ঝগড়া করার শব্দ। ইমা ইসান ইসমা পিছনে ঘুরে তাকায় দেখে জনি আর রোকসানা তুমুল কথা কাটাকাটি ঝগড়া করছে।।।
ইমা ইসানের দিকে তাকায় ইসান ইমার দিকে।।। আকাশ তারাতারি কানে আঙুল গুজে গাড়ি থেকে বের হয়ে ইসানের কাছে ছুটে আসে।।
ইসান- কি হয়েছে??
আকাশ- স্যার এদের সাথে আমি আর গাড়িতে উঠতে চায়না।। পুরা রাস্তা দুইজন এতো ঝগড়া করেছে কি বলবো আপনাকে।। দেখেন এখনো করছে।। ওহ্,,, স্যার আমি কানে এখন কিছু শুনতে পাচ্ছি না।।।
ইসান- হমম বুঝেছি।।( ইসান ইসমার দিকে তাকিয়ে বললো-) ইসমা মামুনি তুমি আম্মুর সাথে পার্কের ভিতরে যাও আমি আসছি।।
ইসমা- ওকে বন্ধু।।। ( ইসমা দৌড়ে গিয়ে ইমার হাত ধরলো।। )
ইসান- আকাশ তুমি ওদের সাথে যাও আমি জনি আর রোকসানার ব্যাপার টা দেখছি।।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
ইমা ইসমাকে নিয়ে আকাশ পার্কের ভিতরে গেলো।। পুরা পার্কে একটা মানুষ ও নেই শুধু পার্কের দেখাশোনা যারা করে তারা বাদে।। ইমা আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো-
ইমা- আকাশ পার্ক ফাকা কেনো???( বিস্মিত চোখে)
আকাশ- ম্যাডাম!!!! স্যার পুরা পার্কটা রিজার্ভ করেছে ইসমার জন্য।।। তাই এমন ফাকা।।। ইসমা মামুনি আসো আমার কোলে।। (বলে আকাশ ইসমাকে কোলে নিয়ে পার্কের ভিতরে চলে গেলো)
ইমা পিছনে ঘুরে ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান জনি রোকসানার সাথে কথা বলছে।।।
ইসান- তোমাদের দুইজনের সমস্যা টা কি বলতো??
জনি- স্যার আমি যদি জানতাম ও আসবে।। তাহলে আমি কখনো আমেরিকা আসতাম না।।
রোকসানা- আমিও।।।
ইসান- এতো রাগ কিসের দুইজনার হ্যা??
জনি- স্যার ক্ষমা করবেন আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চায়না।।
এমন সময় ইমা এসে বললো-
ইমা- কি হয়েছে রোকসানা!!! (ইসান ইমার দিকে তাকায়।।)
ইসান- ইমা তুমি এখানে কেন?? ইসমা,,,,,,,,
বলতেই ইমা বললো-
ইমা- ইসমা আকাশের সাথে আছে।। রোকসানা বলো!!! এখানে নিয়ে এসে কি তোমরা খুব সমস্যা করে দিলাম আমি???
রোকসানা- না ম্যাডাম আসলে,,,,,
ইমা- আসলে কি?? জনি সমস্যা।। (রোকসানা কনো কথা বললো না)
ইসান- এগুলো বাদ।।। এখানে সবাই মজা করতে এসেছি সো। সবাই মজা করো।। দুইজনকে যদি আর ঝগড়া দেখি তাহলে সত্যি বলছি দুইজনকেই দেশে পাঠিয়ে দিবো।।
জনি উত্তেজিত সুরে বললো- না স্যা আমি আপনাকে ছেড়ে কথাও যাবো না।।।
রোকসানা- ম্যাডাম কে ছেড়ে আমি কথাও যাবো না।। (ইমার দিকে তাকিয়ে।।)
ইসান- ওকে। এখন ভিতরে চলো।।।
Time skip
ইসান- ইসমা পার্ক ভালো লাগছে???
ইসমা- হমম বন্ধু খুব ভালো লাগছে।।৷ আকাশ আংকেল আমাকে ঘোড়ায় বসিয়ে ছিলো।।। খুব মজা,লেগেছে।। বন্ধু আমি ওই যে দেখছো না গোল বড়।।
ইসান দেখে ইসমা,চরকির দিকে দেখাচ্ছে।।
ইসান- তুমি চরকিতে উঠবে???
