I’m Mafia lover পর্ব -৩৫+৩৬

#i_m_mafia_lover
#part_35
#sabiha_kh

আজকের পর্বটা বড় করে দিলাম😊

ডাক্তার – সেটা বলতে পারছিনা।। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন কোনো ভাবে উনাকে পুরনো স্মৃতির কথাগুলো বলে মনে করানোর চেষ্টা করবেন না। যদি মনে করানো চেষ্টা করেন হয়তো উনার বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।। উনার ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে।।




বর্তমান,,,,

আকাশ – তারপরেই আমি ঠিক করি স্যারকে বাঁচাতে হলে আমার স্যারের মৃত্যুর অভিনয় করতে হবে । এবং আপনাদের সবাইকে সেটা বিশ্বাস করাতে হবে । তাই আমি এসব করেছি।। ( মাথা নিচু করে বললো)
আকাশ মাথা তুলে ইমার দিকে তাকাই দেখে ইমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে।। আকাশ ইমার সামনে হাত জোড় করে বললো –

আকাশ – ম্যাডাম প্লিজ কাদবেন না।।। আমি জানি আপনি কি ভাবছেন ।।। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি যায় করেছি স্যারের ভালোর ভেবে করেছি।।।

ইমা কি বলবে কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা ।। ইমা চোখ মুছে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো –

ইমা – তুমি কোনো ভুল করোনি আকাশ।। আজ ঈশানের এই অবস্থার পিছনে আমি দায়ি।। আমি আসলে ওকে কখনো বুঝিনি।। কিন্তু ও আমাকে সব পরিস্থতিতে বুঝেছে!!!!,,,,, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঈশানের জীবন যেহেতু আমার জন্য এলোমেলো হয়ে গেছে সেহেতু আমি ওর জীবন আবার গছিয়ে দিবো।। ওর সব স্মৃতি আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।। শুধু আমার পাশে তোমাকে থাকতে হবে ।।।

আকাশ – অবশ্যয় থাকবো ম্যাডাম ।। আমিও চাই স্যারের সব স্মৃতি ফিরে আসুক ।। স্যার আবার আগের মত DW কোম্পানির দায়িত্ব পালন করুক । এখন তো আর জহির স্যার নেই তাই ইশান স্যার DW কোম্পানির চেয়ারম্যান।। ম্যাডাম স্যারের এই অবস্থার কথা কেও জানে না । শুধু DW কোম্পানির MD এবং ম্যানেজারকে বলেছি।। এখন আমি স্যারের হয়ে অফিসের কাজ সামলাচ্ছি।।। কিন্তু আমি আর পারছি না ম্যাডাম।।

ইমা – আকাশ তুমি চিন্তা করো না।। আমি ঈশানের বিষয়ে বড় একজন সাইকোলজিস্ট ডাক্তারের সাথে অলরেডি যোগাযোগ করেছি। ।। শুধু তোমার থেকে কথা গুলো শুনার দরকার ছিল । ।। যায় হোক তুমি আমাকে ঈশানের মেডিকেল রিপোর্ট গুলো দিবে।।।।

আকাশ – ok ম্যাডাম।। আমি কাল সকালে পাঠিয়ে দিবো আপনার বাড়িতে।। আপনার বাড়ির এড্রেসটা দিন ।।। (ইমা আকাশ কে তার বাড়ির অ্যাড্রেসটা দিল )

Time Skip

পরের দিন আকাশ ইমার বাসায় ঈশানের সব মেডিকেল রিপোর্ট গুলো পাঠিয়ে দিল।। ইমা রিপোর্টগুলো নিয়ে সাইকোলজিস্ট ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললো –

– মিস ইমা আপনার কথা শুনে এবং এই রিপোর্ট দেখে যা বুঝলাম আসলেই মিস্টার ইশান অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছে।। যেটা উনার ব্রেইন নিতে পারেনি ।। যার কারণে উনি সব ভুলে গেছেন। ।। যায় হোক মিস্টার ঈশানের ভুলে যাওয়া স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব ।।। আপনাকে যে ভাবে বলছি সেভাবেই করবেন।।। (ডাক্তার ইমা কে সব কিছু বুঝিয়ে বললো। ) যদি এগুলো করতে পারেন তাহলে ৯৯% সম্ভাবনা রয়েছে উনার স্মৃতি ফিরে আসার।। কোনো ক্ষতি ছাড়াই।।

ইমা – ok ডাক্তার thank you so much।।। (ইমা ডাক্তারের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো।।)

পরের দিন,,,,,

সকালে ইমা ইসমাকে নিয়ে ইসমার স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হলো।।

ইমা – ইসমা মামুনি তোমাকে কি বলেছি তোমার মনে আছে তো!!!

