সীমাহীন পর্ব ১৯

সীমাহীন
#Meherika_Ayat
(আরাধ্যা)
পর্ব ১৯
আজ আরু ও আরিয়ানের হলুদ।
পুরো বাড়ির থিম হচ্ছে আজ সাদা কালারের।
মেয়েরা সবাই সাদা লেহেঙ্গা আর সাথে খয়েরী কালারের ওড়না পরেছে৷
আর ছেলেরা খয়েরী কালারের পাঞ্জাবী।
আরাধ্যাকে সাদা লেহেঙ্গা সাথে হলুদ ওড়না পরানো হয়েছে।
আরিয়ান হলুদ পাঞ্জাবী পরেছে।
আরু ও আরিয়ানকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে।
.
.
.
আরিয়ানের পাশে গিয়ে রুদ্র বলল,
রুদ্রঃ দোস্ত,
আর আজাকের রাত টা ওয়েট কর।
কালকে তো উফফফসসস।
আমার তো কইতে শরম লাগের।
আরিয়ানঃ এমন ভাবে কছের লাগে যেনো তোর বাসর রাত কাল।
রুদ্রঃ আমার হলে তো কথাই ছিল না।
আমি কি আর তোর মতো ভাল ছেলে নাকি?
আমি তো সব আরো আগেই করে ফেলতাম।
.
হইছে আপনাদের কথা শেষ? ভাইয়াকে হলুদ লাগাতে আম্মু আসতেছে।
বলল রিধি।
.
হলুদ পর্ব শুরু হলো,
আফজাল সাহেব ও ফাতেমা বেগম এসে আরিয়ান ও আরুকে হলুদ লাগালেন৷
সাথে একটা গয়নার সেট দিয়ে গেলেন।
এরপর রেশমি আর রিধি,
তারপর রাজ ও উদয়।
এভাবে একে একে সবাই হলুদ লাগালো আর গিফট দিয়ে গেল।
.
.
.
সকাল থেকে বেশ ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন চলছে৷
পার্লার থেকে আরুকে সাজানোর জন্য মেয়েরা এসেছে।
আজ আরিয়ান মেরুন কালারের শেরওয়ানী পরেছে।
আর আরুকে পরিয়েছে গোল্ডেন আর মেরুন কালারের লেহেঙ্গা।
একদম সিম্পল ভাবে সাজিয়েছে আরাধ্যাকে।
কিন্তু সারা শরীরে গয়নার জ্বলকানীতে অপরুপ লাগছে আরাধ্যাকে।
নীলাঃ আরু,
আজ তো আরিয়ান ভাইয়া চোখই ফেরাতে পারবে না তোর উপর থেকে।
মিতুঃ আরু রাতে কি কি হবে সব কিন্তু বলবি সকালে আমাদেরকে।
(ফিসফিস করে)
আরাধ্যা তো লজ্জায় লাল হয়ে আছে।
রেশমিঃ হয়েছে হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না আম্মু আসছে একটু কথা বলবে আরাধ্যার সাথে।
সবাই চলে গেছে,
রুমে শুধু আরু ও ফাতেমা বেগম।
ফাতেমা বেগমঃ আরু,
আজ মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে না? আমি জানি তো
আরাধ্যা কেঁদে দিল ফাতেমা বেগমকে ধরে।
ফাতেমা বেগমঃ কাঁদিস না,
আচ্ছা আমি বুঝি তোকে মায়ের মতো ভালোবাসি না?
আরাধ্যাঃ না আম্মু তা নয়৷
ফাতেমা বেগমঃ তাহলে আর কান্না কিসের।
এখন থেকে আমিই তোর মা। মনে থাকবে তো?
আরাধ্যাঃ একদম৷
ফাতেমা বেগম আরাধ্যার কপালে আলতো করে চুমু দিলেন৷
.
তোরা ওকে নিচে নিয়ে আয় বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলেম ফাতেমা বেগম।
.
.
.
আরিয়ান ও আরাধ্যা পাশাপাশি বসে আছে৷
আরিয়ানঃ মাই কুইন,
তোমাকে অস্থির লাগছে৷
ইসসস কখন যে রাত হবে আর তোমাকে মন ভরে দেখবো।
আরাধ্যাঃ রাতে আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে স্যার।
আরিয়ানঃ রিয়েলি?
কি সারপ্রাইজ?
একটু ক্লু দাও তো, বাকি টা আমি বুঝে নিতে পারবো।
আরাধ্যাঃ তা তো রাতেই দেখবেন,
তবে তা আপনার কল্পনার বাইরে।
দুজনে আস্তে আস্তেই কথা গুলো বলছে।
আরিয়ান বেশ বুঝতে পেরেছে, কিছু একটা তো করবেই আরাধ্যা।
.
.
.
বাসর ঘরে বসে আছে আরাধ্যা৷ পাশে রিধি, মিতু, নীলা, প্রিয়া, জয়া, রেশমি আরো অনেকেই আছে।
রিধিঃ ওই শুন তোরা,
টাকা ছাড়া কিন্তু ভাইয়াকে রুমে ডুকতে দেওয়া যাবে না, মনে থাকে যেন।
ওক্কেইইইই বস,
সবাই এক সাথে বলে উঠলো।
.
আরিয়ান ওর বন্ধুদের সাথে অন্য রুমে আছে।
পিয়াসঃ দোস্ত,
সকালে কিন্তু সব কইবি৷
আমার সময় আমি তোরে সব কইছিলাম না?
রাজঃ কিহহহ?
সব কইছিলি? আহহহ আমারে তো কেউ কয় নাই।
উদয়ঃ বাদ দে তো।
দোস্ত চল তোরে আরাধ্যার হাতে তুলে দিয়ে আসি৷
রুদ্রঃ হায়রে😭😭😭😭
আজকে আমাগো দোস্ত শেষ।
.
বাসর ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, আরিয়ান ও তার বন্ধুরা।
টাকা ছাড়া এক পাও ভেতরে ঢুকানো যাবে না।
রুমের ভেতর থেকে বলল রিধি।
রুদ্রঃ ছি ছি ছি,
তুমি তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা চাও?
রিধুউউউউউউ আমার কাছে শুধু টাকা না অনেক কিছু আছে৷
রাজঃ সাইড় প্লিজ
তুমি আমার সাথে এমন করবা রিধুউউউ?
রিধিঃ আপনি কে এসেছেন গো?
রাজঃ ওকে, মনে থাকবে আমার সব।
আরিয়ানঃতুই বোন হয়ে আমার সাথে এমন করিস?
দাঁড়া তোকে বিদায় করে তো আমার শান্তি।
নে ধর টাকা,
১০০০০ হাজার টাকার বান্ডেল দিল আরিয়ান।
.
.
.
বাসর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল আরিয়ান।
আরাধ্যাঃ আপনাকে আমার কিছু বলার আছে।
আরিয়ানঃ তোমার সব কথা শুনার জন্য আমি প্রস্তুত বউ সোনা।
আরাধ্যাঃ আমি আপনাকে ভালোবাসি না,
আমার থেকে দূরে থাকবেন।
কাছে আসার কোন রকম চেষ্টাও যদি করেন,
তাহলে আমি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।
আরিয়ান আরাধ্যার কাছে আসতে থাকলো।
চলবে….
(খুব প্রব্লেমে আছি। গল্প দিতে লেট হতে পারে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here