ইসমা- হমম আমি তুমি আর আম্মু।৷
ইসান- তোমার আম্মু উঠবে চরকিতে!!! তোমার আম্মু যে ভয় পাই। একবার তো দেখেছিলাম,,,,,,( বলে ইসান চুপ হয়ে গেলো)
এবং আসতে করে চোখ তুলে ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা তার দিকে তাকিয়ে আছে।।। ইসান তারাতারি চোখ সরিয়ে নেই।
ইসমা- আম্মু তুমি ভয় পাও?? ইমা ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো-
ইমা- একদমি না।। আমি ভয় পাই না।। ( একটু গম্ভীর সুরে ইসানের দিকে তাকিয়ে)
ইসমা- চলো আমরা সবাই তাহলে উঠি।।।( হেসে)
বলে ইসমা ইসান, ইমার হাত ধরে দৌড়ে চরকির কাছে নিয়ে আসে। তারপর সবাই চরকিতে উঠে বসলো। ইসমাকে মাঝখানে দিয়ে দুইপাশে ইমা ইসান বসে। । পিছনের দোলনায় জনি, জনির পাশে আকাশ আকাশের পাশে রোকসানা।।
আকাশ ভ্রু কুচকে বললো- আমি মাঝখানে বসবো না।।। (বলে নেমে গেলো।।)
ইসান পিছনে ঘুরে তাকায় দেখে জনি রোকসানা দুইজন দুইজনার দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে।। ইসান একটু গম্ভীর সুরে জোরে বললো-
ইসান- কি হয়েছে???
বলতেই রোকসানা জনি চমকে ইসানের দিকে তাকায় এবং তারাতারি দুইজন কাছা কাছি বসে হেসে বলে- কই কিছু না তো স্যার।। কিছু হয়নি।।।
আকাশ জনি রোকসানার কান্ড দেখে মুখ চেপে হাসে।।। ইমা ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান মুখে হাত দিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।।। ইসানের হাসি দেখে ইমাও মুচকি হাসে।।
চরকি ঘুরতে লাগে।। ইসমা, ইসান দুইজন খুব মজা করছে।।। কিন্তু ইমা ভয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁতের উপর দাঁত চেপে একদম শক্ত হয়ে বসে আছে।।
ইসান দোলনার পিছনের লোহার শিক ধরে ছিলো এমন সময় ইমা ইসানের হাতের উপর হাত রেখে শক্ত করে চেপে ধরে। ইসান ইমার ছোঁয়া পেতেই হাসি বন্ধ হয়ে যাই। ইসান হাতের দিকে তাকায় দেখে ইমা তার হাত চেপে ধরে আছে।। ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।।।
ইসান অপলক দৃষ্টিতে ইমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে- ৬ বছর আগে যেমন ভয় পেয়ে আমার হাত চেপে ধরে ছিলে আজো ঠিক সেই ভাবে ধরেছো।।
ভাবতেই ইসান হাতে ব্যাথা অনুভব করে। ইসান হাতের দিকে তাকায় দেখে ইমা ইসানের হাত খামচি দিয়ে ধরেছে। ইসান বড় বড় চোখ করে ইমার দিকে তাকায়।।৷ ইসান ব্যাথায় লোহার শিক আরো শক্ত করে ধরে। ইমাও আরো জোরে ইসানের হাত খানচি দিয়ে ধরে ।
ইসান ব্যাথায় দাঁতের উপর দাঁত চেপে বসে চোখ বন্ধ করে দুই ঠোঁট চেপে ধরে আছে। ।।
এদিকে রোকসানা ভয়ে জনিকে শক্ত করে চেপে ধরে।। জনি একদম হতবাক। জনির হার্ডবিট জোরে জোরে ধুক ধুক করতে লাগে।। পিছনের দোলনাই ছিলো আকাশ।।। আকাশ বসে থেকে ওদেরকেই দেখছিলো এবং মুখে হাত দিয়ে হেসেই যাচ্ছিলো।।।
চরকি ঘুরা থামলে ইমা চোখ খুলে ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান দোলনার রডের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে দুই ঠোঁট চিপে ধরে আছে।।
ইমা বিস্মিত চোখে তাকিয়ে মনে মনে বললো – ইসান এমন চেহারা করে আছে কেন?? ওতো ভয় পায় না।।
ইসান অসহায় চেহারা করে ইমার দিকে তাকালো তারপর হাতের দিকে।।। ইমাও ইসানের দেখা দেখি হাতের দিকে তাকালো দেখে তার নখ ইসানের হাতে বসে গেছে এবং হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।। ইমা বড় বড় চোখ করে ইসানের দিকে তাকায়৷ এবং তারাতারি হাত সরিয়ে নেই৷।। ইসান নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যাই।।।
ইমা মন খারাপ করে বললো- সরি ইসান আমি বুঝতে পারিনি।।
ইসান অসহায় সুরে নুচকি হেসে বললো-
ইসান- It’s ok… ব্যাপার না।।।
এদিকে রোকসানা তারাতারি দোলনা থেকে নেমে চলে গেলো।। জনি অবাক হয়ে রোকসানার দিকে তাকিয়ে রয়লো।।।
Time skip
ইসমা- আম্মু চলো না আমরা খেলি।।( ইমার হাত ধরে বলল
ইমা- না মামুনি তুমি খেলো আমি একটু বসি।।
ইসান- ইসমা আমি খেলি তোমার সাথে চলো।। (হেসে)
ইসমা খুশি হয়ে দৌড়ে এসে ইসানের হাত ধরে।। ইসানের সাথে চলে যাই৷
এদিকে জনি রোকসানার সাথে কথা বলতে আসলে রোকসানা জনির সাথে কথা বলে না জনিকে এরিয়ে এরিয়ে চলে যায়।।। আকাশ জনির কাছে এসে জনির কাধে হাত রেখে বলে-
আকাশ- কিরে কাজ হচ্ছে না!!!
