১,
সদ্যজন্ম নেওয়া এই আমি ছিলাম পরিবারের সকলের কাছে অপয়া অলক্ষ্যি রাক্ষসী। কারন আমার জন্মের কয়েক ঘন্টা পরই আমার শস্যাশয়ী নানা মারা যান। বাবা আমার মুখ পর্যন্ত দেখেননি। কারন আমি মেয়ে হয়েছিলাম তাই। তার চার দিন পর যখন আমাকে হসপিটাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসে সেদিন আমার দাদি মারা যান। সেদিন থেকেই আমি আমার বাবা মায়ের চক্ষুশূল হয়ে উঠি। বাবা মা কেউই আমাকে তাদের কাছে রাখতে চাইছিলো না। তারা চেয়েছিলো কোন অনাথ আশ্রমে আমাকে পাঠিয়ে দিতে কিন্তু তখনই আমার নানি যাকে আমি নানুভাই বলে ডাকি সে তার স্বামির মৃত্যুর শোক ভুলে আমাকে তার কোলে তুলে নেয়। তারপর থেকে আমি আমার মামার বাড়িতেই বড় হয়ে উঠি। বাবা মা আমার খরচ বহন করতো না,এমনকি আমি জানতামই না কে আমার বাবা মা। বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি আমার বাবা মায়ের পরিচয় জানতে পারি। তখনো তারা আমাকে তাদের কাছে টেনে নেয়নি। কোন দিনও পাইনি আমি আমার বাবা মায়ের ভালোবাসা। নানুভাইয়ের কথায় তারা শুধু তাদের সন্তান হিসাবে আমার পরিচয়টাই বহন করেছে।
চোখের কোটর থেকে দুফোটা নোনাজল বেয়ে পড়লো মুনের। ছয় বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখছে সে। একদিন প্রিয় মানুষগুলোর থেকে পাওয়া আঘাত সহ্য করতে না পেরে অভিমানে সে চলে যায় দেশের বাহিরে। মুন আজ একজন ডাক্তার। ডক্টর মেহরিমা খান। ডাকনাম মুন। সদ্য এমবিবিএস পাশ করে দেশে ফিরছে সে। চোখের জল মুছে হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল আধ ঘন্টা হয়েগেছে সে দেশের মাটিতে পা রেখেছে অথচ অর্ণা এখনো আসছে না। ছয় বছর আগের মুন হলে সে নিজেই একটা গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে যেতো। কিন্তু আজকের মুন সে খুব চুপচাপ। কোন ঝামেলায় পরতে চায়না সে। তাই সে অপেক্ষা করতে লাগলো কখন অর্ণা আসবে।
সেনানিবাসের ভিতরে কমিশনড অফিসার ও নন কমিশনড অফিসার দুজনে কথা বলছেন।
– গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্র মুন্ত্রি নিজে আমাকে কল করে ওই কেস নিয়ে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্র মুন্ত্রি ও স্বাস্থ্যমূন্ত্রি দুজনের মাঝে এ নিয়ে কথা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা এই কেসের সমাধান চান। আমি আপনাকে বলেছিলাম বিশ্বস্ত কোন অফিসার আছে কিনা? যাকে চোখ বন্ধকরে ভরসা করে এই কেসের দায়িত্ব দেওয়া যায়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা এর সমাধান চান।
– স্যার, আমি কথা বলেছি ক্যাপ্টেন ফারহান সাদিকের সাথে।বয়স কম হলে ছেলেটার দম আছে। দুই বছরের ক্যারিয়ারে সে যে কেইসটা হাতে নিয়েছে সেটাতেই সাকসেস হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ডিপার্টমেন্টে তার নাম ছড়িয়ে আছে।শুনেছি ছেলেটার নিজের ব্রাঞ্চ আছে। তার বিশ্বস্ত লোকদের নিয়ে সে একটা ব্রাঞ্চ অপেন করেছে। যেটা ক্রাইম ব্রাঞ্চ নামে পরিচিত। তাছাড়া ফারহান দুদকের একজন স্পেশাল অফিসার। একটা কেসের কাজে সে কক্সবাজার গিয়েছিলো। আজই সে কক্সবাজার থেকে ফিরছে। তারপর আমাদের এই কেইসটা হাতে নিবে। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন স্যার।
– তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার সাথে দেখা করতে বলো। চার বছর আগের ঘটনা আবার পুনরাবৃত্তি হবে। তবে এইবার এই খেলা শেষ দেখে ছাড়বো।
– জ্বি স্যার। আচ্ছা স্যার আমরা ছাড়া কি আরো কেউ জানে এই কেসের বিষয়ে?
– আরো দুজন জানে।
– তারা কে কে স্যার?
– সময় হয়ে সবটা জানতে পারবে।
-ওকে স্যার।
বাম হাতের ভাজে কোট আর ডান হাতে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে হেটে মেইন রাস্তার দিকে আগ্রসর হচ্ছে ক্যাপ্টেন ফারহান সাদিক। এয়ারপোর্ট এসে নেমেছে প্রায় আধঘণ্টা হলো। অথচ তার ভাই তাকে এক একঘন্টা আগে কল করে বলেছে সে তাকে রিসিভ করার জন্যে রওনা দিয়েছে। বেশ রাগ হচ্ছে ফারহানের। ফারহান সময়ানুবর্তী। সময়ের কাজ সময়েই হওয়া চাই তার। আর তাকেই কিনা এখানে বিনা কারনে আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আশেপাশের মেয়েগুলা হা করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। আর থাকবেই না কেন? এমন লম্বা সুঠাম দেহের অধিকারী ছেলে আজকাল পাওয়া মুশকিল। বুক পকেটে তাকা সানগ্লাসটা চোখে পরে বিরক্ত সহিত হাটছে ফারহান। এমন সময় কয়েকটা মেয়ে এসে ভীড় জমালো তার সামনে। ফারহান সানগ্লাসটা খুলে সেটা আবার তার বুকে গুজে দিলো। ভ্রু কুচকে কপালে কিঞ্চিৎ ভাজ ফেলে মেয়েগুলার দিকে তাকাতেই তাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো,
– স্যার, আপনি ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও দুদকের স্পেশাল অফিসার ক্যাপ্টেন ফারহান সাদিক রাইট! আমি আপনার অনেক বড় ফ্যান। নিউজ চ্যানেলে আপনাকে যতবার দেখেছি ততবারই আপনার উপর ক্রাশ খেয়েছি।
কথাগুলো বলেই মেয়েটা ফারহানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। ফারহান মেয়েটার দিকে বিরক্তি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কিছু বলবে তখনি পাশ থেকে পুরুশনালী একটা কন্ঠশ্বর ভেসে আছে,
– আসলে হয়েছে কি! স্যারের রুমটা না অনেক ছোট তাই এত বড় ফ্যান স্যার নিতে পারবে না। তাছাড়া স্যাররে রুমে এসিও আছে তাই ফ্যানের কোন প্রয়োজন হবে না। তবে আমার রুমটা না অনেক বড় সাথে মনটাও। ফেন্ডস্। কথাটা বলেই ছেলেটা মেয়েটার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। এটা দেখে ফারহান ঠোট চেপে হাসছে আর মেয়েটা থতমত খেয়ে বলে,
– আমার না মাথাটা ঘুরছে। আমি আসছি। বলেই মেয়েটা চলে যায়। সাথে অন্য মেয়েগুলাও। মেয়েগুলা চলে যাওয়ার পর ছেলেটা বলে,
– হ্যালো স্যার, কেমন আছেন?
– বাঁচালে আমায়, পলাশ। বড় করে শ্বাস ত্যাগ করে ফারহান। তখন পাশ থেকে আরেকটা ছেলে এসে ফারহানকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– কেমন আছিস ভাই?
ফারহান ছেলেটাকে ছাড়িয়ে কড়া গলায় বলে উঠলো,
– এক ঘন্টা আগে বাসা থেকে বের হয়েও এয়ারপোর্ট পৌঁছাতে এত লেট।
– আসতে দেরী হয়নি তো। ভেতরে আসতে দেরী করেছি ভাই।
– কি এমন রাজকার্য করছিলি বাহিরে শুনি।
– একটা পরী দেখছিলাম। ডানাকাটা পরী। মন খারাপ করে বলল ছেলেটা, কিন্তু জানিস ভাই বেশী স্মার্ট সাজতে গিয়ে তার সাথে ঝগড়া করে এলাম। ধূর ভাল্লাগেলা।
ফারহান ছেলেটার কথা ইগনোর করে বলল,
– গাড়ির চাবিটা?
পলাশ ফারহানের হাতে গাড়ির চাবি দিতেই ফারহান তার ব্যাগটা গাড়ির ডিকিতে রেখে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে। তারপর ছেলেটা মন খারাপ করে তার পাশের সিটে বসে। আর পলাশ বসে পিছনে।
পলাশকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে ফারহান তার ভাইকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।
ফারহান বাসায় ফিরতেই বাড়িতে চাঁদেরহাট বসে। কিন্তু খুশি হয়নি ফারহানে মা আমেনা বেগম। এটা দেখে ফারহানের বাবা ফয়সাল সাদিক বলে বলেন,
– ছেলে বাড়ি এসেছে তুমি খুশি হওনি গিন্নী। এমন মন মরা হয়ে বসে আছো কেন?
