লাবণ্যর সংসার পর্ব -০৫

#লাবণ্যর_সংসার
#পর্ব_5
#কৃ_ষ্ণ_ক_লি

—“ আমি কি এতোটাই তোমাদের কাছে বোঝা? দু বেলা দু মুঠো নুন ভাতটাও কি আমাকে দিতে পারবে না? ”

কাঁপা কাঁপা গলায় লাবণ্য কথাগুলো বলে ডুকরে কেঁদে উঠে। রুকসার লাবণ্যর মাথায় হাত রাখে , তার চোখের কানায় নোনা পানিদের আগমন ঘটেছে। লতিফা বেগম মেয়েকে মুখ ঝামটা বলে উঠেন,,

—“ মেয়েরা পরগোত্রের , তোমাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে কি এখানে বসিয়ে রাখার জন্য? এতো বছর তো তোমাকে খাইয়েছি, পরিয়েছি বড়ো করেছি তার মূল্য দিবে না তুমি? ”

—“ তাহলে তুমি আমাকে জন্ম দিয়েছিলে কেনো মা? আর মূল্য যদি দিতেই হয় তাহলে বিয়ে দিলে কেনো? পড়েছি যখন তখন চাকরি করে টাকা দিয়ে তোমাদের মূল্য দিয়ে দিতাম। ”

লাবণ্যর কথা বলা শেষ হতেই মিজানুর সাহেব এবার চিল্লিয়ে উঠেন।

—“ চুপ করো তুমি । দু কলম পড়েছো বলে বেশ তো কথা শিখে ফেলেছো দেখছি। ”

—“ ও কথা বলবে না তো কি তুমি আমি এভাবে কথা বলবো বাবা! আসলে ওর ইচ্ছাই নেই সংসার করার। শুধু শুধু আমাদের বেইজ্জত করা। ফালতু মেয়ে একটা।”

—“ আচ্ছা তোমরা মেয়েটাকে এভাবে কথা শোনাচ্ছো কেন? তোমরাই তো ওর আপনজন, বাবা ও না আপনার রক্তের সন্তান। ও আজ একটা বিপদে পড়ে এখানে এসেছে আপনাদের কাছে। আর আপনাদের কাছে আসবে না তো কোথায় যাবে। এসময় আপনারাই তো ও কে ভরসা দেবেন।”

—“ তুমি থামো তো বৌমা, রক্তের সম্পর্কের মেয়ে বলে কি ও যা খুশি করে বেরোবে? ও নিজের ভালো কতোটা বোঝে? কি হয়েছে কি হয়নি ছুটে চলে এসেছে এখানে। এসেছিস ভালো তাই বলে যেটা বোঝাবো বুঝবি না। কেমন মেয়ে তুই! ”

—“ তুমিই তো তৈরী করেছো মেয়েটাকে, কেমন শিক্ষা দিয়েছো তুমি নিজের চোখেই দেখো? বাপ – মা যেটা বলে ছেলেমেয়েরা তাই শোনে কিন্তু এই মেয়ে! ”

মিজানুর সাহেব লতিফা বেগমকে কথা গুলো বলে মেয়ের দিকে তেড়ে এলেন। রুকসার লাবণ্যকে ধরে না রাখলে উনি হয়তো এতক্ষণে দু চার ঘা মেয়ের পিঠে বসিয়ে দিতো। নিজের এতোটা অপমান আর সহ্য করতে পারছেন না উনি। বড়ো ভাইয়ের এমন কাজ দেখে রফিক সাহেব এগিয়ে এসে মিজানুর সাহেবকে সোফায় বসিয়ে দেন।

—“ ভাইয়া শান্ত হও তুমি। একটা সম্পর্ক কে তো আর ভাঙ্গবো বললেই ভাঙ্গা যায় না। তারপরে বলে বিয়ের মতো একটা সম্পর্ক। আমার মতে বলে নিবিড়কে এখানে আসতে বলো , সাথে আতীক সাহেবকেও সবাই মিলে বসে নয় একটা ডিসিশন নেওয়া যাবে কি বলো? ”

—“ হুম তাই করা হোক। সাগর তুই নিবিড়কে.. ”

—“ অ্যাম সরি বাবা আমাকে কিছু বলো না। তোমার ওই মেয়ের জন্য আমাকে অনেক কিছু ফেইস করতে হয়েছে। এই এখন আর ওর জন্য আমি নিবিড়ের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা নষ্ট করতে চাই না। তোমাদের মেয়ের ঝামেলা তোমরাই মেটাও। ”

সাগর কথাগুলো বলেই হনহনিয়ে উঠে চলে যায়। লাবণ্য ওর ভাবীর হাতটা চেপে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে।

—“আমি আর ওখানে ফিরে যাবো না। তুমি বোঝাও না ভাবী সকলকে। ”

শিউলি বেগম ছেলের প্রশ্ন শুনে হতবাক! যার জন্যই করলো চুরি এখন সেই তাকে বলছে চোর! চোখে পানি এনে ধরা গলায় বললেন,,,

—“ তুই আমাকে এভাবে দোষারোপ করতে পারলি বাবা? আমি তো তোর জন্যই!”

