Love Treatment পর্ব -২৩+২৪

#Love_Treatment
Part- 23
Writer- Tanzin Islam Ishika



রাতে খাওয়ার শেষে তান্নাজ সব গুছিয়ে রুমে যায়,,, রুমে গিয়ে দেখে নিশম খাটের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে আধ শুয়া হয়ে আছে,, তান্নাজ গিয়ে পাশে চুপচাপ শুয়ে পরে,, হঠাৎ তান্নাজ তার পেটে কিছু শীতল অনুভব করলো,, যা ক্রমশ শক্ত হচ্ছে,, নিশম তান্নাজ একটান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে,,, তারপর তার ঘারে ডিপলি কিস করে ,, তান্নাজ যেন বার বার কেপে উঠছে,,, তান্নাজ নিজে ছাড়াতে চাইলে নিশম আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরে,, তান্নাজ আর না পেরে বলে,,

তান্নাজঃ কি সমস্যা কি,, এখন কি শান্তি মত ঘুমাতেও পারব না নাকি,,

নিশমঃ স্বামী থাকতে এত ঘুম কিসের,,,

তান্নাজঃ তহ স্বামীকে কি নিয়ে মাথায় তুলে নাচবো,,

নিশমঃ তা করতে হবে,, শুধু একটু আদর করলেই হবে,,

তান্নাজঃ আমার তহ বয়ে গেছে তোমাকে আদর করতে,,

নিশমঃ তোমার ফরজ স্বামীকে খুশি করা বুঝছো,, আর শুনো কালকে থেকে তুমি আমার আগে উঠে আমাকে কিস করে আমার ঘুম ভাংগাবা,, তারপর আমরা এক সাথে ফ্রেশ হবো,, প্রতিদিন শাড়ি পড়বা,, আর আমি তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিব,,আমি রেডি হতে থাকবো আর তুমি গিয়ে আমার জন্য কফি নিয়ে আসবা,, আমার কোলে বসে আমাকে কফি খাওয়াতে হবে,,, কফি দেওয়ার আগে নিজে চুমুক দিবা,, তারপর আমাকে টাই পরিয়ে দিবা,, আমার কোলে বসে আমাকে নাস্তা করিয়ে দিবা,, আর

তান্নাজঃ বাশ বাশ,, এইটা কি বাজারের লিস্ট নাকি যে গরগর করে বলেই চলেছো,, আর কি অসভ্য তুমি,,মুখে কোন লাগামই নেই,, আমি এইসব কিছুই করতে পারবো না,,, আর রান্নার কি হবে,,

নিশমঃ কালকে থেকে মেড এসে রান্না করে যাবে,, আর সকালে দারাওয়ান খাবার দিয়ে যাবে,, চিন্তা করো না,,

তান্নাজঃ তাও পারব না

নিশমঃ তোমাকে তহ এইসব করতেই হবে,, আর যদি এইসব করতে না পারও তাহলে প্রত্যেক ৩০ মিনিট এ আমাকে কিস করতে হবে,, তা বলো তুমি কিসে রাজি,,

তান্নাজঃ তুমি যদি ভেবে থাকো আমি এইরকম কোন কিছুতে রাজি হবো তাহলে ভুলে যাও,, আমি এইসব কিছুই করতে পারব না,,

নিশমঃ ওকে দেন কাল থেকে আমি বাসায় থাকব,, আর আমাদের হানিমুন টা আগে শেষ করবো,,

তান্নাজঃ আল্লাহ খাইসে,, এইটা তহ এমনেই লাইফটা তেজপাতা বানাইয়া দিসে,, আর যদি বাসায় থাকে তাহলে তহ আমারে জানেই মাইড়া ফেলবো এর চেয়ে ভাল আগের কথাই মেনে নেই,, মনে মনে

নিশমঃ এত কি ভাবছো বল,,,

তান্নাজঃ তোমার প্রথম কথায় রাজি,, কিন্তু একটা শর্ত আসে,,

নিশমঃ তোমার সব শর্তে আমি রাজি,,, বল কি শর্ত,,

তান্নাজঃ অফিসে যাতে কেউ না জানে তুমি আর আমি স্বামী স্ত্রী,, আমি চাই না সবার সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হক,,

নিশমঃ আচ্ছা ঠিক আসে,, কিন্তু এখন তহ আমাকে আদর করতে দাও,,

তান্নাজ কিছু বলার আগেই তান্নাজের ঠোঁটগুলো সে নিজের ঠোঁটের মাঝে নিয়ে নেয়,,, তার পর যা হওয়ার তাই হলো,,,

