Love Treatment পর্ব -২৫+২৬

#Love_Treatment
Part- 25
Writer- Tanzin Islam Ishika

লিজা চলে যাওয়ার পরও তান্নাজ তার জায়গা থেকে লড়ছে না,,তান্নাজ কিছু না বলে চুপচাপ সেখানেই দাড়িয়ে আছে,, নিশম তা দেখে সিচুয়েশন স্বাভাবিক করার জন্য বলে৷

নিশমঃ জান আজকের জন্য অনেক কাজ করে ফেলেছি,, এমনেও আজকে প্রায় কাজ শেষ,, চল বাসায় যাই,,

তান্নাজঃ আচ্ছা,,

নিশমঃ তুমি পার্কিং এরিয়াতে গিয়ে দাড়াও আমি চাবি নিয়ে আসতাসি,,

তান্নাজ চুপচাপ কেবিন থেকে বের হয়ে নিচে চলে যায়,, কিছুখনের মধ্যে নিশমও এসে পরে,, তারপর তারা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়,, বাসায় এসে তান্নাজ ফ্রেশ হতে চলে যায়,, ফ্রেশ হয়ে এসে তান্নাজ আয়নার সামনে দারিয়ে তার জামার চেইন লাগাতে চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু পারে না,, হঠাৎ পিঠে কাউরো হাতের ঠান্ডা স্পর্শ পায়,, সে আয়নাই তাকিয়ে দেখে নিশম,, তাই সে হাত সরিয়ে নেয়,, নিশম তান্নাজের পিঠে হাত বুলাতে থাকে তারপর নিজের ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করতে থাকে,,,, তান্নাজ নিশমের প্রতিটা স্পর্শে কেপে উঠে তারপর নিশম তান্নাজের চেইন লাগিয়ে দেয়,, আর পিছন থেকে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,, তান্নাজের চুলে মুখ গুজে,, নিশম তান্নাজের চুলে মুখ গুজেই নেশা ভরা কন্ঠে বলে,,

নিশমঃ জান কি আছে তোমার মধ্যে যা বরাবরই আমাকে তোমার কাছে টানে,, তুমি জানো তুমি আমার কাছে চৌম্বকের মত,, আমি না চাওয়া সত্তেও বার বার তোমার কাছে খিচে চলে এসে পরি,,তোমায় থেকে দুরে থাকা বড্ড বেশি দায়,, জানো তুমি আমার এই হৃদয়ের এমন একটি অংশ,, যা ছাড়া আমি অচল,, প্লিজ জান কোনদিন আমাকে ছেড়ে যেও না,,

এই বলে নিশম তান্নাজকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে তারউপর আধ শুয়া হয়ে থাকে,, তারপর তান্নাজের ঠোঁটের ভাজে নিজের ঠোঁট নিয়ে নেয়,, কিছুখন পর সে তান্নাজের গলায় আর ঘারে অসংখ্য চুমু দিয়ে ভরিয়ে ফেলে,, তারপর সে সেখান থেকে সরে এসে তান্নাজকে জরিয়ে তার বুকের মাঝেই শুয়ে পরে,, এতে তান্নাজ একটু অবাক হলেও তা প্রকাশ করলো না,, নিশম তান্নাজকে ধরে সেইভাবেই শুয়ে পরে,, তান্নাজও কিছু না বলে ওইভাবেই শুয়ে পরে,,, কখন যে তারা ঘুমিয়ে পড়ে তা তাদের জানা নেই,,

