#শ্যামাকন্যাতে_আসক্ত
৮
#লেখনীতেঃহৃদিতা_ইসলাম_কথা
অর্ন পৃথাকে ছেড়ে পিছনে ফিরে বেরিয়ে এলো রুমে। পৃথা রাগে গজগজ করে ড্রেস না চেঞ্জ করেই অর্নর পিছন ছুটলো।
কতবড় পাজি অসভ্য লুচু একটা লোক ভাবা যায়। কত জঘন্য একটা কাজ করেছে।ইশশ কি বিচ্ছিরি ব্যপার!
রাগ হচ্ছে ভিষন রাগ হচ্ছে ইচ্ছে করছে অর্নর সিলকি চুলগুলো টেনে ছিড়ে ফেলতে তবেই শান্তি পাবে ও।এসব ভাবতে ভাবতেই সে ছুটলো অর্নর পিছনে।অর্ন রুমে আসতেই পৃথাও বেরিয়ে এলো ওর পিছন পিছন।আর রেগে তেড়ে এসে তর্জনি আঙুল তুলে বললো,
— আপনি! আপনি একটা নোংরা লোক।একদম বাজে।আপনি এত অসভ্য কেনো? এভাবে কেউ ওয়াসরুমে ঢুকে পড়ে তাও আবার পারমিশন না নিয়ে।
— আমার ওয়াশরুমে আমি যাবো তাতে আবার পারমিশন কেনো নিতে হবে সেটাই বুঝতে পারছি না আমি।
কপাল কুচকে বলে উঠলো অর্ন।
— দেখুন মিস্টার এটা এখন আর আপনার একার বেডরুম নয়।এখন এটা আমারও রুম তাই আপনাকে আমার পারমিশন নিতে হবে। হুহ।
রাগী লুকে নাক ফুলিয়ে বলছে পৃথা।
–বেডরুমে আমাদের সমান শেয়ারিং। আর তোমার মত গর্দভ মেয়ের সাথে কথা বলাই বেকার।দোষটা তোমার আর আমাকে কথা শোনাচ্ছ। দরজা লক করোনি কেনো তুমি? আমি কি জানতাম নাকি যে মিস ইউনিভার্স ওখানে আছে।আর জানলেই বা কি আমার কাছে তুমি যেকোন ভাবেই থাকতে পারো।কোন কিছু পরা আর না পরা ম্যাটার করে না।আফটার অল উই আর হাসবেন্ড এন্ড ওয়াইফ।তাই না মিসেস ওয়াইফি।
বেশ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে শেষের কথাগুলো মজার ছলে বলেই এক হাতের উপর অন্য হাত রেখে ঠোঁটে আঙুল ঠেকালো অর্ন।ঠোঁট কামড়ে দুষ্টু হাসছে সে।পৃথাকে লজ্জা দিতে বেশ লাগে ওর।আর অন্যদিকে পৃথার তো আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা। সে চোখ বড়বড় করে মুখ হা করে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আছে।আর ভাবছে কতটা শেইমলেস পারসন হলে কেউ এ ধরনের লাজলজ্জাহীন কথাবার্তা মুখে আনতে পারে।লোকটাকে যতটা ভালো আর সাধু দোখা যায় ততটা ভালো দো মোটেও না।আস্ত একটা বজ্জাত আর খাটাশ লোক ব্যাটা।
আবারো রেগে তেড়ে অর্নর কাছে আসার সময় পা পিছলে অর্নর বুকের উপর আচড়ে উপর।অর্নও হঠাৎ আক্রমণে তাল সামলাতে না পেরে দুজনেই একসাথে বেডে পরে যায়।অর্নর বুকের উপর হয় পৃথার স্থান। দুজনের মধ্যে দুরত্বের ছিটেফোঁটাও নেই।যেনো একদম মিশে গেছে তারা।এমতাবস্থায় অর্নর দুহাত পৃথার পিঠের উপর।অর্ন মাতাল করা দৃষ্টিতে পৃথাকে দেখতে ব্যস্ত।এতটা কাছ থেকে তার প্রেয়সীকে এই প্রথম বার দেখা।সদ্য শাওয়ার নেয়া যুবতী। অত্যন্ত স্নিগ্ধ লাগছে তার বউটাকে।তার উপর ভেজা চুল ভেজা আখি পল্লব।সবটাই মারাত্মক ভাবে ঘায়েল করেছে অর্নকে।সে যেনো নেশায় পড়ে যাচ্ছে। কোন ঘোরে তলিয়ে যাচ্ছে। অপলকে দেখে চলেছে তার মায়াবতী। ভেজা চুলের পানি টপটপ করে দু-এক ফোটা ওর গালের উপর পড়ছে।