তোর শহরে রেখেছি পা পর্ব -২১

#তোর_শহরে_রেখেছি_পা
#পর্ব_২১(স্পেশাল পর্ব)
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি

সন্ধ্যার পর থেকে আরুহি রুমে বসে আছে। ও বুঝতে পারছে না আবরার ওকে কি বলবে। তবে ও যা ভাবছে তাই যদি হয় তাহলে এখন কিভাবে সামলাবে। তবে আবরারের সন্ধ্যার পর যেতে বলেছে বলে আরুহির ভালো লাগছে। কারন এখন গেলে কোন সমস্যা নেই তবে রাতে গেলে সমস্যা হতেও পারতো। তবে ও ভালোই চিন্তিত আবরার কি বলবে নিয়ে। ও আগপাছ না ভেবে ছাদে চলে গেল। ছাদে গিয়ে ওর মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। কি সুন্দর ফুল ফুটেছে চারিদিকে ফুলের গন্ধে মম করছে।ফুল হলো সৃষ্টিকর্তার সুন্দরতম সৃষ্টি, যা পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলে । পরিবেশ টা কি শান্ত আহ মানসিক শান্তি যেনো এই এখানেই। আরুহি ফুল গুলো ছুঁয়ে দেখছে। তখন পেছন থেকে আবরার আওয়াজ করলো। আরুহি পেছনে ঘুরলো তখন আবরার বলল,,

“ধন্যবাদ মিস আমার কথায় এখানে আসার জন্য!”

“আমি তো এখানে বাগান বিলাস করতে এসেছি।”

“হুম ভালো।”

“আপনি যেনো কি বলবেন বলছিলেন বলুন!”

“সেদিন আপনাকে বলেছিলাম না ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করার মধ্যে দিয়ে সম্পর্ক অনেক মিষ্টি হয়ে ওঠে। তাই আমি আজ ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই। ”

আরুহি নিরব দৃষ্টিতে আবরারের দিকে তাকালো। না এই চোখে আরুহি আজ অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছে। না খারাপ কিছু নয় একরাশ মুগ্ধতা এক বুক ভালোবাসা। কিন্তু আরুহির এই মুহূর্তে কি করা উচিৎ ও বুঝতে পারছে না। তা দেখে আবরার বলল,,

“আপনার নীরব চাহনী আমার প্রকাশহীন ভালোলাগার অসংখ্য গল্পের মিষ্টি অনুভূতি !”

“আপনি ঠিক কি বলতে চান একটু ক্লিয়ার করে বলুন তো।”

“আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ আর সারাজীবন সাধারণ ভাবেই থাকতে চাই। তাই বাকি পাঁচ জন মানুষের মতো ঘটা করে আমি আমার অনুভূতির কথা আপনাকে বলছি না । আপনি হয়তো বুঝতেই পেরেছেন আমি কি বলতে চাইছি।”

আরুহি অবাক চোখে আবরার কে দেখছে। আবরার গাছ থেকে একটা সাদা গোলাপ ফুল নিয়ে এলো। আর আরুহির সামনে সাদা ফুল টা এগিয়ে দিয়ে বলল,,,

“আপনার শুভ্র রঙ অনেক পছন্দ। তবে আপনার সব ফুল-ই পছন্দ এটাও জানি তবুও সাদা রঙ শান্তির প্রতীক। সাদা রঙ আলাদা স্নিগ্ধতা এনে দেয়। তাই সাদা গোলাপ দিয়েই আমি আমার অনুভূতির কথা বলতে যাচ্ছি।
‘আপনার পছন্দের ফুল কত কী জানি আর আমার পছন্দের ফুল শুধু আপনি !’

আমার খুশি বা অনুভুতি আমি গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারি না। নির্লিপ্ত থেকে অনুভব করতেই ভালোবাসি। এই নিয়ে আমার কাছের মানুষদের বিস্তর অভিযোগ।তাই আমি আপনাকে আমার মনের অনুভূতি জানাতে চাই। কারন এটা আমার কাছে এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। আপনার অগোচরে আমি আপনার শহরে পা রেখেছি অনেক আগেই। আর আপনার পা ও আমার শহরে পরে গেছে। কারন আপনাকে আমি স্বাগতম
করে আমার শহরে নিয়ে এসেছি বোধহয় এটাও আপনার অগোচরে। আপনাকে আমি অনেক পছন্দ করি। শুধু পছন্দ করি কিনা জানিনা হয়তো আপনাকে ভালোও বাসি।