রাত ১১ টার দিকে নিশমের ঘুম ভাংগে,, তারপর তান্নাজকে আলতো ভাবে ডাক দেয়,, কিন্তু তান্নাজ কিছুতেই উঠতে চায় না,, নিশম তান্নাজ থেকে সরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার গরম করে নিয়ে আসে,,, বুয়া আগেই এসে রান্না করে গেছে,, তাই তার এত সমস্যা হয় নি,, সে খাবার নিয়ে অনেকবার তান্নাজকে ডাকে কিন্তু তান্নাজ উঠতে নারাজ,,তাই তাকে ধরে উঠে বসায়,,তান্নাজ এখনও ঘুমে ঝিমুচ্ছে,, এই কয়দিন বেশ ধকল গেছে তার উপর দিয়ে,, তার উপর সে ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারেনি,, তাই নিশম তান্নাজকে নিজের বুকের সাথে ঠেকিয়ে শক্ত করে ধরে তাকে খায়িয়ে দিতে থাকে,, তান্নাজ ঘুমের ঘোরের মধ্যেই সব খাবার খেয়ে নেয়,, তারপর তান্নাজকে পানি খাইয়ে দিয়ে সে নিজেও খেয়ে নেয়,, তারপর সব নিজে ধুয়ে রেখে দেয়,, যে নিশম বাসায় এক গ্লাস পানি উঠিয়ে নিজে খেয়েছে কিনা সন্দেহ,, সে আজকে নিজের কাজ নিজেই করছে,, ভালবাসা হয়তো এমনই হয়৷ হয়ত ভালবাসা মানুষকে দরকারের সময় সব শিখিয়ে দেয়,, তাই তহ ভালবাসার মানুষটার জন্য সব কিছু করতে পারে,,
নিশম সব গুছিয়ে রুমে গিয়ে লাইট অফ করে তান্নাজকে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে শুয়ে পরে,, তারপর কিছুখন তান্নাজের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে,,

নিশমঃ কাল তোমার জন্য একটা সাপ্রাইস আছে জান,, আমি যখন সব এলোমেলো করেছি,, তা তহ আমাকেই গুছাতে হবে তাই না,, এখন জানি না কাল তুমি কিভাবে রিয়েক্ট করো,, কিন্তু আশা করি কিছু ভুল বুঝাবুঝি দুর হবে,,
তারপর ঘুমিয়ে পরে,,


সকালবেলা,,
সূর্যের আলো এসে তান্নাজের মুখে পরছে,, এতে তান্নাজ একটু নড়ে চড়ে উঠে তারপর আস্তে আস্তে চোখ খুলে,, সে তাকিয়ে দেখে সে নিশমের বুকে শুয়ে আছে,, তান্নাজ কতখুন নিশমের দিকে চেয়ে থাকে তারপর হঠাৎই তার কালকে রাতের কথা মনে পরে যায়,,

তান্নাজঃ ইসস কালকে নিজের অজান্তেই কতটা না জ্বালিয়েছে সে নিশমকে,, কিন্তু নিশমও কিছু বললো না কেন,, কি জানি,, এইসব ভেবেই তান্নাজ একটু মুচকি হাসে,, তারপর যেই না উঠতে যাবে তখন নিশমের কথা গুলা মনে পরে,,

নিশমঃ আমাকে প্রতিদিন কিস দিয়ে উঠাতে হবে,, ,
তান্নাজ তাই আস্তে আস্তে নিশমের কাছে দিয়ে তার কপালে একটা চুমু দেয়,,, সাথে সাথে নিশম চোখ খুলে তাকায়,, আর তা দেখে তান্নাজ কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায়,, তারপর উঠতে নিলে নিশম তাকে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে আর বলে,,

নিশমঃ এতক্ষুন তহ ভালই আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়েছিলে এখন কি হলো,,

তান্নাজঃ ক,,,ইই আমি কখন তাকিয়ে ছিলাম,,,

নিশমঃ আমি কিন্তু জানি,,

তান্নাজঃ কচু জানো আমার বয়ে গেসে তোমার দিকে তাকাতে তোমার চাইতে তহ কাউয়াকে দেখাও ভাল,,,

নিশমঃ তাই নাকি,, তাহলে আমাকে যে কিস দিলা,,তার কি হুম,,

তান্নাজঃ ওইটা কি নিজের ইচ্ছায় দিয়েছি নাকি,, তুমি তহ বলেছিলে তোমাকে কিস করে ঘুম ভাংগা তে,, তাই দিয়েছি,,

নিশমঃ অহহ তাই বুঝি,,,

তান্নাজঃ তা নয়তো কি,,, যেখানে তোমার করা কোন স্পর্শই আমি পছন্দ করি না সেখানে তোমাকে আমি নিজ ইচ্ছায় স্পর্শ করবো,, ভুলেও না,,

