সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১৪
আরু দরজা খোল তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে।
আরাধ্যা দরজা খুলে দিল।
রিধিঃ কি ভাবী করছিলেন?
(চোখ মেরে😜)
আরাধ্যাঃ কিহহহহহ?
কিসের ভাবী? কই ভাবী?
রিধিঃ ওলে পনেরো দিন পর তুই তো আমার ভাবীই হবি।
আরাধ্যাঃ কি বলছিস এগুলো?
রিধিঃ শুন তাহলে।
তোর বাবা মা আর আমার আব্বু আম্মু তোর আর ভাইয়ার বিয়ে ঠিক করছিলেন। কিন্তু এখন তো ওরা….
থাক ওসব কথা।
ভাইয়া একটু আগেই বলল ১৫ দিন পর তোকে বিয়ে করবে। আসলে ভাইয়া অনেক আগ থেকেই তোকে ভালোবাসে। তুই বলতি না তোকে এতো শাসন করে কেন? কারণ তোকে অনেক ভালোবাসে তাই৷
আর তোকে কখনও বলেনি, তুই তো পিচ্চি কিচ্ছু বুঝিস না। ভাবছিল তুই নিজেই বুঝে নিবি।
আরাধ্যাঃ ও তাই? ভালোবাসা? বিয়ে?
তাও তোর ভাইয়ার সাথে আমার? কখনোই পসিবল না।
রিধিঃ মানে কি আরু?
এমন কেন বলছিস?
আমার ভাইয়ার কোন সাইড তোর কাছে খারাপ লাগে বল?
কতো টা পাগল তোর জন্য ভাইয়া জানিস তুই?
আরাধ্যাঃ তুই ভুল ভাবছিস?
তোদের কোনো দোষ নেই আসলে। এসব ওই লোকটার চাল। তোরা এখনও বুঝতে পারিস নি যে ওই লোকটার গফ আছে। এসব করছে যাতে আমি নিযে এ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই৷ আমি তাই করবো। তোর ভাইয়া কে বলে দিস এতো নাটক করতে হবে না তার।
রিধিঃ আরু তুই আমাদের কথা একবারও ভাবলি না?
সবাই তোকে কতো টা ভালোবাসে। আর ভাইয়ার গফকে বল আমাকে? আমি দেখবো সব।
আরাধ্যাঃ সরি রিধি।
আমি জানি সবাই আমাকে খুব ভালোবাসে। আর তুই আমার বেস্টু। খুব মিস করবো তোদের। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।
আর আমি জানি না কে স্যারের গফ। তবে ওর দিন সকালে দেখিস নি স্যার কোথা থেকে এসেছিল।
ওনার ঠোঁট ঘাড়ে নখের আঁচড় এসব দেখলে তো যে কেউ বুঝবে রাতে উনি কোথায় ছিল। তুই একটু ভেবে দেখ রিধি।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে রিধি বলল,
হুম হয়তো। তাহলে ভাইয়া তোকে কেন বিয়ে করতে বলবে?
আরু তোর গালে কি হইছে?
আরাধ্যাঃ ও কিছু না।
রিধিঃ মিথ্যা বলছিস?
ভাইয়া তোকে আবার মারছে তাই না?
আমি জিজ্ঞেস করবো যাচ্ছি।
আরাধ্যাঃ রিধি প্লিজ,
আর অশান্তি করিস না বাসায়, থাক না এসব৷
রিধি চলে গেল।
.
.
.
কেন যে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারি না?
কি করবো এখন? আরু কি আদো রাজি হবে বিয়ের জন্য? কি ভাবে মানাবো ওকে? ইসসস ওর তো কোন দোষই ছিল না। বেশি ভালোবাসি ওকে। কেন যে বোঝে না মেয়ে টা?
সব কিছুর মূল ওই মাহিন।
খুন করতে ইচ্ছে করছে৷
নিজে নিজে কথা গুলো বলছে আরিয়ান৷
.
