#শ্যামাকন্যাতে_আসক্ত
৬
#লেখনীতেঃহৃদিতা_ইসলাম_কথা
অর্ন চোখ বড়বড় করে সিড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।পাঁচ তলায় রাখা হয়েছিল পৃথাকে। কিন্তু সেখান যাওয়া আশার জন্য লিফ্টের ব্যব্স্থা থাকলেও পৃথার এককথা সে অর্নর কোলে চরেই নামবে।মুলত এটা অর্নর শাস্তি। যা সে অর্নকে দিতে চাইছে।এভাবে এমন একটা শাস্তি যে পৃথা অর্নকে দেবে তা সে ভাবতেই পারেনি।
–আপনার খুব শখ না আমাকে কোলে তুলে নেওয়ার। এখন আপনি আমাকে এখান থেকে নিচতলা পর্যন্ত কোলে তুলেই নামবেন।তাও আবার সিড়ি বেয়ে নো লিফট।আমাকে জোর করে কোলে তুলে নেওয়ার শাস্তি এটা বুঝেছেন।
–পৃথা এটা তুমি করতে পারলে?
কাঁদো কাঁদো মুখ করে।পৃথার তো বেশ লাগছে।এখন সে শোধ তুলবে সবকিছুর। ওই মেয়েটিও কেমন ড্যাবড্যাব করে দেখছিলো যা পৃথার মোটেও ভালো লাগেনি।নার্স মেয়েটির এভাবে অর্নকে দেখার জন্য সে মুলত অর্নকে দায়ী করে। কেননা বিয়ের পর তার এত্ত ভাব এটিটিউড কিসের? এত সাজসজ্জার ই বা কি প্রয়োজন? যে সবাই তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে।ঘরে বউ থাকতে বাহিরের সিঙ্গেল লুচু মেয়েদের মনে আগুন ধরানোর কোনো মানেই হয় না।লুচু মেয়েগুলোর একটুও লজ্জাবোদ নেই।অন্যের বরকে এভাবে কেনো দেখবো।
–তখন ওই মেয়েটার সাথে বেশ তো হেসে হেসে কথা বলছিলেন এবার দেখুন কেমন লাগে।হুহ।আবার সবসময় সবার সামনে ভাব আর কি এটিটিউড।তোর এটিটিউডের কাথায় আগুন।লুচু মেয়েদের তো আর কাজ নেই। অন্যের বরের দিকে নজর দেয়া ছাড়া।দেখিস লুচু মেয়ে তোদের একটারও বর জুটবে না।এই বলে দিলাম আমি।হুহ।
মনেমনে এসব ভাবছে আর অর্নকে গালাগাল করছে। বজ্জাত, হারামি , লুচু, চরিত্রহীন, লম্পট একটা।আমাকে জোর করে তুলে এনে বিয়ে করে আবার বাইরের মেয়েদের দিকে নজর দেয়া।তারা খুব সুন্দরী তাই না।একবার সুযোগটা পাই না দেখাবো কত ধানে কত চাল।রাগে ফুসতে ফুসতে আকাশ পাতাল ভাবছে পৃথা।
এইতো কিছুক্ষণ আগের কথা,,
নার্স মেয়েটি ড্রেসিং করছে আর অর্নকে দেখছে।জোরে জোরে শ্বাস টেনে নিজের রাগকে দমিয়ে রাখার সামান্য প্রচেষ্টা করছে পৃথা।কিন্তু লাভ হচ্ছে না রাগ যেনো আরো বেড়েই চলেছে।এবার সে জোরে চিৎকার করে উঠলো,
–আহহহ।
নার্স মেয়েটি ঘাবড়ে গেল।হযতো আড়চোখে অর্নকে দেখতে গিয়ে লেগে গেছে পেশেন্টের।সে ঘাবড়ানো ফেস নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বললো,