যা অর্নর মনে শিহরন জাগাতে যথেষ্ট। কেনো যেন না চাইতেও আজ তার এই লাল টুকটুকে বউটাকে একটু কাছে পেতে ইচ্ছে করছে। আদর করতে ইচ্ছে করছে। নিজেকে মানানোর ইচ্ছে থাকলেও মন যেনো মানতেই চাইছে না।এতসময় ধরে পৃথাও তার ভেজা পাপড়ি মায়াবী চোখে অর্নকে নিষ্পলক দেখেছে।দুজনে দুজনের চোখে হারিয়ে যাচ্ছে যেনো।ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক চলছে,,,,,,
🎶🎶”চোখে চোখে কথা বলো,,,,,,
,,,,,,,,,,হৃদয়ে রাখো হৃদয়🎶🎶”
🎵মনে মনে ভাসি চলো হয়ে যাক না প্রনয়🎵
“🎶🎶বুকের ভিতর তোমার জন্য মাতাল হাওয়া বয়
অনুভবে না বলা কথা বুঝে নিতে হয়🎶🎶”২
(বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন)
পৃথার সম্বিৎ ফিরতেই সে চোখ নামিয়ে নেয় হঠাৎ।কিন্তু অর্ন এখনো ঘোরের মাঝেই।ঘোরের মধ্যে থেকেই সে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে দেয় পৃথার ওষ্ঠদ্বয়ে। কেঁপে ওঠে পৃথা শিহরনে।তার মাঝে যেনো কারেন্ট বয়ে গেল।লজ্জায় কুঁকড়ে যায় সে।নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।অর্নর থেকে সরে আসতে চেষ্টা করতেই।ছোটাছুটি শুরু করে।অর্ন একহাতে ওকে জরিয়ে রেখেছে। আর অন্যহাতে পৃথার ছোট্ট চুলগুলো কপালের থেকে সরিয়ে দিয়ে ওর কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিল।পৃথার মাঝে পুনরায় অস্থিরতা দেখা দিল।মনের মাঝে যেন ঝড় উঠেছে।না পারছে এই মানুষটাকে মেনে নিতে আর না পারছে তাকে ছেড়ে দিতে।তাকে ভালোবাসতেও পারছে না আঘাতও করতে পারছে না।দুরে সরে থাকতেও বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। কাছে থাকলে অস্থিরতা বাড়ছে।কেনো হচ্ছে এত রকমের অদ্ভুত অনুভূতি। এই নাম না জানা অনুভূতি গুলো কেনো ওর মনে বারবার শিহরন জাগাচ্ছে। কেনো এই মানুষটাকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে। তাকে ভালোবাসার ইচ্ছেটা বারবার কেনো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে মনের গভীরে। কি কারন এর? তবে কি আমি ভালোবেসে ফেললাম আবারো। প্রেমে পড়ে গেলাম এই অসহ্য মানুষটার যাকে সহ্য করা দুরহ ছিল এক সময় আমার জন্য । নিজ মনেই হাজারো চিন্তা ভাবনারা উকি দেয়।তবে এর সঠিক জবাব সে জানতে চায়।তবে এভাবে ও নিজের মনের কাছে দুর্বল হতে চায় না একবার আঘাত পেয়েছে। সাজানো স্বপ্ন আশা আকাঙ্খা ভেঙে চুরমার হয়েছে যদি আবারো সবটা কাচের ন্যায় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।সে পারবে না নিজেকে সামলাতে।শেষ হয়ে যাবে নিঃশেষ হয়ে যাবে।মন ভাঙার যন্ত্রণা শুধু তারাই উপলব্ধি করতে পারে যারা ভালোবাসায় হেরে যায়।যাদের মন ভাঙে।
পৃথা কিছু না বলেই চুপচাপ সরে আসতে চাইলেও আসতে পারে না অর্নর হাতের বাধনে আটকা পরে যায়। আস্তে করে গলার স্বর নিচু করে বলে,
— ছ্ ছাড়ুন।উঠবো আমি।
–ইউ আর লুকিং সো হট ওয়াইফি!
