#What_a_হাসবেন্ড
#Tamanna_Tabassum(লেখনীতে)
#পর্ব-১৭+১৮
সকাল থেকে খেটে যাচ্ছি এখনো আমাকে কিছু খেতে দিচ্ছেন না শেষ পর্যন্ত শ্বাশুড়ির কাছে গেলাম। শ্বাশুড়ি শ্বশুরের সাথে কথা বলছিলেন। আমাকে দেখে রুমের ভেতরে যেতে বললেন। আমি গিয়ে চিল্লায় বললাম,
-‘ আপনার ছেলে আমাকে জ্বালাইতেছে জানেন। ঝা’ড়ু দিতে বলছে তো ঝা’ড়ু দিলাম। ঘর মুছতে বলছে তো ঘর মুছলাম। বাথরুমটা পর্যন্ত ধোয়াইলো৷ ঠিকাছে আমি ধুলাম। এখন বলছি আসার সময় যেন আমার জন্য ফুল নিয়ে আসে, কিন্তু সে বলল আনবে না। আচ্ছা মানলাম সে আনবে না। সে আনতে চায় না। এটা সোজাভাবে বললেই হতো। কিন্তু উনি কী করেছে জানেন? উনি বলছে আমার নাকি আলু আনবেন। আমি শিকার করছি যে আমি আলু খাই। হ্যাঁ একটু বেশিই খাই তাই বলে উনি সারাদিন আলু আলু করবেন? বলছি, চলেন আমরা কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি। এটা বলায় বললেন আচ্ছা, চলো দুজনে আলুর দোকানে যাই। আলু কিনে এরপর আলু খাবো। তুমি আমি সারাদিন আলু খেয়ে আলুর মতো হয়ে যাবো। দেখেছেন আপনারা? আমি একটু স্বাস্থবতী বলে আমাকে আলু বলছে ইন্ডাইরেক্টলি! ‘
আমার কথায় আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ভীষণ অবাক হলো। আমার শ্বশুর কিছুক্ষণ থম মে’রে বসে থাকলেন। এরপর শুয়ে পড়লেন। আমার শ্বাশুড়ি কিছু বলতে যাবেন তখনই পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলো,’ ইন্ডাইরেক্টলি কই? আমি তো তোমাকে ডাইরেক্টলি আলু বলি। আমার গুলুমুলু আলু বউ ☺️ ‘
শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে বললাম,’ দেখেছেন? দেখেছেন আপনার ছেলে আপনার সামনে কীভাবে আমাকে অপ’মান করলো ‘
উনি বললেন, ‘ অপ’মান? কোথায়? আমি তো জাস্ট সত্যি টা বললাম। ‘
-‘ শ্বাশুড়ি! কিছু বলবেন? ‘
আমার শ্বাশুড়ি ডাক শুনে আমার শ্বাশুড়ি ভর’কে গেলো। আমার দিকে বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে উনি। আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘ আম্মু আরকি! ভুলে বের হয়ে গেছে ওইটা। যাই – হোক ভুল কিছু তো বলি নি। আপনি সত্যিই আমার শ্বাশুড়ি! তাইনা শ্বাশুড়ি? ‘
উনি চিল্লিয়ে বললেন, ‘ আম্মু দেখছো? তোমাকে শ্বাশুড়ি ডাকতেছে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ ‘
-‘ ওনার কথা একদম বিশ্বাস করবেন না। গি’রি’ঙ্গি লাগাইতেছে আপনার আর আমার মধ্যে ‘
-‘ থাক! আমার নামে আর কিছু বলা লাগবে না। আসো আমি আলু কিনে নিজের হাতে তোমার জন্য আলুভাজি করবো ‘ ( আমার গাল ধরে)
-‘ ল’জ্জা করে না নিজের মা বাবার সামনে বউয়ের গাল ধরে গুলুগুলু করতে?’
-‘ তোমার ল’জ্জা করে না নিজের শ্বশুর শ্বাশুড়ির কাছে জামাইয়ের বিচার দিতে ‘
-‘ না করে না। অ’ন্যা’য় যখন করেছেন শাস্তি তো পেতেই হবে। ‘
-‘ আমারও করে না। আলুবউকে আলু বউ বলেছি। সত্য কথা বলেছি। সত্য বলতে আমি পছন্দ করি। ‘
আমি শ্বাশুড়ির দিকে তাকালাম শ্বাশুড়ি কিছুই বলছে না। আমি ওনার কাছে এসেছিলাম সুবিচারের জন্য! আর উনিই কিনা চুপ করে আছে? আমি শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করলাম, ‘ শ্বাশুড়ি আম্মু আপনি কী কিছুই বলবেন না? একবারেই না?’