তান্নাজের এমন কথায় নিশমের বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো,,, তারপর ছলছল চোখে বলে,,

নিশমঃ সত্যি আমার স্পর্শ গুলো তোমার ভাল লাগে না,, আমার বুকে তুমি নিজের অস্তিত খুজে পাও না,,, আমার সাথে থাকলে কি তুমি নিজেকে নিরাপদ মনে কর না,,,আমার হৃদস্পন্দনে তোমার নাম খুজে পাও না,, আমার ভালবাসার ছোয়া তোমার কাছে এতই ঠুকনো,,,

তান্নাজ কিছু বলতে পারলো না,,, সে বুঝতে পারছে সে আজকে একটু বেশি বলে ফেলেছে,, যা একদম ঠিক হয়নি,, যতই বলুক সে নিশমকে ঘৃণা করে,, কিন্তু আসলে সে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসে নিশম কে,, কিন্তু তার দেওয়া আঘাত গুলোর নিচে যে তার ভালবাসা চাপা পরে গেছে,, সে চাইলেও সেই আঘাত সেই বেইমানি ভুলতে পারছে না,, তান্নাজকে চুপ থাকতে দেখে বলে,,

নিশমঃ কি হলো বল,,,

তান্নাজঃ আমি জানি না,,,
বলে উঠতে নিলেই নিশম তাকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় , তারপর বলে,,

নিশমঃ তোমার চেহারাই বলে দিচ্ছে,,, আমার কথার উত্তর তোমার কাছেই আছে,, আর থাকবেই বা না কেন,, আমি যা বলেছি তা যে সত্য তা তুমি জানো,,,, তুমি এখনও আমাকে ভালবাস জান,, নিজের চাইতেও অনেক বেশি ভালবাস,, কিন্তু মুখে শিকার কর না,,,

তান্নাজঃ না তুমি যা জানো তা সব মিথ্যা ,, আমি তোমাকে ভালবাসি না,,, আমি তোমাকে শুধু ঘৃণা করি,,, আর কিছুই না,,

নিশমঃ আমার চোখে চোখ রেখে বলতে পারবে,,, আর এই বুকের বা পাশে হাত রেখে বলতে পারবে যে তুমি আমায় ভালবাস না বরং ঘৃণা কর,,, বলো,,

তান্নাজ কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে,,, সে জানে সে পারবে না,, তান্নাজকে এইভাবে দেখে নিশম বলে,।

নিশমঃ জানি বলতে পারবে না,,, কারন তুমি আমায় ভালবাস,, কিন্তু মুখে শিকার করতে চাও না,,, একদিন ঠিকই শিকার করবে কিন্তু তখন হয়তো আমি থাকবো না,,, তখন বুঝবে আমার ভালবাসাটা,,,

তান্নাজ এখনও চুপ হয়ে আছে,,, তার যে কিছু বলার নেই,,, তান্নাজকে চুপটি মেড়ে বসে থাকতে দেকে সে বুঝে যায় তান্নাজ আরেকটু পর কেদে দেবে,, সে ভাল করেই জানে তান্নাজ তাকে কতটা ভালবাসে কিন্তু অভিমানের ভারে তা প্রকাশ করে না,, তাই সে কথা না বারিয়ে সব স্বাভাবিক করার জন্য বলে,,,