ইসমা – হম আছে ।।

ইমা – হম । বাবাকে বাবা বলে ভুলেও ডেকো না ।। আগে বাবা সুস্থ হোক তারপর বাবাকে যত ইচ্ছা বাবা বলে ডেকো ।।

ইসমা – ok আম্মু।।।

ইমা ইসমাকে নিয়ে চলে আসলো স্কুলে।।।

ইমা – যাও মা ভিতরে যাও।। আমি ক্লাস শেষ করে তোমাকে নিতে আসবো।।

ইসমা – ঠিকাছে আম্মু।।( ইসমা স্কুলের ভিতরে চলে গেলো)

ইসমা ক্লাসে যাবে এমন সময় পিছন থেকে নিয়া ডাক দেই । ইসমা পিছনে ঘুরে তাকাই দেখে নিয়া তাকে hi দিচ্ছে।। ইসমা hi দেওয়ার জন্য হাত তুললে দেখে নিয়ার পিছন ইশান আসছে।। ইশান ইসমার দিকে তাকাই।।

ইসমা – বাবা আসছে।। যায় তারাতারি ভিতরে চলে যায়।।। (মনে মনে )

ইসমা মাথা নিচু করে তারাতারি ভিতরে চলে গেলো ।।।

ইশান বিষয় টা খেয়াল করলো কিন্তু কিছু বললো না।।

Time Skip

ইমা আকাশ কে কল করলো।।

আকাশ – hello ম্যাডাম!!!

ইমা – আকাশ তুমি একটা কাজ করো। ইশান এখন যেখানে আছে সেখানে আমার ইসমার থাকার জন্য একটা বাড়ি ঠিক করো।

আকাশ – ঠিক করতে হবে না ম্যাডাম স্যার যেইখানে থাকে সেটা ১০ তোলা একটা বিল্ডিং। বিল্ডিংটা ইশান স্যারের জন্য কিনা হয়েছে।। সেখানে আমি অন্য ফ্যামিলিদের কে ভাড়া দিয়েছি।। যেনো স্যারের সন্দেহ না হয়।। আপনি চাইলে ওখানে থাকতে পারেন।।

ইমা – খুব ভালো হলো।। এক কাজ করি কাল সকালে তাহলে আমি ইসমাকে নিয়ে সেই বিল্ডিং এ উঠে পরি।। আমার মতে আমি ইসমা ঈশানের যত কাছাকাছি থাকবো ততো ও আমাদের নিয়ে ভাববে ।

আকাশ – ok ম্যাডাম আমি আজই সব ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি ।।

ইমা – ok।।। (ফোন কেটে দিলো)

Time Skip

ইসমার ক্লাস শেষ । ইসমা ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাস রুম থেকে বের হবে এমন সময় নিয়া ইসমাকে বলল-

নিয়া – কোথায় যাচ্ছ!!

ইসমা – বাসায় যাবো আম্মু আসবে নিতে।।

নিয়া – আজ মিউজিক ক্লাস আছে যাবে না??

ইসমা – না যাব না তুমি যাও।।।

নিয়া – ইসমা তুমি একটা সত্যি কথা বলো তো। তুমি সেদিন স্যার কে জড়িয়ে ধরে কাঁদলে কেন??

ইসমা – আ,,,, নিয়া আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না । বাই।।। (বলে ইসমা চলে গেলো)

নিয়া আর ইসমা কে ডাকলো না সে চলে গেল মিউজিক ক্লাসের দিকে।।। আজ ইশান পিয়ানো বাজাচ্ছে না সে বসে বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছে দেখছে ইসমা আসছে কিনা।।। এমন সময় নিয়া আসে।।

নিয়া ক্লাসের ভিতরে আসলে ইশান নিয়া কে জিজ্ঞেস করে ইসমার কথা।।। নিয়া বলে ইসমা বাড়িতে যাবে তাই তার মায়ের জন্য বাইরে বসে অপেক্ষা করছে।

ইশান – ok তুমি গিয়ে বসে পরো।।।( নিয়া নিজের জায়গায় গিয়ে বসে পড়লো) স্টুডেন্ট তোমাদেরকে পরশু দিন যেই নোট দিয়েছিলাম সেটা সবাই বাসায় প্র্যাকটিস করেছ???

