#কহিনুর
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব: ১২
আলো ঝলমলে শীতের দুপুর। ধুসর রঙের অট্টালিকার ভেতরটা মোটেও ধুসর রঙের না সাদা রঙের। কেমন অদ্ভুত সব কিছু। ভেতরে দামিদামি আসবাবপত্রের ছড়াছড়ি। অধরার পাশে আয়াত চুপচাপ বসে আছে। ছেলেটা এদের অতিথি সেবায় মুগ্ধ, যেটা ওর চোখেমুখে প্রকাশ পাচ্ছে। জুবায়ের ওদেরকে বসিয়ে দিয়ে কোথায় একটা ঘাপটি মেরেছে। অধরা অনবরত ঢোক গিলছে। জুবায়েরের দাদুর দৃষ্টিটা কেমন কু-ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেমন জানি অদ্ভুত রকম। লোকটার চোখের পাপড়ি গুলো তুলনামূলক ভাবে বেশ বড় আর সাদা রঙের। সাদা পাঞ্জাবীর সঙ্গে লোকটা সাদা রঙের লুঙ্গি পরেছে। ভদ্রলোক যে বাঙালি সেটা উনার পোশাক দেখে বোঝা যাবে কথা বলার দরকার হবে না। অধরার ধ্যান ভাঙলো ভদ্রলোকের কথা শুনে। চমৎকার করে হেসে বলে উঠলেন,
> দাদুভাই কেমন আছো? আমার শরীর ঠিক ছিল না তাই বাংলাদেশ গিয়েছিলাম তাই তোমার সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ হয়নি। তবে কিন্তু তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে দাদুভাই। কাছ ছাড়া করছি না।
অধরা জোর করে ওষ্ঠে হাসি এনে বলল,
> আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি দাদুভাই। আপনার কথা আমি জানতাম না। জুবায়ের কখনও বলেননি আপনার কথা। আপনাকে আমার থেকে লুকিয়ে রেখেছিল কেনো দাদুভাই?
ভদ্রলোক যেনো কিছুটা ঘাবড়ে গেলেন এমন প্রশ্ন শুনে তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে কাকে একটা ডেকে ওদেরকে ফ্রেস হতে কক্ষে নিয়ে যেতে বললেন। জুবায়েরের একটা ফুপি আম্মা আছেন তার এক ছেলে দুই মেয়ে। সবাই এখানে থাকে। মেয়ে দুটো কথা বলতে পারে কি বুঝতে পারলো না। কারণ এখনো পযর্ন্ত ওদের কোনো কথা শোনা যায়নি। জুবায়ের যে মাঝেমাঝেই গায়েব হয়ে যেতো এটাই তাঁর রহস্য। এখানে এসে থাকতো। অধরা ভাবতো অফিসের কাজ বিজি আছেন। আয়াতকে ফুপির ছেলেটা এসে নিয়ে গেলো। অধরা সেদিকে তাঁকিয়ে একটু টেনশন করলো ছেলেটার আবার কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়। অধরা আসার সময় লুকিয়ে ফোন নিয়ে এসেছে যেটা জুবায়ের জানেনা। অধরা ফোনটা নিজের সঙ্গে সঙ্গে রাখবে। যখনই বিপদের ঈঙ্গিত পাবে পুলিশে ফোন করবে। তাছাড়া শাশুড়ির দেওয়া জিনিসপত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়েছে। খালি হাতে যুদ্ধে নেমে হেরে যাওয়ার মানে হয়না। এবার যা করবে বুদ্ধি দিয়ে। অধরাকে ওর ফুপি শাশুড়ি রুমে নিয়ে গেলো। একটু পরে কাজের মেয়েটা লাগেজ দিয়ে গেলো। বেশ বড়সড় সাজানো গোছানো কক্ষ। দেয়ালে টাঙানো জুবায়েরের বড় একটা ফ্রেম বন্দি ছবি টাঙানো আছে। অধরা আশেপাশে ঘুরে ঘুরে দেখলো। হঠাৎ জুবায়েরের কন্ঠ শুনে ও চমকে উঠে পেছনে তাকালো। জুবায়ের দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
> ম্যামের পদধুলিতে আমার কক্ষটা ধণ্য হলো। এবার বলুন কেমন লাগছে! পছন্দ হয়েছে?
