#গল্পের_নাম_তুমি_যে_আমার
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্ব:৭
ইশরাক সাহেবকে হাসপাতালে এডমিট করা হয়েছে ইলহাম, হেমন্তি, মাহমুদা বেগম আর খালাও সেখানে উপস্থিত আছে।মাহমুদা বেগম নিষ্প্রাণ ভাবে কেবিনের দিকে তাকিয়ে আছে ডাক্তাররা ইশরাক সাহেবকে দেখছে।মাহমুদা বেগম ইলহামের কাছে গিয়ে বললেন,
~ইলহাম,পুলিশ কে বল চলে যেতে উনি যখন ঠিক হবে তখন এসে নিয়ে যেতে বলিস।
ইলহাম মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
~এটা সম্ভব না মা পুলিশ এখানেই থাকবে কারণ বাবা একজন আ/সা/মী তার নামে এখন নানান মামলা তাকে এখানে রাখা হবে যে পর্যন্ত সে সুস্থ না হয়ে উঠে।
মাহমুদা বেগম চোখের জল মুছে বললেন,
~তাই যাতে হয় মানুষটা যতোই খারাপ হোক না কেন আমার তো স্বামী তাই মন কাঁদে।
ইলহাম দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আর হেমন্তির দিকে তাকিয়ে বললো,
~মাকে নিয়ে তোমরা বাসায় যাও।
হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আমার অনেক প্রশ্ন আছে ইলহাম যার উত্তর আপনাকে দিতে হবে।
ইলহাম মৃদ্যু হেসে বললো,
~সব প্রশ্নের উত্তর দিবো হেমন্তি এখন বাসায় যাও।
হেমন্তি আর খালা মাহমুদা বেগমকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।হেমন্তি ভাবনা এখন ইলহামকে ঘিরে নিজ বাবাকে সে সবার সামনে অ/প/রা/ধী প্রমাণ করেছে যদি সে এসবের জড়িত থাকে তাহলে তো ইলহাম এসব ঘটনা আর ঘাটতো না।তাহলে কী ইলহাম নির্দোষ এসবের কিছুই সে কী জানে না? বিয়ের দিন কী তাকেও ইশরাক সাহেব কিছু করেছিলো?হেমন্তির মাথা ধরে যাচ্ছে এসব ভেবে এতো প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরছে। হেমন্তি মাহমুদা বেগমকে রুমে দিয়ে এসে নিজ রুমে এসে পরলো বিছানায় বসে মাথা চে/পে ধরলো সে।
আবির,হাসান সাহেব,রুমকি বেগম টিভির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইশরাক সাহেবের সকল তথ্য আজ ফাঁ/স হয়ে গেছে সেই সাথে হাসান সাহেবের ওপর থেকে সব মামলা সরে গেছে।হাসান সাহেব চোখের চশমা খুলে চোখের পানি মুছে বললেন,
~আজ আমার মন থেকে অনেক বড় পাথর নেমে গেলো জীবনের শেষ সময়ে এসে এভাবে অপমান হতে হবে তা জানতাম না।
আবির বাবার কাঁধে হাত রেখে বললো,
~বাবা এসব কীভাবে হলো?
হাসান সাহেব বললেন,
~আমি জানি এসব কে করেছে?
বাবার দিকে সে অবাক নয়নে তাকালে আবির বললো,
~কে বাবা?
হাসান সাহেব বললেন,
~ইলহাম।
নামটা শুনে আবির আর রুমকি বেগম বি/ষ্ফো/রিত নয়নে তাকালো হাসান সাহেব কিছু না বলে নিজ রুমে চলে গেলো।
ইশরাক সাহেব হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে ইলহাম কেবিনে প্রবেশ করলো ইশরাক সাহেব কারো উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুলে ইলহামকে দেখতে পেলেন।ইলহাম ইশরাক সাহেবের সামনে দাড়িয়ে বললো,
~এসব নাটক করে পুলিশকে বোকা বানাতে পারবেন আমাকে না।
ইশরাক সাহেব কিছু না বলে উঠে বসলেন আর বললেন,
~সব যেহেতু জানো তাহলে যাও পুলিশকে গিয়ে বলো।
ইলহাম বললো,
~তাই তো করবো আপনার সব টেস্ট আমার পরিচিত ডাক্তার করবে আবার শুধু ২দিনের ব্যাপার তারপর সেই জে/লে থাকবেন আপনি।
ইশরাক সাহেব বললেন,
~এতো বুঝো আমাকে আর এটা বুঝো না যে ২দিনে অনেক কিছু হয়ে যাবে।
ইলহাম বললো,
~আপনি আমার বাবা তা ভাবতেও আমার ঘৃনা লাগে।
ইশরাক সাহেব বললেন,
~তা লাগা স্বাভাবিক এই কথাটা আমার বাবাও বলতো আমি তার ছেলে এটা ভাবতে তার ঘৃনা লাগতো তাইতো সুন্দর করে।সরিয়ে দিয়েছি।
ইলহাম অবাক চোখে তাকিয়ে বললো,
~আপনি দাদাকে মে/রে/ছে/ন?দাদা তো ছাদ থেকে পরে।
ইলহামের কথা শেষ হওয়ার আগেই ইশরাক সাহেব আঙ্গুল নাড়িয়ে বললেন,
~আমি ধাক্কা দিয়েছি।
ইলহাম এক কদম পিছনে চলে গেলো এসব তার বিশ্বাস হচ্ছেনা।ইলহাম কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,
~সব প্রমাণ করবো আমি সব প্রমাণ করবো।
বলেই সে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো ইশরাক সাহেব ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলেন আর মনে মনে বললেন,
~দুদিন পর আমি ফুর হয়ে যাবো।
ইলহাম বি/ধ্ব/স্ত অবস্থায় বাসায় পৌছে কলিংবেল টিপলো হেমন্তি দরজা খুলতেই ইলহাম তার দিকে তাকালো।হেমন্তি ইলহামের চোখের দিকে তাকিয়ে ঘাবড়ে গেলো এতো লাল চোখ সে আগে কখনো দেখেনি।হেমন্তি সরে দাড়ালো ইলহাম ভিতরে ঢুকে পরলো সোফায় ধপ করে বসে জুতো জোড়া খুলে দুহাত দিয়ে মাথা চে/পে ধরলো।হেমন্তি ইলহামের কাছে গিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে তার কাঁধে হাত রাখলো।ইলহাম মাথা ছেড়ে দিয়ে হেমন্তির দিকে মুখ তুলে তাকালো হেমন্তি ইলহামের অসহায় মুখ দেখে কিছুই বলতে পারছেনা।তখনি ইলহাম হেমন্তির হাত ধরে বললো,
~আমি তোমাকে কোনো ধোঁকা দেইনি হেমন্তি বিশ্বাস করো কোনো ধোঁকা দেইনি।
চলবে
(বিদ্র:কেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰। Happy Reading🤗🤗)