লাবণ্যর সংসার পর্ব -০৪

#লাবণ্যর_সংসার
#পর্ব_4
#কৃ_ষ্ণ_ক_লি

ড্রয়িং রুমের সোফায় থম মেরে বসে আছেন মিজানুর সাহেব। লতিফা বেগম কপাল চাপড়ে প্রলাপ বকছেন। বিয়ের পর মেয়ে বাপের বাড়ি আসে স্বামীসহ , কিন্তু উনার পোড়া কপাল মেয়ে-জামাই আসেনি। এসেছে মেয়ে তাও আবার হাজারটা অভিযোগ নিয়ে! রুকসার লাবণ্যকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। মাঝে মাঝে নিজের শাশুড়ী মাকেও থামাচ্ছে ।

—“ আচ্ছা মা এবার তুমি চুপ করো। সবকিছুই তো শুনলে। ও চলে এসে খুব ভালোই করেছে মা। ”

—“ সব কিছু বিচার – বিবেচনা করে ভালো ছেলের হাতেই তো আমি আমার মেয়েকে তুলে দিয়েছিলাম। তাহলে আজ কেনো আমাকে এমন দিন দেখতে হচ্ছে। ”

লাবণ্যর বাবা বেশ গম্ভীরতা নিয়েই কথাটা বললো। মেয়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে ঠিকই কিন্তু চোখে পানি আনতে চাইছেন না পুরুষ মানুষ তো। লতিফা বেগম এগিয়ে এসে স্বামীর কাঁধে হাত রেখে কান্না জড়ানো কন্ঠে বলেন,,

—“ শোনো তুমি উনাদের ডেকে পাঠাও। কথা বলে সবকিছু মিটিয়ে নাও। বিয়ের দুদিন যেতে না যেতেই মেয়ের সংসারটা ভাঙ্গে যাবে! তার চায়ে বরং.. ”

—“ যাক ভেঙ্গে , আমি আর ওই সংসারে ফিরে যেতে চাই না। ”

লাবণ্যর কথা শুনে লতিফা বেগম ধমকে উঠেন মেয়েকে। রুকসারা ইশারায় থামিয়ে দেন। মিজানুর সাহেব হাতজোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলেন।

—“ মা আপনার ছেলে আসুক তাকেও সবটা জানানো হোক। তারপর না হয় ডিসিশন নেওয়া যাবে। বাবা.. বাবা আপনি কি বলেন! ”

রুকসার এর কথায় ঘাড় নেড়ে উঠে যান মিজানুর সাহেব। লতিফা বেগম ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন।

—“ মা রান্নাঘরে চলুন নাস্তা বানাতে হবে তো। আপনার ছেলে জগি়ং থেকে এসেই তো টাইমে খাবার না পেলে চিৎকার শুরু করবে। আর মা লাবণ্যকেও তো খেতে দিতে হবে। কাল থেকেই তো না খেয়ে আছে মেয়েটা। লাবণ্য যাতো ফ্রেশ হয়ে আয়। ”

লাবণ্যকে নিজের রুমে পাঠিয়ে দিয়ে রুকসার রান্না ঘরে চলে যায়।

নিজের রুমের দেওয়াল , পড়ার টেবিল, বিছানায় হাত রেখে ডুকরে কাঁদতে থাকে। আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। আগের জীবনটাই অনেক রঙীন ছিলো। আচ্ছা বিয়ের পর মেয়েদের জীবনটা বুঝি এমনই বেরঙীন হয়ে যায়! না কি শুধু ওর কপালেই এমনটা লেখা ছিলো!

শিউলি বেগমের মুখে তৃপ্তির হাসি। আসলেই সে পেরেছে। কিন্তু এই সামান্য কথাতেই যে ওই মেয়েটাকে এই বাড়ি ছাড়া করতে পারবে সেটা যে ওনার কল্পনার বাইরে ছিলো! জানলে হয়তো ভালোমন্দ রান্না করে মেয়েটাকে খাইয়ে দিতো। আহারে বেচারি দুই দিনের অতিথি হয়ে এসেছিলো।

—“ এতো হাসি কিন্তু ভালো না বেগম। হাসির পরেই খারাপ আসে সেটা মাথায় রেখো। ”

—“ ওহহ কি যে বলোনা তুমি , খারাপ তো এতোদিন ছিলো। এখন থেকে শুধুই ভালো হবে বুঝেছো। বলেছিলাম না ওই মেয়েকে আমি একদিনও সংসার করতে দিব না। দেখলে তো মেয়েটার বিদায় হয়ে গেলো কি করে! আমার ছেলেই বিয়ে করে এনেছিলো আবার সেই ছেলেই বাইরে বের করে দিলো। ছেলে আমার হীরের টুকরো! ”

—“ খুব খারাপ করেছো তুমি। এর জন্য পস্তাতে হবে কিন্তু তোমাকে। আর তোমার ছেলেও কিন্তু কাজটা ঠিক করেনি। ”

—“ ছাড়ো তো আমি ওইসবের ধার ধারি না। আর তোমার ছেলে একদম যোগ্য কাজ করেছে। আর ওই মেয়েটাকে না মারধোর করলে ও কি এখান থেকে যেতো না কি। যা হয়েছে , করেছে বেশ করেছে। এইবার দেখবে আমি আমার মনের মতো বউ নিয়ে আসবো আমার ছেলের জন্য। ”

—“ মা হয়েও যে এতো নিকৃষ্ট , সংকীর্ণ মনের হতে পারো তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। ”

—“ আমার ছেলের সুখটাই আমার কাছে সব। আমার ছেলের ভালো থাকার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি। তাতে অপরজনের কি এসে গেলো আমার তাতে কিছু আসে যায় না। ”

—“ তোমার ছেলের সুখ মানে? কি বলতে চাইছো লাবণ্যকে বিয়ে করে তোমার ছেলে সুখি নয়? তোমার ছেলেকে কি আমি জোর জবরদস্তি করে বিয়েতে বসিয়ে ছিলাম?”

—“ না, জবরদস্তি করবে কেনো! আমার ছেলে তো তোমার কথা রাখার জন্যই বিয়েটা করেছিলো হয়তো! আর তাছাড়া আমি তো মা। আমি ছেলের মুখ দেখলে মনের কথা পড়ে ফেলতে পারি। ”

—“ আমিও বাবা, ছেলের মন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আমার আছে। আর তোমার ছেলে এখন বাচ্চা নেই। যে সে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শুধু মাত্র বাবার কথা রাখার জন্য বিয়ে করবে। তোমার ছেলে বিশাল বড়ো বিজনেসটা কিন্তু একাই সামলাচ্ছে । সেখানে আমি শুধুমাত্র ওর একজন মেন্টর হিসাবে পাশে আছি। তাই সবকিছুই আমার সাথে শেয়ার করে। ”

—“ আমি এতো কিছু শুনতে চাইছি না। ওই মেয়েকে যখন এই বাড়ি থেকে তাড়াতে পেরেছি তখন আমিই জয়ী হয়েছি। এবার আমি ছেলের হাতে আমার পছন্দের মেয়ে তুলে দিব। ”

মিজানুর সাহেব আর এক মুহূর্ত দাঁড়ালেন না। নিজের রুম থেকে বের হয়ে গেলেন।

অপরাধীর মতো মুখ নীচু করে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে লাবণ্য। কোথায় ভেবেছিলো ওর মা – বাবা ওকে জড়িয়ে ধরবে কিন্তু জড়িয়ে ধরা তো দূর সান্ত্বনাও দিচ্ছে না। ও এখানে চলে এসে যে কতো বড়ো ভুল করেছে তা ওর মা – বাবার চেহারায় স্পষ্ট। লাবণ্য পুনরায় ওর ভাইয়া সাগর ও চাচা রফিক সাহেবের কাছে বিয়ের রাত থকে কাল রাতের ঘটনা সবটা বললো। কিভাবে ওর শাশুড়ি ও কে দুপুরে খেতে দেয়নি , স্বামীর লাথি মারা সবকিছু।

—“ আমি আর ওখানে ফিরে যাবো না। যে স্বামী নতুন অবস্থায় বিয়ের পরের দিন গায়ে হাত তোলে তার সাথে সংসার করা যায় না। ”

—“ তো কি করবি তাহলে? ”

বাবার নরম কন্ঠে সহজ সরল জবাব দেয় লাবণ্য,,

—“ আমি অমন মানুষের সাথে সংসার করবো না বাবা। আমি ডিভোর্স দেবো তোমরা উকিল দেখো। ”

লতিফা বেগম আর নিজকে ধরে রাখতে পারলেন না। কাছে এসে কষিয়ে এক থাপ্পড় মারলেন মেয়ের গালে। লাবণ্য গালে হাত দিয়ে মুখ নীচু করে নেয়। রুকসার কিছু বলতে গেলেও সাগরের চোখ রাঙিয়ে ওর দিকে তাকানো দেখে ও থেমে যায়। লতিফা চিল্লিয়ে কান্না করে বলে,,,

—“ ডিভোর্স দিয়ে কি বাপ দাদার ঘাড়ে বসে খাবি? সমাজ কি বলবে? তোর জন্য কি মুখ দেখাতে পারবো? বিয়ের দুইদিন পর মেয়ে সংসার ছেড়ে চলে এসেছে। লোক শুনলে কি বলবে? এক কাজ কর বিষ দে খেয়ে নিই। তারপর তুই ডিভোর্স দিবি, সংসার করবি না সেটা তোর ব্যাপার।”

