dangerous love পর্ব -৩৫

#DangerousLover
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_35
#Only_me_theke_Public
.
_মোমের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো,,, সামনে পড়ে আছে আগুনের নিথর দেহ.
রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝেটা.
.
আগুনের সারা দেহ রক্ত মৌ মৌ করছে.
আগুন এখনো জ্ঞান হাড়ায়নি পুরোপুরি.
.
আগুনের নিষ্পাপ চোখ গুলি মোমের দিকে তাকিয়ে আছে.
আগুন শেষ বারের মতো মোমকে ভালোবাসি তোমায় বলে চোখ বন্ধ করে ফেললো.
.
আগুন মোমের বিরহ সহ্য করতে না পেরে নিজেই নিজেক শুট করেছে.
.
মোম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে. কি করবে তা বুঝতে পারছেনা.
.
শুটের আওয়াজ শুনে মোমের বাবা আর সার্ভেন্টরা ইতোমধ্যে রুমে এসে উপস্থিত হয়েছে.

.
আরমান সাহেব আগুনের এই অবস্থা দেখে মোমের দিকে তাকালো .
মোম তো এখনো স্তব্ধ হয়ে রয়েছে.
মোম আগুনের নাম ধরে চিৎকার করে জ্ঞান হাড়ায়.
.
মোমের বাবা আর সার্ভেন্টরা ওদের নিয়ে দ্রুত ক্লিনিক যায় এমবুলেস নিয়ে.
.
কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলো কারো জ্ঞান ফিরেনি.
মোমের জ্ঞান ফিরতেই আগুনের নাম ধরে চিৎকার করে উঠে .
মোম : আগুন কোথায় আপনি??? আমার কাছে আসুন প্লিজজজজজজ.
আপনি আমাকে কথা দিয়ে ছিলেন আমার এক ডাকেই আমার কাছে চলে আসবেন.
তাহলে কেনো আসছেন না এখন.
.
ডক্টর : আপনার স্বামী Icu তে আছে. ২৪ ঘণ্টা না হলে কিছু বলা যাবেনা.
বুলেট টা হার্ট বরাবর লেগেছে. যেকোনো কিছু হতে পারে

.
না,,,,,, মোম চিৎকার করে বললো,,, আমার স্বামীর কিছু হতে পারেনা
.উনি আমাকে কথা দিয়ে ছিলেন আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না
মোম চিৎকার করে কান্না করতে করতে বলছে কথা গুলো.
.
আরমান সাহেব আর আকাশ মোমের পাশেই ছিলো.
সবাই তাকে স্বান্তনা দিচ্ছে তবুও মোম কান্না থামাচ্ছেনা.
.
আরমান সাহেব মোমের কান্না দেখে সব সত্যি বলে দিলো,,,,
আরমান সাহেব : সব দোষ আমার মা. আমি তোদের জিবন নষ্ট করেছি.
.
মোম অবাক হলো তার বাবার কথা শুনে
মোম : মানে?? তুমি কিভাবে এসবের জন্য দ্বায়ী.
.
আরমান সাহেব : অনেক কথায় তোকে বলিনি, আজ সব বলবো,,, আগুন আর কেউ নয় আমার বড় ভাইয়ের ছেলে তোর চাচাতো ভাই.
তোর যখন তিন বছর বয়স তখন আগুনে আট বছর বয়স ছিলো.
আমার ইচ্ছেতেই তোদের ছোটবেলায় বিয়ে হয়েছিলো.
সব ঠিক ঠা চলছিল বাট হঠাৎ আমার মধ্যে লোভ জেগে উঠেছিলো .জালিয়াতি করে ভাইজানের সব সমপত্তি নিজের নামে করে নিই. সে দুঃখে ভাইজান আর ভাবি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়..

. তার পর তোদের এখানে নিয়ে আসি, আকাশের জন্ম দিয়ে তোর মা মারা যান.
সব আমার পাপের ফসল.
তুই ছোট ছিলি বলে এসব কিছু মনে নেই.
আগুনের সব মনে ছিলো. ও তোকে ছোট থেকে এখনো ভালোবাসে.
.
ইচ্ছে করলে তোর আর আমার উপর প্রতিশোধ নিতে পারতো কিন্তু নেয়নি .
.

কথা গুলি এক নিঃশ্বাসে বললো আরমান সাহেব মোমকে.
.
মোম চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলোনা .
আগুনের এসব কষ্টে জন্য তার বাবা দ্বায়ী..