একদম গা ছাড়া ভাব নিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে চোখের চাহনিতে দুষ্টুমি নিয়ে বলে উঠে অর্ন।তার চোখ পৃথার বুকের উপর গলার বেশ খানিকটা নিচে অবস্থিত কালো কুচকুচে তিলের উপর।পৃথা ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে নিজের দিকে তাকাতেই ওর দৃষ্টি ছানাবড়া হয়ে যায়। লজ্জায় মুখ লুকানোর জায়গা থাকে না।রেগে অরেক গালাগাল দেয় পৃথা।পৃথা বাথরোব পরাতেই আজ এই অবস্থা। রেগেমেগে তখন বেরিয়ে এসেছিল ড্রেস চেঞ্জ করতে ভুলেই গেছিলো।তার এমন একটা সুযোগ নেবে লুচু লোকটা ভাবতেই ওর গা হিম হয়ে এলো।
–অসভ্য বজ্জাত পাজি খাটাস খারুস লুচুম্যান একটা।আপনার নজর ঠিক নেই।নোংরামি করছেন আমার সাথে ছাড়ুন আমায় নয়তো চেচাবো আমি।
ওর এমন কথায় খিলখিল করে হেসে উঠে অর্ন।
— হাউ ফানি ওয়াইফি!বরের সামনেও এত লজ্জা। এই লজ্জা কোথায় লুকোবে বলোতো যেদিন আমি তোমায় নিজের একান্তই নিজের করে কাছে টেনে নিব।
কথাগুলো মুখ উঁচিয়ে পৃথার কানে ফিসফিসিয়ে বলে অর্ন।অর্নর এমন শীতল কন্ঠস্বর পৃথার শরীরে যেনো হাজার ভোল্টের শক লাগার মত অনুভূতি হলো।
পৃথা চকিত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।ঠিক তখনই একটা আওয়াজ কানে ভেসে আসে ওদের দুজনের।
— চিকু মামু তুমি মামিকে আদর করছো!
বড়বড় চোখ করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে সাত/আট বছরের বাচ্চা মেয়েটি।দুই দিকে দুটো লম্বা ঝুটি বাধা হাতে একটা বড় টেডিবিয়ার।যার কালার বেবি পিংক কালার।ওর ড্রেসও একই রঙের। ফর্সা মুখটা যেন লাল হয়ে গেছে। চোখে মুখে দুষ্টুমিরা খেলা করছে।বেশ প্রানবন্ত একটা বাচ্চা মেয়ে।ওদের এভাবে দেখবে হয়তো ও আশা করেনি।
ওরা দুজনেই বেশ চমকে গেছে।মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিছে।এভাবে তো কেউ এ রুমে আসার সাহস করবে না।তাছাড়া কেও আসে ও না।কিন্তু হঠাৎ এই কন্ঠস্বরে ওরা বেশ চমকিত।পৃথা বেশ লজ্জায় পড়ে গেছে।ইশশ! এভাবে একটা বাচ্চা মেয়ে ওদের দেখলো আবার কি বললো ভাবতেই ওর পুরো শরীর যেনো ঝটকা খেল।এতটুকু একটা পিচ্চি মেয়ে বলে কি ভাবা যায়।যদি বাইরে গিয়ে কাউকে কিছু বলে।ভাবতেই কেমন একটা লাগছে পৃথার।হায় আল্লাহ সবাইকে বলে দিলে কি হবে? ও বাইরে মুখ দেখাবে কি করে?সব ভাবনা আর অবাকের রেশ কাটিয়ে দুজনে যত দ্রুত সম্ভব একে অপরের থেকে সরে আসলো।দুজনে দুদিকে ছিটকে সরতেই পরমুহূর্তে বাচ্চা মেয়েটি দুপা এগোতেই পৃথা দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।
অর্ন বাচ্চা মেয়েটার কাছে গিয়ে হাঁটু ভেঙে বসে বললো,
–হেই আমার লিটল প্রিন্সেস।কখন এলে তোমরা আর তোমাদের তো বিকেলের ফ্রাইটে আসার কথা ছিল।এসময় কি করে এলে?আর বাবাই আর মাম্মাম কই?
ওর গাল ধরে আদর করে বলছে কথাগুলো।
–উফফ মামু! তুমি সারপ্রাইজ বুঝো না। সারপ্রাইজ দিব বলেই তো মাম্মামকে জানাতে দেই নি আমি।তোমাদের জন্য সারপ্রাইজ। বাবাই আর মাম্মাম নিচে আছে তো।
বলেই একগাল হাসলো মেয়েটি।সাথে অর্নও হেসে দিল আর বললো,
–হুম প্রিন্সেস খুব চমকে দিয়েছো আমাদের।
–হুম।তাই বলো তোমরা কতটা অবাক হয়েছিলে।তা মামু বলো তো তুমি কি করছিলে? হু হু বলো?
অর্ন পড়লো মহাভেজালে এই মেয়ে তো দেখছি খুব পেকে গেছে।একে কি বলবে।ও আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করলো।
— আ্ আ। ও ওই আসলে তোমার মামি পড়ে গিয়েছিল আমি ধরে নিয়েছি।এইতো বেস এটুকুই।
— ওহ তাই না।আমি কিন্তু বলে দিব সবাইকে তুমি মামিকে আদর করছিলে?
মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে একটা ভাব ওয়ালা লুক নিয়ে সরু চোখে বলে উঠলো।অর্ন পড়লো মহা সমস্যায়।একথা বাইরে গেলে পৃথা তো ওকে কাঁচা চিবিয়ে খাবে লবন মরিচ ছাড়াই।এখন ওকে যেভাবেই হোক হ্যান্ডেল করতে হবে।
— তুমি কি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছো প্রিন্সেস?
— হু।তাই।
–কি করতে হবে আমায়?
— রোজ আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতো হবে।আর আমার ফেবারিট সব খাবার খাওয়াবা।আমার সাথে ভিডিও গেমস খেলবা।আমাকে হারাতে পারবা না।আমার সাথে হাইড এন্ড সি ও দেখতে হবে।আর….
আর কিছু বলতে না দিয়ে অর্ন নিজেই বললো,
— আর তোমাকে এত এত চকলেট দিতে হবে তাও আবার তোমার মাম্মামকে লুকিয়ে। আমি জানি প্রিন্সেস বাট দিজ ইজ নট ফেয়ার। আপুনি জানলে আমার কানমুলে দিবে।আর তোমার ফেবারিট ফুড মানেই তো পিজ্জা বার্গার চাওমিন এসব তাই না।এসব হেলথের জন্য ভালো না প্রিন্সেস।
–ঠিকাছে তাহলে আমিও সবাইকে বলে দিব।
— কি বলে দিবা?
পেছনে পৃথার গলা পেয়ে পিছনে ঘুরে অর্ন আর বাচ্চা মেয়েটি ঘাড় বাকিয়ে পৃথাকে দেখে।ওকে দেখে মিষ্টি হেসে এগিয়ে আসে। ও কাছে এগিয়ে আসতেই পৃথা হাঁটু গেড়ে নিচে বসে পড়ে।ও পৃথার গালে হাত রেখে মিষ্টি সুরে বলে,
— তুমি তো দেখছি ছবির থেকেও বেশি সুন্দর মাম।ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলি।
ওর এমন কথায় আহম্মক হয়ে যায় পৃথা।পৃথার অবস্থা দেখে হেসে কুটিকুটি হয় মেয়েটি।তারপর বলে উঠে,
— আহা! তোমাকে বলাই হয় নি আমি কে?মামু তুমি কুছু বলোনি তো মামিকে?
