dangerous love পর্ব -২০+২১

#DangerousLover
#AngleMoonAngleMoon
#Part20,21
আনুশকার জ্ঞান ফিরছে ।
আগুন টেনশনে ছিলো ।
এখন আনুশকার জ্ঞান ফিরাতে সে সস্তি পেলো
.
আগুন আনুশকার মাথায় হাত বুলাতে থাকলো ।
আনুশকা এক ঝটকায় হাতটা সরিয়ে নিলো আর উপর পাশৈ মুখ ফিরিয়ে নিলো
.
আগুন আবারও আনুশকার মাথায় হাত বুলাতে থাকলো.

সে কিছুটা অনুতপ্ত হলো
তার নিজের করা কাজে.
সে রেগে এমন কাজ করেছে আনুশকার সাথে ।
.
আগুন আনুশকাকে নিজের কাছে টেনে এনে মলম লাগিয়ে দিলো.
মলম লাগানোর সময় আনুশকা আগুনকে খামছে দিয়ে ধরছিলো বার বার.

.
আগুন খেয়াল করলো আনুশকা কিছু বলছেনা ।

.
আগুন : ডিয়ার আমার উপর অভিমান করে আছো???
অনেক ঝাল লেগেছিল খাবার খেয়ে. কোনোভাবেই কমছিলোনা ঝালটা ।আমার মাথা ঠিক ছিলোনা. মাথা কাজ করছিলোনা ।
শুধু সামনে এই একটা উপায় ছিলো,, তোমার গায়ের মিষ্টি গন্ধ দুনিয়ার সব থেকে মিষ্টি ।
তাইতো তোমাকে দিয়েই ঝালটা কমালাম ।
.
আনুশকা কোনো কথা বলছেনা আগুনের সাথে.
সে চুপচাপ শুনছে তার কথা.
.
আগুন : ডিয়ার আমি বুঝতে পারিনি তোমার কষ্ট হচ্ছিলো, আসলে রাগে আমার মাথা ঠিক ছিলোনা ।
.
তুমি তো জানো রাগে আমার মাথা ঠিক থাকেনা ।
আর এতো ঝাল লেগেছিল যে আমি মরেই যেতাম তখন ওরকম কাজ না করলে
.
আমি মরে গেলেতো তুমি বিধবা হতৈ. তখন তোমার ফিউচার কি হতো. তোমাকে কে দেখতো. অল্প বয়সে স্বামীর আদর থেকে বনচ্ঞিত হতে.
বিষয়টি ভালো দেখাতো না.
বলেই আগুন একটা শয়তানি হাসি দিলো ।
.
.
আনুশকা : .মরিচ না বিষ দিলেই হতো. তাহলে আমার এরকম সিচিয়েশন হতোনা ।
.
আমি আদর থেকে বনচ্ঞিত হবো কেনো .আর তুই মরলে আমি আবার বিয়ে করতাম. আর আমার বাবার টাকা তোর থেকে বেশি আছে. উনি আমাকে দেখতেন.
.
আগুন আনুশকাকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরলো.
আনুশকা কিছু বলেনি ..সে আগুনকে চিনেছে. যেটা না করবে সেটি বেশি করবে ।
তাই যেচৈ নিজের ক্ষতি করার কোনো মানৈ হয়না ।
.
আনৃশকা ঘুমিয়ে পড়লো আগৃুনের বুকে ।
আগুনও ঘুমিয়ে পড়লো আনুশকাকে জড়িয়ে ধরে ।
.
সকালৈ আগুনের ঘুম আগে ভাঙলো.
.
সে দেখলো একদম বেবিদের মতো তার বুকে ঘুমিয়ে আছে আনুশকা.
.
আগুন মুচকি হাসি দিলো.
.
আগুন : সেদিন বেশি দূরে নেই যেদিন তুমি এই হায়েনাকে ভালোবাসবে আর আমার আদরের পাওয়ার জন্য বায়না ধরে কান্না করবে
I love you dear.

