মন যাকে চাই পর্ব ৩

#মন_যাকে_চায়
#পর্ব _৩
#সুবর্ণা_আক্তার_জুথি ✍️✍️

বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে ইশিতা। মাঝে মাঝে অবাধ্য হাওয়া এসে চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ইশিতা।মনের ভিতর হাজারো প্রশ্নের ঝড় উঠেছে।
তার সাথে তো এমন হওয়ার কথা ছিল না।

কতো রঙিন ছিল আগের দিন গুলো।

“ক্লাস ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে অনুভবের সাথে দেখা করা, ঘুরতে যাওয়া, আইসক্রিম খাওয়া, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা, চটপটি খাওয়া।”
” আরো কত কি। ”

অনুভবের চা পছন্দ না আর ইশিতার কফি পছন্দ না।

এটা নিয়ে কোন ঝামেলা হয়নি তাদের মাঝে। “কিন্তু এই কথাটা জানার পর অনুভব ইশিতার সাথে কফি সপে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।”

অনুভব বেচারা একদমই ঝাল খেতে পারে না।

“ইশিতার সাথে ফুচকা খেতে গিয়ে নাকের পানি চোখের পানি এক হয়ে যেতো।”

পরে যখন ইশিতা জেনেছিল অনুভব ঝাল খেতে পারে না তখন অনুভব জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিলো।

“অনুভবের বুকে কিল, ঘুষি মেরে বলেছিল আগে কেন তাকে বলেনি?”

তখন অনুভবের উওর শুনে ইশিতা অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল।

“অনুভবের উওর ছিল আমার যতই কষ্ট হোক না কেন তোমার আনন্দের মূহুর্তগুলো তো নষ্ট করতে পারিনা।”

তুমি যদি জানতে আমি এসব ভাজাপোড়া, ঝাল, তেলমশলা যুক্ত খাবার খেতে পারিনা,তাহলে হয়তো তুমিও এসব খাওয়া বাদ দিয়ে দিতে। কিন্তু আমি সেটা চাই না।আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমি আমাকে ভালবাস তাই বলে আমাদের পছন্দ যে এক হতেই হবে এমন কোন কথা নেই।প্রত্যেক মানুষের আলাদা আলাদা পছন্দ থাকতে পারে।একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে দুজনকেই কিছুনা কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়।

তাই বলে তুমি একা স্যাক্রিফাইস করবে?
এখন আমি করছি সুযোগ পেলে তুমি ও করো।

সেদিন ইশিতার মনে হয়েছিল আমি কোনো ভুল মানুষের হাত ধরি নি। আবারো ইশিতার দুচোখ ভরে গেল। তবে সেটা আনন্দের কান্না।

অনুভব ইশিতা কে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলেছিল আমি বেঁচে থাকতে কোন কষ্ট তোমায় ছুঁতে পারবে না। তাই তুমি আজকের পর থেকে আর কাঁদবে না। আমি সবসময় তোমার মুখের মিষ্টি হাসি টা দেখতে চাই আমার ইশু পাগলী।

“ইশু পাগলী নামটা মনে পড়তেই আনমনে ইশিতা হেসে উঠলো।”

_________

কি ব্যাপার ভাবী একা দাঁড়িয়ে কার কথা ভেবে হাসছো ?
লিজার ডাকে ইশিতার ভাবনায় ছেদ পড়ল।

পিছন ফিরে বললো, আরে তুমি কখন এলে?
এইতো এলাম। “তা বললে না যে কার কথা ভেবে হাসছো?”

ইশিতা কে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লিজা এবার বললো থাক আর লজ্জা পেতে হবে আমি জানি তুমি ভাইয়ার কথা ভাবছো।

আরে না তেমন কিছু না।

ও আচ্ছা যে কথাটা বলতে এলাম। সন্ধ্যায় খালামনির কয়েকজন বান্ধবী আসবে।
“তোমাকে খুব সুন্দর করে সেজে তৈরি হতে বললো।”

মায়ের বান্ধবী আসবে তো আমাকে সাজতে হবে কেন?
আরে ভাবী ওরা তো তোমাকে দেখতেই আসবে।
ও আচ্ছা।

এই যা আরেকটা জিনিস তো ভুলেই গেছি!!
“কি ভুলে গেলে?”

