“চাঁদ হয়ে রবো”
~খাদিজা বিনতে হক
পর্ব- ১২
হাত দিয়ে গল গল করে রক্ত পরছে।পৌষীর।
দুগাল লাল।অনেক গুলো চর মেরেছে।
তুষার নিজেকে আটকে রাখতে পারছে না।
পৌষীর ওই গালে যে অন্য কেউ হাত দিয়েছে।
কতো গুলো চর মেরেছে নিজেও জানে না।
রাগের বসে।নিজের কোমর থেকে বেল্ট খুলে
মারা শুরু করেছে।হাতে যতোক্ষন জিম না লেগেছে ততক্ষণ মেরেছে।
হাতের কাছে কেঁচি পেয়েছে।
সেটা দিয়ে।কাপড়ের মতো কেটে ফেলতে ইচ্ছে করছে ওর হাত।এই হাত দিয়ে যে ও অন্য কোনো পুরুষকে স্পর্শ করেছে তাই।ভাবতেই কেঁচি ধরলো ওর হাতে।কাপড়ের মতো হাত না কাটলেও।
অনেকটা খারাপ ভাবে হাত কেটে গেছে।
পৌষীকে আঘাত করার কারণ যেনো খুজ খুজে আসছে ওর কাছে।
এতো মারার পরও ওর সাদ মিটছে না।
হাতের কাছে।পুরনো ব্লেড উঠিয়ে ওর হাতে রাখতে যাবে তখন।তনয় ছুটে এসে আটকে দেওয়াতে উলটো ওকে মেরেছে তুষার।
,
পৌষী দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে ধপ করে মাটিতে বসে পরলো।হাত খোপা করা চুল গুলো।
খুলে আচরে পরলো ওর কাধের উপর।
ঠোট ফেটে রক্ত পরছে।ঠোটে এতো জোরে চর মেরেছে দাঁতের সঙ্গে লেগে কেটে গেছে।
ঠোটে চর মারার কারণ ও হেসে হেসে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলেছে।তুষারের রাগ কমছে না ওর মনের আস মিটিয়ে মারার পরও রাগ কমেনি।রুম থেকে বেরিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলো।ছাদের রেলিং ঘেসে পা পেতে বসে পরলো।
সিগারেট ধরিয়ে পাঁচ আঙুলে মুষ্টিবদ্ধ করে মুরিয়ে ছুরে ফেলে দিলো।আবার একটা ধরিয়ে মুখে পুরে দিলো।সে আজ থামবে না সিগারেট খাওয়া।
ওর রাগ পুরিয়ে শান্ত হবে।
,
পোষী মেজেতেই শুয়ে পরলো।
আজ পালিয়ে জেতে পারলে তাই করতো।
কিন্তু যার চারো দিক ভাকা সে দরজা বন্ধ করে কি করবে।ঠোট ফেটে রক্ত মেজেতে পরলো।গরিয়ে ওর গাল ভর্তি করে দিল।ফর্শা গালটা রক্তে লালচে হলো।
,
রেশ হাসলো।আসফিকা ওর কাধে হাত রেখে বলল।
“মেয়েটা কে?”
রেশ মাঝ নদীর ঢেউ তোলা চাঁদের আলোর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল
“পেয়ে গেছি।আমার ছোটো বেলা কার পৌষীকে।
জানিস আস ও ছোটো বেলা বলতে
আমার নাম পৌষী।
পৌষী মানে শিশি।
ওর চেহারার গরন ও আগের মতো রয়ে গেছে।
দেখলি না।গালে টোলপড়া।পাশে।বড় কালো তিলটা।
রেশের কন্ঠো জিম দিয়ে গেলো।সব কথার মাঝে পোষী আরও একটা কথা বলতো।
,
“জানিস আমার বা গালে তিল।
মা বলতো।বা গালে তিল থাকলে।
দঃখ হয়”
রেশে পৌষীর মোটা মোটা বেনি দুটো দু দিকে টেনে বলতো।
“ছাতার মাতা হয়!!
শিশি হয়।”
,
পোষী তখন রাগ করে চলে যেতো।
রেশ সংকোচ মেশানো কন্ঠে আসফিকার কাছে জানতে চাইলো।
“আস আমার পৌষী ভালো আছে তো।নাকি বা গালে দুঃখ ওকে ধেয়ে বেরায়।দেখলি না ছেলেটা ওকে কিভাবে।হিংস্র পশুর মতো টানতে টানতে নিয়ে গেলো।কিছু কি করবে ওকে”
আসফিকা ঠায় দাড়ীয়ে রইলো।
ওর এমন অনেক প্রশ্নের সমুক্ষিন হয় ও বারবার যার উত্তর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
,
তুষারের হাত পুরেছে।ঠোট পুরেছে।তার পর ও।
হাত থেকে সিগারেট ফেলেনি।রাগ মানুষকে হিংস্র করে দেয়।হিংস্রতা মানুষকে পোরায়।
পোরতে সেখায়।আবার সব কিছু পুরিয়ে ফলতে বাদ্ধ করে।
,
তনয় দরজার আরাল থেকে উকি দিয়ে দেখলো পৌষী এলো মেলো ভাবে।মেজেতে শুয়ে।
এগিয়ে জাবার সাহস ওর কাছে নেই।
তুষার আবার ওর রাগ মেয়েটার উপর ঢালবে।
সব সময়।অন্যের রাগ মেয়েটার উপর কেনো ঢালতে হয়।বোজে না।
,
ওর কি ওই ছেলে টাকে কিছু করা উচিৎ ছিলো না।
অদভুত।তনয় জেনো এর থেকে বেশি কিছু ভাবতে পারলো না।
,
তুষার ভাই কি পাগল হয়ে গেছে।
ন
াকি ওর মনে অন্য কিছু চলছে।
ছেলেটা তো আবার মন গভিরে।কাউকে কিছু বলে না। যা বলার নিজে বলে ।নিজে বুজে।
নিজে করে ।তাও এই নিঃশপাপ মেয়েটার সাথে।
এসব হিজি বিজি ভাবছে তনয়।দারজার ওপাশে কিছুখন দারিয়ে চলে গেলো।
,
তুষার বেস অনেক রাতে ঘরে ঢুকলো।
পৌষীকে মেজেতে শুয়ে থাকতে দেখে।
কোলে তুলে বিছানায় শুয়িয়ে দিলো।
হাতে ড্রেসিং করে।ব্যান্ডেজ করে দিলো।
ঠোটের পাসের রক্ত খুব সাবধানে পরিষ্কার করে দিলো।হেক্সিসল এর জলাতে বারবার ডুকরে কেপে উঠে বলল
“আমাকে আর মারবেন না।খুব ব্যথা।আমি কোনো দিনও কারো সঙ্গে কথা বলবো না।”
,
তুষার অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সত্যিই ও অনেক অন্যয় করেছে মেয়েটার উপর।
ওর গায়ে চাদর টেনে দিয়ে।
কপালে উষ্ণ পরস ছুয়ে।শাড়ী আচলের নিচ থেকে হাত ঢুকিয়ে ওকে জরিয়ে শুয়ে পরলো।
আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে।পৌষী ওকে ছারানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।
অসার শরীরের অক্লান্ত প্রচেষ্টা।
তুষার কে ওর উপর থেকে সারানোর শক্ত ওর নেই।
বাদ্ধ হয়ে চুপ করে শুয়ে পরলো।।
,
চলবে,,
,
,
(স্যরি আমি খুব ব্যস্ত তাই ছোটো করে দিলাম।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ)