#i_m_mafia_lover
#part_37
#sabiha_kh
খুব ঝামেলাই আছি।। তাই গল্প সময় মতো দিতে পারছি না।। Sorry 😐😔
ইশান গোঙাতে গোঙাতে বললো খুব ঠান্ডা লাগছে।। ইমা ঈশানের কপালে হাত দিতেই দেখে জ্বরে কপাল পুড়ে যাচ্ছে।।
ইমা – আল্লাহ ঈশানের তো জ্বর আসছে।।
তারাতারি ওর জ্বর কমাতে হবে ।। (উত্তেজিত হয়ে)
”
”
”
ইমা দ্রুত বাথরুম থেকে হাফ বালতি পানি নিয়ে আসে এবং পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে ভালো ভাবে পানি ঝরিয়ে নিয়ে ঈশানের হাত মুখ মুছে দিতে লাগে।। ইশান ঠান্ডায় হাত পা কুকড়ে নিচ্ছে এবং গোঙাচ্ছে।।। ইমা ইশানকে এমন করতে দেখে চিন্তিত সুরে বলল –
ইমা – এভাবে হবে না। ইশান কে আগে ওষুধ খাওয়াতে হবে । ( ইমা ঈশানের শরীরে কম্বল ভালো ভাবে ঢেকে দিয়ে ঈশানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল ) ইশান আর একটু কষ্ট করো ।। আমি যাবো আর আসবো।।।
ইমা দ্রুত ঈশানের বাড়ি থেকে বের হয়ে লিফটে করে পাঁচ তলায় আসে।। এবং বাসায় ঢুকে সোজা নিজের রুমে গিয়ে মেডিসিনের বক্স নেয়।।। এমন সময় ইসমা আসে।।
ইসমা – কি হয়েছে আম্মু??
ইমা – তোমার বাবার খুব জ্বর এসেছে।। তুমি এক কাজ করো তুমি আমার সাথে চলো।। বাসায় তোমার একা একা থাকতে হবে না।।
ইসমা – আচ্ছা চলো।। (ইমা তারাতারি নিয়ে ইসমাকে নিয়ে চলে গেলো ঈশানের কাছে।।।
ইসমা ঈশানের অবস্থা দেখে ফুপিয়েফুপিয়ে কান্না করতে লাগে।
ইসমা – আম্মু বাবা ঠিক হয়ে যাবে তো???
ইমা – অবশ্যয় ঠিক হয়ে যাবে তুমি কান্না করো না মা। । বাবা ঔষুধ খেলেই জ্বর কমে যাবে।।।
ইমা কোনো রকম ঈশানের মাথা তুলে ধরে ঔষুধ খাইয়ে দিল।
Time Skip
রাত ১২ টা। ইসমা ঘুমিয়ে গেছে বসে থাকতে থাকতে । এদিকে ইমা অক্লান্ত ভাবে ঈশানের সেবা করেই চলেছে।।।
রাত ১:৩০ টা ,,, ,
ইমা ঈশানের মাথায় পানি পট্টি দেওয়া শেষ করে থার্মোমিটার দিয়ে ঈশানের জ্বরের তাপমাত্রা মাপলো। দেখে আগের থেকে জ্বর কমে গেছে। ইমা স্বস্তির একটা শ্বাস ছেড়ে ঈশানের পাশে বসলো এবং ঈশানের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।। ইমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো আজকে ইশান যে ভাবে ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরেছিল । ইমা ঈশানের হাতের উপর আলতো করে হাত রেখে মুচকি হেসে বললো –
ইমা – আমি বিশ্বাস করি আবার সব ঠিক হয়ে যাবে আমাদের মাঝে ইশান ।। খুব তাড়াতাড়ি আমি তোমাকে সুস্থ করবো তোমার সব স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।। আমাদের বিয়ে এখনও বাকি আছে তো ।। তুমি বলেছ আমাদের বিয়ে টা অনেক বড় করে হবে।। আমি কিন্তু তোমার বলা কোনো কথাই ভুলিনি।
ইমা ঈশানের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে।।
পরের দিন সকালে ,,ঈশানের আগে ঘুম ভাঙ্গে।। ঈশান শরীর আরিমুর দিতেই পাশে দেখে ইমা বেডের উপর হাত রেখে তার উপর মাথা ঠেস দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।।।
ইশান একটু অবাক হয়ে ধীর সুরে বললো – মিস ইমা এখানে !!!
বলতেই ঈশানের মনে পড়লো গত কাল রাতে তার জ্বর এসেছিল। ঈশানের পাশে বেড টেবিলের দিকে চোখ গেল দেখে কাচের বল এ পানি এবং পানি পট্টির কাপড় রাখা। ইশান বুঝতে পারলো গত কাল রাতে ইমা তার মাথায় পানি পট্টি দিয়েছে।।। ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।।
এমন সময় ইসমা চোখ ডলতে ডলতে উঠে আসে এবং আম্মু বলে ডাকে!! ইশান মাথা উচু করে দেখে ইসমা।। ইশান তারাতারি উঠে বসে । ইসমা ইশানকে দেখে খুব খুশি হয় ।। ইশান নিজের ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে ইশারা করে ইসমাকে চুপ করতে বললো এবং ইশারা করে ইমাকে দেখালো।। ইসমা চুপ হয়ে গেলো । ইশান ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে ইসমা কে নিয়ে ডাইনিং রুমে আসলো ।
ইসমা – তোমার জ্বর কমেছে বন্ধু দেখি তো।
ঈশান মুচকি হেসে ইসমার সামনে একটু ঝুকে দাড়াল।। ইসমা ঈশানের কপালে হাত দিয়ে দেখলো জ্বর আর নেই।।।
ইসমা – তোমার জ্বর শেষ হয় গেছে বন্ধু।। (আনন্দিত সুরে)
ইশান মুচকি হেসে মাথা ঝুঁকিয়ে – হম!!! বললো…
ইশান ইসমার হাতের বাজু ধরে বললো – সবই তো বুজলাম এখন বলো তো আমার জ্বর এসেছে তোমরা কি ভাবে জানলে???
ইসমা- তোমার মনে নেই গত কাল রাতে আমি তোমাকে কল করেছিলাম ,,,,,,,,,,,, (ইসমা ইশান কে সব কিছু খুলে বললো ) আমার আম্মু সত্যি ম্যাজিক জানে।। দেখো তুমি একরাতেই সুস্থ হয়ে গেলে । (মুচকি হেসে)
ইশান ইমার কথা মনে করে মুচকি হেসে বললো – হম সত্যি তোমার আম্মু জাদু জানে।।
এদিকে হঠাৎ ইমার ঘুম ভেঙে যায়।। বিছানায় দেখে ইশান নেই সোফার দিকে তাকাই দেখে ইসমাও নেই।।।
ইমা – দুজন গেলো কথাই??( বিস্মিত হয়ে)
ইমা রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং রুমে আসতেই কিচেন রুমের থেকে বাসন-কোসনের শব্দ শুনতে পাই ইমা কিচেন রুমের দিকে এগিয়ে গেলে দেখে ঈশান ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে আর ইমা বসে থেকে দেখছে।।
ইমা – কি হচ্ছে?? (ইসমা ইশান চমকে ইমার দিকে তাকাই) স্যার আপনি অসুস্থ্ এগুলো কেনো করছেন?? (একটু রাগ হয়ে)
ইশান – মিস ইমা আমি এখন সুস্থ ।। সমস্যা নেই ।
ইমা গম্ভীর সুরে বললো – স্যার এগুলো রাখুন। এবং নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম করুন । আমি ব্রেকফাস্ট বানিয়ে নিয়ে আসছি।।।
ইশান – কিন্তু মিস ইমা আপনি তো সারা রাত ঘুমাননি!!!