আমার কাছে বর্ষার প্রথম বৃষ্টির ছোঁয়া যেমন ভালোলাগার অনুভূতি দেয়, আপনার সাথে দেখা হওয়া কথা হওয়াটাও তেমনি অসাধারণ ভালোলাগা ভালোবাসার অনুভুতি জন্ম দেয়, মনকে শিহরিত করে তোলে, জীবনে নতুন কিছু করার শক্তি যোগান দেয়, নিজের চিন্তার জগৎকে আরও সুন্দর ও মননশীল করে তোলে। উঁহু আমি আপনাকে প্রেমের প্রস্তাব দেবো না। আমি হালালভাবে আপনাকে পেতে চাই। তারজন্যই আমি এতদিন অপেক্ষা করেছিলাম।

মিস আরুহি মাহমুদ খান আপনি আমার আকাশ হবেন?আকাশ দেখার কারণ হবেন?
মেঘ-বৃষ্টি রোদ হবেন? সন্ধ্যে নামার বারণ হবেন?
মন খারাপের শেষ বিকেলে আমার হাসির কারণ হবেন?আপনি আমার দুঃখ হবেন? একমুষ্টি সুখ হবেন?
রাত আকাশের তারা হবেন? তারার পাশের চাঁদ হবেন?
একটা গোটা রাত্রি আপনি আমার দেখার কারণ হবেন?
জোনাকিপোকার আলো হবেন? মিটিমিটি বাতি হবেন?
জোছনা মাখা মুখ হবেন? রাতের ঝরো হাওয়া হবেন?
সেই হাওয়াতে ভাসিয়ে নিয়ে প্রেমে পড়ার কারণ হবেন? আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?

ছন্নছাড়া এই জীবনে আপনি ছাড়া এমন,
দেখা দেন এই আমারে পূর্ণতা পায় যেমন!”

এইটুকু বলেই আবরার থামলো। আরুহি অদ্ভুত দৃষ্টিতে আবরারের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চোখে মুখে এক আকাশ ভালোবাসা খুব করে চাওয়া ওর চোখদুটো যেনো বলছে প্লিজ আপনি আমার হয়ে যান। আবরার ফুলটা আরেকটু এগিয়ে দিল। আরুহি ঘোর থেকে বেড়িয়ে আবরারের হাত থেকে ফুল টা নিয়ে মুচকি হেসে বলল,,

রাসুল (সা.) বলেছেন,

‘কাউকে কোনো ফুল দেওয়া হলে সে যেন তা প্রত্যাখ্যান না করে। কেননা, তা বহনে হালকা ও ঘ্রাণে উত্তম।”
(মুসলিম, হাদিস : ৫৬৮)
তবে তা পরিস্থিতি সাপেক্ষেও বটে। এখনকার সময়ে ফুলটা অন্য একটা ভিত্তিতে অন্য একজন কে দেওয়া হয়। তবে যদি ফুল নেওয়ার মাধ্যমেই হ্যা প্রকাশ করতে হয় আর যদি সে হ্যা প্রকাশে অনিচ্ছুক হয় তাহলে সে প্রত্যাখান করতে পারে এটা আমার মতামত।”

আরুহির কথা শুনে আবরার মুচকি হাসলো। তখন আরুহি আবার ও বলল,,

“নিয়তের উপরেই কাজের ফলাফল নির্ভর করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।”
-(সহিহ বুখারী-৫০৭০)

আপনিও আপনার নিয়তের ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। কারন আপনার নিয়তটা হারামের দিকে নয় হালালের দিকে। তবে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে যেভাবে এতো দিন করছিলেন । যতদিন পর্যন্ত না আমাদের জীবন থেকে NS নামক জিনিস টা সরে যায় ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে। আপাতত আপনার অনুভূতি কে কন্ট্রোল করুন সেটা যেনো অন্য দিকে না চলে যায়। আমরা এতদিন যেভাবে ছিলাম এখনও সেভাবেই থাকবো এর কোন পরিবর্তন হবে না।”

তখন আবরার মুচকি হেসে বলল,,

“ভালোবাসা যদি সত্যি হয়,
তার জন্য অপেক্ষা করা ভুল কিছু নয়!”
তাছাড়া সবুরের ফল মিষ্টি হয়।

তখন আরুহি মুচকি হেসে বলল,,

“আপনার ভবিষ্যৎ, আপনার অতিতের চেয়েও উত্তম হবে! ইনশাআল্লাহ!”