জনি আকাশের দিকে তাকিয়ে কপাল কুচকে একটু জোরে বললো- চুপ করতো কিসের কাজ হচ্ছে না।। আমি তো,,,,,,,( বলে চুপ হয়ে যায়)
আকাশ- কি আমি তো!!!
জনি- কিছু না। । (বলে চলে গেলো)
আকাশ- হমম বুঝেছি জনি তুই বল আর না বল তোর মনে যে এখন গিটার বাজছে বুঝতে পারছি।। (হেসে)
এদিকে ইসান ইসমা খুব মজা করছে।।। ইসান যেন ইসমার সাথে একদম বাচ্চা হয়ে গেছে।।। ইমা গালে হাত দিয়ে বসে ইসমা আর ইসানকেই শুধু দেখছিলো৷।।।
Time skip
সন্ধ্যা হয়ে এলো।।।
সবাই বাড়ি ফিরবার জন্য গাড়িতে উঠে বসে।। সবাই খুব ক্লান্ত।। ইসমা তো অলরেডি ঘুমিয়ে পরেছে ইসান ও ঘুম।। ইমা ঘুমায়নি৷ গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে সন্ধ্যার আকাশ দেখছিলো এবং কিছু একটা ভাবছিলো।।। হঠাৎ গাড়িটা একটু ঝাকুনি দিয়ে উঠলে ইমা চমকে সোজা হয়ে বসে। পাশে তাকাতেই দেখে ইসমা ইসানের বুকের সাথে ঠেস দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আর ইসান ইমার মাথার সাথে মাথা লাগিয়ে ঘুমাচ্ছে।। ইমা ইসানের হাতের দিকে তাকায় দেখে তার নখের বসে যাওয়া কাটা গুলো ফুলে উঠেছে।।
ইমা মুখ ভার করে মনে মনে বললো- এটা কি করলাম ওর হাত এভাবে নখ দিয়ে কেটে দিলাম।। উফফ,,,, আমি,,,
ভেবে ইসানের হাতে হাত দিতে গিয়ে কি মনে হলো আর হাত দিলো না ইমা।।
Time skip
ইমা ওয়াস রুমে ফ্রেস হতেই হঠাৎ তার ইসানের হাতের কথা,মনে পরে।। ইমা ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে দেখে ইসমা এখনো ঘুমেই আছে।। ইমা মুখ মুছে।। রুম ৎেকে বের হয়ে মিঃ মাইকির কাছে গিয়ে বলে ফাস্টেট বক্স দিতে।। মিঃ মাইকি ইমাকে ফাস্টেট বক্স দিলে ইমা ফাস্টেট বক্স নিয়ে ইসানের রুমে গিয়ে দরজায় নক করে।। কিন্তু ভিতর থেকে কনো শব্দ আসে না।। ইমা আবার নক করে। এবারো কনো শব্দ আসে না।। ইমা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে ইসান নেই।। ইমা রুমে থেকে বের হতে যাবে এমন সময় দরজা খুলার শব্দ।।। ইমা পিছনে ঘুরে তাকায় দেখে ইসান খালি গায়ে মাজায় তোয়ালা পেচিয়ে বের হচ্ছে ওয়াস রুম থেকে।।। ইসান ইমাকে দেখে তারাতারি ঘুড়ে দাড়াতে লাগলে ওয়াসরুমের দেওয়ালের সাথে মাথা বারি লাগে।। ইমা তারাতারি ঘুরে দাড়ায়।।
ইসান- ইসসস,,,,,,( মাথা ধরে)
ইমা- I am sorry.( সংকোচ নিয়ে)
ইসান ইমার দিকে তাকায়।। এবং তারাতারি এসে আলমারি থেকে পোশাক বের করে পড়তে লাগে।।
ইমা- আসলে তোমার হাতে,, আমার নখ বসে কেটে গিয়েছে তাই,,,
বলতেই ইসান বললো-
ইসান- তুমি এখন আমার দিকে ঘুরতে পারো।।
