#গ্যাংস্টার
#Sabriha_Sadi (সাদিয়া)
পর্ব : ০৫
।।
ঠিক তিন দিনের মাথায় শুষ্ক কলেজে যায়। প্রিন্সিপাল কে সে বলেই গিয়েছিল।
রানি তখন সামিয়ার সাথে কথা বলছিল,
“রানি তুই এই ভাবে কেন বসে আছিস?”
“তো কলেজের এত লোকের সামনে কি নাচব?”
“না মানে হাসি হাসি মুখে কথা তো বলতে পারিস।”
“তোর মতো পাগল ছাগল আমি?”
“কি?”
“জিজ্ঞাস করলাম তোর মতো কি আমি পাগল ছাগল যে কোনো কারণ ছাড়া বেক্কলের মতো হাসব।”
“এই ভাবে কথা বলছিস কেন?”
“তোর ভাগ্য ভালো এখনো যে তোর ২৪ গোষ্ঠী কে ধুয়ে দেই নি।”
সামিয়া আর কিছু বলে না। চুপ করে যায়। তা না হলে রানির বলা শেষ হবে না।
রানি বসে বসে মাঠের ঘাস উবরাচ্ছিল।
“তুই গরু হয়ে গেলি?”
“হোয়াট ননসেন্স?”
“না মানে কখন থেকে ঘাস উঠাচ্ছিস।”
“এই গুলি ভেজে মোমের ভেতর চিকেনের বদলে দিয়ে তা আবার ভেজে তোর হবু জামাইয়ে খাওয়াব। সাথে তোর গলার উপর উঠে তোকে গিলাব।”
“কি?”
“..
রানি মন খারাপ করে ঘাসে হাত দিতে গিয়ে সামনে তাকাতেই দেখে শুষ্ক কি সুন্দর কলেজের ভেতর আসছে।
রানি আর চিন্তা বা সময় নষ্ট না করে দৌড়ে তার সামনে যায়।
“কোথায় ছিলেন দুদিন?”
রানির কথায় শুষ্ক থেমে একবার তার দিকে তাকায়।
পরে কোনো কথা না বলে হাটতে থাকে। সে ভালো করেই জানে রানি কে কিছু না বললে সে তার সাথে যেতেই থাকবে।
শুষ্ক আপন মনে হাঁটছে। যেতে যেতে সে নিজের রুমে চলে যায়। আর রানি তো তাকে প্রশ্নের উপর প্রশ্নের আবরণে মুড়িয়ে দিচ্ছে। বকবক করতে করতে এটাও তার খেয়াল নেই যে সে রুমের ভেতর চলে এলো।
রানি ভেতরে যেতেই শুষ্ক দরজা বন্ধ করে দেয়।
এবার রানির হুশ ফিরে। ঢুক গিলে বলে,
“আ আপনি দরজা বন্ধ ক করলেন কেন?”
“….
“আ আমি পরে কথা বলব। ক্লাস শুরু হয়ে যাবে আমি যাই।”
রানি তাড়াতাড়ি কথা গুলি বলে দরজার দিকে যেতে চাইলে শুষ্ক তার হাত ধরে পথ আটকে বলে,
“উম উম কোথাও নয়। কোথাও যাওয়া হবে না। এতক্ষণ না ননসেন্সের মতো ননস্টপ বকবক করছিলে? সো এখন প্রশ্ন করো। শাহজাদীর উত্তর দিতে আমি প্রস্তুত।”
“ম মানে?”
“মানে প্রশ্ন করো।”
“ন না আমার তো কোনো প্রশ্ন নেই। আমি যাই।”
রানি আবার যেতে চাইলে রাজ হাত প্রসারিত করে তাকে বাঁধা দেয়।
এবার রানি ভয়কে যায়। ঢুক গিলছে আর ঘনঘন চোখের পাতা ফেলছে। শুষ্ক তার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলে,
“ডো ইউ সাসপেক্ট মি?” (আমাকে তুমি সন্দেহ করছো?)