অধরা মুখে হাত রেখে চিন্তিত হয়ে বলল,
> সব ঠিকঠাক, তবে একটাই সমস্যা সেটা হচ্ছে বেলকনি। এখানে কোনো বেলকনি নেই কেনো? মন খারাপ হলে আমি কোথায় গিয়ে কান্নাকাটি করবো? বাইরের দৃশ্য দেখবো কিভাবে? বেলকনির অবদান আমার জীবনে প্রচুর। এই বেলকনি ছিল বলেই না বর আর বরের গার্লফ্রেন্ড রোমান্টিক সিনটা দেখতে পেয়েছিলাম। এই জানতো জঘন্য খারাপ রুম আপনার।
অধরা হাতের টাওয়েল টা জুবায়েরের দিক ছুড়ে দিয়ে বসে পড়ে পড়লো। মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে। জুবায়ের হতভম্ব হয়ে গেছে অধরার কথা শুনে। মান ইজ্জতের ছিটেফোঁটা অবশিষ্ট থাকলো না। কোনরকম মাথা চুলকে বলল,
> সরি আসলে জুহি তখন জোর করছিলো। আমি না করতে পারিনি।
অধরা বিরক্ত হয়ে বলল,
> হয়েছে হয়েছে, সরি বলতে হবে না। জানি প্রেম ট্রেম করলে এসব হয়ে থাকে। আমিও করবো। ইউনিভার্সিটির একটা ছেলে আমাকে পছন্দ করতো। ছেলেটা এখনো সিঙ্গেল। ভাবছি ঝামেলা শেষ হলে ওর সঙ্গে প্রথমে প্রেম করে তারপর বিয়ে করবো। আমি বেশ ক্লান্ত আছি ঘুমাবো।
জুবায়েরের মেজাজ খারাপ হলো। ছেলেদের সঙ্গে কি মেয়েদের তুলনা চলে? জীবনে প্রথমবার ভুল করেছিল তাও আবার বউয়ের চোখের সামনে। জীবনদশাতে কতবার যে খোঁটা শুনতে হবে আল্লাহ্ ভালো জানে। যে যাইহোক যত ইচ্ছা বলুন সমস্যা নেই কিন্তু তাই বলে আরেক ছেলের সঙ্গে বিয়ে করবে আবার চুমুও খাবে এটা অতিরিক্ত। জুবায়ের একদম মানবে না। ও দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
> যা খাওয়ার আমার সঙ্গে খেতে পারো বাইরের লোকদের দরকার কি। ছেলের নাম ঠিকানা দাও। আমি বের হবো। একদম খু*ন করে ফেলবো ।
অধরা বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে হামি ছেড়ে বলল,
> পুরাতন জিনিসের প্রতি আমার আবার আগ্রহ কম। এই জানতো আমি একটু ঘুমাবো। বহুকাজ আছে। বাইরে যাবেন বললেই তো হয়ে যাবে না। এই যে আপনি আর আপনার ভাই টুইন অথচ আপনার সঙ্গে উনার কতো পার্থক্য। উনি রাতে ঘুরাঘুরি করেন দিনে মাটির নিচে।উনার সমস্যাগুলো আপনার হলো না কেনো? দ্রুত খোঁজ নিন। বিষয়টা ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে দরকার হলে ডি এন এ টেস্ট করুন।
জুবায়ের মুখ ভার করলো অধরার কথা শুনে। ও যতই মেয়েটাকে অধিকার দেখিয়ে কথা বলছে মেয়েটা ওকে তত ইগনোর করছে। কাছাকাছি আসার কোনো সুযোগ নেই। মেয়েরা বুঝি এমনিই হয়। ভালোবাসলে মন দিয়ে বাসে আবার ঘৃণা করলে মনেপ্রাণ ভরে ঘৃণা করে। জুবায়ের দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল। চুপচাপ ফ্রেস হয়ে টাওয়েল রেখে বলল,
> আমি যাচ্ছি কোনো দরকার হলে মারিয়াকে বলবে। নিজের বদ বুদ্ধি খরচ করে কিছু করতে যাবে না। তোমাকে নিয়ে আমার চিন্তার শেষ নেই।
অধরা উত্তর দিলো না। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। জুবায়ের হতাশ হলো। কম্বলটা ওর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসলো। এতদিন প্রশ্নটা যে ওর মনে আসেনি এমনটা না। কিন্তু কখনও জানার চেষ্টা করেনি। এবার করতে হবে।
☆☆☆☆
সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে ঘুম ভাঙলো অধরার। দুবার কেউ ডেকেছিল কিন্তু এখন সেটা মনে পড়ছে না। অধরা দ্রুত ফ্রেস হয়ে ট্রি টেবিলে রাখা খাবারটা খেয়ে নিয়ে বেরিয়ে আসলো। লম্বা বারান্দা দিয়ে হাটতে হাটতে সামনে গিয়ে বারান্দার শেষ প্রান্ত দেখতে পেলো। পশ্চিম দিকে জঙ্গলটা দৃশ্যমান। হঠাৎ সাদা পোশাকে একজন লোকটাকে ও জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতে দেখলো। লোকটা চোরের মতো ডানে বামে তাকাচ্ছে। অধরার সন্দেহ হলো তাই ফট করে পেছনের দরজা দিয়ে নেমে আসলো আর লোকটার পিছু নিলো। চারদিকে যে সন্ধ্যা নেমেছে কিছুক্ষণের মধ্যে সূর্যমামা পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে এটা ওর খেয়াল হলো না। জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে গেলো। কিছুদূর এসে লোকটাকে আর পেলো না। দূরে একটা আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। গাছের ফোকর দিয়ে আলো এসে এখানে ওখানে অন্ধকার কেটে আলো তৈরী করছে। অধরার পা চলছে না। মাঝেমধ্যে হোচট খেলো তবুও হাটা থামলো না। আলোর কাছাকাছি আসতেই দেখলো লোকটা হামু হয়ে কিছু একটা খাচ্ছে। অধরা নিজেকে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে ফেলল। লোকটা পেছনে ঘুরে ছিল এবার সামনে ঘুরলো। অধরার চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম। এই লোকটাকে ও ওই বাড়িতে দেখেছিল। সে যাইহোক লোকটার মুখে আর সাদা পোশাকে র*ক্তের ছোপ ছোপ দাঁগ। সামনে কাচা মাংস আর হাড্ডি চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। অধরা দৃশ্যটা দেখে বমি করে ফেলল। কি জঘন্য লাগছে। শীতের মধ্যেও কুলকুল করে ঘামছে। হঠাৎ পেছন থেকে ঠান্ডা একটা হাত ওর কাঁধ স্পর্শ করলো। অধরা কেপে উঠে পেছনে তাঁকিয়ে হতভম্ব। জুবায়ের ওর পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ওর দৃষ্টিও সামনের লোকটার দিকে। হয়তো এরকম অবিশ্বাস্য দৃশ্য বিশ্বাস করতে পারছে না। অধরা কথা বলতে চাইলো কিন্তু তাঁর আগেই জুবায়ের ধুপ করে হাটু ভেঙে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারালো। অধরা বিপদ ভূলে গিয়ে জুবায়েরের পাশে গিয়ে বসে পড়লো। ফিসফিস করে বলল,
> এই যে শুনছেন? কি হলো আপনার? কথা বলুন। আরে ভয় পাচ্ছেন কেনো আমি আছি তো।
অধরা একদমে কথাগুলো বলে থামলো।জুবায়ের কথা বলতে পারলো না। অধরার কান্না পাচ্ছে। কি একটা বর জুটেছে কপালে। সারাক্ষণ খু*ন করবো এটা করবো ওটা করবো ডাইলগ মারে এখন কাজের বেলা ভীমড়ি খেয়ে বিপদ আরও বাড়িয়ে দিলো। মেজাজ খারাপ সঙ্গে টেনশন। কিভাবে একে বাড়িতে নিয়ে যাবে ভাবতেই বুক কাঁপছে। এদিকে আধার নেমে এসেছে। জুবায়েরের মাথা নিজের কোলে নিয়ে কেঁদে ফেলল ভয়ে। বিড়বিড় করলো বর না বর্বর। কোথায় বউকে সাহায্য করবে তানা নিজেই ভয়ে অজ্ঞান হয়েছে। আশেপাশের কোথাও পানি থাকলে ঝামেলা ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ পর জুবায়েরের জ্ঞান ফিরলো। অধরা গাছের ফোকর দিয়ে সামনে তাঁকিয়ে দেখলো সেখানে থাকা লোকটা নেই। এমনকি সেখানে কোনো তাঁর চিহ্ন পযর্ন্ত নেই। জুবায়েরের মাথায় হাত দিয়ে উঠে বসলো। মাথা ভার ভার লাগছে। অধরা ভ্রু কুচকে বলল,
> আপনি ঠিক আছেন?