“ইনশাআল্লাহ।”

আরুহি আর কিছু না বলে ছাদ থেকে চলে গেল। আবরার এক মিনিট স্তব্ধ হয়ে রইলো। এখানে যা হলো সব কি সত্যি। নাকি ওর ভ্রম ছিল। আরুহি এত সহজে ওর কথা গুলো মেনে নিল। না আরুহি মুখে ওকে বলেনি তবে কথায় বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। আচ্ছা আরুহি কি ওকে ওর মতো আগে থেকেই পছন্দ করতো। কারন ওর চোখে আবরার আজ অন্য কিছু দেখেছে। আবরার খুব খুশি। মনে হচ্ছে ওর জীবনের সবচাইতে বড় স্বপ্ন পুরন হয়েছে অদ্ভুত রকমের ভালোলাগার অনুভূতি হচ্ছে। খুশি তে ওর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হলো,,

“আলহামদুলিল্লাহ!”

-স্বপ্ন পূরণের অনূভুতি খুব অদ্ভুত রকম ভালোলাগার হয়।যে ভালোলাগা কোন শব্দ বা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।
শুধু শুকরিয়া আদায় করা যায়,”আলহামদুলিল্লাহ ”

আবরার মনে মনে বলল,,

যখন একবার #তোর_শহরে_রেখেছি_পা তাহলে তোর পিছু আর ছাড়ছি না। যতসময় লাগে লাগুক আমি তোর অপেক্ষায়-ই থাকবো।এই শহরে অল্প কয়েকজন পরিচিতদের মধ্যে তুই অন্যতম!! আর সবচেয়ে স্পেশাল। সুন্দর ও প্রানবন্তময় করে তুলেছিস আমার শহর। তোর জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অসীম। এ ভালোবাসার কখনো কমতি ছিল না আর হবেও না।

কিছুক্ষণ মৌন থেকে আবরার বলল,,

“সব রাত বিষাদের নয়। সব রাত কয়েকটা ব্যক্তিগত দুঃখ পুঁজি করে ঘুমানোর নয়। কিছু রাত রুপকথার কিছু রাত সারাজীবন মনে রাখার।”
__________________

ওদিকে,,

কক্সবাজার একটা হোটেলের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আরহাম।তখনি আফরিন গেল কফি নিয়ে। আরহামের পাশে মুচকি হেসে বলল,,,

“কাল আমরা বাড়ি ফিরছি?”

আরহাম ও মুচকি হেসে বলল,,

“হুম কাল আমরা বাড়ি ফিরছি।”

“এই নিন আপনার কফি!”

“ধন্যবাদ বউ!”

“আপনি সবসময় বউ বলেন কেন এই বউ শুনে আমার কেমন যেনো লাগে!”

“তা খারাপ লাগে বুঝি!”

‘না না খারাপ লাগবে কেন অনেক ভালো লাগে তার সাথে অদ্ভুত অনুভূতিও হয়।’

“তা বউ তোমাদের মধুচন্দ্রিমা শেষ হতে চললো খারাপ লাগছে না।”

এ কথা শুনে আফরিন মুচকি হাসলো সাথে লজ্জাও পেল। আর বলল,,

“আপনি এতো নির্লজ্জ কেন? কোনো কথা আপনার মুখ দিয়ে আটকায় না।”

“বিয়ের পর নাকি সব জামাই তাদের বউদের কাছে নির্লজ্জ হয়। তা একয়েকদিন আপনার কেমন কাটলো রানীসাহেবা।”

“এ কয়েক দিন আমার লাইফে বেস্ট দিন গেছে। আমি এর আগে কোনদিন এতো মজা করিনি যতটা আপনার সাথে করেছি।”

“আপনাকে সুন্দর দিন উপহার দিতে পেরে আমি ধন্য।’

আফরিন আর কিছু বললো না শুধু মুচকি হাসলো।। কিছুক্ষণ দুজনে চায়ের স্বাদ অনুভব করলো। হুট করে আফরিন বলল,,

“ধন্যবাদ জনাব,”

“কেন?”

