তুমি যে আমার পর্ব -০৬

#গল্পের_নাম_তুমি_যে_আমার
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্ব:৬

সকালে হেমন্তি নাস্তা শেষ করে যেই না নিজ রুমের দিকে যেতে নিবে তখনই কলিংবেল বেজে উঠলো।হেমন্তি আশেপাশে কাউকে না দেখে দরজার কাছে চলে যায় এরপর দরজা খুলে দিতেই তার সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে অবাক আর খুশি দুটি অনুভূতিই তার মাঝে কাজ করতে থাকে।যার ফলে হেমন্তির চোখে পানি চলে আসে কারণ তার সামনে তারই বাবা দাড়িয়ে আছে।হাসান সাহেব মেয়েকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে বললেন,

~মা,কেমন আছিস তুই?

হেমন্তি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না বাবার বুকে মাথা রেখে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো হাসান সাহেব মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন তার চোখের কোণ বেয়েও পানি পরছে।বাহিরে শব্দ পেয়ে মাহমুদা বেগম আর খালা দুজনই বের হয়ে আসলেন বাহিরে এসে বাবা মেয়ের দৃশ্য দেখে তাদেরও চোখ ভরে আসলো।হেমন্তি তার বাবাকে ছেড়ে দিয়ে বললো,

~তুমি এখানে কীভাবে আসলে বাবা?আর ভাইয়া কোথায়?

হাসান সাহেব কিছু বলবেন তার আগেই ইলহাম সেখানে হাজির হয়ে বলে উঠলো,

~তোমার বাবাকে আমি এখানে এনেছি।

ইলহামের কন্ঠস্বর শুনে হেমন্তি তার দিকে তাকালো হাসান সাহেব বললেন,

~আমাকে ইলহাম এনেছে।

ইলহাম হেমন্তিকে উদ্দেশ্য করে বললো,

~বাহিরেই দাড় করিয়ে রাখবে নাকি ভিতরে আসতে বলবে।

হেমন্তি ইলহামের কথা শুনে দরজা থেকে সরে গেলো হাসান সাহেব আর ইলহাম বাসায় প্রবেশ করলো মাহমুদা বেগম হাসান সাহেবের সাথে কুশলাদি করে খালাকে নিয়ে চলে গেলেন রান্নাঘরে নাস্তার আয়োজন করতে।হেমন্তি বাবার পাশে বসে বললো,

~তুমি কী আমায় আজ নিয়ে যাবে বাবা?

হেমন্তির কথা শুনে হাসান সাহেব দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,

~এখন এটা সম্ভব না মা এভাবেই একটা কে/সে/র কারণে আমরা ভু/গ/ছি কিছুদিন পর অবশ্যই নিয়ে যাবো।

ইলহাম বললো,

~আঙ্কেল আপনার সাথে আমার অনেক জরুরি কথা আছে।

হাসান সাহেব গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলেন,

~তোমার সাথে আমার কথা নেই কিছুদিন পর আমি আমার মেয়েকে এখান থেকে নিয়ে যাবো।

ইলহাম মৃদু হেসে বললো,

~আমার ইচ্ছা ছাড়া তা সম্ভব না এখন এসব রাখেন সাইডে আপনি প্লিজ আমার রুমে চলুন আর হেমন্তি মাকে বলো নাস্তা ঘরে দিয়ে যেতে।

হাসান সাহেব আর কোনো কথা না বলে ইলহামের সাথে তার রুমে চলে গেলো।ইলহাম নিজ ল্যাপটপটা খুলে কিছু ছবি বের করে হাসান সাহেবের সামনে রাখলো হাসান সাহেব ছবিগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখে বললেন,

~তোমার বাবার ছবি আমাকে কেন দেখাচ্ছো?

ইলহাম বললো,

~তার সাথের মানুষটাকে দেখেন?

হাসান সাহেব মনোযোগ দিয়ে দেখে ভ্রুকুচকে বললেন,

~এতো আকরাম সে তো অনেক অ/বৈ/ধ ব্যবসার সাথে জড়িত আমাকে বলেছিলো কিন্তু আমি এসবে যাইনি।

ইলহাম বললো,

~ওনার সাথে হাত মিলিয়েই আপনার বিরুদ্ধে এসব কাজ করেছে।

হাসান সাহেব বললেন,

~এসব তো তুমি আগে থেকেই জানো তাহলে আমাকে দেখাচ্ছো কেন?

ইলহাম চেয়ারে বসে বললো,

~কারণ আছে আচ্ছা আপনি কী জানেন এই আকরাম সাহেবে কোন কোন অ/বৈ/ধ কাজের সাথে জড়িত?

হাসান সাহেব বললেন,

~এসব আমি জানিনা।

ইলহাম হাসান সাহেবের হাত ধরে বললো,

~আপনার সাথে যেসব অ/ন্যা/য় হয়েছে তা মাসুল করার সময় হয়ে গেছে।

হাসান সাহেব ইলহামের কথা শুনে অবাক হলো সে ইলহাম থেকে হাত ছাড়িয়ে বললেন,

~আমি এখন বাসায় যাবো।

বলেই সে উঠে দাড়ালো তখনই মাহমুদা বেগম নাস্তা নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো। হাসান সাহেব তা দেখে বললেন,

~আমি কিছুই খাবো না।

মাহমুদা বেগম বললেন,

~খেয়ে যান ভাইসাহেব আপনার মেয়ে নিজ হাতে তৈরি করেছে।

হেমন্তির কথা শুনে হাসান সাহেব আর মানা করতে পারলেন না নাস্তা করে হেমন্তির থেকে বিদায় নিয়ে ইলহামের সাথে বের হয়ে আসলেন বাসা থেকে।আবির বাবার জন্য চিন্তিত হয়ে আছে আবির মনে মনে বলছে,

~বাবা,এতো সকালে কোথায় যেতে পারে?

তখনই হাসান সাহেব দরজায় কড়া নাড়লেন আবির দরজা খুলে বাবাকে দেখে বললো,

~কোথায় গিয়েছিলে বাবা?

হাসান সাহেব বললেন,

~একটু হাঁটতে।

বলেই সে নিজ রুমে চলে গেলো আবির বাবার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো তার মনে নানান কথার ঝড় উঠেছে।
ইশরাক সাহেবের মাথা গরম হয়ে আছে তার সকল অ/বৈ/ধ ব্যবসার ইনফরমেশন পুলিশের কাছে পৌছে গেছে একবার যদি এই প্রমাণ পেয়ে যায় এসবে তার নাম আছে তাহলে তার সবকিছু ধ্বং/স হয়ে যাবে এটা ভাবতেই ইশরাক সাহেবের গলা শুকিয়ে আসতে লাগলো।তখনই কাজের লোক তার দরজার সামনে এসে বললো,

~স্যার,নিচে পুলিশ আইছে।

পুলিশ শব্দ শুনেই ইশরাক সাহেব থরথর করে কাঁপতে লাগলেন সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়াতেই সে মাথা ঘুরে ফ্লোরে পরে গেলেন।কাজের লোকটি চিৎকার দিয়ে বললো,

~স্যার আপনার কী হইসে?

তার চিৎকার শুনে পুলিশ ওপরে চলে আসলো ইশরাক সাহেবকে এভাবে পরে থাকতে দেখে তারা অতিদ্রুত ডাক্তার আর ইলহামকে ফোন করলো

চলবে

(বিদ্র:কেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here