.
.
রিধি রাজকে কল দিয়ে সব জানালো।
রাজঃ তোমরা আরিয়ানাকে চিনতে ভুল করছো। ওর কোনো গফই নেই। থাকলে সবার আগে আমি জানতাম। আর ওই রাতের ব্যাপারে আমি সব জানি৷
রিধিঃ কি জানো?
বলো না প্লিজ।
রাজঃ তুমি এখনো ছোট,
ওসব তোমার না জানলেও চলবে। তবে যা হয়েছে আরিয়ান আর আরাধ্যার মাঝেই হয়েছে। সেটা আরু নিজেও জানে না।
রিধিঃ বলবে না তো?
(রেগে গিয়ে 😡)
রাজঃ দূর পাগলি তোমার ভাইয়া কি করছে ভাবীর সাথে ওটা তোমার জানা টা কি ঠিক হবে?
রিধিঃ হুম।
কিন্তু আরুকে কে বোঝাবে?
রাজঃ ওটা আরিয়ানের উপর ছেড়ে দাও।
আসো পাখি আমরাও
একটু রোমান্স করি।
রিধিঃ আমি আছি টেনশনে আর তোমার রোমান্স করতে মন চায়।
.
.
.
স্যার আমাকে বিয়ে করতে কেন চাচ্ছে? কি চায় আসলে স্যার? ভালোবাসে মানে সত্যিই কি আমাকে?
না আমি আর দুর্বল হবো না ওই লোকটার প্রতি। অনেক সহ্য করেছি আর না। কাল সকালেই চলে যাব এখান থেকে।
ভাবছে আরাধ্যা।
.
.
.
সব শুনে আরিয়ানের মাথা গরম হয়ে আছে। রাজ ওকে সব জানিয়েছে।
আরিয়ান ভাবছে,
না আর মাথা গরম করবে না সে। আরাধ্যাকে সব বুঝিয়ে বলতে হবে।
কিন্তু কি ভাবে বললে?
আর আরাধ্যাও কি বিশ্বাস করবে তাকে?
রাজকে একটা কল দেওয়া যাক। ও কোন আইডিয়া দিতে পারে। লক খুলতেই আরাধ্যার ছবি স্ক্রিনে ভেসে আছে। সেদিন পার্টিতে যে গাউন টা দিয়েছে ওটা পরা ছবি টা।
ও সেদিনের পিকচার গুলো তো দেখাই হলো না। দেখি সেখানে কিছু পাওয়া যায় কি না। গ্যালারি তে গিয়ে একদম ফাস্টেই ভিডিও দেখতে পেল।
অন করে যা দেখলো আরিয়ান তো খুশিতে পাগল প্রায়। সে যা চেয়েছে তাই পেয়ে গেছে।
ভিডিওতে প্রথমে কিছুক্ষণ আরুর ফেইস দেখা গেলেও পরে শুধু কথা গুলো শুনা যাচ্ছে। আর মাঝে মাঝে ওদের রোমান্স গুলো দেখা যাচ্ছে। আর ভিডিও টা যে আরু করছে তা তো একদম ক্লিয়ার।
উফফফ আরুউউউউ বেবি তুমি নিজেই নিজেকে আমার কাছে নিয়ে এলে।
বলল আরিয়ান।
.
.
আরাধ্যা সব গুছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছে না।
বিকেল হয়ে গেছে কি করবো কই যাবো আমি?
সকালেই চলে যাওয়ার কথা আর এখনও আছি এখানে? মিতুকে কল দি।
ভাবছে আরাধ্যা।
.
.
মাত্র অফিস থেকে এসেছে আরিয়ান। সোফায় বসে আছে সে। ভাবছে এখনি আরুর সাথে কথা বলবে।
কলিংবেলের শব্দ শুনে দরজা খুলে যা দেখলো আরিয়ান মাথায় রক্ত চড়ে গেছে।
চলবে………
(