জুবায়ের ঠোঁট উল্টে বলল,
> সরি আমি এরকম দৃশ্য কখনও দেখিনি । বাসা থেকে তোমার পিছু পিছু এসেছি। কতবার ডাকলাম তুমি শুনলে না। তারপর এখানে এসে দেখি এই দৃশ্য। আসলে হঠাৎ দেখেছি তো তাঁই সহ্য হয়নি। সারাদিন খালি পেটে।
জুবায়ের একদমে কথাগুলো বলে থামলো। অধরা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল,
> এবার থেকে চাপাবাজি কম করবেন। আমি আপনাকে হিরো ভাবতাম এখন দেখি আপনি জিরো। হিরো না হয়ে ভিলেন হতেন তাঁতেও আমি গর্ববোধ করতাম। বাড়িতে চলুন আর একটু হলে লোকটাকে হাতেনাতে ধরতে পারতাম। পরেরবার যদি দেখিনা আমার পিছু নিয়ে ঝামেলা করেছেন তো খু*ন করে ফেলবো। হাঁটতে পারবেন নাকি কোলে নিতে হবে।
জুবায়েরের মুখটা দেখার মতো হলো। কিভাবে কি হয়েছিল কিছুই বুঝতে পারেনি। জীবনে যা কিছু লজ্জাজনক প্রথমবার ঘটছে সবটা বউয়ের সামনে ঘটতে হচ্ছে। আফসোসের শেষ নেই।এমন বেদনা ভরা জীবন নিয়ে সামনে এগোতে হবে কি দুঃখ! জুবায়েরের ধ্যান ভাঙলো অধরার কথা শুনে,
> আসুন কোলে নিচ্ছি। মাটিতে আর কতক্ষণ লুটিয়ে পড়ে থাকবেন?
জুবায়ের দ্রুত উঠে অধরাকে নিজের কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির পথে হাটা ধরলো। অধরা হতভম্ব হয়ে জুবায়েরের কাজকর্ম দেখছে। ভ্রু কুচকে বলল,
> হঠাৎ জ্ঞান হারালেন কেনো বলুন তো? ভয়ে নাকি কোনো রহস্য আছে?
> কিসের রহস্য? কোনো রহস্য নেই। শরীর খারাপ নিয়ে বর তোমাকে কোলে নিয়ে হাঁটছে কোথায় একটু আদর করবে, রোমান্টিক কথাবার্তা বলবে তানা জেরা করছো মেয়ে? আমি সত্যি বলছি জানিনা তখন কি হলো। চোখ আপনা আপনি বন্ধ হয়ে আসলো। তোমার কথা মতো হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আগামীকাল রিপোর্ট আসবে। তাছাড়া একটা ঝামেলা হয়েছে তোমাকে বলার সুযোগ পাইনি। আমার উপরে আবারও আক্রমণ করা হয়েছিল। গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা। তেমন কিছু হয়নি। পায়ে আর হাতে লেগেছে। হাসপাতালে দুঘন্টা অচেতন ছিলাম।
জুবায়েরের কথা শুনে অধরা উতলা হয়ে উঠলো। জোর করে কোল থেকে নামতে চাইলো কিন্তু জুবায়ের নামালো না। অধরা বিরক্ত হয়ে বলল,
> বাচ্চাদের মতো বুদ্ধি নিয়ে আপনি গোয়েন্দা হবেন? বলেছিলাম নিজের খেয়াল রাখবেন কিন্তু না সব উল্টে দিয়েছেন। আগামীকাল থেকে কাছে সব সময় ক্যামেরা রাখবেন। আমি আপনার পোশাকে ক্যামেরা লুকিয়ে দিবো। আর আশেপাশে গার্ড রাখবেন। আপনি তো আমার কথায় শুনছেন না।
> বুঝতে পারিনি হঠাৎ এরকম ঝামেলা হবে। যাইহোক আগামীকাল থেকে সর্তক থাকবো। শুনো রাতে স্টোর রুম চেক করতে হবে। শরীর খারাপ বা ভয় পেলে কিন্তু সব খতম।
> জানিনা আপনাদের স্টোর রুমে আবার কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। নামিয়ে দিন আমি হাঁটতে পারবো। আপনার শরীর খারাপ। সুস্থ হয়ে উঠুন তারপর না হয় আপনার কোলে চড়েই বিশ্ব ভ্রমণে বের হবো। এখন নামবো।
জুবায়ের ওকে নামালো না। পেছনের দরজা দিয়ে কক্ষে ফিরে একে বিছানায় রেখে নিজেও বসে পড়লো। আঘাত পাওয়া জায়গা থেকে র*ক্ত বের হচ্ছে। অধরা সেটা পরিস্কার করে ওষুধ লাগিয়ে দিলো। টেনশন হচ্ছে সামনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে।
(চলবে )
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।