সবাই – জী স্যার।।।

ইশান – ok ।। তোমাদের সামনে যে পিয়ানোর বোর্ড আছে।। সেটা সুর মিলিয়ে সবাই একসাথে বাজাবে । তারপর আমি একজন একজন করে এইখানে ডাকবো এবং আমাকে পিয়ানো বাজিয়ে শুনাতে হবে।।

সবাই – ok স্যার।।( সবাই এক সাথে তাল মিলিয়ে পিয়ানো বাজাতে শুরু করলো।। ইশান সবার পিয়ানো বাজানো দেখছিল কিন্তু তবুও তার বার বার নিয়ার বলা কোথায় মনের মধ্যে নাড়া দিচ্ছিল।। )

ইশান দরজা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে মনে মনে বললো – মেয়েটা কি লজ্জা পাচ্ছে?? সকাল বেলা ও দেখলাম আমাকে দেখে তারাতারি ক্লাসের ভিতরে চলে গেলো।। নাহ্ বিষয় টা দেখতেই হচ্ছে।

ইশান ক্লাস থেকে বের হয়ে বাইরে আসলো।। দেখে ইসমা গার্ডেনে বেঞ্চের উপর বসে স্কুলের মেন দরজার দিকে তাকিয়ে আছে ।।। ইশান বুঝলো নিশ্চয় তার মা এখনও আসেনি।।

ইশান গিয়ে ইসমার পাশে বসলে ইসমা চমকে উঠে ঈশানের দিকে তাকাই ।

ইশান – hi ইসমা।।

ইসমা – হ্যালো সা,,,সা,,স্যার।।( ইসমার যেনো ইশান কে স্যার বলতে মুখে বাঁধছিল)

ইশান – তুমি আমার ক্লাসে আসনি কেনো??

ইসমা – আসলে স্যার আমি পরশুদিন,,,,!!! (সংকোচ নিয়ে)

ইশান – it’s ok আমি কিছু মনে করিনি । আচ্ছা একটা কথা বলো তো তোমার বাবার কি হয়েছে???

ইসমা – জানিনা স্যার । বাবা ২ বছর আগে আমাকে মাকে রেখে কোথায় যে চলে গিয়েছে আর ফিরে আসেনি।। আপনার চেহারা আমার বাবার সাথে মিলে তো তাই আমি,,,,,, (ইসামার চোখ গুলো পানিতে ছলছল হয়ে গেল )

ইশান ইসমার কাছে এগিয়ে এসে ইসামাকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো।।

ইশান – লক্ষীমেয়ে কান্না করে না।।

ইসমা বাবার শরীরের ঘ্রাণ পেয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে একটা শ্বাস নিয়ে মনে মনে বললো – আমার বাবা।।। sorry বাবা তোমাকে মিথ্যা বললাম। তোমাকে খুব ভালোবাসি বাবা।। তুমি এত কাছে আছো তবুও বলতে পারছি না আমার মনের কথা তোমাকে।।।

ইশান ইসমাকে ছেড়ে ইসমার দিকে তাকালো। দেখে ইসমার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে আছে।। ইশান ইসমার চোখ মুছে দিয়ে বললো –

ইশান – একদম কান্না করবে না।।। তোমার বাবা অবশ্যয় একদিন ফিরে আসবে তোমার কাছে।।। ইসমা আমার তো এইখানে নিজের দেশের কোনো বন্ধু নেই। তুমি কি আমার বন্ধু হবে???( ইসমা ঈশানের কথা শুনে হেসে উঠলো। ) কি হলো আমি তোমার বড় এই জন্য কি বন্ধুত্ব করতে পারি না!!!

বলে ইশান চুপ হয়ে গেলো এবং মনে মনে বললো- এই কথা এর আগেও আমি কাও কে বলেছি মন হচ্ছে। কিন্তু কাকে বলেছি???

ভাবতেই ইসমা বললো –

ইসমা – ঠিকাছে আমি তাহলে তোমাকে বন্ধু বলে ডাকবো।।

ঈশান ইসমার কথা শুনে অবাক হলো ঈশানের মাথার মধ্যে কেমন জানি হতে লাগে।।

ইশান – বন্ধু !!! বন্ধু !!! এই ডাক টা আমি এর আগেও শুনেছি মনে হচ্ছে কিন্তু কে ডাকতো আমাকে বন্ধু বলে ?? (মনে মনে বললো)

এমন সময় ইমা আসে ।। ইমা দেখে ইশান কেমন বিস্মিত চোখে ইসমার দিকে তাকিয়ে আছে।।।।

ইমা – ইসমা !!!( ইশান চমকে ইমার দিকে তাকাই।।)

ইসমা – আম্মু তুমি চলে এসেছো!!!

ইমা – হম ।। Hello স্যার।। (ইশান উঠে দাড়ালো।। )

ইশান – hello।। আ,,, ইসমা কাল থেকে কিন্তু তোমার আমার ক্লাস করতে হবে।। Ok,,

ইসমা – ok বন্ধু।। (হেসে)

ইমা – বন্ধু!!!! (একটু অবাক হয়ে)

ইশান – আ,,, তেমন কিছু না আসলে আজ ইসমা আর আমার বন্ধুত্ব হলো।। Ok ইসমা বাসায় যাও। কাল দেখা হবে।।( মুচকি হেসে)

ইসমা – ওকে ।। চলো আম্মু।।

ইমা – ok স্যার আসি।। (ইমা ইসমাকে নিয়ে চলে গেলো আর ইশান তার ক্লাস রুমে আসতে আসতে মনে মনে ভাবলো আমি কিছু ভুলেগেছি কি!! কেনো ইসমা আমাকে বন্ধু বলে ডাকাতে আমার এতো পরিচিত ডাক মনে হলো ??