নিশমঃ এখন কি এইভাবেই থাকবা নাকি,, যদি এইভাবে থাকতে চাও আমার কোন সমস্যা নেই,,,

তান্নাজঃ তোমার সমস্যা না হলেও আমার আছে ছাড়ো ফ্রেশ হতে যাব,,,

নিশমঃ আজকে কিন্তু আমার সাথে ফ্রেশ হবে,,, কালকে ছাড় দিসি কিন্তু আজকে না,,

এই বলে নিশম উঠে তান্নাজকে কোলে নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়,,, তারপর তান্নাজকে নামিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়,, তান্নাক বেড়িয়ে যেতে চাইলে তাকে দেয়ালের সাথে আটকে ধরে আর শাওয়ার ছেড়ে দেয়,,, নিশমের উপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পরে তান্নাজ উপর পরছে,,, তান্নাজ চোখ বন্ধ করে দারিয়ে আছে,, আর তার শরীর সমানে কাপছে,,, সবচেয়ে বেশি তার ঠোঁট গুলো,,, নিশম এক ধিয়ানে তান্নাজের দিকে তাকিয়ে আছে,,, নিশমের যেন নেশা হয়ে যাচ্ছে,, তান্নাজের নেশা,, যা সব নেশা কে হার মানাতে যথেষ্ট,,, নিশম তান্নাজের ঠোঁটের দিকে তাকাতেই দেখে তা ভীষণ ভাবে কাপছে,, নিশম আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না,, এক হাত দিয়ে তান্নাজের কোমর জরিয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়,,, আর আরেক হাত তার ঘারের কাছে নিয়ে তার ঠোঁট দুটোতে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে,,, তান্নাজ বড় বড় চোখ করে নিশমের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,, আর নিশম সে তহ তান্নাজের মধ্যে মগ্ন,,,
কিছুখন পর তারা ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে,,, আজকে তান্নাজ নীল কালারের জরজেট শাড়ি বের করেছে,, রীতিমতো নিশমই তাকে পরিয়ে দেয়,, পরানো শেষ তার পেটে একটা চুমু দিয়ে স্বরে আসে,,, আর বলে,,

নিশমঃ আজ তোমার জন্য একটা সাপ্রাইস আসে,, সো বি রেডি,,

তান্নাজ কিছু বলার আগেই বলে,,,

নিশমঃ কোন কথা না,,, যখন সাপ্রাইস পাবে তখন এই দেইখো,, এখন ওইটা নিয়ে কোন কথা না,,

তান্নাজঃ যখন বলবি এই না,, কইলি কে সাপ্রাইস আসে,,, শালা লুংগি চোর,,, যতসব আজাইরা পাবলিক,, তোরে পিটাইয়া উগান্ডা পাঠানো উচিৎ,, মনে মনে
তান্নাজ এইসব বলতে বলতে নিশমের জন্য কফি এনে ওকে টাই পরিয়ে দেয়,, তারপর নিশমের কোলে বসে তাকে কফি আর নাস্তা খায়িয়ে বেরিয়ে যায়,,,

।#Love_Treatment
Part- 26
Writer- Tanzin Islam Ishika

অফিসে এসে তান্নাজ আর নিশম দুইজনেই নিশমের কেবিনে চলে যায়,,, তারপর নিশম তান্নাজকে একটা ফাইল দেখতে বলে,,,, তান্নাজও সেই ফাইল চেক করতে থাকে,,, কিছুখুন পর নিশমের মোবাইলে একটা মেসেজ আসে,, সেটা দেখে নিশম বাকা হেসে নিজের চেয়ার ছেড়ে তান্নাজের সামনে এসে তান্নাজের চোখ বেধে ফেলে,,, তান্নাজ ছুটাছুটি করলে বলে,,,

নিশমঃ আরে জান এমন ছুটাছুটি করছো কেন,,

তান্নাজঃ তুমি আমার চোখ বাধলা কেন,, খুলো বলছি,,

নিশমঃ হুসসসস,,, কোন কথা না, চুপচাপ এইখানেই বসে থাকো,,, আমি যতখুন পর্যন্ত না বলবো চোখ খুলবে না,,,

তান্নাজঃ কিন্তু,,

নিশমঃ কোন কিন্তু না,, চুপচাপ বসো,,,

তান্নাজ ও ভাল মেয়ের মত বসে থাকে,,নিশম কেবিন থেকে চলে যায়,, প্রায় কিছুখুন পর নিশম রুমে আসে,,, তারপর তান্নাজকে দাড় করিয়ে তার চোখের বাধন খুলে দেয়,,,

