অতিরিক্ত চাওয়া { ২ }
৩৬|
তীব্র বৃষ্টির কারণে প্রতিবেশী যা ছিলো উধাও। সকলের সামনে মুচকি হাসি দিতে থাকা বিমান দম ফেলল। এতক্ষণের মাঝে সে একটু শান্তি পায়নি। লজ্জায় মুখ উঠাতেও হিমসিম লাগছে। অভির আম্মু এসে বোঝাচ্ছে,
— প্রথম দিনই একটু কষ্ট করে নাও আম্মি। সবাই চলে যাচ্ছে।
বিমান মাথা দুলালো। এবং সঙ্কোচ নিয়ে বলেই ফেলল,
— বেলী?
— চিন্তা নেই। আমি উপরের রুমে দিয়ে এসেছি। ঘুমোচ্ছে।
— ধন্যবাদ।
বেলী রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে। প্রবল ভাবে বৃষ্টি ঝরছে। বাতাসে বেলীর চুল উড়ে এলোমেলো করে দিচ্ছে। বাতাসের সাথে বৃষ্টির ফোঁটা এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে বেলীকে। বেলী চোখ বুঝে ফেলল। হঠাৎ অনুভব করলো পাশে কেউ দাঁড়িয়েছে। বেলী চোখ খুলে দেখলো আয়েশা। আয়েশার মায়াময় হাসিতে বেলীও হালকা হাসলো। দুজন জানালা দিয়ে তাকিয়ে রইলো। বৃষ্টির ফোঁটার সাথে ভালোলাগা বেড়ে যাচ্ছে। কিচ্ছুক্ষণের নিরবতার মাঝে বেলীর সূক্ষ্ণ আওয়াজ,
— আপনাদের প্রেম কাহিনী কখনও শোনা হলো না? আপনার জীবন কাহিনী শোনার অনেক ইচ্ছে। শোনাবেন মামী?
আয়েশা হাসলো। এক দৃষ্টিতে বাহিরে তাকিয়ে রইলো। বৃষ্টির পানে চোখ সীমাবদ্ধ। জবাব না পেয়ে বেলী ভাবলো হয়তো বলবে না। কিন্তু কিছুক্ষণের মাঝেই বেলী আয়েশার ধীর আওয়াজ শুনতে পায়।
— খুব ছোট থাকতে বিয়ে হয়। মা মারা যায়। বাবা বিয়ে করেন। বাড়িতে আমাকে নিয়ে অশান্তি হওয়া শুরু হয়। বাবা ছোট বয়সে বিয়ে দিয়ে দিলেন। স্বামী পেলাম। ভালোবাসা পেলাম না। দৈনন্দিন জীবনের স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কেই সীমাবদ্ধতা ছিলো। কখনও সে পাশে বসে বলেনি ‘ ভালোবাসি তোমাকে আয়েশা ‘। অথচ বান্ধবীদের থেকে তাদের স্বামীদের ভালোবাসা, ভরসা করার গল্প শুনতাম। শাশুড়ীর নাতিন লাগবে। বিয়ের সেই বছরেই বাচ্চা নিয়ে নিলাম। তখনও সংসার তেমন বুঝতাম না। কষ্ট হতো। স্বামী মারধর তেমন করতো না। তাও ওইযে কথায় কথায় কিছু থাপ্পড় বা গালাগালি শোনা হতো। আমি যখন প্রেগন্যান্ট তখন বয়স আমার সতেরো। শুরু হয় সন্তান নিয়ে যুদ্ধ। শাশুড়ী ছেলে চাচ্ছিলেন। আমার স্বামী নিজেও একটা ছেলে চাচ্ছিলেন। কিন্তু হয়েছে তো মেয়ে। বছর খানিকের মাঝে আমায় আবার চাপ দিতে লাগলেন বাচ্চা নেওয়ার জন্য। এবার ছেলে চান। অসুস্থ শরীর নিয়ে