ইশান নিজের মাথায় মেরে বললো -উফফ কি যে হলো আমার। ধ্যাত।।। (ইশান তারাতারি হেঁটে ক্লাসে চলে গেলো)

এদিকে ইমা ইসমাকে জড়িয়ে ধরে বললো –

ইমা – আমার লক্ষী মেয়ে । বাবার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। তোমার মনে আছে এর আগে বাবার সাথে কিভাবে বন্ধুত্ব করেছিলে??

ইসমা – মনে আছে আম্মু তাই তো বাবাকে বলেছি আমি তাকে বন্ধু বলে ডাকবো।। (হেসে)

ইমা – খুব ভালো করেছো।। (হেসে)

Time Skip ,,

ইমা – ইসমা আমি ঠিক করছি এই বাড়ি ছেড়ে দিবো।

ইসমা – কেনো আম্মু ?? (বিস্মিত চোখে)

ইমা – কারন তোমার বাবা যেই বিল্ডিংএ থাকে আমরাও কাল থেকে সেই বিল্ডিংএ থাকবো।।

ইসমা আনন্দিত সুরে বলল – সত্যি আম্মু ?? তাহলে তো আমরা সব সময় বাবাকে দেখতে পাবো!!

ইমা – হম।। এইজন্যই তো আমরা ওখানে যাবো।। তাহলে আমরা বাবার আরো কাছাকাছি থাকতে পারবো । (হেসে)

ইসমা উঠে ইমাকে জড়িয়ে ধরে বললো – thank you আম্মু।। তুমি আমার দুনিয়ার বেস্ট আম্মু।।।( আনন্দিত সুরে)

ইমা – ok ok হয়েছে হয়েছে এখন চলো আমরা দুজন মিলে জিনিস পত্র গুলো গোছায়।। কাল সকাল সকাল আমরা চলে যাবো।।

ইসমা – আচ্ছা চলো চলো।। (হেসে)

তারপর মা মেয়ে দুজন মনে আনন্দ নিয়ে জিনিসপত্রগুলো গোছাতে লাগে।।

পরের দিন সকাল ৬ টায়,,,,,,,

ইমা ইসমা একটা মিনি ট্রাক ভাড়া করে জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসলো ।। ইসমা বিল্ডিং দেখে বললো –

ইসমা – আম্মু বাবা কয় তলায় থাকে তুমি জানো??

ইমা বিল্ডিং এর দিকে তাকিয়ে বলল – উম,,,,, সাত তলায় থাকে।।

ইসমা – আমরা কয় তলায় উঠবো আম্মু??

ইমা – আমরা ৫ তলায় ।

ইসমা মুখ ভার করে বললো – ছয় তলায় নিতে পারনি আম্মু!!!

ইমা – ছয় তলায় একটা পরিবার আছে মা।। সমস্যা নেই নাও।। ( মুচকি হেসে)

বলতেই পিছন থেকে ইসমা বলে কেও ডাক দেই।। ইসমা ইমা পিছনে ঘুরে তাকাই দেখে ইশান দাড়িয়ে আছে। পড়নে জগিং করার পোশাক । হাতে পানির বোতল ।। ইমা দেখে ঈশানের চুল গুলো ভিজে আছে।। চেহারায় ঘাম রোদের মিষ্টি আলোতে ঈশানের মুখ চমক দিচ্ছে।। ইমা একরকম হা হয়ে তাকিয়ে ইশান কে দেখে। এবং মনে মনে বলে –

ইমা – তুমি সব সময় hot 🔥 ইশান।। মনে হচ্ছে আবার নতুন করে দেখছি তোমাকে।।

ইসমা – hi বন্ধু !! (হেসে )

ইশান – তুমি এখানে ?? (একটু অবাক হয়ে)

ইমা – আ,, আমরা এই বিল্ডিংয়ে ৫ তলায় উঠলাম আজ।।। কিন্তু আপনি এখানে??