ইমা – কোনো ব্যাপার না।। আমি ঠিক আছি।।
ইশান – কিন্তু,,,,,!! (বলতেই ইমা বললো)
ইমা – কোনো কিন্তু না।। ইসমা তোমার বন্ধু কে নিয়ে রুমে যাও।।
ইসমা – চলো বন্ধু ।। নাহয় আম্মু রাগ করবে।।। (ঈশানের হাত ধরে ধীর সুরে বলল)
ইশান – ok চলো।। (মুখ ভার করে)
ইসমা ইশান চলে গেলো রুমে।। ইমা সবার জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করে খাবার টেবিলে নিয়ে আসে।এবং ইশান ইসমাকে ডাক দেই ।। ইশান ইসমা আসলে ইমা খাবার পরিবশন করে দেই ।
ইশান – মিস ইমা আপনিও বসুন!!
ইমা – সমস্যা নাই ।
ইশান – তা কি করে হয়?? গতকাল রাতে আপনি ইসমা দুজনায় না খাওয়া এখন কিছু খেয়ে নিন আমার ভালো লাগবে প্লিজ।।
ইমা – ঠিকাছে।। (মুচকি হেসে)
ইমা, ইসমা, ইশান বসে ব্রেকফাস্ট করতে লাগে।। ইশান ইসমা গল্প করছে হাসা হাসি করেছে।। ইমা তাদের এমন হাসতে দেখে মনে মনে বললো –
ইমা – আল্লাহ এমন দিনটা আমি প্রতি সকালে দেখতে চাই।। তুমি আমাকে শক্তি দাও আল্লাহ।।। আমি যেনো ইশান কে তারাতারি সব মনে করাতে পারি।।
Time Skip
ইমা – স্যার এই নিন ঔষুধ গুলো খেয়ে নিন।।। (ঈশানের দিকে ঔষুধ বাড়িয়ে দিয়ে বললো)
ইশান ইমার হাত থেকে ঔষুধ নিয়ে খেলো।
ইশান – thank you মিস ইমা। আমার জন্য অনেক করলেন। (মুচকি হেসে)
ইমা – স্যার আমি একজন ডাক্তার আর ডাক্তারের এটাই কাজ।।। ইসমা চলো আমরা এখন যাই। স্যার আমার ক্লাস আছে এখন আসি। আপনি বিশ্রাম করুন । ( মুচকি হেসে)
ইশান – ok।।। ( হেসে)
ইমা ইসমাকে নিয়ে চলে গেলো । ইশান উঠে নিজের রুমে এসে বিছানায় বসে এবং আপনা আপনি মুচকি মুচকি হাসতে লাগে।।। হঠাৎ ঈশানের চোখ বেডটেবিলের দিকে যায়। দেখে টেবিলে উপর ইমার চুল বাধা রাবার রাখা। ইশান রাবার টা হাতে নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেএবং ইমার কথা মনে করে ।। ইশান মুচকি একটা হাসি দিয়ে রাবার টা নিয়ে তার বেড টেবিলের ডায়রে রেখে দিলো।।
৫ দিন পর,,,,,,,
ইশান – hello আকাশ !!!
আকাশ – ভাইয়া কেমন আছো??
ইশান – এখন ভালো । কোথায় তুমি অনেক দিন আসনি কিন্তু !!!
আকাশ – আজকে আসবো বিকালে রাতে থাকবো তোমার কাছে ।
ইশান – হম আসো । ও শুনো পরশু দিন স্কুল থেকে ক্যাম্পিং এর জন্য যাচ্ছি ২ রাত ৩ দিন।।
আকাশ – ok আসি তারপর কথা হবে ।
বলে ফোন কেটে দিলো ।
বিকাল,,,,,,
আকাশ চলে আসে। আকাশ ঠিক করলো সে আগে ইমার সাথে দেখা করবে তারপর ঈশানের কাছে যাবে। তাই আকাশ সরাসরি ইমার বাসায় ইমার বাসায় গেলো।।।
ইমা – কেমন আছো আকাশ ??
আকাশ – ভালো ম্যাডাম ।। স্যার বললো পরশুদিন বলে স্কুল থেকে ক্যাম্পিংয়ে যাবে ?? আপনিও যাবেন নাকি??
ইমা – হম যাবো । দেখি ইশান কে কিছু মনে করাতে পারি কিনা!!
আকাশ – হম।। আমি জানি আপনি পারবেন।। আচ্ছা আপনার এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে নাতো ম্যাডাম!!!
ইমা – না কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
এমন সময় দরজা খুলার শব্দ।। ইমা আকাশ দরজার দিকে তাকাই দেখে ইসমা এবং ইশান ।। ইশান সামনে তাকাই দেখে আকাশ ইমা বসে আছে । ইশান খুব অবাক হয় আকাশ কে ইমার বাসায় দেখে।।
আকাশ উঠে দাড়াই সাথে ইমা ও।।
ইশান – কি হচ্ছে???
ইসমা আকাশ কে দেখে চিনতে পারে এবং আকাশ আঙ্কেল বলে দৌড়ে আসে আকাশের দিকে ।
ইশান – কিছু বুঝলাম না ।। আকাশ মিস ইমা আপনরা দুজন দুইজনকে চিনেন??
ইমা আকাশ দুজনাই একটু ঘাবড়ে যায়।।
ইমা আমতা আমতা করতে করতে বলল –
ইমা – হম চিনি তো।।
আকাশ – হম ভাইয়া চিনি আমি ম্যাডাম মানে মিস ইমা কে । আসলে মিস ইমার বাড়ি এবং আমাদের বাড়ি একই পারায় ছিল ।
ইমা – হম আকাশ ঠিকই বলছে।।
ইশান – তাই !!তাহলে আমি আপনাকে কেনো দেখলাম না মিস ইমা??