আমি আমার মেয়েকেই সামলাতে পারছিলাম না। আমি না করে দেই। এই নিয়ে নতুন অশান্তি। মেয়ের বয়স যখন ৭ তখনই হঠাৎ তার বাবা মারা যান। স্বামী ছাড়া শশুড় বাড়ি থাকা যাচ্ছিলো না। অনেক কথা শুনতে হচ্ছিলো। একসময় বেরিয়ে যেতে বললেন বাচ্চা তাদেরকে দিয়ে। আমি আমার মেয়ে নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। বাবার বাড়িতে বাবা রাখতে চাচ্ছেন না দুদিন যেতেই। কাজ খুঁজতে লাগলাম। মেয়েকে নিয়ে রুম নিলাম। নানান কষ্টের মাঝে সাহায্য পেয়েছিলাম এক চাচার থেকে। তার ছোট হোটেল চালাতে যেয়ে বড় করলাম। তার মাঝেই মেয়েটা বড় হয়ে গেলো। অল্প বয়সে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়লো। মেয়েকে অনেক বুঝালাম। গতি না পেয়ে বিয়ে দিতে হলো। হয়ে গেলাম একা। হোটেল আর বাড়ি। আপন বলতে কেউ ছিলো না।
প্রতিদিনের মতো সেদিন ও আমি হোটেলে রাউন্ড দিচ্ছিলাম। দেখা হয় তৃষ্ণার সাথে। আমার সাথে কেমন সেকেন্ডে মিশে গেলো। এমন ভাবে দুজনের কথা হচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো আমরা সারাজীবনের পরিচিত। তৃষ্ণা তার ভাই বন্ধুদের সাথে তিনদিন থাকবে বলেছিলো আমার হোটেলে। পরপরই বলল আরেক রুম লাগবে তার মামাও আসবে।
অতপর সেদিনই দেখা হয় উনার সাথে। তীব্র বৃষ্টির মাঝে। আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে, অন্য একজন তার মাথায় ছাতা ধরে ছিলো। সাদা পাঞ্জাবী-পায়জামা পরেছিল। পাঞ্জাবী উপর সদা কোটী পড়ে থাকে লোকটা। সেদিনও পড়েছিল। আমাকে দেখে সেখানেই দাড়িয়েছিল বৃষ্টির মাঝে। তখন সে নতুন মিনিস্টার পদে৷ সেই ভাবসাব। হোটেলের মেয়ে মানুষ তাদের মামা ভাগনেদের দিক তাকিয়ে। আমার নাম জানতে পেরে সে ডাকতো, ” বিবি আয়েশা। “। আমিতো কয়েকবার অসভ্য বলেছিলাম সামনাসামনি। জবাবে বলেছিলো,
— ভালোলাগে তোমার মুখ থেকে শুনতে।
তুমি তো দেখছ ওদের বিহেভিয়ার। বুঝাতে হবেনা তোমায়। আমিদ সাহেব তার ছেলে তৃষ্ণা, তৃষ্ণার মামা এরা প্রায় এক ধাঁচের। কেউ কারও থেকে কম যায় না।