নিশমঃ এই নাও,তোমার সাপ্রাইস,,,

এই বলে রুম থেকে চলে যায়,, সে তান্নাজকে একা ছাড়তে চায়,, তাই চলে যায়,, তান্নাজ চোখ কচলাতে কচলাতে সামনে তাকায়,, সামনের দিকে তাকিয়ে তান্নাজ থ মেরে দাড়িয়ে থাকে,,, সে বিশ্বাস করতে পারছে না যে এইটা কি আদো সত্যি কি না,, সামনে আর কেউ না মিতু দাড়িয়ে আছে,,, মিতু তারাতারি এসে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,, কিন্তু তান্নাজ এখনও সেই ভাবেই দারিয়ে আছে,,, তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই,, মিতু তান্নাজকে ছেড়ে বলে,,,

মিতুঃ কেমন আছিস,,,

তান্নাজঃ যেমনটা দেখতে চেয়েছিলি,,,

মিতুঃ তান্নাজ আমার কথাটা শুন,,,

তান্নাজঃ কি শুনবো হা,, কি শুনবো বল তুই,,, কিভাবে পারলি রে আমার লাইফ নিয়ে খেলতে,, কেন আমার মনটাকে ভেংগে দিলি রে,,, কেন,, নিশম না হয় পর ছিল,,, সে তার প্রতিশোধ নিয়েছিল,, কিন্তু তুই কেন এমন করলি,,, তুই জানতি না আমি সবার দেওয়া আঘাত সহ্য করলেও আপন মানুষের আঘাত সহ্য করতে পারি না,,, তাহলে কেন এমন করলি,,, তোকে তহ আমি আমার বোন মানতাম,, তাহলে কেন বিশ্বাসঘাতকতা করলি,,,


এই বলে তান্নাজ কাদতে কাদতে ফ্লোরে বসে পরে,,, মিতুও ফ্লোরে বসে তান্নাজের গালে হাত দিয়ে বলে,,,

মিতুঃ আমি তোর মন ভাংগি নি,,,, আর না তোর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি,, আমি তহ তোর খুশির জন্য এমন করেছিলাম,, আর আমি কখনো কি এমন কিছু করতে পারি যে তুই তাতে আঘাত পাবি,,,

তান্নাজঃ তাও তহ আমার লাইফের সবচেয়ে বড় আঘাত টা তুই করলি,, এই বিশ্বাসঘাতকতার সাথে মিলে,,, আমার মন নিয়ে খেললি,,, নিশম না হয় আমাকে ভালবাসি নি কিন্তু তুই,, তুই তহ আমায় ভালবাসতি তাই না,,,

মিতুঃ এই জন্যই তহ এমন করেছি,,

তান্নাজঃ মানে,,অবাক চোখে

মিতুঃ নিশম ভাইয়া তোকে সত্যি ভালবাসত রে,, তার ভালবাসায় কখনও কোন খাদ ছিল না,,, হা মানছি তিনি প্রথমে তোকে ভালবাসেনি,, তোর সাথে ছলনা করার চেষ্টা করেছে,, কিন্তু বিশ্বাস কর তোর সাথে থাকতে থাকতে সে তোর প্রতি দূর্বল হয়ে পরে,,, তোকে ভালবেসে ফেলে,,, আমি তার চোখে তোর জন্য ভালবাসা দেখেছি,, যা মিথ্যে ছিল না,, সেই ভালবাসায় না ছিল কোন ছলনা,, না ছিল কোন খাদ,, শুধু ছিল তোকে পাওয়ার আকাঙ্খা,, তোর ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা,,, বিশ্বাস কর,,,

তান্নাজঃ তুই ভুল মিতু,,, তুই ভুল,, নিশম কোন দিনও আমাকে ভালবাসে নেই,, সে সব সময়ই আমার সাথে ছলনা করেছে,,, কখনও আমাকে ভালবাসে নাই রে,,,

মিতুঃ তুই ভুল ভাবছিস,,,

তান্নাজঃ না আমি ভুল ভাবছি না,,,

মিতুঃ ভাইয়া সত্যি তোকে অনেক বেশি ভালবাসে,,,

তান্নাজঃ আমার ও এইটাই মনে হয়েছিল,, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম,,, সে শুধু আমার থেকে প্রতিশোধই নিতে চেয়েছিল,, আর কিছুই না,,