ইমা – আ,,, মানে,,
আকাশ – আসলে ভাইয়া তুমি তো সেই সময় এখানে ছিলে। মানে পড়তে এসেছিলে।।
ইশান – ও আচ্ছা।।। ভালই হলো । (মুচকি হেসে ) আকাশ মিস ইমা তোমার প্রতিবেশী ছিল আর এখানে এখন আমার প্রতিবেশী।
আকাশ – হম তাই তো দেখছি।।
ইমা – স্যার বসুন আমি সবার জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আসি ।
ইশান – ok।। ইশান আকাশ বসলো।।
ইমা কিচেন রুমে যেতে যেতে মনে মনে বলল – খুব বাঁচা বেঁচে গেলাম কিন্তু এতগুলো মিথ্যা কথা বলতে হল উফফফ।।।।।
এদিকে ইশান আকাশ কে বললো –
ইশান – সেদিন আমি তোমাকে ওদের ব্যাপারে এত কথা বললাম কয় তুমি তো বললে না তুমি মিস ইমা কে চিনো!!!
আকাশ – ভাইয়া আমি কি করে জানবো তুমি মিস ইমার কথা বলেছো। আমি তো আর ওদের দেখিনি তাই না!!!
ইশান – হম টাও এক কথা।।।
ইমা কফি নিয়ে আসলো।। ইমা ইশান কে কফির কাপ দিল।
ইশান – thank you মিস ইমা ।।
ইমা – welcome স্যার।। (মুচকি হেসে )
ইমা আকাশ কে কফির কাপ দিলো।।
আকাশ – thank you।।
ইমা – welcome আকাশ।।।
ইমা আকাশের পাশের সোফায় বসে।।। ইশান সেটা দেখে একটু জেলেস ফিল করে।। আকাশ ইমার সাথে কথা বলছে গল্প করছে।। ঈশান তাদের গল্প করতে দেখে কেমন যেনো বিরক্ত ফিল করতে লাগলো।।। ইশান তারাতারি গরম কফি পান করে কাপটা টিটেবিলের উপর একটু জোরে রাখল।। ইমা আকাশ চমকে ঈশানের দিকে তাকাই ।
ইশান – ওহ্ sorry।। মিস ইমা আমার মনে হয় এখন আমাদের যাওয়া উচিত । কি বলো আকাশ!!( আকাশ একটু অবাক হয়ে ঈশানের দিকে তাকাই।)
ইমা – স্যার আর একটু বসুন আকাশের কফি খাওয়া শেষ হয়নি তো।।
আকাশ – হম ভাইয়া আমার কফি,,,,,,
বলতেই ইশান আকাশের কাছে গিয়ে আকাশের হাত থেকে কফি নিয়ে ঢক ঢক করে গরম কফি খেয়ে নিল ।
ইমা আকাশ দুজনাই হতবাক।। ঈশানের এমন কান্ড দেখে।।
ইশান ইমা আকাশ কে এমন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে বোকার মতো হাসি দিয়ে বললো – আসলে কফি টা দারুন হয়েছে । তাই আমিই খেয়ে নিলাম ।। Ok মিস ইমা এখন আমরা আসি।। চলো আকাশ এত দিন পর আসলে একটু গল্প করা হয়নি। দুই ভাই বসে একটু গল্প করি চলো।
আকাশ হতবাক চোখে তাকিয়ে বললো – ok চলো ভাইয়া । আসি মিস ইমা ।।
ইমা – ok।।
ইশান আকাশ কে নিয়ে ইমার বাসা থেকে বের হলো ।।
ইমা সোফায় বসে গালে হাত দিয়ে চিন্তিত সুরে বললো – ব্যাপার টা ঠিক বুঝলাম না । ইশান এমন করলো কেনো সত্যিই কি কফিটা ভালো হয়েছে!!!
এদিক ইশান আকাশ লিফটে উঠে ৭ তলায় যাচ্ছে। ঈশানের জিব্বা গলা জ্বলে যাচ্ছে। আকাশ ঈশানের দিকে তাকালো দেখে ঈশানের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে !!!
আকাশ – তুমি ঠিক আছো ভাইয়া???
ইশান – হম !!(মাথা ঝুঁকিয়ে )
আকাশ – ব্যাপার টা বুজলাম না ভাইয়া তুমি এত গরম কফি এইভাবে খেয়ে ফেললে।।
ইশান – হম ।।
আকাশ – হম হম করছো কেনো!!!
বলতেই সাত তলায় লিফট থামে।। ইশান লিফট থেকে বের হয়ে তারাতারি বাড়ির দরজা খুলে দৌড়ে কিচেন রুমে যাই । এবং ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বোতল বের করে ঢকঢক করে পানি পান করতে শুরু করে।।।
আকাশ এসে ঈশানের সামনে দাড়ালো। এবং সন্দেহর চোখে তাকিয়ে বললো
আকাশ – সত্যিই কি কফিটা টেস্ট হয়েছিল!!!
ইশানের মুখ থেকে পানি বের হয়ে যায় এবং ইশান বিষম খায়।।। আকাশ ঈশানের হাত থেকে পানির বোতল নিয়ে ঈশানের পিঠে আসতে আসতে থপথপিয়ে দেই।। এবং উত্তেজিত সুরে বলে –
আকাশ – সরি সরি আর কিছু বলবো না ।
ইশান আকাশের কথা শুনে মনে মনে খুশি হয় এবং বলে – বেচে গেলাম।।
Time Skip
রাত ১১ টা,,,
আকাশ ঘুমিয়ে গেছে।। কিন্তু ঈশানের চোখে ঘুম নাই।। ইশান বেলকুনিতে দাড়িয়ে আকাশের তারা দেখছে এবং মনে মনে ভাবছে ,,, সে কেনো ইমাকে আকাশের সাথে কথা বলতে দেখে আকাশের পাশের সোফায় বসতে দেখে জেলাস ফিল করল!!!
ইশান মনে মনে বললো – আচ্ছা মিস ইমাকে নিয়ে কি আমি একটু বেশি ভাবছি!!! কিন্তু কেনো ?? আচ্ছা উনাকে কে কি আমি ,,,,,,, না না কি ভাবছি আমি !!! কিন্তু আমি আকাশে সাথে মিস ইমাকে কথা বলতে দেখে এত জেলেস হলাম কেনো ?? উফফ কিচ্ছু বুঝতে পারছি না ।।
#i_m_mafia_lover
#part_38
#sabiha_kh
আজকের পার্ট বিশাল বড় করে দিয়েছি😁😁😁
ইশান মনে মনে বললো – আচ্ছা মিস ইমাকে নিয়ে কি আমি একটু বেশি ভাবছি!!! কিন্তু কেনো ?? আচ্ছা উনাকে কে কি আমি ,,,,,,, না না কি ভাবছি আমি !!! কিন্তু আমি আকাশে সাথে মিস ইমাকে কথা বলতে দেখে এত জেলেস হলাম কেনো ?? উফফ কিচ্ছু বুঝতে পারছি না ।।
”
”
”
”
পরের দিন,,,,,
কাল ইসমার স্কুল থেকে ক্যাম্পিং এ যাবে জন্য আজ ইসমার স্কুল ছুটি দিয়েছে। তাই ইমা ও আজ মেডিক্যাল কলেজে যায়নি।। ইমা বসে তার ল্যাপটপে কাজ করছে।। আর ইসমা বসে নিজের হোমওয়ার্ক করছে।। এমন সময় ইমার ফোনে কল আসে । ইমা ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।
ইমা – hello !!!