“আমার জীবনে আসার জন্য। আমার অর্ধাঙ্গ হওয়ার জন্য। আমার এত খেয়াল রাখার জন্য। আমাকে এতটা ভালোবাসার জন্য। আমার সুখের কারন হওয়ার জন্য। জীবনের সবকিছু নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। সবকিছু কে সহজ করে দেওয়ার জন্য। আমার জীবনটাকে রাঙিয়ে দেওয়ার জন্য। আমার জীবনটাকে অনেক সুন্দর করার জন্য।”

আফরিনের কথা শুনে আরহাম হাসলো। আর বলল,,,

“ধন্যবাদ আমাকে নয় আল্লাহ তায়ালা কে করো। কারন তিনি তোমার জন্য আমাকে আর আমার জন্য তোমাকে লিখে রেখেছিলেন। যদি আমাদের দুজনের সাথে না লেখা থাকতো তাহলে তোমাকে বা তুমি আমাকে কখনোই পেতে না। তিনি আমার হাড়ের পাঁজর দিয়ে তোমাকে না বানালে তুমি আমার হতে না। তাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো। বাকি রইল তোমার খেয়াল রাখা ভালোবাসা সেটা হলো তুমি আমার রানী আমার ঘরের রানী তোমার খেয়াল না রাখলে কার রাখবো বলোতো। স্বামীর খেয়াল রাখা আপ্যায়ন যেমন স্ত্রীর দায়িত্ব তেমনিভাবে স্বামীর ও দায়িত্ব স্ত্রীকে উত্তম রুপে আদর যত্ন করা, খেয়াল রাখা। আর ভালো তো সবার রানীকেই বাসে তাহলে তোমায় ভালোবাসবো কেন! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,,ঐ ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে থাকে আল্লাহর রহমত। স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনের দিকে হাসলে আল্লাহ তায়ালা তাদের দিকে তাকিয়ে হাসেন। সুবহানআল্লাহ!
একটি সুন্দর সংসার করতে স্বামী স্ত্রীর মাঝে অবশ্যই মনস্তাত্ত্বিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে হবে।

আফরিন মনোযোগ দিয়ে আরহাম এর কথা শুনলো আর ভালোও লাগলো। আফরিন মুচকি হেসে বলল,,

“হুম বুঝতে পারলাম। আচ্ছা আমরা যদি আমাদের তকদিরে না থাকতাম তাহলে কি আমরা একে অপরকে পেতাম না। ভাগ্য কি পরিবর্তন হওয়া সম্ভব না।”

আরহাম মুচকি হেসে বলল,,

একবার মাওলানা তারিক জামিল কে একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন,
”ভাগ্য যদি প্রথমেই লিখা হয়ে থাকে তাহলে দোয়া
দ্বারা কি লাভ হবে?” উনি উত্তর দিয়েছিলেন- হয়তো ভাগ্যের মধ্যে এটা লেখা আছে যে, যা পাবে দোয়া করার দ্বারাই পাবে!’

“দোয়া” ব্যতীত কোনো কিছুই ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎ কাজ ব্যতীত কোনো কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না।
(তিরমিজি – ২১৩৯)
আর কোরআন এ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,,

“তোমরা আমার কাছে চাও। আমি (আল্লাহ) তোমাদের চাওয়া পূরণ করবো।”

দোয়া করা মানেই রবের কাছে চাওয়া। তিনি দয়াশীল উত্তম পরিকল্পনাকারী। তবে সেই চাওয়া টা অবশ্যই হালাল হতে হবে। খুব করে চাওয়া হালাল জিনিসটা নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে দেবে যদি আপনি,চাইতে গিয়ে ক্লান্ত আর পেতে গিয়ে ধৈর্য্যহীন হয়ে না পড়”-ইনশাআল্লাহ্”

‘তুমি কি কখনো আমায় চাওনি রবের কাছে? আমি কিন্তু অসংখ্যবার চেয়েছি তাই হয়তো তোমাকে পেয়েছি।”

“সত্যি কথা বলতে আমার যখন থেকে আপনার প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়েছে। তখন থেকেই আমি আমার রবের নিকট আপনাকে চেয়েছি তবে সেটা হালাল ভাবেই।”

“দু’জনের হালাল উদ্দেশ্যে দুজন কে চেয়েছি। কোন হারাম সম্পর্কে না থেকে। দুজনের হালাল ভাবেই চাওয়া এক হয়েছে বলেই সুবাহানাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের মনের চাওয়া পুরন করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।”

“ইশশ্ সবাই যদি আপনার মতো ভাবতো তাহলে হয়তো এত হারাম রিলেশনে কেউ জরাতো না।”

“আচ্ছা এসব বাদ দাও। চলো একটু হেঁটে আসি। এখন অনেক রাত হয়েছে তেমন কেউ নেই বিচে! তুমি কি জানো “রাতে স্ত্রী কে নিয়ে নির্জনে হাঁটা সুন্নত।”