মিতুঃ নারে,,,

তান্নাজঃ মিতু তুই যদি এখানে তার পক্ষ নিয়ে কথা বলতে এসেছিস তাহলে চলে যা,,,

মিতুঃ আচ্ছা বলবো না,, কিন্তু প্লিজ তুই আমার থেকে আর রাগ করে থাকিস না,,, আমি আর পারছি না,,, প্রতিদিনই যখন আয়নায় দাড়াই তোর চেহেরা আমার সামনে এসে পরে,,,, যত যাই হক আমার জন্য ও তুই আঘাত পেয়েছিস,,, প্লিজ মাফ করে দে,,,,

তান্নাজঃ তোকে আর কি মাফ করবো,, যা করার তহ করেই ফেলেছিস,,, এখন আমার মাফ করলেও না করলেও কি,,

মিতুঃ প্লিজ এমন ভাবে বলিস না,,, আমি তহ তোর খুশির জন্যই এইসব করেছি,,, প্লিজ তান্নাজ মাফ করে দে,,, প্লিজ ইয়ার,,,

তান্নাজঃ হুম,,,

মিতুঃ প্লিজ তান্নাজ প্লিজ,,,, আমি আর এমন ভুল কখনো করবো না,,, প্লিজ ইয়ার,, লাস্ট টাইমের মত মাফ করে দে,, প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,

তান্নাজঃ এখন এইভাবে প্লিজ প্লিজ এই করবি নাকি গলায় ও লাগবি,,,

মিতু আর দেরি না করে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,,

মিতুঃ আমি জানতাম তুই আমার থেকে রাগ করে থাকতে পারবি না,,,

তান্নাজঃ হুম,, শয়তান একটা,, তোরে ধইরা না আমার করলার রস খাওয়াইতে ইচ্ছা করতাসে,,,

মিতুঃ হুহ,,, এখনও শুধরাইলি না,,,

তান্নাজঃ আমি কেন শুধরামু,,, আমি কি খারাপ নাকি যে শুধরামু

মিতুঃ তাই তহ,,,,

তারপর দুইজনে এক সাথে হেসে উঠে,,, তারপর মিতু বলে,,,

মিতুঃ এইবার ভাইয়া কেউ মাফ করে দে,, সে তোকে খুব ভালবাসে রে,,,,

তান্নাজঃ তাকে কি মাফ করা এতই সহজ,,,

মিতুঃ প্লিজ ইয়ার,,, ভাইয়া তোকে সত্যি ভালবাসে,,,

তান্নাজঃ হুহ,জানা আছে কত ভালবাসে,, আচ্ছা বাদ দে,, তুই বল তুই এইখানে আসলি কেমনে,,,

মিতু কিছু বলার আগেই নিশম কেবিনে কিছু নাস্তা নিয়ে আসে আর বলে,,,

নিশমঃ আমি এনেছি ওকে,,,

তান্নাজঃ ওও,, আচ্ছা,,

নিশমঃ পছন্দ হয়েছে সাপ্রাইসটা,,,

তান্নাজঃ হা,,, থেংক ইউ,,

নিশম আমার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে,,,

নিশমঃ থেংক্স বললে চলবে না জান,, আমাকে অন্য ভাবে পুশিয়ে দিতে হবে,,,

তান্নাজঃ মানে,,

নিশমঃ রাতে বুঝবে,,

মিতুঃ এহুম এহুম,,, আমি কিন্তু এইখানেই আছি,,,, সো রোমেন্সটা পরের জন্য বাচিয়ে রাখেন,,

নিশমঃ আহা শালিকা,,, তুমি তহ তুমি এই,, তোমার সামনে আর কি কোন ফরমালিটি করতে হবে নাকি,,, তুমি চাইলে তোমার সাথেও রোমেন্স করতে পারি,,, আফটার অল শালি আধি ঘাড় ওয়ালি,,,

মিতুঃ জ্বী না,,কোন দরকার নাই,, আপনি এই শাকচুন্নিটার সাথেই রোমেন্স করেন,,,

তান্নাজঃ কি কইলি,, আমি শাকচুন্নি,, তাইলে তুই কি হা,, সাদা বাদুর,, কালা কুমির,,, তেলাপোকার ডিম,,, তেলুল গাছের পেত্নি,,, পঁচা আলু,,,