—“ আমার জন্য! আমার জন্য কি মা? আমি কি তোমাকে বলেছিলাম আমি এই বিয়ে করতে চাই না? আমার লাবণ্যকে পছন্দ হয়নি?”

ছেলের ধমকে কেঁপে উঠেন শিউলি বেগম। নিজের স্বামীর গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে বলা শুরু করে,,

—“ আমি তো ভেবেছিলাম তুই তোর বাবার কথা রাখার জন্য বিয়েটা করছিস? ”

—“ তাই.. তোমার ভাবনাতেই কি সবকিছু হয় মা! আমি কি বাচ্চা ছেলে? আর বাবার কথায় আমি যদি বিয়ে করেই থাকি, তাহলে তুমি কি মনে করলে আমি লাবণ্যকে ছেড়ে দিব? ”

শিউলি বেগম মুখটা নীচু করে ফেলে। তাহলে কি তার সব আশাই মিথ্যা হয়ে গেলো?

—“ তুমি কাজটা একদম ভালো করোনি মা। আমি আগে লাবণ্যকে দেখি । তারপর তোমার ব্যবস্থাও করছি জাস্ট ওয়েট।”

ছেলের মুখের কথা শুনে শিউলি বেগম মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। রীতিমত মরা কান্না শুরু করলেন। আতীক সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললেন,,,

—“ যা হয়েছে এই সবকিছু তোমার জন্য হয়েছে। তুমিই নিশ্চয়ই ছেলেকে আমার নামে উল্টোপাল্টা বলেছো? তা না হলে একটা বাইরের মেয়ের জন্য আমার ছেলে আমাকে এভাবে কথা শোনায়। ”

—“ তুমি আবার ভুল করছো বেগম। তোমার ছেলেকে কিছুই বোঝাতে বা শেখাতে লাগে না। আর লাবণ্য বাইরের মেয়ে নয় ও আমাদের ছেলের বউ , আহমেদ বাহির বউ।”

আতীক সাহেব ধীর কন্ঠে কথাগুলো বলে উঠে যান। শিউলি বেগম রাগ সংবরণ করতে না পেরে হাতের কাছে থাকা ফুলদানীটা আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলেন।

লাবণ্য তার ভাবীকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। মেয়েটার চোখের পানি বাঁধ মানছে না। অঝোর নয়নে কেঁদে চলেছে লাবণ্য। বিয়েটা না হলে কখনো জানতেই পারতো না বাবা – মার আসল রুপটা। ভাইয়া না হয় ও কে মেনে নিতে পারে না। অনেক ভাই বোনের সম্পর্ক তো এমন হয়। কিন্তু নিজের মা বাবা! যদি এই অবহেলার বিন্দুমাত্র টের পেতো তাহলে ছয় বছর আগে যে মানুষটা হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো তার হাতটা ধরেই নিতো। যদি জানতো বাবা – মায়ের আসল রুপ সেদিন কিন্তু আর বাবা – মার পছন্দ – অপছন্দের কথা ভাবতো না। নিজের ভালো থাকার কথা ভাবতো। নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করতো।

তখন লাবণ্যর সবেমাত্র ষোলো বছর বয়স। ষোড়শী কন্যা লাবণ্যর জীবনেও প্রেম এসেছিলো অতি সন্তপর্ণে। বিশ বছর বয়সের যুবকের ওর প্রতি কেয়ার , আর পছন্দের কিছু জিনিস উপহার হিসেবে পাঠাতো কুরিয়ার মাধ্যমে। লাবণ্যর একটা বেস্ট ফ্রেন্ডও ছিলো বটে কিন্তু সময়ের স্রোতে সেও কোথায় হারিয়ে যায়! ওই বন্ধুর ঠিকানায় কুরিয়ার যেতো লাবণ্যর নামে। ছেলেটি বে‌শ ভালো, লাবণ্যর পছন্দের জিনিস গুলো ছিলো সব তার মস্তিষ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। সেভাবে দুজনের কথা না হলেও চোখের ভাষায় যে কথাগুলো লোকানো থাকতো তা ছিলো মারাত্মক , এভাবে কাটলো বছর।