উনি হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘ চাল কে কখনো চালতা হতে দেখেছো?’
আমি অবাক হলাম। ভাবলাম বয়স হয়েছে তাই হয়তো মাথাটা গু’লিয়ে ফেলেছে। বিচার করার বদলে খাওয়ার কথা বলছেন। শ্বশুরের দিকে তাকাতেই দেখলাম উনি ঘুমুচ্ছেন। এতো চিল্লাচিল্লিতেও মানুষ ঘুমাতে পারে? এতো শান্তি পায় কই থেকে? প্রচন্ড হতাশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে যাবো তখনই শ্বাশুড়ির কন্ঠ শুনলাম,
-‘ তুমি আমার কথা বোঝো নি মনে হয় ‘
ফিরে তাকালাম শ্বাশুড়ির এমন কথা শুনে। আমি ঠোঁট উলটে মাথা নাড়ালাম যার অর্থ আসলেই বুঝিনি। উনি বললেন, ‘ কয়লা ধুলে ময়লা যায় না এটা জানো? অর্থ বোঝো? ‘
খুশিতে চোখমুখ আমার জ্বলজ্বল করে উঠলো। এর অর্থ আমি বুঝি 🥹। স্কুলে কত ভাব-সম্প্রসারন লিখেছি এই নিয়ে। আমার থেকে বেশি এই কথার অর্থ কে বোঝে? আমাকে মাথা নাড়াতে শ্বাশুড়ি বললেন, যদি বুঝে থাকো তাহলে শোনো এর নামে যতোই বিচার দাও, যতো কিছুই করো না কেন। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন দেখবে না। কখনো না। এর বাপ যেমন বেটাও তেমন। আমি দেখেছি। আমি যখন রাগ করে না খেয়ে থাকতাম তখন উনি আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ভালো ভালো খাবার খেতেন। অফিস থেকে এসে খেতে চাইলে বলতাম রান্না করি নি। উনি কোথা থেকে যেনো একটা প্যাকেট বের করে খেতে শুরু করতেন তাও আবার আমার সামনে আমাকে দেখিয়ে। যেদিন সকালে ঝ’গ’ড়া করে যেতো সেদিন বাহির থেকে হাল্কা পাতলা খেয়ে আসতো যেন ঘরে রান্না না হলে তার সমস্যা না হয়। এইটা জানার পর কতদিন কথা বলিনি। কই? বউয়ের একটু রাগ ভাঙ্গাবে তা না সে তার খা’টা’সগিরি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এরপর বুঝলাম রান্না বন্ধ করে কাজ নেই তাই রান্না করতাম কিন্তু আমি খেতাম না। ভাবলাম বউ খায়নাই এনার কষ্ট হবে। নিজে থেকে সরি বলবে। কিন্তু না! উনি উলটা আমার ভাগের খাবারও খেয়ে রাখতো। আমার শ্বাশুড়ি যা বকতো যা মা’রতাও ইয়া আল্লাহ! এতো বকা মা’ই’র তো সে কোনোদিন স্কুলেও খায় নাই। কিন্তু সত্যি কথা কী জানো? সে মা’ই’র খেয়ে হে হে করে হাসতো। হাসি কাকে বলে! পাশের বাসার ভাবিরা পর্যন্ত অশ্চর্য হয়ে যেতো। আমাদের জিজ্ঞেস করতো কী হয়েছে। আমার শ্বাশুড়ি ব্যাপার টা ধামাচাপা দিয়ে দিতেন। ছেলে যে এমন পাগ’ল সে কথা লোকে জানলে কী বলবে? কত বলছি ডিভোর্স দিয়ে দিবো। ওমা সে ডিভোর্স নিয়েও করে ফা’জ’লা’মি! শেষে ডিভোর্সের উপরই বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, আর আমাদের ডিভোর্স হয় নি। ‘