তারপর থেকে আমাকে জ্বালাতে চলে আসতো। মান সম্মানের ভয়ে আমি তো মরে যাচ্ছিলাম। আর খুবই উইক হয়ে যাচ্ছিলাম তার প্রতি। যেই ভালোবাসাটা সারাজীবন পাইনি। হঠাৎ এমন বয়সে এসে পেয়ে কেমন নেতিয়ে যাচ্ছিলাম। বছরের মতো আমাদের উঁকিঝুঁকি ছিলো শুধু। সে পাগলের মতো করতে লাগলো। খুব অসভ্যতামী করতো। আমি তো একবার থাপ্পড়ই মেরে দিয়েছিলাম। তারপর আর তাকে পুরো একমাস দেখিনি। আমি তো লুকিয়ে কাঁদতাম। তাও অস্বীকার করতাম নিজেকে নিজে যে তার জন্য কাঁদছি। পুরো এক মাস কোনো খোঁজ নেই। তারপর হঠাৎ এসে জোর করে নিয়ে বিয়ে করে। তোমার কি মনে হয় আমি রাজি ছিলাম তখনও? ছিলাম না। সে আমার মেয়ের শশুড় বাড়ি লোক পাঠায়। মেয়ের সংসার ভেঙে দিবে। এক পর্যায়ে তার আমার বিয়ে হয়। তাও আমি বিয়েটা অস্বীকার করে এসেছি। কিন্তু এখন? আমি যতই উপর দিয়ে রাগ দেখাই। তাকে দেখলে আমার মন খারাপ থাকলেও ভালো হয়ে যায়। বাঁচতে সখ জাগে। সারাজীবন বেঁচে থাকার সখ।
এবার আয়েশা বৃষ্টির থেকে চোখ সরায়। বেলী এক ধ্যানে তাকিয়ে। আয়েশা হাসলো। হঠাৎ চমকিয়ে পাশে তাকালো। আবির দাঁড়িয়ে। আবিদ, আয়ুশ ও আছে। আয়েশার মনে হলো মাটি খুঁটে ভেতরে ঢুকতে। বেলী কিছু বলার আগে আয়েশা বলতে বলতে যাচ্ছে,
— আমি যাই। কাজ আছে।
আয়েশা যেতে পারে না। আবির ধরে ফেলে। তারপর আয়েশাকে টেনে বেরিয়ে যাচ্ছে। বেলীর মন চাইলো আয়েশাকে জড়িয়ে ধরতে শক্ত করে। জীবন সত্যিই কষ্টের। এই জীবনের সাথে হাজার লড়াই করে বাঁচতে হয়।
বিমানের রুম খুঁজতে গিয়ে বেলী উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলো। নিচের তলার সামনের রুমে উঁকি দিতেই থম মেরে গেলো। তৃষ্ণা তাওয়াল পেঁচিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভেজা চুল মুছছে। তার পেছনেই আবিদ, আয়ুশ দাঁড়িয়ে। তৃষ্ণা কথা বলছে,
— বারাবাড়ি করেছে। মাটিতে পুঁতে ফেলব পেলে।
আবিদ বলল,
— ক্লিপ ভাইরাল কে করেছে শ্রাদ্ধা-কে ধরলেই পাওয়া যাবে।
আয়ুশ ও মাথা দুলালো,
— ইয়াহ, ড্যাম শিয়র এর ও হাত আছে।
তৃষ্ণা পড়ার জন্য টি-শার্ট খুঁজছে,
— লিসেন। শ্রাদ্ধা কে প্রথম ভালোভাবে আসতে বলবি। না আসতে চাইলে ডোন্ট ইউজ ফোর্স। ডিরেক্ট থ্রেট দিবি।
আয়ুশের জবাব,
— ভাই আমার একজনকে মনে হচ্ছে।
— মনে হওয়া চাচ্ছি না। প্রুফ চাই।
বেলী যেই কেটে পড়তে নিচ্ছিলো, আবিদ দেখে ফেলল। এবং বড় করে ডাকল,
— ভাইর বঁধু?
বেলী তাও থেমে নেই। তৃষ্ণার চেঁচানো তে থামতেই হলো। অগ্যত রুমে প্রবেশ করলো। নিজেই বলতে লাগলো,
— আপুর রুম খুঁজছিলাম।
তৃষ্ণা কিছুটা বেলীর দিক এগোলো,
— আর আমাকে?
বেলী তৃষ্ণার উদোম শরীরের দিক তাকালো না। বরং নিচে তাকিয়েই আবিদকে ইঙ্গিত করে বলল,
— আপুর রুম কোন দিক, বলবে?