মিতুঃ এইটা কিন্তু ঠিক না,,

আর এইদিকে নিশম অবাক হয়ে তান্নাজের দিকে তাকিয়ে আছে,, আর কতদিন পর যেন সে আগের তান্নাজকে দেখছে,, তার আগের সেই চঞ্চলতা,, তার ঝগড়াইটা ভাব,,, উফফফ কিজে মিষ্টি লাগছে তান্নাজকে,,,,
( হুহ,, যতসব আজাইরা পাম মারা,,,এখন যখন তোর উপর তান্নাজের আছোর পরবো তখন বুঝবি,,,😁)

নিশমঃ আহা কি করছো জান,, মিতু তহ ঠিকই বলেছে,, বলে জ্বিব্বায় একটা কামড় দেয়,,

তান্নাজ অগ্নি দৃষ্টিতে নিশমের দিকে তাকায়,,,

নিশমঃ না মানে জান,,

তান্নাজঃ শালা লুংগি চোর,,, সাদা ভাল্লুক,, সাদা বিলাই,, সাদা ইন্দুর,, করলার জুস,, আমি শাকচুন্নি না,,, আমার সামনে আবার আইসা দেইখো,,, পিটাইয়া তোক্তা বানাইয়া ফেলুম,,,
( হুহ,, লোও সামলাও ঠ্যালা,, এতখুন না মিষ্টি লাগতাসিল,, কি গেল তহ সব মিষ্টি ফুরিয়ে,,😂😂)


নিশম গিয়ে তান্নাজের গালে হাত দিয়ে বলে,,

তান্নাজঃ কে বলসে তুমি শাকচুন্নি,, তুমি তহ আমার কিউট সুইট মিষ্টি চকলেট টেডি একটা বউ,,, তুমি কি আর শাকচুন্নি হতে পারো,, শাকচুন্নি হইবো তোমার দুসমোন,,
( আল্লাহ গো এত পাম মারতে পারে এই পোলায়,,, আমি তহ ফুইল্লা উইড়া গেলাম গা😵😵 কেউ কিন্তু এই পোলার কথায় ফুইল্লা যাইও না,,😁😁)

তান্নাজঃ আল্লাহ গো এত পাম তহ আমারে লাইফে কেউ মারে না,,,

নিশমঃ আমি কই পাম মারলাম,, সত্যি তহ বললাম,,

তান্নাজঃ হুহ হইসে,,,

মিতুঃ হুম,, আচ্ছা তান্নাজ তোকে একটা কথা বলা হয়নি,, আমি আজকে থেকে এই কোম্পানিতে জয়েন করছি,,।

তান্নাজঃ কি সত্যি,,,

মিতুঃ হা,,,

তান্নাজঃ বাট কেমনে কি,,,

নিশমঃ আমি বলছি,, মিতু আগে আমার খুলনা ব্রেঞ্চে চাকরি করতো,, আমি ওকে ট্রান্সফার করে এইখানে নিয়ে আসছি,,,

তান্নাজঃ যাক ভালই হইসে,,, তোমার থেকে তহ মুক্তি পাব,, প্রশান্তির একটা নিশ্বাস নিয়ে,,

নিশমঃ জ্বী না,,, তোমাকে সারাখুন আমার সাথেই থাকতে হবে,, বুঝলা মিসেস খান,,,

তান্নাজঃ হুহ,,, খবিশ একটা,,

নিশমঃ তোমারই,, আচ্ছা যাই হোক,, আজকে অফিসে থাকতে হবে না,,,চল বাসায় গিয়ে আড্ডা দেই,,

মিতুঃ ওকে ভাইয়া,,,

তারপর তারা বের হয়ে যায়,, তারা নিশমের বাসায় বাসায় যায়,, আর সেখানে গিয়ে অনেকখুন আড্ডা দেয়,,, মিতু বিকালের দিকে চলে যায়,, আর তান্নাজ ফ্রেশ হয়ে কিচেনে চলে যায়,,,


চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here