ইশান – আমি এখানেই থাকি ৭ তলায়।।

ইমা – দেখেছ ইসমা তুমি তোমার বন্ধুর প্রতিবেশী হয়ে গেলে আজ থেকে।। (হেসে)

ইশান – ভালো হয়েছে।। আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার দেশের কেও তো এখানে থাকবে।।( হেসে)

ইমা – আমাদেরও ভালো লাগলো আমরা নিজের দেশের কাওকে পাবো।।

বলতেই একজন লোক বললো – ম্যাডাম সব জিনিসপত্র উপরে দিয়ে আসা হয়ে গেছে।।

ইমা – thank you।। এই নিন টাকা।।

লোক টা টাকা নিয়ে চলে গেলো।।

ইমা – ইসমা চলো আমরা উপরে যায়।।

ইসমা – চলো।। বন্ধু তুমিও কি যাবে?? (ঈশানের দিকে তাকিয়ে)

ইশান – হম আমিও যাবো ।।চলো সবাই এক সাথে যায়।। (মুচকি হেসে)

ইমা ইসমা মনে মনে খুব খুশি । তারা লিফটে উঠলো।। ৫ তলায় এসে লিফট থামলো।।

ইমা – চলো ইসমা আমরা যায়।। Thank you স্যার।।( ঈশানের দিকে তাকিয়ে)

ইশান – ঠিকাছে।। (হেসে)

ইমা – চলো ইসমা।।

ইমা ইসমা তাদের নতুন বাসায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।। ইমা ইসমা খুশিতে যেনো পাগল হয়ে যাচ্ছে ।

ইসমা রীতি মতো নাচতে শুরু করেছে।। ইমা ইসমা দুজনাই গান ছেড়ে নাচছে।।

ইসমা – আম্মু কিযে ভালো লাগছে।। (আনন্দিত সুরে)

ইমা – আমারও।। তোমার বাবা এত,,,, (বলে চুপ হয়ে গেলো।। এবং মনে মনে বললো – আল্লাহ এখনি মেয়েকে কি বলতে যাচ্ছিলাম।)

ইসমা – বলো আম্মু!!

ইমা – কিছু না । এখন শান্ত হও।।( ইমা মোবাইলের গান বন্ধ করলো। ) চলো এখন দুজন মিলে বাড়িটা সুন্দর করে গোছায়।।

ইসমা – চলো।।( হেসে)

এদিকে ইশান ফ্রেস হয়ে কিচেন রুমে আসলো। ইশান মনে মনে ভাবলো –

ইশান -আচ্ছা আমার মনে হয় ওদের সাহায্য করা দরকার ছিল। মিস ইমা পিচ্ছি মেয়েটাকে নিয়ে একা একা কি পারবে?? নাহ্ আমার আগে ওদের সাহায্য করা উচিত । যায়।।

ইশান ৫ তলায় আসলো। বুঝতে পারছে না কি করবে।

ইশান – নাহ্ এত ভেবে লাভ নাই ।।ওদের সাহায্য করা উচিত।। (ইশান কলিং বেল বাজলো)

ইমা এসে দরজা খুলে দেখে ইশান।।

ইমা – স্যার!!! (একটু অবাক হয়ে)

ইশান – কোনো সাহায্য লাগবে মিস ইমা!!

ইমা – না স্যার ।। ইসমা আছে সমস্যা নাই।।।

ইশান – ইসমা তো ছোট ও কিভাবে আপনাকে সাহায্য করবে। যদি আপনি কিছু মনে না করেন আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি??

ইমা – এতে মনে করার কি আছে। আসুন ভিতরে আসুন।। (হেসে)
#i_m_mafia_lover
#part_36
#sabiha_kh

ইশান – ইসমা তো ছোট ও কিভাবে আপনাকে সাহায্য করবে। যদি আপনি কিছু মনে না করেন আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি??

ইমা – এতে মনে করার কি আছে। আসুন ভিতরে আসুন।। (হেসে)





ইসমা- বন্ধু তুমি ?? (আনন্দিত সুরে)

ইশান – হম আসলাম তোমাদের একটু সাহায্য করতে।

ইসমা – খুব ভালো করেছো ।

ইশান – ওকে ওকে এখন কাজ শুরু করা যাক।।। (হেসে)

ইমা – হম শুরু করি। (হেসে)

ইশান ইমা মিলে ভারী ফার্নিচার গুলো সরিয়ে সুন্দর করে জায়গায় জায়গায় সেট করলো। দুইজনেই কাজ করছে গল্প করছে হাসা হাসি করছে।। ইসমা ইশান ইমাকে এমন হাসি খুশি দেখে সেও খুব খুশি হলো।। ইসমা তার বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো – আল্লাহ তুমি তাড়াতাড়ি আমার বাবাকে ঠিক করে দাও। যেনো আমরা সবাই একসাথে থাকতে পারি। বাবা মাকে এমন হাসি খুশি আমি সব সময় দেখতে চাই ।

Time Skip

ইমা পেটে হাত দিয়ে বললো দুর্বল সুরে বললো – আম্মু আমার ক্ষুধা লেগেছে।।

ইমা – আল্লাহ আমি তো ভুলেই গেছি। আচ্ছা দাড়াও কিছু রান্না করে নিয়ে আসি।। স্যার আপনিও তো কিছু খাননি মনে হয়।।