আয়ুশ তো তৈরি,
— চল নিয়ে যাই।
তৃষ্ণা চোখ রাঙাতাই আয়ুশ বেলীকে রেখেই রুম থেকে চলে যাচ্ছে। আবিদ গুনগুন করে গাইতে গাইতে চলল,
— প্রেম পিরিতি কাঁঠালের আঠা,
লাগলে পরে ছাড়ে না।
বেলীও আবিদের পিছু নিলো। চলে যাবে। এবং দরজা পেরিয়েও যাচ্ছিলো। তারপর তৎক্ষনাৎ তৃষ্ণা বেলীর হাত টেনে ভেতরে নিয়ে আসলো। বেলী চোখ ছোটছোট করে বলল,
— কী?
তৃষ্ণা বেলীর মাথা উঁচু করে ধরলো,
— হোয়াট?
— কী?
— হোয়াট?
বলতে বলতেই তৃষ্ণা বেলীকে জড়িয়ে ধরতে নেয়। বেলী অন্যপাশে চলে যায়।
— হোয়াট আপনার কাছেই রাখুন।
বেলী ঘুরে দৌঁড়ে বেরিয়ে যায়।
মাঝরাতে যখন সবাই আলাপে মগ্ন তখন খবর আসে আবিরকে চলে যেতে হবে ঢাকা। এবং তৃষ্ণাকেও লাগবে তার সাথে। যাওয়ার সময় তৃষ্ণা গেলো মেয়ে দিয়ে ভর্তি রুমটায়। সরাসরি বলল,
— বেলী, আমি যাচ্ছি। ফিরতে দেরি হবে। স্ট্রেস নিস না।
তৃষ্ণা চলে গেলেও বেলীর মন খারাপ আর লজ্জাটা গেলো না। সকলের সামনে এভাবে বলায় বেলী বেশ লজ্জা পেয়েছে। এইযে মিটিমিটি হাসছে সকলেই। আর তৃষ্ণা চলে যাচ্ছে তার জন্য মন নেতিয়ে।
তৃষ্ণার দেখা পরদিন ও মিলে নি। বেলীকে নিতে এসেছে আনন্দ। ছেলে মেয়েদের ছাড়া বাড়িটা নিস্তেজ। খুশি সকাল দুপুর কাঁদছে। সে নিজেই বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তাই চলে এলেন নিতে। এর মাঝে বড় মেয়েটাকেও মন ভরে দেখে নিবেন কিছুটা। বিমান বাবাকে পেয়ে কেঁদে ফেলল আরেকদফা। আনন্দকে ছাড়ছিলই না। খুবই কষ্টে মেয়েকে বুঝিয়ে বেলী আর বাবলু কে নিয়ে চলে এলেন আনন্দ।
বাড়িতে ফিরে বেলী আগে টাম্মিকে নিয়ে মাঠে ঘুরতে গেলো। এদিক সেদিক কিছুটা ঘুরতেই তৃষ্ণার কল।
— বেলী?
— হ্যাঁ।
— কোথায় তুই?
— মাঠে।
— বাড়িতে যা। একদম বাইরে ঘুরবি না।
— এইতো ঘরের সামনেই।
— এইতো না। বাড়ির ভিতর যাবি। আর হ্যাঁ, আমার আসতে সন্ধ্যা হবে।
— জ্বী৷
— কথা শুনবি। বেরোবি না।
— হু।
— আই লাভ ইউ ।
— জ্বী।
— আই লাভ ইউ?
বেলী মুখ কাঁচুমাচু করতে লাগলো । ছোট শ্বাস ফেলে চোখ বুঝলো। এবং বলল,
— হু, ভালবাসি।
ওপর পাশ থেকে কোনো আওয়াজ না আসায়, বেলী ভাবলো হয়তো কেটে গেছে৷ কিন্তু পরক্ষণেই তৃষ্ণার শীতল কণ্ঠ,
— স্যে ইট এগেইন!