শ্বাশুড়ির জীবনি শুনে হাসবো নাকি কাদবো বুঝতে পারলাম না। আমি পৃথিবীর সমস্ত রিয়েক্ট ভুলে গেলাম। শ্বশুরের দিকে তাকায় আছি আর ভাবতেছি এই ভদ্র, সহজ সরল মানুষটাও এমন? জোয়ান কালে হয়তো আমার ওনার মতো ছিলো শ্বশুর তাইতো শ্বাশুড়ির এতাও ক্ষোভ মনে। বুড়া হয়ে এখন ভদ্র হয়ে গেছে বোধহয়। হঠাৎ মাথায় আসলো ওনার কথা। তারমানে কী উনিও বুড়া হয়ে এরপর ভদ্র হবে? হায় হায়! আগে জানলে এরে তো বিয়ে করতামই না জীবনেও। হতাশ দৃষ্টি ওনার দিকে নিক্ষে’প করতেই উনি ভ’য়ং’ক’র রকমের একটা দাঁত কেলানি দিলো। ওনার দাঁত কেলানি দেখে আমার হতাশা ‘ oh my god ‘ বলে চলে গেলো। রুম থেকে চলে আসবো তখনই আমার শ্বশুরের কন্ঠ শুনলাম। ওনার কথা শুনে আমি থমকে গেলাম। ওনার কথা শুনে আমার শ্বাশুড়ি হুং’কার দিয়ে উঠলো। আমার শ্বশুর শান্তকন্ঠে বি’ষ ছু’ড়ে যাচ্ছে আর আমার শ্বাশুড়ি খইয়ের মতো ভুট্টার মতো লাফিয়ে উঠছেন। আমার শ্বশুর বলেছিলেন, ‘ এতোগুলো বছর শুধু ডিভোর্সের হু’মকিই দিয়ে গেলো, ডিভোর্স টা আর দিলো না। আফসোস! ‘
আমার শ্বাশুড়ি চিল্লায় বললেন, ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ না দিয়ে অনেল বড় ভুল করে ফেলেছি। দেওয়া উচিৎ ছিলো। ‘
-‘ ডিভোর্স টা দিয়া দিলে আরেকটা সুন্দর দেখে…… শ্বশুরের কথা শেষ হতে না হতেই শ্বাশুড়ি চিল্লায় বলল,’ ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছেলের সামনে ছেলের বউয়ের সামনে এইসব বলতে লজ্জা করে না তোমার?’
-‘ ছেলের বউয়ের সামনে অতীতের কথা বলতে তোমার লজ্জা করলো না?’
-‘ নিজের মতো যে ছেলে টা হয়েছে। সারাটাদিন খালি কেলাইতে থাকে, আর বউরে আলু আলু বলতে থাকে সেদিকে খেয়াল নাই? ‘
-‘ ওর বউ ও যেটা ইচ্ছা ডাকুক। হাসব্যান্ড তার ওয়াইফকে ভালোবেসে যেকোনো নামেই ডাকতে পারে যেমন আমি তোমাকে ফুলটুসি ডাকতাম, আবার বিউটিবেগম ডাকতাম আবার…….
-‘ ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ শত শত ছিঃ হাজার হাজার ছিঃ লজ্জাশরমের বালাই নাই, একেবারে নাই ‘
-‘ হ্যাঁ হ্যাঁ নাই নাই ভালো ভালো ‘
-‘ হৃদয় তুই তোর বাপরে কিছু বলবি?’
-‘ হৃদু তুই তোর বউ নিয়ে যা। ওর সাথে ফাজলামি করিস না। আমার বউমাটা অনেক ভালো। মিলেমিশে থাকবি। ‘
-‘ বলে যা তোর বাপকে কিছু ‘
-‘ ওরেএ হৃদুউউউউ পা’গ’লের কথায় কান দিস না। ‘
আমার শ্বাশুড়ি টেবিলের উপরের গ্লাসটা ফেলে দিয়ে চিৎকার শুরু করে দিলো। রাগ উঠে গেছে প্রচন্ড। গ্লাস, ড্রেসিং টেবিলের উপরে থাকা সমস্ত জীনিস মেঝেতে ফেলে বিছানায় গিয়ে বসে কাঁদতে লাগলেন। ভদ্রতার খাতিরে ভাবলাম তারে শান্তনা দিবো। তখনই শ্বশুর ওনার উদ্দেশ্য করে বলল, হৃদু নিয়ে যা তারাতাড়ি। বউমা খা’রা’প জীনিস শিখে ফেলতেছে।
শ্বাশুড়ি আবার হুংকার দিয়ে উঠলেন। আমি আশেপাশে তাকায় দেখি রুমের অবস্থা মা’রা’ত্ম’ক খা’রা’প এখানে ছোটখাটো একটা সাইক্লোন হয়ে গেছে। শ্বাশুড়ি ওনার কাছে কার দোষ জিজ্ঞেস করতেছে। আর উনি আমার দিকে তাকায় আছে। না পারতেছি হাসতে না পারতেছি এইখান থেকে যাইতে। দোষ তো আমার! আমিই আসছিলাম ওনাদের কাছে বিচার চাইতে। এখন এই হাল হবে কে জানতো? আমি জানলে জীবিনেও আসতাম না। দূরে আমার ননদ দাঁড়ায় দাঁড়ায় হাসতেছে। আমার জামাই তো জামাই-ই মাঝেমধ্যে মনে হয় জামাইয়ের মতো একটা জামাই পাইছি। ওয়াহ! এক্কেরে!