“হুম জানি আপনি সেদিন বলেছিলেন না (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)সুন্নতের মাধ্যমে আমরা জীবন টাকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারি। তাই আমি নেটে দেখেছি রাসুলের সুন্নাত সমূহ।”

“মাশাআল্লাহ। তো এখন যাওয়া যাক।”

“হুম মাথায় ওরনা টা ভালোভাবে পেঁচিয়ে নেই। হুম চলুন হয়ে গেছে।”

আরহাম হাত বাড়িয়ে দিল আফরিন মুচকি হেসে আরহামের হাত ধরে রুমে থেকে বেরিয়ে হাঁটতে গেল। এই জন্যই বোধহয় বলে মানুষটা সঠিক হলে মানসিক শান্তির কোন অভাব হয় না। হাঁটতে হাঁটতে আফরিন বলল,,

“আপনার মুখে ভালোবাসি শুনতে পাওয়ার অনুভূতিটা অসম্ভব সুন্দর ছিলো-!! এখনও কি আপনি আমাকে সেরকম অনুভুতি দিতে পারবেন ভালোবাসি বলবেন।”

“বলার দরকার নেই! সে অনুভব করুক তাকে আমি কতটা ভালোবাসি!”
আমি আছি তোমার পাশে, এটা যদি তোমাকে সুন্দর অনুভূতি দেয়, তাহলে ভাবো—আমি আছি। নাহয়, ভাবো—আমি নেই!”

আফরিন কিছু বললো না মুচকি হেসে তার প্রিয়জনের হাত ধরে হাঁটতে লাগলো আর অনুভব করতে লাগলো তার প্রিয়জনের ভালোবাসা আর সময়টা। আরহাম ও আফরিন এর হাসির মানে বুঝতে পেরে মুচকি হেসে তার প্রিয়তমার সাথে হাঁটতে লাগলো আর অনুভব করতে লাগলো সময়টাকে।

____________________

পরের দিন,,

সকালে আরহাম আর আফরিন খান বাড়িতে পৌছে গেছে। আরহাম এতদিন পর নিজের বোনকে দেখে বুকে আগলে নিল। আরুহিও ভাইকে কাছে পেয়ে খুব খুশি। আরহাম সকলের জন্যই কিছু না কিছু এনেছে আরহাম সকল কে তাদের উপহার দিল। মিষ্টি কে আর পায় কে সে উপহার পেতে খুব ভালোবাসে। সে উপহার পেয়েই লাফাতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বিকেলে আরুহির যাওয়ার সময় কেঁদে ভাসাচ্ছে । আরহাম আর আফরিন রেস্ট নিয়ে বিকেলে যাওয়ার কথা বলেছে। যেহেতু এখন বিকেল হয়ে গেছে এখন যেতেই হবে। আরুহি যাওয়ার সময় নাসরিন খান আরুহির মুখে হাত দিয়ে বলল,,

“এ কয়েকদিন এ বাড়িতে ছিলে বাড়িটা একদম অন্যরকম পরিবেশ ছিল। আবার এসো কেমন। যেকোন সময় চলে আসবে সবসময় তোমাকে এ বাড়িতে স্বাগত।”

মুচকি হেসে আরুহি বলল,,

“হুম আসবো। ধন্যবাদ আমার খেয়াল রাখার জন্য আপনাদের পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ ভালো। এ কয়েকদিনের মাঝেই আমাকে এমন ভাবে আপন করে নিয়েছে । মায়ায় পরে গেছি। সবথেকে বেশি মিস্টির ওপর সবসময় আমার সাথে ছিল আমার খেয়াল ও রেখেছে।”

আরুহি মিস্টিকে কোলে নিয়ে বলল,,

“মিস্টি সোনা তোমাকে তোমার আন্টি খুব মিস করবে।”

মিস্টি কান্না করছে ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে। মিষ্টি বলল,,

“আন্টি তুমি যেও না। ফুপি ও এখন থাকবে না তুমিও থাকবে না । তুমি খুব ভালো প্লিজ যেও না। ”

“উঁহু মিষ্টি কান্না করে না তুমি না খুব গার্ল । গুড গার্লরা কখনো কাঁদে না।। আমি আবার আসবো কান্না করে না। সবসময় গুড গার্ল হয়ে থাকবে মায়ের সব কথা শুনবে তাই মা আর বকবে না। এবার একটু হাসো তো নাহলে যে আন্টির মনে খারাপ হবে।”

মিস্টি কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফুটালো আর বলল,,

“তুমি কিন্তু আবার আসবে আর হ্যা ফুপি আর আরহাম আংকেল কেও।”