–স্ সরি ম্যাম।আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
অর্ন পৃথার চিৎকার শুনেই ছুটে এসেছে তার কাছে।আর ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলছে,
— পৃথা কোথায় লেগেছে? খুব লেগেছে। বলো আমায়। আপনি একটু খেয়াল করে কাজ করবেন তো।কাজের সময় মনোযোগ কোথায় থাকে আপনাদের।
অর্ন ভীত সতন্ত্র হয়ে উঠেছে।যেনো আঘাত নয় পৃথার ওর লেগেছে।এমনিতে ওর ভুলের জন্য মেয়েটা এতটা কষ্ট পেয়েছে তার উপর আবারো আঘাত পেল।
নার্স আরও বেশি ঘাবরে গেল অর্নর এমন আচরনে। এতো যে সে পেশেন্ট নয় এতো অর্ন খানের ওয়াইফ। যার জন্য কাল সে পাগলের মত করছিলো।স্যার এবার নিশ্চিত খুব রেগে যাবেন।হয়তো চাকরিটাও চলে যেতে পারে।
অর্নর এরকম আচরনে পৃথাও চমকে গেছে।সামান্য আঘাতে এতটা পাগলামি করছে অর্ন কার জন্য পৃথার জন্য। অর্ন কি তবে ভালোবাসে পৃথাকে।নাহ এসব কি ভাবছে সে এটা সম্ভব না।সে আর কাউকে কোনদিন ভালোবাসবে না। তার বিশ্বাস উঠে গেছে ভালোবাসা নামক শব্দটা থেকে।তাই সে এসব ভাবতে পারছে না।আর না সে ভাবতে চাইছে।
থমথমে মুখে এবার সে বলে উঠলো,
— আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই এক্ষুনি। কোন প্রশ্ন করবেন না।
অর্ন জানে যে পৃথা খুব জেদি যা বলবে তাই করবে।তাই সে কথা না বাড়িয়ে গার্ডকে বলে দিল সবটা মেনেজ করে ফর্মালিটি মিটিয়ে নিতে।নার্স আর কিছু না বলেই ফিরে গেল সন্তপর্ণে। পৃথা দ্বিতীয় বার ফ্লোরে পা রাখতেই আবারো পৃথাকে কোলে তুলে নিল।পৃথা অবাক পানে তাকিয়ে রইলো অর্নর দিকে। কিন্তু কিছু বললো না মাথা নিচু করে রাখল।ফট করেই ওর মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আটল।ওর বারন করা সত্বেও বারবার ওকে টাচ করছে যার জন্য সে ভিষন বিরক্ত। কিন্তু ও জানে যে একে বলে কোনো লাভ নেই।তাই ওকে শাস্তি দিতে হবে না হলে ও শুধরোবে না।তাই ও মুখ বাকিয়ে বললো,
— আপনাকে বারন করা সত্বেও আপনি বারবার কেনো বেহায়ার মত আমায় কোলে তুলে নিচ্ছেন।
— তুমি হাজার বার বারন করলেও আমি শুনবো না। যদি বলো বেহায়া তাহলে বেহায়াই। আর বউয়ের কাছে বেহায়া না হলে কার কাছে বেহায়া হবো।বেহায়া নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগিয়ে যাবে কিকরে?
— ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মানে?
— এখনি বলবো।
— তো কখন বলবেন?