রফিক সাহেব লতিফা বেগমকে থামাতে যায়,,

—“ ভাবী কি বলো এসব , ও কি সত্যিই করে ফেলছে না কি? আমারা তো বড়োরা আছি না কি। কি কারণে আমাদের জামাই এমন করেছে তা জানতে হবে তো না কি? আর ডিভোর্স বললেই কি হয়ে যায়! দুই দিনো তো সংসার করেনি। ”

লাবণ্য ডুকরে কাঁদতে থাকে। মেয়ে জন্ম কত যে কষ্টের তা ও নিজে মেয়ে না হলে জানতেই পারতো না।

—“ ছেলে তো খারাপ নয়। আতীক সাহেবের সাথেও তো পরিচয়টা আজকের নয় সেই স্কুল লাইফের থেকে, মানুষটাও তো ভীষণ ভালো। বিজনেসের মাধ্যমে নিবিড়ের সাথে সাগরের বন্ধুত্বটা হয়। আমরা কি দুজনেই মানুষ চিনতে ভুল করবো। তুই বল? তোর ভাইয়া আমি দুজনেই কি তোকে ভুল মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি? ”

মিজানুর সাহেব ধীর গলায় মেয়েকে কথাগুলো বললেন। লাবণ্য বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারছে বাবার আসল কথার মানে। ও চলে যাক এই বাড়ি থেকে। বিয়ের পর মেয়েরা সত্যিই কি পর হয়ে যায়? লাবণ্যর চোখে নোনা পানি স্রোতের মতো নেমে চলেছে। এর মাঝে সাগর একপ্রকার ঝাঁঝিয়ে উঠে,,,

—“ ও আর কি বলবে বাবা! ও তো কোনও জায়গাতেই মানিয়ে নিতে পারে না। স্কুল, ভার্সিটি, টিউশনি, রাস্তাঘাট সব জায়গায় , সব জায়গায় অশান্তি করে আসে। ওইসব ঘটনা গুলো আমাকে ফেইস করতে হয়েছে। স্কুলে, ভার্সিটিতে কেউ চিটিং করছে ও তো সত্যবাদী বলে দিলো। পরে ঝগড়া হচ্ছে আমাকে কথা শুনতে হয়েছে। ভার্সিটিতে কোনও এক মেয়ে প্রেম করছে ছেলেটা ভালো না কি খারাপ তা যাচাই করে মেয়েটির বাবা মার কানে তুলছে! কেনো তুই তোর চরকায় তেল দে না। কতোবার বলতাম তুই তোর মতো থাকবি, আমাকে আমার মতো থাকতে দিবি। না যতোদিন ভার্সিটিতে ছিলাম ওই ওকে নিয়ে আসা আর নিয়ে যাওয়া করতে হয়েছে। মহারাণী তো আমায় ছাড়া যেতেই পারে না। ওর জন্য আমাকে বন্ধুদের সামনে হাসির পাত্র হতে হয়েছে। একা একা কোথাও যেতে পারতেন না উনি। ওই পড়াশোনাই শিখেছে শুধু স্মার্ট হতে পারেনি খ্যাত মেয়ে একটা। ”

লাবণ্য ওর ভাইয়ার কাছে বরাবরই চক্ষুশূল। ও সেটা বুঝতে পারতো ছোটোবেলা থেকেই কিন্তু তবুও ভাইয়ার হাত ধরে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যেতো। আর পাঁচটা ভাই বোনের মতোই ও চাইতো ওর ভাইয়াও ওর পাশে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু ওর ভাইয়া কেনো জানি ও কে সবসময় দূরে সরিয়ে রাখতো। বোন বলে সবার কাছে পরিচয় দিতে ও যেনো কেমন একটা আপত্তি প্রকাশ করতো। হয়তো লাবণ্য মেয়ে বলে!