.
.
আনুশকার ঘুম ভাঙলো. সে নিজেকে আগুনের বুকে দেখলো ।
এমনকি পরনের ড্রেসটাও ঠিক নেই. কিছু লজ্জা পেয়ে দূরে সরে গেলো আগুনের থেকে.
.
আগুন আনুশকাকে আরো কাছে এনে নিজের নাক আনুশকার গালে ঘষতে লাগলো.
.
আনুশকা চোখ বন্ধ করে ফেললো আর নিজের হাত দিয়ে আগুনকে খামচে ধরলো.
.
আগুন : gd mr9 dear. Iove you sweet heart.
এখন ওয়াস রুমে গিয়ে গোসল করে নাও তারপর নিচে চলে এসো ।
তোমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিবো. তারপর তোমার ফেসে ঠোঠেঁ লেগে থাকা খাবার আমি খাবো.
.
আনুশকা চুপ করে আছে.কি বলবে সে. তার কিছুই বলার নেই.
শুধু চুপচাপ সহ্য করতে হবে এই স্বামী নামের হায়েনার টর্চার.
আনুশকা : আমি এখান থেকে কখনো পালাতে পারবোনা. আর পালিয়ে যাবো কোথায়???
আমার অস্তিত্ব বলতে কিছুই নেই এখন. এই হায়েনা এখন আমাকে পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে.
আমি পালালেও পালাতে পারবোনা এখন.
.
আগুন নিজের ঠোঁট আনুশকার ঠোঁটে হালকা ছোয়ালো তারপর টাওয়াল দিলো ওয়াস রুমে যেতৈ ।
.
নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিলো আনুশকাকে তারপর বরাবরের মতোই সে আনুশকার মুখে লেগে থাকা খাবার খেলো
.
এটা এখন তার রুটিন হয়েছে সব সময় আনুশকার মুখে লেগে থাকা খাবার খাওয়া ।
.
আনুশকার এখন হেভিট হয়েগেছে এই বিষয়টি ।আরো অনেক কিছু অভ্যাস হয়েছে তার. আগুনের জোর করে ভালোবাসা আদায় করার অভ্যাস. যখন তখন নানাভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করা আগুনের পছন্দ মতো.
.
সব সময় আগুনের নাক আনুশকার গালে, ঘাড়ে, ঠোটে আর কোমড়ে ঘষতে থাকা.
.
আরেকা সুন্দর অভ্যাস হয়েছে তার. আনুশকা শুয়ে থাকলে আগুন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়.
.
এটাই একমাত্র অভ্যাস যেটা আনুশকাকে সব ভুলিয়ে দেয় সারাদিনের আগুনের করা কাজ গুলো.
.
এভাবে প্রায় একমাস হয়েছে.
আগুন আর আনুশকার দিন গুলি এরকম ভাবেই কাটছিলো …
.
আনুশকা এখন কিছুটা মেনৈ নিয়েছে এসব .মেনে নিতৈ বাধ্য হয়েছে. বাট মাঝে মাঝে সে আগুনকে কাছে এলেই ধাক্কা দেয়, খাবারে মরিচ লবন মিশায়. এখানে ওখানে লুকিয়ে থেকে আগুনকে কষ্ট দেয়.
.
আগৃন নিজের মতো করে জোর করে ভালোবাসৈ আনুশকাকে ..জোর করে নিজের ভালোবাসা আদায় করে ।
.
রেগে গেলৈ আনুশকাকে কামড় দেয় আর নিজের নিয়ম অনুসারে আদর করে শাস্তি দেয় আনুশকাকে
.