“ম মানে?”
“তাহলে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন ছুড়ছো কেন?”
“এ এমনি”
“ও রেয়লি? ডোন্ট ইউ সাসপেক্ট মি? বাট আই ক্যান সী দ্যা আবিউস ডাউট ইন ইউর আইস।” (ও সত্যি? তুমি আমাকে সন্দেহ করছো না? কিন্তু আমি তোমার চোখে স্পষ্ট সন্দেহ দেখতে পাচ্ছি।)
“কি কি যা তা বলছেন আমাকে যেতে দিন।”
এবার শুষ্ক রানির কোমর জড়িয়ে টেনে আনে।
“কি কি করছেন? ছাড়ুন আমায়। ছাড়ুন বলছি।”
“কেন জানতে চাইবে না আমার আসল পরিচয়?”
“গুলি মারি আপনার পরিচয়। জান বাঁচানো ফরজ কাজ। ছাড়ুন আমায়।”
রানি শুষ্কের বুকে হাতে কিল চর দিতে থাকে। শুষ্ক মুচকি হেসে রানি কে ছেড়ে দেয়। রানি হুড়মুড়িয়ে একটু দূরে গিয়ে পড়ে।
শুষ্ক তার হাসি টা ভেতরে রেখে বলে,
“ওকে দ্যান ডোন্ট টক এভাউট দিজ এনিমোর।”
“নিজে বাঁচলে বাপের নাম। আর কখনোই বলব না।”
রানি আর দেরি না করে শুষ্কের পাশ কাটিয়ে দৌড়ে দরজা খুলে বের হয়ে যায়।
শুষ্ক মুচকি হেসে হেসে বলে,
“প্রেয়সী ইউ উইল রিম্মেবার ইট এগেইন এন্ড এগেইন।” (প্রেয়সী এটা তুমি বারবার মনে করবে।)
রানি যেতে যেতে ভাবতে থাকে।
“মানুষটার মাঝে সত্যিই কিছু একটা আছে। না হলে কি আর এমন করে? কেনই বা বলল পরিচয় জানার কথা? তবে সত্যিই কি উনি উনার পরিচয় গোপন করছে? না হলে কেন এমন কথা বলবে? নিশ্চয় কোনো গণ্ডগোল আছে। বিষয়টা ছেড়ে দিলে চলবে না। না রাতের ঘুম হারাম করার চেয়ে ঘুটিয়ে দেখা ভালো।”
শুষ্ক দ্বিতীয় ক্লাসে গিয়ে দেখে রানি নেই।
এদিক সেদিক তাকিয়েও তাকে পাওয়া গেল না।
সে সামিয়ার কাছে যায়।
“সামিয়া!”
“জ্বি স্যার।”
“রানি কোথায়?”
“স্যার আপনার সাথে সেই যে গেল তারপর তো আর এলো না।”
“হোয়াট?”
“হুম স্যার এর পর থেকে তাকে আর দেখা যায় নি।”
শুষ্ক ভেবে নিয়েছে, হয়তো ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে।
“ওকে বসো।”
শুষ্ক ক্লাস শেষে বের হয়ে গেল। রানি কে সারা কলেজ খুঁজেও পাওয়া যায়নি। শুষ্কও গটগট করে কলেজ থেকে বের হয়ে এলো।
গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সে চলে যায়।
একটা বিশাল বড় বিল্ডিংয়ের সামনে গাড়ি থামায়। তারপর শুষ্ক বের হয়ে ভেতরে চলে যায়।
রানি গাড়ির পেছনের দরজা একটু খুলে উঁকি দিল। চারপাশ টায় চোখ বুলিয়ে নিল। দেখে মনে হচ্ছে অফিস টফিস।
আসলে সে পেছনে মাল রাখার জায়গায় লুকিয়ে ছিল।
সেখান থেকে একটু বেড়িয়ে নিজেই বলতে থাকে,
“ভাগ্যিস বুদ্ধি টা মাথায় এসেছিল। আর আয়ান টাকেও কি বলে যে ধন্যবাদ দিব। ও না থাকলে তো এখান পর্যন্ত আসতেও পারতাম না। এত আগে এই গুহার মাঝে বসে থাকলে দম আটকে কবেই মরে যেতাম। ওকে বললাম বলেই তো ডেভিল রাক্ষস বের হওয়ার সাথে সাথে আমায় ম্যাসেজ করে জানিয়ে দিয়েছে। আর আমি টুক করে ওখানে বসে গেলাম। ডাইনোসর টা টেরও পায় নি। নিহাত আয়ান আমায় পছন্দ করে না হলে তো বলেই দিত। ইসস ছেলে টা কি কিউট।”
রানি মিষ্টি একটা হাসি দেয়।
আবার বলে,
“এটা তো অফিস। কিন্তু লোক টা এখানে কেন আসল?”
রানি আশপাশ তাকায়। তরপর উপরে তাকিয়ে নাম দেখে খুব বেশি অবাক হয়। অবাক বলতে ধাক্কা খায় সে। বড় বড় ডিজাইন করা লিখা আছে “রাজ কোম্পানি” এখানে এই লোক টা কি করছে?
ভেবে রানির মন আরো জট পাকিয়ে যায়। সন্দেহের মাত্রাও বেড়ে যায়।
রানি ভেতরে যাবে কি যাবে না ভাবতে ভাবতেই দেখে শুষ্ক আসছে প্যান্টের প্যাকেটে হাত দিয়ে। দুই তিন টা লোক তাকে দাঁড়িয়ে আবার সম্মানও দিল। রানি কিছুই বুঝতে পাড়ল না।
সময় নষ্ট না করে দৌড়ে আবার পেছনে গিয়ে বসে পড়ল।
শুষ্ক অনেক স্পিডে গাড়ি ড্রাইভ করছে। মাঝে মাঝে খুব জোরে জোরে ব্রেক নিচ্ছে।
আর রানি ওখানে থেকে থেকে জান তার বেহাল হয়ে গিয়েছে। শুষ্ক কে খুব বকছে।
“আরে হাতির শক্তি কেন দিচ্ছে গাড়ির উপর? এতটা রাক্ষস মানুষ হয় কি করে? নাকি গাড়ি চালাতে যানে না আল্লাহ জানে। আমার কোমর হাড় সব ভেঙ্গে তো শলা হয়ে যাচ্ছে রে। আরে গন্ডার গাড়িও থামাচ্ছে না। নিজের জান নিয়ে পালাতে পারলে বাঁচি। আল্লাহ দয়া করো। আরে গন্ডার রে।”
রানি ঝাঁকি খাচ্ছে আর শুষ্ক কে বকছে।
বেশ সময় নেওয়ার পর গাড়ি থামল। রানি একটু হাফ ছেড়ে বাঁচল। ইচ্ছে করছে এখনি এখান থেকে বের হয়ে যেতে। কিন্তু রাক্ষসের মুখের সামনে যদি পড়ে? তবে তো একদম গিলেই খাবে। তার থেকে না হয় ভালো একটু বসে থাকা যাক। এই ভেবে রানি চুপ করে মুখে হাত দিয়ে বসে আছে।
শুষ্ক গাড়ি পার্ক করে দারোয়ান কে বলল,
“সাইদুল তুই যা তো।”
“কোথায় যাবো স্যার?”
“উমম তুই এক কাজ কর তুই রেস্টুরেন্টে যা। কি কি লাগবে আমি তোকে ফোনে বলে দিব।”
“ঠিক আছে স্যার।”
সাইদুল চলে যায়। শুষ্ক ভেতরে যায়। আসার সময় আমেনা আন্টি কে চলে যেতে বলল। কাল বলেছিল তার মেয়ে অসুস্থ তাই পাঠিয়ে দিয়েছে। সাইদুল কে দিয়েও তো খাবার আনতে বলল। এটা দিয়েই চলে যাবে আজ।
শুষ্ক চাবি আঙ্গুলের ঢগায় ঘুরাতে ঘুরাতে ভেতরে চলে গেল।
রানি দরজা টা উঁচু করে দেখে কেউ নেই। কোনো রকম সেখান থেকে বের হয়ে এলো। বিশাল এক বাড়ি। চারপাশ টা কি সুন্দর। কত গাছ অনেক টা জায়গায় শুধু গাছের কারণে সবুজ।
বিশাল জায়গা জুরে গাছ পালা সুন্দর ফুলের বাগান। সামনে বড় একটা পুল সেখানে কি সুন্দর মাছেরা দৌড়া দৌড়ি করছে। পাশেই ছোট ছোট কিসের গাছ।
বাড়ি তো নয় যেন বিলাসিতায় ভরপুর।
রানি চারপাশ দেখছে আর অবাক হচ্ছে। পুলের কাছে গিয়ে সেখানে হাত দিলে কিছু মাছ তার আঙ্গুল ঠুকরে দেয়।
রানি খিলখিল করে হেসে হাত তুলে নেয়।
তারপর মুখে হাত দিয়ে চারপাশে চোখ বুলায়।
“ভেতরে যাওয়া টা আমার ঠিক হবে? নাকি চলে যাবো? এত টা জায়গা রাক্ষসের ঝাঁকি খেয়ে এসে এমনি চলে যাবো? দূর গিয়ে দেখিই না গুহায় কে আছে?”
কথা গুলি বিড়বিড় করে নিজের সাথে বলেই পা টিপে টিপে রানি ভেতরে গেল।
দরজা টা খুলে ভেতরে যায়।
ভেতরে গিয়ে আরো অবাক হয়। কি সুন্দর করে সাজানো। কত বিলাসবহুল জিনিস। কি সুন্দর ভেতরটা। রানি ঘুরছে আর দেখছে আর অবাক হচ্ছে।
শুষ্ক তখন ওয়াশরুমে শাওয়ার নিচ্ছে লম্বা শাওয়ার নিচ্ছে আর মনে মনে অনেক কিছু ভাবছে।
রানি সব ঘর দেখতে দেখতে কোণার এক রুমে চলে যায়।
শুষ্কের বিশাল এক ছবি দেওয়ালে ঝুলছে। আশেপাশে কত জিনিস। রুম টা বেশ পরিপাটি। বেডে কি সুন্দর সাদা চাদর বিছানো। দেওয়ালও সাদা। সাথে হাল্কা রঙের প্রিন্টিং। রানির ঘর টা খুব পছন্দ হয়েছে।
দেখতে দেখতে রানি বেশ ভেতরে ঢুকে গেছে।
ওয়াশরুম থেকে শাওয়ারের শব্দ টা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দরজা খুলার শব্দে রানি হকচকিয়ে যায়।
তাড়াতাড়ি কোনো দিশা না পেয়ে আলমারি খুলে সেখানে ঢুকে।
শুষ্ক টাওয়াল পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়। ভিজে চুল দিয়ে পানি টুপটুপ করছে। সদ্য গোসল করে আসায় তার শরীরের শুভ্রতা আরো ভেসে আসছে। সামনের চুলের পানি এসে বুক ভিজে যাচ্ছে।
রুমের আশপাশ এক বার দেখে আলমারির কাছে যায়।
আলমারি খুললে রানি গুটিশুটি করে নিচে বসে থাকে। শুষ্কের ভয়ে জড়সড় হয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।
শুষ্ক নিজের কাপড় খুঁজতে লাগে। হেঙ্গার গুলি এদিক ওদিক করতে করতে রানির হাত পেয়ে টেনে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে আসে।
পা দিয়ে আলমারির দরজা টা বন্ধ করে রানি কে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
রানি চোখ বন্ধ করে আছে। যেন এই বুঝি রাক্ষসের করাল গ্রাসে পড়ল। রানি ভয়ে শুষ্কের বুকে মুখ লুকিয়ে আছে।
শুষ্ক অপলক রানি কে দেখছে আর মিটমিট হাসছে।
রানি কিছুক্ষণ বাদে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকায়। শুষ্ক কে এই ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখতে কি করবে সে ভেবে পায় না। তবে খুব ভয় পায় সাথে লজ্জাও। এভাবে কেউ তাকায় নাকি কারো দিকে?