নিয়া – hello আণ্টি ,, আমি নিয়া।।
ইমা – hi নিয়া।। কেমন আছো??
নিয়া- আমি ভালো আছি।। আণ্টি আমি ইসমার সাথে একটু কথা বলতে পারি ?!
ইমা – হম অবশ্যয়।।। ইসমা নিয়া কথা বলবে তোমার সাথে। করেছে!!! (একটু জোরে)
ইসমা – আসছি আম্মু !!!( ইসমা আসলে ইমা ইসমার হাতে ফোন দেই ইসমা ফোন নিয়ে চলে যায়)
কিছু খুন পর,,,,,
ইসমা ইমার সামনে এসে দাঁড়ালে ইমা ইসমার দিকে তাকাই ।
ইমা- কি হয়েছে !!!কি বললো তোমার বান্ধবী??
ইসমা – নিয়া আমাকে ইনভাইট করেছে।। আজ ওর জন্মদিন।।।
ইমা – হম তো তুমি যাবে ??
ইসমা- তুমি যদি বলো তাহলে যাবো!!
ইমা মুচকি হেসে বলল – কখন যেতে বলেছে??
ইসমা – বিকালে।।।
ইমা – ঠিকাছে।। তাহলে তো গিফট কিনতে হবে।।
ইসমা – হম।। (খুশি হয়ে)
ইমা – ঠিকাছে চলো এক সাথে গিয়ে গিফট কিনে নিয়ে আসি।। (ইসমা খুব খুশি হয় এবং ইমা কে গিয়ে জড়িয়ে ধরে)
Time Skip
এদিকে ইশান আকাশ কে বিদায় দিয়ে।। শপিং করতে সুপার মার্কেট এ আসে।। ইশান বিভিন্ন টিশার্ট দেখছে কিন্তু কোনোটাই তার তেমন পছন্দ হচ্ছে না।।।
ইশান বিরক্ত হয়ে বলল – কি নিবো উফফ!! কোনোটাই ভালো লাগছে না!!! (মাথা চুলকিয়ে )
ইশান পিছনে ঘুরতেই দেখে ইমা ইসমা যাচ্ছে।।
ইশান – আরে ওরা এখানে !!!( একটু অবাক হয়ে)
ইশান তারাতারি টিশার্ট শোরুম থেকে বের হয় দেখে ইমা ইসমা একটা টয় শোরুমে ঢুকছে।। ইশান সেদিকে গেলো।।
ইমা – ইসমা তুমি সিওর তোমার বান্ধবীর ডল পছন্দ ???
ইসমা – হম। ও নিজে বলেছে ওর ডল পছন্দ।। (বলতেই ইশান আসে)
ইশান – কি হচ্ছে!!
ইমা ইসমা পিছনে ঘুরে তাকাই।। ইসমা হেসে বন্ধু বলে ঈশানের কাছে দৌড়ে যায়।।
ইশান ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে – কি ডল কিনতে এসেছো??
ইসমা – হম ।। নিয়ার জন্মদিন আজকে ইনভাইট করেছে।। তাই ওর জন্য গিফট কিনতে এসেছি । তুমি ডল পছন্দ করে দিবে??
ইশান – ওকে চলো দেখি।। (ইশান ইসমাকে নিয়ে পুতুল দেখতে লাগলো । ইমাও দেখছে।
হঠাৎ ঈশানের চোখে একটা লাল রঙের টেডিবিয়ার পড়ে । ইশান টেডি বিয়ার টার দিকে এগিয়ে যায়।। ঈশানের মনে হয় সে
টেডিবিয়ারটা এর আগেও দেখেছে।। ইশান টেডিবিয়ার টা হাতে তুলে নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে টেডিবিয়ার টার দিকে তাকিয়ে থাকে।। ইমা ইসমা দুজনাই বিষয়টা খেয়াল করল।।। ইশান তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ ঈশানের চোখের সামনে ঝাপসা কিছু দেখতে পাই ।। দেখে একটা বাচ্চা মেয়ে হাতে এমনি লাল রঙের টেডি বিয়ার নিয়ে খেলছে ।।। কিন্তু বাচ্চাটার চেহরা ইশান পরিষ্কার দেখতে পাইনা ।
এমন সময় ইমা ঈশান কে ডাক দিতেই ঈশানের হাত থেকে টেডিবিয়ার টা পড়ে যায়।।
ইমা – স্যার আপনি ঠিকাছেন??
ইশানএকটু অস্বস্থি তে বললো – হম ,,, হম,,,,,!!!
ইশান আর কোনো কথা না বলে তারাতারি টয় শোরুম থেকে বের হয়ে গেল।।
ইমা – কি হলো কিছুই তো বুঝলাম না।
ইসমা ইমার হাত ধরলে ইমা ইসমার দিকে তাকাই।।
ইসমা – আম্মু বাবার হয়তো কিছু মনে পড়েছে ।।।
ইমা – তুমি বুঝলে কি ভাবে???( একটু বিস্মিত হয়ে)
ইসমা- তোমার মনে আছে এমনি লাল রঙের টেডি বিয়ার ছিল আমার ।।। বাবার সাথে (”””””’) শহরে এসে যখন দেখা হয়েছিল।। তখন এমনি টেডি বিয়ার আমার হাতে ছিল। আমি রাস্তার পাশে ব্রেঞ্চে বসে টেডিবিয়ার নিয়ে খেলছিলাম। বাবা আমাকে দেখে ছুটে এসেছিল।।।
ইমা – হম বুঝেছি। এক কাজ করো তুমি পুতুল পছন্দ করো আমি দেখি তোমার বাবা কোথায় গেল!!!
ইমা শোরুম থেকে বের হতেই দেখে ঈশান দেওয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।। ইমা ঈশানের কাছে এসে দাড়ালে ইশান ইমার দিকে তাকাই।।
ইমা – আপনি ঠিক আছেন?
ইশান – হয়তো ঠিক আছি হয়তো নেই । যায় হোক আপনি এখানে?? ইসমা পুতুল পছন্দ করেছে ???
ইমা- না করছে।। এখন আপনি বলুন তো আপনি এখানে কি করেছেন?!
ঈশান – আমি ,, আমি আসলে কাল ক্যাম্পিং এ যাওয়ার জন্য টিশার্ট কিনতে এসেছিলাম।। কিন্তু একটাও ভালো লাগেনি।। তারপর আপনদের দেখতে পেলাম তাই এগিয়ে আসলাম।।
ইমা – একটা কথা বলবো!!
ইশান – হম বলুন।
ইমা – আপনাকে ফর্মাল পোশাকে বেশি ভালো লাগে ।। টিশার্টের থেকে আপনকে শার্টে বেশি মানায় ।।।( মুচকি হেসে)
ইশান – তাই তাহলে তো আপনার হেল্প লাগবে ।। আমাকে শার্ট পছন্দ করতে সাহায্য করবেন??