ঘরের মধ্যে কিছু একটা হইলে সবাই আইসা হাজির হয়। ননদ, শ্বশুর শ্বাশুড়ি জামাই মাঝেমধ্যে দূরে কারেন্টের তারে বসে থাকা কাকটারেও বলতে মন চায় ‘ ভাই তুই আয়। আইসা দেইখা যা ‘ দূরা থাকা কু’তা’বা’সা ডারেও বলতে মনে চায় ‘ আয় রে! একটু দেইখা যা। তুই বাকি থাকবি কেন? আয় ‘
সবার দিকে তাকাইয়া আমি আইসা পড়লাম। আমার আর কিছু বলার নাই। আর কিছু বলতেও চাই না। শুনতেও চাই না। আর বিচার? কবেই ছাই’ড়া দিসি এইসব 🙂…..
_____________________________
জানালার দিকে তাকালেই খোলা আকাশটাকে দেখা যায়। আর রুমের ভেতর তাকাইলে আমার ওনাকে দেখা যায়। আয়নায় তাকাইলে আমাকে। তাকায় আছি আর ভাবতেছি এরা বংশপরম্পরায় এমন হইছে। ভাবছিলাম বুড়া হইলে সব ঠিক হয়ে যাবে, ওমা!শ্বশুরকে দেইখা ভাবাভাবি চলে গেছে। সবই এক।
-‘ আমার দিকে এভাবে তাকিয়ো না নজর লেগে যাবে। কপালে টিপ নেই যে! ‘
আমি অবাক হলাম। আমাকে আরও অবাক করে উনি গাইতে লাগলেন,
” আমি রুপনগরের রাজকুমার রুপের জাদু এনেছি ”
হাসা উচিৎ নাকি কাদা উচিৎ ভুলে গেলাম। আমি রিয়েক্ট করতে ভুলে গেছি। একেবারেই! আমাকে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে উনি বললেন,
-‘ কী গো আলুবউ কী ভাবো?’
-‘ কিছু না ভাই। ম’ইরা যাইতে মন চাইতাছে ‘
-‘ ওমা কেন? এমনিই ‘
-‘ আলু খাবা?’
-‘ আপনিই খান ‘
-‘ না না তুমিও আসো! একসাথে খাই ‘
-‘ না থাক ‘
-‘ প্লিজ আসো’
ওনার ইত’রামি দিন দিন বাইড়া যাইতেছে। আমি উঠলাম। ধামধাম করে ওনার কাছে গেলাম। উনি সোফায় বসে ছিলেন। আমি ওনার উপ বসে কোরিয়ান মুভির মতো একটা কিস করে দিলাম। সত্যি বলতে আমার এমন কাজে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। এইটা কী করলাম আমি? উনি তো আরও অবাক হয়েছেন। উঠতে গিয়ে পা পিছলে আবারও ওনার উপর পড়ে গেলাম। লজ্জা কাকে বলে! এখানেই আমার ম’রে যাওয়া উচিৎ! ম’রছি না কেন? হায় রেএএএ আমি শেষ! একদম শেষ! পুরাই শেষ!
______________________
খাটের একেবারে কোণায় শুয়ে আছি। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছি ওনার কাছে আর যাবো না। এ জীবনে প্রচুর লজ্জা পেয়েছি। চিংড়ি মাছ পর্যন্ত হয়েছি। আর হতে চাই না। গুটিসুটি মে’রে শুয়ে আছি তখনই উনি আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন,
-‘ দিনে যত মা’রা’মা’রি কা’টাকা’টি হোক না কেন রাতে সব মিটিয়ে ফেলতে হয়। মনে এইগুলো পুষে রাখতে নেই। ‘
কোথা থেকে যেনো একটা শীতল বাতাস বয়ে গেলো। এ যেন শান্তির বাতাস! একটা অন্যরকম ভালোবাসা। আমার পড়লো ওইদিনের কথা।
ওইদিন টা আমার জীবনের সব থেকে সুন্দর দিন ছিলো। ওই মুহূর্তটা আমার জীবনের কে’টে যাওয়া মুহুর্তগুলোর সবথেকে দ্রুতগামী মূহুর্ত ছিলো। ওইদিন উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলেছিলেন, “ভালোবাসি মুন। অনেক অনেক ভালোবাসি। ” মুহূর্তেই আমার রাগ অভিমান সব চলে গেলো। আমার মনে পড়ে গেলো ওনার দেওয়া চিঠিতে লিখা প্রত্যেকটা কথায়। লোকটা আমাকে এতো ভালোবাসে, অথচ আমি জানিই না।
চলবে
(