শুকনো ঢুক গিলে শুষ্কের দিকে তাকায়।
শুষ্কের বুক থেকে নিজেকে দূরে নিয়ে আমতাআমতা করতে থাকে,
“আ আসলে আমি না। আসছি।”
রানি দৌড়ে চলে যেতে নিলে শুষ্ক পিছন ফিরেই রানির হাত ধরে তাকে আটকায়। রানি খুব ভয় পেয়ে যায়।
রাজ আবার হেঁচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে আসে রানি কে। কোমড় টেনে আরো কাছে আনে।
“প্রেয়সী দ্যান মাই আইডেন্টিটি কাম দিজ পোয়েন্ট।” (প্রেয়সী তাহলে আমার পরিচয়ের টানে চলেই এলো এখান অবধি।)
“আ আমি আ আসলে..”
“আমার প্রেয়সী।”
“ম মানে?”
“মানে তুমি আমার ভালোবাসা।”
“কি কি সব বলছেন এই সব?”
“কি সব নয় ঠিকি বলছি। আমার পরিচয় জানা এতোই দরকার ছিল বুঝি প্রেয়সী?”
“কি কিসের প পরিচয়?”
শুষ্ক রানি কে ছেড়ে একটু দূরে যায়।
রানি দৌড়ে দরজার কাছে গেলে দরজা আর খুলতে পাড়ে না। শুষ্ক মুচকি হেসে পেছন ফিরেই বলে,
“দ্যা কিংডম ওফ ইউর ড্রিমস দাজ নট হোয়্যাক সো রাউ।” (তোমার স্বপ্নের রাজ এত কাঁচা কাজ করে না।)
মানুষটার কথা শুনে রানি ভীষণ রকম অবাক হয়। ঘনঘন চোখের পাতা নাড়ে।
“রানি লকিং দ্যা ডোর।”
“প্লি প্লিজ দরজা টা খু খুলে দিন প্রোমিজ আর কোনো দিন আসব না। আই প্রোমিজ।”
রানির পেছন দিকে মুখ করে রাখা মানুষটা শান্ত গলায় বলে,
“হোয়াই? ডোন্ট ইউ কাম হার উইদ সো মাচ ট্রাভেল টু ফাইনড আউট মাই রিয়েল আইডেন্টিটি।” (কেন? তুমি না আমার আসল পরিচয় বের করবে বলে এত কষ্ট করে এখানে এলে।)
“ন না আমি আ আসলে আমি কখন এখানে এলাম আমি নিজেই জানি না। কিভাবে এলাম তাও জানি না। প্লিজ দরজা টা আনলক করে দিন আমি বাসায় যাবো।”
রানির দিকে তাকিয়ে মানুষটা শান্ত গলায় বলে,
“প্রেয়সী আমি রাজ। রাজ চৌধুরী। আমিই তোমার সেই স্বপ্নের রাজ যাকে দেখার জন্যে সর্বদা তুমি উদ্বিগ্ন থাকো। আমি তোমার ড্রিমবয়। যাকে সব সময় তুমি স্বপ্নে দেখে আসছো কিন্তু বাস্তবে খুঁজে চলেছো। যার অস্তিত্ব ছিল না তোমার কাছে সেই আমি আজ তোমার নয়নগোচরের দাঁড়িয়ে আছি। যাকে একটা বার দেখার জন্যে তুমি ব্যাকুল হয়ে থাকো আমিই তোমার সেই রাজ।”
রানি রসগোল্লার মতো চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থাকে মানুষটার দিকে।
চলবে….