“হুম আসবো।”

মিস্টি এবার আরুহির কোল থেকে আফরিন এর কোলে গিয়ে বলল,,

“ফুপি তুমি আবার আসবে ঠিক আছে। আর হ্যা আমার সাথে যেভাবে ঝগড়া করো তেমনি ভাবে কিন্তু আন্টির সাথে ঝগড়া করবে না। আর আন্টি ফুপি যদি ঝগড়া করে তাহলে আমাকে বলবে।আমি তোমার ঝগড়া করে দেব।”

তখন আফরিন মুচকি হেসে বলল,,

“আচ্ছা ঠিক আছে ঝগড়া করবো না। ঝগড়া করলে তুই আমার সাথে ঝগড়া করে দিয়ে আসিস।”

আবরার শুধু আরুহির দিকে তাকিয়ে রইল।কিছুই বললো না। তার জবাব সে কাল পেয়েই গেছে এখন শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা। আরহাম, আফরিন আর আরুহি সবার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরলো। আবরার তখন মনে মনে বলল,,

“সৌন্দর্য নয়!!!মায়াতে আটকে যাওয়ার, নামই ভালোবাসা আর আমি তো মায়াতেই আটকে গেছি। আরুহি নামক মায়ায়‌।”

___________________

দেখতে দেখতে আরো কয়েকটা মাস চলে গেল। আবরার ও এখন ডাক্তার হয়ে গেছে। আবরার আর আরুহির সম্পর্ক যেমন তেমনই রয়েছে। আবরার আর এগোয় নি। সঠিক সময় এলে আরুহিই ওকে ডেকে নেবে। এতকিছুর মাঝে NS কিছু করছে না আরুহি একটু চিন্তায় আছে। তবে সে নেহমাত শেখ এর সাথে দেখা করতে এসেছিল। তাকে যেভাবেই হোক জেল থেকে নিয়ে যাবে বলেছে। নেহমাত শেখ ও এখন জেলেই আছে আরুহি বুঝতে পারছে না NS এর পরবর্তী প্ল্যান কি। ও বেশ চিন্তিত এ বিষয়ে NS যে ওদের ওপর অ্যাটাক করবে এটা সিওর। তবে আরহাম আর আরুহি তো নিজেদের সামলাতে পারবে যেভাবে এতদিন সামলিয়ে ছিল। কিন্তু ওদের ভয় আফরিন কে নিয়ে। আফরিন আরুহির সাথেই স্কুটি তে করে যাতায়াত করে। আজও এর ব্যতিক্রম নয় আরুহি আর আফরিন কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় আরুহি খেয়াল করে ওদের কেউ গাড়ি নিয়ে ফলো করছে। এই জন্য আরুহি বুদ্ধি করে অন্য রাস্তায় গেল তা দেখে আফরিন বলল,,

“এই আরু তুই বাড়ির রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিস কেনো?”

“চুপচাপ দেখতে থাক কিভাবে বাড়ি যাই। এখান দিয়েও বাড়ি যাওয়া যায়।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আরু তুই খেয়াল করেছিস একটা গাড়ি আমাদের পেছনে সেই কলেজ থেকে আসছে। আমাদের স্কুটিটা কতো আস্তে চলছে আর প্রাইভেট কার কতো জোরে চলে তবুও আমাদের পেছনেই আসছে। মনে হয় আমাদের ফলো করছে।”

“সেই জন্যই তো অন্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। দেখতে চাইছিলাম তারা সত্যি আমাদের ফলো করছে কিনা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমাদেরকেই ফলো করছে। আমরা যেদিকে যাচ্ছি গাড়িটাও সেদিকে যাচ্ছে।”

“দেখেছিস আমি ধরতে পেরেছি কেউ আমাদের ফলো করছে। এই না হলে সি আই ডি অফিসার এর বউ।”

“কথা রাখ এখন ভাইয়াকে একটা ফোন দে!আমি সিওর আমাদের ক্ষতি করার জন্যই কেউ আমাদের ফলো করছে। আর আমি এটাও সিওর এটা NS এর কাজ।”

“আচ্ছা ঠিক আছে দিচ্ছি তবে আমার ভয় হচ্ছে আরু যদি সত্যিই আমাদের ক্ষতি করে দেয়।”

“তুই না সি আই ডি অফিসার এর বউ এইটুকু তেই ভয় পেলে চলে। আমি তোর সাথে আছি তোর কেউ কিছু করতে পারবে না।”

“এই আরু তোর ভাইয়া ফোন ধরছে না। এখন কি করবো?”

