dangerous love পর্ব -৩০

# Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_30
আগুন মেরে সবাইকে তক্তা বানালো, আগুন তার মোম এর কথা ভাবতে ভাবতে আরো মারছে এইসব লোকেদের.
.
হঠাৎ পিছন থেকে কে যেনো একটা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলো আগুনের.
.
আগুন নিমিষেই মাঠিতে লুটিয়ে পড়লো,
তার অন্য কিছুই খেয়াল নেই,
চোখের সামনে মোম এর ফেসটা ভেসে উঠছে.
আর একটা বেবির হাসির শব্দ শুনতে পারছে আগুন.
.
আগুন পুরোপুরি ভাবেই নিজের জ্ঞান হাড়ালো.

যখন তার জ্ঞান ফিরলো তখন নিজেকে আবিষ্কার করলো একটা অন্ধকার রুমে.
.
আগুন ধীরে ধীরে উঠে দাড়ালো, সামনে একটু এগিয়েই বুঝতে পারলো এটা জেল হাজত.
.
আর সামনে তার চাচা জান দাড়িয়ে.
.
আরমান সাহেব : শয়তানের বাচ্চা, বল আমার মেয়ে কোথায়??? না হলে সারাজীবন এখানেই থাকবি.
.
আগুন কিছুটা হেসে বললো.
_Just wait শশুর মশাই উড়ফে চাচা জান.
.
আরমান সাহেব চমকে গেলো চাচা জান ডাকাতে.
.
আগুন আবারও বলতে লাগলো.
_মোমকে আমি কিডনাপ করেছিলাম ঠিক, বাট ওকে আবার বিয়ে করার পর ও নিজে থেকে আমার কাছে থেকেছে,
ওকে জোর করে আটকে রাখার প্রয়োজন হয়নি. বাট এখন ওকে আসলাম নামের ক্রিমিনাল কিডন্যাপ করেছে.

.
আগুনের কথা শুনে আরমান সাহেব চমকে গেলো কিছুটা, কারণ আসলামের সাথে উনার পুরনো শত্রুতা আছে.
.
আগুন : চিন্তার কিছু নেই, আমার ওয়াইফকে সব রকম ঝামেলা থেকে বাচানোর ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছে চাচা জান.
.
আরমান সাহেব : বার বার চাচা জান বলছিস কেনো????
মোমকে আমি নিয়ে আসবো তোকে আনতে হবেনা, তুই জিবনেও এখান থেকে বের হতে পারবিনা.
.
আগুন : মোম আমার ওয়াইফ, ওকে আম নিজের কাছে নিয়ে আসবো. আর চাচা জান কে চাচা বলে ডাকবোনা কেনো?? তুমি তো আমার চাচা জান. আমাকে ভুলে গেলে কিভাবে???
.
আরমান সাহেব : কে তুমি?? ভয়ে ভয়ে বললো.
.
আগুন : মনে মনে যা ভাবছেন আমি সে.
শ্রদ্ধেয় আরিফ মির্জা উরফে আপনার বড় ভাইয়ের ছেলে এবং বর্তমানৈ আপনার মেয়ের স্বামী আগুন মির্জা
.
আরমান সাহেব কিছুটা ঘাবড়িয়ে বললো,
_তুমি ভাইজানের ছেলে?? তুমি এখনো বেচে আছো.
.
আগুন : রাখে আল্লাহ মারে কে, বেচে আছি আপনার কুকর্মের শাক্ষি হিসেবে.

.
আরমান সাহেব কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো.
.
আগুন : ভয়ের কিছু নেই, আপাতত কিছু করবোনা. পাপের শাস্তি পরে পাবেন.
আগে মোমকে ফিরিয়ে আনি তারপর মোমের সামনে শাস্ত দিবো.মোমের তো জানা দরকার তার বাবার কৃত কর্ম .
.
কমিশনার তাদের কথা গুলো শুনছেন
আরমান সাহেব চুপচাপ শুনছেন আর ভাবছেন, কিভাবে এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়.
.
তখনি একটা লয়ার আসে,
.
লয়ার : কমিশনার রফিক, এইযে এটা মিঃ আগুনের জামিনের পেপার .উনাকে সসম্মান মুক্তি দিন ..
.
আরমান সাহেব আর কমিশনার চোখা চোখি করলেন.
কমিশনার : পেপার তো ঠিক আছে, এই লোক অল্প সময়ে জামিনের ব্যবস্থা করলো কিভাবে, যাইহোক, হাবিলদার উনাকে ছেড়ে দিন.
.
আগুন বের হয়ে মুচকি হাসলো.
আরমান সাহেব রাগে গজগজ করছে.
.
আগুন : এবার তাহলে আসি শশুর মশাই.আপনার মেয়ে আর নাতিকে আনতে যাচ্ছি, দোয়া করবেন.
.
আরমান সাহেব অবাক হলেন কিছুটা. .
আগুন যাওয়ার আগে হাবিলদার কে ইশারা করলো.
.
এদিকে মোম কিছুই খাচ্ছে না.
না খেয়ে দূর্বল হয়ে গিয়েছে.
.
আসলাম মোমের জন্য চিন্তিত আছে, কিছু খাবার নিয়ে মোমের রুমে গিয়ে দেখে, মোম অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে.
.
আসলাম ভয় পেয়ে মোমকে তাড়াতাড়ি ক্লিনিকে নিয়ে গেলো.
.
ডক্টর এসে মোমের সম্পর্কে যা বললো তাতে আসলাম রেগে একাকার .
.
মোমের প্রেগনেন্টের খবর আসলামকে জানালো ডক্টর.
.
আসলাম : যা করার এখনি করতে হবে ,এই বাচ্চা থাকলে মোমকে আমার বানাতে পারবনা .
.
যা করার মোমের অজান্তে করতে হবে .
আসলাম ডক্টরকে ভয় দেখিয়ে টাকা দিয়ে এভোয়েশনের ব্যবস্থা করলো..

.
মোমকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে অটিতে করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে .
.
এদিকে আগৃন ড্রাইভ করে এখনো মোমকে খুজে বেড়াচ্ছে .
বাট আগুনের হঠাৎ ভিষন অসস্তি লাগছে.
.
আগুন : মোমের আর আমার সন্তানের কিছু হলো নাতো.
আসলাম কুকরকে মেরেই ফেলব ওদের কিছু হলে.
.
চলবে , ,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here