ইমা – হম অবশ্যয়। তবে,,,,, বিকালে হলে
খুব ভালো হতো।।।
বলতেই ইশান বললো – ঠিকাছে ঠিকাছে।। আমার কোনো সমস্যা নেই আমি এমনিতেও আজ ফ্রী। (হেসে)
ইমা – ওকে ।।।
এমন সময় ঈশানের ফোনে কল আসে। ইশান ফোন কথা বলে ইমাকে বলল-
ইশান – আমার একটু যেতে হবে।। বিকালে দেখা হবে ওকে।।
ইমা – ok। (মুচকি হেসে)
ইশান কেনো জানি মনে মনে খুব খুশি।।।
Time Skip
বিকাল,,,,
ইসমা বার্থডে পার্টির জন্য তৈরি হয়ে ইমার সামনে এসে দাড়িয়ে বলে – আমাকে কেমন লাগছে আম্মু??
ইমা – খুব সুন্দর মা।।। তুমি রেডি!!
ইসমা – হম।।
ইমা – ok চলো। গিফট টা নাও।।( ইজমা গিফট টা নিলো।। )
ইমা ইসমা কে নিয়ে চলে গেলো নিয়ার বাড়িতে।। নিয়া ইসমাকে দেখে খুব খুশি হয়।
ইসমা নিয়ার দিকে গিফট এগিয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বলল – happy birthday নিয়া।।।
নিয়া – thank you ।। (গিফট নিয়ে হেসে বললো)
ইমা – happy birthday নিয়া ।।। (মুচকি হেসে)
নিয়া – thank you আণ্টি।।। (হেসে ) আসুন আণ্টি ভিতরে আসুন।
ইমা – না ভিতরে যাব না ।।তুমি ইসমা কে নিয়ে যাও। আর হম তোমাদের পার্টি শেষ হলে আমাকে একটা কল করো আমি ইসমাকে নিতে আসবো ok ।
নিয়া – ঠিকাছে আণ্টি চিন্তা করবেন না।
নিয়া ইসমাকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলে,,, ইমা ইশান কে কল করে । এদিকে ইশান এক রেস্টুরেন্টে বসে ইমার ফোনের অপেক্ষা করছে।। এমন সময় ফোন বেজে উঠলে ইশান তারা তারি ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।
ইশান – hello!!
ইমা – স্যার আমি সুপার মার্কেটের দিকে যাচ্ছি আপনি আসুন।।
ইশান – ok ok আমার ১০ মিনিট লাগবে আমি আসছি।।।( বলে ফোন কেটে দিলো)
Time Skip
ইশান – hi!!
ইমা – hi,,,
ইশান – চলুন ভিতরে যায়।। (ইমা ইশান শপিং মলের ভিতরে গেলো।।। )
ইমা ঈশানের জন্য ঈশানের পছন্দের সাদা, লাল খয়েরি, কালো, এবং ব্লু রঙের কয়েকটা শার্ট পছন্দ করে দিলো।। ইশান ইমার পছন্দ দেখে রীতি মতো অবাক হলো কারণ ঈশানের মতে ইমা কোনো ভাবেই জানার কথা না ঈশানের কি রঙ পছন্দ ।।
ইমা শার্ট ঈশানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো-
ইমা – এই নিনি এগুলো ট্রায় করে দেখুন।। তবে আপনাকে ব্লু রঙের শার্ট বেশি মানায়।।। (মুচকি হেসে)।
ইশান কোনো কথা বলে না শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ইমার দিকে।। ইমা ঈশানের এমন তাকিয়ে থাকা দেখে একটু অবাক হলো ।
ইমা – কি হয়েছে ??
ইশান গম্ভীর সুরে বললো – আপনি কে?? (ইমা ঈশানের এমন কথা শুনে একটু নার্ভাস হয়ে পড়ে)
ইমা আমতা আমতা করে বলে- আমি ,,, আমি ,,,, (বলতেই ইশান বলে)
ইশান – আপনি জিনিয়াস। ( আনন্দিত সুরে)
ইমা – হুঁ!!!!!!!! (অবাক হয়ে)
ইশান – আমারএই রঙ গুলো খুব পছন্দ আপনি জানলেন কি করে বলুন তো ???
ইমা ঈশানের কথা শুনে একটু ভাবনায় পড়ে যায় ঈশানের এই প্রশ্নের কি উত্তর দিবে???
ইমা মনে মনে বললো – কি করলাম আমি ঈশানের এই প্রশ্নের কি উত্তর দিবো এখন???
ইমা – আ,,,, আসলে,,,,এমনি অনুমান করেছি । এমন রঙ ছেলেদের পছন্দ হয়তো! তাই আরকি,,,,,,,,!!!!
ইশান হেসে বললো – বাহ আপনাকে মানতে হয় । ওকে আপনি বসুন আমি শার্ট গুলো ট্রাই দিয়ে আসছি ।। (বলে ইশান চলে গেলো )
ইমা বুকে হাত রেখে সোস্থির একটা শ্বাস ছেড়ে বললো – উফফফ একটুর জন্য বেচে গেছি।। তবে আর কতদিন এভাবে মিথ্যা বলতে হবে !!!! সত্যি জানি না।।।
কিছু ক্ষন পর,,,,,,
ইশান ইমাকে ডাক দেই ।। ইমা পিছনে ঘুরে ঈশান কে দেখে অবাক হয়ে যাই।।। কারণ ইশান ইমার পছন্দ করে দেওয়া ব্লু রঙের শার্টটি পরে আসছে।। ইশান ইমার এমন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা দেখে লাজুক হাসি দিয়ে বলে –
ইশান – ভালো লাগছে???
ইমা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ধীর সুরে বলে – হম তোমাকে সব সময় ভালো লাগে এই রঙে
ইশান – কি??
ইমা একটু চমকে বললো – না বলছি আপনাকে খুব মানিয়েছে।।।
ইশান – thank you।।। আপনি বসুন আমি আসছি। (বলে ইশান চলে গেলো)
ইমা নিজের মাথায় নিজেই মেরে বললো – এত গাধামো কাজ কেনো করিস ইমা । নিজেকে সমযত রাখ।।।। উফফ ওরে এত কিউট লাগে কেনো ?? Why?? (এক্সাইটেড হয়ে)
ইশান – মিস ইমা!! (ইমা চমকে পিছনে তাকাই।। ) চলুন যাওয়া যাক ।
ইমার হাসি আসছিল খুব কষ্টে হাসি থামিয়ে ঈশানের সাথে শপিং মল থেকে বের হলো।।
ইমা একটু পর পর ঈশানের দিকে তাকাচ্ছে।।। একবার ঈশানের চোখের উপর ইমার চোখ পড়েযায় । ইমা তারাতারি অন্য দিকে তাকাই।।
ইশান মুচকি হেসে বলল – thank you আমাকে সাহায্য করার জন্য।। শার্ট গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে।
ইমা – most welcome।।
ঈশান আড়চোখে ইমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো- মিস ইমাকে কফি খাওয়ার কথা বলবো!!! উনি যদি আবার রাগ হয়!!
ভাবতেই পিছন থেকে একজন লোক ঈশান স্যার বলে ডাক দিল।। ঈশান পিছনে ঘুরে তাকালে দেখে তার পরিচিত এক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ।।। ম্যানেজার লোকটি এগিয়ে আসে ঈশান ও এগিয়ে যায়।। লোকটি ঈশানের সাথে কথা বলে ।। ইমা দাড়িয়ে দেখছে । ইশান কথা বলা শেষ করে ইমার কাছে আসলে ইমা ইশান কে জিজ্ঞেস করে লোকটি কে ।।
ইশান -লোকটি লিয়াজো রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার।।। আজ উনাদের রেস্টুরেন্টের দশ বছর পূর্তি হয়েছে তাই আমাকে আপনাকে ইনভাইট করেছে।।
ইমা ভুরু কুচকে বললো – আমাকে কেনো??
ইশান – আপনি আমার সাথে আছেন তাই । আসলে ক আমি তাদের রেস্টুরেন্টের রেগুলার কাস্টমার।।। উনি কাজে এসছিল তাই আমকে দেখে ইনভাইট করলো।। আপনার যদি কোনো সমস্যা না থাকে আপনি আমার সাথে যাবেন ???
ইমা – এখন!!!!
ইশান – হম।।। আপনি গেলে আমার ভালো লাগবে।।প্লিজ।।। (কিউট চেহারা করে বললো)
ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো- উফফ ছেলেটা আমাকে পাগল করে দিবে এমন চেহারা করে কেও বলে!! চাইলেও আর না বলতে পারবো না।।।
ইশান – মিস ইমা!!!
বলতেই ইমা বললো – ঠিক আছে চলুন ।। (ইশান ইমার কোথায় খুব খুশি হয়।। )
ইশান – চলুন।। (আনন্দিত সুরে)
ইশান ইমা লিয়াজো রেস্টুরেন্টে চলে গেল।। ইমা ইশান দেখে রেস্টুরেন্ট টা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে ।। ম্যানেজার ঈশান ইমাকে নিজে welcome জানালো।। এবং তাদের নিয়ে গিয়ে বসলো ।। ম্যানেজার ওয়েটার বয় কে ইশান ইমার অর্ডার নিতে বলে চলে গেলো।।।
ঈশান- অর্ডার করুন মিস ইমা!!
ইমা – আমি জুস নিব।।।
ইশান – আমি কফি।।
ওয়েটার – ওকে thank you ।।। (ওয়েটার চলে গেল)
ঈশান ইমা দুজনাই চুপ কেউ কোন কথা বলছে না দুজনে ভাবছে কি বলবে কি কথা দিয়ে কথা শুরু করবে ভাবতে ভাবতে দুজনাই একসাথে বলল ইসমা ,,,, বলে দুজনাই লাজুক হাসি দিল।।।
ইশান – ইসমাকে নিতে কখন যাবেন ??
ইমা মোবাইলের ঘড়ির দিকে তাকাই দেখে ৭ টা বাজে।। ইমা বললো – আমি ইসমাকে বলে এসেছি পার্টি শেষ হলে আমাকে কল করতে আমি গিয়ে নিয়ে আসবো।।
ইশান – ও আচ্ছা।।
এমন সময় ওয়েটার এসে ঈশান কে কফি এবং ইমাকে জুস দিল।।। ইমা জুস খাচ্ছে এবং এদিক ওদিক দেখছে। আর ইশান ইমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এবং কফির কাপের উপর আঙুল ঘুরাচ্ছে এমন সময় ঈশানের চোখ ঝাপসা হয়ে যায় ঈশান ঝাপসা একটা মেয়েকে দেখতে পাই মেয়েটা হাসছে।। ঈশানে হাতের আঙুল হুট করে কফির মধ্যে চলে যায় ঈশান চমকে উফফ বলে হাত সরিয়ে নেই ।। ইমা চমকে ঈশানের দিকে তাকাই।।। ইমা দেখে ইশান হাতে ফু দিচ্ছে।।।
ইমা উত্তেজিত সুরে – আমাকে দেখান তো!! (বলে ঈশানের হাত ধরে ইমা দেখে এবং ফু দিয়ে দেই । ইশান ইমার এমন কেয়ার দেখে অবাক হয়ে ইমার দিকে তাকিয়ে থাকে।।) একটু বসুন আমি বরফ নিয়ে আসি ওদের কাছ থেকে।।( উত্তেজিত হয়ে)
ইশান – না না লাগবে না । আমি ঠিক আছি।।
ইমা – ঠিক বলছেন তো??
ইশান মুচকি হেসে বললো – হম।।
ইমা – ওকে তাহলে । (হেসে)
ইশান – মিস ইমা আপনি কিসের উপর ডাক্তারি করছেন??
ইমা – আমি একজন কার্ডিয়লজিস্ট মানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। এটার উপরে আরো ডিগ্রি নিতে আমার এখানে আমেরিকায় আসা।।
ঈশান- তারমানে আপনি হৃদয়ের অসুখ ধরেন তাইতো?
ইমা – হম।।। (মুচকি হেসে)
ইশান – তাহলে আমার সমস্যা আপনাকে বলে লাভ নেই।।
ইমা – কি সমস্যা জানতে পারি !!!
ইশান – বললে আপনি আবার আমাকে পাগল বলবেন না তো!!!
ইমা – একদম না বলুন ।। !হেসে)
ইশান কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল – আসলে বেশ ২ মাস ধরে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে ।।। হঠাৎ ই এমন হচ্ছে ।
ইমা – কি হচ্ছে বলুন শুনি।।।
ইশান – মাঝে মাঝে আমার চোখ হঠাৎ করে ঝাপসা হয়ে আসে আর এমন কিছু চোখের সামনে ভেসে উঠে মনে হয় এর আগেও আমার সাথে এমন কিছু ঘটেছে বা আমি দেখেছি আবার পরক্ষনেই মনে হয় আমি হয়তো এমনটা স্বপ্নে দেখেছি।।
ইমা – কাকে দেখেন আপনি ??
ইশান – জানি না পরিষ্কার কিছু দেখতে পাইনা।। শুধু ,,,,,,
বলতেই ইমার ফোন বেজে উঠে ।। ইমা দেখে নিয়া কল করেছে ।।।
ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললো – একটু ওয়েট।।
ইমা ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।
ইমা – hello !!
ইসমা – আম্মু পার্টি শেষ তুমি কখন আসবে!!
ইমা – এইতো আসছি । একটু ওয়েট করো।।। Ok!!!