— নো প্রিন্সেস। আমার প্রিন্সেসের আদেশ শীরধার্য।আমি তোমার কথা মত তোমার মামিকে কিছুই বলি নি।
–ওকে গ্রেট।দেন লে মি ইনট্রুডিউস মাইসেল্ফ।
আমি আনিশা।আমার আম্মু আর আব্বুর একমাত্র কিউট গুলুমুলু মেয়ে এ্যানি আর মামুর প্রিন্সেস।আর তুমি হলে আমার মিষ্টি মামি।এখন থেকে আমরা একসাথে থাকবো।
মিষ্টি হেসে পৃথার গাল টেনে দিল এ্যানি।পৃথাও মিষ্টি হেসে ওর গাল টেনে বললো,
— তুমিও খুব মিষ্টি কিন্তু তুমি আমাকে কিভাবে চিনলে?
— তোমার ছবি দেখেছি।মামু দিয়েছিল আম্মুকে। রোজ তো তোমাকে কত কথা হয় আমার আর মামুর।মামু তো…
বাকিটা আর বলার সুযোগ দিল না অর্ন।পৃথা ওর কথা শুনে বেশ অবাক হলো।অর্ন রোজ কথা বলে পৃথাকে নিয়ে। কি এমন কথা বলে?ভাবনার মাঝেই অর্ন ওদের কাছে এসে পড়লো। ওদের কথার বিরতি টেনে বললো,
— চলো প্রিন্সেস নিচে চলো সবার সাথে দেখা করবো না।
চলো পৃথা নিচে চলো।
বলেই এ্যানিকে কোলে তুলে চলে গেল নিচে।পৃথাও ওদের পিছন পিছন এলো।সিড়ির কাছে আসতেই নিচে সবাইকে দেখতে পেলো।
ওরা নিচে নামতেই অর্ন এ্যানিকে নিচে নামিয়ে দিল।বোনকে জরিয়ে ধরার উদ্দেশ্য দুহাত প্রসারিত করে এগিয়ে গেল।কিন্তু অনিলা অর্নকে পাশ কাটিয়ে হাসিমুখে জরিয়ে ধরলো পৃথাকে।পৃথাতো ভাবতেও পারেনি এমন কিছু হবে।তব৷ যতটুকু বুঝলো এটা অর্নর বোন অনিলা খান।পৃথা জানতো অর্নর একটা বোন আছে তবে তার সম্পর্কে জানার আগ্রহ কখনো ছিল না।হুট করেই বিয়ে আর তারপর এতকিছুতে ওর মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিল ব্যাপারটা।ও স্মিত হেসে জরিয়ে ধরলো অনিলাকে।অর্নর মুখটা লটকে গেল।আপু ওর সাথে এরকমটা করতে পারলো।ওকে দেখলোও না।ভাইয়ের বউ পেয়ে ভাইকে পর করে দিল।এই বাড়িতে ওর আর কোনো ইমপর্টেন্সই নেই।ওকে যেন দেখেও দেখে না।তবে অর্নর কাছে এইসব কিছুই বেশ ভালো লাগে আনন্দ দেয়।ওর পরিবারের পৃথার সাথে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হওয়া ওর মনে আনন্দের দোলা দেয়।মনে মনে বেশ খুশি হয় অর্ন।তারপর পৃথার সাথে সবাই আলাপ জুড়ে দেয়।পৃথার ব্যাপারে সবকিছুই আগে থেকেই জানতো ওরা।আর এখানে আসার পর পৃথাকে সবার সাথে হেসে খেলে স্বাভাবিক ব্যবহার কেতে দেখে বেশ ভালো লাগছে অনিলার।ভাইটা নিশ্চয়ই এবার খুব সুখী হবে।দুজন দুজনার ভালোবাসায় গা ভাসাবে। স্রোতের জোয়ারে প্রেমের এক অন্য দিগন্তে পৌছে যাবে।যেখানে থাকবে সুখ আর সুখ।
#চলবে……