ইমা আসতে আসতে ইসানের দিকে ঘুরে দেখে ইসান কপাল ধরে দাড়িয়ে আছে।। ভেজা চুল গুলো কপালের উপর পরে আছে। ইমা সেই ৬ বছর আগের ইসানকে যেন সামনে দেখছে।। ইমা অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থেকে ভাবে-
অতীত,,,,,
ইসান ইমার পায়ের উরুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।।। ইমা ইসানের চুলে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো-
ইমা- ইসান তোমার চুল গুলো কপালে উপরে পরে থাকলে একদম দেখতে বাচ্চা বাচ্চা লাগে।। খুব কিউট দেখায় তোমায়।।
ইসান- তোমার ভালোলাগলে এভাবেই সব সময় থাকবো তাহলে।।। ( মুচকি হেসে)
ইমা মুচকি হেসে ইসানের কপালের চুল সরিয়ে কপালে একটা আদর মাখা চুমু দিলো।। ইসান চোখ বন্ধ করেই মুচকি মুচকি হাসে।।।
বর্তমান,,,,,,
ইসান- ইমা!!!!!
ইমা চমকে উঠে তারাতারি ইসানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। এবং একটু গম্ভীর সুরে বললো-
ইমা- তোমার হাতটা দেখি।।
ইসান- হাত!!! না থাক দেখতে হবে না।। ঠিকাছে।।
ইমা রেগে কপাল কুচকে বললো- আমি একজন ডাক্তার এতো কথা না বলে হাত দেখাও।।।
ইসান হাত আগে করলো।। ইমা ইসানের কাছে আসে দেখে হাতে পাঁচ নখের কাটা গুলো এখনো ফুলেই আছে।।
ইমা – বিছানায় বসো।।
ইসান ইমার কথা মতো বিছানায় বসলো।। ইমা ইসানের পাশে বসে ফাস্টেট বক্স থেকে মলম বের করে ইসানের হাতে মলম লাগিয়ে দিতে লাগে।।। ইসান ইমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।।।
ইমা- কাল মনে করে একটা ইনজেকশন দিয়ে নিয়ো।।
ইসান বড় বড় চোখ করে – কি?? ইনজেকশন?? না না,,, আমি ইনজেকশন দিবো না।।। (উত্তেজিত সুরে)
ইমা রাগান্বিত সুরে বলে- চুপ করো।। ইনজেকশন না দিলে সেপ্টিক হয়ে যেতে পারে।।।
ইসান- আমার খুব ভয় লাগে ইনজেকশনে।। (কান্নার ভান করে বললো)
ইমা- এতো বড় ছেলে ইনজেকশনে ভয় পাই। ঢং দেখলে বাচি না।। হম্,,,,( মুখ ভেংচি দিয়ে)
ইসান- ইমা অন্য কনো উপাই নেই?? (অসহায় সুরে)
ইমা- না।।
বলে ইমা উঠে চলে গেলো।।।।
এদিকে রোকসানার বারবার জনিকে জোরিয়ে ধরার কথা মনে পরছে।।
রোকসানা- এটা কি করলাম ওকে জোরিয়ে ধরলাম!!!
অন্যদিকে জনির ও একি অবস্থা বার বার শুধু তাকে রোকসানা ধরেছে সেটাই মনে হচ্ছে।।।
Time skip
ইসান বারান্দায় বসে আছে। এমন সময় আকাশ আসে।।
ইসান- আকাশ বসো।।। ( আকাশ বসলো) জনি কথায়???
আকাশ- ও রুমেই আছে।।। মনে হয় নতুন করে আবার রোকসানার প্রেমে পরেছে।।
ইসান আকাশের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে- আ,,, তার মানে রোকসানার সাথে জনির সম্পর্ক ছিলো।।
আকাশ- ছিলো বললে ভুল হবে সম্পর্ক হওয়ার আগে ভেঙে গেছে।।
ইসান- বলতো ঘটনা টা কি ছিলো।। ওদের এতো ঝগড়ার কারণ টা কি???
,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।