— রাতে বেডরুমে।
পৃথার চোখ বড়সড় হয়ে গেল মুহুর্তেই। অর্ন কথাটি বলেই চোখ মারলো পৃথাকে। পৃথাকে জ্বালাতে ওর বেশ লাগে।একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরলো।যা দেখে পৃথার ভিষন রাগ হচ্ছে।
তখনই ও বাকা হেসে বলে উঠলো,
— আপনার যখন এতটাই শখ আমাকে কোলে তুলে নেওয়ার তাহলে এক কাজ করুন আজ আপনি আমাকে কোলে নিয়েই নিচে নামবেন তাও আবার সিড়ি ভেঙে। বুঝেছেন আপনি।
বলেই ও চোখ মারলো অর্নকে। অর্ন তো পুরাই ভেবাচেকা খেয়ে গেছে পৃথার কর্মকান্ডে।অর্নও কম যায় না। ও আবারো নিজেকে সামলে নিলো। তারপর বললো,
— উমমম।ওয়াইফি বুঝতে পারছি তোমার আমার কোলে চড়ে থাকার খুব শখ তাই তো এত কিছু করছো তুমি।বুঝতে পারছি ভালোবেসে ফেলেছো আমাকে তাই তো।এত বাহানা আমার কোলে চড়ার।
— হয়েছে এবার চলুন। দেখবো আপনার দম।পাঁচ তলা থেকে নামতে হবে।হুহ তখন বুঝবেন কত শখ মিটবে।
অর্ন পৃথাকে নিয়ে সিড়ির কাছে এলো।এসেই ওর চোখ ছানাবড়া। পৃথা ওকে ভালোমতো ফাঁসিয়েছে।
— এতগুলো সিড়ি ভেঙে নিচে নামলে আমার হাড়গোড় আস্ত থাকবে বলো? তোমার স্বামীর এত কঠিন শাস্তি না দিলেও পারতে।তারপর তোমার মত আটার বস্তাকে নিয়ে নিচে নামলে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
— তোহ এত ভাব নিচ্ছিলেন তখন কোথায় ছিল এসব।মেয়েদের সামনে এত এটিটিউড আসে কোথা থেকে আপনার? আবার নেকামো করে বলা হচ্ছে, তুমি না দেখতে খুব সুন্দরী। নেকা। হুহ চলুন এবার দেরি হচ্ছে।
অর্ন এবার আল্লাহর নাম নিয়ে নামতে শুরু করলো ও জানে পৃথা ওকে শাস্তি দিচ্ছে সেটাও কিসের জন্য তাও ওর ভালো করে জানা আছে।তবে ও এতে খুব খুশি। কারন ওর বউ জেলাস ফিল করছে।যা প্রেমের প্রথম লক্ষন। ও জানে পৃথা একদিন ঠিক ওকে ভালোবাসাবে।ও পৃথাকে ভালোবাসতে বাধ্য করবে।কেননা পৃথা ওকে ভালো না বেসে থাকতেই পারবে না।কারন পৃথা খুব নরম মনের মেয়ে। ও সবাইকে ভালোবাসতে জানে।আমাকেও বাসবে তা ওর বিশ্বাস। উহু শুধু বিশ্বাস নয় দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রতিটি সিড়িগুলোই বেশ ভালোভাবে পার করে আসছে অর্ন। এর মধ্যে ও একটুও ক্লান্ত হয়নি।আর না বিরক্ত হয়েছে। ও তো ওর প্রেয়সীকে সারাজনম এভাবে রাখলেও ওর মধ্যে ক্লান্তি আসবে না।বরং সুখানুভূতি হবে।এি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ হবে ও।ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার আর তার কাছে থাকার সুযোগ সবাই পায় না।ও তো ওর প্রিয়তমাকে ইহজনমেই কেবর নয় পরজনমেও এভাবেই আগলে রাখতে কাছে রাখতে চায় আর খনেক বেশি দিতে চায়।ওদের দুজনকে এভাবে যারাই ওদের এভাবে তারাই মুগ্ধ হয়ে দেখছে।কেউ কেউ তো তার স্বামীকে দেখিয়ে বলছে,
— দেখো একেই বলে ভালোবাসা।তোমাদের যুব সমাজের কিছু শেখা উচিত ওনার থেকে।
— দেখেছো বউকে কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতগুলো সিড়ি ভেঙে ভালোবাসা না থাকলে সম্ভব না।
সবার এমন উক্তিতে পৃথা বেশ লজ্জিত। ওর অর্নকে এমন টাস্ক দেয়া উচিত হয়নি।ওর খুবই অস্বস্তি হচ্ছে। লজ্জায় কুঁকড়ে গেছে ও। অর্নর বুকে মাথা লুকিয়ে ওর শার্ট খামচে নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা। এমন একটা পরিস্থিতিতে পরতে হবে তা ওর ভাবনার বাইরে ছিল।এবার লও ঠেলা সামলাও।পৃথা বারবার বলার পরও অর্ন ওকে কিছুতেই নামিয়ে দিচ্ছে না।এমনিতেই ওর পায়ে আঘাত ও তো কিছুতেই ওকে নিচে নামতেই দিবে না।
নিচতলায় আসতেই গাড়ি পার্কিং থেকে আনা হলেও অর্ন গাড়িতে না উঠে ওকে নিয়ে হেটেই যেতে চাইলেই পৃথা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দিল
— আরে আরে কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
— কেনো বাড়িতে?