আমেনা বেগম গালে হাত দিয়ে বসে ফারহানের দিকে তাকিয়ে ছিলো। ফয়সাল সাদিকের কথা শুনে তিনি গাল থেকে হাত সড়িয়ে নিয়ে বড় করে শ্বাস নেন। অতঃপর বলেন,
– ইন্ডিয়ান সিরিয়ালে দেখি ছেলে কাজের জন্যে বাড়ির বাহিরে যায় আর আসার সময় সাথে একটা বউ নিয়ে বাড়ি ফিরে। আমার বোধহয় এ জমনে আর পুত্রবধূর মুখ দর্শন করা হবে না। আহা কপাল আমার। কপলা চাপড়ান আমেনা বেগম। কপাল করে একটা ছেলের জন্ম দিয়েছিলাম আমি।
ফারহান ড্রয়িংরুমের বসে সবার সাথে কথা বলছিলো, আমেনা বেগমের কথা কানে আসতেই সে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে গলার স্বর কিছুটা কঠিন করে বলে উঠলো,
– তোমাকে কতকরে বলেছি ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলা দেখবেনা। সিরিয়াল দেখতে দেখতে নিজেকে সিরিয়ালের ক্যারেক্টার ভাবা শুরু করে দিয়েছো। কত করে বলেছি আমি বিয়ে করবো না। তবুও কেন তোমরা আমার পিছনে পরে আছো। রওনাক আছেই ওকে বিয়ে দিয়ে ঘরে তোমার বৌ-মা নিয়ে আসো।
কথাগুলো বলেই রাগে ঘটঘট করতে করতে উপরে নিজের রুমে চলে গেল ফারহান। রওনাক এসে আমেনা বেগমের সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো,
– ছোট মামার মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেনি ফারহান। আসলে ও তো ছোট মামাকে অনেক ভালোবাসতো তাই হয়তো তার মৃত্যুটা ফারহানের উপর এমন প্রভাব ফেলছে। মন খারাপ করো না মামি। দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। রওনাক চলে যায় ফারহানের রুমে। ফারহান চেঞ্জ করে মাত্র ওয়াশরুম থেকে ফিরছে। পরনে শুধু মাত্র একটা টাওজার। হাতে তাকা টাওয়ালটা বিছানার এক পাশে রেখে রওনাকের দিকে তাকিয়ে বলল,
– কিছু বলবি!
– কাল তুই আমাদের সাথে যাচ্ছিস তো? দেখ না করবি না।
– ওকে ওকে ব্রো, যাবো আমি। স্মিত হাসে ফারহান।
রওনাক ফারহানকে জড়িয়ে ধরে রুম থেকে বের হয়ে যায়। ফারহান একটা টিশার্ট পরে পলাশকে কল করে। নতুন কেইস নিয়ে কথা হচ্ছে দুজনের মাঝে। এর মাঝে ফারহান বলে উঠে কাল রাওনাকের জন্যে মেয়ে দেখতে যাবে সেই কথা। তখন পলাশ প্রশ্ন করে,
– স্যার আপনি বিয়ে করবেন না?
– না।
-কখনোই না?
– মনের মতো মেয়ে পেলে অবশ্যই বিয়ে করবো।
– আপনার কেমন মেয়ে পছন্দ স্যার।
– যেহেতু আমি সুন্দর তাই আমার বউকে অবশ্যই সুন্দরী হতে হবে। স্মার্ট হবে। যেহেতু এখন আধুনিক যুগ তাই সে ড্রিংক করতেই পারে। তবে সেটা শালিনতা বজায় রেখে। প্রয়োজনে দুজনে বসে সিগারেটের আড্ডা দিবো। একে অপরের ছায়া হয়ে থাকবো। তার চোখে আমি নিজেকে দেখতে চাই।
– স্যার আমার সাথে একটু বায়োলজিক্যাল ল্যাবে যাবেন?
-কেন? সেখানে আবার তোমার কি প্রয়োজন?
– না মানে সেখানে অর্ডার করে আপনার জন্যে এমন গুণবতী একটা মেয়ের বানাতাম। আপনার যে ছোট চাহিদা এমন মেয়ে পাবে বলে তো আমার মনে হয়না। তাই আরকি!