ইসমা – ok।।।
ইমা ফোন কেটে দিয়ে বললো – স্যার আর সময় দিতে পারছি না ইসমা কে নিতে যেতে হবে । বলে ইমা উঠতে লাগলে ইশান বললো –
ইশান – আমি কি আপনার সাথে যেতে পারি মিস ইমা??
ইমা – ok। চলুন।।।
ইমা ইশান রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেল নিয়ার বাড়িতে।।
ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললো – আপনি বসুন আমি ইসমাকে নিয়ে আসি।। ইমা গাড়ি থেকে নেমে ইসমাকে নিতে ভিতরে গেলো।
ইজমা ইমাকে দেখে দৌড়ে ইমাকে এসে জড়িয়ে ধরে।
নিয়া- ইসমা!!!
ইজমা – নিয়া অনেক ভালো লাগলো তোমার বার্থডে পার্টিতে।। কাল তো ক্যাম্পিং এ যাবো সবাই।। খুব মজা হবে । (হেসে)
নিয়া – ঠিক বলেছ।। কাল দেখা হবে । (হেসে)
ইসমা – ok bye !!
নিয়া – bye।।।
ইজমা – চলো আম্মু।। ইমা নিয়ার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ইজমাকে নিয়ে চলে আসলো ।।। ইমা গাড়ির দরজা খুলে দিলে ইসমা ইশান কে দেখে অবাক হয়ে যাই সাথে খুশি ও হয় ।
ইশান – hi কিউটি ।।।
ইসমা – hi।। তুমি এসেছ আমি খুব খুশি হয়েছি বন্ধু।।।
ঈশান – তাই । আসো গাড়ির ভিতরে আসো।।
ইসমা ঈশানের পাশে বসলো । তারপর ইমা গাড়িতে উঠলো।। ইসমা মনে মনে খুব খুশি হয় ।। যে আজ তার বাবা মা দুজনাই তার দুই পাশে বসে আছে।
ইশান – খুব মজা করলে তাই না।।
ইসমা – হম জানো কি হয়েছে!! আমি,,,,,,, ইসমা ইসানের সাথে ইমার সাথে গল্প করতে করতে হামি তুলে ।
ইমা – ঘুম এসেছে!!!
ইসমা – হম।
ইমা – এইতো আর কিছু দূর বাসায় গিয়ে তারপর ঘুমিয়ে পরো ।
ইশান – দরকার নেই তুমি এখানেই ঘুমাও ।।। এসো আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই।। তুমি ঘুমাও।।। ইসমা ঈশানের বুকে মাথা রাখলে ইশান ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেই।
ইমা – স্যার,,,,,
বলতেই ইশান বললো –
ইশান – ও বাচ্চা মানুষ ঘুম কি ও আটকিয়ে রাখতে পারবে বলুন মিস ইমা?? ঘুমাতে দিন ওকে। (ইমা আর কিছু বললো না)
ইশান ইজমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে বললো – ইসমা মিস ইমা যখন আমার কাছে থাকে কেনো আমার তাদের এত আপন মনে হয় ??কেনো ???
এদিকে ইমা মনে মনে বললো – ইসমা তার বাবাকে এভাবেই চাই।। আল্লাহ আমাকে ধর্য দাও আমি চাই ইশানের তারাতারি সব মনে হোক।
ভাবতেই গাড়ি থামে। ইমা ইসমাকে ডাকতে যাবে ইশান মানা করে।।
ইশান – আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি।।ওর ঘুম নষ্ট করার দরকার নেই।।
ইমা আর কিছু বললো না। গাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো ।।। ইশান টেক্সী ড্রাইভার কে ভাড়া দিয়ে ইসমা কে পাতাল করে কোলে নিয়ে লিফটে করে চলে আসে ৫ তলায়।।।
ইমা দরজা খুলে দিলে ইশান ইসমা কে নিয়ে গিয়ে ইসমার রুমে শুয়ে দেই।। ইমা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে।। ইশানের কি মনে হয় সে ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ইসমার কপালে চুমু দেই।। হঠাৎ ঈশানের চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে স্মৃতি ভেসে উঠে।। ইশান দেখে সে কোনো বাচ্চার কপালে এমন ভাবেই চুমু দিচ্ছে।। ইশান দুই হাত দিয়ে নিজের মাথা চেপে ধরে । এবং মেঝেতে বসে পড়ে । ইমা ইশান কে এমন করতে দেখে তারাতারি ঈশানের কাছে আসে।।। এবং ঈশানের কাধে হাত রাখে । ইশান চমকে মাথা ছেড়ে ঘুরে ইমার দিকে তাকাই।।।
ইমা – কি হয়েছে???
ইশান কোনো কথা বলে না ।। তারাতারি উঠে দাড়াই।। এবং দ্রুত ইমার বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায় । ইমা ইশান কে ডাকলেও ইশান ইমার কথা শুনে না।। হন হন করে হেঁটে চলে যায়।।।
ইমা – আমার মনে হয় আমার এখুনি সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাথে কথা বলা উচিত ।
ইমা তারাতারি ফোন নিয়ে এসে নাম্বার বের করে কল করলো ।
এদিকে ইশান নিজের রুমে এসে কান্না করতে লাগে এবং পুরা রুমের জিনিস পত্র এলো মেলো করতে লাগে।। ইশান ফুল দানি মেঝের উপর আছড়ে মারলে কাচের ফুল দানি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় । ইশান মাথা ধরে মেঝেতে বসে পড়ে এবং কান্না করতে লাগে।।
ইশান – কি ভুলে গেছি আমি কি ভুলে গেছি ?? বার বার চোখের সামনে এমন ঝাপসা কি ভেসে উঠছে?? কে ওরা কেনো তাদের চেহারা দেখতে পাচ্ছি না??? কেনো এমন হচ্ছে আমার। উফফ আর পারছিনা নিতে।। আর পারছি না ।। বলে হাত মুঠ করে মেঝের উপর আঘাত করে সাথে সাথে ফুলদানির কাচ ঈশানের হাতে ঢুকে যায়।। ঈশানের যেনো কোনো অনুভূতিই নেই।। ইশান মাথা ধরে কান্না করতে লাগে।।।
কিছুক্ষন পর,,,,,,,
ইমা পানি খেতে কিচেন রুমে যেতেই দেখে সোফার উপর ঈশানের কেনা শার্ট গুলোর প্যাকেট।
ইমা – আল্লাহ ইশান শার্ট রেখে চলে গেছে।। কাল তো আবার তারা হুরা করতে শুরু করবে।।এক কাজ করি শার্ট গুলো দিয়ে আসি।।
ইমা শার্ট গুলোর প্যাকেট নিয়ে লিফটে করে চলে গেলো ৭ তলায়। ইমা দরজায় কলিংবেল বাজলো।। ইশান চমকে উঠে ।।।
ইশান – এই সময় কে আসলো।। দেখি তো।। ইশান চোখ মুছে নিজের রুমের দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে মেন দরজার কাছে আসে।।
ইশান – কে ??