অন্যদিকে সন্ত্রাস আর আরমান সাহেব পুরো প্ল্যান বানালো আগুনের কাছ থেকে আনুশকাকে কেড়ে নেওয়ার আর তাকে শাস্তি দেওয়ার ।
_#চলবে,,,
.
#Dangerou_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_21
(ফিজিক্যালি আমি অনেক দিন ধরে অসুুস্থ সেজন্য গল্প বড় করে গুছিয়ে লিখতে পারিনা,,,গল্পটা লিখে আটকে গিয়েছি,, আপাতত আপনারা এই সর্ট গল্পটা শেষ করতে দিন তারপর সুস্থ হয়ে নেক্সস্ট এরকম গল্প বড় করে আরো রোমান্টিক ডেনজারাস গল্প আপনাদের দিবো ।)
_
আনুশকা বারান্দায় হাওয়া খাচ্ছে ।আগুন অফিসে গিয়েছে ।
বিদেশের কোম্পানির একটা শাখা এখানে খুলৈছে, সেখানে গিয়েছে ।
_
হঠাৎ আনুশকার চোখ কেউ বেধে ফেললো,, আর তাকে টেনে টেনে কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে ।
_
আনুশকা জোরে জোরে চিল্লাচ্ছে,,,
_
আনুশকা : কে তুম??? আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো??
তুমি জানোনা আমি কার ওয়াইফ???
ডেনজারাস হায়েনার ওয়াই,,
আমার হায়েনা বর জানতে পারলে তোমাকে জিবন্ত কবর দিবে ।
_
লোকটা কিছুই বলছেনা,,
হঠাৎ আনুশকার চোখ খুলে দিলো,,,
চোখ খুলেই আনুশকা দেখলো একটা রুমে একটা কাজি আর দুইজন লোক বসা,,
_
হঠাৎ আগুন বলে উঠলো
_
আগুন : কেমন সার্প্রাইস দিলাম বলো???
আমাদের ধর্ম মতে এখন বিয়ে করবো ।তুমি ছোটবেলায় কবুল বলেছিলে সেটা তোমার মনে নেই তাই এই ব্যবস্থা করলাম ।
_
বলেই শয়তানি হাসি দিলো ।
_
আনুশকা রাজি হলো বিয়েতে কোনো জোরাজোরি ছাড়াই,, আগুনকে ভালোবেসে ফেলেছে এজন্য নয়,,
এখনো আগুনকে মন থেকে ভালোবাসতে পারেনি সে ।
_
আইনগত ভাবে আগুনের ওয়াইফ আনুশকা,, আর আগুনের সাথে তার ফিজিক্যাল রিলেশন হয়ে গিয়েছে।
এ পর্যন্ত কতবার আগুনের সাথে তার ফিজিক্যাল অ্যাটাচ হয়েছে সেটা তার নিজের খেয়াল নেই ।
_
তাই বিয়েতে রাজি হওয়ায় ভালো তার পক্ষে ।
_
আগুন : আনুশকার গালে নিজের নাক ঘষতৈ ঘষতে বললো
_কি ভাবছো ডিয়ার???
তখন কি যেনো বলছিলে???
তোমার ডেন্জারাস বর,,,
আমি তোমার হায়েনা বর??
_
আনুশকা ভয়ে ভয়ে তাকালো আগুনের দিকে,,,
কাপা কাপা গলায় বললো,,
_
আনুশকা : না মানৈ,,, আসলে


আগুন : থাক বলতৈ হবেনা ।
তুমি যে আমাকে তোমার বর বলেছো এটাই অনেক আমার কাছে ।
_
আরো শুনো ডিয়ার ..দুনিয়ায় এখনো এমন কেউ জন্ম নেইনি যে আমার জিনিসে হাত দিবে,
_
আর তুমিতো আমার জিবন, আমার দুনিয়ায়, আমার খুশি, আমার বেচে থাকার কারণ ।
_
তোমার দিকে যে তাকাবে তার চোখ তুলে ফেলবো আমি ।
তাকে মেরে ফেলবো আমি
_
তোমার কি ঐ ছেলে গুলোর কথা মনৈ নেই?
_
কি অবস্থা করেছিলাম ঐ জানোয়ারের বাচ্চাদের ।