ঈশান – আ,,,, সমস্যা নাই।।

ইমা – তা কি করে হয়।।। আপনারা দুইজন বসুন আমি ঝটপট কিছু রান্না করে নিয়ে আসি।। (ইমা চলে গেলো )

ঈশানের ফোনে কল আসে। ইশান পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে তার বন্ধু রেন কল করেছে । ঈশানের মোবাইলের সময়ের দিকে চোখ গেল দেখে ৯ :১৫ বাজে।। ইশান চোখ বড় বড় করে বলল –

ইশান – ও god ৯ : ১৫ বাজে স্কুল যেতে হবে।।
ইশান তারাতারি উঠে দাড়ালো এমন সময় ইমা আসে ।। ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে বলে –

ইশান – মিস ইমা স্কুলে যেতে হবে। টাও অনেক টা দেরি হয়ে গেছে ।

ইসমা – আমিও যাবো আম্মু বন্ধুর সাথে।। (ইশান ইসমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো)

ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললো – তোমার বন্ধুর যদি কোনো সমস্যা না থাকে যেতে পরো। ( ইশান ইমার দিকে তাকালে ইমা ঈশানের থেকে চোখ সরিয়ে নেই)

ইশান – আমার কোনো সমস্যা নেই।। তুমি রেডি হও ইসমা আমি ও রেডি হয়ে আসছি।।

ইমা – কিন্তু আমি নুডুলস রান্না করেছি সেটা তো খেয়ে যান।।

ইশান – এক সরি মিস ইমা একদম সময় নেই । ইসমা খেয়ে নাও । আমি আসছি।।

ইশান তারাতারি চলে গেলো ।

ইসমা – আম্মু আমি ঠিক করেছি না বাবার সাথে স্কুলে যাবো বলে।।

ইমা ইসমার কপালে চুমু দিয়ে মুচকি
হেসে বললো – একদম ঠিক করেছো।। এখন চলো তারাতারি নাশতা করে রেডি হয়ে নাও ।

কিছুক্ষন পর,,,,

ইশান রেডি হয়ে ইসমা কে নিতে আসে।।

ইশান – ইসমা !!!

ইসমা- এইতো আমি।।। (হেসে)

ইশান দেখে ইসমা একদম রেডি।।

ইশান – চলো যাওয়া যাক ।।। (বলতেই ইমা আসে।। ইশান দেখে ইমার হতে একটা বক্স)

ইমা – স্যার এইটা নিন।। আপনি একদম কিচ্ছু খাননি স্কুলে গিয়ে খেয়ে নিবেন ।

ইশান – না না এগুলোর দরকার নাই।। আমি কিছু কিনে খেয়ে নিবো ।

ইমা – একদম না । আমি জানি আপনি বাইরের খাবার একদম অপছন্দ করেন ।। (বলে ইমা চুপ হয়ে যায় ।। ইশান সন্দেহর চোখে ইমার দিকে তাকিয়ে বলে )

ইশান – আপনি কি ভাবে জানলেন আমি বাইরের খাবার খাইনা!! (ইমা আমতা আমতা করতে লাগে ।। )

ইমা – না মানে আসলে অনেকেই আছে বাইরের খাবার পছন্দ করে না তাই ভাবলাম হয়তো আপনিও করেন না। তাই বললাম ।

ইশান কিছু বলতে যাবে এমন সময় ঈশানের ফোন আসে।

ইশান দেখে রেন আবার কল করেছে । ইশান ফোন ধরে বললো নীচে দাড়াতে সে যাচ্ছে।।

ইমা – এটা রাখুন স্যার।।

ইশান – thank you মিস ইমা।। চলো ইসমা আমরা যায়।।

ইসমা ঈশানের সাথে চলে গেলো। ইমা দরজা বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে বলল- একটুর জন্য বেঁচে গেছি ।।।

ইসমা খুব খুশি তার বাবার সাথে স্কুলে যাচ্ছে এই ভেবে।। ইসমা একটু পর পর ঈশানের দিকে তাকিয়ে হাসছে।। ইশান খেয়াল করলো ইসমার দিকে।।

ইশান – কি হয়েছে বলোতো তুমি আমাকে দেখে হাসছো কেনো ??

ইসমা – এমনি বা,,,,, (বলতে গিয়ে চুপ হয়ে গেলো)

ইশান ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল – বাবা কে খুব মিস করি তাই না!!( ইসমা মাথা ঝুকাল) কষ্ট পেয়ো না।।। আচ্ছা ইসমা তোমার আম্মু কি করে ?? মানে পেশা কি ??