-পলাশ। ধমক দিয়ে উঠে ফারহান। তারপর মনে মনে বলে, পাবো, নিশ্চয় পাবো। আর এমন মেয়ে একজনই হতে পারে।
২,
পরেরদিন বিকালে শিকদার ফয়সাল সাদিকের পুরো পরিবার আসে অর্ণাদের বাসায়। রওনাক ফারহানের ফুবাতো ভাই। স্বামির মৃত্যর পর রওনাকে মা তার বাপের বাড়িতেই থাকেন। রওনাক আর ফারহান দুই ভাই হলেও তারা বেস্ট ফ্রেন্ড। রওনাকে জন্যে তারা অর্ণাকে দেখতে আসছে। তারা আসতেই লাভলী বেগম তাদের ড্রয়িংরুমে বসিয়ে সমাদর করতে ব্যাস্ত। এদিকে মুন অর্ণাকে সাজিয়ে তার নানুভাইয়ের সাথে পাত্রপক্ষের সামনে পাঠিয়ে দেয়। আর মুন সে তার রুমের বসে থাকে। অর্ণাকে দেকে তাদের পছন্দ হয়েছে। বিয়ের পাকা কথা চলছে এমন সময় আনোয়ার সাহেব মানে অর্ণার বাবা বলে উঠলেন,
– সবাই এখানে উপস্থিত কিন্তু মুনকে তো দেখতে পাচ্ছি না। মুন কোথায়? ডাকো ওকে!
লাভলী বেগম চলে গেলেন মুনকে ডাকতে। কিছুক্ষণ পর তিনি মুন সমেত চলে আসেন। শিড়ি দিয়ে নামতেই মুনকে দেখে অবাক ফারহান। কখন যে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেছে সে খেয়ালই নেই তার। সবচেয়ে বেশী অবাক হয়েছিল মুনের ড্রেসআপ দেখে। জিন্স প্যান্টের সাথে একটা গোলাপি কুরতি। মাথার চুলগুলো ছেড়ে একপাশে ক্লিপ দিয়ে আটকে রেখেছে। চোখে হালকা কাজলে বেশ লাগছে মুনকে। যে মেয়ে ওয়েস্টার্ন ড্রেস ছাড়া অন্য কোন ড্রেস পরতো না সে কিনা কুর্তি পরেছে। শিঁড়ি দিয়ে নিচে নিমে এলো মুন। আর তখনি শুনতে পেলে এক অতিপরিচিত কন্ঠশ্বর। যেটা শুনে জমে যায় মুনের পা।
– মেহরিমা। মেহরিমা খান এখানে?
সামনে তাকাতেই ফারহানকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় মুনের। শীতল কন্ঠে ফারহানের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। এদিকে ফারহান রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিয়েছে। হাতের শিড়া ফুলে উঠেছে তার। উপস্থিত সকলে ফারহানের দিকে প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রওনাকে বলে উঠলো,
– তোরা কি একে অপরকে চিনিস।
ফারহান রওনাকের কথার কোন জবাব না দিয়ে বলল,
– এই বিয়ে হবে না। বাবা তোমার আগেই মেয়ের বাড়ির খোঁজ খবর নেওয়া উচিৎ ছিলো। শুধু মাত্র মেয়ে পছন্দ হয়েছে বলেই তাকে বাড়ির বউ করে নেওয়া যায় না। তার আশেপাশের মানুষগুলো দেখতে হয় জানতে হয়। এই রকম চরিত্রহীন মেয়ে যে বাড়িতে আছে সে বাড়িতে আমার ভাইয়ের বিয়ে হবে না।
আনোয়ার সাহেব মুনকে জিগ্যেস করলেন,
– এসব কি কথা শুনছি মুন?
মুন অশ্রুসিক্ত নয়নে ফারহানের দিকে এক পলক তাকিয়ে মাথা নিচু করে বলল,
– কেউ যদি আমার সম্পর্কে খারাপ কিছু ভেবে থাকে তাহলে আমার কি করার আছে। আমি তো তার ভাবনা বদলাতে পারবো না।
– তোমার থেকে এর চেয়ে ভালো এ্যানসার আশা করা ভুল। জিবনেও শুধরাবে না তুমি। চরিত্রহীন অসভ্য মেয়ে একটা।
কথাগুলো বলেই ফারহান ঘটঘট করতে করতে চলে যায়। মুন নিঃপলক তাকিয়ে থাকে ফারহানের চলে যাওয়ার দিকে।
চলবে,,,,,,
#হৃদমাঝারে- [০১]
#মাহফুজা_আফরিন_শিখা।