ইমা – আমি ইমা।।
ইশান দৌড়ে ডাইনিং এর বেসিং এর আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল ঠিক করতেই দেখে তার হাত থেকে রক্ত পড়ছে।।।
এদিকে ইমা আবার কলিং বেল বাজালো।।
ইশান – উফফ হাত টা কখন কাটলো বুঝতেই পারলাম না । আসছি।। (একটু জোরে)
ইশান তারাতারি গিয়ে দরজা খুললো ইশান ক্ষত হাত টা দরজার পিছনে রেখেছে ।
ইশান – মিস ইমা !!!
ইমা – আসলে আপনি আমার বাসায় আপনার শার্ট গুলো রেখে চলে এসেছেন।। তাই দিতে আসলাম।।। এই নিন ।
ইশান প্যাকেট গুলো নিতে গেলে ইমা দেখে ঈশানের হাত থেকে রক্ত ।।
ইমা – স্যার আপনার হাতে কি হয়েছে !!
ইশান মনে মনে – আল্লাহ কিভাবে ভুলে গেলাম।। ধুর এত লুকাই কি লাভ হল।। ।
ইমা – কতো খানি কেটে গেছে।।
ইশান – কাটেনি তো। ওই রঙ ভরেছে।।। (হেসে)
ইমা – আমাকে কি আপনার বকা মনে হয়!! আমি একজন ডাক্তার কোনটা রক্ত কোনটা রঙ আমি খুব ভালো চিনি । সুরুন আমাকে ভিতরে আসতে দিন
ইশান – মিস ইমা আপনি শুধু শুধু ব্যাস্ত হচ্ছেন।। ইমা ঈশানের কোনো কথা শুনে না একরকম জোর করে ঈশানের বাড়ির ভিতরে ঢুকে।।)
ইমা – আপনার হাত দেখি।। (ইশান হাত পিছনে নিয়ে গেলো ইমা জোড় করে ঈশানের হাত ধরে সামনে নিয়ে আসে । )
ইশান – মিস ইমা কি করেছেন?? কিছু হয়নি সত্যি!!
ইমা – কিছু হয়নি!! দেখুনতো কতো খানি কেটে ফেলেছেন!! (একটু রাগান্বিত সুরে) ফাস্টেড বক্স কোথায়??
ইশান – আমার রুমে।। (মুখ ভার করে)
ইমা – আপনি এখানে বসুন আমি নিয়ে আসছি।।
ইমা ঈশানের রুমের দিকে যেতে লাগল হঠাৎ ঈশানের মনে পড়ে তার রুমে ভাঙা কাঁচ রয়েছে তারা উপর সব কিছু এলোমেলো ।।
ইশান জলদি উঠে দাড়িয়ে জোরে বললো –
ইশান – না।।।( ইমা ঘুরে ঈশানের দিকে তাকালো।। ইশান তারাতারি ইমার কাছে এসে বললো ) আপনার যেতে হবে না আমি গিয়ে নিয়ে আসছি ।
ইমা – দরকার নেই । আপনি গিয়ে বসুন।। দেখুন ব্লিডিং এখনো ব্লিডিং হচ্ছে।
ইশান – ও কিছু না।। আপনি গিয়ে বসুন আমি নিয়ে আসছি ।
ইমা – দরকার নেই । আপনি ভালো ছেলের মত গিয়ে বসেও পড়ুন তো এত কথা ভালো না ।।
বলে ইমা যেতে লাগলে ইশান আবার ইমার পথ আটকায় ।
ইশান – দেখুন মিস ইমা আপনি আমার গেস্ট আমি আপনাকে দিয়ে কাজ করতে পারি বলুন??
ইমা – দেখুন আমি এখন আপনার গেস্ট না। আমি এখন আপনার জন্য একজন ডাক্তার।। আপনি যান গিয়ে বসে থাকুন আমি ফাস্টেড বক্স নিয়ে আসি।।
ইমা যেতে লাগে কিন্তু ইশান যেতে দিতে চায়না এমন করতে করতে দুজন রুমের দরজার কাছে আসে।। ইমা ঈশানের সাথে কথা বলতে বলতে রুমের দরজা খুলে কিন্তু রুমের ভিতরে তাকাই না।। ইমা যেই ভিতরে ঢুকতে যাবে এমন সময় ইমার পা পাপসের উপর পড়ে স্লিপ করে।। ইমা পড়ে যেতে লাগলে ইশান দুই হাত দিয়ে ইমার মাজা চেপে ধরে ।। নিজের দিকে টান দেই । ইমা পিঠ ঈশানের শরীরে সাথে ধাক্কা লাগে । ইমার সাথে সাথে হার্ট বিট ফাস্ট হয়ে যায় সাথে ঈশানের ও।।। ইশান ইমা দুজনাই যেনো একটা অবাক হয়ে যায়।। ইশান আসতে করে ইমা কে ছেড়ে দিয়ে সরে দাঁড়ায়।। ইমা চোখ বন্ধ করে ধীরে শ্বাস ছাড়ে এবং চোখ খুলে সামনে তাকাই। দেখে পুরা র অলটপালোট করা।। ইমা তার মধ্যেই রুমের ভিতরে ঢুকল।। এবং ফাস্টেড বক্স নিয়ে বের হয়ে আসলো ।
ইশান কোনো কথা বলছে না ইমা বলছে না ।।
ইমা ঈশানের হাতে ঔষধ লাগাতে গেলে ঈশান ইস বলে ওঠে । ইমা ঈশানের হাতে ফু দিয়ে দিয়ে ওষুধ লাগিয়ে দেয়।।। ইশান হা হয়ে ইমাকে দেখতে থাকে ।।
ইমা – হাত পানিতে ভেজাবেন না।। আপনাকে জিজ্ঞেস করবো না কি হয়েছে কারণ সেটা আপনার পার্সোনাল বিষয় ।।তবে এমনটা আর কখনো করবেন না নিজের ক্ষতি করে কখনো কোনো লাভ নেই।। শুধু আপনারই কষ্ট হবে। আপনার কষ্ট কিন্তু অন্য কেউ অনুভব করবে না।।।
ইশান একটা কথাও বললো না।। ইমা উঠে ঈশানের রুমে গিয়ে রুমে পড়ে থাকা ভাঙা কাঁচ গুলো উঠালো এবং রুমটা পরিষ্কার করে দিল।।।
ইমা – আমি আসি ।। (বলে ইমা চলে গেলো)
ইশান দরজা বন্ধ করে নিজের রুমের আসে বিছানায় শুয়ে ইমার কথা ভাবতে লাগে।। এবং আনমনে হাসতে লাগে।।
ইশান পাশ থেকে বালিশ নিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরে লাজুক হাসি দিয়ে বললো –
ইশান – হাই আল্লাহ কি হলো আমার।।। কি হলো।। (বলে বালিশ দিয়ে মুখ ডেকে হাসতে লাগে।।।)
,,,,,,, Continue,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।
,,,,,,, Continue,,,,,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।।