ইসমা – আমার আম্মু ডাক্তার।।।

ইশান – হম ।।

এভাবে সময় পার হতে লাগলো। ইমা নিজের মতো চেষ্টা করেই চলেছে ঈশানের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য।। ইসমা ও ইমার সাথে চেষ্টা করছে । তেমন লাভ না হলেও ইশান ইমা ইসমার অনেক টা কাছে চলে এসেছে ।।

১ মাস পর,,,,,,

ইমা বাজার করতে মার্কেটে আসে।। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি ।। ইমা সব কিছু কিনে বাইরে এসে দেখে বৃষ্টি আরো জোরে হচ্ছে ।।

ইমা – আল্লাহ বাড়িতে কখন যাব। মেয়েটা একা আছে।। ( চিন্তিত সুরে)

এমন সময় সেদিক দিয়ে ইশান ট্যাক্সিতে করে যাচ্ছে।। ঈশানের হঠাৎ ইমার দিকে চোখ পড়ে।। ঈশান ট্যাক্সি ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলল।। ড্রাইভার গাড়ি থামালে ঈশান গাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হয়ে ইমার কাছে আসে।।।

ইমা ইশান কে দেখে একটু অবাক হয়।।

ইমা – স্যার আপনি??

ইশান – জী আমি বাসায় যাচ্ছি দেখলাম দাড়িয়ে আছেন তাই আসলাম। বাসায় যাবেন নিশ্চয়!!

ইমা – জী।। আসলে বৃষ্টির জন্য আটকা পড়ে গেছি ।

ইশান – আমার সাথে চলুন গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।। আমাকে বাজারের ব্যাগ টা দিন ।। (ইশান ইমার হাত থেকে বাজারের ব্যাগ নিলো) আসুন তারাতারি।।

ইশান তারাতারি রাস্তা পার হয়ে চলে গেলো । কিন্তু ইমা ঈশানের সাথ ধরতে পারলো না । রাস্তায় জোরে গাড়ি চলছে।। ইশান ব্যাগ গাড়িতে রেখে দেখে ইমা এখনও রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তা পার হতে পারছে না।।।

ইশান – মিস ইমা!!!( ইমা ঈশানের দিকে তাকালো) ওখানেই দাড়ান আমি আসছি।।

এমন সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠে আকাশ বিকট গর্জন দেই।। ইমা ভয়ে কান ধরে চোখ বন্ধ করে বসে পড়ে।। ইশান সেটা দেখে অবাক হয় । ঈশানের চোখের সামনে আচ্ছা স্মৃতি ভেসে ওঠে।।

ইশান কিছু না ভেবেই তারাতারি রাস্তা পার হয়ে ইমার কাছে গিয়ে ইমাকে জড়িয়ে ধরে।।

ইশান – তোমার কিচ্ছু হবে না ভয় পেও না আমি আছি।।।( উত্তেজিত সুরে)

ইমা রীতি মতো অবাক হয়ে যাই ঈশানের এমন ব্যবহার দেখে ।

ইমা – স্যার!!!

বলতেই ঈশানের ধ্যান ভাঙ্গে।। ইশান দেখে সে ইমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।। ইশান তারাতারি ইমা কে ছেড়ে দেই ।।

ইশান – sorry মিস ইমা। আমি ,,,,, আসলে,,,,

ইমা – it’s ok স্যার।।।

ইশান ধীর সুরে বললো – চলুন মিস ইমা।।

ইশান মনে মনে বললো – এটা কি করলাম।। আমার এমন কেনো মনে হলো এর আগেও আমি এমন কিছু করেছি।।

ইমা ঈশানের হাত ধরে টান দিতেই গাড়ি চলে গেলো । ইশান চমকে উঠে ।

ইমা – আপনি ঠিকাছেন ??( উত্তেজিত সুরে)

ইশান – জী thank you।। ( ভীত সুরে) চলুন ।।

ইশান ইমা রাস্তা পার হয়ে এসে গাড়িতে বসলো।।

ইশান – চলুন ড্রাইভার।।

ইমা ঈশানের দিকে তাকালো দেখে ইশান আনমনে গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ।।

ইমা মনে মনে বললো – ঈশানের কি কিছু মনে পড়েছে !! উফফ কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না !!!

ইশান খুব চেষ্টা করেছে মনে করার সে এমন এর আগে কার সাথে করেছে।। কিন্তু মনে করতে পারছে না।। তার মনে হচ্ছে সে এমন সপ্ন দেখেছিল হয়তো।।

ইমা ইশান কে ডাকলে ইশান চমকে তাকাই।।

ইমা – আপনি ঠিকাছেন স্যার??