“আবার ট্রাই কর!’

আফরিন অনেকবার আরহামের নাম। নাম্বারে ট্রাই করলো। কিন্তু আরহাম কে পেল না। এবার আফরিন ভয় পাচ্ছে। আরুহি বলল ,,,

“ভাইয়া ফোন ধরছে না।”

“না অনেক বার ট্রাই করেছি।”

“ওহ শিট আমি কি করে ভুলে গেলাম।”

“কি হয়েছে কি ভুলে গেলি?”

“ভাইয়া আজ বারোটায় একটা কাজে গেছে এখন বাজে একটা এখনো বোধহয় কাজেই আছে সেই জন্যই ফোন ধরছে না। তুই এক কাজ কর মিস্টার নিশান কে ফোন দে?”

“ভাইয়া কে কিন্তু ভাইয়া কি করবে?”

“আফরিন এখন বেশি সময় নেই ওরা এখন আমাদের স্কুটির খুব কাছে‌। তুই তাড়াতাড়ি ফোন লাগা আর আমার কানে ধর।”

আফরিন আবরার কে ফোন দিল আর আরুহির কানে ধরলো একবার রিং হতেই আবরার ফোনটা ধরে কিছু বলবে তার আগেই আরুহি বলল,,

“মিস্টার নিশান আমাদের কেউ ফলো করছে আপনি তাড়াতাড়ি ***** জায়গায় আসুন আমরা ওখানেই আছি এখন নেমে কোথাও লুকানোর চেষ্টা করবো। আমি একা থাকলে সমস্যা হতো না তবে আফরিন আছে আমি কিছুই করতে পারছি না। আপনি প্লিজ তাড়াতাড়ি আসুন আর অবশ্যই রিভলবার সাথে করে নিয়ে আসবেন। ওরা কতোজন গাড়ির ভেতর এটা আমরা জানি না।”

“আপনি চিন্তা করবেন না আমি এখনি আসছি।”

আরুহি কিছু বলবে তার আগেই গাড়িটা আস্তে করে স্কুটিতে ধাক্কা মারলো। আফরিন আর আরুহি স্কুটি নিয়ে পড়ে গেল। যেহেতু আস্তেই ধাক্কা মেরেছে সেহেতু ওরা বেশি চোট পায় নি। ওরা পরে যেতেই গাড়িটা তাকালো। আরুহি তাড়াতাড়ি আফরিন কে উঠিয়ে বলল,,

“আফরিন আমাদের পালাতে হবে দৌড়া।”

আফরিন আর আরুহি দৌড় দিল । আরুহি ওর ব্যাগটা সাথে নিল।ওরা দৌড়াচ্ছে দেখে গাড়িতে থাকা পাঁচজন লোক বের হয়ে ওদের দিকে দৌড় দিল সবার হাতেই বন্দুক। এই রাস্তা টা একদম শুনশান আর গাছগাছালি দিয়ে ভর্তি। তার ওপর দুপুর বেলা কোথাও কেউ নেই। আফরিন বোরকা পরে দৌড়াতে পারছে না। আরুহি ওর অবস্থা বুঝতে পেরে একটা গাছের আড়ালে লুকালো। লোকগুলো এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। সবদিকেই গাছ এখানে খুঁজে পাওয়া টা টাফ। কিন্তু একজনের নজর পরলো ওদের ওপর লোকটার হাতে বন্দুক ছিল লোকটা আরুহি কে তাক করে গুলি ছুড়লো । আরুহি সেটা দেখতে পেয়ে সরে গেল আর গুলিটা গিয়ে গাছে লাগলো। আরুহি ভাবছে এখন ওকে A.k হতে হবে। ওরা ওদের দেখে নিয়েছে এখন যদি ওরা সবাই এদিকে আসে তাহলে ওরা বাঁচবে না। আরুহি ওর ব্যাগ থেকে ওর রিভলবার বের করলো। আফরিন আরুহির কাজে অবাক কিন্তু এ সময় এতকিছু ভাবা সম্ভব নয় পরে ভাবা যাবে। আরুহি ওর রিভলবার বের করে একজনের দিকে গুলি করলো গুলিটা লোকটার হাতে লাগলো লোকটার অবস্থা দেখে বাকি চারজন এলার্ট হয়ে গেল। ওরা বুঝতে পারলো মেয়ে দুটোর কাছে রিভলবার আছে। ওরা অন্য গাছের আড়ালে গিয়ে লুকানো আর আরুহিদের দিকে তাক করে গুলি করতে লাগলো। তখন আরুহি আফরিন কে বলল,,