“খালামনি তোমার জন্য শাড়ি আর গয়না পাঠিয়েছে সন্ধ্যায় তুমি এগুলোই পরবে বিছানায় রাখা শাড়ি গয়নার দিকে তাকিয়ে বললো লিজা।”

ইশিতার চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক ফুটে উঠল।
মা পাঠিয়েছে এগুলো আমার জন্য। আমার কি যে ভালো লাগছে।

আচ্ছা ভাবী তুমি রেডি হয়ে নাও। ওরা এলে আমি তোমায় ডেকে নিয়ে যাবো।

_________

ইশিতা শাড়িটা নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলো নীলের ওপর সোনালী রঙের কাজ করা জামদানী শাড়ি।যদিও ইশিতা শাড়ি পরা পছন্দ করে না তবুও শাশুড়ি মায়ের কথা ভেবে পরে নিলো।

শাড়িটা পরে আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিল। অনুভবের পছন্দের রং নীল। আমাকে নীল শাড়ি পরতে দেখে ও নিশ্চয় খুব খুশি হবে।

গয়না গুলো খুব ভারী।
এতো গরমের মধ্যে শাড়ি আর ভারী গয়না পরে ইশিতার খুব অস্বস্তি লাগছে।

এসির পাওয়ার বাড়িতে দিয়ে খাটের ওপর বসে পড়লো।

তারপর মোবাইল টা হাতে নিয়ে অনুভবের সাথে কাটানো ক্যামেরাবন্দী মুহূর্ত গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিলো।

_______________

এই গরমে ইশিতা রান্নাঘরে মেহমানদের জন্য চা বানাচ্ছে। সাথে কিছু নাস্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে তাহেরা বেগম।

শাশুড়ির মন পাওয়ার জন্য ইশিতা সব সহ্য করে নিচ্ছে।

লিজা এসে ইশিতা কে টুকটাক সাহায্য করে দিলো।

ইশিতা নাস্তা এনে টেবিলে রেখে সবাইকে সালাম দিল। সবার সাথে কুশলাদি বিনিময় করলো।

অনুভবের ফুপু ইশিতা কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
সবাই ইশিতার বানানো নাস্তার অনেক প্রশংসা করল।

তাদের মধ্যে থেকে একজন বললো তাহেরা তোর বৌমা তো রূপে গুণে সবদিকেই সেরা।
ভাগ্য করে বৌমা পেয়েছিস বলতে হবে।
সবার মুখে ইশিতার প্রশংসা শুনে তাহেরা বেগম হাসলেন।

তাহেরা বেগমের মুখে হাসি দেখে ইশিতার খুব ভালো লাগলো।

মেহমানরা সবাই চলে গেছে।
তাহেরা বেগম ইশিতা কে বললেন গরমের মধ্যে আর এসব পরে থাকতে হবে না ঘরে গিয়ে চেঞ্জ করে নাও।
বাধ্য মেয়ের মত ইশিতা ঘরে চলে গেল।

_________

কিন্তু ইশিতা ঘরে যাওয়ার আগেই লিজা টানতে টানতে ছাদের দরজার সামনে নিয়ে গিয়ে বললো ভাইয়া তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।বলে লিজা দৌড়ে চলে আসলো।

নিচে এসে দেখলো অনুভব ঘরে ঢুকতে যাচ্ছে। লিজা এবার দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলল কি পারফেক্ট টাইমিং ভাইয়া।
মানে….?
কিছু না তুমি আমার সাথে এসো।

লিজা অনুভব কেও ছাদে নিয়ে গেল তারপর ছাদের দরজা বন্ধ করে দিল।

_________

পুরো ছাদ জুড়ে অন্ধকারের ছায়া। চাঁদ হয়তো মেঘের কোলে ঘুমিয়ে আছে। তারাগুলো লুকোচুরি খেলছে।

–হোয়াট দ্যা হেল।
এভাবে অন্ধকারের মধ্যে রেখে যাওয়ার মানে কি?

“অনুভব তুমি এসেছো?”
এই অন্ধকারে ইশিতার কন্ঠ শুনে চমকে উঠলো অনুভব।

ইশিতা তুমি এখানে কি করছো?
আরে আমাকে তো লিজা বললো তুমি নাকি কি জরুরী কথা বলবে।

ও তার মানে এসব লিজার প্ল্যান।
–মানে?

তোমার মতো গাঁধীর মাথায় ওসব ঢুকবে না।
এই খবরদার অনুভব আমাকে একদম গাঁধী বলবে না।
গাঁধী কে গাঁধী বলবো না তো কি বলবো।

আরে তুমি কি বোকা ইশিতা আমি তো বাড়িতেই ছিলাম না তাহলে তুমি লিজার কথা কি করে বিশ্বাস করলে?

