সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ২০
আরাধ্যার কথা শুনে যেন আরিয়ানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
আরিয়ান আরাধ্যার দিকে এগোতে থাকে,
আরাধ্যা পিছিয়ে যাচ্ছে।
আরাধ্যাঃ কি?
কি করতে চাচ্ছেন আপনি?
আরিয়ানঃ যা করার প্রয়োজন, তাই করছি।
আরাধ্যাঃ হুম, আমি তো জানতামই
বিয়ে তো আমাকে করেছেনই ভোগ করার জন্য।
কোনো ভালোবাসা না, সব মিথ্যে অজুহাত।
আরিয়ানঃ যা ভাবার ভাবতে পারো।
আরিয়ান আরাধ্যার একদম কাছে চলে এসেছে।
আরাধ্যা চোখ বন্ধ করে ফেলেছে।
আরিয়ানের নিশ্বাস এসে পড়ছে, আরাধ্যার মুখে।
হাত বাড়িয়ে খাটের কোণ থেকে একটা বালিশ নিল আরিয়ান।
আরাধ্যা চোখ খুলে দেখলো আরিয়ান সোফার উপর বালিশ রাখছে।
আরিয়ানঃ আমি সোফায় সুয়ে পড়ছি,
তুমি খাটে ঘুমোতে পারো নিশ্চিন্তে।
আরাধ্যা তো আরিয়ানকে দেখে অবাক হচ্ছে,
সত্যি মানুষ টা আমাকে ভালোবাসে? নাকি সব মিথ্যে অভিনয়।
ভাবছে আরাধ্যা।
আরিয়ানঃ কি ভেবেছিলে? এসব করলে আমি তোমাকে ছেড়ে দিব?
এই চিনলে তুমি আমাকে?
তোমাকে যদি জোর করেই কিছু করার ইচ্ছে থাকতো, তাহলে আরো আগেই কি করতে পারতাম না বলো? আমি করলে তুমি কি কিছু করতে পারতে? কাউকে বলতে পারতে? আর বললেও কি হতো আমার?
কিন্তু না, আমি সত্যি তোমাকে ভিষণ ভালোবাসি আরাধ্যা। যেদিন তুমি নিজ থেকে আমাকে কাছে টেনে নিবে,
সেদিনই আমি তোমার কাছে আসবো৷
এর আগ পর্যন্ত না হয় দূর থেকেই ভালোবাসি।
কথাগুলো বলে আরিয়ান সুয়ে পড়লো সোফায়।
আরাধ্যা ভাবছে,
স্যার তো ঠিকই বলেছে। সেদিন আমি নেশার ঘোরে ছিলাম, তাও স্যারেরই কাছে।
কিন্তু স্যার তো কিচ্ছু করেনি।
রাফি কি বলতে চাইছিল আমাকে তাহলে?
কিছুই মাথায় ঢুকছে না, উফফফফফফ…..
.
.
.
রাজঃ কি করছে ওরা এখন?
রিধিঃ কি করবে? কত্তোওওও কিছুউউউউউ।
রাজঃ আমাদের নাম্বার কোন দিন আসবে পাখি?
রিধিঃ তোমার খালি এসব ভাবনা, ফাজিল।
রাজঃ আমরা তো এখনও করতে পারি,
বিয়ে করা পর্যন্ত ওয়েট করা লাগে নাকি?
রিধিঃ অবশ্যই,
বিয়ের পরেই সব হবে। রাতের ১ টা বাজতেছে,
যাও ঘুমাও। সকালে কথা হচ্ছে।
রাজঃ একটু কিছুও পাবো না নাকি? (মন খারাপ করে)
রিধি রাজের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল।
৫ মিনিট পর….
রিধিঃ হইছে? এবার তো ঘুমোতে যাবেন।
রাজঃ হুম, লাভ ইউ পাখি।
.
.
.
আরাধ্যা ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো, আরিয়ান ঘুমিয়ে গেছে সোফায়।
আরাধ্যা শাড়ি পরতে পারে না, তাই টপস আর পালাজ্জো পরে নিয়েছে। সকালে রিধিতাকে বলবে তাকে শাড়ি পরিয়ে দিতে৷
কি নিষ্পাপ লাগছে স্যারকে, আসলেই তো আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমার কেন মনে হচ্ছে কিছু একটা লুকিয়েছে সবাই আমার কাছ থেকে? ভাবছে আরাধ্যা।
ইসসসস কতো রাত হয়েছে, না এবার ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে তো আবার উঠতে হবে।
মনে মনে বলল আরাধ্যা।
.
কিসের যেন আওয়াজে আরাধ্যার ঘুম ভেংগে গেল, মনে হচ্ছে কেউ তার দিকে এতোক্ষণ তাকিয়ে ছিল৷ উঠে বসে দেখলো কেউ নেই।
স্যার সোফায় নেই কেন? হয়তো ওয়াশরুমে গেছে।
কিছুক্ষণ পর আবারও শব্দ শুনতে পেল,
চেয়ার টানার শব্দ হচ্ছে, হাটাহাটির শব্দও পাচ্ছে আরাধ্যা। আরো কিছুরও শব্দ।
কিন্তু কোথা থেকে আসছে শব্দগুলো আরাধ্যা ঠিক বুঝতে পারছে না।
আরাধ্যা খাট থেকে নেমে ওয়াশরুমের দিকে গেল। কই স্যার তো এখানে নেই। বারান্দায় গিয়ে দেখলো, এখানেও নেই। দরজাও বন্ধ,
তাহলে কোথায় গেল স্যার?
ভাবছে আর অবাক হচ্ছে আরাধ্যা।
খুজতে খুজতে রুমের দেয়ালের কাছে যেতেই
শব্দটা যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে।
ভয়ে কেঁপে উঠলো আরাধ্যা।
তাড়াতাড়ি করে খাটের উপর এসে লেপ মুড়ি দিয়ে সুয়ে পড়লো আরাধ্যা।
চলবে…….
(সরি আসলে অনেক প্রব্লেমে পড়েছি। ফ্যামিলি থেকে প্রব্লেম টা। আরাধ্যা আর আরিয়ানের মিল করবো নাকি নিজের আরিয়ানের সাথে ভালো থাকবো। ফ্যামিলিতে কাউকে বোঝাতেই পারতেছি না। প্লিজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো আমার জন্য ভালো করে দোয়া করবেন।
যেন আমি আমার আরিয়ানকে পাই। আর গল্প দিতে দেরি হতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে আবার ফিরে আসবো আগের মতো। আমাদের জন্য দোয়া করবেন,
যেন আমরা এক হতে পারি।)