—“ সাগর এখন এসব কথা ছাড় না। কি করলে বোনের সংসারটা টিকে থাকবে, ও ভালো থাকবে তার ব্যবস্থা কর। ”

রফিক সাহেবের কথা শুনে সাগর পুনরায় চেঁচিয়ে উঠে ,,

—“ কি আর করবে এখানেই থাকবে। আমার ঘাড়ে বসে খাবে। অপয়া মেয়ে একটা ওর জন্য কারুর কিছু ভালো হয় না। তোমরা জানো বৌভাতের দিন নিবিড়ের বড়ো একটা ডিল মিস হয়ে গেছে। কোটি টাকা লস , তোমাদের এই মেয়ের জন্য। বিয়ে করে ঢুকতেই একটা অঘটন ঘটালো। ও কারুর জন্যই ভালো নয়। ওর মুখ দেখে আমি আমার বন্ধুদের সাথে লং ড্রাইভে বেরোলে কোথাও না কোথাও চোট পেয়ে ফিরে আসতাম। অলক্ষী মেয়েছেলে একটা। ”

লাবণ্য সশব্দে কেঁদে ফেলে। ও এতোটাই খারাপ ওর ভাইয়ার কাছে। প্রত্যেকটা বোন তার ভাইয়ার কলিজার টুকরা হয়। সবাই তাদের বোনকে নিয়ে কতো আদর করে ভালোবাসে। সেখানে লাবণ্য অবহেলা ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছে না। ভাইয়ার শেষ বলা দুটো কথাতে লাবণ্যর হাত পা কাঁপতে শুরু করে। আসলেই লাবণ্য তার ভাইয়ার কাছে এতোটাই খারাপ! অপয়া, অলক্ষী!

বাবাকে নিজের রুমে বসে থাকতে দেখে নিবিড় হাসিমুখে এগিয়ে আসে।

—“ আব্বু জগি়ং এ যাওনি আজ। ”

আতীক সাহেব কিছু বলছে না পলকহীন ভাবে ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। নিবিড় বাবার পাশে বসে ,,,

—“ কি হয়েছে আব্বু কিছু বলবে? তোমায় এমন টেন্সট দেখাচ্ছে কেনো? ”

আতীক সাহেব ঘুরে ছেলের মুখোমুখি বসেন।

—“ একটা সত্যি কথার উত্তর দিবি? ”

—“ কি বলো আব্বু? ”

—“ লাবণ্য রূপে, গুণে, যোগ্যতায় আমার মতে তোর উপযুক্ত । কিন্তু তুই কি লাবণ্যকে তোর উপযুক্ত মনে করিস না? ”

—“ লাবণ্যর সাথে আমি করবো সংসার , ও আমার কোনও বিজনেস ক্লাইন্ট নয় যে ও কে যোগ্য হতে হবে সবকিছুর। সংসারের পক্ষে ওই মেয়ে ঠিক আছে চলে যাবে। ”

—“ তুমি কি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছো? না কি শুধু মাত্র আমার কথায়? ”

—“ শোনো আব্বু আমি কারুর কথায় কিছু করিনা। নিজে যে ডিসিশনটা নিই সেটাই আমি করি। আর তুমিও খুব ভালো করে জানো লাবণ্যকে বিয়েটা আমিই নিজের ইচ্ছায় করেছি।
এক মিনিট আব্বু… লাবণ্যকে নিয়ে এতো কথা কেনো বলছো তুমি?”

—“ লাবণ্য কোথায় নিবিড়? ”

—“ কেনো রুমে ছিলো না ও? তাহলে হয়তো নিচে আছে , নাস্তা বানাচ্ছে। আচ্ছা ওয়েট আমি লাবণ্যকে দু কাপ রং চা পাঠিয়ে দিতে বলছি। আজ তুমি আর আমি অনেক দিন পর রং চা খাবো। ”

—“ তার আর প্রয়োজন নেই । লাবণ্য চলে গেছে তার বাপের বাড়ি। ”

নিবিড় কিছুক্ষণের মতো চুপ হয়ে যায়। কপালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে নেয়।

—“ কি এমন করলে যে মেয়েটা সকাল হতে না হতেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলো? ”

নিবিড় কাল রাতের ঘটনাটা আর একবার মনে করে নেয়। কাল রাতে লাবণ্যর বুকে লাথি মারার পর ও লাবণ্যকে কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। বাবার সামনে মুখ তুলে মিনমিনে গলায় বলে ফেলে,,,

—“ বাবা আমি নিজের রাগটা কন্ট্রোল করতে পারিনি। রাগের মাথায় ভুলবশত ওর বুকে আঘাত করে বসি। এমনিতেই একটা প্রোজেক্ট নিয়ে মাথা গরম ছিলো। তারপরে বিদেশ থেকে আসা বড়ো ডিলটা ক্যান্সেল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচন্ড স্ট্রেসের মধ্যে ছিলাম। তারপরে বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই মায়ের ট্রিপিক্যাল শাশুড়ীদের মতো বউকে নিয়ে হাজার অভিযোগ। ওহ গড.. মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল আমার। ভুল করে ফেলেছি আমি, সমস্ত রাগটা আমি ওর ওপর দিয়ে প্রকাশ করেছি।
আমি কি করবো বাবা।”

চলবে…

(লেখা ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন 🙏)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here