সেদিন ছিলো লাবণ্যর জন্মদিন , ষোড়শী কন্যা থেকে লাবণ্য হয়ে উঠেছিলো অষ্টাদশী। প্রিয় মানুষটার সাথে অনেকটা সময় আর অনেক কথার ঝুড়ি নিয়ে বসেছিলো লাবণ্য। গাঢ় বেগুনী রংয়ের শাড়ি, দু হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি , সাথে খোঁপায় বাঁধা বেলী ফুলের মালা। প্রিয় মানুষটা নূপুর পড়িয়ে দিয়েছিলো লাবণ্যর পায়ে। যেটা ছিলো ওর জন্মদিনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। খুব যত্ন করে পড়ার টেবিলের কোণায় থাকা একটা ড্রয়ারের মধ্যে পড়ে আছে।

—“ লাবণ্য … অ্যাই লাবণ্য নীচে নিবিড় এসেছে চল।”

ভাবীর ডাকে লাবণ্যর ভাবনায় ছেদ পড়ে। উঠে বসে রুকসারের মুখের দিকে তাকায়। রুকসার লাবণ্যর চোখের পানি মুছে দেয়।

—“ লাবণ্য নিবিড় এসেছে নীচে চল। ডাকছে তোকে। ”

নিবিড়ের নাম শুনে ভয়ে কুঁকড়ে ওঠে লাবণ্য। ভাবীর হাতটা শক্ত করে ধরে নেয়।

—“ ভাবী প্লিজ তুমি আমাকে বাঁচাও। আমি ওই অমানুষটার সাথে থাকতে চাই না ভাবী। উনি আমাকে মেরে ফেলবেন। ”

লাবণ্য রীতিমতো কাঁপছে , রুকসার জড়িয়ে ধরে সামলাতে চেষ্টা করে লাবণ্যকে ।

—“ লাবণ্য তুই কি নিবিড়কে ভয় পাচ্ছিস? ”

দুহাতে লাবণ্যর মুখটা তুলে ধরে রুকসার।

—“ ভাবী ওই মানুষটা আমাকে মারবে। ”

—“ লাবণ্য নিবিড় তোকে আর মারবে না রে। ও এসেছে ওর সাথে সবাই কথা বলছে চাচা, বাবা তোর মা, চাচী সবাই তো আছে। তুই চিন্তা করিস না। এখন নিচে চল নিবিড়ের সাথে কথা বলে সামনা সামনি ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়া যাবে। ”

—“ না ভাবী আমি যাবো না। মানুষটার সাথে সামনাসামনি কি কথা বলবো আমি বলতো? স্বামী নামক মানুষটার সাথে তো এখনো ভালো ভাবেই কথা হয়নি ভাবী। মানুষটা একটা বারের জন্যও আমার হাতটা ধরে কাছে বসে গল্প করেনি। স্বামীর সুখটাও আমি পায়নি ভাবী। এক দিনের জন্য হলেও আমি সংসার করতে পারিনি ভাবী। বিয়ের দিন থেকেই অবহেলা, অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। এরপরও কিভাবে! ”

—“ কথা দিচ্ছি তোমার প্রতি আর কোনও অবহেলা, অত্যাচার করা হবে না। ”

পুরুষালী কন্ঠের আওয়াজ শুনে রুকসার ও লাবণ্য দরজার দিকে তাকায়। লাবণ্য নিবিড়কে দেখে চমকে উঠে ওর ভাবীর হাতটা শক্ত করে ধরে নেয়।

—“ ভাবী আমি কিছুক্ষণ আমার স্ত্রীর সাথে একা কথা বলতে চাই । আপনি আমাকে সুযোগ করে দিবেন প্লিজ?”

রুকসার ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায়। লাবণ্য হাত চেপে ধরলেও রুকসার হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে রুমের বাইরে চলে যায়।

লাবণ্য বিছানায় জড়োসড়ো হয়ে বসে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে। রুকসার চলে যাওয়ার সময় দরজাটা হালকা বন্ধ করে চলে যায়। নিবিড় দরজাটা লক করে লাবণ্যর কাছে এগিয়ে আসে।
লাবণ্যর কান্নার বেগ বেড়ে যায়।

—“ লাবণ্য আই অ্যাম সরি! খুব বড়ো ভুল করেছি আমি। আর কখনো এমন হবে না। আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই ভুলবশত এমন করে ফেলেছি। ”

লাবণ্যকে জড়িয়ে ধরে একনাগাড়ে কথাগুলো বলতে থাকে নিবিড়। লাবণ্য কেঁপে উঠছে মাঝে মধ্যে। নিবিড় লাবণ্যর চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে নিজের বুকে লাবণ্যর মাথাটা রাখে।

