সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১৮
আরাধ্যাঃ হ্যালো!
কিরে বিয়ে করছিস,
কিন্তু আমাদেরকে জানানোর প্রয়োজনও মনে করলি না? এতো স্বার্থপর হয়ে গেছিস? ফোনের ওপাশ থেকে বলে উঠলো আরাধ্যার ফ্রেন্ডরা।
আরাধ্যাঃ না,
আসোলে আমার কাছে ফোন ছিল না রে। আজকেই দিয়েছে স্যার।
নীলাঃ হুম,
বুঝছি সব, আর বলা লাগবে না।
আরাধ্যাঃ কিন্তু তোরা কেমনে জানলি?
রুপাঃ এই শুন,
তুই ইনভাইট না করলেও আরিয়ান ভাইয়া আমাদেরকে স্পেশালি ইনভাইটেশন দিয়েছে।
আর আমরা বিকেলেই আসছি৷
আরাধ্যাঃ হুম,
তোদের ছাড়া তো আমার বিয়েই হবে না।
জয়াঃ হুহহ তা তো দেখছিই।
আরাধ্যাঃ সরিইইইই
আসোলে আমি ভেবেছি রিধি তো তোদের বলবেই,
সরিইইই রে।
প্রিয়াঃ রিধিইইই?
ওই পেত্নীর কথা তো না বলাই ভালো৷ রাজ ভাইয়াকে পেলে তার আর কোনো দিকে কি খেয়াল থাকে?
তোর ভাগ্য অনেক ভালো রে।
আরিয়ান ভাইয়ার মতো হ্যান্ডসাম + হট + রোমান্টিক বর পেয়েছিস।
ইসসস আমি যদি পেতাম।
আচ্ছা বিকেল কথা হবে নাউ বাই।
আরাধ্যাঃ ওক্কেইইইই।
.
সত্তিইইই এতোদিন পর একটু ভালো লাগছে।
সবার সাথে কতো দিন পর কথা হলো। আর আজ তো দেখাও হবে।
ভাবছে আরাধ্যা।
.
.
.
খুব জামকালো ভাবে আজ আরিয়ানদের বাড়ি টা সাজানো হয়েছে।
আফজাল সাহেবর এক মাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা।
সবাই আজ বেশ খুশি।
.
.
.
আরিয়ান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
পাশে রাজ, উদয়, অর্জুন, রুদ্র, পিয়াস,…… আরো অনেক বন্ধুরা আছে ওর।
আরিয়ান আজ ফরমাল ড্রেস পরেছে। শার্ট প্যান্ট কোট। ওকে জাস্ট অস্থির লাগছে।
অর্জুনঃ দোস্ত,
আজকে তোরে দেখি মাইয়ারা তো অজ্ঞান হই যাইবো।
রাজঃ অজ্ঞান অই আর কি লাভ। হেতের এখন বউ আছে।
রুদ্রঃ আরে বিয়া হইতে এখনও ৩ দিন দেরি,
যা এনজয় করার করেনে আজ।
উদয়ঃ আরিয়ান আগেও ভালো ছেলে ছিল এখনও ভালো ছেলে হয়ে থাকবে,
তাই না দোস্ত?
পিয়াসঃ হ, ভালো হই যা।
আজকে থেকে বউয়ের গোলাম হওয়ার প্রস্তুতি লও দোস্ত।
আরিয়ানঃ আরাধ্যার মনের গোলাম তো সেই কতো আগেই হই গেছি। আজ আর কি?
.
তোমাদের শেষ হইছে?
আমি একটু আরিয়ানের সাথে কথা বলবো।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন আফজাল সাহেব।
রাজঃ জ্বী আংকেল।
তোরা সবাই চল।
.
আফজাল সাহেবঃ বাবা,
৩০ বছর আগে আমিও এই জায়গায় ছিলাম।
আজ থেকে তোমার নতুন জীবন,
আরুর বাবা মা বেঁচে নেই।
মেয়েটা জীবনে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। ভালোবাসা বিয়ে ওর সব কষ্ট মুছে দিতে পারবে তো?
আরিয়ানঃ জ্বী,
ইনশাআল্লাহ বাবা।
তোমাদের দোয়া থাকলে সব পারবো।
আমার দোয়া সব সময় তোমার জন্য,
বললেন আফজাল সাহেব।
.
.
.
ইসসস নজর না লাগে যেন চান্দেরও গায়ে। আজকে তো ভাইয়া আবার পাগল হয়ে যাবে।
আরাধ্যার উদ্দেশ্যে বলল রেশমি।
নীলাঃ ঠিক বলছো আপু।
আরাধ্যা আজ একদম ওয়াইট কালারের একটা গাউন পরেছে।
মাথায় নেটের ওড়না।
চুল গুলো উপড় করে বাধা। কানে ডায়মন্ডের দুল। ঠোঁটে লাল লিপ্পি।
খুব সুন্দর লাগছে আরাধ্যাকে।
.
.
.
সবাই নিচে দাঁড়িয়ে আছে।
আরিয়ান আর আরাধ্যা হাত ধরে সিড়ি দিয়ে নামছে। ভিডিও ম্যান ভিডিও করছে। সবাই ওদের ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত। আরিয়ান আরাধ্যার কাছে গিয়ে আস্তে করে বলল,
আমাকে আজই তোমার রুপের আগুনে পুড়ে ফেলার প্ল্যান করেছো?
বাসর রাত পর্যন্ত যেতে দিবে না মনে হচ্ছে।
.
আংটি বদল হলো।
সবাই মিষ্টি মুখ করছে।
কাল আরাধ্যা আর আরিয়ানের হলুদ।
চলবে