মোম : বাবা তোমাকে আমার বাবা ডাকতেও ঘৃনা লাগছে. নিজের ভাইকে মেরে ফেললে. একবারও তোমার উনার জন্য তোমার কাদেনিঁ
.
তোমাকে আমার সহ্য হচ্ছে না আ. সামনে থেকে যাও. ।না হলে আমি নিজেকে শেষ করে ফেললো .জোরে চিৎকার করে কথা গুলো বললো মোম .
.
মোমের বাবা ভয় পেয়ে মোমের সামনে থেকে চলে গেলো .
.
মোম আগুনের কষ্ট গুলি ফিল করছে চোখ বন্ধ করে.
মোম : উনি কত কষ্ট পেয়েছেন. অথচ আমাকে কিছু বুঝতে দেননি. কিছু বলেননি.
এতো কিছু পরেও উনি শত্রুর মেয়েকে ভালোবাসেন. অথচ উনার ভালোবাসা আমি বুঝিনি .বুঝতে চাইনি .
জিবন দিয়ে উনি আমাকে ভালোবাসা কি সেটা বুঝালেন
.

মোম কান্না করতে করতে আগুনের কেবিনে গেলো.
ডক্টর বলেছেন এখনো কিছু বলা যাচ্ছেনা .
.
মোম সাহস পাচ্ছেনা কেবিনে যাওয়ার জন্য .
,,,
মোম সাহস নিয়ে আগুনের কাছে গেলো ,
আগুনকে বেডে দেওয়া হয়েছে ,,আগুনের মুখে মাস্ক পড়ানো আছে ,
মোম এসব দেখে ভেঙে পড়েছে খুব ,,
কান্না করতে করতে মোমের চোখ লাল হয়ে গিয়েছে .
মোম কিছুটা সান্তনা দিলো নিজেকে ,,
.
তারপর আগুনের পাশে বসে আগুনের হাত নিজের পেটে রাখলো ,,
,,
মোম : আমাকে ক্ষমা করে দিন ,আমি আপনার ভালোবাসা বুঝতে পারিনি ,,
আপনার মতো কেউ আমাকে এতো ভালোবাসবেনা ,,
,,,
,,
আমিও আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি ,,,শুনতে পারছেন আপনি ?? সব অভিমান ভুলে চোখ খুলুন ,,
আমাকে মাফ করে দিন ,,,
আমার উপর আর অভিমান করে থাকবেননা ,,
,,,,
,,
আমাদের সন্তানের কথা একবার ভাবুন ,,,ওর দেখাশুোনা করবে কে আপনি ছাড়া ,,,
ওর কথা ভেবে চোখ খুলুন ,,উঠে পরুন প্লিজজজজজ .আমার এখানে থাকতে ভালো লাগছেনস আর ,,,
,,,
আমি বাড়ি যেতে চাই আপনার সাথে ,আর কখনো আপনাকে ছেড়ে যেতে চাইবোনা,,,আপনাকে এতো ভালোবাসবো যে আপনি পুরোনো সব ব্যথা ভুলে যাবেন ,,
Please open your eyes,,, Forgive me please ,,,
I love you very much ,,,I love you a lot ,,
,,
মোম এগুলো বলছে আর কান্না করছে ,,,
ডক্টর : মিসেস আগুন আপনি থামুন please ,,এভাবে রোগির পাশে কান্না করে কথস বললে রোগির condition আরো খারাপ হতে পারে ,,,
তাছাড়া আপনার condition তেমন ভালো না ,,,এই সময়ে এতো টেনশন নিবেন না ,আপনার রেস্টের প্রয়োজন ,,
,,,,
,,,,
নার্স এখনি উনাকে উনার কেবিনে নিয়ে যাও ,,
মোম : আমি যাবোনা যতক্ষন না উনার জ্ঞান ফিরছে ,,আমাকে এখান থেকে কেউ সরাতে পারবেনা,,,
আগুন চোখ খুলুন ,,দেখুন সবাই আপনার কাছ থেকে আপনার মোমকে দূরে যেতে বলছে ,,আপনি সবাইকে শাস্তি দিন please,,,
,,কথা গুলি বলেই মোম আগুনকে মারতে লাগলো অভিমসন করে ,,,
আগুনের বুকে কিল দিতে লাগলো মোম ,,
তবুও আগুনের জ্ঞান ফিরছেনা,,,
,,,,
হঠাৎ আগুন নড়ে উঠলো বাট চোখ খুললো না ,,আগুনের প্লাস চ্যাক করছে ডক্টর ,,,মোমকে নার্সরা জোর করে বাইরে নিয়ে গেলো ,,,
মোম চিৎকার করছে আর বলছে ,,
আমি যাবোনা,,আমাকে ওর কাছে থাকতে দিন ,,,কি হয়েছে ওর,,
মোমের বাবা মোমকে দেখে কষ্ট পাচ্ছে অনেক ,,,মোমকে তে
তিনি জড়িয়ে ধরলেন শক্ত করে ,,,
,,,
ঠিক তখনি ডক্টর বের হলো ক্যাবিন থেকে ,,,
Doctor : Miss Agun ,,Mr: Agun is no,,,,,,,,,

চলবে, ,,, (#Shabnaj_Hossain_Moon হবে রাইটারের জায়গায় )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here