সকালবেলা,,
আজ নিশমের ঘুম বরাবর আগেই ভেংগে যায়,, হয়তো এইটা দেখার জন্য যে তান্নাজ তাকে উঠাই কিনা,, নিশম দেখে তান্নাজ তার বুকে শুয়ে আছে,, কি মায়াবী না লাগছে তাকে,,, বাইরে থেকে রোদ জানালা ভেদ করে তান্নাজের উপর পরছে,, নিশম এক নজরে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,, কিছুখন পর তান্নাজ নড়েচড়ে উঠে,,, তাই নিশম তারাতারি চোখ বন্ধ করে ফেলে,, তান্নাজ উঠে দেখে সে নিশমের বুকে শুয়ে আছে,, তান্নাজ নিশমের দিকে তাকিয়ে থেকে মনে মনে বলে,,,

তান্নাজঃ কি নাই নিশ্বপাপ লাগছে তাকে,, কেউ কি বলতে সে কাউরো মন নিয়ে খেলতে পারে,,, তুমি এমনটা না করলেও পারতে,, তোমার এত কাছে থেকে আর পারছি না তোমাকে ঘৃণা করতে,,, মনের অজানতে আবার দূর্বল হয়ে যাচ্ছি তোমার প্রতি,, আচ্ছা তুমি কি আমায় সত্যি ভালবাস,, নাকি এইটাও তোমার কোন ছলনা,, আমার না এখন বড্ড বেশি ভয় করে যানো,, আবার তোমার জ্বালে পরতে চাই না,, কিন্তু তাও পরে যাচ্ছি তোমার জ্বালে,, কেন কেন নিজেকে কঠিন রাখা দায় হচ্ছে তোমার কাছে,, কেন চেয়েও রাগ দেখাতে পারছি না,, কেন তোমার থেকে দুরে যেতে পারছি না,,, কেন

এই বলে তান্নাজের চোখ দিয়ে দুই ফোটা নোনা জল গরিয়ে পরে,,, যা নিশমের চোখ এড়াইনি,, তান্নাজ উঠে যেতে নিলে নিশম তান্নাজের হাত ধরে টান দেয়,, তান্নাজ গিয়ে নিশমের বুকের মধ্যে পরে,, কিন্তু নিশম চোখ না খুলেই বলে,,,

নিশমঃ কি বলসিলাম মনে নেই,,,

তান্নাজঃ তুমি জেগে আছো, কি বলেছিলে,,

নিশমঃ হা,,প্রতিদিন সকালে আমাকে কিস করে উঠাবে,,, নাও কিস মি,,

তান্নাজঃ পারব না

নিশমঃ রাগিও না,, আর আমি রাগলে কি আরও বেশি কিছু নিয়ে নিব,,,

তান্নাজ আর কিছুনা বলে নিশমের গালে কিস করে,, উঠে যেতে নিলে নিশম তান্নাজকে বিছানার সাথে চেপে ধরে তার ঠোঁট নিজের আয়েত্তে নিয়ে নেয়,, তারপর তাকে ছেড়ে দেয়,, তান্নাজ নিজের জামা ঠিক করে ওয়াশরুমে যাওয়ার আগেই নিশম তাকে কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়,,তারপর শাওয়ার ছেড়ে দেয়,, তান্নাজ নিজেকে দুই হাত দিয়ে ঢাকতে ব্যস্ত,,, নিশম তা দেখে তান্নাজের কানে ফিসফিস করে বলে,,

নিশমঃ সবই তহ আমার দেখা প্লাস আমার ছোয়া তহ আর লুকিয়ে লাভ কি,,,

তান্নাজ বড় বড় চোখ করে নিশমের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,

তান্নাজঃ এই ছেলেটা দিন দিন অসভ্য হচ্ছে,, শয়তান ইবলিস,, লুংগি চোর,, দেখিস তোর জীবনে বিয়া হইব না,, থুক্কু বিয়া তহ হইয়া গেসে,, দুর আর ভাল লাগে না,, মনে মনে

নিশমঃ আমাকে গালি দেওয়া শেষ হইলে এখন ফ্রেশ হয়ে নেই,,

তান্নাজঃ জানলো কেমনে,, মনে মনে

নিশমঃ থাক এত বুঝতে হবে না,, থাক আজকে একা ফ্রেশ হয়ে নাও কালকে থেকে কিন্তু আর ছাড় দিব না বলে দিলাম,,