ইশিতা বললো সত্যিই তো এই কথাটা তো আমি ভাবিনি।

“আসলে সারাদিন তুমি বাড়িতে ছিলে না তো তাই ভাবলাম সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছো বোধহয়।”
আমার খুব ভয় করছে অনুভব। অন্ধকারে কেউ কারো অবস্থান আন্দাজ করতে পারছে না।

ইশিতা হাতড়ে হাতড়ে অনুভব কে পেয়ে গেল। তারপর হাতটা চেপে ধরে দাঁড়িয়ে রইল।
অনুভবের খুব বিরক্ত লাগছিলো আবার ভালো লাগছিলো। তাই কিছু বললো না।

হঠাৎই ঝলমলে আলোতে ভরে উঠলো ছাদের প্রতিটি কোনা। পুরো ছাদ জুড়ে ফুলের মেলা বসেছে, মাঝখানে একটা টেবিলে খাবার রাখা তার পাশে কয়েকটা মোমবাতি।

আলো আসতেই ঈশিতার দিকে চোখ পড়ল অনুভবের।
ইশিতার মায়াভরা চেহারার দিকে তাকিয়ে অনুভবের চোখ আটকে গেল।

না চাইতেও বলে ফেললো বিউটিফুল।
ইশিতা খুব লজ্জা পেয়ে গেল।

ড্যাম ইট বলে অনুভব টেবিলের কাছে চলে গেল। সেখানে একটা চিরকুট রাখা। সেখানে লেখা আছে,,

“”হ্যাপি ক্যান্ডেল লাইট ডিনার “”

ওয়াও ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। ইশিতা মোমবাতি গুলো জ্বালাতে শুরু করলো। অনুভব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ইশিতা কে দেখছে।

আর কত দেখবে এবার একটু সাহায্য করো।
অনুভব চোখ নামিয়ে নিলো আর পকেট থেকে ফোন বের করে টেপা শুরু করল।

আরে আমি বললাম সাহায্য করতে আর তুমি মোবাইল নিয়ে পড়লে।
কে শোনে কার কথা।

হঠাৎই ইশিতা আহ্ করে শব্দ করলো অনুভব ফোন রেখে দ্রুত ইশিতার কাছে এগিয়ে আসলো।
–কোথায় লেগেছে?
কোথাও লাগেনি। তবে খুব খিদে পেয়েছে প্লিজ তাড়াতাড়ি বসে পড়।

তোমার খিদে পেয়েছে তুমি খাও আমাকে কেন বলছো?
আরে তুমি ভুলে গেলে আঙ্গুল কেটে গেছে।

অনুভবের সকালের ঘটনা মনে পড়ে গেল।
তাহলে চামচ দিয়ে খাও আমি খাইয়ে দিতে পারবোনা।

অনুভব একটা চেয়ার টেনে বসে খাওয়া শুরু করলো।
অনুভবের এমন আচরণে ইশিতা খুব কষ্ট পেলো।
ছাদের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।

ইশিতার জন্য খারাপ লাগছে অনুভবের।ওর কষ্ট হলে আমার এমন লাগছে কেন?
আমি তো চাই ও কষ্ট পাক।
তাহলে এমন কেন হচ্ছে?

দ্রুত আরেকটা প্লেটে খাবার বেড়ে নিয়ে ইশিতার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।

কেউ যদি খেতে চাই তাহলে হাঁ করতে পারে। ইশিতা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে গাল ফুলিয়ে আছে।

অনুভব বললো ঠিক আছে তাহলে আমিই খেয়ে নিচ্ছি।
ইশিতা অনুভবের হাত চেপে ধরলো তারপর হা করলো। অনুভব নিজ হাতে ইশিতা কে খাইয়ে দিল।

____________

“মিলে হো তুম হামকো বড়ে নাসিবোসে,
চুরাইয়া য়ে ম্যেনে কিসমাত কি লাকিনোসে।”

“তেরি মুহাব্বত সে শ্বাসে মিলিহে,
সদা রেহেনা দিল ম্যে কারিবকে।”

“মিলে হো তুম হামকো বড়ে নাসিবোসে,
চুরাইয়া য়ে ম্যেনে কিসমাত কি লাকিনোসে।”

_______________

হঠাৎই মেঘেরা গর্জন করে উঠলো। কারেন্ট বিদায় নিতেই দমকা হাওয়ায় মোমবাতি গুলোকে নিভিয়ে দিল।

বিদ্যুৎ চমকানোর আলোয় অনুভব দেখলো ইশিতা ভয়ে কুঁকড়ে গেছে।ইশিতার হাত ধরলো অনুভব।

মোবাইলে টর্চ অন করতেই বন্ধ হয়ে গেল।
ওহ্ শীট মোবাইলের চার্জ শেষ হওয়ার আর সময় পেলোনা।ভ্রু কুঁচকে বললো অনুভব।

তোমার মোবাইল টা দাও।
আমি তো মোবাইল আনতে ভুলে গেছি।

শুধু বকর বকর করতে পারো তাছাড়া কোন কাজের না।

এ্যা এ্যা……………….

এই একদম চুপ কর। নাহলে কিন্তু এখানে রেখে চলে যাবো।
দরজা তো বাইরে থেকে বন্ধ কি করে যাবে।
ওয়াও অনেক ধন্যবাদ আমাকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হবে জানলে এখানে আসতাম না।
একবার এখান থেকে বের হয় তারপর লিজার ব্যবস্থা করছি। রাগে ফুঁসছে অনুভব।
এমন আবহাওয়া তার মোটেও পছন্দ না।

রাগ করছো কেন অনুভব আমাদের দুজনের তো এমন আবহাওয়া বেশ পছন্দের।
তোমার মনে নেই ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় বৃষ্টি হলেই দুজনে একসাথে ভিজতাম।

নো ওয়ে আমি বৃষ্টির পানিতে ভিজতে পারবোনা।
এসব আমার ডিজগাস্টিং লাগে।

কি বললে তুমি?

আরে বাদ দাও তো এখান থেকে বের হবার উপায় খোঁজ।

এতো অন্ধকারে কি করে খুঁজব।

সাট_আপ চিৎকার করে বললো অনুভব।এই মেয়েটা আমাকে পাগল করে দেবে।

টিপ টিপ করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু হয়ে গেল।

এই ঈশিতা প্লিজ ডু সামথিং।
আমি ভিজতে চাইনা।
কিছু করার নেই চলো দুজনে টেবিলের নিচে বসে পড়ি।

ওকে চলো।

বৃষ্টির গতি বেড়ে গেল।শীতল হাওয়ার ঝাপটায় বৃষ্টির পানিতে দুজনকে ভিজিয়ে দিল।

ইশিতা শীতে কাঁপছে অনুভব গায়ের কোট খুলে পরিয়ে দিলো।

তারপর দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।

___________

প্রায় এক ঘন্টা পর তাহেরা বেগম এসে ছাদের দরজা খুলে দিল।

ততক্ষণে বৃষ্টি অনেকটা কমে গেছে আর কারেন্ট চলে এসেছে।

অনুভব আর ইশিতা গুটিসুটি মেরে টেবিলের নিচে বসে আছে।

তাহেরা বেগম কে আসতে দেখে দুজন টেবিলের নিচে থেকে বেরিয়ে আসলো।

তাহেরা বেগম অনুভবের দিকে একটা ছাতা বাড়িয়ে দিল।

তাহেরা বেগমের পিছু পিছু লিজাও এসেছে। চোখে মুখে অপরাধ বোধ স্পষ্ট।

লিজা এসে ইশিতা কে একটা ছাতা দিয়ে চলে আসলো।
অনুভব ছাতা না নিয়ে লিজার দিকে তাকিয়ে নিচে চলে গেল।
তার পিছু পিছু সবাই চলে গেল।

ঘরে এসে ইশিতা দেখলো অনুভব পুরো ভিজে জবজবে হয়ে গেছে।অথচ সে নিজে খুব একটা ভিজে নি।

একি অনুভব তুমি তো পুরো ভিজে গেছ তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নাও।
কোন কথা না বলে বাথরুমে ঢুকে পড়ল অনুভব।

ইশিতা ও চেঞ্জ করে নিলো।

ফ্রেশ হয়ে এসে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল অনুভব।
ইশিতাও পাশে এসে শুতে যাবে ঠিক তখনই অনুভব বললো তুমি এখানে শুতে পারবে না।

কেন শুতে পারবোনা আমি তো গোসল করেছি আমার গায়ে একটুও নোংরা নেই।

ইশিতার এমন কথা শুনে অনুভব কাঁথার ভেতর থেকে মুখ বের করে হাসতে শুরু করলো।

.
.
.
.
.
.
.

#চলবে

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here