“যাই হয়ে যাক না কেন তুই গাছের আড়ালে থেকে বের হবি না। ”

“কিন্তু আরু ওরা তো এখনো চারজন তুই পারবি না।”

তখন আরুহি রেগে বলল,,,

“যা বলছি তাই শোন এই গাছের আড়াল থেকে বের হবি না। আমি ওদের দেখছি।”

আরুহির ধমক খেয়ে আফরিন বলল,,,

“ঠিক আছে।”

আরুহি ওখান থেকে আরেকটা গাছের আড়াল থেকে গুলি ছুড়তে লাগলো। রাতে সবাই ওর দিকে আসে আফরিন এর দিকে না যায়। আরুহি দেখে দেখে শ্যুট করছে তাতে একটা গুলি ছুঁড়লে তাকে একটু হলেও ঘায়েল করতে পারে। এভাবেই দুজন কে ঘায়াল করে ফেললো। তবে আরুহি খেয়াল করলো আফরিন এর দিকে একজন যাচ্ছে। তা দেখে আরুহি একটু বাইরে বের হলো আর তাকে গুলি করলো। তখনি একটা গুলি এসে আরুহির বাম হাতে লাগলো। আরুহি হাত ধরে নিচে বসে পরলো। আফরিন আরুহির অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলো আর আফরিনের দিকে দৌড়ে এলো আর আরুহির অবস্থা দেখে কেঁদে উঠলো । ।এখন বাকি আছে আরো একজন লোকটা বিশ্রি হেসে আরুহির দিকে আসলো আর বলল,,,

“বাহ মেয়ের দেখি খুব তেজ। এবার তেজ গেল কোথায়?” বস ঠিকই বলেছিল তোদের বাগে আনা ওতো সহজ হবে না।”

আরুহি মুচকি হেসে বললো,,,

“তেজের তো এখনো কিছুই দেখিস নি। তবে সরিরে তোকে আর দেখাতে পারলাম। গুড বাই।”

তখনি পেছন থেকে আবরার আর আরহাম লোকটাকে গুলি করে দিল। এখন আর এখানে বাকি কেও নেই যে ওদের ওপর হামলা করবে। আফরিন অবাক চোখে ভাইয়ার হাতে রিভলবার দেখলো। আরুহির চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। আরহাম আর আবরার দৌড়ে আরুহির দিকে আসলো। আরুহি নিভু নিভু চোখে আরহাম আর আবরারের দৌড়ে আসা দেখলো। দুজনই যে তার প্রিয়জন। তবে একজন এর টা প্রকাশিত হলেও অন্যজনের টা অপ্রকাশিত।

আরহামের কাজ শেষ হলেই ও আফরিন এর এতো গুলো কল দেখে কল ব্যাক করে কিন্তু আফরিন কল ধরে না। ধরবে কিভাবে ফোন তো স্কুটির ওখানেই পড়ে আছে। আবরার তখন আরহাম কে ফোন দেয়। আরহাম ফোন ধরেই এখানে আসে আর আবরার ও । দুজনে একসাথেই এখানে এসে দেখতে পায়। আরুহির হাত দিয়ে রক্ত ঝড়ছে আর আফরিন কাঁদছে ওদের সামনে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে লোকটা বন্দুক উঠাবে এমন সময় ওরা দুজনেই লোকটাকে শ্যুট করে দেয়।
________________

মাহমুদ ভিলা নিস্তব্ধ হয়ে আছে। আফরিন অবাক চোখে আরুহি আর ওর ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তখন আরুহি কে তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে আসা হয় আরুহি চাইছিল আজকের ঘটনা যাতে কেউ জানতে না পারে। এমনিতেও ওর সকল কাজ সিক্রেট লি করা হয়। গুলিটা হাতের ভেতরে ঢুকেনি একটু ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে। বাড়ি এসে আবরার ওর হাত ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। আপাতত এখন আরুহি বিছানায় বসে আছে আর আফরিন ওকে খায়িয়ে দিচ্ছে। আফরিন ওর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে এখনি খেয়ে ফেলবে। তা দেখে আবরার আর আরহাম মুচকি মুচকি হাসছে।

~চলবে,,

বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম। আজকের পর্ব টা নিয়ে সকলেই কিছু না কিছু বলবেন। আবরারের অনুভূতি প্রকাশ টা কেমন লাগলো সকলেই বলবেন। আজকের পর্ব নিয়ে সকলেই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here