—“ বিশ্বাস করো আমি সত্যই তোমাকে আঘাত করতে চাইনি। ভুলবশত করে ফেলেছি মাফ করে দাও লক্ষ্মীটি। ইউ নো লাইফে এই প্রথম বার আমার কাছে UK থেকে আসা একটা ডিল হাতছাড়া হয়ে যায়। কতোটা প্রেশারের মধ্যে ছিলাম জানো তুমি! মায়ের বলা অভিযোগে আর তোমার করা অভিযোগে আমি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ইউ নো আমার রাগ হলে কোনো কিছুই আমি তোয়াক্কা করি না। আমি যে তোমাকে আঘাত করেই মাথা ঠান্ডা করতে বাইরে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সকালে তোমার কাছে মাফ চাইবো কিন্তু তুমি সেই সময় আমাকে দাওনি। কিছু না বলেই এখানে চলে আসো। ”

নিবিড়ের কথা শুনে লাবণ্য নিবিড়ের বুক থেকে মাথা তুলে নিবিড়ের চোখের দিকে তাকিয়ে কাঁপা গলায় বলে উঠে,,,

—“ আপনি তো সেই বিয়ের রাত থেকেই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। বৌভাতের দিন রাতে বিনা কারণেই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলেন , এমনকি গায়ে পর্যন্ত হাত তুললেন! ”

—“ আমি রাগের বশীভূত হয়ে এমন করে ফেলেছি।”

লাবণ্যর চোখটা অসম্ভব রকম লাল হয়ে ফুলে গেছে। রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে চোখজোড়া। ঠোঁট টা শুকনো হয়ে গেছে। মেয়েটা রীতিমতো কাঁপছে। এতোটুকু কথা বলতেও মেয়েটার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। নিবিড়ের বুকের ভিতরটা মুচড়ে উঠছে। সত্যিই মেয়েটার প্রতি অনেক বড়ো অন্যায় করে ফেলেছে সে। হয়তো এর কোনও ক্ষমা হয়না! লাবণ্য কাঁপা কন্ঠে হিঁচকি তুলে বলে উঠে,,

—“ রাগ মানুষকে হিংস্র পশুতে পরিণত করে , আপনি তো মানুষ । এতোটাও রাগের মাত্রা ঠিক নয় যে , কিছু না জেনে বুঝেই গায়ে হাত তুলবেন। ”

—“ কান ধরছি মাফ চাই। আর একটা সুযোগ দাও আমায় লাবণ্যময়ী। আমি সব ঠিক করে দিব। ”

নিবিড়ের করুণস্বরে বলা কথাগুলো শুনে লাবণ্য চুপ হয়ে যায়। নিবিড় লাবণ্যর কপালে গাঢ় চুম্বন দিয়ে বসে।

নিবিড়ের সাথে আসার সময় ও ওর বাবা , মা , ভাইয়ার সাথে একটা কথা বলেওনি। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মানুষগুলোর প্রতি ঘৃণা জন্মে গেছে। শুধু ভাবীর হাতটা ধরে বলে গেলো,,
“ এই জীবনে আর কখনো এবাড়িতে পা রাখবো না।হাজার হোক বাবা-মা তো মনের মধ্যে আক্ষেপ, কষ্ট রয়েই যাবে। তুমি ওদের একটু দেখো। ভালো থেকো আমি আসছি। ”
এই কথা বলেই বাড়ির বাইরে পা রাখে লাবণ্য। পিছু ফিরে নিজের জন্মভূমি, যেখানে খেলাধূলা করে বড়ো হলো সেই বাড়িটা শেষ বারের মতো দেখে নেয়। রুকসার ছলছল চোখে লাবণ্যর দিকে তাকিয়ে থাকে। নিবিড় আর ওর ভাইয়া গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করছে। ও ওর ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে হাসছে।

—“ তুই ভালো থাক ভাইয়া। সবসময় এমন হাসিখুসি থাক। ভাইয়ের ভালোবাসা তো কখনো পেলাম না আমি। অবশ্য তোর কাছে আমি তো অপয়া , অলক্ষী! আর এই অলক্ষী বোনটার মুখ তোকে দেখতে হবে না ভাইয়া। চলে যাচ্ছ আর তোদের কে বিরক্ত করতে আসবো না। ”

নিজের মনেই ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলে লাবণ্য। লতিফা বেগম লাবণ্যর পিঠে হাত রাখেন। কিন্তু লাবণ্য হাত সরিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে।

এই বয়সে এসেও শিউলি বেগমকে এমন অপমানিত হতে হবে তা উনার কল্পনার বাহিরে। উনাকে ক্ষমা চাইতে হবে এই মেয়ের কাছে!

চলবে…. ..

(লেখায় কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন। 🙏)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here