— তো৷ গাড়িতে উঠুন।
— না এভাবেই হেটে বাড়ি ফিরবো।তোমাকে কোল থেকে নিচে নামাচ্ছি না আমি বুঝতে পেরেছো তুমি।
— দেখুন বেশি ঢং দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই।আপনি যদি গাড়ি করে বাড়ি না ফেরেন তবে আমি নিজেকে আবারো আঘাত করবো।মনে রাখবেন।
ওর এমন কথা শুনে অর্নর রাগ যেনো তরতর করে বেড়ে গেল।ঘাড়ের, হাতের, কপালের রগ ফুলে উঠেছে মুহুর্তেই।মেয়েটির সাহস কি করে হলো আবারে নিজেকে আঘাত করার কথা ভাবলো।কিছু না বলেই শুধু রাগী একটা লুক দিল পৃথাকে সে লুকেই বেম ঘাবড়ে গেল পৃথা।কেননা অর্নর চোখ রক্তিম বর্ন ধারন করেছে।
ও আর কিছুই বলার সাহস পেল না।অর্নও আর কিছু না বলেই গাড়িতে গিয়ে বসলো।পৃথাকে ফ্রন্ট সিটে বসিয়ে ও নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো।ড্রাইভারকে সাথে না নিয়েই চললো বাড়ির উদ্দেশ্যে। ওদের পেছন পেছন গার্ড আসছে।
বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেই গাড়ি থামালো অর্ন।ইন্জিন অফ করেতেই গাড়ি থেকে নামার জন্য পা বাড়াতেই পৃথার হাত টেনে ধরলো অর্ন। হেচকা টানে কাছে নিয়ে আসলো।পৃথার ওষ্ঠদ্বয় আর অর্নর ওষ্ঠদ্বয়ের মাঝে অতি যতসামান্য দুরত্ব। অর্নর রাগে শরীর কাপছে এখনও শান্ত হয়নি সে।ওর নিশ্বাস ঘনঘন ওঠানামা করছে।তার এতটা কাছে থাকায় পৃথার অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। যা ইতোপূর্বে কখনো অনুভব করেনি ও।কারো এতটা কাছে কখনো যায় নি।তনয় কাছে আসতে চাইলেও ‘ও’ সবসময় দুরত্ব বজায় রাখতো।তনয়ের আশেপাশে থাকাতে এর কখনো অদ্ভুত কোন অনুভূতি ছিল না। যা অর্ন ওর আশেপাশে থাকলে ওর অনুভব হয়।একেই মনে হয় বলে পবিত্র বন্ধন।বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর।প্রত্যেক স্বামী স্ত্রী একে অপরের সাথে এভাবেই জুড়ে যায়।পৃথার শরীর মন জুড়ে অন্যেরকম এক শিহরন অনুভুত হলো।সে আর তাকিয়ে থাকতে পারলো না অর্নর ওই গভীর চোখের চাহনিতে।চোখ নামিয়ে নিল ও।ওর চোখের মায়ায় পড়তে চায় ও।হারাতে চায় না।বারবার মন আর মস্তিষ্কের সাথে লড়াই করছে ও।
— আর কখনো তোমার মুখে আমি তোমার ক্ষতির কথা মুনতে চাই না।তুমি ভাবতেই পারবে না।তোমার সামান্য যন্ত্রণায় কতটা পুড়ে আমার ভিতরটাতে।তোমাে কল্পনার বাহিরে তাই ভবিষ্যৎ এ তোমার নিজেকে আঘাত করা বা এইযে কাল যা কিছু করলে এসব কথা মাথায় আনার চেষ্টাও করবে না।যদি কখনো এসব ভাবনাতেও আনো তাহলেও তার পরিনাম খুবই ভয়াবহ হবে।মাইন্ড ইট মিসেস ওয়াইফি।