এই বলে নিশম বের হয়ে যায়,, তান্নাজ তা দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়,,কিন্তু তান্নাজ এখন পরেছে মহা মুসিবতে,, সে তহ কিছু আনে নি,, তান্নাজ দরজা ফাক করে ভিতরে দেখে কেউ নেই,, তাই সে পা টিপে টিপে রুমে আসে,, তারপর আলমারি খুলে একটা পিংক কালারের শাড়ি নেয়,, তারপর যেই না ঘুরতে যাবে দেখে নিশম,, নিশমের কল আসায় সে বারান্দায় গিয়ে কথা বলছিল,, রুমে এসে তান্নাজকে এইভাবে দেখে ধীর পায়ে তান্নাজের কাছে গিয়ে বলে,,তারপর তান্নাজের কানের সাথে নিজের ঠোঁট ছুয়ে নেশা ভড় কন্ঠে বলে,,

নিশমঃ ইউ আর লকিং ভেরি হোট,,

তান্নাজের যেন লজ্জায় ফেটে যাচ্ছে,, সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,,

নিশমঃ এইভাবে ব্লাস করো না জান, বুকে লাগে তহ,, তোমাকে এইভাবে দেখে নিজেকে সামলিয়ে রাখা বড় দায়,,

তান্নাজ কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে যেতে নিলে নিশম তান্নাজকে এক টান দিয়ে নিজে সাথে মিশিয়ে নেয়,, আর বলে,,

নিশমঃ শাড়ি কিন্তু আমি পড়াব,, তাই শাড়ি বাদে বাকি যা যা পরা লাগবে পরে আসো,,

তান্নাজ মাথা নারিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,, তারপর ব্লাউস আর পেটিগোট পরে নিজের উপরে তোয়েলা পেছিয়ে আসে,, তা দেখে নিশমের মাথা গরম হয়ে যায়,, তান্নাজ সামনে আসতেই নিশন এক ঝটকায় তা সরিয়ে নেয়,, তারপর শাড়ি পরানো শুরু করে,, শাড়ি পড়ানো সময় তান্নাজের পেটের সাথে তার হাতের বার বার ঘোষা লাগছিল আর তান্নাজ কেপে উঠছিল,, নিশম কুচি ঠিক করে উঠার আগে তান্নাজের মেদহীন পেটে একটা কিস করে তারপর সরে যায়,, তান্নাজ কিছু না বলে কফি বানাতে যায়,, কফি বানিয়ে নিশমের কাছে নিয়ে আসে,,, নিশম এক টানে তান্নাজকে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়,, তান্নাজ কফিতে চুমুক দিয়ে নিশমকে দেয়,, নিশম এক হাত দিয়ে তান্নাজের কোমর পেচিয়ে ধরে,, আর অন্য হাতে কফি খায়,, তারপর তান্নাজ নিশমের টাই ঠিক করে দিয়ে শরে আসতেই নিশম তাকে ধরে সামনে দাড় করায় আর তার কপালে ভালবাসার পরশ ছুয়ে দেয়,, তারপর নাস্তা খেয়ে তারা অফিসে রওনা দেয়,,

।#Love_Treatment
Part- 24
Writer- Tanzin Islam Ishika



অফিসেই এসেই নিশম তান্নাজকে তার কেবিনে নিয়ে যায়,, তারপর কিছু ফাইল তান্নাজকে দিয়ে বলে এইগুলা চেক করতে,, তান্নাজও চুপচাপ তা নিয়ে কাজ করতে থাকে,,, নিশম ও ল্যাপটপে কাজ করতে থাকে,, নিশম যাই করুক সে কাজ নিয়ে অনেক সিরিয়াস,, আর তান্নাজও অনেক বেশি সিরিয়াস,, যদি ইম্পোরটেন্ট কোন কাজ না থাকে তখন নিশম তান্নাজকে জ্বালিয়ে মারে,, মাঝে মেনেজার সাহেব আসছিল,, কিছু কাগজে সাইন করে চলে যায়,,, এইভাবে কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়,, পিওন এসে তাদের খাবার দিয়ে যায়, এর মধ্যে তান্নাজ একবার ও বের হয়নি,, তান্নাজ আনমনে কাজ করেই চলেছে,, নিশম তা দেখে বলে,,

নিশমঃ জান আসো খেয়ে নাও,,,

তান্নাজঃ একটু পরে,, তুমি খেয়ে নাও,,,

নিশমঃ তোমার মনে নেই আমি কি বলেছিলাম,, তুমি আমার কোলে বসে আমাকে খাইয়ে দিবে,, এখন তুমি খাও আর না খাও ওইটা তোমার বেপার,, এখন এসো আমাকে খাইয়ে দাও অনেক খুদা লাগসে,,