ইশান – জী জী।।

এমন সময় গাড়ি থামলো ।

ইশান – চলে এসেছি।।

ইমা বাজারের ব্যাগ নিতে গেলে ইশান বললো – আপনি যান আমি বাজারের ব্যাগ নিচ্ছি।।

ইমা বের হয়ে বাইরে দাড়ালো।। ইশান ট্যাক্সি ড্রাইভারকে ভাড়া দিয়ে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বের হল।।

ইশান – চলুন। ইমা ঈশানের সাথে গিয়ে লিফটে উঠে।।।

দুজনাই ভিজে একাকার অবস্থা।। ইশান রীতি মতো হাঁচি দিচ্ছে।।

ইমা – স্যার আমার জন্য আপনার ঠান্ডা লেগে গেল।।।

ইশান – না ব্যাপার না । ঠিক হয়ে যাবে । মিস ইমা একটা কথা বলার ছিল।। ইসমা আপনাকে বলেছে কিনা আমি জানি না ।

ইমা – কি ব্যাপারে স্যার??

ইশান – সামনের সপ্তাহে স্কুল থেকে ক্যাম্পিঙে যাবে ।। ইসমা বলেছে আপনাকে??

ইমা – জী বলেছিল।। কিন্তু ইমাকে একা পাঠাতে আমার মন মানছে না।।

ইশান – সমস্যা নাই আমি যাবো তো।

ইমা – ঠিকাছে কিন্তু আমি এই ভাবে ইসমাকে কখনো চোখের আড়াল করিনি।। স্যার আমি কি যেতে পারবো ইসমার সাথে!!!

ইশান – আসলে মিস ইমা গার্জেন দের যাওয়ার কোনো নিয়ম নেই ক্যাম্পিং এ ।।

ইমা – জানি তবুও যদি আপনি একটু স্যার দের সাথে কথা বলে দেখতেন!!!

ইশান – এক কাজ করতে পারেন আপনি আপনি আমার গেস্ট হয়ে যেতে পারেন।।।

ইমা – ওকে আমার সমস্যা নেই।। (হেসে)

ইশান – ঠিকাছে।।

Time Skip

রাত ৮ টা,,,,

ইমা রান্না করছে । ইমা ইসমাকে বললো

ইমা – ইসমা তোমার বাবা কে কল করো । বলো আজ রাতের ডিনার যেনো আমাদের করে।।

ইসমা ইমার ফোন নিয়ে ইশান কে কল করলো।। এদিকে ইশান শুয়ে জ্বরে কাঁপছে।। ।। ঈশানের ফোন বেজে উঠলে ইশান কাপা হাতে ফোন হাতে কোনো রকম ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো।।

ইসমা – বন্ধু !!!

ইশান – উফফ খুব ঠান্ডা লাগছে খুব ঠান্ডা লাগছে।। ( খিন সুরে)

ইসমা – কি??( ইসমা ইমার কাছে ফোন নিয়ে গেল এবং ফোন এগিয়ে দিয়ে বললো )আম্মু বাবা কি যেন বলছে বুঝতে পারছিনা ।।।

ইমা ইসমার হাত থেকে ফোন নিয়ে কানে ধরলো ।।

ইমা – স্যার!!!

ইমা শুনলো ইশান গোঙাচ্ছে।।।

ইমা ফোন কেটে দিয়ে ইসমার দিকে তাকিয়ে বললো – ইসমা তুমি বাসায় থাকো আমি তোমার বাবার কাছে গিয়ে দেখে আসি কি হয়েছে ।

ইসমা – আম্মু আমিও যাবো।।

ইমা – না মা। তুমি বাসায় থাকো।। ইমা ইন্ডাকশন চুলা বন্ধ করে রেখে চলে গেল সাত তলায় ঈশানের কাছে।।

ইমা দরজায় কলিং বেল বাজলো কিন্তু কোনো সাড়া পড়লো না।। ইমা দরজার নক ঘুরালে দরজা খুলে যায়।। ইমা ভিতরে যায়। বাড়ি অন্ধকার ঘুটঘুটে।। ইমা মোবাইলের লাইট অন করে কারেন্টের সুইচ বোর্ড খুঁজে বের করল এবং লাইট অন করল।।

ইমা – স্যার!!! আপনি আছেন??( ইমা কোনো সাড়া পেল না)

সামনে যেতেই দেখে একটা রুমের দরজা একটু ফাঁকা করা।। ইমা গিয়ে দরজা খুললে দেখে ইশান শুয়ে আছে।। ইমা তারাতারি ঈশানের কাছে আসলো।।

ইমা – স্যার আপনি ঠিক আছেন??

ইশান গোঙাতে গোঙাতে বললো খুব ঠান্ডা লাগছে।। ইমা ঈশানের কপালে হাত দিতে দেখে জ্বরে কপাল পুড়ে যাচ্ছে।।

ইমা – আল্লাহ ঈশানের তো জ্বর আসছে।। (উত্তেজিত সুরে)

,,,,,,, Continue,,,,,

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।
,,,,,,,, Continue,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here