এই বলেই পৃথার হাত চেড়ে গাড়ি থেকে নামলো অর্ন। পৃথা ঠাই বসে আছে। এতটা শান্তশিষ্ট ভাবে ভয়ংকর রকমের কথাবার্তা শুধু অর্নই বলতে পারে।ওকে থ্রেট দিয়ে চলে গেল আর ও কিছুই বললো না।এরকম তো ছিলাম না আমি।তাহলে কি আমি বদলে যাচ্ছি। দুর্বল হয়ে যাচ্ছি ওর প্রতি। ওর ভাবনার মাঝেই আবারো পৃথাকে কোলে তুলে নিল অর্ন।পৃথা হকচকিয়ে গেল। তবুও কিছু বললো না।বাড়িতে প্রবেশ করতেই হলরুম পেরিয়ে সোজা রুমে চলে গেল।পৃথার মা এসেছেন মেয়ের এমন এক্সিডেন্টের কথা শুনে।
রুমে পৃথাকে পৌঁছে দিয়েই বেরিয়ে গেল অর্ন।ওর মা রুমে ঢুকে মেয়েকে বোঝালেন এভাবে নিজেকে আঘাত করার কোন মানেই হয় না।এটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।এরকম একটা বোকামির জন্য সামান্য বকাঝকাও করলো।
———————————–
এভাবেই কেটে গেল আরও পাঁচ পাচটে দিন।এখন অনেকটাই সুস্থ পৃথা।অর্নর মা পৃথাকে বেশ যত্ন করেছে এতদিন।আর অর্ন সারাদিন চোখে চোখে রাখতো। অর্নর এতটা কেয়ার আর ওর পরিবারের প্রতি কর্নসার্ন দেখে প্রতি মুহূর্তেই মুগ্ধ হচ্ছে পৃথা। তবে ওকে ভালোবাসা অসম্ভব। অর্নকে পছন্দ না করলেও পৃথার পরিবারের সবকিছুর দেখাশোনা অর্নই করছে।পৃথার পরিবারের সবার ধারনা একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে। পৃথার ভাইয়ের সাথে অর্নর ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে।এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিন।
আর অন্যদিকে পৃথার আর অর্নর হসপিটালের বিষয়টি কেি ভাইরাল করে দিয়েছে। পৃথাকে কোলে করে নিয়ে আসার ভিডিওটা কেউ ইন্টারনেটে ভাইরাল করেছে। এটার সম্পর্কে জেনে তনয়ের অবস্থা খারাপ। সে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। সে তো ভেবেছিল অর্ন শুধুমাত্র নিজের জেদ ইগো আর দৈহিক চাহিদা মেটাতে পৃথাকে বিয়ে করেছে।ওর জেদ বজায় রাখতে করা বিয়েটাকে এতটা প্রাধান্য দিবে তা সে ভাবেনি।তার এই ভুল ধারনাটিকে ভাযতে আর ওর মনে অস্থিরতা তৈরির জন্যই ভাইরালের বিষয়ে জানার পরও কোন একশন নেইনি অর্ন।সে চেয়েছিল তনয় এই সম্পর্কে জানুক।ওর জন্য শাস্তি বরাদ্দ আছে সেটা সময় আর সুযোগ বুঝে দিয়ে ও দিবে ও।ওর ভালোবাসার মানুষটির সাথে এই নোংরা অভিনয়ের বেশ ভয়াবহ শাস্তি ভেবেছে ও।ওর পরিনতি ঠিক কতটা করুন হবে তা ও ভাবতেও পারছে না।
#চলবে……