তান্নাজঃ পারব না,, নিজে খাও,, যতসব ঢং দেখলে বাচি না,,,

নিশমঃ তুমি আসবা নাকি আমি আসব,, আমি আসলে কিন্তু খবর আসে,,

তান্নাজঃ তুমি ভুলে যেও না এইটা অফিস,,, যে কেউ এসে আমাদের এইভাবে দেখলে কি বলবে,,

নিশমঃ তা নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না,, এখানে আমার পারমিশন ছাড়া কেউ ঢুকে না,,
এখন তুমি আসবা নাকি

তান্নাজঃ আরেহ আসতাসি তহ,, কথায় কথায় থ্রেট দাও কে,,

তান্নাজ রাগে গজ গজ করতে করতে নিশমের কাছে যায়,, তারপর খাবার বেড়ে হাত ধুয়ে তার সামনে যায়,, নিশম তান্নাজের কোমর জরিয়ে ধরে তাকে নিজের কোলে বসায়,, তান্নাজ নিশমকে খাইয়ে দিতে থাকে,, কিন্তু আমাদের নিশম কি চুপ থাকার মানুষ,, সে তহ ব্যস্ত তান্নাজকে জ্বালাতে,, নিশম বার বার তান্নাজের কোমরে স্লাইড করছে,, মাঝে মধ্যে তার পেটে চিমটি দিচ্ছে,, খাওয়ানোর সময় হাতে আলতো করে কামর দিচ্ছে,, আবার কখন ও ঘারে মুখ গুজে দিচ্ছে,, তান্নাজ আর না পেরে বলে উঠে,,

তান্নাজঃ আরেকবার যদি আমারে জ্বালাইসো,, তোমার একটা চুলও আস্ত রাখুম না,,, সাদা ভাল্লুক একটা,, খালি আমারে জ্বালায়,,

নিশম মুগ্ধ হয়ে তান্নাজের দিকে তাকিয়ে থাকে,, আজ কতদিন পর যে তার মুখে সাদা ভাল্লুক ডাকটা শুনছে,, এই পাঁচ বছরে সে এই নাম গুলো অনেক বেশি মিস করেছে,, তান্নাজকে রাগানোর জন্যই নিশম এতখুন এইরকম করছিল,, এখন যখন সে তা পেরেছে তাই আর দুষ্টামি না করে চুপচাপ খেয়ে নেয়,,, তান্নাজ নিশমকে খাইয়ে উঠতে নিলে নিশম তাকে উঠতে দেয় না,, সে নিজে খাবার বেরে নিজের হাতে তান্নাজকে খাওয়াতে থাকে,, তান্নাজ অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে,, কিন্তু কিছু বলে না,, তারপর খাওয়া শেষে দুইজন হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়,,, আর আবার কাজ করতে থাকে,, কাজ করতে করতে নিশমের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়,, তাই সে ল্যাপটপ অফ করে সামনে তাকাতেই দেখে তান্নাজ মুখে কলম দিয়ে কি জানি ভাবছে,,, বাতাসে যে তার চুল উড়ছে সে দিকে তার কোন খেয়ালেই নেই,, মুখে কোন মেকাপ নেই,, তাও এক আলাদা গ্লো দিচ্ছে ফেস এ,,, নিশম এক ধিয়ানে তান্নাজের দিকে তাকিয়ে থাকে,, হঠাৎ তার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে,, সে এমন নাটক করে যে তার মাথায় অনেক ব্যথা,, তারপর তান্নাজকে বলে,,,

নিশমঃ বউ,, এই বউ শুনো না,,,

এমন মধুর ডাক শুনেই তান্নাজ বুঝে গেছে কিছুতো একটা ঘাবলা আছে,,,সে ভ্র কুচকিয়ে নিশমের দিকে তাকায়,, কিছুখন তাকে পর্যবেক্ষন করে বলে,,,

তান্নাজঃ কি চাই,,,

নিশমঃ চাই তহ অনেক কিছু কিন্তু আপাতত আমার না অনেক মাথা ব্যথা করছে,,, একটু টিপে দিবে গো,,

তান্নাজঃ গলা ব্যথা করছে না,, গলাটা একটু টিপে দেই,,

নিশমঃ না তা আপাতত করছে না,, এখন শুধু মাথাটাই ব্যথা করছে,, যদি দয়া করে একটু মাথাটা টিপে দিতে,,

তান্নাজঃ সত্যি বলছো,,

নিশম একদম অসহায় একটা ফেস করে,,
নিশমঃ আমি কখনও কি তোমার সাথে মিথ্যা বলতে পারি,,,

তান্নাজঃ হুম তাই তহ,, মিথ্যা হয়তো বলতে পারো না,, কিন্তু ঠিকই ঠকাতে পারো,, অন্যের মন নিয়ে যেন একটু বেশি খেলতে পারাও,,