আনুশকা এগুলো মনে করে ভয় পেয়ে ঢোক গিলতৈ লাগলো ।
_
অতঃপর তাদের কবুল বলে বিয়ে হলো শাক্ষি সমেত ।
_
আনুশকা রুমে গিয়ে দেখলো রুমটি ফুল দিয়ে সাজানো ।
_
আর বেডটাও গোলাপ দিয়ে সাজানো ।
_
আনুশকা কিছুই বুঝতে পারছে না, হঠাৎ রুম ডেকোরেটের ব্যপারটা ।
_
তখনি আগৃন পিছন থেকে আনুশকাকে জড়িয়ে ধরে পিঠে নাক ঘষতে ঘষতে বললো ।
_
আগুন : ডিয়ার বিয়ে টা যখন আবার হলো তখন বাসরটা আবার হোক না।
ক্ষতি কি??

বলেই শয়তানি হাসি দিলো আগুন সাথে রোমান্টিক হাসিও ।
_
আনুশকা রেগে বললো ..
_
আনুশকা : কোনো বাসর হবেনা ।রোজ রোজ এসব ভালো লাগেনা আমার ।
এতো রোমান্স কোথা থেকে আসে আপনার?? ?
_
নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য কোনো নষ্ট গলিতে গেলেই হয় ।
_সেখানে ইচ্ছে মতো রোমান্স করলেইতো হয়,, রোজ রোজ একটা জিনিস ভালো লাগে কি করে আপনার??
_
আগুন : আনুশকার কানৈ কানে বললো,, অনেক বলেছো, আর না ।এবার আমি বলবো

আসলে তোমার মতো সুন্দর ফিগার কোথাও দেখিনি ।আর তোমার মতো ভালো বেড শেয়ার কেউ করতে পারেনা ।
তাইতো তুমিই বেস্ট,

_মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহকে ভোলেনা আর মৃত্যুর পরেও ।

তেমনি আমিও তোমাকে ভুলবোনা তোমাকে ছাড়বোনা ।বুঝতে পেরেছো তুমি ।
_
এ কথা গুলো তোমার মাথায় ঢুকিয়ে নাও ।
_
আগুন রেগে পুরো আগুনের মতো লাল হয়েগিয়েছে ।
_
আনুশকা ভয়ে চুপ হয়ে রয়েছে ।হঠাৎ এমন বলবে নিজেও ভাবেনি


আগুন : কি ভেবেছিলে ,এসব বললে আমি তোমার থেকে দূরে থাকবো ।আর আজকের প্ল্যান নষ্ট করবো
_

আজ রাতৈ তুমি নিজে আমার কাছে আসবে ।আমি তোমাকে জোর করবোনা ,,
এটি আমার Challenge and promise.

আনুশকা : Accept your challenge .
এবার আপনি হারবেন।
_আমি কখনোই আপনার কাছে ।
এ আশা পূরণ হবেনা আপনার ।

আগুন : সেটা সময় বলে দিবে ডিয়ার ।
এখন চলো খেয়ে নিই ,,রোমান্স করার জন্য এনার্জি লাগবেতো
_বলেই শয়তানি হাসি দিলো আগুন ।

আগুন খাবার সার্ভ করে দিচ্ছে আনুশকাকে

আনুশকা : আমি খাবোনা ।আমার ক্ষিধে নেই ।
আমি গেলাম । আপনি খান।
টা ট ।
_
আনুশকা চলে যেতে নিলো তখন. …
আগুন : দাড়াও ডিয়ার,, বলেই আগুন নিজের শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো …

আনুশকা ভয়ে শেষ বিকোজ সে আগুনের শার্টের বোতাম মানে জানে, ,

আনুশকা : খাবো আমি ।আপনি বোতাম গুলি লাগান প্লিজ।

আগুন মুচকি হাসি দিলো।

আগুন : Good girl .কাছে এসো খাইয়ে দিই ।


আসলে আগুনের শার্টের বোতাম খোলাতে ভয় পায় তাই আগুন আনুশকাকে এই ভয় দেখিয়ে সব কাজ করায় যেটা আনুশকা করতে চায়না।

আগুন : ডিয়ার রোমান্স করতে হবেতো ,পেট ভরে খাও ।
_চলবে ….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here