বেলী আরেকদফা চুপসে গেলো। সে কিভাবে বলে ফেলল? তৃষ্ণার আওয়াজ,
— আমি আসছি। সামনে বলবি।
বেলী যে কিছু বলবে তার আগেই লাইন বিচ্ছেদ। বুক ধুকপুক করছে। সে কিভাবে বলবে? সামনাসামনি এটা বলা আর বেলীর জান কেড়ে নেওয়া ব্যাপারটা একই। বেলী দৌঁড়ে টাম্মিকে নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লো। গলা শুঁকিয়ে আসছে। পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
বিকেল দিকে বেলী বেরোলো শীলাকে নিয়ে। শীলা বারবার জিজ্ঞেস করছে,
— হঠাৎ কামারখালি কেন যাবি?
বেলী কিছু বলল না। সে ভাবছে দু হাজারে হবে? একটা ভালো ঘড়ি কি কিনতে পারবে? বিয়েতে চার হাজার ভাগে পড়েছিল দরজা ধরে। দু হাজার খুশিকে দিয়ে দিয়েছে। আর দু হাজার আছে। কাল তৃষ্ণার জন্মদিন। সে কি দিবে? একটা ঘড়ি? বা অন্যকিছু? বেলী এবার শীলাকে জিজ্ঞেস করলো,
— আচ্ছা, শীলা। জন্মদিনে কি উপহার দেওয়া যায়?
— পুরুষ না মহিলা?
— পুরুষ।
শীলা সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকাল,
— ব্যাপার কি?
— বল না।
— উমম। একটা হ্যান্ডওয়াচ দিলে হয়৷
বেলীও মাথা দুলালো। এটা ঠিকাছে। ঘড়ি দিলেই হবে। শীলা আবার প্রশ্ন করলো,
— কার জন্মদিন?
— তৃষ্ণা ভাইয়ার। কাল তার জন্মদিন।
শীলা তো থ মেরে রইলো। পরক্ষণেই চিৎকার,
— সত্যি?
— হ্যাঁ ।
— আমিতো টাকা আনলাম না। আমি কি কিছু দিব না?
— ধুর, লাগবে না।
— না কাল কিনব।
কামারখালি পৌঁছে বেলীর আবারও ভয় হতে লাগলো। তৃষ্ণা বেরোতে না করেছে। কিন্তু সে না বেরোলে কে কিনে দিবে? আজকেই তো গিফট টা লাগবে। বেলী শীলার হাত শক্ত করে ধরলো,
— শীলা দ্রুত পা চালা। ঘড়ি কিনে দ্রুত ফিরতে হবে।
শীলাও বেলীর ভয় বুঝতে পারলো। আরেকবার এসেছিলো তখন কি কান্ডটাই না হয়েছে। তৃষ্ণার এতো শত্রু যে একা বেরোনা টা খুব ভয়ংকর। সবাই তো জানে বেলী আর তৃষ্ণার সম্পর্কের কথা। তৃষ্ণাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বেলীকে হেনস্তা করতে আসতেই পারে। ঘড়ির দোকানে গিয়ে বেলী ঘড়ি দেখতে লাগলো। দু হাজারের মধ্যে কিনতে হবে৷ অবশেষে সিলভার রঙের ঘড়ি বেলীর পছন্দ হলো। সিলভার রঙের মাঝে বড়সড় ঘড়িটা। সিম্পল। প্রাইস ষোলশ। দরদাম হবে না। একদম একদাম। অগ্যত বেলী কিনে ফেলল। দোকান থেকে বেরোতেই প্রায় অন্ধকার হচ্ছে। সন্ধ্যার আজান দিচ্ছে৷ এবার শীলা নিজেই তাড়া লাগালো,
— চল চল। রাত হয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ সকলের দৌঁড়ানো দেখে বেলী কেঁপে উঠলো।
— কি হয়েছে?
শীলা বেলীকে নিয়ে চেপে দাঁড়ালো,
— মনে হচ্ছে মারামারি চলতেছে। তারাতাড়ি চল।
ঘাটে ফিরতেই দেখল মাঝি নেই। একটা মাঝিও নেই।
চলবে,