নিশমঃ থাক লাগবো না,,, সোজা সুজি বললেই হয় পারবে না,, অভিমানি সুরে,,

তান্নাজঃ হুম,, যাই হক বাম কোথায় বলো,,

নিশমঃ ওইজে ওই ডয়ারে,,

তারপর তান্নাজ বাম নিয়ে নিশমের পিছনে যেয়ে মাথায় হাত দিতে নিলে নিশম বলে উঠে

নিশমঃ আমার কোলে বসে মাথাটা টিপে যাও,,

তান্নাজ ভ্র কুচকিয়ে নিশমের দিকে তাকায়,, তারপর বলে,,

তান্নাজঃ কেন,,

নিশমঃ আমি চাই না আমার জন্য আমার বউয়ের পা ব্যথা করুক,, আর কোলে বসলে ভাল মত মাথা টিপে দিতে পারবা,,

তান্নাজঃ আহারে বউয়ের কত চিন্তা,, চিন্তা দেখি সব উতলাইয়া পরতাসে,,, যতসব আজাইরা ঢং,,
তারপর তান্নাজ আর কিছু না বলে নিশমের কোলে বসে বাম দিয়ে তার মাথা টিপে দিতে থাকে,, আর নিশম এমন এক্টিং করে যেন সত্যি তার অনেক মাথা ব্যথা,, তান্নাজ তার কাজ শেষ করে উঠতেই নিলে নিশম তান্নাজের কোমর জরিয়ে ধরে,, তারপর নিজের সাথে মিশিয়ে বলে,,

নিশমঃ এইভাবে কিছুখন থাক না জান,,ভাল লাগছে,,

তান্নাজও কিছুনা বলে তার বুকে মাথা রেখে শুয়ে পরে,
তান্নাজের ও অনেক শান্তি লাগছে,,, এই বুকেই যেন তার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান,,তান্নাজ নিশমের হৃৎস্পন্দন শুনতে পারছে,, তার মনে হচ্ছে হৃৎস্পন্দনে যেন শুধু তার জন্যই বিট করছে,, প্রত্যেক স্পন্দনে যেন তারই নাম,,, নিশম তান্নাজের মুখ উঁচু করে নিজের কাছে আনতেই একটা মেয়ে স্টাফ ভিতরে এসে পরে,, মেয়ে স্টাফ যেন ভুত দেখার মত চমকে উঠে আর তারাতারি পিছে ঘুরে যায়,,

মেয়েটিঃ সরি স্যার,,, আমি কিছু দেখি নি,,

এতে তান্নাজ আর নিশম অপ্রস্তুত হয়ে পরে,, তান্নাজ লাভ দিয়ে উঠে পরে নিজের শাড়ি ঠিক করে নেয়,, তারপর ওইখানেই দাড়িয়ে থাকে,, নিশম নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে বলে,,

নিশমঃ হাউ ডেয়ার ইউ,, আমার পারমিশন ছাড়া আমার কেবিনে আসার সাহস আসে কোথা থেকে তোমার মিস লিজা। চিৎকার দিয়ে

লিজাঃ আই এম ভেরি সরি স্যার,, নেক্সট টাইম এমন হবে না,, এইবারের মত মাফ করে দেন,,

নিশমঃ মাইন্ড ইট,,, এইটাই লাস্ট চান্স,, আর যদি কখনও দেখেছি আমার কেবিনে আমার পারমিশন ছাড়া এসেছো,, সেই দিনই হবে তোমার চাকরির শেষ দিন,,এখন কিসের জন্য এসেছো তা বলো,,

লিজাঃ এই পেপারে আপনার কিছু সিগনেচারস লাগবে,,

নিশমঃ দাও,,
নিশম ফাইল গুলো চেক করে সাইন করতে থাকে,, আর লিজা তান্নাজকে পর্যবেক্ষন করতে থাকে,,, তাতে তান্নাজের কিছুটা আনইজি লাগে,, নিশম ফাইলে সাইন করে বলে,,

নিশমঃ নাও লিভ,,,

লিজা রাগে গটগট করতে করতে চলে,, কেবিনের বাইরে এসে বলে,,

লিজাঃ তহ তোলে তোলে এইসব চলছে,,সারের সাথে রাস লিলা চলছে,, আবার আমাকেই বকা খাওয়ানো তাই না,, এইবার দেখ আমি কি করি,,,
বলেই একটা ডেবিল স্মাইল দেয়,,,

চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here